এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  আলোচনা  রাজনীতি

  • গাঁজার নেশাঃ ইউপি নির্বাচনের ফল

    Ranjan Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ১০ মার্চ ২০২২ | ১৭৯৯ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • গাঁজার নেশাঃ ইউপি নির্বাচনের ফল
    এতক্ষণে এটা স্পষ্ট যে আমার ঘরে বসে স্টাডি ভুল; একই সঙ্গে ভুল আরও চারটে প্রফেশনাল স্টাডিঃ দেশবন্ধু, আত্মশক্তি, ফোর পি এম এবং আরও একটি। এরা সবাই সপাকে ২১০ থেকে ২৩৫ দিয়েছিলেন এবং বিজেপিকে ২০০ থেকে ১৬০।  কিন্তু ৪ টে নাগাদ ফল দেখা যাচ্ছে সপা ১৩৭ এবং বিজেপি ২৬২।
    এদের এবং আমাকে কেউ যদি গাঁজার নেশায় বুঁদ বলেন তা বলতেই পারেন।ঃ)))
     বি ঠিক বলেছিলেন। রঞ্জনদা যখন বলছেন বিজেপি হারবে , তার মানে জিতবে।ঃ))
    যদি আগামী বছর বইমেলায় দেখা হয় তবে বি এবং এসকে বিরিয়ানি খাওয়াবো। এবং আর যা চানঃ)))।
     আর যাঁর নিক গাঁজা তিনি যদি বইমেলায় দেখা দেন তবে তাঁকেও খাওয়াবো, সঠিক ফোরকাস্টের জন্য। এটা ফোরকাস্ট নয়, আমার দেওয়া কথা। কাজেই ভরসা করতে পারেন।
    দেখাই যাচ্ছে এই নির্বাচন পুরোপুরি বাই পোলার। ধর্মের প্রশ্ন ও সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের বিতর্ককে পাশ কাটিয়ে অখিলেশরা সামনে এনেছেন পেছনে চলে যাওয়া মূল সমস্যাকে—রোজ্জগার, পেনশন, সামাজিক সম্প্রীতি, আইনের ডিউ ডিলিজেন্স, গরীবদের রিলিফ ও চাষীদের সমস্যা। তাতে প্রায় ১৪% ভোট বাড়ল, সীট বাড়ল ২.৫ গুণ। কিন্তু জেতার জন্য দরকার ছিল ৪ গুণ। ওদিকে বিএসপির ২২% ভোটের ১৪% দলিত ভোটের অনেকটা গেছে বিজেপিতে, ফলে ওদের বেড়েছে আরও ৩%।
    অতি গরীব ও গরীবরা আস্থা রেখেছে ডাবল ইঞ্জিন সরকারের থেকে পাওয়া ডাবল ফ্রি রেশনে। তারসঙ্গে রয়েছে যোগীজির ইন্সট্যান্ট জাস্টিসের প্রমিজ—বুলডোজার বাবা। ফাইট ভালই হয়েছে –কিন্তু লোকবলে ধনবলে দুই দলের কোন তুলনা হয় না।  তাহলে কেন হিসেবে ভুল হল?
    আমার কথা বাদ দিন, আমি টাইম পাস হরিদাস পাল; কিন্তু চারটে প্রফেশনাল টিমের ( আর একটি বিকাশ জৈনের The Politician.in) ভুল কোথায় হল?
    দু’সপ্তাহ আগে কৃষক আন্দোলনে সিপিএম এর কৃষক নেতা হান্নান মোল্লা ফোন করে ফোর পিএমের  সঞ্জয় শর্মাকে বললেন—খুব তো বিজেপির হারের ফোরকাস্ট করছ, আমার শুভেচ্ছা রইল। কিন্তু ফ্যাশিস্ত মেশিনারিকে তুমি চেন না। ওদের কৌশল নিয়ে তোমার কোন ধারণা নেই।
    • ভুল হয়েছে বুথ ম্যানেজমেন্টে বিজেপির ও আর এস এসের সংগঠন এবং ইলেকশন কমিশনকে সিরিয়াসলি না নেওয়ায়।  কৃষক আন্দোলনের সাময়িক জয়কে মূলধন করে আত্মতৃপ্তির।
    • একমাস আগে স্টেট ইলেকশন কমিশন হঠাৎ ঘোষণা করল – যাদের একবার করোনা হয়েছে এবং যাদের বয়েস ৮০ বছরের বেশি তারা ইভিএম মেশিনের বদলে আগাম  পোস্টাল ব্যালট দেবেন। এবং সেই ব্যালট পেপার ডাকে দিতে হবে না। বিভিন্ন কেন্দ্রে ঘরের পাশে কোন একটা পঞ্চায়েত কেন্দ্রে সরকারি আমলারা এসে তাঁদের সামনে এগুলো নিয়ে নেবেন।
    কোন বিরোধী দল আপত্তি করেনি। অখিলেশ বা জয়ন্ত চৌধুরি –কেউ না।
    কেউ বলেনি যে এর জন্য আইন পাশ হওয়া দরকার বা এই ঘোষণা স্টেট কমিশনের এক্তিয়ারে পড়ে না।
     
    •  তখনই রাজেন্দ্র চৌধুরি ও রাকেশ টিকেইত বলেছিলেন—খুব বড় ভুল হচ্ছে। খেলা হয়ে গেল। ওরা শুরুই করবে পাঁচ দশ হাজার লীড থেকে। কেউ গা করেনি।
    • ভিডিওতে ধরা পড়ল –অসুস্থ বুড়োকে ধরে ধরে বাড়ির লোক নিয়ে এসেছে। কিন্তু তাদের বাইরে বের করে অফিসার নিজে ফুলে ছাপ দিচ্ছে, ওর আপত্তি কেউ শুনছে না। অভিযোগ হল তদন্ত হল। একজন ট্রান্সফার হল, ব্যস।
    • একজন পুলিশের কনস্টেবল অভিযোগ করল  ওকে  থানেদার বলছে অন্য প্রতীকে ছাপ দিতে, নইলে ওকে ভুগতে হবে।  
    • অনেক জায়গায় প্রোটোকল না মেনে খোলা এভিএম ভোটের পর ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হল। কমিশনার প্রেসের সামনে ত্রুটি স্বীকার করলেন। তদন্ত হবে। ডাস্টবিনে পাওয়া গেল গুচ্ছের ব্যালট পেপার। এসব গুণতি শুরু হওয়ার আগের কথা।
    • এখন এবার ব্যালট পেপার নেওয়া হয়েছে ৫’৫০ লাখ। অন্ততঃ ১০০ সীটে ডিফারেন্স ৫০০০ এর কম। জয়ন্ত-অখিলেশ বুথ ম্যানেজমেন্টে সতর্ক হলে পরিণাম অন্যরকম হতে পারত।
    1.  তাহলে কি কন্সপিরেসি থিওরির কাঁদুনি গাইছি, সাফাই দিচ্ছি?
    --আদৌ নয়।  এগুলোর এফেক্ট মার্জিনাল। এই  সতর্কতা , বুথ ম্যানেজমেন্টে জোর দেওয়া, আগামী অনেকগুলো ইলেকশনে কাজে লাগবে। অন্য অনেক রাজ্যে নির্বাচন রয়েছে যে! ২০২৪ এখনই ধরছি না। বরং ল অ্যান্ড অর্ডার প্রশ্নে ডিউ ডিলিজেন্সের ইস্যুকে আরও গভীরে নিয়ে যেতে হবে। ভুললে চলবে না—সপার রাজ্যসভা সাংসদ জয়া বচ্চন হায়দ্রাবাদে পুলিশের রেপিস্টদের এনকাউন্টার করা কে প্রবল সমর্থন করেছিলেন।
    -- কিছু ভালো খবর রয়েছে। হেরেছেন উত্তর প্রদেশের গন্না মন্ত্রী । হেরেছেন মজফরপুর দাঙ্গার জন্য কুখ্যাত সঙ্গীত সোম, যাঁর বিরুদ্ধে সব পুলিশ কেস তুলে নেওয়া হয়েছে। এবং যিনি ইদানীং আবার অল্পসংখ্যকদের বিরুদ্ধে কুকথা বলছিলেন এবং কমিশন অন্য দিকে তাকিয়ে।
            --ভালো খবর উত্তরাখন্ডের বর্তমান এবং ভূতপূর্ব মুখ্যমন্ত্রীদের হেরে যাওয়া।
              --ভালো খবর  ট্রোজান হর্স বিজেপি ফেরত সিদ্ধুর ৪০% মার্জিনে হেরে যাওয়া।
           --ভালো খবর, আপের সুকৌশলে বিজেপির কথিত রাষ্ট্রবাদ ও ধর্মের বিতর্ককে এড়িয়ে ( রাহুল যে ভুল প্রায়ই করেন) শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জল, বিজলি এবং মেয়েদের সুরক্ষার প্রশ্নকে ইস্যু করে বিপুল জয়লাভ। কিন্তু চিন্তার কথাঃ ওঁরা ভারতকে সফট হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে প্রমোট করছেন।
            --ভালো খবর, অখিলেশ এবং জয়ন্তও সেই চেষ্টা করছেন, তবে দেরিতে শুরু করেছেন।
            খারাপ খবরঃ পূর্বাঞ্চলের এসপি দলের জেলে বন্দী দাপুটে নেতার ছেলের ক’দিন আগে জিতলে বদলা নেওয়ার নোংরা সাম্প্রদায়িক মন্তব্য –যার টেপ শেষ দুই পর্বের ইলেকশনে বিজেপি সব সভায় শুনিয়েছে এবং ভোট পোলারাইজেশন করিয়ে বুলডোজার বাবার সমর্থন বাড়িয়েছে।
    লাখ টাকার প্রশ্নঃ ভারতের সংসদীয় রাজনীতি কি ( আপের মডেলে) কোন ছাপ মারা আইডিওলজি বিহীন এক সেন্ট্রিস্ট লিব্যারাল পথে চলবে? তাই বা মন্দ কি? বিতর্ক চলুক।
     
    ডিঃ মাথায় হেলমেট পরে বসে আছি, নিশ্চিন্তে ঢিল ছুঁড়ুন! ঃ)))

     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • S | 84.239.46.7 | ১০ মার্চ ২০২২ ২৩:০১735998
  • জাঠ ভোটটা মনেহয় অখিলেশ তেমন পায়নি। মায়াবতিও মনে হচ্ছে বেশ কিছুটা বিরোধী ভোট কেটেছে। বেশ কিছু জায়্গায় মার্জিন খুবই কম। যেটা ভালো হয়েছে, সেটা হল ইউপিতে এখন থেকে দুমুখি লড়াই হবে। তাতে বিজেপির সুবিধা যেমন, অসুবিধাও আছে।

    আপের মডেল হল সব জায়্গায় বিজেপি বিরোধী ভোটকে নিজেদের বাক্সে আনো। বেসিকালি কঙ্গ ভোট। তবে মাইনরিটিরা আদৌ কতটা আপের সঙ্গে যায়, সেই নিয়ে সন্দেহ রয়েই গেছে।

    দিদি ঐসব দূরের রাজ্যে না গিয়ে ত্রিপুরা-আসামে ফোকাস করলে ভালো হয়। কিন্তু তার আগে নিজের রাজ্যে অনেক অনেক কাজ করতে হবে, কোরাপশান ভায়োলেন্স কমাতে হবে। লোকে আপের কাজ দেখে ভোট দিচ্ছে। সেই গুড গভার্নেন্সের মুকুট এখনও দিদির মাথায় ওঠেনি।
  • দীপ | 42.110.137.86 | ১১ মার্চ ২০২২ ০০:২৮735999
  •  
    ফেসবুকের একটি লেখা মহাবিপ্লবীদের উদ্দেশ্যে নিবেদন করলাম।
     
    "হরির নাম খাবলা খাবলা ... 
    কিছুদিন আগেই আমরা শুনলাম কৃষক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বামসংগঠন বা তাদের নেতারা ... অথচ গোলা ভরা ধান তুলে নিয়ে গেলো আম আদমি পার্টি ... 
    কিছুদিন ধরেই আমরা বিভিন্ন তাত্বিক কচকচির মাধ্যমে শুনেছি সমস্ত অসাম্প্রদায়িক , গণতান্ত্রিক , দুর্নীতিহীন দলের সঙ্গে জোট গড়ে সাম্প্রদায়িক , অগণতান্ত্রিক দলকে রুখে দিতে হবে ... তো সেই অসাম্প্রদায়িক , গণতান্ত্রিক , দুর্নীতিহীন দলের মধ্যে কারা পড়ে ? না কংগ্রেস ... তো সেই কংগ্রেসও তো মোটামুটি ৫টার মধ্যে ২ টো তে হাওয়া ... এবার কোন তত্ত্ব নামবে বাওয়া ? 
    এই তাত্বিকদের কাছেই আবার দেখবেন আম আদমি পার্টি ছুপা হিন্দুত্ববাদী পুঁজির দালাল ... অথচ কংগ্রেস / সমাজবাদী পার্টি / আই এস এফ অসাম্প্রদায়িক এবং সমাজতান্ত্রিক ... আর আপনি এগুলো বললেই হয়ে যাবেন চাড্ডী / তৃনমূল ... চরম অসহিষ্ণু এরা আপনাকে ট্যাগ লাগিয়ে দেবে চাড্ডী বা তৃনমূল বলে ... হ্যাঁ ট্যাগ আপনাকে বিজেপি বা তৃণমূলেরাও তাদের মতের বিরোধিতা করলে লাগায় কিন্তু এদের সঙ্গে তাদের পার্থক্য হল এরা আপনার সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করবে ... তাদের বৃত্তে একমাত্র থাকবে তাদের মোসাহেবরা যারা তাদের ঐ তত্ত্ব না বুঝলেও ঠিক ঠিক বলে ঘাড় নাড়াবে ... 
     
    শোন ভাই একটা কথা বলি ... যেকোনো বিসয়েই তো তোরা কেন্দ্রীয় কমিটি , পলিটব্যুরো , সম্মেলন এই সবের গল্প শোনাস ... তো এইবার একটু সময় নিয়ে আলোচনা করে একটা নীতি ঠিক কর ... হরির নাম খাবলা খাবলা করে সবেতেই তোদের কৃতিত্ব জাহির করিস না আর রোজ রোজ স্ট্যান্ড বদলাস না ... বড় হাসির খোরাক হয়ে যাচ্ছিস দিন দিন ... আর পারলে একটু সহিষ্ণু হ ... তাত্বিক কচকচি না শুনিয়ে এবার একটু শোনার অভ্যাস কর সাধারণের কথা ... তা যদি তোদের বিরোধী মতের হয় তবুও ধৈর্য ধরে শোন ..."
     
    লেখাটিতে তুই তুই করে বলা হয়েছে, তার জন্য আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। কাউকে অসম্মান করার উদ্দেশ্য নেই।
  • S | 2a0b:f4c0:16c:16::1 | ১১ মার্চ ২০২২ ০০:৩২736000
  • আজকের ইলেকশান রেজাল্টের প্রেক্ষিতে এই পোস্টের কারণ বুঝলাম না। যিনি লিখেছেন তাঁকেই বলুন যে এই বাম পার্টির প্রতি অবসেশান কমাতে।
  • দীপ | 2401:4900:382f:33a:f098:1897:8abe:b3e8 | ১১ মার্চ ২০২২ ০০:৪০736001
  • কথায় কথায় বিপ্লব আর মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ নিয়ে গর্জন না করে ঠাণ্ডা মাথায় মানুষের জন্য কাজ করলে ফল পাওয়া যায়। বাতেলা মেরে কিছু হয়না। দিল্লি আর পাঞ্জাবে আপ সেটা দেখিয়েছে। বিজেপি আর কংগ্রেস- দুজনকেই পর্যুদস্ত করেছে। এটাই বক্তব্য।
    কংগ্রেস আর আব্বাসের ল্যাজ না ধরেও লড়াই করা যায়!
  • aranya | 2601:84:4600:5410:342b:10ef:2959:5268 | ১১ মার্চ ২০২২ ০০:৫২736002
  • 'কথায় কথায় বিপ্লব আর মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ নিয়ে গর্জন ' - এ তো বহু দিন আগের কথা 
  • দীপ | 42.110.145.171 | ১১ মার্চ ২০২২ ১৩:১৪736004
  • পশ্চিমবঙ্গের মহাবিপ্লবীদের উদ্দেশ্যে আরেকটি বিনম্র নিবেদন। লেখক মহাবিপ্লবীদের অবস্থা খুব ভালোভাবেই দেখিয়েছেন। তাঁকে নমস্কার!
     
     
     
    "দ্বিজাতিতত্ত্ব, ক্যাব, রেনেসাঁস, বিজেপি.... সব বুঝলাম। কিন্তু আটকাতেন কী দিয়ে?
     
    -বিদ্যাসাগরকে ব্যবহার করে হবে না। গোবলয় অবধি তর্কটা পৌছানোর আগেই কেউ না কেউ এসে বলবেন যে বিদ্যাসাগর শূদ্রদের শিক্ষার বিরোধী ছিলেন, ইংরেজদের সাথে মিলে বাঙালী সত্তার বারোটা বাজিয়েছেন। বিদ্যাসাগর অস্ত্র হিসাবে ভোঁতা হয়ে গেলেন। 
     
    -রামমোহনকে ব্যবহার করবেন। সেখানেও গেরো। গোবলয় অবধি তর্কটা যাবেই না। তার আগেই কোন বন্ধু প্রমাণ করে দেবেন যে উনি ব্রাহ্মণ পাচকের রান্না ছাড়া খেতেন না, সতীদাহ বন্ধ করা কেবল উচ্চবর্ণের জন্য। অতএব রামমোহন অস্ত্রও ফেল। 
     
    -বিবেকানন্দ গোভক্তদের গোসন্তান বলে উপহাস করেছেন। কিন্তু বিবেকানন্দও অস্ত্রও ফেল হয়ে যাবে। না গোবলয়ের হাতে নয়, বন্ধুদের হাতে। কারন নারীদের নামে যা তা বলেছেন, বর্ণাশ্রমকে সমর্থন করেছেন। অতএব বিবেকানন্দ অস্ত্র ভোগে। 
     
    - চৈতন্যদেবের বর্ণাশ্রম বিরোধী বৈষ্ণব মত কোন কাজে আসবে না। কারন উনার মধ্যে কোন অলৌকিক ক্ষমতা ছিল না, উনি পেটুক ছিলেন, উড়িষ্যায় পালিয়েছিলেন। চৈতন্যদেব অস্ত্র ফেল। 
     
    রবীন্দ্রনাথকে ব্যবহার করবেন? সে গুড়েও বালি। এখানেও আপনাকে গোবলয়ের সাথে লড়তে হবে না। তার আগে বন্ধুরাই প্রমাণ করে দেবেন যে উনি বাউলদের থেকে গান চুরি করেছিলেন, জমিদার ছিলেন, অন্যের পরিশ্রমে বসে খেতেন প্লাস উনার লেখায় সত্যধর্মের ভাবাবেগ অনেকবার আহত হয়েছে। অতএব রবীন্দ্রনাথকেও ব্যবহার করা যাবে না। 
     
    শরৎচন্দ্রকে ব্যবহার করা যাবে না। এখানেও অবজেকশন তুলবেন বন্ধুরা, গোবলয় পর্যন্ত পৌঁছানো যাবে না। উনি লিখেছিলেন "মুসলমান বনাম বাঙালীদের ফুটবল ম্যাচ" - ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। প্লাস উনি মুসলিম সমাজ নিয়ে বিশেষ কিছু লেখেন নি, যা লিখেছেন সেগুলো খুব ভাল কথা নয়। 
     
    বঙ্কিমচন্দ্রকে দিয়ে চলবে না। কারন বন্ধুদের মতে উনি 'বন্দেমাতরম' মন্ত্রের জন্মদাতা, অতএব সাম্প্রদায়িক। প্লাস অানন্দমঠের লড়াইটা ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই বলে দেখানো হয় নি। (যদিও সেই সময় বন্দেমাতরম বললে পুলিশ গ্রেপ্তার করত এবং আনন্দমঠ বইটাকে বাড়িতে রাখলে লুকিয়ে রাখতে হত, এবং সেটাও পুলিশদের ভয়েই)। 
     
    নেতাজী হাত মিলিয়েছিলেন তোজোর সাথে, আবার ভারত স্বাধীন হওয়ার পর কয়েকবছর মিলিটারি শাসন চেয়েছিলেন। অতএব নেতাজী যে ফ্যাসিজমের কবলে চলে গেছিলেন সেনিয়ে কোন সন্দেহ নেই। নেতাজী অস্ত্রও ভোঁতা। বন্ধুরাই বলবে, গোবলয় অবধি তর্কটা যাবেই না। 
     
    বন্ধুরা মোটামুটি প্রমাণ করে ফেলেছেন উপরের সব মনীষীরা আসলে হিন্দুত্ববাদী বা ছুপা হিন্দুত্ববাদী। কাজেই গোবলয়ের হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুত্ববাদের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ওনারা সহি অস্ত্র নয়। 
     
    তাহলে পড়ে রইল কী? ইসলামিক শাসনে সোনার বাংলার চিত্র এবং তিতুমীর। এদুটোয় আবার আপনার বিশ্বাস নেই। কারন প্রাক-ইসলামিক শাসনের বাংলার সমৃদ্ধি এবং ইসলামিক শাসনে বাংলার সমৃদ্ধির তুলনা নিয়ে কোন আলোচনা নেই। এবং আমার মত আপনিও সাম্প্রদায়িক - তাই তিতুমীরে আমরা নেই। 
     
    বাঙালীর অবস্থা পুরো ফাঁপা ঘটির মত। বাজালে আওয়াজ খুব হয়, কিন্তু ঠোকা লাগলেই চৌচির। অন্য কোন প্রাদেশিকতার সামনে পড়লেই ভেঙ্গে খান খান।"
  • Ranjan Roy | ১১ মার্চ ২০২২ ২০:০১736008
  • প্রাসংগিকতা আমার কাছেও খুব স্পষ্ট হল না। বামেদের তো এখানে কোন প্রার্থী ছিল না।  গোবলয়ের সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের কাজ তো ওদেরই করতে হবে, বাঙালী কেন করতে যাবে? আগে  নিজের ঘর সামলাবে না?
    -- গোবলয়ের কিছু নিজস্ব সমস্যা রয়েছে।
      যেমন গরীব মানুষ হাতে- গরম ন্যায় চায়, ডিউ প্রসেস অফ ল নিয়ে ওদের কোন মাথা ব্যথা নেই।  কারণ ডিউ   প্রসেস ওদের জন্য ব্যয় ও সময় সাধ্য। তাই আদিত্যনাথ যখন বুলডোজার বাবা সম্বোধনে খুশি হয়ে প্রতিটি জনসভায় স্টেজের পাশে পতাকা লাগিয়ে একগাদা বুল্ডোজার দেখাতে লাগলেন জনতার একটা অংশ খুশি হল যে ১০ তারিখের পর মাফিয়া ও বাহুবলীদের প্রাসাদ গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে জেনে। 
    তার উপর রয়েছে ফ্রি রেশন --চাল ডাল নুন তেল সমেত, এবং দুটো করে --কেন্দ্রের রেশন ও রাজ্যের রেশন। এটা এবং পথেঘাটে গুন্ডাদের উৎপাত বন্ধের প্রচার ওনাকে মেয়েদের একগাদা ভোট দিয়েছে। ঠিক যেমন বঙ্গে মেয়েদের ভোট মমতা পেয়েছেন। 
     তারপর কাজ করেছে ভ্যাকসিনেশন ও ধর্মের মোড়কে রাষ্ট্রবাদ।
    নিঃসন্দেহে অ্যান্টি ইনকামবেন্সি ছিল, রোজগার শিক্ষা ও স্বাস্থ্য নিয়ে জনতার ক্ষোভ ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও জনতা আরেকবার ভরসা করেছে যোগী মোদী কমবাইনকে।
    অ্যান্টি ইঙ্কাম্বেন্সির প্রমাণ উপমুখ্যমন্ত্রীর পরাজয়, গন্না কৃষকের  বকায়া পেমেন্টের  রাগে গন্না মন্ত্রী রাণা হেরেছেন। জাঠ বলয়ে  মজঃফরপুর এলাকায় দাঙ্গায়  অভিযুক্ত সংগীত সোমের পরাজয়,  কোইরানায় --যেখান থেকে কেন্দ্রীয় গৃহমন্ত্রী ও যোগীজি প্রচার শুরু করেছিলেন -- মুসলিম প্রার্থীর জয়, অযোধ্যা জেলায় মন্দির এলাকা বাদে বাকি পাঁচটি বিধানসভায় বিজেপির পরাজয়। সবচেয়ে বড়  কথা -- প্রধানমন্ত্রীর উদ্ঘাটন করা বারাণসীর করিডোর এলাকায় বিজেপির সিটিং এম এল এ নীলকন্ঠ তিওয়ারির পরাজয় এবং লক্ষ্ণৌ শহরের একটি কেন্দ্রে পুজা শুক্লা বলে ছাত্রীটির বিরাট জয়। মেয়েটি ২০১৭ সালেই যোগীজিকে কালো পতাকা দেখিয়ে একমাস জেলে ছিল। 
    অখিলেশের জোট অন্ততঃ বেসিক সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলাকে মেইন লাইনে আনতে পেরেছে।
     
    কিন্তু এই ভোট দেখিয়ে দিল কৃষক আন্দোলনের ফল্টলাইন। এর ইম্প্যাক্ট পশ্চিম ইউপির জাঠ বলয় ( ১ম ও ২য় পর্ব) ছাড়া বাকি কোথাও বিশেষ দেখা গেল না। 
     মেইন্সট্রীম সংসদীয় রাজনীতি বোধহয় রিগ্রেসন টু মীন এর মত সেন্ট্রিস্ট দিকে মোড় নিতে শুরু করেছে।দুটো ইলেকশনে চেষ্টা করার পর পাঞ্জাবে আপের বিপুল জয় এবং ইউপিতে   সমাজবাদী জোটের অল্প সময়ে ভোট প্রতিশতে ১৪% বৃদ্ধি তার ইংগিত বলেই মনে হয়। 
  • দীপ | 42.110.144.111 | ১১ মার্চ ২০২২ ২০:২৯736009
  • পশ্চিমবঙ্গের মহাবিপ্লবীরা তো নিজেদের ঘর‌ই রক্ষা করতে পারেননি! পিসি-ভাইপো সিন্ডিকেটের কাছে লেজে-গোবরে একসা হয়েছেন! এখন মহাবিপ্লবীরা কেজরিওয়ালের মধ্যে নরম হিন্দুত্ব খুঁজে পাচ্ছেন! 
     
    কেজরিওয়ালের ত্রুটি-বিচ্যুতি, সীমাবদ্ধতা থাকতেই পারে, খুব স্বাভাবিক। কোনো মানুষই ত্রুটি বিচ্যুতির ঊর্ধ্বে নন। কিন্তু কেজরিওয়াল ভারতীয় রাজনীতিতে একটি নতুন ধারা এসেছেন। পুরো নতুন নয়, সাতের দশকে সমাজতন্ত্রী নেতা জয়প্রকাশ নারায়ণ এই রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এসেছিলেন। আমাদের পূর্ববর্তী প্রজন্ম সেই দিনগুলো দেখেছিলেন। বড়ো বড়ো তাত্ত্বিক বুলির পরিবর্তে তিনি সাধারণ মানুষকে তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সচেতন করে তোলেন। মূলত তাঁর ইন্দিরা বিরোধী আন্দোলনের ফলে কেন্দ্রে প্রথম অকংগ্রেসী সরকার গঠিত হয়।
    কেজরিওয়াল ঠিক এক পথেই চলেছেন। বড়ো বড়ো বুলি কপচাননি, সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা তুলে ধরেছেন, তাঁদের দাবিতে জোর দিয়েছেন। সেজন্য সাধারণ মানুষের সমর্থন পেয়েছেন; বিজেপি ও কংগ্রেসকে চূড়ান্ত পর্যুদস্ত করেছেন! 
    মানুষ তাঁকে বিশ্বাস করে দায়িত্ব দিয়েছেন, আশা করব তিনি সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে সেই বিশ্বাসের মর্যাদা রক্ষা করবেন।
  • দীপ | 42.110.144.111 | ১১ মার্চ ২০২২ ২০:৪৬736012
  • একটি গণতান্ত্রিক দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শিক্ষা ও স্বাস্থ্য। কেজরিওয়াল এই বিষয়গুলি কেই সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি ভালোভাবেই জানেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য উন্নত হলে সমগ্র সমাজ উঠে দাঁড়াবে। তাই দিল্লিতে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের ঘুঘুর বাসা ভেঙেছেন। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ নিয়ে বড়ো বড়ো বুলি কপচাননি, ঠাণ্ডা মাথায় নিজের কাজ‌‌ করে গেছেন। সেজন্য‌ই সাফল্য পেয়েছেন। 
    "ক্ষুধাতুর শিশু চায়না স্বরাজ, চায় দুটো ভাত একটু নুন"
    জয়প্রকাশ , কেজরিওয়াল এই সত্য খুব ভালোভাবেই জানেন! তাই নিজের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করেছেন! সামাজিক বৈষম্য একদিনে দূরীভূত হ‌য়না; তার জন্য ধাপে ধাপে কাজ করতে হয়! শিক্ষার প্রসারের মাধ্যমেই সমাজের বৈষম্য দূরীকরণ সম্ভব! কেজরিওয়াল সেটাই করেছেন!
  • দীপ | 42.110.144.111 | ১১ মার্চ ২০২২ ২০:৫৯736013
  • আর তসলিমার ব‌ই নিষিদ্ধ করে, তসলিমাকে রাজ্য থেকে তাড়িয়ে ধর্মনিরপেক্ষতার বড়াই না করাই ভালো! 
    আর এবার তো সবকিছু ছাপিয়ে গেছে! ফ্রান্সের শার্লি হেবদোতে আক্রমণের সমর্থক, জনৈক অভিনেত্রীকে গাছে বেঁধে চাবকাতে চাওয়া, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের সমর্থক জনৈক ধর্মোন্মাদকে তাঁরা প্রলেতারিয়েত নেতা হিসেবে দেখাতে চেয়েছেন! এখন তাঁরা ধর্মনিরপেক্ষতার বুলি কপচাচ্ছেন! মানুষ তো এত‌ই গাধা! 
     
     
  • দীপ | 42.110.144.111 | ১১ মার্চ ২০২২ ২০:৫৯736014
  • আর তসলিমার ব‌ই নিষিদ্ধ করে, তসলিমাকে রাজ্য থেকে তাড়িয়ে ধর্মনিরপেক্ষতার বড়াই না করাই ভালো! 
    আর এবার তো সবকিছু ছাপিয়ে গেছে! ফ্রান্সের শার্লি হেবদোতে আক্রমণের সমর্থক, জনৈক অভিনেত্রীকে গাছে বেঁধে চাবকাতে চাওয়া, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের সমর্থক জনৈক ধর্মোন্মাদকে তাঁরা প্রলেতারিয়েত নেতা হিসেবে দেখাতে চেয়েছেন! এখন তাঁরা ধর্মনিরপেক্ষতার বুলি কপচাচ্ছেন! মানুষ তো এত‌ই গাধা! 
     
     
  • দীপ | 42.110.144.111 | ১১ মার্চ ২০২২ ২১:১৪736016
  • এর আগেও ব‌হুবার বলেছি, নিজের দেশের সভ্যতা-সংস্কৃতি অস্বীকার করে কোনো আন্দোলন সফল হয়না। সেজন্য‌ই বিদ্যাসাগর স্মৃতিশাস্ত্র থেকে বিধবাবিবাহের সমর্থনে শ্লোক উদ্ধৃত করেন! যদিও মহাবিপ্লবীদের মতে বিদ্যাসাগর হিন্দুত্ববাদী, সাম্প্রদায়িক! 
    আর আমাদের দেশের মহাবিপ্লবীদের সঙ্গে দেশের সভ্যতার কোনো যোগ নেই! ভারতের সভ্যতার সবকিছুই তাঁদের কাছে হিন্দুত্ববাদ, ব্রাহ্মণ্যবাদ! রবীন্দ্রনাথ-বিবেকানন্দের চিন্তা নিয়ে আলোচনা করতে বললে তাঁরা মনুসংহিতা নিয়ে লাফাতে থাকেন! এইভাবে এঁরা বিজেপিকে আটকাবেন! 
    অবশ্য‌ই কেজরিওয়াল এঁদের মতো বুলি কপচে বিপ্লব করেননি, ঠাণ্ডা মাথায় নিজের কাজ করে গেছেন! 
  • দীপ | 42.110.144.111 | ১১ মার্চ ২০২২ ২১:২৫736018
  • আর আমাদের মহাবিপ্লবীরা কাজ করবেন কখন? তাঁরা তো রামমোহন, বিদ্যাসাগর, বঙ্কিম, রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দ, সুভাষচন্দ্র- সবার পিন্ডি চটকাতে ব্যস্ত! এই ব্লগেই একাধিকবার এইসব লেখা হয়েছে! তখন প্রতিবাদ করলে কুৎসিত গালাগালি দেওয়া হয়! এইভাবে এঁরা বিজেপির বিরোধিতা করবেন! গপ্পিবাজি মারার জায়গা পাননি! 
    "নন্দলাল সে একদা একটা করিল ভীষণ পণ, 
    স্বদেশের তরে যে করেই হোক রাখিবে সে জীবন।"
     
     
  • দীপ | 42.110.144.111 | ১১ মার্চ ২০২২ ২১:২৫736019
  • আর আমাদের মহাবিপ্লবীরা কাজ করবেন কখন? তাঁরা তো রামমোহন, বিদ্যাসাগর, বঙ্কিম, রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দ, সুভাষচন্দ্র- সবার পিন্ডি চটকাতে ব্যস্ত! এই ব্লগেই একাধিকবার এইসব লেখা হয়েছে! তখন প্রতিবাদ করলে কুৎসিত গালাগালি দেওয়া হয়! এইভাবে এঁরা বিজেপির বিরোধিতা করবেন! গপ্পিবাজি মারার জায়গা পাননি! 
    "নন্দলাল সে একদা একটা করিল ভীষণ পণ, 
    স্বদেশের তরে যে করেই হোক রাখিবে সে জীবন।"
     
     
  • দীপ | 42.110.144.111 | ১১ মার্চ ২০২২ ২১:৩২736020
  • "আমরা তামাকু চর্বণ করিয়া, উপাধান আশ্রয় করিয়া, দ্বৈভাষিকী কথা বলিয়া ভারতবর্ষের ‌পুনরুদ্ধার করিব।"
     
    বঙ্কিমের লেখা আজো প্রাসঙ্গিক!
  • S | 81.17.18.62 | ১১ মার্চ ২০২২ ২১:৩২736021
  • গুরুতে এই মহাপুরুষদের সমালোচনা করা হচ্ছে বলে ইউপিতে বিজেপি জিতছে? আমার ধারনা বিজেপিতে যারা ইউপিকে ভোট দিয়েছেন, তাঁদের অধিকাংশ এই বাঙালী মহাপুরুষদের নামও শোনেননি - নেতাজি বাদ দিলে (সেটাও বিজেপির মহিমাতে শুনেছে)।

    তা অপদার্থ বামেরা বিজেপি আটকানোর এই দায়িত্ব যে নেয়নি, ভালই হয়েছে তো। কেজরি আর দিদি মিলে বিজেপিকে ঠিক আটকে দেবেন।
  • হাহাহাহা | 2a0b:f4c2:2::32 | ১১ মার্চ ২০২২ ২১:৩২736022
  • মুলোচাড্ডিটা আবার পুচুর পুচুর করে পোস্টু মারছে। ৬টা হয়েই গেছে আরো কটা করে দেখি। নিজের একটা আস্ত পোস্টু লেখার ক্ষ্যামতা নেই এর তার লেখার নীচে উঞ্ছবৃত্তি করে বেড়ায়। 
  • দীপ | 2401:4900:382f:33a:1bbf:4408:2ab3:fb90 | ১১ মার্চ ২০২২ ২১:৩৫736023
  • S, আপনি বোধহয় বাংলা ভাষা ঠিকমতো বোঝেন না! সুতরাং আলোচনা নিরর্থক! আর আমি দিদিকে নিয়ে আসিনি! কোনো রঙের পাঁঠাদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আমি ন‌ই!
  • S | 81.17.18.62 | ১১ মার্চ ২০২২ ২১:৩৯736024
  • বাংলা কেন, কোনও ভাষাই ঠিকমতন বুঝিনা। সেটা ঠিক কথা। কিন্তু আপনার  দীপ | 42.110.144.111 | ১১ মার্চ ২০২২ ২১:২৫ এর পোস্ট পড়ে তাই মনে হল যে আপনি এখানে কাউকে দোষ দিলেন বিজেপির জেতার জন্য। ভুলই বুঝেছি তাহলে।
  • Dip | 2401:4900:382f:33a:1bbf:4408:2ab3:fb90 | ১১ মার্চ ২০২২ ২১:৪২736025
  • Again the scoundrels have collaborated to start their personal attacks! These personal attacks are the only weapons of these scoundrels! Even these scoundrels have no moral courage to write in their own names!
  • manimoy sengupta | ১৪ মার্চ ২০২২ ১৭:২১736029
  • এইরে ! থেমে গেল ?! চলুক না । হেব্বি 
    হচ্ছিল, মাইরি ! 
  • অপু | 223.191.56.21 | ১৫ মার্চ ২০২২ ১৪:৫৬736030
  • রঞ্জন দা, আমিও তো বাঙলা করে লিখেছিলামযে আপনি যা প্রেডিকসন করছেন তা মিলবে না। মানে মিলতে পারে না। আপনার অতীত পারফরম্যান্সের বিচারে। কাজেই বিরিয়ানি র আরেক দাবিদার হলুম আমি। smileysmiley
  • Ranjan Roy | ১৫ মার্চ ২০২২ ২০:৪৬736032
  • অপু,
      অবশ্যই।ঃ)))
  • dc | 122.164.84.143 | ১৫ মার্চ ২০২২ ২১:৩১736033
  • বিরিয়ানি কোথায় গেলে পাওয়া যাচ্ছে? 
  • Ranjan Roy | ১৬ মার্চ ২০২২ ১৫:২৫736038
  • আগামী বইমেলায় আমার সঙ্গে দেখা হলে!!!
     
    জেনে রেখ আমি ফিরে আসবই,
     সবাইকে  ফের ভালো বাসবই,
       বিরিয়ানি খাওয়াব,
      চা কফিতে নাওয়াব,
    ভুলব না সাথে নিতে পাসবই। 
  • রৌহিন | ২৫ মার্চ ২০২২ ২২:০৯736088
  • দীপবাবুরঅনেক কিছু বলার ছিল। শোনার কেউ ছিল না। এরকম হয়। একাকী দ্বীপের মধ্যে দীপ জ্বেলে যাওয়াতে একধরণের অবমাননা আছে। তার শুদ্ধিকরণ হয় একমাত্র বামৈস্লামিকদের ছিন্নভিন্ন করে দেওয়া বক্তৃতা দিয়ে। আরও আসুক। পেট পরিষ্কার হোক
  • mun | 2a0b:f4c2:3::84 | ২৫ মার্চ ২০২২ ২২:৫৫736089
  • এবাবা দীপ বাবুর বক্তব্য কেউ শুনতে চায় না কেন?
    এ কি অষ্টম বামফ্রন্ট সরকার গড়ার আবেদন?
     
  • দীপ | 42.110.144.172 | ২৫ মার্চ ২০২২ ২৩:৩৩736090
  • সপাটে লাথি খেলে অনেকে আবোলতাবোল বকতে থাকে! এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই! 
     
  • Ranjan Roy | ২৭ মার্চ ২০২২ ২৩:৫৭736100
  • এখনও কিছুই বুঝতে পারছি না। এই লেখাটা মূলতঃ ইউপির বিধানসভার ফলাফল নিয়ে। লেখক বঙ্গবাসী নন, বরং গোবলয় বাসী। এবং অবশ্যই বাম-বিপ্লবী নন। আর ব্যক্তিগত বিশ্বাসে নাস্তিক  হলেও বর্তমান সমাজে ধর্মের বিশেষ ভূমিকাকে একেবারেই উড়িয়ে দেওয়ার পক্ষপাতী নন।
     
    আর কখনই বামেরা দাবি করেনি যে জাঠবলয়ের কৃষক আন্দোলন বামেদের নেতৃত্বে হচ্ছে। বরং বঙ্গে  'নো ভোট টু বিজেপি' প্রচারে জাঠ নেতাদের উৎসাহে বামেরা কিঞ্চিৎ ্নাখুশ ছিলেন। 
     তবে তাঁরা সামিল ছিলেন। নেতৃত্বের প্রতিনিধি মণ্ডলে হান্নান মোল্লা ছিলেন --এগুলি তো চর্মচক্ষেই দেখা গেছে, কেউ বলুক বা না বলুক।
    তাহলে দীপবাবু কাকে সপাটে লাথি কষালেন?  কোত্থেকে শরৎ বঙ্কিম রবীন্দ্রনাথ এল?
  • দীপ | 2401:4900:3a08:3694:f529:2004:ce4a:97e6 | ২৮ মার্চ ২০২২ ০০:১১736101
  • রঞ্জনদা, আমি আপনাকে উদ্দেশ্য করে কিছু বলিনি।
    আর লাথি মারার কথা জনৈক শূকরশাবককে উদ্দেশ্য করে বলেছি। শূকরশাবক সর্বত্র হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িকতা দেখতে পায়। কিন্তু তসলিমার ব‌ই নিষিদ্ধ করার সময়, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তসলিমাকে বাড়ি গিয়ে হুমকি দেওয়াতে কোনো সমস্যা দেখেনা! নন্দীগ্রামে বিরোধীদের চক্রান্ত দেখতে পায়! জনৈক ধর্মোন্মাদ নেতার প্রকাশ্য হুমকিকে সাব‌অল্টার্ন রাজনীতি বলে! ঐ অনাদ্যন্ত শুয়োরের বাচ্চাকে উদ্দেশ্য করে বলেছি! 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত প্রতিক্রিয়া দিন