এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বাকিসব  মোচ্ছব

  • এক বিষণ্ণ নক্ষত্রের গল্প 

    Ranjan Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    বাকিসব | মোচ্ছব | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ১১৮৬ বার পঠিত
  • এক বিষণ্ণ নক্ষত্রের গল্প

    কাল সন্ধ্যেবেলা ইস্পাতনগরী ভিলাই থেকে টেলিফোন এল। কবি ও গদ্যশিল্পী সমরেন্দ্র বিশ্বাসের ফোন।

    -- গতমাসে গুরুগ্রামে আপনার বাড়ির আড্ডায় আপনার বন্ধু খোকন চক্রবর্তীর অদ্ভুত সব গল্প শুনিয়েছিলেন না? যিনি একসময় ভিলাই সিভিক সেন্টারের বাটার জুতোর দোকানে কাজ করতেন? ওনার ভাল নাম কী?

    -- মনোজ; মনোজ চক্রবর্তী।

    -- হ্যাঁ, মনোজ চক্রবর্তী। উনি একটু আগে মারা গেছেন। বহুদিন ডিমেনশিয়ায় ভুগছিলেন, এটা জানতেন?

    সন্নাটা, সন্নাটা।

    -- রঞ্জনদা, আপনার শরীর ভাল আছে তো?

    -- হ্যাঁ, ঠিক আছি। তুমি কি শ্মশানে যাচ্ছ?

    -- কাল সকালে ন’টার সময়। জানেনই তো, হিন্দি বলয়ে সূর্যাস্তের পর শ্মশানে কোন কাজ হয় না।

    -- ঠিক আছে। কাল যখন যাবে আমার হয়ে কিছু ফুলের পাপড়ি ওর বুকের উপর ছড়িয়ে দিও।

    আপনাদের একটা গল্প শোনাই। এক আশ্চর্য মানুষের গল্প। এক বিষণ্ণ মানুষের গল্প। মানুষের প্যাশন কীভাবে বাধার জগদ্দল পাথর সরিয়ে দেয় তার গল্প।

    ওর সঙ্গে আমার পরিচয় সত্তরের দশকের গোড়ায়। ভিলাইয়ে বঙ্গীয় কৃষ্টি পরিষদের লাইব্রেরিতে, বাংলা বই ঘাঁটার সময়ে। রাম বসুর অনুবাদে হো চি-মিনের জেলের কবিতা – ‘সময় কাটাতে হবে দাবা খেলা শিখেছি আমরা’।

    লাইব্রেরিয়ানের টেবিলে নতুন বইটি দেখামাত্র বগলদাবা করেছি, কিন্তু ওটা নাকি আরেকজন আগে থেকে বুক করেছে?

    আমার রাগে শরীর রী রী করে। আমি সদ্য কোলকাতা থেকে আসা আগ মার্কা মুরগির ডিম। আমার আগে ও হো চি-মিন পড়বে? বইটা আগে ছুঁয়েছে? কে সে? কৌন হ্যায় ও বদতমীজ?

    বইয়ের র‍্যাকের আড়াল থেকে বেরিয়ে আসে এক ছিপছিপে লম্বা তরুণ। মুখে এক বিষণ্ণ হাসি। অসম্ভব নম্র গলায় বলে — আপনি আগে পড়বেন? বেশ, নিয়ে যান। কিন্তু ফেরত দেবার আগে আমাকে জানাবেন। আমি নেব।

    আমি লজ্জা পাই। সেই লজ্জা ঢাকতে ওর সঙ্গে গড়ে তুলি এক বন্ধুত্বের সম্পর্ক। এক অসম বন্ধুত্ব। স্বভাবে আমরা যে উত্তর ও দক্ষিণ মেরু।

    একজন সুভদ্র, বিনয়ী, স্বল্পবাক, ভীড়ের মধ্যে নিজেকে লুকিয়ে ফেলতে চায়। আরেকজন উচ্চকিত, বকবকম, নিজেকে সদা জাহির করতে ব্যস্ত।

    একজন কোলকাতা থেকে পাসকোর্সে বিএ পাশ করে ভিলাই এসেছে। চাকরি করে বাটার দোকানে। বাকি সময়টায় চার চারটে টিউশনি। তাকে টাকা পাঠাতে হয়। সে বাড়ির বড় ছেলে। বাবা-মা-ভাই-বোন পূর্ব পাকিস্তানে।

    আরেকজন কলকাতায় ইকনমিক্সে অনার্স পড়া ছেড়ে এখানে বাপের হোটেলে খাচ্ছে দাচ্ছে। সে জানে “এই শিক্ষাব্যবস্থায় যে যত পড়ে সে তত মূর্খ হয়”।

    পূর্ব সীমান্তে যুদ্ধের কালো মেঘ, বাংলাদেশ জন্ম নেওয়ার আগের প্রসবযন্ত্রণা।

    খোকন অ্যারেস্ট হয়ে গেল। ও নাকি নকশাল! ও বিপ্লব করতে চায়? সমাজ পাল্টাতে চায়?

    কিন্তু ও যে বড্ড ক্লান্ত। ফুটবল খেলাও ছেড়ে দিয়েছে। সেদিন একজন ওকে সাইকেলের সামনের রডে বসিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। সেই অবস্থায় ও ঘুমিয়ে পড়েছিল, সাইকেল থামামাত্র ধপ করে পড়ে গেল! ওকে কেন ধরল?

    অনেক টর্চার সহ্য করে কয়েকমাস পরে ও ছাড়া পেল। বাটার দোকানের চাকরি, টিউশ্যন সব ফিরে পেল। ও জানতে পারল ওকে কত লোক ভালবাসে। বিষণ্ণ হাসিটি মাঝে মাঝে দেখা যেতে লাগল।

    ইতিমধ্যে বাংলাদেশ হোল। সীমান্ত পেরিয়ে ওর বাবা-মা-ভাইবোন সব এলেন ভিলাইয়ে ওর এককামরার কোয়ার্টারে। খোকন সাতটা টিউশন করতে শুরু করল। ওর মাইনে এবং পাঁচটা টিউশন পরিবারের জন্য, বাকি দুটো বই কেনার জন্য।

    হ্যাঁ, ও নিয়মিত বই কিনত। ঘরে রাখার জায়গা নেই। তাই ভিলাই সিভিক সেন্টারের বাটার দোকানের ওপরে গোডাউনের এককোণায় থাকত বইপত্তর। আমি ওকে এক্সপ্লয়েট করতাম। দেশ পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে ওকে ধরতাম-খোকনবাবু, বার্ট্রান্ড রাসেলের অটোবায়োগ্রাফি বাংলায়, ব্রেখটের কালেক্টেড ওয়ার্কস, -- অমুক পাবলিশার্স, তমুক প্রকাশন -- এই যে ঠিকানাটা।

    ও মানি অর্ডারে টাকা পাঠাত। বই এলে খবর পাঠাত। আমি আগে পড়ব, তারপরে ও; এটাই নিয়ম — সেই রাম বসুর অনুবাদের দিন থেকে।

    ধীরে ধীরে সংসারের অবস্থা বদলে গেল। ভাইয়েরা নিজের পায়ে দাঁড়ালেন। বোনের বিয়ে হোল। কিন্তু আমাদের সম্পর্ক সেই একই রকম। আমি বাটার দোকানে উঁকি মারলেই ও অন্যদের একটু দেখতে বলে বাইরে বেরিয়ে আসত। আমরা মোরাম বিছানো রাস্তায় হাঁটতাম আর কথা বলতাম। আমিই বলতাম বেশি, ও শুনত, মুখে লেগে থাকত সেই বিষণ্ণ হাসি। আমি ওকে খেপানোর চেষ্টা করতাম, যদি একটু জোরে হাসে বা রেগে গিয়ে চেঁচায় -- বৃথা চেষ্টা।

    -- বামুনের ছেলে, সকালসন্ধ্যে যার তার পা ধরে জুতো পরাচ্ছেন — সাত নম্বর, নাকি ছ’ নম্বর। লজ্জা করে না? অস্বস্তি হয় না? জাতধর্ম সব খুইয়ে বসে আছেন?

    -- ইন্ডাস্ট্রিয়াল সোসাইটিতে হয়ত এভাবেই জাতপাতের অহংকার ঘুচে যায়। আমি পৈতে ফেলে দিয়েছি।

    ধ্যাত্তেরি!

    কিন্তু ক্রমশঃ টের পেলাম যে আমি তেলাপোকা হলেও ও কিন্তু রেশমের গুটিপোকা; একদিন ঠিক সুতো কেটে বেরিয়ে আসবে। কখন টের পেলাম?

    আমি শিং ভেঙে বাছুরের দলে ঢুকেছি, কলেজে ভর্তি হয়েছি — অংক, ইকনমিক্স ও ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে। এখানে অনার্স বলে কিছু হয় না।

    খোকন এল। আমার ছাত্রেরা ক্লাস এইটে উঠেছে, সব সাবজেক্ট পড়াতে হয়। একটু অ্যালজেব্রা দেখিয়ে দেবেন? এ প্লাস বি হোল কিউব অব্দি অসুবিধে নেই, কিন্তু এ প্লাস বি প্লাস সি হোল কিউবে অসুবিধে হচ্ছে। আর জিওমেট্রিতে এক্সটার্নাল অ্যাঙ্গেল বাইসেক্টর।

    পরের বছর। আবার এল খোকন। ওরা নাইনে উঠেছে। একটু অ্যাপোলোনিয়াস থিওরেম, সাইন থিটা, কস থিটা, সার্ড, ইন্ডিসেস। সাইমল্টেনিয়াস ইকোয়েশন।

    আমি হতবাক। এবার কিন্তু বাড়াবাড়ি হচ্ছে খোকনবাবু!

    -- প্লীজ, একটু চেষ্টা করুন না; নইলে আমার টিউশনগুলো চলে যাবে। অগত্যা—

    পরের বছর ফের হাজির।

    আমি বিরক্ত। এবার কী? কোয়াড্রাটিক ইকুয়েশন? কোওর্ডিনেট জিওমেট্রি অফ টু ডাইমেনশন? সলিড জিওমেট্রি? এপি ও জিপি সিরিজ? লগারিদম? হবে না। ইয়ার্কি পেয়েছেন? যা খুশি তাই করবেন?

    লাজুক বিষণ্ন হেসে বলে -- প্লীজ, একটু চেষ্টা করুন না; নইলে আমার টিউশনগুলো চলে যাবে।

    পরের বছর আবার। ওর ছাত্রেরা ইলেভেনে উঠেছে যে। ক্যালকুলাস।

    আমি আর অবাক হই না। বুঝতে পারি, টিউশন চলে যাওয়ার ভয় নয়, ও অংককে ভালবেসে ফেলেছে। তাই একলব্যের মত একা একা আঁক কষে, উত্তর মেলায়। ছাত্রদের পড়ায় এবং নিজে শিখে যায়।

    দুর্গ গভর্নমেন্ট কলেজে মর্নিং সেকশনে হিউম্যানিটিজ। খোকনও ভর্তি হোল একই কলেজে—ইংরেজিতে মাস্টার্স করবে, স্বপ্ন দেখে কলেজে সাহিত্য পড়াবে। অধ্যাপক হবে। কিন্তু প্রথম গ্রাসে মক্ষিকাপাত। পরীক্ষার খাতায় প্রিয় কবি রবার্ট ব্লেকের উপর পঁচিশ পাতার প্রবন্ধ নামিয়ে দিল। ফলে পাঁচটা প্রশ্নের জায়গায় তিনটের উত্তর লিখতে পেরেছে।

    ধুর মশাই! পরীক্ষা তো একটা গেম, নিয়ম মেনে স্ট্র্যাটেজি করবেন না? এখন ফাইনাল ইয়ারে ফার্স্ট ক্লাস পেলেও গড় নম্বর তো সেই সেকন্ড ক্লাস হবে। নিজের পায়ে কুড়ুল মারলেন? ফার্স্টক্লাস পেলে তবে এমফিল, তারপর --। দিল্লি অনেক দূর যে খোকনবাবু!

    কিন্তু আমি খোকনকে চিনতে পারি নি। চাকরিসূত্রে ছত্তিশগড়ের গাঁয়ে থাকি। পড়াশুনোর থেকে শতহস্ত দূর। কয়েক বছর পরে ভিলাই এসে জানলাম খোকন রাশিয়া গেছে রুশী ভাষায় অ্যাডভান্স কোর্স করতে - এক বছরের। ও নাকি এমন রুশ শিখেছে যে গোটা দেশে প্রথম, দুইন্যার মইধ্যে একনম্বর।

    আরও দুটো বছর। খোকন এখন ভিলাইয়ে ফরেন ল্যাংগুয়েজ ইন্সটিটুটে রুশ ভাষার প্রফেসর। ভিলাই হোল ভারত-রুশ কোলাবরেশনের ফসল। প্রতিবছর কিছু যন্ত্রবিদকে রাশিয়া যেতে হয়। ফলে খোকনের খুব কদর। ও নাকি সবচেয়ে ভাল পড়ায়। অনেকে বাড়িতে ডাকে, ঘরে এসে পড়িয়ে দেবার জন্য।

    না, বাটার দোকানের চাকরিটি ছাড়ে নি। রাশিয়ান পড়ায় রাত্তিরে।

    এরপর এল পেরেস্ত্রইকা গ্লাসনস্ত। বিশাল সোভিয়েত রাশিয়া ভেঙে খন্ড খন্ড। রুশ ভাষা শেখার ক্রেজ উধাও। এখন প্রযুক্তিবিদেরা যান স্কটল্যান্ডে বা অন্য ইউরোপিয় দেশে। ফরেন ল্যাংগুয়েজ ইন্সটিট্যুটের দরজার তালায় জং ধরেছে।

    কিন্তু খোকনের স্বপ্নে জং ধরেনি, ও হাল ছাড়ে না।

    বহুবছর পরে দেখা। বন্ধুদের কাছে শুনলাম—ওর এখন খুব নাম অংকে। কলেজে পড়া ছেলেমেয়েরা ওর কাছে ম্যাথসের টিউশন পড়তে আসে। ও পড়ায় থ্রি-ডাইমেনশনাল জিওমেট্রি, ভেক্টর অ্যালজেব্রা, টেলর ও ম্যাকলরেন সিরিজ, স্ফেরিক্যাল অ্যাস্ট্রোনমি। আমার ভয় করে, ও কি অন্য গ্রহ থেকে এসেছে?

    আমার জেদ চেপে যায়। ইউনিভার্সিটির প্রস্পেক্টাস কিনে ওর সঙ্গে দেখা করি।

    চলুন খোকনবাবু, একসঙ্গে ফিলজফিতে মাস্টার্স করব, প্রাইভেটে। ম্যাথমেটিক্যাল লজিক স্পেশাল পেপার নেব।

    ও এককথায় রাজি। কিন্তু বলে — আগে ম্যাথসে মাস্টার্স করলে ভাল হবে। আমাকে ধরিয়ে দেয় রিয়েল নাম্বার্স ও ফুরিয়ের সিরিজের বই। আমি লাফাতে লাফাতে ঘরে ফিরি।

    কিন্তু আমি তো খোকন চক্রবর্তী নই। আমার অংকের বইখাতায় ধূলো জমে।

    তিনবছর আগে ভিলাইয়ে প্রবীরদার (প্রবীর চন্দ, ভিলাই স্টিল প্ল্যান্টের পাইলট কাম গ্রাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার) স্মরণ সভায় যাই। নতুন প্রজন্মকে স্মরণ করিয়ে দিই যে নাটক ও গান-পাগল প্রবীরদা সত্তর-আশির দশকে কোলকাতার ময়দানে বীরসেনের সিল্যুয়েট দলের পথনাটিকায় প্রধান অভিনেতা ছিলেন। সেটা দেখে মৃণাল সেন ওঁর ক্যালকাটা-৭১ সিনেমায় ওদের তিনবন্ধুকে ছোট ভূমিকায় নিয়েছিলেন।

    হঠাৎ খেয়াল হয়, তিনটে বাড়ির পরেই খোকন থাকে। বলি, দেখা করতে যাব। ওঁর ভাই বলেন -কোন লাভ নেই। দাদা এখন ডিমেনশিয়ার স্বীকার। কিছু মনে নেই, কাউকে চিনতে পারে না।

    ও ভালবেসেছিল এক নারীকে, একেবারেই ওর সঙ্গে কোন মিল নেই এমনই সে মেয়ে। ও প্রতিদানের আশা করে না, শুধু ভালবাসে। একেবারে বৈষ্ণব দর্শনের অহৈতুকী প্রেম। একই ভাবে ও ভালবেসেছিল অংককে, রাশিয়ান ও ইংরেজি সাহিত্যকে — কোন প্রতিফলের আশা না রেখে।

    কাল যখন খবরটা এল আমি দেখতে পেলাম ও ভগবানের কাছে গিয়ে কলিং বেল টিপে লাজুক হেসে চৌকাঠে দাঁড়িয়ে বলছে — আপনি দুনিয়াটা বড় সুন্দর বানিয়েছেন, কিন্তু কিছু কিছু ভুল রয়ে গেছে। আপনি একটু চেষ্টা করলেই সব শুধরে যাবে। একটু চেষ্টা করুন না, প্লীজ!

    ==========================================================
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ranjan Roy | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২৩:২৭734924
  • অ্যাডমিন,
    এটা  নেট স্লো হওয়ায় ডাবল হয়েগেছে। প্লীজ উড়িয়ে দিন।
  • সমরেন্দ্র বিশ্বাস | 2405:201:3005:dfa6:85cb:2bf7:5b8d:692b | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৯:০৬734925
  • খোকন (মনোজ) চক্রবর্তী, যিনি ভিলাই-এর সিভিক সেন্টারে Bata –র দোকানে কাজ করতেন, তাকে আমি চিনতাম। আমার শ্বশুর বাড়িতেও কখনো কখনো আসতেন। ১০ই সেপ্টেম্বর-২০২১, হঠাৎ খবর পেলাম, খোকন দা মারা গেছেন। মনটা খুব খারাপ হয়ে গেলো। আমি তাকে সামান্যই দেখেছি – তাতেই মনে হয়েছে তিনি এক অসাধারণ মাপের মানুষ, মনটা তার শিশুর মতো সরল, অসাধারণ জ্ঞান-পিপাসু, সংসারী জীবনে এক লড়াকু ব্যক্তিত্ব!

     

    রঞ্জন রায়-এর আরো কাছ থেকে খোকন দা-কে দেখেছেন। তার এই লেখাটি ‘এক বিষণ্ণ নক্ষত্রের গল্প’  পড়ে অভিভূত হয়ে গেলাম। ভিলাই-এর Bata-দোকানের খোকন চক্রবর্তীকে আরো আরো বেশী করে জানলাম। ব্যতিক্রমী এই মানুষটিকে যথাযথ ভাবে তুলে আমার জন্যে সুলেখক রঞ্জন রায়কে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ।

  • সমরেন্দ্র বিশ্বাস | 2405:201:3005:dfa6:85cb:2bf7:5b8d:692b | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৯:১১734926
  • সংশোধন - দ্বিতীয় প্যারার প্রথম লাইনটা পড়তে হবেঃ  'রঞ্জন রায় আরো কাছ থেকে খোকন দা-কে দেখেছেন।' 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন