এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • জনি ওয়াকারের দেশ: ২৬ জানুয়ারি প্রসঙ্গে

    Simool Sen লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২২ জানুয়ারি ২০২০ | ১৯০২ বার পঠিত | রেটিং ১ (১ জন)
  • এ' বছরের প্রজাতন্ত্র দিবসটা আমাদের সামনে একটু অন্য রকম। এই যে উত্তমপুরুষ বহুবচনটা দিব্যি ব্যবহার করে ফেললাম, স্পষ্টই বুঝতে পারবেন, এ' আমরা-র আবরণ ঢাকা আজকের জাতীয়তাবাদের জমিতে। বেশ কিছু বছর পর এমন এক ২৬ জানুয়ারির সামনে আমরা উপনীত, যা ক্যালেন্ডারের স্থাণুবৎ লাল দাগের দিনের থেকে অনেক বেশি গুরুত্ববহ।

    প্রজাতন্ত্র দিনের বাজার, মাঝখানে, সঙ্গত কারণেই খুব পড়ে গিয়েছিল। দেশপ্রেম, দেশভক্তি নিয়ে কে-ই বা হৃদয় খোঁড়ে একমেরু বিশ্বায়ন-আশ্লিষ্ট দিনকালে, কিংবা ভারতের নাগরিকত্ব পেয়ে স্বতোৎসারিত চনমনে খুশিয়াল জাতীয় সংগীত গায়? রাষ্ট্র তো নাগরিকের সামনে সটান আসতে পারে না, তাই সে মূর্ত হয়ে ওঠে কাছেপিঠের কিছু প্রতীক ধরে: ষাট-সত্তর দশক অবদিও তা পূর্ণ দাপটে বহাল। লোকে তখনও আকাশবাণীতে গান শুনত চুটিয়ে, সিনেমা হলে ভারত রাষ্ট্রের কলতান মাঝেমধ্যেই, তার বিজ্ঞাপন বিরতি-জোড়া, মিলে সুর মেরা তুমহারা ধুমক্ষেত্র মচায়। এই আনন্দময় সেকালে লোকে টাকা গচ্ছিত রাখত পোস্ট অফিসে, হালে রাখে সারদায়। রাষ্ট্রকে চেনার তরিকাগুলি প্রায় অদৃশ্য ইদানীং, সপ্তকোটি মিলিত নিনাদ থেকে ক্রমশ চিন্তনসহ নাগরিক হয়ে ওঠার গর্বিত ঘোষণা উধাও, তার বদলে মগজহীন খদ্দেরে প্রজাতন্ত্রের নাগরিকের দুর্দান্ত অবনমন। ভোট আর রাজনীতির খিচুড়ি পর্যবসিত চপল বিনোদনঘূর্ণিতে, সে এক অনন্ত খোরাকের আশ্চর্য চরকিপাক– মিডিয়াসর্বস্ব প্রতিবেশে থাবা শানায় হা-ক্লান্ত ব্র্যান্ড ভ্যালুর প্রবঞ্চক ভুলভুলাইয়া। রাষ্ট্র কী ভাবে যেন পরিণত হতে থাকল বাজার ব্যবস্থার প্যানোরামায়, নাগরিক বেকুব বনে গেল কনজিউমারে, কর্পোরেট স্টেটের পদধ্বনি শুনছিলাম সেজ-এর ঘোষণায়, জাতিরাষ্ট্রের দিন কী গেল-মর্মে তীব্র আকুতিতে। সেজ অবশ্য হয় নি, অন্যতর পপুলিজম এসেছে, ভোটে উৎখাত হয়েছে বাম সরকার।

    ফজলি আমের দিন ফুরোলে বাজারে আসে ফজলিতর আম, রবীন্দ্রনাথ জানিয়েছিলেন। পপুলিজমের দিন শেষ হলে আসে গণতন্ত্রের মুখোশ পরা নামকাওয়াস্তে পপুলিজমতর, জনাদেশের বৈধতার জোব্বা চাপিয়ে সে আসীন হয় ক্ষমতায়। এর পর থেকেই আশ্চর্য কিছু উলটপুরাণ দেখলাম আমরা, যা ২৬ জানুয়ারির প্রস্তাবিত আদর্শের বিপ্রতীপ। বিশ্বায়নী ঋতুতেও প্রজাতন্ত্রের খেলাপ ছিল, কিন্তু বিশ্বায়নের অঙ্গীকার ছিল গণতন্ত্র আর উদারবাদের কাছে, পপুলিজমতর-র জমানায় শুরু হল যার শ্বাসরোধের প্রক্রিয়া। অত নিপুণ শৌখিন নকশায় নয়, বরঞ্চ সোজাসাপ্টা, তীব্র, সটান। দেখলাম, গণতন্ত্রে নির্বাচিত সরকার কী ভাবে পাশাটা উল্টে দিচ্ছে, অ্যাদ্দিন যেখানে লোকে জেনে এসেছে ভোট দিয়ে পছন্দের সরকার নির্বাচন করতে হয়, সেখানে এই প্রথম চোখ মেলে তারা দেখছে এমন এক সরকার, যা আক্ষরিক অর্থেই টোটালিটারিয়ান, যা প্রজাতন্ত্রের সমস্ত শর্তের খেলাপ করে। সে নিজেকে দাবি করে সর্বেশ্বর ও সত্য বলে, হেগেল যার দাওয়াই দিয়েছিলেন গড ইজ স্টেট-এর বটিকায়, আর নাগরিককুলকে এক ধাক্কায় অবৈধ বলে ঘোষণা করে দেয়, এবং বলে, খেলাটা হবে উল্টো, অতঃপর, সে নিজেই বেছে নেবে তার পছন্দের নাগরিককে। মানে, সে নিজেকে জাহির করে প্রশ্নাতীত স্বতঃসিদ্ধতায়। মুখে প্রজাতন্ত্র বলছি বটে কেন-না ওটাই চলতি বুলি, কিন্তু প্রজা থেকে নাগরিকে উত্থান এখানেই নিহিত থাকে যে সে আর সাবজেক্ট (কী আশ্চর্য, ইংরিজি বাক্যের ব্যাকরণে সাবজেক্ট মানে কর্তা-ও বটে, যা প্রজাধারণার তুমুল বিরোধী) নয়, বরঞ্চ কর্তাবিশেষ, দেশ গড়ে-নেওয়ায় যার ভূমিকা রয়েছে। সে সরকার ঠিক করবে, প্রধানমন্ত্রী, নীতি বাতলে দেবে।

    এই করতে গিয়ে একটা কূট সমস্যায় গোটা প্যাঁচ জড়িয়ে যায়। আসলে, কে কার প্রতিনিধিত্ব করে? হবসের লেভিয়াথান এমন এক বিকট হাঁ-মুখো দানোকে তুলে ধরেছিল, যে তার প্রজাদের মেলে ধরবে। কিন্তু তাতেও সমস্যা। হবস সরকারকে (ওঁর ভাষায় কমনওয়েলথ) ডাকেন অথর বলে, কেন-না, আমাদের ব্যবস্থায় ভোটে তত ক্ষণে নির্বাচিত সরকারকে অথরশিপ দান করে ফেলেছে প্রজাবৃন্দ। আবার, একই সঙ্গে, রাষ্ট্র তো হবসের বয়ানে একই সঙ্গে অ্যাক্টর-ও। তখন আর রিপ্রেজেন্টেশনের প্রশ্ন থাকে না, চিহ্নক আর চিহ্নে গুলিয়ে যায়, অথর আরও বলীয়ান হয়। তা হলে নট রাষ্ট্রীয় লেভিয়াথান কার লিখে দেওয়া স্ক্রিপ্ট অভিনয় করছে? সে কি নিজের রাস্তা বেছে নিল? কে-ই বা অথর? 'নাট্যকারের সন্ধানে ছ-টি চরিত্র'র পিরানদেল্লো স্মর্তব্য, সেখানে সমস্ত ভাষাশৃঙ্খল ধসে পড়ে, চরিত্রগুলো নিজের মত ভাষা বানিয়ে নেয়। হতেই পারত এমন, ভারত রাষ্ট্রের নাগরিক সিএএ-র পর, বলল, সে সংহতিতে নয়, অতঃপর বরং অ্যানার্কিতেই থাকবে, নিজের মত ভাষাব্যবস্থায়, এলোমেলো, এলোপাথাড়ি চিহ্ন-গুলোনো সংকেতে জারিত করবে নিজেকে।

    অথচ, এই এক মাসের আন্দোলনে তা হয় নি। আন্দোলন যেতে পারত চরম বিশৃঙ্খলায়, শ্রেয় সুশীল বিকল্পের বিপরীতে হেঁটে, আবার রাষ্ট্রীয় উপাদানগুলোকে আত্মসাৎ করে নিতে পারত দেহে। এই মুহূর্তের ভারত দ্বিতীয় বিকল্পে হাঁটছে, জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত, সব রাষ্ট্রজ চিহ্নকে গণস্বাক্ষরে রাঙিয়ে তুলছে। বৈষম্যমুখর শ্রেণিবিভাজিত সমাজে মার্জিনস্য মার্জিনের বাসিন্দা মুসলমান মেয়ে আজ রাষ্ট্রীয় নীতির সব চেয়ে বড় সমালোচক– এক আশ্চর্য পটবদল দেখছি আমরা, যার চাবিকাঠি হয়ে জেগে থাকছে ফরাসি রিপাবলিকের তৃতীয় শব্দটি: ফ্রেটারনিটি।

    সংহতি আর সৌভ্রাতৃত্ব কি অলীক নয়? গোটা সমাজটাই উল্লম্ব ভাবে বিভক্ত, ওপর থেকে নীচে তার অবস্থান। কিন্তু আজকের ভারত বলছে, কোথাও অবস্থান করে এক ভিন্ন ভারতবোধ, যা আড়াআড়ি, যে সমতলে সকলেই সমান, তাকে দেখতে হলে বিমানচারীর দূরচশমা ফেলে মাটিতে, ছোট অঞ্চলে, মাইক্রোয় দাঁড়াতে হবে এসে। ছোট শাহিনবাগকে পরখ করতে হবে। এই গণতন্ত্রে ভারতবোধে জারিত নয়া সমষ্টিটিই দেশের কর্তা– ভাবুন না, হোয়াটস্যাপ-বিনন্দিত চুটকি আর খোরাক ছেড়ে কত কাল পর গণতন্ত্রের সিরিয়াস জায়গায়, গণপরিসরের রাজনীতিতে এলাম আমরা। গণমানুষ সেখানে মব নয়, মাস নয়, সিটিজেন– সে অতীতের পরোক্ষ ভোটারও নয়, বা রাজনীতির বিশ্বায়ন-সুরভিত খদ্দেরও না। ওই যে প্রথম ফরাসি রিপাবলিকের কথাটা পাড়ছিলাম, যার আলোকস্তম্ভ হয়ে রুশো ছিলেন: রাষ্ট্র যদি অভিযুক্ত ব্যক্তির অভিযোগের পক্ষে কিছু পায়, তবেই সে দোষী, নয়তো, গণনির্মিত রাষ্ট্রের চোখে (গণ শব্দটিতে মাঝেমধ্যে গণপিটুনির ছায়াও উদ্ভাসিত হয়, নাগরিক-নির্মিত বললেও বেড়ে হয়) সে অবশ্যই নির্দোষ। প্রমাণ খুঁজে আনতে হবে রাষ্ট্রকেই, রুশো বলেছিলেন। এর খেলাপ তো ভারতে দেখছি আমরা হররোজ, যখন রাষ্ট্র ধরে নিচ্ছে সকলেই সন্দেহভাজন, যখন রাষ্ট্র বলছে সব্বাইকে প্রমাণ করতে হবে সে নির্দোষ এবং দায় রাষ্ট্রের নয়, দেখছি, যখন হায়দরাবাদে এনকাউন্টারে ঝাঁঝরা হয়ে যাচ্ছে অপরীক্ষিত সন্দেহভাজনের শরীর। নাগরিক রূপান্তরিত হল মব-এ, চমৎকার খেউড়ে সভা বসেছে চতুর্দিকে, রাজনীতি ঢুকছিল অচিন্তিত নেশার দাপটে। এই ব্যাধিঘোর থেকে আপাতত ভারত মুক্ত হল।

    অগ্রগতির পর প্রতিক্রিয়াও আসে, পরিপন্থী বিশিষ্ট কোনও জাতীয়তাবাদ জাঁকিয়ে বসে৷ বসেওছে। 'অপর'-এর তালিকা ক্রমশ বাড়ছে এই সর্বেশ্বর ভারত রাষ্ট্রের কাছে, ধর্ম থেকে শাসক দল পা রেখেছে আপাতত নাগরিকতায়, বোঝাই যাচ্ছে, এ এক আশ্চর্য ফাঁদ, যে-আত্মের পরিণতি তুঙ্গতম ইগো: আমি একা ঠিক, বাকি পৃথিবী অপর, কাজেই ভুল। এর প্রতিচ্ছবি পৃথিবী আগেও দেখেছে৷ জনতা নিয়ন্ত্রণ করবে সরকার, এই সটান প্রতিস্পর্ধাকে মোদী ট্রাম্প পুতিন বলসেনারো অরবান-মুখরিত গণতন্ত্রবৈধ সংখ্যাগুরুবাদ কী ভাবে নেবে? আর একটা উল্টো দিকও আছে। সক্রেটিস বলেছিলেন না, নৌকো মাঝদরিয়ায় কী করবে বুঝতে কী গণভোট হয়? তেমনই, এঁদের মত, গণতন্ত্র কাজের কাজ কিস্যু করতে পারে নি। ব্যবস্থা হিসেবে সে ব্যর্থ। পরিবেশ উত্তরোত্তর খারাপ, জনসংখ্যা বাড়তে বাড়তে বিস্ফারিত, হলিউডি সিনেমায় সেরা থিম আসন্ন প্রলয়, ঘোর কলিতে গণতন্ত্র-বিজয়ী মোদী বা ট্রাম্প উন্মাদ, মূর্খ– দেশে বেকারি বাড়ছে, আমাজন পুড়ছে, আধুনিকতার মদগর্বী ঘোষণা জটিল জিজ্ঞাসার সম্মুখীন। অতএব এঁরা বলবেন, পাখির চোখে দেখো দুনিয়াকে, নেশনকে গুলি মারো, আধুনিকতার পরপারে জরিপ করো সময়কে, হাজার বছর নাড়োঘাঁটো, তল্লাশ চালাও মানুষের মগজের ঘাঁতঘোঁতে, বুঝে নাও সভ্যতা আদতে দুর্ঘটনামাত্র। আধুনিকতার মূল মোকাম ফ্রি উইল দিবাস্বপ্ন, তা নেহাত অ্যালগোরিদমের কারুমায়া, ভোটও প্রলাপ-ব্যতীত কিছু না, তা ছাড়া সভ্যতা কি মানুষের একার, তার পরতে পরতে অনিশ্চিতি, বিশৃঙ্খলা, নৈরাজ্য। ছকবিহীন সভ্যতায় ব্রহ্মাণ্ড পুড়েছে কেবল, যে প্রকৃতি, যে জৈবতা সভ্যতার ইমারত গড়েছে– তার সর্বস্ব লুটে অপরাজেয় হওয়ার সুতোয় জড়িয়ে গণতন্ত্রের মানুষবাদী চিন্তাভাবনা। এঁদের মত, কেমন হয়, যদি আসে চরম মানুষ-উত্তর প্রযুক্তি, গণতন্ত্র-বিরোধী ক্ষোভকে কাজে লাগানো যায় অটোমেশনের কলকব্জায়, রোবটশাসিত যে ডিসটোপিয়ায় পৃথিবীর ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে এক নির্মিত বিধাতার নিদানে? তা ছাড়া, ভোট বা এজেন্সি নিয়ে ছিনিমিনিও খেলা যে সম্ভব, তা এই প্রযুক্তিশাসিত দুনিয়া দেখিয়েছে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা বা ট্রাম্প নির্বাচন। বড়দা যখন সব দেখছেই, তখন সেই ত্রিকালজ্ঞ এই পেঁচো মূর্খ গণতান্ত্রিক জোকারের থেকে শুভবোধে দীপ্ত প্রযুক্তিপুতুল হলেই বরং বেশি ভাল, না?

    অতএব সময় কঠিন। মোদী-শাহ'রাই এক মাত্র নন, তার ও পারেও নাগরিকতন্ত্রের সামনে রয়েছে কঠিন সব চ্যালেঞ্জ। রিপাবলিকের মৃত্যু সমাগত, না-কি সে পুনর্জীবিত হবে, সে' সব জটিল তক্কো, তার জন্যই প্রতীকী ব্যঞ্জনায় ঘন হয়ে উঠেছে এ' বছরের এক ফালি ২৬ জানুয়ারি। আমার খালি থেকে থেকে মনে হচ্ছে আর এস লক্ষ্মণের সেই অনবদ্য কার্টুন, দ্য কমন ম্যান। সাধারণতন্ত্রের সেই ছাপোষা নাগরিকটি। আর, জনি ওয়াকার নিতান্ত মাউথঅর্গান নিয়ে বলছেন, 'ইয়ে বম্বে মেরি জান', সুরের টানে কেঁপে উঠছে গোটা মুম্বই। উত্তর-ঔপনিবেশিক, সাদাকালো, শান্ত, বোধ হয় তখন লোকও কিঞ্চিৎ কম ছিল শহরে, না কি? আরব সমুদ্রের ঢেউ এসে সৈকতে আছড়ে পড়ছে, বালিয়াড়ির ও পারে জেগে জনি ওয়াকারের ভারতীয় প্রজাতন্ত্র।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২২ জানুয়ারি ২০২০ | ১৯০২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কী নাম যেন ভুলে গেছি তারই মামার শালা | 162.158.167.11 | ২৩ জানুয়ারি ২০২০ ১১:০৯90825
  • প্যারা সেটিং ঠিক হওয়া দরকার। প্রযুক্তিগত কারণে ভুল আসছে।
  • tester | 172.69.34.75 | ২৩ জানুয়ারি ২০২০ ১২:১৭90826
  • এবার ঠিক দেখানো উচিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে প্রতিক্রিয়া দিন