এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • রেডিও ও ডেটা ফেটিশ: কুড়ি বছরের পার একটি প্রস্তাব

    Simool Sen লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ০৩ এপ্রিল ২০২০ | ২০০০ বার পঠিত
  • রেডিও ও ডেটা ফেটিশ: কুড়ি বছরের পার একটি প্রস্তাব


    কয়েক জন পরিচিত, এই করোনাটরোনা হুলুস্থূলের মধ্যে, দেখলাম, একটি চমৎকার উদ্যোগ নিয়েছেন। ইন্টারনেটে একটা রেডিও সম্প্রচার কেন্দ্র বানিয়ে ফেলেছেন তাঁরা। উদ্দেশ্যটা মন্দ না: ঘরে বসে থেকেই শ্রুতিমাধ্যমে ভাবনা বা আবেগের লেনদেন, কবিতাপাঠ কিংবা যাচ্ছেতাই মনোলগ৷ জমা করে দিতে হবে হোয়াটস্যাপের ডাকবাক্সে, সেখান থেকেই আপনার বলা শব্দ বেতারফেরতা হয়ে এ হাত ও হাত ঘুরবে ইতস্তত। বেশ লাগল শুনে। মূল ওয়েবসাইটের বিবরণ পড়লাম। দেখলাম, আজকের দুনিয়ায় একটা অনলাইন রেডিও স্টেশন খুলে ফেলা নেহাত জটিল কিছু না, সামান্য সময় থাকলেই কাফি, তার পর তা নথিভুক্ত করিয়ে নিতে হবে প্রযোজকের দফতরে৷ আইডিয়াটা শুনেই মনে হচ্ছিল, আচ্ছা, এঁরা তো চাইলে একটা ইউটিউব চ্যানেলই খুলে ফেলতে পারতেন৷ সেটা করা সহজসাধ্য তো বটেই, আর আমাদের প্রযুক্তিসান্নিধ্যের বেশ কাছাকাছিও, অন্তত রেডিও স্টেশন খোলার দূরতর কষ্টকল্পনার চেয়ে– যদি না একান্তই কোনও বিপণনী মাস্টারস্ট্রোক নিহিত থাকে। হয়তো নেই, হয়তো আছে-ও– কিন্তু সেটা খুব জরুরি নয়।


    কথাটা হল, অনলাইন বেতার সম্প্রচার, মানে যাকে পডকাস্ট বলা হয়, তা মোটামুটি অ্যাদ্দিন ছিলই৷ কিন্তু, সাদা চোখে, তার প্রয়োগ এখন খোলতাই। সে দিন দেখলাম লন্ডনস্থিত পরিচিত বাঙালি অর্থনীতিবিদও পডকাস্টের মাধ্যমে তাঁর মত রাখবেন বিবিসিতে৷ লোকজন মোটামুটি হামলে পড়ে শুনছেও, যা জানলাম। রেডিও-আবির্ভাবের কি কোনও ব্যবহারিক সুবিধে রয়েছে? ভাবতে বসে মনে হল, একটা তো রয়েইছে– যে, আপনি যখন গৃহবন্দি, একটি মাত্র কণ্ঠধারকের মধ্যস্থতায় দিব্যি বার্তা বিনিময় হওয়া সম্ভব। সকলের কাছে হয়তো অনলাইন স্ট্রিমিং পরিষেবা থাকবেও না, আর স্কাইপ-গোছের প্রযুক্তি মানেই অর্ধেক কথা কাটবে, দৃশ্য ঝিরিঝিরি হবে, এই আর কী।

    কিন্তু আমি কথাটা ঠিক এই অর্থে বলতে চাই নি। মানে, প্রযুক্তিগত ফয়সালা তো থাকবেই, মস্তিষ্কের নিখুঁত বোঝাপড়ার মারফত প্রযুক্তি উন্নততর হতে থাকবে ক্রমশ, তার একটা দলিল সভ্যতা জুড়েই পাওয়া যায়। কিন্তু, এই যে বিপর্যয়-মুহূর্তে পডকাস্টিং-এ ফেরত আসা, এটাকে কী ভাবে ব্যাখ্যা করা চলে?


    শঙ্খ ঘোষ কবে একটা কবিতায় মিডিয়ার বিপুল প্রতাপকে বঙ্কিম কটাক্ষে লিখেছিলেন, 'ধ্বনি আর রঙে মিলে নিরঞ্জন শ্বাস/ কিছু উড়ে চলে যায়, কিছু পড়ে থাকে/ নিজেকে কি জানো তুমি? কতটুকু জানো?/ তুমি তা-ই মিডিয়া যা বানায় তোমাকে।' থেকে থেকেই মনে হয়, প্যান্ডেমিক তো আগেও দেখেছে এই মরদুনিয়া। যা হয় নি কদাচ, তা মিডিয়া (শব্দটার বাংলা প্রতিশব্দ নামানো অর্থহীন)-র এই অবিনশ্বর হম্বিতম্বি। এই প্রথম সভ্যতায় একটি ব্যাধি এল, যার সম্প্রচার আপনার বৈঠকখানা পর্যন্ত সেঁধিয়ে চলেছে এবং তা অবিশ্রাম ও একনাগাড়। চামচে করে এলোমেলো নিরাশ্রয় তথ্যজঞ্জাল পুঞ্জীভূত হচ্ছে, চালান হচ্ছে বিবশ-হয়ে-আসা স্নায়ুকোষে। প্রতিটি মৃত্যু যেন ভার্চুয়ালের সাংখ্য উৎসব, যার আবেগ, সাড় বা চেতনা সকলই মলিন হয়ে আসে, জেগে থাকে কিছু নিষ্প্রাণ তথ্যসমষ্টি। কী সেই জ্ঞান, বোধি ও প্রজ্ঞা যা আমরা ক্রমাগত হারিয়ে চলেছি এই তথ্যপুঞ্জে, এমন প্রশ্ন যদি করা হত ইলেয়টের তরফে আজ, উত্তর আসত: সংবেদন। একটি মৃত্যু ট্র্যাজেডি আর অগুনতি মৃত্যু পরিসংখ্যান: গুলাগগুরু স্তালিনের এই উক্তি মনে রেখেও বলাই চলে, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অক্লান্ত তথ্য ও সংখ্যাপ্রবাহ দেখে সুকুমারের খুড়োর কলের ছবিটা মনে আসা স্বাভাবিক। চতুর্ষ্পার্শে ঘিরে ধরেছে মিডিয়ার অক্ষৌহিণী সেনা, নিষ্কৃতির সুযোগ সামান্য। ছন্দে ও তালে সে আমার হরমোন সাঁতলায়, গ্রন্থির অভ্যন্তরে জেগে ওঠে স্বার্থজড়িত দুশ্চিন্তা, আতঙ্ক, উন্মাদনা।

    ভয় হয়, এই উন্মাদনা রাত পোহালে অন্যতর কোনও আবেগে পরিণত হবে কি? আতঙ্ক হবে জিঘাংসা? মৃত্যুভয় হবে হননেচ্ছা? সে' সম্ভাবনা ঘনিয়ে উঠলেও, এই মুহূর্তে অসুখ সত্যি, ব্যাধি সত্যি, মৃত্যু সত্যি। মিডিয়া যেন সেই প্রাজ্ঞ ডিকেন্সীয় উলবুনিয়ে বুড়ি, যে ছিপ ফেলে নিস্পৃহ গুনে চলেছে নিহতের সংখ্যা, আর বিপ্লবধাত্রী প্যারিসের মাটিতে গিলোটিনে লাশ পড়ছে ধড়াদ্ধড়। আমার ড্রয়িংরুমে ম-ম ভিজুয়াল উন্মাদনা, অ্যাঙ্করের তীক্ষ্ণ অনুনাদী আর্তকণ্ঠ, রিপোর্টারের সঠিক তথ্যসমৃদ্ধ ধ্বনিগন্ধ– যা মুহূর্তের জন্যও শিথিল বিস্মৃতিতে যেতে দেবে না ভাইরাসের সর্বখেকো দানোকে। আর দৃশ্যমাধ্যমের এই প্যাশন আকুলিবিকুলি, মগজে তো সত্যি ভাইরাস ঢুকছে। মিডিয়াপ্রপঞ্চ রিয়েলিটির আস্তরণ ভেদ করে পেশ করছে হাইপার রিয়েলিটির চক্রব্যূহ– সত্যি'র সত্যি, রবীন্দ্রনাথের আরও-সত্যি, যাকে তত্ত্ব ডাকে সিমুলাক্রা বলে, আর আমি বাধ্যত নিষ্ক্রিয় মিডিয়াখদ্দের, একধারসে গিলে চলেছি আতঙ্ক উদ্বেগ উৎকণ্ঠা: জড় তথ্য হিসেবে৷ প্রতি মুহূর্তে বাজার আমার সোফাসেটে এসে বসছে, বলছে, এই দুনিয়াদারি তো চেয়েছিলি? হাসছে। আমি না পারছি পালাতে, না পারছি ছটফট করতে, কেন-না আমি খদ্দের। নিষ্ক্রিয়, জড় উপভোক্তা বিশেষ। পলায়নের রাস্তা আমায় এই বিপণনঘূর্ণি দেয় নি। কেন না, সব পথ এসে এই চপল গোলকধাঁধাতেই মেশে, হাজির হই ওই অনিবার্য আমড়াতলার মোড়ে। আমার গণতান্ত্রিক বোধের বল্কল খসে গেছে, মাইগ্র্যান্ট লেবারের পায়ের ফোসকা আর শিশুর খিদে আর এতগুলো মৃত্যু আমায় উত্তেজিত করে না তেমন, লকডাউনের পর বাজার লুঠ হবে না বিপ্লব হবে, আমি ভেবে উঠতে পারি না। আমি জানি, পণ্যরতির যুক্তিতে আমি প্রিভিলেজড, পাবলিক হেলথ আর বাজেটের টাকা নিয়ে আমার না-ভাবলেও চলে, স্কিন ডিসিজ হলে অ্যাপোলো বা পিয়ারলেস আমার হবু এনআরআই-স্বপ্নে সলতে জ্বালিয়ে রেখেছে– শুধু মাঝেমধ্যে দুচ্ছাই কী সব অন্তর্ঘাত ঘটে যায়, বাজারও নিঃসহায় হয়ে যায়... ওই তো কণ্ঠ শুনি... 'নয়াবাদের আক্রান্ত প্রৌঢ়, শেষ পাওয়া খবরে...'


    যাঁরা প্রথম অনুচ্ছেদ পড়ে ভাবছিলেন, পডকাস্টিংকে এমন ধ্রুব ঘটমান বর্তমান করা-টা আনতাবড়ি সামান্যীকরণ হয়ে যাচ্ছে না, তাঁরা ভাবুন: রেডিওর পুনর্জাগরণ একটি বিনীত, কিন্তু জরুরি প্রকল্প। ধ্বনি থাক, তা হোক সংযত মৃদু ও যথাসম্ভব তথ্যবিহীন তথা আবেগসঞ্জাত। পাশাপাশি, টেলিভিশন কিংবা ইমেজ-তাড়িত সোশ্যাল সাইটে দৃশ্যের যে তুমুল উৎপাত সংবেদনকে লাগাতার প্রহৃত করে চলে, তার থেকে নগরমনের তো শুশ্রূষারও প্রয়োজন হয়, না কি? রেডিওর ওই মনকেমন দূরত্ব আজ বড় প্রার্থিত– বিপর্যয়-মুহূর্তে তথ্যরতির এই ভয়ানক সমাচারকে কিয়ৎকাল স্থগিত রাখতে। ডেটা ফেটিশ, এমন তো ভাবাই যায় শব্দটা, না কি?
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০৩ এপ্রিল ২০২০ | ২০০০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • একলহমা | ০৩ এপ্রিল ২০২০ ১২:২০91990
  • নিজস্ব পডকাস্ট চালু করব বলে, যে সামান্য আয়োজন লাগে গত বছরের মাঝামাঝি তা জোগাড় করে টেবিলের গায়ে লাগিয়ে তারপর ল্যাদ খেয়ে বসে গেছি। প্রাথমিক উৎসাহটা ঝিমিয়ে এলে ভেবে পেলাম না - বলবটা কি? শোনানোর আছেটা কি - আমার সধ্যের মধ্যে? এই আর কি! :)

    লেখা ভাল লেগেছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন