এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • বাঙালোরের রঞ্জনদা

    ন্যাড়া লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১০ জুলাই ২০২০ | ৩৬৫৩ বার পঠিত
  • আজ থেকে বত্তিরিশ বছর আগে রঞ্জনদার লেখা পড়ি প্রথম। দেশ পত্রিকায় 'বাঙালির বাঙালোর' নামে একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন। বুদ্ধিতে আর উইটে ভরপুর এক অতি স্বাদু, মুচমুচে, আরবান লেখা। ভাল লেখা পড়লে কেটে রাখতাম। এ লেখাও সংগ্রহ করেছিলাম। আজও আছে। লেখকের নাম ছাড়া আর কিছুই উদ্ধার করা যায়নি। দেশ পত্রিকার আপিসে গেলে হয়ত পাওয়া যেত। তার বছর কয়েক পরে দেশে ছাড়লাম। 


    নব্বই দশকের মাঝামাঝি। আমি মাস্টার্স থিসিস শেষ করার ছুতোয় ম্যাটল্যাবে জব চালিয়ে তেড়ে চ্যাট করি ক্যালকাটা অনলাইন নামক একটি অধুনালুপ্ত সাইটে। সেখানে আলাপ হল ড্যানিদা বলে একজনের সঙ্গে। জানা গেল তাঁর আসল নাম রঞ্জন ঘোষাল। ব্যাঙ্গালোরে থাকেন। "আপনিই কি দেশের লেখাটা লিখেছিলেন?" এমত প্রশ্নে পরিচয়। জানতে পারি রঞ্জনদার বহুমুখী গুণের কথা। যাদবপুরের ইঞ্জিনিয়ার কিন্তু চালান মারীচ নামের এক অ্যাড-তথা-ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি। একা নয়, স্ত্রী সঙ্গীতা ঘোষাল ও আরেক ইঞ্জিনিয়ার - ইনি আইআইটি-র - উৎকল মহান্তির সঙ্গে। রঞ্জনদা আর গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের, জানা গেল, সঙ্গে মামাতো-পিসতুতো ভাই। তার ঠিক আগেই "আবার বছর কুড়ি পর" নামক মহীনের কভার বেরিয়ে মহীনের ঘোড়াগুলি আবার কলকাতার যৌবন-সার্কিটে নাম ফাটাচ্ছে। তারপরে বেরোল রঞ্জনদাও একজন ঘোড়া। নবনীতার বসনমামা গল্পের রঞ্জনও নাকি এই রঞ্জনদা!


    রঞ্জনদার গল্প বলার ক্ষমতা ছিল অসাধারণ। একদিন চ্যাটরুমে ইংরিজি হরফ বাংলা লিখে ('বাংলিশ'), তাও দু-চারলাইন করে ইনস্টলমেন্টে, বলছিলেন ওনার নিউ ইয়র্কে এসে হার্টের অসুখে পড়ার গল্প। চ্যাটরুমে পিন পড়লে শব্দ শোনা যায়। এরপর সাতানব্বই সালে যখন পরবাস শুরু হল, একবার চাইতেই গল্প দিলেন প্রথম সংখ্যাতেই। তারপরেও।


    নাটকেও গতায়াত ছিল অনায়াস। ব্যাঙ্গালোরে যাবার পরে 'মারীচ সংবাদ'-এর ইংরিজি অনুবাদ মঞ্চস্থ করেছিলেন। পরে রিঙ্কুদির সঙ্গে যুগ্মভাবে ইংরিজিতে অনুবাদ করেছিলেন মনোজ মিত্রর 'সাজানো বাগান'। আমার দেখার মধ্যে রবীন্দ্রনাথের ওপর স্ক্রিপ্ট লিখে একক অভিনয় করলেন ২০১২ সালে।


    পরে সাড়ে তিন বছরের ব্যাঙ্গালোর বাসে চাক্ষুষ আলাপ হল ওনার সঙ্গে। রিঙ্কুদির সঙ্গেও। আমাদের বাড়ি ছিল পশ্চিমদিগন্তে, প্রায় ব্যাঙ্গালোরের বাইরে। সেখান থেকে রঞ্জনদার বাড়ি চলেছি। সে এক নাটক। কন্নড় ড্রাইভার, যে আমাদের সঙ্গে দিব্যি হিন্দিতে বাতচিত চালাচ্ছিল, তাকে মোবাইলে রঞ্জনদা বাড়ির ডিরেকশন কন্নড়েই দেবেন। ফলে ব্যাঙ্গালোর টিভি স্টেশন থেকে ইয়েলো সাবমেরিনে যেতে বার কুড়ি ফোনাফুনি হয়েছিল।


    রঞ্জনদা গুণ আর গল্পের ভান্ডার। ওনার সেই সাবেক 'ইয়েলো সাবমেরিন' বাড়িতে - যার সাতটি লেভেল - খেতে বসেছি। সঙ্গীতাদি পরিবেশন করছিলেন। যেই বলেছি, 'আপনিও বসে পড়ুন, আমরা নিজেরা নিয়ে নেব'খন', রঞ্জনদা বললেন, "আমাদের বাড়িতে পরিবেশনই রীতি, পাছে কেউ বেশি নিয়ে ফ্যালে।' আমার ডডনং জ্ঞান নিয়ে কেন যে খাপ খুলতে গিয়েছিলাম! বলছিলাম দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের মন্দাক্রান্তায় লেখা - 'ইচ্ছা সম্যক ভ্রমণে, কিন্তু পাথেয় নাস্তি / মন উড়ুউড়ু, পায়ে শিকলি, একি দৈবের শাস্তি' - আমার জানা একমাত্র বাঙলা মন্দাক্রান্তা। রঞ্জনদা তাৎক্ষণিক শুনিয়ে দিলেন বাঙলায় মন্দাক্রান্তা, সঙ্গে সত্যেন দত্তর সঠিক মন্দাক্রান্তার ব্যবহার ইত্যাদি। এখন কবিতাটা ভুলে গেছি, কিন্তু সেদিন বুঝেছিলাম ওনার পড়াশুনো আর জ্ঞানের পরিধি। এটাও বুঝেছি, 'সখী, দার্শনিক ও সচিব' হিসেবে সঙ্গীতাদি না থাকলে রঞ্জনদা রঞ্জনদা হয়ে উঠতে পারতেন না।


    রঞ্জনদার মধ্যে একটা অতি নাটকীয়তার ব্যাপার ছিল। স্বাভাবিক শোম্যানত্ব। একেই বোধহয় ইংরিজিতে ফ্ল্যামবয়েন্স বলে। লম্বা দাড়িতে রামধনু রং লাগিয়ে ঘুরতেন। আমার মেয়ে নাম দিয়েছিল রেনবো-জ্যাঠা। জিগেস করলাম, "একবার ডাই করলে কদিন থাকে রং?" বললেন, "ডাই আবার কী? ওয়াটার কালার। রোজ সকালে রং করি।" শুনেছি সৃজিত, অনুপম এনারা বাংলা সংস্কৃতি জগতের নক্ষত্র হয়ার আগে ইয়েলো সাবমেরিনের জল-হাওয়া খেয়ে বেড়েছেন। এ আমার ব্যাঙ্গালোর প্রবাসের আগের কথা। রঞ্জনদার স্বাভাবিক আকর্ষণশক্তি ছিল। ওনার ব্যাঙ্গালোর বাসের প্রথম দিকে, ব্রিগেড রোডের দিকে কোন এক দোকানে উৎকলদার সঙ্গে প্রথম আলাপ। আলাপেই আড্ডা জমে গেল। সেই আড্ডা স্থানান্তরিত হল রঞ্জনদাদের বাড়িতে। এমনই আড্ডা যে উৎকলদাকে সে রাত্তিরে বাড়িতে থেকে যেতে বললেন রঞ্জনদারা। উৎকলদা বাড়ি গেলেন আড়াই বছর পরে। এ গল্প রঞ্জনদাই বলেছিলেন। তাও ওনার কলেজজীবনে যশোদাভবনের কোন এক পরিবারে চাকর সেজে কদিন থাকার গল্প ওনার মুখে শোনা হয়নি।


    এদিকে রোগের জাহাজ। নিউ ইয়র্কে হার্টের ব্যামোর গল্প নিজেই বলেছিলেন। আর অনেক আধি-ব্যাধি ছিল। দৃষ্টিশক্তি প্রায় খুইয়ে বসেছিলেন। একজন পড়ুয়া লোকের পক্ষে সে যে কী দুঃসহ সম্যক আন্দাজ করা শক্ত। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় মারা যাবার পরে ব্যাঙ্গালোরে একটা স্মরণসভা করেছিলেন। নিজের লেখা পড়ার মতন দৃষ্টিশক্তি নেই বলে আমাকে বললেন পড়ে দিতে। কিন্তু রঞ্জনদার লেখায় চোরা উইট পাঠে ধরা একেই শক্ত, তার ওপর আমার মতন লোক, যার পাঠ-ঠাটে একেবারেই অভ্যেস বা বিশিষ্টতা নেই, তার পক্ষে অসম্ভব। একবার আমাদের বাড়িতে এলেন। যাবতীয় উপাদেয় রান্না বর্জন করে খেলেন দই-ভাত, স্বাস্থ্যের কারণে। তবে একটা গল্প পড়েছিলেন প্রায় চোখের কাছে পাতা ধরে। 


    ফেসবুকে বাংলায় অণুগল্প জনপ্রিয় করার জন্যে রঞ্জনদাই প্রায় একক কৃতিত্বের ভাগী। দীর্ঘ সময় ধরে একের পর এক অণুগল্প লিখে গেছেন ফেসবুকে। তৈরি করেছেন পাঠককুল। সেই ডিঙি চড়ে ভেসেছেন ভালমন্দ লেখকেরা। এমনকি আমার মতন ভালমন্দর ঊর্দ্ধের অকিঞ্চিৎকরেরাও। সেই অণুগল্পর সংকলন বেরিয়েছে একের অধিক। লেখক হিসেবে, এবং তার চেয়েও বড় কথা দীর্ঘদিন পেশাদারীভাবে ভিশুয়্যাল মিডিয়া নিয়ে কাজ করার ফলে প্রকাশকের ওপর, প্রকাশনের কোয়ালিটির ওপর চাহিদা ছিল অনেক। অন্ততঃ একটা ক্ষেতের প্রকাশকের সঙ্গে ওনার চাওয়া-পাওয়ার (আর্থিক নয়) চাপান-উতোরের কিছুটা সাক্ষী আমি।


    আমি ব্যাঙ্গালোর ত্যাগের পরে যা যোগাযোগ সবই ফেসবুকের মাধ্যমে। ফোনে কথা হয়েছে মেরেকেটে বার পাঁচেক। আমি ফেসবুক ত্যাগ করেছি আজ প্রায় দেড় বছর হয়ে গেল। তার পর থেকে আর কোনরকম কথাবার্তাই হয়নি। এর মাঝে মি-টুতে অভিযুক্ত হয়েছেন রঞ্জনদা। শুনেছি ফেসবুকের খোলা পাতায় অভিযোগ স্বীকার করে ক্ষমা-প্রার্থনা করেছেন। তারপরে কী হয়েছে জানিনা। শুনেছি তারপরে তাঁকে আর ফেসবুকে দেখা যায়নি। হয়ত কাল নয়, রঞ্জনদা তখনই মারা গেছেন। 


    দেখা হবে রঞ্জনদা।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১০ জুলাই ২০২০ | ৩৬৫৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • i | 14.203.233.249 | ১০ জুলাই ২০২০ ১৩:১৫95054
  • অপ্রাসঙ্গিক হল। তবু, আপনার মনে পড়ছে না দেখে একটু ধরতাই-সত্যেন্দ্রনাথ দত্তর যক্ষের নিবেদন। পিঙ্গল বিহ্বল ব্যথিত নভোতল কই গো কই মেঘ উদয় হও ...
    মন্দাক্রান্তা ছন্দের অনুকরণে এই রকম লেখা ছিল।
    ছন্দের বারান্দা বইতেও মন্দাক্রান্তার অনেক সমীপবর্তী এইটি বলা ছিল। রবীন্দ্রনাথের একটি কবিতার উদাহরণো ছিল ঐ বইতে যাকে রবীন্দ্রনাথের হাতেও ক্লিষ্টতার উদাহরণ এইরকম বলা ছিল। এর বেশি লেখা বিশ্রী রকম অপ্রাসঙ্গিক হবে।
  • মেহনের ঘোড়া | 13.251.106.164 | ১০ জুলাই ২০২০ ১৬:৩৪95062
  • নেপোলীনার ফস্সা গালে ঘষে দিয়ে দাড়ি,
    মিচকে বুড়ো দিলো সাগরপাড়ি।
    সৎজঙ্গী বাপখানা তার চাড্ডি আসার শকে,
    লেখা ছেড়ে আবোলতাবোল বকে।

  • b | 14.139.196.11 | ১০ জুলাই ২০২০ ১৬:৪৫95063
  • রঞ্জন ঘোষালের পুত্র কি ইন্দ্রায়ুধ?
  • Jharna Biswas | ১০ জুলাই ২০২০ ২১:২১95065
  • অসম্ভব ভালো লিখেছেন। একটা মানুষকে কাছ থেকে চেনার গল্প। খুব ভালো লাগলো পড়ে। 

  • debu | 170.213.19.62 | ১০ জুলাই ২০২০ ২৩:০২95067
  • রন্জন দার সঙ্গে পরিচয় আমার ১৯৮৪ , নতুন জায়্গা , বাঙ্গ্লভাসা জানা লোক্জন খুব কম ই ছিলো তখোন ।
    ২মিনিটের আলপেই রন্জন দা , রিন্কু দির সঙ্গে জমে গিয়েছিলো । রন্জন দার কাছে মাল খাওআর হাতেখোরি।
    মুদির দোকনের খাতা র মতো , রন্জন দার এক্টা মাল এর দোকানের খাতা ছিলো , রন্জন দার দাদা TKG আমাদের teacher ছিলো JU-Elect , control system এর ক্লাস নিতো , he designed the Agni's flight control prog , extremely talented professor । মোহিনের ঘোড়া র জন্ম রন্জন দার বারিতেই । উত্কাল দা কে প্রতেক দিন এ দেখ্তাম । রন্জন দা ফিল্ম এর স্ক্রিপট ও লিখ ছিলো ,জানিনআ সেটা ad film না feature film । he is very creative , I remember one tag line for Bifora watch - its chip but not cheap .
    রন্জন দার সঙ্গে শেস কথা হোয়ে ছিলো ৫-৬ ব্ছর আগে , ঘন্টা ( বর ছেলের নাম) তখোন Canada তে থাক্তো ।
    রন্জন দা বেচে থাক বে আমাদের কাছে "মোহিনের ঘোড়া " গানের
  • রঞ্জন | 122.180.171.93 | ১১ জুলাই ২০২০ ০৮:১২95075
  • @ন্যাড়া,

                 সকালে  মেঘলা আকশ। এই লেখাটি পড়ে মনটা অন্যরকম  ভালো হয়ে গেল।

  • Dipankar Dasgupta | ১১ জুলাই ২০২০ ০৮:১৩95076
  • দারুণ লেখাটা। অসাধারণ মুন্সিয়ানায় চরিত্র-চিত্রণ। নতুন করে জানলামও অনেক কিিছু। 

  • b | 14.139.196.11 | ১১ জুলাই ২০২০ ১১:৪৬95082
  • দেশের ঐ সংখ্যাটা (৮৭ বা ৮৮?) আমারও মনে আছে। মূলতঃ প্রবাসী বাঙালীদের নিয়ে লেখা। ঐ ব্যাঙ্গালোরের লেখাটার একটু পার্ট মনে আছে

    ছেলেঃ বাবা, তোমরা একটা কথা বলছিলে, ঘেম , না ঘাঁম, ওটা কি?
    বাবাঃ ঘেম না, ঘাম। যখন কলকাতায় লোডশেডিং হয়, এদিকে ভ্যাপসা গরম, তখন গা থেকে জলের মতো একটা জিনিস গড়ায়, সারা গা চ্যাটচ্যাট করে, সেই বস্তুটি হল ঘাম।
    ছেলেঃ বাবা, লোডশেডিং কি?
  • Kushan | 2401:4900:3149:87c1:258d:e828:a36a:f42d | ১১ জুলাই ২০২০ ১৪:৪০95102
  • লেখাটা যদিও কিছুটা ব্যক্তিগত জায়গা থেকে লেখা, তবুও ভালো লাগলো।

  • স্বাতী রায় | 117.194.44.86 | ১১ জুলাই ২০২০ ১৭:২৬95112
  • সেদিন মারা যাওয়ার খবরটা শোনার পর থেকেই ভাবছিলাম, এঁরা সব বহু প্রতিভাশালী মানুষ - অথচ কিছু কিছু কাজ করে এমন নিন্দার্হ হন, শুধু তো বাইরের লোকের কাছে না, নিজের লোকের কাছেও - কেন যে এমনটা হয়! অদৃশ্য দেওয়াললিখন কি পড়তে পারেন না? আবার সেই পুরোন বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে, শুধু কি প্রতিভাই বিচার্য নাকি আগে মানুষ, পরে প্রতিভা! মানুষটাকে হুলিয়ে গালাগালি দিয়ে তার লেখা পড়ে মুগ্ধ হওয়া যায়? বড্ড গুলিয়ে যায়!

    তবে তুই বহুদিন পরে লিখলি। ভালো লাগল। কেন যে নিয়মিত লিখিস না! বা লিখলেও সবাইকে পড়াস না!
  • aranya | 162.115.44.103 | ১২ জুলাই ২০২০ ০৭:৩৩95148
  • আগে মানুষ, পরে প্রতিভা - আমার কাছে। তবে মানুষ তো একমাত্রিক নয়।
    একটা সমস্যা হল মেয়েদের সম্মান করব, কোন advantage নেব না, এগুলো অনেক পুরুষেরই ঠিক ভিতর থেকে আসে না
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন