এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • মা হওয়া

    স্বাতী রায় লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১২ মার্চ ২০১৮ | ৮২০ বার পঠিত
  • মা হওয়া। একটা আনন্দজনক, মন আলো করা কথা। মাতৃত্ব ব্যাপারটা নিয়ে আমাদের দেশে যত আলোচনাই হোক, সেটি অর্জনের পূর্ব-মুহূর্তের কথাগুলো কিন্তু ধামাচাপা দেওয়া থাকে। ছিঃ ওগুলো নেহাত-ই ব্যক্তিগত ব্যাপার – ওসব নিয়ে আবার আলোচনা করে নাকি কেউ?

    আমিও করতাম না। যদি না এই লেখাটা ( https://qz.com/1177627/assault-and-battery-in-the-delivery-room-the-disturbing-trend-of-obstetric-violence/?utm_source=kwfb&kwp_0=716657) কাকতালীয় ভাবে চোখে পড়তো। মনে হল একটু কথা হোক। নন-আকাডেমিক পরিসরের আলোচনা। আমার শরীর, আমার দায় – স্তরের কথা। তবে যে দেশে এখনো ৮০% মেয়েও ইন্সটিট্যুসনাল ডেলিভারির আওতায় আসে না, সেদেশে এ সব আলোচনা খুব বেশি প্রাসঙ্গিকতা পায় না। তার উপর এ আবার মেয়েদের সমস্যা। তবু সমস্যাটা সমস্যাই, যদি মাত্র ক’জনের হয় , তাও সমস্যা। তাই তুলে ধরার চেষ্টা। আলোচনা হোক।

    এমনিতেই আমাদের দেশে, মধ্যবিত্ত পরিবারে শিশু-জন্মের প্রক্রিয়াটি একটি ব্যবসার অন্তর্গত। যে ব্যবসার অংশীদার নার্সিংহোম এবং প্রাইভেট হাসপাতালগুলি। এমনিতেই সেখানে সিজারিয়ান বেবির প্রাবল্য বেশি – কেন সেটা বোঝা কঠিন নয় মোটেই। যেটা আশ্চর্যের ব্যাপার হল মেয়েরাও অনেক সময় কেমন স্বতঃসিদ্ধ ভাবে ধরে নেন যে বাচ্চা তো সিজারিয়ান-ই হতে হয়। অবশ্য আরেক দিক দিয়ে ভাবলে খুব আশ্চর্যও নয় ব্যাপারটা – ক্রমাগতঃ একটা ব্যাপার আলোচনা হতে থাকলে সেটাই যে একসময় একমাত্র সত্যি হয়ে যাবে তাতে আর অবাক হওয়ার কি আছে। আর তার উপর যে ব্যাপারে খরচ বেশি সেটাই যে বেশি ভালো এমন ধরণের একটা ধারণাও বেশ চলে বাজারে। সে যাই হোক, সেটা যার যার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এই সব কিছুর হাত ছড়িয়ে খুব খুব সামান্য সংখ্যক মেয়ে নরম্যাল ডেলিভারির দিকে ঝোঁকেন। কিছুজন নিজের ইচ্ছায়, কিছু জন নেহাত-ই বিরল প্রজাতির কিছু দেবতা-সুলভ ডাক্তারের তৎপরতায়। দ্বিতীয় প্রজাতির লোকেরা ভাগ্যবতী আর ধরে নিচ্ছি তাদের সমস্যাটা তুলনামূলক ভাবে কম।। আমরা বরং প্রথম দলটিকে দেখি।

    নরম্যাল ডেলিভারি’র কথা তো হল। কিন্তু সেই ডেলিভারি কি ইন্টারভেনসন ফ্রি হল? বা কখন কি অবস্থায় ডাক্তার কি ধরণের কি ইন্টারভেনসন করতে পারেন সেটা কি আপনি আগে থাকতে জানতে পারলেন? উঁহু ওসব ভুলেও ভাববেন না। এ দেশে ডাক্তারেরা নির্দিষ্ট ডেলিভারি ডেটের আগে আপনাকে বলবেন, আপনার কবে কখন ব্যথা উঠবে আমি কি সেজন্য বসে থাকবো বলুন? অমুক ডেটের মধ্যে ব্যথা না উঠলে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে যাবেন। ইঞ্জেকসন দিয়ে পেন তুলবো! হ্যাঁ এই মহাশয়ের কাছেই আপনি প্রথম থেকেই জানিয়ে রেখেছেন যে আপনি কোন বিপত্তি না হলে সম্পূর্ণ নরম্যাল ডেলিভারিই চান। এবং বিগত আট মাসে ধরে আপনি এনারই পরম যত্নে নিজেকে সুরক্ষিত মনে করেছেন। এরকম সম্ভাবনার কথা যদি আগে না ভেবে থাকেন তাহলে দোষটা আপনার, একমাত্র আপনার। সত্যিই তো আপনার ডাক্তারের কি নিজস্ব কোন কাজ-কর্ম নেই? তিনি কি শুধু-ই আপনার জন্য বলি-প্রদত্ত?

    কোনক্রমে যদি এ ফাঁড়া কাটিয়ে উঠলেন, এবার নার্সিং হোমে ভর্তির পালা। সেখানে ভর্তি হওয়ার পরে যা যা হয়, সে বরং কেতকী কুশারী ডাইসনের কলমে শোনা যাক।

    [ জল ফুঁড়ে আগুন, আনন্দ, প্রথম সংস্করণ জুন ২০০৩]
    “ ট্যাক্সিতে করে যাচ্ছেন, আর ট্যাক্সির ভেতরেই নাকি একের পর এক জোরালো কনট্র্যাকসন হয়ে যাচ্ছে। যেই হাসপাতালে ঢুকলেন , একজন নার্স তাঁকে একটা ছোট ঘরে নিয়ে গিয়ে একটা চেয়ার এগিয়ে দিয়ে বললেন, ‘বসুন’, আর মা যেই না বসলেন, অমনি নাকি তাঁর জল ভেঙ্গে গেলো। তখন নার্সরা বাবাকে বললেন, আপনি একটু বাইরে যান না’। মা চেঁচামেচি আরম্ভ করলেন, ‘আমার স্বামী আমার সঙ্গে থাকবেন, সেই রকমই কথা হয়ে আছে।‘ নার্সরা বললেন, ‘থাকবেন। এক্ষুণি ফিরে আসবেন। আগে আপনাকে তৈরি করে নিই আমরা।‘
    তৈরি করার মধ্যে তাঁরা কেবল মা-র বাইরের কাপড় ছাড়িয়ে হাসপাতালের গাউনটা পরিয়ে নিতে পেরেছিলেন, আর কিছু পারেন নি। তখন মা-র একের পর এক প্রবল কনট্র্যাকসন হয়ে যাচ্ছে। তাঁকে সেই ঘরেই একটা বিছানায় শুইয়ে দিয়ে বাবাকে ফের ডেকে আনতে হয়। রিংগো মহারাজ বেশ তাড়াতাড়িই দুনিয়ায় অবতীর্ণ হয়ে যান। আমি হয়েছিলাম এক জন পেশাদার অবস্টেট্রিশ্যানের হাতে, কিন্তু রিংগো ভূমিষ্ঠ হয় একজন স্টুডেন্ট মিডওয়াইফের তত্বাবধানে। পরে দু’-একটা সেলাই লেগেছিলো, সেটা এসে করে দিয়ে যান একজন জুনিয়র ডাক্তার।
    মা বলেন, ছাত্রী ধাত্রীর নেতৃত্বে এই দ্রুত লয়ের কাজের একটা লাভ হয়েছিলো এই যে নার্সরা তাঁকে অযথা জ্বালাতন করতে পারে নি। মা-র সব থেকে আনন্দ হয় একটা বিশেষ কারণে, যেটা মা ব্যক্ত করেছেন আমার কাছে। সমস্ত ব্যাপারটা এত তাড়াতাড়ি হয়ে যায় যে নার্সরা মা-র যোনিদেশের চুল কামিয়ে নেবার সময় পান নি। মা বেঁচে গেছেন। আমি হবার সময়ে মাকে ঐ বিশ্রী ব্যাপারটা সহ্য করতে হয়েছিলো। প্রক্রিয়াটা এমনিতেই অস্বস্তিজনক, তার পর চুলগুলো যখন আবার গজাতে শুরু করে, সেই খোঁচাখোঁচা অবস্থাটা নাকি আরোই বিরক্তিকর।“

    এ তো বিলিতি হাসপাতালের গল্প, এ দেশের হাসপাতালে আরও অনেক কিছু হয় যেগুলোর জন্য কেউ নতুন মা হতে যাওয়া মেয়েটিকে তৈরি করে না। তার মধ্যে আয়াদের অশ্লীল রসিকতা থেকে শুরু করে ডায়ালেট করা শুরু হয়ে যাওয়ার পরেও ড্যুস দিয়ে পেট পরিষ্কার করানোর জন্য বারে বারে তাকে বারে বারে বাধ্যতামূলক টয়লেটে পাঠান অবধি সব কিছুই থাকতে পারে।

    ব্যথা সহ্য করতে পারবেন তো? না কি এপিডিউরাল লাগবে? অবশ্য আপনার ভাবাভাবিতে অনেক জায়গাতেই কিচ্ছু যায় আসে না, ডাক্তার বা নার্স যা ভালো বুঝবেন তাই করবেন। অবশ্য এর একটা উল্টো দিকও আছে। ধরা যাক আপনি কারোর সামনে চেঁচামেচি করাটা অসভ্যতা মনে করে প্রাণপণে সেই বিরিঞ্চি-বাবা খ্যাত ট্রেন-কলিসনের কথা মনে করে করে প্রায়-বেরিয়ে যাওয়া আর্তনাদকে আবার রিটার্ন ভলিতে পেটের ভিতর পাঠিয়ে দেন, তাহলে আপনি আচিরেই বুঝবেন আপনি কি গাড্ডায় পড়েছেন। আপনাকে লেবার রুমে নাও নিয়ে যেতে পারে। না চেঁচালে আবার ব্যথা কি!

    পরের শকটা আপনার কপালে নাচছেই, অন্তত এক নম্বর বাচ্চার বেলায় তো বটেই। এপিসিওটেমি। যেটা ভারতে প্রায় নর্মাল একটা ব্যাপার। যতই সেটা ইন্টারন্যাশনাল পর্যায়ে বলা হোক না কেন যে নিতান্ত প্রয়োজন না হলে না করতে। কেউ আপনাকে কাজটা করার আগে জানাবেনও না, বা পরেও কেউ আপনার সঙ্গে আলোচনা করবেন না কেন এই এপিসিওটেমিটা করতে হল বা মিডলাইন না মিডিওল্যাটেরাল কি ধরণের ইনসিসন করা হল। অথবা তার কি কি রিস্ক হতে পারে। পরে যখন আপনার একটা না একটা সমস্যা দেখা যাবে, তখন তো আর এই ডাক্তারের দায়িত্ব নেই। আর মেয়েদের ইনকন্টিনেন্সের সমস্যা বা যৌনজীবনযাপনের সমস্যা নিয়ে কেই বা কবে কথা বলেছে এ “দুর্গামাঈ কি জয়” –এর দেশে?

    আর একটা মজার কথা আপনি লক্ষ্য করবেন যে লেবার রুমের কোন আকস্মিকতায় সিদ্ধান্ত নেবেন আপনার বাড়ির লোক। যে সব সম্ভাব্যতার আলোচনা আগে থেকে হলে আপনি ঠাণ্ডা মাথায় ভেবে চিনতে আপনার মতামত জানাতে পারতেন, এই ফায়ার-ফাইটিং সিচ্যুয়েসনে আপনি কিন্তু সেই অধিকার হারাচ্ছেন।

    ব্যস হয়ে গেছেন আপনি মা। বাচ্চা দেখিয়ে নিয়ে গেছে তো! এরপর বাচ্চা থাকবে নার্সারিতে। ওই সব স্কিন-টু-স্কিন কেয়ার আবার কি? প্রসবের পরে মেয়েদের বিশ্রাম লাগে জানেন না? একটা মাইল্ড সিডেটিভ দেওয়াই তো উচিত। ঘুমোন, ঘুমোন। এরপর আনন্দে, প্রসব-জনিত ক্লান্তিতে আপনি আর খেয়ালও করবেন বাচ্চাকে নার্সারিতে বাইরের দুধ খাইয়ে বড় করা হচ্ছে। আর যদি খবরদার ভুলেও তার প্রতিবাদ করেন, তাহলে আপনাকে বাচ্চার আপাত-অসুস্থতা, ওয়েট-লস দেখিয়ে বোঝান হবে যে আপনার শিশুর প্রাণ বাঁচানোর স্বার্থেই তাকে নার্সারির আদরে রাখা দরকার! কতখানি কঠোর হতে পারবেন আপনি যে তারপরেও বলবেন যে আমার বাচ্চা আমার সঙ্গেই থাকবে? নেহাত-ই যদি ডাক্তারির ছাত্রী না হন, কতটাই বা আপনি জেনে রাখবেন যাতে ধরতে পারবেন যে এসব ভয় দেখান কথা! অথবা সেই সময়ে কি করেই বা মাথা ঠান্ডা রেখে দাবী করবেন দ্বিতীয় ডাক্তারের মতামত!

    পরে অবশ্য আপনি জানতে পারবেন যে ওই জন্ম-পরবর্তী ওজন কমাটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্ত ততদিনে তো আপনি বাড়ি চলে এসেছেন সন্তানটিকে নিয়ে। আর জেনে এসেছেন, মা হওয়া কি মুখের কথা!
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১২ মার্চ ২০১৮ | ৮২০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • প্রতিভা | 125.96.130.120 (*) | ১২ মার্চ ২০১৮ ০১:৩৬64142
  • লেখাটা খুবই বাস্তবানুগ। নিজের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা মনে পড়িয়ে দিল।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন