এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • জীবন তরঙ্গ  পর্ব ৩৪ 

    Sukdeb Chatterjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৭ মে ২০২৪ | ৬৮ বার পঠিত
  • জীবন তরঙ্গ  পর্ব ৩৪

    বুড়োদার চায়ের দোকানে দুজন মাঝবয়সী লোক মাঝে মাঝে এসে বসত। একজন কানু দা আর  অন্যজন হলেন হরিদা। কিছু কিছু লোককে অনেক সময় পরিচিতজনেরা সন্তর্পণে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন। সব সময় না হলেও বিশেষ কিছু সময়ে তো বটেই। এঁরা হলেন সেই ক্যাটাগরির লোক। কানুদাকে ভাল মানুষ আখ্যা দেওয়া না গেলেও হরিদা কিন্তু নিপাট ভাল মানুষ ছিল। তবু কেন জানিনা পরিচিত জনের কাছে এরা দুজনেই ছিলেন অপয়া।  কাকতালীয় ভাবে হয়ত কোন সময় কোথাও এদের আসার পর কোন অঘটন ঘটেছে। একবার অপয়া ছাপ পড়ে গেলে সকলেই একটু সমঝে চলে।

    এক বৃদ্ধার এখন তখন অবস্থা। ডাক্তার মাসখানেক আগেই জবাব দিয়ে গেছে। প্রস্থান বিন্দুতে দাঁড়িয়ে কেটে যাচ্ছে একটার পর একটা দিন। খবর পেয়ে কানুদা মাসিকে একবার দেখতে  এসেছে।  ঘরে ঢুকে সামনে গিয়ে দাঁড়াতেই প্রায় কোমায় থাকা বৃদ্ধা অস্ফুট স্বরে একবার ‘কানু” বলে ডেকেই নেতিয়ে পড়লেন। বৃদ্ধা যন্ত্রণা থেকে চিরতরে মুক্তি পেলেন, বাড়ির লোকেরাও হাঁফ ছেড়ে বাঁচল। যা হল তা ভালই হল। কিন্তু খবরটা কানে কানে চারিদিকে ছড়িয়ে যেতে, রুগী আছে এমন বাড়িতে কানুদার ‘নোএন্ট্রি’ হয়ে গেল। অবশ্য এর  পরেও তাঁর উপস্থিতিতে ঘটেছে নানান বিচিত্র ঘটনা।

    কমল সোদপুরে থাকলেও ছুটি ছাটার দিনে নয়নদের আড্ডায় আসে। কমল আর জগাই ট্রামে   চেপে  অফিস যাচ্ছে। দুজনেরই অফিস বিবাদী  বাগে। ট্রাম যখন বৌবাজার পার হচ্ছে ওরা  দেখল যে  কানুদাও ওই একই ট্রামে একটু তফাতে দাঁড়িয়ে রয়েছে। কমলের একটু খেঞ্জুরে আলাপ করার স্বভাব আছে।  জগাই বার বার  নিষেধ করা সত্ত্বেও  কমল হাঁক দিল—কানুদা  কেমন আছেন? 
    -- আরে কমল যে, কতদিন পর দেখা।

    আর কথা এগোয়নি। কলেজ স্ট্রিট ক্রসিংটা পার হয়েই নিজের লাইন হেলায় ত্যাগ করে ট্রামের ফার্স্ট ক্লাস ততক্ষণে ফুটপাথে উঠে গেছে। অগত্যা নিষেধ অমান্য করার জন্য বন্ধুর গালমন্দ শুনতে শুনতে বাকি পথটা কমলকে হেঁটেই অফিস  যেতে হল।

    ঘটনার ধারাবাহিকতা দীর্ঘদিন বজায় থাকায়  এ ব্যাপারে কানুদার কৌলীন্য ছিল সর্বজন স্বীকৃত।

     

    হরিদারও এ ব্যাপারে বেশ নাম ছিল। মানুষ হিসেবে কানুদার থেকে ঢের ভাল তবু ছোট, বড়, মাঝারি, নানা ঘটনার পরম্পরায় তাঁকেও অনেকে একটু অন্য চোখে দেখত।   

    মানুষটা খেলা ভালবাসত। রহড়া সংঘের ফুটবল বা ক্রিকেট যে খেলাই থাক না  কেন খুব কাজ না থাকলে মাঠে চলে যেতেন। কয়েক বার এমন হয়েছে যে উনি মাঠে ঢোকা মাত্র রহড়া  সংঘ গোল খেল বা ক্রিকেট হলে উইকেট পড়ল। অত দর্শকের মধ্যে কে কখন আসছে যাচ্ছে নজরে পড়ার কথাই নয়। হরিদার দুর্ভাগ্য, তা কারো কারো নজরে পড়ে গেছে। উনি খেলা  দেখলে  যে রহড়া সংঘ কখনো জিতত না এমনটা নয়, তবু উনি মাঠে ঢুকলেই একটা আতঙ্ক  ছড়িয়ে পড়ত। বাজারে একবার নাম ফাটলে তা কোন বিশেষ ক্ষেত্রে আবদ্ধ থাকে না, অচিরেই সর্বব্যাপী হয়ে যায়। ফলে পরে কেবল  আর খেলার মাঠ নয়, যে কোন দরকারি কাজে  যাওয়ার সময় হরিদা সামনে পড়ে গেলে অনেকেরই কপালে ভাঁজ পড়ে যেত। 

    মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিন। মুনি বাবার সাথে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিল। গাড়ি আসছে কিনা দেখতে গিয়ে মুনির বাবা দেখে হরিদা আসছে, আর ওদের দিকেই। হয়ে গেল।  লোকটা আর সময় পেল না, একেবারে প্রথম দিনেই। মেজাজটা খিঁচরে গেল। কাছে এসে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছে শুনে  মেয়ের মাথায় হাত দিয়ে অনেক শুভেচ্ছা জানিয়ে গেল। মেয়ে অবশ্য হরিদার  নাম যশের ব্যাপারে কিছু জানত না, তা না হলে বিপদ বাড়ত। অনেক দুশ্চিন্তা নিয়ে ভদ্রলোক মেয়েকে পরীক্ষার সেন্টারে দিয়ে এলেন। বিকেলে মেয়েকে স্কুল থেকে হাসিমুখে বেরোতে দেখে পিতৃদেব নিশ্চিন্ত হলেন। অন্তত একজনের মন থেকে দূর হল এক নিরীহ ভাল মানুষ সম্পর্কে গড়ে ওঠা কিছু বিচিত্র ধারণা। মজার ব্যাপার, পরীক্ষার পরের ক’দিন মুনির বাবা রওনা হবার  আগে মনে মনে একবার হরিদাকে দেখতে চাইতেন।

    পাড়ায় কেউ মারা গেলে আর কেউ যাক বা না যাক কচিদার মত  হরিদাকে পাওয়া যাবেই। শুধু যাওয়াই নয়, যাওয়া থেকে ফেরা পর্যন্ত সব কাজ সামলে দিতেন। তখন কাঠের চুল্লী,  শবদাহের কাজও নিজের হাতেই করতেন  আর এই ব্যাপারে শ্মশান কর্মীরাও  ওঁকে গুরু মানত। অন্য সময় লোকে পাশ কাটালেও এই সময় অবশ্য হরিদার মত মানুষ হয় না। নয়নদের গ্রুপটা কানুদাকে একেবারেই পছন্দ করত না।  কিন্তু একটু মজা মস্করা করলেও হরিদা ওদের কাছের মানুষ ছিলেন।

    এম এ পরীক্ষা থাকার জন্য ভালমত প্রিপারেশন নেওয়া হয়নি। তাই প্রিলিমিনারি পরীক্ষা পার করার পর মেন পরীক্ষাও যে একবারে উৎরে যাবে এটা নয়ন ভাবতে পারেনি। বাকি কেবল পার্সোনালিটি টেস্ট। চৌধুরী পাড়ায় একজন সদ্য চাকরিতে ঢোকা আই এ এস অফিসার ছিলেন। নয়নের খুব পরিচিত। উনি নয়নকে আগ্রহ নিয়ে গাইড করলেন, এ ছাড়া  বইপত্র তো ছিলই। মেন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার পর নয়নের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। ঐ আই এ এস ভদ্রলোক তাতে আর একটু মাত্রা যোগ করে দিলেন।

    ইন্টারভিউ বোর্ডে চারজন ছিলেন। প্রায় আধ ঘন্টা ধরে গল্পের স্টাইলে ইন্টারভিউ হল। প্রথমেই ওর নিজের বিষয় ইতিহাসের ওপর কিছু প্রশ্ন হল।  দেশে ও বিদেশে ঘটা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার কথা জিজ্ঞাসা করা হল, জানতে চাওয়া হল ওর দৃষ্টিভঙ্গি ও বিশ্লেষণ। কিছু ব্যক্তিগত প্রশ্নও ছিল। সবকটা প্রশ্নই নয়ন ঠিকমত ব্যাটে বলে করেছিল, অন্তত ও নিজে সন্তুষ্ট ছিল।  ফুরফুরে মেজাজে বাড়ি ফিরল। বিকেলবেলা দীর্ঘ বিরতির পর আড্ডায় যোগ দিল। শোভন খুব উৎসাহের সঙ্গে জানাল—জানিস তো, রজতরা অফিসে বাঁশ খেয়েছে।

    নয়ন বলল- বন্ধু বাঁশ খেয়েছে, আর তুই সেটা মজা করে বলছিস!

    --রজত একা নয়, পুরো অফিস খেয়েছে।

    রজত পাশেই বসেছিল। নয়ন জিজ্ঞেস করল—কি হয়েছে রে?  

    রজত মজা করে বলতে শুরু করল-- অফিসে খুব দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া চলছে। যাতায়াতের স্বাধীনতা পুরোটাই হরণ করা হয়েছে। একেবারে পুরো দশটা পাঁচটা অফিসে থাকতে হচ্ছে। একটু এদিক ওদিক হলেই বিপদ।

    নয়ন একটু আশ্চর্য হয়ে বলল—তোর অফিসে এমনটাতো হওয়ার কথা নয়।

    জানা গেল  নন্দন কাননে এ হেন বিপর্যয়ের কারণ এক গামছাওয়ালা। মাসের প্রথমে ভরা অফিস টাইমে একদিন লোকটি এল গামছা বিক্রি করতে। সেইবারই প্রথম নয়, আগেও অনেকবার  এসেছে। মানুষজন, পরিবেশ, পরিস্থিতি, সব তার চেনা। সামনের বড় বাড়ির  একতলার একটা বড় হলঘরের কোনার দিকে একটা টেবিলে গামছাগুলো সাজিয়ে রেখেছে।  দেখেশুনে দরদাম করে  কর্মচারীরা কিনছে, তাই ওখানটায় একটু জটলা মত হয়ে আছে। হঠাৎ কয়েকটা লোক ওই ঘরে ঢুকল। অপরিচিত  মুখ দেখতে পেয়ে বেচা কেনা একটু  থমকে গেল। কিন্তু সেই লোকগুলো সকলকে আশ্বস্ত  করে নিজেরাও গামছা দেখতে শুরু করায়, আবার ফিরে এল  স্বাভাবিক পরিবেশ। এরপর একজন চিত্রগ্রাহক ঘরে ঢুকে কয়েকটি ছবি  তোলার পর লোকগুলো চলে গেল। আসলে তারা এসেছিল রেল মন্ত্রক থেকে অফিস পরিদর্শনে। ছবিগুলো উর্ধতন  কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছোতেই নেমে এসেছে এই আঘাত। তবে অফিসের সিনিয়রেরা নিশ্চিত যে, এই অশান্তি সাময়িক। অচিরেই এই দুর্যোগ কেটে গিয়ে ফিরে আসবে অফিসের স্বাভাবিক ছন্দ।

    বেশ কিছুদিন পর নয়ন প্রাণখুলে আড্ডা মারল।

    প্রায় মাস খানেক পর নয়নদের বাড়িতে একটা রেজিস্ট্রি চিঠি এল। ব্রাউন রঙের বড় একটা খাম। বাড়িতে তখন আহেলি একাই ছিল। খামের ওপর পাবলিক সার্ভিস কমিশন দেখেই আহেলি আনন্দে লাফিয়ে উঠল। সন্তর্পণে খামটা খুলল। ওয়েস্ট বেঙ্গল ফুড অ্যান্ড সাপ্লায়েস বিভাগে জুনিয়ার অফিসারের নিয়োগপত্র। আনন্দের সাথে আহেলির ছেলের জন্য একটু গর্বও হল। ছেলে এখন গেজেটেড অফিসার। নয়নের বাবাকে অফিসে ফোন করে আনন্দের খবরটা জানিয়ে দিল। নয়ন কোন একটা কাজে কোলকাতায় গিয়েছিল। বিকেলে বাড়ি ফিরে খবরটা জানার পর আনন্দে মাকে তুলে কয়েক  পাক ঘুরে নিল।

    রাতে এক বাক্স মিষ্টি নিয়ে গিয়ে হিতাকাঙ্ক্ষী আই এ এস দাদাকে ধন্যবাদ জানিয়ে এল। আড্ডায় খবরটা পৌঁছতেই হৈ হৈ পড়ে গেল। বুড়োদার দোকানে গিয়ে বড়দের প্রণাম করল। ওখানে শিবুদাও তখন গল্প করছিলেন। শৈশবের হেড মাস্টার শিবুদা ছাত্রের এ হেন সাফল্যে কয়েকশ টাকার মিষ্টি আনিয়ে সকলের মধ্যে বিতরণ করলেন। চাকরির খাওয়াটা  কবজি ডুবিয়ে বড় করে নয়নদের বাড়ির ছাদে হয়েছিল।   

    চলবে
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন