এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • রাগ দরবারীঃ  ১৪শ পর্ব 

    Ranjan Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ০৫ জুন ২০২১ | ২০৭২ বার পঠিত
  • দুজনে তাড়াতাড়ি কাপড় পরে বাইরে বেরোল। কাপড় পরার মানে এ নয় যে বদ্রী চুড়িদার পাজামা ও শেরওয়ানি পরেছে। ঢিলে লুঙিটা কষে বেঁধে খালি গায়ে একটা চাদর জড়িয়ে নিয়েছে, ব্যস্‌। রঙ্গনাথের এখনও ওর মত পরমহংস অবস্থা প্রাপ্ত হয়নি, তাই গায়ে একটা পাঞ্জাবি চড়িয়ে নিল।দরজা অব্দি যেতে যেতে ওদের চাল এবং হৃৎস্পন্দন দুইই বেড়ে গেল। এতক্ষণে চারদিকে শোনা যাচ্ছে - চোর! চোর! চোর!

    হল্লাগুল্লা চীৎকার এমন পর্যায়ে উঠলো যে এটা ১৯২১ সালে ইংরেজ শুনলে নির্ঘাৎ ভারতে ছেড়ে পালিয়ে যেত।

    দুজনে সিঁড়ি ধরে নীচে নেমে এলো।বৈঠকখানা পার হয়ে বাইরে বেরোনোর সময় বদ্রী পালোয়ান রঙ্গনাথকে বলল, ‘তুমি ভেতর থেকে দোর বন্ধ করে ঘরেই থাক, আমি বাইরেটা দেখে আসি গে’। এরমধ্যে রূপ্পনবাবু কাঁধে ধুতির কোঁচা জড়িয়ে হড়বড়িয়ে ঘর থেকে এসে বললেন, “আপনারা ঘরে থাকুন, আমি বাইরে দেখতে যাচ্ছি”।

    ভাবটা যেন চক্রব্যুহ ভেদ করতে যাচ্ছে। রঙ্গনাথ শহীদ হওয়ার ভান করে বলল, ‘ঠিক আছে, আপনারা যান, আমিই নাহয় ঘরে থাকবো’।

    বাইরে ফুটফূটে জ্যোৎস্না, তিনটে লোক চোর! চোর! বলে ছুটতে ছুটতে গেল। ওদের পেছনে আরও দুটো ঠিক ওদের মত চেঁচাতে চেঁচাতে ছুটে গেল। তার পেছনে আরও একজন, সেই চিৎকার। এবার তিনজন, এদের সবার হাতে লাঠি। সবাই চিৎকার করছে, সবাই চোরকে তাড়া করছে। মিছিলের শেষভাগের একজনকে বদ্রী চিনতে পেরে দৌড়ে ওদের ধরে ফেলল। হেঁকে বলল, ‘ক্যা রে? ছোটে? চোর কোথায়’? ছোটে হাঁফাতে হাঁফাতে বলল,’ আগে! আগে আগে পালাচ্ছে’! এরপর খানিকক্ষণ এখানে শান্তি। রূপ্পনবাবু ও রঙ্গনাথ বাইরের ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে ছাদে উঠে গেল। ইতিমধ্যে নীচের ঘরে বৈদ্যজীর ঘুম ভেঙেছে। গলা খাঁকরিয়ে আওয়াজ লাগালেন, ‘কে বটে’?

    রূপ্পন জবাব দিল, ‘চোর, পিতাজী’।

    বৈদ্যজী ঘাবড়ে গিয়ে হুঙ্কার দিলেন, ‘কে রুপ্পন? ছাদে গেছ নাকি’?

    রূপ্পন বাইরের শোরগোলের সঙ্গে সমানতালে চেঁচিয়ে জবাব দিল, ‘হ্যাঁ, আমিই। জেনেশুনে জিজ্ঞেস কর কেন? যাও, শান্তিতে ঘুমোও গে’।

    বৈদ্যজী নিজের ছোটছেলের এমন মধুমাখা সম্ভাষণ শুনে চুপ মেরে গেলেন। রূপ্পন ও রঙ্গনাথ কান লাগিয়ে গাঁয়ের নানাদিক থেকে ভেসে আসা কোলাহল মন দিয়ে শুনতে লাগল।

    এমন সময় ঘরের পেছন থেকে কারও আর্তনাদ ভেসে এল, ‘মেরে ফেলল রে’!

    আবার চেঁচামেচি! কারও গলা শোনা গেল, ‘আরে ছেড়ে দে ছোটে, এ তো আমাদের ভগৌতি’!

    ‘ছাড়, এটাকে ছাড় বলছি! ওদিকে ! ওদিকে! চোর ওদিকে পালিয়েছে’।

    কেউ ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। অন্য কেউ সান্ত্বনা দিচ্ছে। ‘আরে কেন রাঁড়ির মত কেঁদে ভাসাচ্ছিস? এক ঘা লাঠিই তো!এতে এত ফোঁৎ ফোঁৎ করার কি হোল’?

    কাঁদতে কাঁদতে অন্যজনের উত্তর, ‘আমিও ছাড়ব না; দেখে নেব’।

    আবার খুব চেঁচামেচি, হল্লাগোল্লা; ‘ওদিকে! ওদিকে! পালাতে দিস নে’। ডাইনে থেকে দে এক ঘা লাঠি! আরে লাফিয়ে উঠে মার! চোর শালা কি তোর বাপ লাগে’?

    রঙ্গনাথের উত্তেজনার মাঝখানে হাসিও পাচ্ছিল। এ আবার কি নিয়ম! লাঠি মারার সময় বাপকে রেয়াত করতে হবে? ধন্য আমার ভারত, ধন্য রে তোর পিতৃভক্তি!

    রূপ্পনবাবু বলল, ভগৌতি আর ছোটের মধ্যে কিছু একটা ক’দিন ধরে চলছিল। মনে হচ্ছে এই হট্টগোলের মাঝখানে ছোটে কিছু একটা করেছে’।

    রঙ্গনাথ, ‘এ তো ভারি অন্যায়’।

    রূপ্পন, ‘এর মধ্যে ন্যায় অন্যায়ের কি আছে? দাঁও লাগা নিয়ে কথা। ছোটে ব্যাটা দেখতে একদম ভোঁদু, কিন্তু ভেতরে ভেতরে মহা ঘাগ’। দুজনে আবার চারদিকে নজর করে দেখে কান পেতে কিছু শোনার চেষ্টা করল। রঙ্গনাথ বলল, ‘মনে হচ্ছে চোর পালিয়ে গেছে’।

    ‘প্রত্যেকবার এই তো হয়’।

    রঙ্গনাথ ভাবল রূপ্পনের গ্রাম-প্রেম নিয়ে একটু আমড়াগাছি করা যাক।

    ‘শিবপালগঞ্জে চোর এসে কেটে পড়বে এ তো অসম্ভব। বদ্রীদাদা যখন গেছেন একটা-দুটো ধরেই ফিরবেন’।

    রূপ্পন পুরনো দিনের কোন প্রবীণ নেতার মত দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন, ‘না গো রঙ্গনাথ দাদা। এখন ওই পালোয়ানির দিন গেছে। সে ছিল ঠাকুর দূরবীন সিংয়ের দিন। বড় বড় চোর শিবপালগঞ্জের নাম শুনতেই থরথরিয়ে কেঁপে উঠত’।

    রূপ্পনবাবুর চোখ বীরপূজার আবেগে জ্বলে উঠল।কিন্তু কথাটা আর এগোল না। হৈ-হট্টগোল মিলিয়ে গিয়ে এখন আকাশ কাঁপিয়ে শোনা যাচ্ছে-জয়, বজরঙবলী কী জয়!

    রঙ্গনাথ উৎসুক, ‘মনে হচ্ছে কোন চোর-টোর ধরা পড়েছে’।

    রূপ্পনবাবুর ঠান্ডা জবাব, ‘ধ্যাৎ, আমি গঞ্জহাদের খুব চিনি। ওরা চোরদের গাঁয়ের সীমানার বাইরে ভাগিয়ে দিয়েছে, ব্যস্‌। আরে চোরের দল যে এদের গাঁয়ের বাইরে তাড়িয়ে নিয়ে যায়নি সেটাই কি কম! সেই আনন্দে এরা জয়-জয়কার করছে’।

    চাঁদনি রাত, রাস্তায় মানুষজন দু’এক জনের ছোট ছোট দলে গুজুর গুজুর করতে করতে আসছে যাচ্ছে। রূপ্পনবাবু ছাদের পাঁচিলের কাছে দাঁড়িয়ে গলা বাড়িয়ে দেখছিলেন। একটা দল নীচের থেকে আওয়াজ দিল, ‘জেগে থাকুন রূপ্পনবাবু! রাতভোর সাবধান থাকবেন’। রূপ্পন ওদের দিকে তাচ্ছিল্যের চোখে দেখে বলল, ‘যাও যাও, বেশি নকশাবাজি করতে হবেনা’।

    এটা তো ভাল কথা, সুপরামর্শ। তবু রূপ্পন কেন খিঁচিয়ে উঠল? রঙ্গনাথ এর আগামাথা কিছুই বুঝতে পারেনি। একটু পরে ওই সুপরামর্শ গাঁয়ের এমাথা ওমাথা থেকে গুঞ্জরিত হল — জাগতে রহো! জাগতে রহো!

    থেকে থেকে ওই ধ্বনি আর তার গুঞ্জন। এবার ওর সঙ্গে যুক্ত হোল হুইসিলের শব্দ। ‘এই সীটি বাজছে কেন’?

    রূপ্পনবাবু, ‘কেন, পুলিশ আপনাদের শহরে সীটি বাজিয়ে টহলদারি করে না’?

    ‘আচ্ছা, পুলিশও এসে গেছে’?

    ‘আজ্ঞে; পুলিশই তো গ্রামবাসীদের সহযোগে ডাকাতদলের হামলার মোকাবিলা করল’।

    রঙ্গনাথ হতভম্ব। ‘ডাকু’?

    ‘হ্যাঁ হ্যাঁ; ডাকু। এই চাঁদনি রাতে কি চোর আসে কখনও? এরা সব ডাকাত’। এবার রূপ্পনবাবু ঠা-ঠা করে হেসে বলল, ‘দাদা, এসব হোল গঞ্জহাদের চক্কর, বুঝতে সময় লাগে। আমি শুধু কাল সকালে খবরের কাগজে যা বেরোবে সেটা জানিয়ে দিলাম’।

    একটা সীটি ঠিক ঘরের পাশের রাস্তায় শোনা গেল। রূপ্পন বলল, ‘মাস্টার মোতিরামের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে? পুরনো লোক। দারোগাজী ওঁকে খুব শ্রদ্ধা করেন। উনি দারোগাজিকে শ্রদ্ধা করেন। প্রিন্সিপাল ওই দুজনকেই শ্রদ্ধা করেন। কোন শালা এক পয়সার কাজ করে না, খালি একজন আরেকজনের শ্রদ্ধা করে সময় কাটায়’।

    ‘ওই মাস্টার মোতিরাম হলেন শহরের কাগজটির বিশেষ প্রতিনিধি।যদি চোরকে ডাকু নাই বানালেন তো মাস্টার মোতিরাম হয়ে কী লাভ’?

    রঙ্গনাথ হাসতে লাগল। হুইসিল ও ‘জাগতে রহো’ ক্রমশঃ দূরে মিলিয়ে গেল। এঘর ওঘর দরজা খোলার জন্যে লোকজনের চেঁচামেচি শোনা যাচ্ছে। ‘দরজাটা খুলে দে মুন্না’ থেকে ‘শ্বশুর ব্যাটা মরে গেল নাকি’ এবং ‘আরে তোর বাপ বলছি, তখন থেকে চেঁচিয়ে মরছি’ গোছের সব শুরু হয়েছে। বৈদ্যজীর বাড়িতেও কেউ সদর দরজার শেকল ঝনঝনাচ্ছে। বাইরে বারান্দায় শোয়া একজন মুনিষ জোরে কেশে উঠল। রঙ্গনাথ বলল, ‘বোধহয় বদ্রীদাদা, চলো তালা খুলে দিই’।

    ওরা নীচে নেমে এল। তালা খুলতে খুলতে রূপ্পন বলল, ‘কে বটে’?

    বদ্রীর হুংকার শোনা গেল, ‘খুলবি কিনা? কি কে-কে শুরু করেছিস’?

    রূপ্পন তালা খুলতে খুলতে থেমে গেল। বলল,’নাম বল’।

    ওদিক থেকে বাজের আওয়াজ, ‘রূপ্পন, চুপচাপ ভালোয় ভালোয় খুলে দে বলছি’।

    ‘কে, বদ্রীদাদা’?

    “হ্যাঁ, হ্যাঁ, বদ্রী দাদা। খোল শিগগির”।

    রূপ্পন হালকা হাতে তালা খুলতে খুলতে বলল, ‘বদ্রীদাদা, বাপের নামটাও বলে ফেল’।

    বদ্রীদাদা গালি দিতে দিতে বৈদ্যজীর নামটা বলল। রূপ্পন ফের বলল, ‘এবার নিজের ঠাকুর্দার নামটাও বলে দাও’।

    বদ্রী ফের গালির সঙ্গে ঠাকুর্দার নাম বলল। আবার প্রশ্ন হল, ‘বেশ, প্রপিতামহের নাম’?

    বদ্রী দরজায় এক ঘুঁসি মেরে বলল, ‘তোকে আর খুলতে হবে না। আমি চললাম’।

    - ‘দাদা, দিনকাল খারাপ। বাইরে চোরবাটপাড় ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাই জিগ্যেস করছি। সাবধানের মার নেই। ঠিক আছে, প্রপিতামহের নাম ভুলে গেছ তো বোল না। কিন্তু রেগে যাবার কী হোল? বেশি রাগলে লোকসান’।

    এইভাবে রূপ্পনবাবু বদ্রীদাদার পরীক্ষে নিয়ে এবং ক্রোধে পাপ, ক্রোধে তাপ গোছের লেকচার দিয়ে তবে দরজাটা খুললেন। বদ্রী পালোয়ান বিছে বা চ্যালার মত হিলহিলিয়ে ভিতরে ঢুকে পড়ল। রূপ্পন ভালোমানুষের মত জানতে চাইল - কী হোল দাদা? সব ব্যাটা চোর পালিয়ে গেল?

    বদ্রী কোন জবাব না দিয়ে দপদপিয়ে সিঁড়ি বেয়ে ছাদের ঘরে চলে গেল। রূপ্পনবাবু নীচের ঘরে। রঙ্গনাথ আর বদ্রী খাটিয়ায় শুয়ে খালি দু’চোখের পাতা এক করেছে কি নীচে থেকে কেউ ডাকল - ওস্তাদ, নীচে নেমে এস; মামলা বড্ড গিচপিচ হয়ে গেছে।

    বদ্রী উপরের দরজার চৌকাঠে দাঁড়িয়ে হাঁক পাড়ল - হোল কী ছোটে? ঘুমুতে দিবি নাকি সারারাত এখানেই হাল জুততে থাকবি?

    ছোটে তেমনই চেঁচাল - ওস্তাদ, ঘুম-টুম গোলি মারো। এখন রিপোর্ট লেখানোর হাল হয়েছে। এদিকে সব শালা গলি গলিতে চোর-চোর চেঁচিয়ে বেরিয়েছে, ওদিকে এই সুযোগে কেউ হাত সাফ করেছে। গয়াদীনের ঘরে চুরি হয়ে গেছে। নীচে নেমে এস।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ০৫ জুন ২০২১ | ২০৭২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • lcm | ০৫ জুন ২০২১ ১২:৫০494581
  • রঞ্জনদা, আবার ভুল হয়েছে। আপনি দিয়েছেন 



    -------------------------- ------- -------


    আসলে, হবে এরকম -- 


  • lcm | ০৫ জুন ২০২১ ১২:৫৩494582
  • ঠিক করে দিলাম

  • Ranjan Roy | ০৫ জুন ২০২১ ১৫:১৪494587
  • অনেক ধন্যবাদ, এবার  মনে হয় পারব।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন