এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  সমাজ

  • শিকল ভাঙ্গার আবছা সুর

    স্বাতী রায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | সমাজ | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৭০৪ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)
  • ভাবলেও অবাক লাগে নারী স্বাধীনতার যেসব প্রাথমিক মাইলস্টোন যেমন শিক্ষার অধিকার, অর্থনৈতিক স্বাধীনতার অধিকার সেই জায়গাগুলোতে কিন্তু বাংলার মেয়েরা পা ফেলেছেন ঊনবিংশ শতকেই। জেন্ডার রোলের চাহিদা তাঁরা অবশ্যই উড়িয়ে দিতে পারেননি, বিভিন্নরকমের সেবা ধর্মের স্বাভাবিক এক্সটেনশন যা কিছু হয়, অর্থাৎ সেই শিক্ষা, চিকিৎসা পরিষেবার কাজেই তাঁরা পা ফেলেছেন সেই যুগে। আসলে এখানেও সেই পিতৃতন্ত্রই কলকাঠি নাড়ে, সেবার কাজ ছাড়া আর কিছু কি মেয়েদের মানায়? আর এই বক্তব্যের জোর কতটা সেটা বোঝা যায় যে আমরা এখনও ২০০ বছরের বেশি পরেও সেই সবার আগে মেয়েদের জন্য শিক্ষকতার কথাই ভাবি। তবু জানতে ইচ্ছে করে না, সেই প্রথাগত সেবাকার্যের মহৎ ব্রত ছেড়ে প্রথম সরকারি ব্যুরোক্রেটিক  নীরস কাজের জগতে পা রাখেন কে?

    এই প্রশ্নটার উত্তর খুব গোলমেলে। তবে ১২৮৩ বঙ্গাব্দ অর্থাৎ ১৮৭৬ সালের বামাবোধিনী পত্রিকার বৈশাখ সংখ্যায় ১৭ পাতায় একটি প্রতিবেদন বেরোয়। নাম "স্ত্রী শিক্ষার প্রতি গভর্নমেন্টের শুভদৃষ্টি"। তাতে লেখক যে মূল দুটি বিষয়ের দিকে নজর দিয়েছেন তার মধ্যে দ্বিতীয়টি হল বালিকা বিদ্যালয়ের পরিদর্শিকা নিয়োগ। সময়টা লক্ষ্য করার, ১৮৭৬ সালের মে মাস। বোর্থউইকের মতে, ইন্ডিয়ান মিররও '৭৬ সালের ৭ই মে এই খবরটা দিয়েছে। মানে চন্দ্রমুখী তখনও প্রথম পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আবেদনও করেননি। ডেভিড হেরন সে আবেদন করবেন সে বছর নভেম্বর মাসে। বামাবোধিনীর বক্তব্য অনুসারে তিনি কলিকাতা, হুগলী ও ২৪ পরগণার সকল মেয়ে ইস্কুলের দায়িত্ব নেবেন। বোর্থউইক এও জানাচ্ছেন যে এঁর মাইনে ছিল মাসে ২০০ টাকা + ট্রাভেলিং এলাউন্স ৩০ টকা।

    কিন্তু কে ছিলেন এই পরিদর্শিকা? ইনি হলেন মনোমিহিনী হুইলার, রেভারেন্ড কৃষ্ণমোহন ব্যানার্জীর তৃতীয়া কন্যা। কৃষ্ণমোহন-বিন্দুবাসিনীর চার কন্যা। প্রথমা ছিলেন কমলমণি, যাঁর সঙ্গে জ্ঞানেন্দ্র মোহন ঠাকুরের বিয়ে হয়, দ্বিতীয়া দেবকী সেল সাহেবকে বিয়ে করেন, মনোমোহিনীর সঙ্গে হুইলার সাহেবের বিয়ে হয় এবং মিলি বিয়ে করেন ষ্টুয়ার্ট সাহেবকে। হুইলার ছিলেন সোসাইটি ফর দ্য প্রোপাগেশন অফ দ্য গসপেল এর যাজক। স্ত্রীর সঙ্গে এদেশের শিক্ষা নিয়েও তাঁর কাজকর্ম ছিল। এঁদের বিবাহিত জীবনের বিশেষ সন্ধান মেলে না। শুধু পরবর্তী ঘটনাক্রম জানায়, মনোমোহিনীর বিবাহিত জীবন খুবই সংক্ষিপ্ত ছিল। অচিরেই তিনি দুটি শিশু সন্তানকে নিয়ে বিধবা হন। সেই শিশুদুটিকে নিয়ে তিনি যখন খুবই অনটনে পড়েছেন, তখন তাঁর কানে আসে বাংলার গভর্নর স্যার রিচার্ড টেম্পল একজন যোগ্য মহিলা পরিদর্শিকা খুঁজছেন। এই সুযোগ তিনি হাতছাড়া করেন নি। আবেদন করেন ও সেই কাজটি তিনি পান। ১৮৭৬ থেকে ১৯০১ অবধি তাঁর কর্মজীবন ব্যাপ্ত। এর মধ্যে ১৮৭৯ সালে প্রোমোশন পেয়ে তিনি বেঙ্গল সাবর্ডিনেট এডুকেশন সার্ভিসে যোগ দেন। (এইখানে অবশ্য আমার নিজের একটু ধন্দ আছে। তাহলে কি আগে তিনি কন্ট্রাক্টে কাজ করতেন? কারণ আমার তো ধারণা ছিল স্কুল ইন্সপেক্টরের চাকরি মানেই সাবর্ডিনেট এডুকেশন সার্ভিস।) 


    ছবি ঃ মনোমোহিনীর বিয়ের রেকর্ড - সূত্র  FIBIS DATABASE ইন্টারনেটের মারফত ​​​​​​​পাওয়া ( সম্পাদনা করে এটা ঢোকানোর লোভ সামলানো গেল না ) 
     

     
    ছবিঃ  বামাবোধিনী পত্রিকা ১২৮৩ বঙ্গাব্দ, বৈশাখ

    কেমন ছিল তাঁর কর্মজীবন? খুবই কম জানা যায়। বস্তুত আমার কিছুটা নেড়েচেরে মনে হয়েছে, মিসেস হুইলার হয়ত একটা নো ম্যান্স ল্যান্ডে বসবাস করতেন। ধর্মের কারণে তাঁকে হিন্দু সমাজ আপন করে নেয়নি। কৃষ্ণমোহন নিজের প্রতিভায় নিজেকে বাইরের জগতে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তবে সাধারণ দেশী পাদ্রীরা কিন্তু সে আমলে বেশ ডিসক্রিমিনেশনের মুখোমুখি হতেন। অর্থ খুবই কম হওয়ায় বিক্ষুব্ধ হয়ে তাঁরা চিঠি চাপাটিও লিখতেন, এই চার্চ ছেড়ে অন্য চার্চেও চলে যেতেন। সেটা একটা দিক। কিন্তু তাঁদের বাড়ির মেয়েদের জীবনের খোঁজ কেউ রেখেছিল কি? কতটা আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ভুগতেন তাঁরা? পরিণত বয়সের ধর্ম ত্যাগের আর সেই সঙ্গে জুড়ে যাওয়া চেনা পরিবেশ-সংস্কৃতি ত্যাগের বাধ্যতার ফল তাঁদের স্ত্রীদের জীবনে কিভাবে আসত? বা তাঁদের পুত্র-কন্যাদের জীবনে একজন পিতার সিদ্ধান্তের ঠিক কি প্রভাব পড়ত? জানা নেই, কারণ দেশি খ্রিস্টানদের স্ত্রীদের বা প্রথম প্রজন্মের ছেলে মেয়েদের কোন গভীর বিশদ আত্মজীবনী আমি হাতে পাইনি।

    যাই হোক মনোমোহিনীতে ফিরি। যেটুকু জানা যায়, মনোমোহিনী একদা নর্মাল স্কুলের ছাত্রী ছিলেন। তাঁর চাকরি প্রাপ্তির খবর দিয়ে বামাবোধিনী জানায় যে ভালই হয়েছে উনি এই চাকরি পেয়েছেন। কারণ হিন্দু অন্তঃপুরিকারা যতই শিক্ষিত হোন, এখানে ওখানে ঘুরে ঘুরে কি করে কাজ করবেন? আবার শিক্ষা বিভাগের কর্তাদের সঙ্গেও বা যোগাযোগ রাখবেন কি করে? উল্টোদিকে ইউরোপিয়ান মহিলা দিয়ে কি আর দেশীয় মেয়েদের শিক্ষা পরিদর্শন সম্ভব? মনে রাখতে হবে পরিদর্শক তখনও ছাত্রদের শিক্ষার মানও পরীক্ষা করে দেখতেন। অবশ্য সেই সঙ্গে তাঁরা এও উপদেশ দিতে ছাড়েনি যে বিবি হুইলার যেন কৃষ্ণমোহন ব্যানার্জী বা কেশব সেন বা বিদ্যাসাগর এঁদের সঙ্গে পরামর্শক্রমে বালিকাদের শিক্ষার ব্যবস্থা করেন।

    তখনও মেয়েদের একাকী চলাফেরা খুব প্রচলিত তো নয়। এমনকি সতীত্বের ধারণার সঙ্গে মেয়েদের চলাফেরার স্বাধীনতা মাপার হিসেব আজকের দিনেও আছে, কাজেই সেদিন যে আরও বেশি থাকবে এটা আর আশ্চর্য কি! সে সব কোনকিছুই কিন্তু মনোমোহিনীকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। তিনি বেশ এই জেলা ওই জেলায় ঘুরে বেড়াতে লাগলেন। তাঁর ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল আর ত্রিপুরাতে অফিসের কাজে পাক দেওয়ার সময় কিছু একটা জনগণের বিরূপতার মুখেও তাঁকে পড়তে হয়, যদিও তার কোন বিশদ বৃত্তান্ত জোগাড় করতে পারিনি। অবশ্য কাজ উপলক্ষে দুবার বিলেত ঘুরে আসতেও তাঁর আটকায় নি। সেখান থেকে ঘুরে ঘুরে ইউরোপিয়ান উপায়ে স্কুল পরিদর্শনের বিভিন্ন উপায় শিখে এসেছিলেন তিনি।

    সেই সময়ে মেয়েদের পড়ানো দরকার এই বোধ কিছুটা তৈরি হয়েছে, বোধহয় বিয়ের বাজারে শিক্ষিত সুপ্রতিষ্ঠিত পরিবারে নাহলে মেয়েদের দাম মিলত না, অথচ ভদ্রবাড়ির মেয়েরা অনেকেই বাড়ির বাইরে আসতে পারতেন না। তাই মিশনারিরা লোকের বাড়িতে বাড়িতে মেয়েদের পড়ানোর জন্য লোক পাঠাতেন। একে বলা হত জেনানা স্কুল। হিন্দু মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যেই এই প্রথা চালু ছিল। মনোমোহিনী এই জেনানা স্কুলগুলির দায়িত্ব পেলেন। এই স্কুলগুলোর সব থেকে বড় সমস্যা হল এগুলোতে পড়ানোর কোন নির্দিষ্ট মান ছিল না। না শিক্ষকের কোন মানের স্থিরতা ছিল, না পাঠ্যপুস্তকের কোন স্থিরতা ছিল, সব কিছুই এলোমেলো অগোছালো ব্যবস্থা। আসলে জেনানা মিশনের তলে তলে আসল ইচ্ছে তো ছিল খ্রীস্টধর্মেরও প্রসার, কাজেই হয়ত সংযোগ স্থাপন যতটা গুরুত্ব পেত, শিক্ষা ততটা পেত না। আর বহুযুগের স্থিতাবস্থা কাটিয়ে সব মেয়েও নিশ্চয় সমান আগ্রহী হতেন না। সে যাই হোক,  নতুন পরিদর্শিকা অনেক প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে এখানে একটা সিস্টেমেটিক ব্যবস্থা চালু করেন। বোর্থউইক সোমপ্রকাশের সূত্র ধরে এও বলেছেন যে খুব ভাল বাংলা না জানায় নাকি ১৮৯৬ সালে মনোমোহিনী কিছু একটা বড় ভুল করেন, কিন্তু খবরটার মূল জোগাড় করতে পারিনি, তাই একটু খটকা আছে। কৃষ্ণমোহন ব্যানার্জীর মেয়ে ভাল মতন বাংলা জানতেন না, এও কি সম্ভব ?

    মনোমোহিনী সম্বন্ধে সরাসরি কিছু জানার উপায় আমি অন্তত এখনও পাইনি। তবে বিভিন্ন সূত্র ঘেঁটে যা জানতে পেরেছি সেগুলো জুড়লে মূলতঃ তিনটে ব্যাপার পাচ্ছি, ইনি খুব সম্ভবতঃ মিশনারিদের দেওয়া শিক্ষাকে বিশেষ সুবিধার বলে ভাবতেন না। বিদেশী নির্দেশিত শিক্ষায় দেশজ মূল্যবোধের ক্ষতি হয় এই গোছের কিছু বক্তব্য বোধহয় মনোমোহিনীর  ছিল।  এঁর বক্তব্য ব্যবহার করে একসময় বাঙালি নির্দেশিত জাতীয়তাবাদী শিক্ষার স্বপক্ষে সওয়াল করা হয়। আর দ্বিতীয়টা হল এই যে সেই সময়ের ভিক্টোরিয়ান নৈতিকতার আদর্শের দ্বারা এঁর মগজ ধোলাই সম্পূর্ণ হয়েছিল। যে শিক্ষিকা ছাত্রীদের পাঠ দেবেন তাঁকে নিষ্কলুষ চরিত্রের হতে হবে, তাঁর পোশাক থেকে শুরু যাবতীয় আচরণ সমাজ কড়া নজরে দেখতে থাকবে যাতে কোথাও বিচ্যুতি দেখলেই ঘাপ করে লাফিয়ে পড়তে পারে - এই যে একটা সামাজিক ধারা এখনও এদেশে কিছুটা হলেও বিদ্যমান, এই রকম আদর্শে বোধহয় এঁরও বিশ্বাস ছিল। নিজে ইউরোপীয় পোশাক পড়লেও বাঙালি মেয়েদের শাড়ি-সেমিজ, পোশাকের শালীনতা ইত্যাদি নিয়ে মনোমহিনীর খুব সম্ভবত প্রভূত বক্তব্য ছিল। আর সেই কড়া মনোভাব তাঁর কাজের আদর্শের সঙ্গে মিশে গিয়েছিল। সেই বিষয়ে এমনকি প্রকাশ্য আদালতে সাক্ষীও দিয়েছেন তিনি। আর তৃতীয় বক্তব্যটা ছিল যে ইনি মেয়েদের বাঁধাধরা পরীক্ষা দেওয়ার দিকে ঠেলে দেওয়ায় বিশ্বাসী ছিলেন না। এঁর ধারণা ছিল এতে মেয়েরা নাকি উদ্ধত হয়ে যায়, এমনকি হিস্টেরিকও হয়ে যায়। বংশে পড়াশোনার ধারা না থাকলে নাকি বড্ড মাথায় চাপ পড়ে। মোদ্দা কথা পরীক্ষা দিয়ে টিয়ে মেয়েদের বিশেষ কিছু উপকার হয় না। এই ধারণা সেই সময়ে প্রভূত শক্তিশালী ছিল। বলা যায় যে তিনি সেই শক্তিশালী ধারণারই বাহক ছিলেন। হয়ত নিজের একটাও পাস না দেওয়া জীবনের স্থিতি আসতে বিশেষ অসুবিধা হয়নি বলে এমন একটা ব্যক্তিগত ধারণা ছিল। কিন্তু তিনি বোঝেন নি, কৃষ্ণমোহন ব্যানার্জীর কন্যা হওয়ার বংশকৌলীন্য ও যোগাযোগের দৌড় তাঁকে যে সুবিধা দিয়েছিল, সেই সুবিধা কিন্তু দেশের সব মেয়ে পাবে না।

    এইসব শুনলে একটাই কথা ভেবে সান্ত্বনা পেতে হয় যে আসলে প্রতিটা মানুষই তো সময়-পরিবেশ-পরিস্থিতির ফসল। আর নতুন যুগের চোখের বিচারে সবারই সীমাবদ্ধতার পাল্লাটা অনেকটা বেশি নেমে যায়। তাই সেদিকে কম কম তাকানোই ভাল। তার থেকে বরঞ্চ ফোকাস করা যাক এঁর অবদানটুকুর দিকে। মনে রাখা যাক, ১৮৭৯ সালে কলকাতায় একটি চিত্রকলা প্রদর্শনী হলে সেখানে ভদ্রমহিলাদের আকৃষ্ট করার জন্য তাঁদের জন্য সপ্তাহে একটি নির্দিষ্ট দিনের বিশেষ সময় নির্ধারণ করা হয়। আর সেখানে মনোমোহিনী উপস্থিত থাকতেন যাতে কেউ ক্যাটালগ থেকে বুঝতে না পারলে তাঁকে তিনি বুঝিয়ে দিতে পারেন। মেয়েদের অন্দরের বাইরে আনার জন্য এই ধরণের প্রচেষ্টার দরকার ছিল বইকি আর তাতে সক্রিয় সাহায্য করে মনোমোহিনী নাহয় আমাদের শ্রদ্ধাই পান খানিকটা।

    আজকের দিনে বসে সেদিনের পরিস্থিতির কথা কল্পনা করাও হয়ত কঠিন। সত্যি বলতে নাবালক সন্তানসহ বিধবা মহিলার পরিস্থিতি সে সময়ে খোদ ইংরেজ পরিবারেও খুব সুবিধার ছিল না। কাজেই ধর্ম ও বিবাহ ও কর্ম পরিচিতি সব দিক দিয়েই প্রান্তিক একজন বঙ্গসন্তানকে কতটা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়েছিল ভাবলেও অবাক হতে হয়। তবে এঁরা ছিলেন বলেই আমরা আজ যেখানে সেখানে আসতে পেরেছি। সেই কৃতজ্ঞতাটুকু মনোমোহিনী হুইলার (nee Banerjea) কে জানিয়ে রাখি এই সুযোগে।



    ছবিঃ বিলিংটনের উইমেন ইন ইন্ডিয়া বই থেকে সংগৃহীত 

    তথ্যসূত্র ঃ
    ১) মেরিডিথ বোর্থউইক, দ্য চেঞ্জিং রোল অফ উইমেন
    ২) জ্ঞানেন্দ্র নাথ কুমার, বংশ পরিচয় একাদশ খন্ড
    ৩) মেরি ফ্রান্সেস বিলিংটন, উইমেন ইন ইন্ডিয়া
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৭০৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Joshita | 194.56.48.105 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১০:৫৪523999
  • গায়ে কাঁটা দিল পড়ে।
  • | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:২৬524012
  • তোমার এই রিসার্চগুলো যে কি অসম্ভব মূল্যবান! এখনকার সময়ে দাঁড়িয়েও প্রায় প্রতিটা মেয়ের লড়াই আলাদা হয়। আর সেখানে ঐসময়ের কথা তো কল্পনা করাই কঠিন। 
  • Sara Man | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:১০524023
  • একদম ঠিক বলেছেন দময়ন্তীদি, স্বাতীদির লেখা যতবার পড়ি, বিষয়বস্তু একেবারে চমকে দেয়। এইসব নারীদের কথা কীভাবে আমরা ভুলে গেলাম, এঁরা না থাকলে যে আমরাও আসতে পারতাম না। 
  • স্বাতী রায় | 117.194.32.245 | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:১৩524045
  • যোষিতা, দ, শারদা অনেক ধন্যবাদ। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে প্রতিক্রিয়া দিন