ঘটনার শুরুয়াত কিছুদিন আগে, সুফির মুখেভাতের সময়ের আশপাশ দিয়ে। শ্যামল দা ছবি বানায় না তাও বছর ছয়-সাত তো হবেই। এর মাঝে সাকুল্যে তিন-চারবার দেখা বা কথা হয়েছে ফোনে। একবার আমি গিয়েছিলাম 'আজাদ বিশ্বাস অন্তর্ধান রহস্য'-তে একটা চরিত্র করার প্রস্তাব নিয়ে। শ্যামল দা সেটা করবেও বলেছিলো, যথারীতি আমিই শ্যুট শুরু করেও আর ছবিটা করে উঠতে পারিনি নানা কারণে। তারপর গতবছর ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ফোন করেছিল ভোপাল থেকে, 'জিঙ্গেল বেল আইটি সেল' দুর্দান্ত হয়েছে বলার জন্য। এইভাবে একটা ষড়যন্ত্রমূলক যোগাযোগ রয়ে গিয়েছিলো নিতান্তই মহাকালের ইচ্ছায়। আমার ইচ্ছা থাকলেও উপায়ের বড়ই অভাব, কারণ সত্যি বলতে ২০১৪ থেকে এখনও অবধি আমি সেই চলচ্চিত্তচঞ্চরীর ঈশানবাবুর মতোই মহাশূন্যে গোঁত্তা খাচ্ছি। ... ...
ধরিত্রী শব্দটির মধ্যে ছিল বেঁচে থাকার মন্ত্রণা।সমুদ্র দিয়েছিল তার সন্ধা ... ...
পরোয়ানাহীন মৃত্যুভূমিতে বেঁচে আছি। তাই বলে বিক্রি কমে নি চারিদিকে ... ...
বাংলাদেশ গতকাল এক অভূতপূর্ব কাণ্ড করে ফেলেছে। ক্রিকেট বেশ কিছুদিন ধরেই আমরা ভাল খেলছি কিন্তু খেললেও ফলটা আসাছিল না হাতে, কালকে সেই অধরা ফল ধরা দিয়েছে। ... ...
'গহনারবাক্স' বিরতির আগে পর্যন্ত দারুণ ছিল। হুট করে সেখানে 'বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ' টেনে আনা এবং কিছু আরোপিত বিষয় খানিকটা জোর করে গুঁজে দেবার কারণে ভালো হতে হতেও শেষ পর্যন্ত সেটা ভালো লাগেনি তেমন। পরেরটা ছিল 'আরশিনগর'। ওফফ! বার বার নিশ্চিত হওয়ার আর্জি জেগেছিল 'আরশিনগর' দেখতে দেখতে, সিনেমাটা কি আসলেই অপর্ণা সেনের! পরেরটা নিয়ে আমার ব্যাপক ব্যাকুল প্রতিক্ষা আর আশা ছিল। 'সোনাটা(Sonata)'। ভাগ্যিস শাবানা আজমি ছিলেন এটাতে। নইলে পর্দার অরুণা চরিত্র, যেটা পরিচালক স্বয়ং করেছিলেন, সে চরিত্রের আরোপিত কাঠিন্য দর্শক হিসেবে এই নাদানকে কেমন একটা দমবন্ধের অনুভূতি দিয়েছে সারাক্ষণ। অথচ অপর্ণা কত পছন্দের একজন! শাবানা আজমির চরিত্রটা 'সোনাটা'র প্রাণভোমরা বিশেষ। যাঁর উপস্হিতি দর্শকের জন্য স্বস্তিময় ছিল। ... ...
চিঁড়ের টিআরপি হাই! বেচারা সাতেপাঁচে না থাকা চিঁড়ে কস্মিনকালেও ভাবেনি যে তাকে একদিন অনুপ্রবেশকারীর খাবারস্বরূপ চিহ্নিত হতে হবে। যে চিঁড়ে কিনা বাঙালির মধ্যপ্রদেশ ঠান্ডা রাখার জন্য বিখ্যাত তাকে নিয়েই আজ বাজার গরম এক মধ্যপ্রদেশীয় বিজেপি-বর্গীর কৃপায়। বর্গীটির সম্ভবত জানা নাই যে বাঙালির সঙ্গে চিঁড়ের সম্পর্ক আজকের নয়। ... ...
যাঁর নাম কৈলাস তিনি যে এমন কেলেঙ্কারি করে ছাড়বেন সে কি রীনাদির মানিকমামা জানত? বাঘামামা, এ যে এক্কেরে ডিটেকটিভ কেস!! অতএব এনকোয়ারি বলছে, কেলে মানেই কেলেঘাই নদী। যেথায় অবলীলায় ঘাই মারে কেলে কেলে কালবোস, মানিকদার বাবার কবিতার ফর্সা বিষ্টু বোস, মাঝারি উজ্জ্বল সন্তু ট্যাংরা ও শ্যামলা পুঁটি রায়। ... ...
এই নিদানকালে মন ভাল করে দেওয়ার মতো একটি তাজা খবর! মানে, যে খবরে পাঠক মন দিলখুশ হয়, যেন বেশ একটা বসরাই গোলাপের সুবাস ছড়ায়, মৃদুমন্দ ফুরফুরে দখিনা বায়ু বয়, কান পাতলেই অস্ফুট শচিন কর্তা শোনা যায়, ‘আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই, বাংলাদেশের ঢোল‘ -- এটি হচ্ছে সে রকম একটি খবর। ... ...
"যে দেশে এক্কেবারে চলতি ভাষাতেই টুরিস্টকে বলা হয় ‘মুসাফির’ তার রোদ্দুর তো আলাদা হবেই।" - আর যে বইয়ের শুরু এমন আশ্চর্য বাক্য দিয়ে, তার কাছে পাঠকের প্রত্যাশা ভিন্ন হতে বাধ্য। এই বাক্য অতিক্রম করে, ফয়েজ-এর অসামান্য কটি পংক্তি পার হয়ে আমরা পৌঁছোই এক তরুণী কবির মৃত্যুতে - দুর্ঘটনায় মৃত্যু - যে কবির কবিতা লেখক আবিষ্কার করেন খাস ওয়াশিংটন ডিসি-তে বসে - মার্কিন দেশ ও ইরান!!! ... ...
এ বছরের প্রজাতন্ত্র দিবসটা আমাদের সামনে একটু অন্য রকম। এই যে উত্তমপুরুষ বহুবচনটা দিব্যি ব্যবহার করে ফেললাম, স্পষ্টই বুঝতে পারবেন, এ আমরা-র আবরণ ঢাকা আজকের জাতীয়তাবাদের জমিতে। বেশ কিছু বছর পর এমন এক ২৬ জানুয়ারির সামনে আমরা উপনীত, যা ক্যালেন্ডারের স্থাণুবৎ লাল দাগের দিনের থেকে অনেক বেশি গুরুত্ববহ। ... ...
সেই জানার ভিত্তিতে আজ বোধ হয় বলতে পারি, স্বাধীনতা উত্তরকালে সমস্ত দেশ জুড়ে এত বৃহদাকার ঐক্যবদ্ধ গণ আন্দোলন আর হয়নি। ১৯৭৪ সালের ২২ দিনের রেল ধর্মঘট মাথায় রেখেও বলছি। দেশ ব্যাপী রেল সংযোগের কারণেই সেই সংযোগ হারিয়ে সারা দেশ উত্তাল হয়েছিল। রেল কলোনিগুলিতে এক দিকে চলেছিল জিআরপি সিআরপিএফ প্যারামিলিটারি পুলিশের দাপাদাপি, রেলের কর্মচারীদের ঘর থেকে টেনে তুলে নিয়ে গাড়ি চালানোর চেষ্টা। অপরদিকে ঘর ছাড়া পলাতক রেল কর্মীদের সঙ্গে আমাদের রাতের অন্ধকারে সাইকেলে বা পায়ে হেঁটে গোপন ডেরায় গিয়ে গিয়ে যোগাযোগ স্থাপন, খবরের লেনদেন, অভুক্তদের খাদ্য পানীয় বিতরণ। সেই সব দিনের সেই গরম রক্তের চাষ উঠতি যৌবনে আমাদের অনেককেই স-মগজ মেরুদণ্ডী করে তুলেছিল। ... ...
রাজনীতি আসলে ঢপের কেত্তন! সেখানে সবাই সবার চেয়ে বেশিমাত্রায় মানুষের পক্ষে বলে প্রমান করতে চায় নিজেদের। আসলে যে যার নিজের পক্ষে; কয়েকটা বেশি ভোট টানার মাধ্যমে ক্ষমতাদখল করে সদলবলে পাঁচ বছর ক্ষীর চাটার পক্ষে। ফলত এর টিকি তার হাতে, তার টিকি আবার অন্য একজনের হাতে অবস্থা হয়ে বসে থাকে প্রায়শই। আপাতত যা বোঝা যাচ্ছে, সকল টিকিই দিল্লি গিয়াছে, ফলে পুতুল নাচের আসর জমেছে ভালো। এবং টিকি বেয়ে বেয়ে যেহেতু যাতায়াত করা যায় তাই দিল্লিকে রোম বললেও ভুল বলা হয় না। এরই মধ্যে সবে মিলে আবার কে কখন কার পাতলুনের দড়ি ধরে টেনে দেওয়া যায় সেই ফন্দি ফাঁদছে। প্রতিপক্ষের বিশ্বাসযোগ্যতা খানিক কমিয়ে দেওয়া গেলে খানকয়েক বেশি ভোট জুটতে পারে, এই আর কি! এর মধ্যে অন্য কোনো অভিসন্ধি, ওই জনগণ-টনগণ, ওইসব নেই। ... ...
"অমর-আকবর-অ্যান্থনি" ছবিতে অমিতাভ বচ্চনের চরিত্রের নাম ছিল অ্যান্থনি গঞ্জালভেজ, শুধু তাই নয় অমিতাভের লিপে গানও ছিল 'মাই নেম ইজ অ্যান্থনি গঞ্জালভেজ'। এই অ্যান্থনি কোন কবির কল্পনা নয়। হিন্দি ছবির এক বিখ্যাত বেহালাবাদক-তথা-অ্যারেঞ্জারের নাম ছিল অ্যান্থনি গঞ্জালভেজ। সুরকার-জুটি লক্ষ্মীকান্ত-পেয়ারেলালের পেয়ারেলাল বেহালা শিখেছিলেন এই অ্যান্থনির কাছে। শোনা যায় রাহুল দেব বর্মনও কিছুদিন অ্যান্থনির ছাত্র ছিলেন। "মাই নেম ইজ অ্যান্থনি গঞ্জালভেজ" গানটি পেয়ারেলালের গুরুদক্ষিণা বলা যেতে পারে। ... ...
হিলবার্টের হোটেল ব্যাপারটা কী জানো? - এলিভেটর থেকে বেরিয়ে লোকটা আমায় জিগ্যেস করল - যেসমস্ত জিনিস মানুষ কেবল তার স্বপ্নে কল্পনা করতে পারে, তার প্রত্যেকটা এই মস্তি সেন্টারে পাওয়া যায়। প্রতিটা ফ্লোর ভর্তি হয়ে আছে হরেকরকম জিনিসে। ... ...
আমার চরে;তোমার চরণ পড়েছিল একদিন।আকাশে ছিল না মেঘ,না বৃষ্টি, ।তবুও আম ... ...
কাকভোরে এক ঝটকায় বলাইয়ের ঘুম ভেঙে গেল। কী যেন একটা স্বপ্ন দেখছিল সে। প্রতি রাতে নিয়মত বলাই স্বপ্ন দেখে। কোনোদিন শিশুর। কোনোদিন মরা মায়ের সঙ্গে ছোটোবেলার স্মৃতির স্বপ্নিল ভার্সান। কখনও সখনও প্রথম প্রেমিকা রুগ্ন কিশোরী লক্ষ্মীর। আজ সে কী দেখছিল মনে করার জন্য প্রথাগতভাবে ফের চোখ বুজে রইল কিছুক্ষণ। বিলীয়মান স্বপ্নের রেশ জোনাকির মতো দপ দপ জ্বলে জ্বলে ধরা দিল ধীরে ধীরে। ... ...
কার্যত সিংহের সাহস সঞ্চয় করে লিখছি, মানে অনেক জড়তা কাটিয়ে ঠিক করলাম শেষমেশ, কথাগুলো লেখাই যায়। বিরোধে, চ্যুতিতে, এবং বিসংবাদে রাজনীতির তো বস্তুত কোনও ক্ষতি হয় না, উত্তরপক্ষের অবস্থিতি পূর্বপক্ষকেই আরও জোরালো করে তোলে। বিষয়: হালফিল, ভারত, আন্দোলন। ... ...
বালি (হাওড়া জেলার বালি নয় তাবলে) আমার খুব প্রিয় জায়গা, অনেকবার গেছি। আর এখন তো ভারত থেকেও বালি যাওয়া খুব সহজ হয়ে গ্যাছে এবং অনেকেই যাচ্ছেন এই অপূর্ব জয়গায়।যাঁরা বালি গ্যাছেন বা এর সম্পর্কে খোঁজ খবর রাখেন তাঁরা নিশ্চয়ই জানেন যে হাতের কাজের, তা সে কাঠের, আঁকা, পটের, কাঁচের, গহনা (বিশেষ করে রূপো) যাই হোক না কেন, বালি দ্বীপ সে সবের জন্য খুবই বিখ্যাত। বালি দ্বীপের উবুদ নামক জায়গাটা আবার এমন সব শিল্পীদের গ্রাম। ... ...
রাম মন্দির আর বাবরি মসজিদ সংক্রান্ত মামলায় অযোধ্যার নাম সারা ভারতবর্ষ জানে। এমনকি ভারত ছাড়িয়ে পৃথিবীতেও খ্যাতি হোক বা কুখ্যাতি হোক ছড়িয়ে পড়েছে। এখন যে অযোধ্যার কথা বলব সে এক অন্য অযোধ্যার কথা। সেই অযোধ্যার নাম ছিল তখন আওধ। হ্যাঁ এই সেই ওয়াজেদ আলি শাহ'র আওধ। যে ওয়াজেদ আলি শাহ্ কে মেটিয়াবুরুজে নির্বাসন দিয়েছিল ব্রিটিশরা। আওধের রাজ্য জোর করে কেড়ে নিয়ে ওয়াজেদ আলি শাহ্ কে বার্ষিক পেনশনের বিনিময়ে মেটিয়াবুরুজে নির্বাসিত থাকতে বাধ্য করেছিল। কোম্পানির রাজ্য দখলের খাই তখন এমন বেড়ে গেছিল, চোখের সামনে যে দে ... ...
জাতীয় পতাকার সঙ্গে প্রথম পরিচয় হয়েছিল স্কুলের গন্ডীতে। খুব ছোটবেলায়। তখনো ইতিহাস বা সিভিকসের বইএর পাতায় জাতীয় পতাকার ইতিহাস পড়া হয়ে ওঠে নি। অথচ পনেরই আগস্ট এসে গেছে মহা সমারোহে। চার্ট তৈরির পরব। স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস। আবার করে ঝালিয়ে নেওয়া, " মুক্তির মন্দির সোপানতলে যত প্রাণ হল বলিদান লেখা আছে অশ্রুজলে"। তারপর পনেরই আগস্ট ভোর ভোর স্কুলে যাওয়া, আলপিন পড়লে শোনা যায় এমন শান্ত পরিবেশে তেরঙ্গার মাথা ঝাঁকানি দিয়ে ওঠা, ফুল ছড়াতে ছড়াতে আকাশে পৌঁছে যাওয়া , তারপর গঙ্গার হাওয়া গায়ে মেখে পতপতিয়ে ওড়া। ন ... ...