এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • মধ্যবিত্ত সত্যজিৎ প্রসঙ্গে ধরতাই

    Simool Sen লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ০২ মে ২০২০ | ৭০৯৪ বার পঠিত
  • সে ছিল এক রংদার কফি হাউসের দুনিয়া– এক টেবলে ভাগাভাগি করে পাশাপাশি বসে সত্যজিৎ রায়, চিদানন্দ দাশগুপ্ত, কমলকুমার মজুমদার, মৃণাল সেন, সমর সেন, ও পাশের টেবলে গর্জন করছে সদ্য-ছাপা কৃত্তিবাস গোষ্ঠীর প্রথাচ্যুত জোয়ান কবিদের দঙ্গল! এই ধরতাইটুকু, এই দীপ্ত আধুনিকতা এবং পঞ্চাশের দশকের কলকাতার প্রেক্ষাপট বুঝে না-থাকলে আজকের কবরখানা কলকাতায় দাঁড়িয়ে সত্যজিতের শতবর্ষ-সেলিব্রেশন অর্থহীন হয়ে যায়। যা থেকে থেকে মনে করিয়ে দেয়, ফাঁপা বুকনি কিংবা আড়ম্বরের মধ্যেও আমরা ঠিক কতখানি দীন হয়ে রয়েছি!

    সিনেমা দেখতে ভাল লাগে না একেবারেই, এক এক সময় অসহ্য ক্লান্তি! আমার সঙ্গে সত্যজিতের সেতুবন্ধ তাই নিহিত বছর বছর গোগ্রাসে উল্টোনো এক ডজন, আরও এক ডজন, আরও বারো-র ফিরিস্তিতে৷ কিংবা, শঙ্কু? তারিণীখুড়ো? বাদশাহী আংটি পড়ে প্রথম জানা সেই ভয়ঙ্কর ঝুমঝুমি-বাজানো সাপটার কথা, যাকে ইংরিজিতে র‌্যাটল স্নেক বলে! ওয়াজেদ আলি শা-র সুরে যব ছোড় চলে লখনউ নগরী, আর একদম এক উত্তরাধিকারে সত্যেন ঠাকুরের ‘কত কাল রবে বলো ভারত হে’? দার্জিলিঙে প্রথম গোয়েন্দাগিরিতে হাত পাকাচ্ছে ফেলুদা, কে এসে অবিকল ট্যাঁশ উচ্চারণে বলে গেল, তার নাম না-কি ‘মিস্টার ছ্যাঠাজি’! কিংবা, লাঠির ওপর গানের তালে তালে বুড়োর আঙুল নড়ছে– ফেলুদা জরিপ করল। ‘আপনি তো সুর বোঝেন মশাই। গান শিখতেন?’: ফেলুদার পরের উক্তি।

    যখন ছোট ছিলাম তো আরও এক মাইলস্টোন। ভিক্টোরীয় যুগ থেকে বিলেতে শুরু হল অবিশ্রাম বিনোদনঘূর্ণি– প্রমোদের নিত্যনতুন ফিকির! সেই ইমেজারি কি কখনও ভুলতে পারব, বাঙালি প্রথম এরোপ্লেন চালাচ্ছে, গড়পারের ছাদে বিমান থেকে উড়ে এল কয়েকটি বাটার বিজ্ঞাপনের হ্যান্ডবিল! বিশ শতকের আধুনিকতার চেহারাও বোধ হয় এমনটিই ছিল। বাঙালির আধুনিক হয়ে ওঠার ধরতাই– বাড়ির বউরা আইসক্রিম বানাচ্ছেন, ম্যাজিক বলে একটা আর্ট ফর্ম উঠে আসছে, চোঙায় মুখ ঢুকিয়ে রবীন্দ্রসংগীতের রেকর্ড বের করছেন কনক বিশ্বাস! বিচিত্র জিনিসের পসরা বুভুক্ষু খদ্দেরদের জন্য বাজারে ছয়লাপ, সে দিনই আবার আবিষ্কার করলাম, গ্রামোফোনের তুতো ভাই পিগমিফোন আর কিডসফোন, রেডিওর যমজ ছোড়দা ক্রিস্টালসেট! কী একটা যন্ত্র, তার দুটো খোপ, চোখে চেয়ে দেখলে একটা আস্ত সিনেমা-ই দেখা যায় না কি! মধ্যবিত্তের রসনা গজিয়ে উঠছে, আর পরিপাকের জন্য বিলোতফেরত আশ্চর্য সব পণ্যের সওদায় বাঙালির বাজার থইথই। বিশ শতকের কলকাতায় এ’ এক অন্যতর আধুনিকতার আখ্যান।

    এই আধুনিকতা মধ্যবিত্ত নির্মাণ করে। সেই মধ্যবিত্ত যতটা কনজিউমার, ততটাই নাগরিক– তার নিজস্ব রুচির পরিসর গড়ে ওঠে। সে হাঁ করে চেয়ে দ্যাখে ক্যালাইডোস্কোপ, মজে ম্যাজিক লণ্ঠনে। সত্যজিতের মত মিডল ক্লাস বাঙালির নাড়ি কে-ই বা বুঝতেন আর! সত্যজিৎ নিজে সারা জীবন ছোটদের জন্য সিনেমা বানিয়ে গেলেন, শঙ্কুর জান হল গিরিডি, তার থেকে বেরোনো অসম্ভব। স্টেটসম্যান, সকালে উঠে যোগ, ভাল সিগারেট ইত্যাকার নানা কেতাদুরস্ত সাহেবি চলনে প্রদোষ মিত্র থইথই– কিন্তু তার মানে তো পণ্য-প্রগলভতায় গা ভাসানো নয়! সামান্য শৌখিন স্টেটাস মেন্টেন মাত্র। বিশ্বায়নের পর বিস্ময়বোধরহিত যে বাঙালি পিগমির জেনেটিক প্রসব হল, সে জীবনের ছোট ছোট মেঘরোদ্দুর থেকে বঞ্চিত। কেন, স্বয়ং লালমোহন গাঙ্গুলি! সে’ দিন সোনার কেল্লা দেখতে গিয়ে মালুম হল, সোনার কেল্লা আসলে একটা উটের গল্প! জয়সলমীর যাওয়ার আগে ফেলুদা বার বার লালমোহনবাবুকে বলে, আপনার ভয় হচ্ছে? লালমোহনবাবু: না। ফেলুদা: আমাদের সমূহ বিপদ অপেক্ষা করছে। ভেবে দেখুন। লালমোহনবাবুর জবাবটা ছিল এই রকম– হলে হোক, আমি গড়পারের লোক, বিপদের ভয়ে পিছিয়ে আসব বুঝি! ওহ্, কুদোস সত্যজিৎ– ঠিক এইখানে মধ্যবিত্ত বাঙালির আত্মাটা। এখানেই সোনার কেল্লা সুদূর রাজস্থানের প্রেক্ষাপটে লালমোহনের গল্প হয়ে ওঠে। অথচ সেই একই সিনেমায় উট নিয়ে লালমোহনবাবুর আকুলতা মনে করুন। প্রথম রাজস্থান এসছেন, কত রকম আগ্রহ। কত কৌতূহল! ভয় পাচ্ছেন কাকে? মন্দার বোসকে? না, উটকে। আরাবল্লির দুর্ধর্ষ দুশমনকে লালমোহনবাবু (এই ‘বাবু’ উপাধি যার নির্বিকল্প লেজুড়বিশেষ) ডরান না, কিন্তু উটে আরোহণ করতে গিয়ে ল্যাজেগোবরে নাস্তানাবুদ হন! ক্লাইম্যাক্সেও লালমোহন বিশেষ ভয়টয় পান না, একটু আনস্মার্ট হয়ে পড়েন মাত্র। মধ্যবিত্তের নাড়ি বোঝায় ওখানেই সত্যজিতের জিনিয়াস।

    সত্যজিতের গল্পের চরিত্ররাও তো যাপনে সার্থক মধ্যবিত্ত। কিছুতেই ভুলতে পারব না টেরোড্যাকটিলের ডিম– যেখানে ‘অর্থ নয় কীর্তি নয় সচ্ছলতা নয়’– কেরানি জীবনের এক মাত্র সার্থকতা প্রতিবন্ধী ছেলেকে গল্প শোনানোয়। ট্রামের ঘটাংঘট, নিস্তরঙ্গ গঙ্গার ঘাট, খেই ধরিয়ে যায় সন্ধের কলকাতা৷ ঠিক যেমন, পটলবাবু, কী নিবিড় বিশ্বাসে বলে ওঠেন, ‘আঃ!’ অথচ মধ্যবিত্তর চশমাচোখে আলাস্কা ও অরোরা বোরিয়ালিস, বাঁশবাগানে বঙ্কুবিহারী দত্তেরও কি ঠিক এমন হয় নি? এঁদের প্রত্যেকের পা মাটিতে, অথচ অভিজ্ঞতা এমন, যা আন্তর্জাতিক! বিষফুল, মাংসাশী গাছ থেকে অদ্ভুত ঐতিহাসিক-অনৈতিহাসিক সব প্রত্নবস্তুর ঠিকেদার বাতিকবাবু– মধ্যবিত্ত খোপে রং বুলিয়ে গেল বিশ্বচরাচর– যেন গড়পারের ছাদে এরোপ্লেন থেকে আছড়ে পড়ছে বাটা কোম্পানির হ্যান্ডবিল! আবার যেখানে স্খলন, মধ্যবিত্ততার পরাজয়– সেখানে তো ক্রূর শাস্তিও জুটেছে, ‘মিস্টার শাসমলের শেষ রাত্রি’ তো কেয়ামত ঢঙেই এন্তেকালের ব্যাকড্রপে ছিল, না? সোনার কেল্লায় একটি ময়ূর ওঠে সেই চাবি যেখানে লেখক বুঝিয়ে দেবেন কে দুষ্টু লোক আর কে নয়– মূল্যবোধের নিক্তিতে।

    মিডল ক্লাসের টুকরো রূপকথা সত্যজিৎ রায়ের জাদুকৌটোয় রক্ষিত। সত্যজিতের গল্পের মধ্যবিত্ত চরিত্ররা নিঃসঙ্গ। আর, অনাদৃত ও নিরালা ঝাড়খণ্ড যেন সত্যজিতের গল্পের রেকারিং ট্রোপ! শঙ্কুর বসত গিরিডিতে, রতনবাবু যান সিনি। হবরখত উঠে আসে মধুপুর, রাঁচি, হুড্রু ফলস। একলা-দের জীবনে অনেক ঘটনা ঘটে যায়। তারই মধ্যে বিদ্যুচ্চমকের মত বেদনার খতিয়ান। সেই মোলাকাত মনে আছে, কমলকুমার আর সত্যজিতে? সত্যজিৎ রোজ রাতে হাঁটতে বেরোন, রোজ রাতে দ্যাখেন কমলকুমার জানলার শিক ধরে দাঁড়িয়ে আছেন। হাঁপানির রুগী। ‘বললাম, চিকিৎসে (এক্কেরে এই ঘটি উচ্চারণটাই ছিল) করান না?’ কমলবাবুর উত্তর, ‘না। সাফারিং-এর মধ্যে একটা গ্র্যাঞ্জার আছে।’

    সত্যজিৎ নিয়ে এতাবৎ লেখা অন্যতম শ্রেষ্ঠ তাত্ত্বিক লেখাটিতে শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায় দেখিয়েছিলেন, স্মরণমনে কী ভাবে বিশৃঙ্খলা ঘনিয়ে আসে, পদের অনুক্রম উল্টেপাল্টে যায়, পদ ও অর্থের সাযুজ্য ধাক্কা খায়– গড়ে ওঠে বড় ঐতিহাসিক বিপর্যয়ের দলিল। সত্যজিতের সিনেমায় চরিত্রগুলির কাঁধে ঐতিহাসিক কর্জে চাপানো বিপুল মধ্যবিত্তির বোঝা– তার এসকেপ রুটের খোঁজ চলে, যে অভিযানের শেষে সে-ও বলতে পারে রাজকুমারের মত– তলায় গেছে তার ভগ্নতরী, নতুন কূলে সে উপনীত।

    আজ সত্যজিতের একশো। আমাদের সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারের অন্যতম রেনেসাঁপুরুষেরও একশো। বোকাবাক্স আসারও আগে সত্যজিৎ জানতেন, কী ভাবে আটপৌরে গেরস্থালিতে ধরা দেয় বিশ্বচরাচরের চলনছবি! মনে পড়ে অন্য কলকাতা, মনে পড়ে, স্বয়ং সুভাষ মুখোপাধ্যায়! রাসবিহারীতে প্রিয়া সিনেমার সামনে পাঞ্জাবির পকেটে আলগোছে হাত ঢুকিয়ে দাঁড়ানো সুভাষ মুখোপাধ্যায়– ভদ্রলোক মস্কো যাওয়ার তোড়জোড় করছেন! মধ্যবিত্তকে নিয়ে তো অনেক অতিকথাও জন্মায়। বাহাত্তর নম্বর বনমালি নস্কর লেনে আত্মগোপনকারী ঘনশ্যামবাবু যে বালি থেকে বোর্নিও চষে বেড়ানো এক কিংবদন্তি ঐতিহাসিক চরিত্র, তা-ই বা কে জানত?

    দিনকয়েক আগে এক শিক্ষকের মুখে কিসসা শুনছিলাম৷ নব্বইয়ে দশকে আদিগঙ্গার তীর ঘেষে, সম্ভবত চেতলার পাড়ে, একটি সিনেমা হল৷ নামটা ভুলে গেছি। প্রদীপ? বিদেশি সিনেমার আড়ত। সে হলের পাশে দুপুর বেলা নিয়ম করে আদিগঙ্গায় বান ডাকে৷ আর ভরা কোটালের জল ফুঁসে উঠলেই তো কেলেঙ্কারি– সিনেমা হলে ঢুকে আদিগঙ্গার ঘোলা জল একেবারে থইথই– সিটে পা মুড়ে উঠে বসতে হয়! এ দিকে পর্দায় তখন চলছে কোনও দুর্দান্ত লাতিন আমেরিকান ছবি।

    হ্যাঁ– কসমোপলিটান এই কলকাত্তাইয়া আন্তর্জাতিকতারও ডাকনাম ছিল সত্যজিৎ রায়!
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০২ মে ২০২০ | ৭০৯৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • sm | 2402:3a80:a51:8d56:0:4d:8103:ea01 | ১৬ আগস্ট ২০২০ ০১:২১96317
  • আরে এলেবেলে বাবু। চটেন কেন?আপনি হলেন গিয়ে একজন পণ্ডিত ব্যক্তি। ছাই চাপা রত্ন মশায়।

    কিন্তু ওই লেখকের টাইটেল বন্দ্যোপাধ্যায় কেন,গোয়েন্দা কায়েত বক্সি বা মিত্র কেন,মহিলা চরিত্রে সংলাপ নেই কেন,ভিলেন জ্যাকেট পরে কেন,গোয়েন্দা ইংরেজি বই পড়ে কেন;এসব প্রশ্নের উত্তর না পেলে চলছে না।কেন এসব ছাইপাঁশ লেখে বলুন তো?

    মানে গোয়েন্দার টাইটেল কি হলে ভালো হতো? মহিলা চরিত্রে বিরাট সংলাপ দিলে কি সুবিধে হতো?

    বার বার  কেমন জানি  মনে হচ্ছে,মানিক বাবু বা শরদিন্দু আপনার গাইডেন্স এর অভাবে খুব ভুগেছে।শীর্ষেন্দু জীবিত আছে,একটু চেষ্টা করে দেখবেন নাকি? বেশি না,দু চারটে উপদেশ দিয়েদিন,শীর্ষেন্দু বাবু কে পাঠিয়ে দেবো খন।

  • এলেবেলে | 202.142.96.4 | ১৬ আগস্ট ২০২০ ০১:৩৩96318
  • যাঃ মশাই আপনার ওপর রাগ করতে পারি! আপনার টেনাসিটি দেখে ঈর্ষা হয় বরং!!

    রেনেসাঁসে কায়স্থরা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন? আগে বরং সেইটে জানান দিকি।

    ফেলু মিত্তির অ্যাত্তো পড়াশোনা করে (আপনার মতোই) কিন্তু বেচারি কিছুতেই জয়শলমিরের পাথরের রং সম্বন্ধে তার ওয়াকিবহাল থাকতে মনে থাকে না! বিকানির থেকে যোধপুর আসে অথচ জয়শলমির অজানা কারণে বাদ পড়ে যায়! লালমোহনবাবুর অটোতে ওইদিনই ওঠে ফেলু মিত্তির। লালমোহনবাবুই তাকে হলুদ পাথরের বাটি-গেলাসের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করায় আর তার পরে ফের ফেলু জয়শলমির নিয়ে জিকে বর্ষণ করতে থাকে! কী চমৎকার প্লট বলুন!!

    হে হে শুধু ছের্ছেন্দু কেন মহায়, আন্দোবাজারের চাহিদা মেটাতে সমরেশ-সুনীল-সমরেশ ম.-- কে না কলম ধরেছেন! বাঙালি ছেলেমেয়েরা পিটুলিগোলাই খেয়ে গেছে সেই দস্যু মোহনের আমল থেকে। আমি মশাই ছাই-ই। দুচ্ছাই করে এড়িয়ে যান বরং। ভগবান ফেলু আপনার মঙ্গল করবেন। সত্যজিতের দিব্যি।

  • S | 2001:620:20d0::20 | ১৬ আগস্ট ২০২০ ০১:৪৩96321
  • ফেলুদা পড়তে, সিনেমায় দেখতে দিব্যি লাগতো, এখনও খুবই ভালো লাগে। কিন্তু তার মানে ফেলুদার কোনও সমালোচনা হবেনা তা তো নয়। ফেলুদা, তোপসে, এবং তার মক্কেলরা সবাই বেশ আধুনিক, মানে পস্চিমী কায়্দায় কথা বলে, খায়, কাজকর্ম করে। আরেকবার সাধিলেই সাহেব হইতে পারি টাইপের লোকজন। ফেলুদার মূল চরিত্রদের এই অ্যাস্পিরেশান সহজেই দেখা যায়। মোটামুটি কোলকাতার বা প্রবাসী কমপক্ষে আপার মিডল ক্লাস বাঙালীদের এবং ক্ষেত্রবিশেষে অবাঙালীদের সমাহার এইসব গল্পে।

    কিন্তু ফেলুদার গল্পের সবথেকে সমস্যার ব্যাপার হল কোনও এক কারণে লেখক বারবার বাড়িতে আশ্রিত বিকাশদের ভিলেন বানিয়ে ফেলতেন। যার পজিশান ফেলুদা নিজেই বলছে "ঢিলে", সে যে কেন ক্রাইম করতে যাবে, সেটা এখনও বুঝতে পারিনি। এটা বোধয় বাড়িতে কিছু না পাওয়া গেলেই বাড়ির কাজের লোকটিকে সন্দেহ করার প্রবণতা থেকে এসেছে।
  • সিএস | 2405:201:8803:be5f:f447:24db:1165:481e | ১৬ আগস্ট ২০২০ ০২:১৫96326
  • -আবাপ গত কয়েক বছর ধরে ট্রাভেল-্টুরিজমের এক মেলা বসায়, অথচ রায় মশায় ফেলু মিত্তিরের সব বই জুড়ে আজ দার্জিলিং, কাল রাজস্থান, পরশু এলোরা এসব করে বেরিয়েছেন। তখন আর ট্রাভেল কোম্পানী কোথায়, শুধু কুন্ডু মশায় কিন্তু ফেলু মিত্তিরের সাথে সেসবের যোগ নেই। প্লেনে করে ঘোরে বা দুদিনে ট্রেনের টিকিটের ব্যবস্থা করে ফেলে ইত্যাদি, সুবিধাভোগী যাকে বলে। বাঙালীকে ঘোরাঘুরি করার লোভ দেখানো হয়েছে এসব বইতে।

    - পার্ক স্ট্রীট ফেলু মিত্তিরের খেতে যাওয়ার জায়গা, কিছু হলেই ব্লু ফক্স ! ফ্লুরিস কি ছিল, থাকতেই পারে। অথচ মুকুলের বাবার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য
    ছিল ? এসব করে যেটা হল যে ছেলেপুলেদের ফেলুদার বই পড়ার ফলে বাঙালীর পার্ক স্ট্রীট প্রীতি তৈরী হল।

    - আমাকে একজন বলেছিল ফেলুদার বই পড়ার আগে বাংলা বই যা সে পড়তে সেসবই বাংলা সাহিত্য কিন্তু সেসবের ভাষা যত তার কাছাকাছি ছিল তার থেকে অনেক চেনা ছিল ফেলুদার বই। এই ব্যক্তিটি যদিও প্রবাসী বাঙালী ছিল কিন্তু দেখার হল যে আবাপ রায় মশাইয়ের মাধ্যমে কলকাতাকেন্দ্রিক, শহুরে, মান্য, এলিট বাঙলার একটা বয়ান তৈরী করে অন্য বাংলাকে কীভাবে ভুলিয়ে দিল আর ভাষা ভুলিয়ে দেওয়া মানে তো ভাষার সাথে যুক্ত জীবনও ভুলিয়ে দেওয়া। ফেলুদার বই পড়িয়ে ছোট বয়্স থেকে বাঙালীর ওপর এই কম্মটিও করা হয়েছে।

    এরকম আরো বেশ কিছু ব্যাপার আছে।
  • সম্বিৎ | ১৬ আগস্ট ২০২০ ০২:৩৯96327
  • ভেবেছিলাম এই পন্ডিন্মন্য, জ্ঞানতপস্বী ও মহান এলেবেলেবাবুর বালখিল্য 'ফেলু ও বাঙালিয়ানা' সম্বন্ধে কিছু বলব না। কিন্তু বোধহয় এই লাইনটি আমার সম্বন্ধে লিখেছেন, কারণ ভাটে ওনার নর্দমা-ঘাঁটা পুচ্ছটি-উচ্চে-তুলে-নাচা নির্মোক-নৃত্য সম্বন্ধে কিছু লিখেছিলাম, " এর আগে একজন 'সৌরিন' লিখে ব্যাপক আবাজ খাওয়ার পরে চেপে গিয়েছিলেন। তো তিনিই আবার ঘোতনা নামে হাজির হলেন, নাকি ইনি কোনও নয়া অবতার - কে জানে!" তাই জানিয়ে রাখি, "ঘোঁতন" আমি নয়। ত্যানার অন্তঃসারশূন্য, ইন্টালেকচুয়াল পশ্চারিঙকে ছায়াবাজী বলতে আমাকে এখনও অন্য নিক নিতে হয়নি। তবে একথাও ঠিক অ্যানার বোধবুদ্ধির ওপর আমার অনাস্থা এমন জায়গায় ঠেকেছে, আমি নেহাত ঠ্যাকায় না পড়ল ত্যানার সঙ্গে কোনরকম কথোপকথনে যাব না স্থির করেছি। পড়েছেন অনেক, বুঝেছেন অল্প, শিখেছেন শূন্য। তবে লিখেছেন সব থেকে বেশি।

  • সিএস | 2405:201:8803:be5f:81ba:907e:b061:26e9 | ১৬ আগস্ট ২০২০ ০২:৪২96328
  • তারপর দেখুন বই কীভাবে বাস্তবকে নিয়ন্ত্রণ করে। বাঙালী সন্তানকে অন্য জীবনের প্রতি লোঙ্গ দেখানো হয়েছে, বইয়ের মাধ্যমে তথ্য যোগানো হয়েছে যাতে তার জোকে বাড়ে, পরীক্ষা, চাকরি ইত্যাদিতে সুবিধে হয় আর সোনার কেল্লা সিনেমার তপেস চরিত্রের অভিনেতা সিদ্ধার্থ চট্টোপাধ্যায় বয়্স কালে গিয়ে শেয়ার মার্কেটের বিশেষজ্ঞ হয়েছেন, জীবনে উন্নতি করেছেন, কোট প্যান্টে টিভিতে দেখেছি ! তারপর ধরুন ফেলুদা আর আমেলা পড়া প্রজন্মর অনেকেই এখানে, এই সাইটে ঘোরাঘুরি করে, তারা উচ্চশিক্ষিত, দেশে বিদেশের বড় জায়গায় পড়াশোনা বা চাকরী ইত্যাদি।

    অন্য আরো দিক আছে। যেমন সত্যজিতের সিনেমায়, লেখায়, কোন মুসলমান চরিত্র নেই বা নীচু জাতের (ঐ এক সদগতি বাদে), তার সহকারীদের মধ্যেও কেউ নেই অথবা ওনাকে নিয়ে যত স্মৃতিচারণা সেখানেও কেউ নেই। একজন বাংলাদেশের অভিনেত্রীকে সিনেমায় নিয়েছিলেন কিন্তু তাকে দিয়েও হিন্দু চরিত্রের রোল করিয়েছেন। পথের পাঁচালীও আবার হিন্দু ব্রাক্ষ্মণ, যদিও গরীব, তার পরিবারের গল্প।
  • সিএস | 2405:201:8803:be5f:81ba:907e:b061:26e9 | ১৬ আগস্ট ২০২০ ০২:৪৭96329
  • লোঙ্গ নয় কদাপি, ওটা লোভ !

    আর জোকে নয় বা জোক নয়, ওটা জিকে।
  • Atoz | 151.141.85.8 | ১৬ আগস্ট ২০২০ ০৩:০৩96330
  • একটি যাকে বলে সব মিলে চমৎকার "প্যাকেজ", সেটাই প্রোমোট করেছিল আবাপকেন্দ্রিক কিশোর-সাহিত্য। যে জীবনটা তখন ছিল ফিকশনাল অথচ আকাঙ্খিত। সেটাই অনেকে বাস্তবে অ্যাচিভ করে ফেলেছেন। সম্ভবতঃ সেইজন্যেই লুপহোলগুলো এখন চোখে পড়ছে।
    লক্ষ্য করে দেখবেন, পুরনোযুগের কিশোর সাহিত্যে যে বুলিং, অভিভাবকদের দ্বারা ছোটোদের উপরে মারধোর, শিক্ষকদের দ্বারা ছোটোদের উপরে শাসন (মারধোর করে), সেইসব জিনিস ডিসকারেজ করা হয়েছে সমস্ত প্রোমোট করা এই সময়ের কিশোর সাহিত্যে। টেনিদার গল্পগুলোর সিরিজের সঙ্গে তুলনা করুন ফেলুদা বা সন্তু-কাকাবাবু সিরিজের। টেনিদায় মারধোর, বুলিং, গাঁট্টা মেরে কেড়ে খেয়ে নেওয়া ---এইসব উপস্থিত। স-কা বা ফেলুদায় এইসব জিনিস প্রচন্ডভাবে নিন্দিত।
    এই ফেলুদা বা সন্তুকাকাবাবু সময়ের প্রজন্মের মধ্যে তাই এই মূল্যবোধটা গড়ে উঠেছে যে স্কুলে মারধোর নিন্দনীয়, বুলিং সমালোচনাযোগ্য। যেকোনো রকম শারীরিক শাস্তি , শাসনের নামে, নিন্দনীয়।
  • সিএস | 2405:201:8803:be5f:780f:852d:7303:cc5b | ১৬ আগস্ট ২০২০ ০৩:১২96331
  • রায় মশায় বাঙালীর মান বাঁচিয়েছেন ঐ 'হরি দিন তো গেল' গানটা ব্যবহার করে, লালনের গান না হোক, লালনশিষ্যর গান তো বটে।

    টেনিদাতে ছেলেগুলো তেলেভাজা আর কী কী সব খেত, সন্তু বা তপেস সেসব খায় না, কী খাওয়া উচিত বা অনুচিত, কোনটা ভালো খাবার ইত্যাদি সেসবও সন্তু-তপেশ ইত্যাদিদের শেখানো হয়েছে, তার মাধ্যমে যারা পড়ছে তাদেরও।

    পাগলা দাশুতে মারামারি, বুলিং ইত্যাদি ছিল কিনা দেখতে হবে।
  • Atoz | 151.141.85.8 | ১৬ আগস্ট ২০২০ ০৩:২২96332
  • পাগলা দাশুতে ওই যে সেই "ডানপটকান দে"? ঃ-)
  • Atoz | 151.141.85.8 | ১৬ আগস্ট ২০২০ ০৩:২৭96333
  • ফেলুদা তো ডালমুট খেত! সন্তুও নানারকম খাবার খেত! কাকাবাবুর সেই ওড়িশার ভাঙামতন রাজবাড়ীতে গিয়ে কিছুদিন থাকা আর ওখানকর্মচারীদের দিয়ে সকালে ডিম, দুপুরে মাছ আর রাত্রে মাংস ব্যবস্থা করা---মনে আছে? ফেলুদা তো সিগারেট পর্যন্ত টানত!
    (খাওয়ার আর ধূমপানের ব্যাপারটা মনে হয় নীরেনবাবু ততটা রেস্ট্রিক্ট করেন নি। ঃ-) )
  • এলেবেলে | 202.142.71.36 | ১৬ আগস্ট ২০২০ ০৩:৩১96334
  • সম্বিৎ, ভাটে সম্পূর্ণ অনাবশ্যকভাবে 'নর্দমা-ঘাঁটা পুচ্ছটি-উচ্চে-তুলে-নাচা নির্মোক-নৃত্য' আপনিই শুরু করেছিলেন। আমার লেখাটি কী হতে চলেছে তার অব্যর্থ ভবিষ্যদ্বাণী করে। এখন সেটি আমার ঘাড়ে চাপিয়ে দিলে তো চলে না।

    আপনি এজিজম দেখাবেন, এলিটিজম দেখাবেন আর আমি পাল্টা বললেই দোষ।?

    এখানে কে কোন নিকে লেখেন, কে কখন নিক বদলে নেন, কিংবা বদলে নিয়ে সাফাই গান - সে সব নিয়ে মাথাব্যথা নেই। কাজেই ওই ব্যক্তিটি আপনিই সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলিনি। 

    যাই হোক, আপনার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই এবং আপনার দেওয়া সাট্টিফিকে টয়লেট পেপার ভাবি। আপনি এমন কিছু কেউকেটা নন যে প্রতিটা বিষয়ে শেষ কথা বলার অধিকারী। র‍্যাদার এই পণ্ডিতম্মন্য ভাবটাই চরম হাস্যকর। তাতে কে আমার সঙ্গে এনগেজ হল বা হল না তাতে আমার স্রেফ ছেঁড়া যায়।

  • :|: | 174.255.132.11 | ১৬ আগস্ট ২০২০ ০৬:৩৪96338
  • ই-টয়লেট পেপার? নাকি টয়লেট ই-পেপার? ভার্চুয়াল পেপারের বেলা কী বলা হবে এবিষয়ে কবি কি কিছু কয়েছেন?

    আর ইটি কি ফেলুদার নির্মোহ ব টই?

    নরেন দত্তকে আলোচনার সময়ও এলেবেলেবাবু কায়েত ইত্যাদি নিয়ে কিছু বক্তব্য রেখেছিলেন। সেই নিয়ে আবার ব-বাবু চক্রবর্তী কমপ্লেক্স আনায় ব্যাপার গুরুতর হয়। যাই হোক ওনার সেসময়ের অ্যাঙ্গেল এখন যা বললেন তার সঙ্গে কতটা মেলে বলা মুশ্কিল। কারণ গেছোদাদার মতো হিসেব করে বলতে হবে এই মনে কর বক্তব্য, এই মনে কর বক্তা এই মনে কর বক্তা এই কথাটি বললেন, এই করতে করতে ...
    যাগ্গে, বামুন কায়েত নিয়ে সুখে থাকুন।
  • Atoz | 151.141.85.8 | ১৬ আগস্ট ২০২০ ০৯:১৮96347
  • সিনেমা হলের মধ্যে জোয়ারের জল ঢুকে পড়া, লোকে নির্বিকারে সিটের উপরে পা তুলে সিনেমা দেখে যাচ্ছে, নিচে জল থৈ থৈ --- আরে এইটাই তো একটা ম্যাজিক রিয়ালিজম না কী বলে, সেই। দুনিয়ায় এত হাজারে হাজারে সিনেমা হল, আর কোথায় এমন হয়েছে?
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে প্রতিক্রিয়া দিন