দিদিভাই ব্যাঙ্কিং এর সাত সতেরো নিয়ে যা লিখেছেন তা অতিসরলীকর। ব্যাপারটা মোটেই অত সরল নয় বরং জটিল। কেন্দ্রীয় সরকার ও আর বি আই ইচ্ছাকৃত ভাবে ব্যাংক গুলোকে সাধারণের টাকা লুটের সুযোগ করে দিচ্ছ। আর বি আই সব জানে। সরকারও সব জানে। নাহলে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলে খেলাপি ঋণদাতাকে আবার ঋণ দিতে হবে। এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সমস্ত ব্যাপারটাই পূর্ববর্তী সরকারই আরম্ভ করেছে। এরা সেটা আরও জোরকদমেে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছ। যা করেছি বেশ করেছি টাইপের । মানুষ তো টাকা আর বালিশের তলায় রাখতে পারবে না। তাকে কোথাও না কোথাও টাকা রাখতেই হবে এবং তা ফেরত্ না পাবার আশংকা সহ।
@Sanjib, লেখাটার তলায় লেখা আছে এটা পার্সোন্যাল ফিনান্স ম্যানেজমেন্টের একটি ব্লগের জন্য। রাজনৈতিক পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, সাধারণ মানুষকে ব্যাঙ্কে টাকা রাখতে হবে। সেটা আপনিও বলেছেন। সেটা কিভাবে রাখলে নিজের কষ্ট একটু কমানো হয়ত সম্ভব সেটাই বলা।
তবে ব্যক্তিগত ভাবে আমি অবশ্য খুব সিঃসন্দেহ নই যে ঠিক কতটা কি করলে ব্যাঙ্কের নিজের স্বাধীনতাও বজায় থাকে, দেশের সব ধরণের বাণিজ্যও টাকা পায় আবার দেশের মানুষও খুব ভরসা পায় যে বাহবা সরকার বাহাদুর আমাদের সুরক্ষিত রাখছেন। তাই আমার মনে হয়েছে, নিজের টাকা কোথাও রাখার আগে তার দোষ-গুন জেনে নেওয়া সাধারণ মানুষের উচিত। তার পাশে পাশে সরকারকে দোষারোপ করা চললে চলুক। কিন্তু নিজের ভালর জন্য নিজের জ্ঞান জরুরি। এইটুকুই।
@দ ধন্যবাদ।
@স্বাতী রায়,
একজন মধ্যবিত্ত মানুষের ব্যাংকে কীভাবে টাকা রাখা উচিত সেটাই লেখাটার ফোকাস। সে হিসেবে সুন্দর লেখা হয়েছে বলে আমার ব্যক্তিগত অভিমত। যেহেতু এখন ডিপোজিট ইন্সিওরেন্সের উর্দ্ধসীমা ৫ লাখ, সেখানে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভাগাভাগি করে টাকা জমা রাখা, এবং কোন একাউন্টে ৫ লাখের বেশি না রাখা ভাল স্ট্র্যাটেজি বলেই মনে হয়।
@b এটা খুব ভালো প্রশ্ন। আগে আমি যতদূর জানি পিপিএফ এর ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক শুধু মধ্যবর্তী ছিল, তখন ওই টাকার গ্যারান্টার ছিল সরকার। কিন্তু 2018-19 এ পিপিএফ কে সরিয়ে সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাক্টএর অধীনে নিয়ে আসা হয়েছে, ইনফ্যাক্ট পিপিএফ ১৯৬৮ তুলে দেওয়া হয়েছে। এবার এই আইন বলে আগে যে আন্ডারস্ট্যান্ডিং এ টাকা জমা হয়েছে সেই আন্ডারস্ত্যান্ডিং বজায় থাকার কথা। কিন্তু আমি নিজে খুব ক্লিয়ার নই এক্ষেত্রে যে তাহলে ২০১৯ সালে বা পরবর্তীতে জমা দেওয়া টাকার ক্ষেত্রে কি হবে বা নতুন পিপিএফ আক্যাউন্টের ক্ষেত্রে কি হবে। সিএ বা আইনজ্ঞরা ঠিক ভাবে বলতে পারবেন।