এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • ব্যাঙ্কিং এর সাত সতেরো

    স্বাতী রায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ০৫ জুন ২০২০ | ২৮৭৪ বার পঠিত
  • লকডাউনের সময়ে এমনিতেই বাড়ির বাইরে যাওয়া প্রায় বন্ধ। তাই হোয়াটসঅ্যাপে বন্ধুদের সঙ্গে গল্পগাছা চলছে। শারীরিক দূরত্ব বাড়াতে হয় তো ঠিক আছে, মনের দূরত্ব কি আর বাড়তে দেওয়া চলে? ফোনালাপও চলছে মাঝে মাঝেই। সেদিন সকালে হাতের কাজ কর্ম সেরে সবে সুমি এসে বসেছে, এমন সময় হোয়াটস অ্যাপে নোটি এসে ঢুকল, “সুমিদি ব্যস্ত? একবার ফোন করতাম!”। প্রতিবেশিনী অন্তরার তলব। সুমির সম্মতি পেতেই সঙ্গে সঙ্গে ফোন বেজে উঠল। সুমি জানে,  অন্তরা আর ওর বাড়ির সবাই শারীরিক ভাবে ভালো আছে, সকালেই একটা গ্রুপে কথা হয়েছে। কাজেই এই জরুরী ফোন অন্য কোন কারণে। আবার কি হল ভাবতে ভাবতে ফোন ধরে সুমি।

    “সুমিদি, ইয়েস ব্যাঙ্কের কান্ড দেখেছ? “

    সুমি একটু অবাক হয়ে বলে, “নতুন করে আবার কি হল? কই কিছু দেখি নি তো!”

    “ না মানে ঠিক নতুন না;ওই কিছুদিন আগেরই খবরটা। সায়ন কোত্থেকে আজ একটা লিঙ্ক পেয়েছে আর সেটা পড়ে ওর মাথা খারাপ হয়ে গেছে - খালি বাড়ীতে চেঁচাচ্ছে, এই জন্যে এইসব ভুঁইফোঁড় প্রাইভেট ব্যাঙ্কে আকাউন্ট খুলতে বারণ করি ! জানো তো আমার একাউন্ট বেসরকারী ব্যাঙ্কে – খালি বলে যাচ্ছে সব তুলে সরকারী ব্যাঙ্কে নিয়ে চলে আসবে। এদিকে আমার তো অফিসের স্যালারি আকাউন্ট ওই ব্যাঙ্কে – তুলে আনব বললেই আনা যায় না কি! একটু বুদ্ধি দাও তো কি করা উচিত!

    “ শোন এমনিতেই তো এই লকডাউনের বাজারে কিছু করতে পারবি না। বরং এই সময়টা একটু পড়াশোনা কর না ঠিক কেন সমস্যাটা হল – মানে সমস্যাটা কি সেটা যদি বুঝিস তবেই না দুজনে মিলে ভেবেচিন্তে ঠিকমত একটা সমাধান বার করতে পারবি! “

    অন্তরা প্রায় কেঁদেই ফেলে এবার! “দ্যাখো সুমিদি ঘরের কাজ কর্ম আবার ছেলের পড়াশোনা সবই তো সামলাচ্ছি এই লকডাউনের বাজারে, এর পরে আবার পড়ব কখন বলো তো! তুমি যদি বলবে তো বল, নাহলে সায়ন যা পারে করুক!” – প্রচুর অভিমানের সঙ্গে বলে অন্তরা।

    সুমি সমস্যাটা বোঝে না এমন না। তাই একটু মান ভাঙ্গাতে ব্যস্ত হয়। “দ্যাখ, ভারতে এই সব মার্জার-টার্জার এর পরে সরকারী ব্যাঙ্ক আছে সাকুল্যে খান চৌদ্দ , এদিকে বেসরকারী ব্যাঙ্ক ২২ খানা আর ৪৬ খানা বিদেশী ব্যাঙ্ক – কোপারেটিভ ব্যাঙ্ক আর গ্রামীণ ব্যাঙ্ক তো বাদই দিলাম। সব জায়গার সব লোকই কি আর সরকারী ব্যাঙ্কে চলে যেতে পারবে? তবে আবার ইয়েস ব্যাঙ্কে যা হল, লোকের টাকা থাকলেও টাকা তুলতে পারবে না – এ তো ভারী সমস্যার কথা! তাই প্রথমেই কয়েকটা বেসিক সতর্কতা নেওয়া দরকার। প্রথমেই সেই সার সত্য – সব ডিম এক ঝুড়িতে রাখতে নেই। স্বামী-স্ত্রীর অ্যাকাউন্ট যেন এক ব্যাঙ্কে না থাকে। কাজেই তুই অ্যাকাউন্ট সরালেও খবরদার সায়নের যে ব্যাঙ্কে আছে সেই ব্যাঙ্কে নিবি না। এমনকি একা মানুষ হলেও অন্তত দুটো কি তিনটে ব্যাঙ্কে টাকাটা সমান ভাবে ছড়িয়ে রাখতে হবে। এটা কিন্তু ইমারজেন্সী ফান্ডের জন্য আরও বেশি প্রযোজ্য। তুই ভাব একবার, তোর কোন মেডিক্যাল ইমারজেন্সী হয়েছে বা ধর তোর চাকরী চলে গেছে, আর ঠিক সেই সময় তো ইমারজেন্সী ফান্ডের টাকা যে ব্যাঙ্কে আছে, তারা হাত তুলে দিল – কি করবি তখন? কাজেই সমানভাবে ছড়িয়ে রাখ। আর এটা শুধু সেভিংস ব্যাঙ্কের জন্য না, ফিক্সড ডিপোজিটের জন্যও তাই করবি। বিভিন্ন ব্যাঙ্কে, বিভিন্ন নামে ছড়িয়ে রাখবি যাতে ডিপোজিট ইন্স্যুরেন্সের সুবিধাটা যত বেশি নিতে পারিস। ”

    অন্তরা থামিয়ে দেয়, “এই ডিপোজিট ইন্স্যুরেন্সটা কি জিনিস? ”

    সুমি তাড়াতাড়ি করে জোড়ে, “ডিপোজিট ইন্স্যুরেন্স কি বুঝলি তো! ধর ব্যাঙ্ক যদি দেউলিয়া হয়ে যায় তাহলে তোর সেই ব্যাঙ্কের বিভিন্ন ব্রাঞ্চে যত সেভিংস, কারেন্ট, ফিক্সড ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট আছে সব মিলিয়ে তুই সর্বোচ্চ যে টাকাটা ফেরত পাবি। এটা আগে ছিল ১ লাখ টাকা – এবারই বাজেটে সেটা বেড়ে ৫ লাখ হয়েছে। কাজেই তোর যদি ধর ১৫ লাখ টাকার সঞ্চয় থাকে তাহলে উচিত হবে সেটা একাধিক ব্যাঙ্কে ছড়িয়ে রাখা। দুজনের নামে থাকলে, কিছু ক্ষেত্রে ফার্স্ট অ্যাকাউন্ট হোল্ডার হিসেবে তোর নাম দিলি আবার কিছু ক্ষেত্রে সায়নের নাম দিলি – তাতেও কিছুটা সুবিধা হবে, মানে যদি ব্যাঙ্ক উঠে যায়।“

    “হুম, এটা ভালো বলেছ! এটা ওকে বলতে হবে। কিন্তু আরেকটা জিনিস বল, এই যে সকাল থেকে আমার উপর চেঁচিয়ে যাচ্ছে যে দু পয়সা বেশি ইন্টারেস্টের জন্য আমি নাকি এই সব ছাতার মাথা ব্যাঙ্কে আকাউন্ট খুলেছি – আসলে আমার ওই ব্যাঙ্কেই একটা এমনি সেভিংস আকাউন্টও আছে – আচ্ছা বল সায়নের ব্যাঙ্কে যেখানে ৩.৫% ইন্টারেস্ট দিচ্ছিল এঁরা সেখানে ৬% দিচ্ছিল, অবশ্য টাকাটাও রাখতে হচ্ছিল বেশি – কিন্তু তবু বল খানিকটা বেশিই তো! ছেড়ে দেব! ... তাই নিয়ে আজ সকাল থেকে চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে আমার মাথা ধরিয়ে দিল! ” – অন্তরা সব ক্ষোভ উগড়ে দেয়।

    “আচ্ছা অত বেশি পতিনিন্দা করতে নেই। শোন তুই কেন ব্যাঙ্ক তোকে বেশি বেশি সুদ দেয় সেটা আগে বোঝ বরং। এই যে ব্যাঙ্কগুলোর আক্যাউন্টে পয়সা রাখিস, এই টাকাটা তো ব্যাঙ্ক আবার অন্যকে ধার দেয়। সেই ধারের সুদটাই ব্যাঙ্কের মূল আয়। ২০১৯ সালে এই ধারের মোট পরিমাণ কত জানিস, প্রায় ৯৭ লক্ষ কোটি টাকা আর তাঁর মধ্যে প্রায় ৩৯ লক্ষ কোটি টাকাই আসে সেভিংস ব্যাঙ্কের ডিপোজিট থেকে, যাকে বলে CASA ডিপোজিট। ব্যাঙ্কগুলোর কাছে এটা খুব লোভনীয় কারণ এটার জন্য ব্যাঙ্কের সব থেকে কম খরচ হয়। এই মোট ধারের সব থেকে বেশি অংশ, ২২.৫% মানে ২১.৮ লাখ কোটি আসে এসবিআই এর থেকে। এসবিআই এই টাকার ৫০% পায় সেভিংস ডিপোজিট থেকে। অন্য দিকে ইয়েস ব্যাঙ্কের হিসেব টা দেখ, ওদের বাজারে যে টাকা লোন দেওয়া ছিল;সেভিংস ডিপোজিটের পরিমাণ তার মাত্র ১৯%। এই রকম ক্ষেত্রে যে কোন ব্যাঙ্ক কি করতে পারে ? এখন যেহেতু সেভিংস আক্যাউন্টের সুদ আর আরবিআই বলে দেয় না, যে যার মত ঠিক করতে পারে, তাই ব্যাঙ্কের হাতে একটা উপায় হল, গ্রাহকদের আর একটু বেশি টাকার লোভ দেখিয়ে বেশি বেশি অ্যাকাঊন্ট খোলানো যাতে ব্যাঙ্কের ঘরে বেশি পয়সা আসে। ওই যে উজ্জীবন স্মল ফাইন্যান্স ব্যাঙ্ক খুব বেশি ইন্টারেস্টএর লোভ দেখাচ্ছিল , তাদের বাজারে যা ধার দেওয়া তাঁর সঙ্গে সেভিংস ডিপোজিটের অনুপাত হল ৭% রও কম। আবার উল্টোদিকটা হল এঁদের খালি হাতে দেওয়া ধার প্রায় ৮৫%, খুবই ঝুঁকির ব্যাপার ফলে তার থেকে পাওয়া সুদও খুব বেশি। এদিকে সেই ধার দেওয়ার জন্য এঁদের নিজেদের ধার করতে হয় – তাতে তো বেশি খরচ। ফলে এঁরা লোককে বেশি বেশি সুদ দিতে চান। এই হল ব্যাপার, বুঝলি। ““ কিন্তু বেশি দিলে তো আমারই লাভ, কোন ক্ষতি তো নেই। তাহলে আমার উপর চেঁচাচ্ছে কেন? ” – ঝাঁঝিয়ে ওঠে অন্তরা।

    “ হ্যাঁ লাভ তো বটেই কিন্তু সাময়িক লাভের জন্য ভবিষ্যতে আরও বড় দুঃখের পথে হড়কে যাচ্ছিস কিনা সেটা দেখে নিতে হবে। এই যাদের টাকাটা ধার দিচ্ছে, তাঁরা যতক্ষণ ঠিক মত সুদ দিচ্ছে, ধার ফেরত দিচ্ছে ততক্ষণ কোন অসুবিধা নেই। কিন্তু যেই কেউ আর ধার ফেরত দিতে পারছে না, আবার ব্যাঙ্কের খাতায় হয়ত তত টাকা অফেরতযোগ্য ধার হিসেবে বাদ দিয়ে দেওয়ার মত টাকাও ধরে রাখা নেই, তখনই ঝামেলার শুরু হবে। ইয়েস ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রেও তো সেটাই হয়েছিল। ওঁদের আরও অনেক সমস্যা ছিল অবশ্য। তারপরেই তো আরবিআই ঝাঁপিয়ে পড়ল। তাও তো এবার অন্তত কমের উপর দিয়ে গিয়েছে – টাকা তুলতে না পারলেও টাকাগুলো অন্তত পরে ফেরত পাবে লোকজন। সেটা না হলে কি হত ভাব ? “
    “হু সে তো পড়লাম সায়নের পাঠানো লিঙ্কটাতে – লোকজন ই এম আই, ছেলেপুলের স্কুলের ফিজ কিছুই দিতে পারছে না – খুবই ঝামেলা। কিন্তু এই যে যারা টাকা ফেরত দেয় না তাঁদের ব্যাঙ্কগুলো টাকা ধারই বা দেয় কেন বাপু। নিজেদেরই তো ক্ষতি !”

    “কেন দেয়? ধর তুই জানিস যে তোর ধার ফেরত দেওয়ার ক্ষমতা কম তবু ব্যবসায় টিকে থাকতে হলে তোর ধার নেওয়া ছাড়া গতি নেই বা তুই নতুন ব্যবসা খুলবি এদিকে তোকে কেঊ টাকা দিতে চাইছে না, কিন্তু তোর টাকা লাগবেই – তখন তুই আরও বেশি সুদে টাকা ধার নিতে চাইবি। যে সব ব্যাঙ্কের ম্যানেজমেন্ট একটু বেশি রিস্ক নিতে চায়, তাঁরা তখন সেখানে ধার দেয় – ফেরত দিলে তো বেশি পয়সা পাবে। বেশি লাভ। তবে যখন তাদের মধ্যে কেউ কেউ আর ফেরত দিতে পারে না, এক মাস দু মাস সুদ মেটাতে পারছে না তখন ব্যাঙ্ক ভয় পেয়ে যায়। ব্যালান্স শিটে ওটা ডাহা লস দেখালে যে আবার শেয়ার প্রাইস পড়ে যাবে। ফলে লুকিয়ে রাখতে চায়। সেটা আরও বড় সমস্যা। একটা ব্যাঙ্ক তো এনপিএ কম কম দেখিয়ে লাভ দেখিয়েছিল- ঠিক মত দেখালে অনেক ক্ষতি দেখাতে হত। ব্যস যেই লাভ দেখল শেয়ারহোল্ডাররা অমনি শেয়ারের দাম বেড়ে গেল। এই সবই তো চলে। ইন ফ্যাক্ট আরবিআই একটা সময় ব্যাঙ্কগুলোকে ;ঘাড়ে ধরে অ্যাসেট কোয়ালিটি রিভিঊ করেছিল বলেই অনেক অনেক ব্যাঙ্কের এনপিএ ধরা পড়েছিল। রিভিউ না করলে তারা হয়তো চোখ বন্ধ করেই থাকত। তবে সায়নকে এটা বলিস যে এই ধার দেওয়ার বাবদে ঝুঁকি নেওয়া আর সেই ধার এনপিএ হয়ে গেলে চোখ বুজে বসে থাকার দোষে কিন্তু সরকারী বেসরকারী সব ব্যাঙ্কই সমান দুষ্ট। এসবিআই এর এনপিএ সমস্যা ও নিশ্চয় ভুলে যায় নি। কাজেই সরকারী ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট থাকলেই যে খুব পরিস্থিতি সুবিধাজনক এমনটা নয়।“

    “হুম কিন্তু একটা কথা বলো, আরবিআই এগুলো দেখে না কেন?”

    “ দ্যাখ একেবারে দেখে না তা কিন্তু না। কিছুটা তো করেই। আরবিআই-ই তো ওই অ্যাসেট কোয়ালিটি রিভিঊ করিয়েছিল। প্রভিশনিং এর নিয়মে বেশ কিছু বদল এনেছে, একজনকে সব থেকে বেশি কত শতাংশ ধার দেওয়া যাবে সেটা বেঁধে দিয়েছে।  আরও হয়ত কিছু  কাজ করলে ভালো হত। তবে যাই করুক না কেন আমাদের দেশের কত শতাংশ লোক কোন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার আগে সেসব দেখে বুঝে তারপর খোলার সিদ্ধান্ত নেবে বল তো! দ্যাখ না এই যে উজ্জীবন ব্যাঙ্ক নিয়ে তোকে যে তথ্য দিলাম সেগুলো সবই জনসাধারণের সামনে রাখা তথ্য। কিন্তু লোকে তো পড়ে না। বরং এক দেড় শতাংশ বেশি সুদ দিচ্ছে দেখেই ঝাঁপিয়ে পড়ে। আগামী দিনেও তো শুনছি একটা বড় অঙ্কের ধারের এনপিএ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কোন কোন ব্যাঙ্কের ঘাড়ে সেটা যাবে তা কে জানে! ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে তো কাকে কত টাকা কতদিনের মেয়াদের ধার দিল সেটা জানার উপায় নেই। অবশ্য জানলেও কোন সুবিধা হত না কারণ আমরা সাধারণ লোকেরা তো জানতেও পারব না প্রত্যেকের কার ভাঁড়ারের কি অবস্থা। ”

    “ ধুর ধুর এত ভেবে টেবে কাজ করা যায় নাকি! এমনিতেই সেভিংস অ্যাকাউন্টে টাকা থাকাই এখন লসের। ও যা সুদ দেয় তাতে তো ইনফ্লেশনও ঢাকা পড়ে না। তার থেকে সব টাকা ব্যাঙ্ক থেকে তুলে এনে বাড়িতে বালিশের খোলে পুরে রেখে দিই। এত সব ঝামেলাই থাকবে না! ”

    এবার হেসে ফেলে সুমি। “হ্যাঁ, সেটাই ভালো - সায়নকে তাই বলগে যা।”

    আবার সিরিয়াস হয়ে যায় অন্তরা। বলে, “দাঁড়াও এই যে সব ফান্ডা দিলে সে সব আগে বাবুকে বোঝাই – তিনি একটু আমার স্যালারি আক্যাউন্ট নিয়ে চিল্লামিল্লি করা বন্ধ করুন। পরে আবার কথা বলছি তোমার সঙ্গে। ”

    Disclaimer – মতামত ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার থেকে বলা। আমার এ বিষয়ে কোন professional যোগ্যতা নেই।

    এটা পারসোন্যাল ফিনান্স নিয়ে আলোচনার ব্লগ https://elomelothoughts.wordpress.com/2020/06/04/details_of_banking/ এর জন্য লেখা।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০৫ জুন ২০২০ | ২৮৭৪ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    নবীন - Suvasri Roy
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ০৯ জুন ২০২০ ১৫:৩২94158
  • বাহ এই লেখাটা চোখ এড়িয়ে গেছল। ভাল উদ্যোগ। বেশিরভাগ লোকেই খুঁজেপেতে দেখে না।
  • Sanjib Chatterjee | ১০ জুন ২০২০ ১৬:১৫94202
  • দিদিভাই ব্যাঙ্কিং এর সাত সতেরো নিয়ে যা লিখেছেন তা অতিসরলীকর। ব্যাপারটা মোটেই অত সরল নয় বরং জটিল। কেন্দ্রীয় সরকার ও আর বি আই ইচ্ছাকৃত ভাবে ব্যাংক গুলোকে সাধারণের টাকা লুটের সুযোগ করে দিচ্ছ। আর বি আই সব জানে। সরকারও সব জানে। নাহলে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলে খেলাপি ঋণদাতাকে আবার ঋণ দিতে হবে। এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সমস্ত ব্যাপারটাই পূর্ববর্তী সরকারই আরম্ভ করেছে। এরা সেটা আরও জোরকদমেে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছ।  যা করেছি বেশ করেছি টাইপের । মানুষ তো টাকা আর বালিশের তলায় রাখতে পারবে না। তাকে কোথাও না কোথাও টাকা রাখতেই হবে এবং তা ফেরত্ না পাবার আশংকা সহ।                              

  • স্বাতী রায় | ২০ জুন ২০২০ ১৩:০৩94478
  • @Sanjib,  লেখাটার তলায় লেখা আছে এটা পার্সোন্যাল ফিনান্স ম্যানেজমেন্টের একটি ব্লগের জন্য। রাজনৈতিক পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, সাধারণ মানুষকে ব্যাঙ্কে টাকা রাখতে হবে। সেটা আপনিও বলেছেন। সেটা কিভাবে রাখলে নিজের কষ্ট একটু কমানো হয়ত সম্ভব সেটাই বলা।

    তবে ব্যক্তিগত ভাবে  আমি অবশ্য খুব সিঃসন্দেহ নই যে ঠিক কতটা কি করলে ব্যাঙ্কের নিজের স্বাধীনতাও বজায় থাকে, দেশের সব ধরণের বাণিজ্যও টাকা পায় আবার দেশের মানুষও খুব ভরসা পায় যে বাহবা সরকার বাহাদুর আমাদের সুরক্ষিত রাখছেন। তাই আমার মনে হয়েছে, নিজের টাকা কোথাও রাখার আগে তার দোষ-গুন জেনে নেওয়া সাধারণ মানুষের উচিত। তার পাশে পাশে সরকারকে দোষারোপ করা চললে চলুক। কিন্তু নিজের ভালর জন্য নিজের জ্ঞান  জরুরি। এইটুকুই। 

    @দ ধন্যবাদ।

  • রঞ্জন | 182.69.183.34 | ২১ জুন ২০২০ ১৮:২১94522
  • @স্বাতী রায়,

       একজন মধ্যবিত্ত মানুষের ব্যাংকে কীভাবে টাকা রাখা উচিত সেটাই লেখাটার ফোকাস। সে হিসেবে সুন্দর লেখা হয়েছে বলে আমার ব্যক্তিগত অভিমত। যেহেতু এখন ডিপোজিট ইন্সিওরেন্সের উর্দ্ধসীমা ৫ লাখ, সেখানে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভাগাভাগি করে টাকা জমা রাখা, এবং কোন একাউন্টে ৫ লাখের বেশি না রাখা ভাল স্ট্র্যাটেজি বলেই মনে হয়।

  • b | 14.139.196.11 | ২১ জুন ২০২০ ২২:৪৬94524
  • আমার যদি ব্যাঙ্কেই পি পি এফ অ্যাকাউন্ট থাকে, সেটাও কি একই নিয়ম?
  • স্বাতী রায় | 117.194.40.70 | ২২ জুন ২০২০ ১৬:০১94534
  • @b  এটা খুব ভালো প্রশ্ন। আগে আমি যতদূর জানি পিপিএফ এর ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক শুধু মধ্যবর্তী ছিল, তখন ওই টাকার গ্যারান্টার ছিল সরকার। কিন্তু 2018-19 এ পিপিএফ কে সরিয়ে সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাক্টএর অধীনে নিয়ে আসা হয়েছে, ইনফ্যাক্ট পিপিএফ ১৯৬৮ তুলে দেওয়া হয়েছে।  এবার এই আইন বলে আগে যে আন্ডারস্ট্যান্ডিং এ টাকা জমা হয়েছে সেই আন্ডারস্ত্যান্ডিং বজায় থাকার কথা।  কিন্তু আমি নিজে খুব ক্লিয়ার নই এক্ষেত্রে যে তাহলে ২০১৯ সালে বা পরবর্তীতে জমা দেওয়া টাকার ক্ষেত্রে কি হবে বা নতুন পিপিএফ আক্যাউন্টের ক্ষেত্রে কি হবে।  সিএ বা আইনজ্ঞরা ঠিক ভাবে বলতে পারবেন। 

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে প্রতিক্রিয়া দিন