এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • রাওলাট সাহেবের ভূত!

    Anamitra Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২০ জানুয়ারি ২০২০ | ২০৮৬ বার পঠিত
  • --------- কাল এই লেখাটা পোস্ট করেছিলাম। আজ দেখলাম উড়ে গেছে কোনওভাবে। তাই আবার পোস্ট করলাম।-------------

    রাজনীতি আসলে ঢপের কেত্তন! সেখানে সবাই সবার চেয়ে বেশিমাত্রায় মানুষের পক্ষে বলে প্রমান করতে চায় নিজেদের। আসলে যে যার নিজের পক্ষে; কয়েকটা বেশি ভোট টানার মাধ্যমে ক্ষমতাদখল করে সদলবলে পাঁচ বছর ক্ষীর চাটার পক্ষে। ফলত এর টিকি তার হাতে, তার টিকি আবার অন্য একজনের হাতে অবস্থা হয়ে বসে থাকে প্রায়শই। আপাতত যা বোঝা যাচ্ছে, সকল টিকিই দিল্লি গিয়াছে, ফলে পুতুল নাচের আসর জমেছে ভালো। এবং টিকি বেয়ে বেয়ে যেহেতু যাতায়াত করা যায় তাই দিল্লিকে রোম বললেও ভুল বলা হয় না। এরই মধ্যে সবে মিলে আবার কে কখন কার পাতলুনের দড়ি ধরে টেনে দেওয়া যায় সেই ফন্দি ফাঁদছে। প্রতিপক্ষের বিশ্বাসযোগ্যতা খানিক কমিয়ে দেওয়া গেলে খানকয়েক বেশি ভোট জুটতে পারে, এই আর কি! এর মধ্যে অন্য কোনো অভিসন্ধি, ওই জনগণ-টনগণ, ওইসব নেই।
    --- ওই কামারহাটিতে নোটিফিকেশন গেলো! তার মানে তৃণমূল তলায় তলায় এনপিআর করছে।
    --- ওই সারদা-নারোদা-রোজ ভ্যালির দায়িত্বে থাকা সিবিআই অফিসারেরা বদলি হয়ে গেলো! এবার বোঝা গেল সৌজন্যমূলক মিটিং-এর আসল কারণ!
    --- ওই কংগ্রেসশাসিত রাজ্যে এনপিআর হবে বলেছে! সিপিএম বরং নিজের জোটসঙ্গীর দিকে নজর দিক।
    --- ওই কেরল থেকে এনপিআর মিটিং-এ গিয়েছে! শেষ বিপ্লবী দূর্গের পতন!
    নার্সারি ইস্কুলে এসব অনেক দেখেছি, হঠাৎ আক্রমণ করে আনসাসপেক্টিং ফেলো-বাচ্চার হাফপ্যান্ট নামিয়ে দেওয়া। শুনেছিলাম আমাদের কোনও এক টিচারের নাকি একটা শংকর মাছের চাবুক ছিল। একে অপরের হাফপ্যান্ট নামিয়ে অবশ্য কাউকে কখনও বলতে শুনিনি যে এর ফলে সেই মাস্টারমশাই তাঁর শখের চাবুকটি মাটির তেত্রিশ ফুট নিচে লুকিয়ে ফেলবেন। তা, নার্সারি ইস্কুলের বাচ্চাদের কাজকর্মে তবু চাইলে যুক্তি খুঁজে পাওয়া যেতে পারে, রাজনীতিতে না খুঁজতে যাওয়াই ভালো। এরই মধ্যে একবার আবার শোনা গেলো এসবিআই ব্যাঙ্ক নাকি কেওয়াইসি-র মাধ্যমে এনপিআর-এর তথ্যসংগ্রহ করে দেবে সরকারকে। তারও আগে একবার শুনেছিলাম গোটা ব্যাপারটাই নাকি অনলাইন-অনলাইন হয়ে যাবে, কাউকে কারুর বাড়িতে পাঠানোই হবে না। এইসব শুনতে শুনতে বেশ লম্বা একটা সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। আর যতই সময় যাচ্ছে একটা বিষয়েই আরও বেশি করে নিশ্চিত হচ্ছি। মানুষের ভিটেমাটি হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে এমন একটা বিষয় নিয়ে যখন চারিপাশে প্রবল অস্বচ্ছতা দেখা যায় তখন বুঝতে হয় স্বচ্ছতা নেই কিঁউ কি হুকুমত নেহি চাহতি! এই হুকুমতের ছায়ায় গণতন্ত্র নিয়েই আজকের এই সুবিশাল লেখাটি। আশা করি সিডনি রাওলাট-এর ভক্তরা আমায় কারাকুঠুরিতে নিক্ষেপ করিবেন না। না মানে, কত লোকেরই কত ভক্ত হয় আজকাল; তা রাওলাট সাহেবেরই বা থাকতে দোষ কি! মায় জেনারেল ডায়ার-এর নামে একখানা ফ্যান ক্লাবও যদি গজিয়ে ওঠে কাল ফেসবুকে আমি তো অন্তত আশ্চর্য হবো না।

    ভারতবর্ষে ডিফেন্স অফ ইন্ডিয়া রেগুলেশনস অ্যাক্ট প্রবর্তিত হয় লর্ড হার্ডিঞ্জ-এর আমলে ১৯১৫ সালে। এটি একটি যুদ্ধকালীন আইন, যা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়কাল এবং তারপরে আরও ছয়মাস কার্যকর থাকার কথা ছিল। কিন্তু এই আইনে কিছু মিষ্টি মিষ্টি গণতান্ত্রিক ব্যাপার ছিল যেগুলো সত্যিই যুদ্ধশেষে প্রত্যাহার হয়ে যাক এমনটি ব্রিটিশ হুকুমত মন থেকে চাইতে পারেনি। এর মধ্যে একটা মিষ্টি ব্যাপার ছিল এরকম, যে, সরকারবিরোধী তথা দেশবিরোধী কর্মকান্ডে যুক্ত বা বিদেশী শত্রুর মদতপুষ্ট সন্দেহে লোকজনকে পুলিশ পাঠিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া যেত, এবং আটকেও রাখা যেত অনির্দিষ্টকালের জন্য। তা, এইরকম কিছু কিউটনেস ওভারলোডেড আইনপত্তর যাতে বিশ্বযুদ্ধের পরেও রেখে দেওয়া যায় সেই মহান উদ্দেশ্যেই ১৯১৭ সালে লর্ড চেমসফোর্ড-এর আমলে রাওলাট কমিটি গঠন করা হয়। ২১ শে মার্চ, ১৯১৯ রাওলাট আইন তথা দ্য অ্যানার্কিক্যাল অ্যান্ড রিভোলিউশনারি ক্রাইমস অ্যাক্ট পাশ করা হয়। তারপর কি হয়েছিল না হয়েছিল সেসব আমরা সকলেই ইস্কুলের ইতিহাস বইতে পড়েছি। জালিয়ানওয়ালাবাগ নিয়ে তো বোধহয় পরীক্ষায় প্রশ্নও আসতো একসময় খুব। কথা সেখানে না। কথা হলো এর প্রায় ষাট বছর পর স্বাধীন ভারতবর্ষে কি হয়েছিল সেইটা নিয়ে।

    ইন্দিরা ঠাকরুন তথা এমার্জেন্সি গান্ধীর গণতন্ত্রপ্রিয়তার কথা কে না জানে! এই ঢপের গান্ধীটি ব্রিটিশ ভারতবর্ষের গভর্নর-জেনারেল অ্যান্ড ভাইসরয়-দের অত্যন্ত যোগ্য এক উত্তরসূরি ছিলেন। ভাইসরয় মোদি, থুড়ি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এই মহিলার কিছু মিল পাওয়া যায়। আজকাল যেমন মোদিজীর নামে উল্টোপাল্টা বললে রাস্তাঘাটে মারধোর খাওয়ার সম্ভাবনা থাকে সেরকমই ইন্দিরা ঠাকরুনের নামে আজেবাজে কথা বললেও এককালে জনরোষজনিত আড়ংধোলাই খেতে হতো। এইরকম ধোলাই খেয়ে একদা নাক ফাটিয়েছিলেন আমাদের অন্যতম অপ্রিয় মানুষ না-লেখক শ্রী সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়। যদ্দুর মনে পড়ে, মারধোর করে এই দেশদ্রোহী এলিমেন্টটিকে বোধহয় ট্যাক্সি থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তা, সে কথা আজ থাক। আজ আমরা বরং দেখি রাওলাট সাহেবের ভূত কিভাবে ২৭শে ডিসেম্বর, ১৯৮০ নাগাদ পাকাপাকিভাবে চালান হয়ে গেলো পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্রটির ভিতর। এনএসএ, তথা দ্য ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট প্রবর্তিত হয় ওইদিন। বর্তমানে এই আইনটি দিল্লিতে জারি হওয়া একটি নির্দেশিকার কারণে সংবাদমাধ্যমে বেশ চর্চায় রয়েছে। এই আইন অনুযায়ী যাকে ডিটেন করা হলো তাকে সর্বাধিক দশ দিন পর্যন্ত না জানালেও চলে যে কেন ডিটেন করা হয়েছে; সরকারকে জানালেই হয়। সরকারের যদি আপত্তি না থাকে তাহলে ডিটেনড ব্যক্তিকে কোনো চার্জ ছাড়াই ১২ মাস পর্যন্ত আটকেও রাখা যায়। মানে রাওলাট সাহেব ভূত হয়ে গিয়ে পাওয়ারটা একটু কমে গেছে আর কি, অনির্দিষ্টকাল থেকে কমে ১২ মাসে দাঁড়িয়েছে। বাকিটা সরকারে সরকারে বুঝে নেবে। রাজ্য সরকারের কেস হলে সাতদিনের মধ্যে রাজ্য কেন্দ্রকে জানাবে "এই হইয়াছে এবং এই কারণে হইয়াছে", কেন্দ্র বলিবে "হুম"! টোটাল গণতন্ত্র আর কাকে বলে! এছাড়া এই আইনের আওতায় আটক ব্যক্তি উকিল তথা আইনি রিপ্রেজেন্টেশন পায় না; মানে গণতন্ত্রের মোচ্ছব এক্কেরে, ফেস্টিভ্যাল দে লা ডেমোক্রেসি!

    তবে হ্যাঁ, এই আইন কিন্তু আবার এক নির্দেশিকায় একটানা তিনমাসের বেশি লাগু রাখা যায় না। প্রয়োজনে তিনমাস শেষ হয়ে গেলে আবারও তিন মাসের জন্য নতুন নির্দেশিকা পাঠাতে হয়। সে কি কম খাটনির কথা! তবে কিনা গণতন্ত্রের রেলগাড়ি রানিং রাখতে ওইটুকু তেল তো পুড়বেই! দিল্লিতে ১৯শে জানুয়ারি থেকে এই আইনটি নতুন করে লাগু হচ্ছে। বড়ই আনন্দের কথা। দিল্লি পুলিশ বলছে এ আর নতুন কথা কি! এমন নির্দেশিকা তো প্রত্যেক তিনমাস বাদবাদই আসে। আরওই আনন্দের কথা। হবে হয় তো! আমরা কি আর দেখতে গেছি। আমরা শুধু জানি যে এর মধ্যে অন্য কিছু খুঁজতে যাওয়া অগণতান্ত্রিক। কারণ যে যাই বলুক, হুকুমতের জমিতে আমাদের গণতন্ত্রের বাগানটি বেশ ফুলে-ফলে ভরে উঠেছে। রাওলাট আইন যখন পাশ হয় গান্ধী, জিন্নাহ, দু'জনেই তার প্রতিবাদ করেছিলেন। একে অপরের কাছা ধরে টানাটানি করেছিলেন বলে শোনা যায় না। বা, করে থাকলেও ইতিহাস বইতে সেসব লেখেনি। ১৯৮০-তে আমি জন্মাইনি। কাজেই এনএসএ যখন পাশ হয় কে কি প্রতিবাদ করেছিল আমার জানা নেই। আমি জানি সিএএ পাশ হয়েছে আমার জীবৎকালে। অনেকেই প্রতিবাদ করেছে। যতগুলো পার্টি প্রতিবাদ করেছে তারা সবাই একশোটা ক'রে ক্যাডার নিয়ে দিল্লিতে সিএএ প্রত্যাহার না করা অবধি অনশনে বসে যেতেই পারতো। কিন্তু, যায়নি। অগণতান্ত্রিক দেখাতো হয়তো সেটা! কে জানে! আসলে কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর কতটা চাপ সৃষ্টি করা হবে আর কতটা হবে না, কি কারণে হবে না, তার মোটের ওপর একটা হিসাব রয়েছে বলে মনে হয়। হিসেবের বাইরে গিয়ে কেউ কিছু করবে না। সেই হিসেবখানা কি সেটা অবশ্য আমার জানা নেই। আমি জানি ভারতবর্ষের রাজনীতি আপাতত চলেছে টিকি আর ভোটের হিসেবে। সেই ভোটের লোভে আমাদের জনদরদী নেতাদের নার্সারি ইস্কুলের বাচ্চাদের থেকেও মিষ্টি মিষ্টি সব প্রতিযোগিতায় মেতে থাকতে দেখা যায় মাঝেমধ্যে। তুই আমার জামায় কালি দিয়েছিস আমি প্রেয়ার লাইনে তোর প্যান্ট খুলে দেবো-র থেকেও মিষ্টি মিষ্টি সব যুক্তি চলে সেখানে। দিনের শেষে ভোটে দাঁড়ানোই আসল কথা। কারণ যে যার মতো ভোটে দাঁড়ানোকেই গণতন্ত্র বলা হয়; আর এই-গণতন্ত্র খানি টিকিয়ে রাখতে আমাদের নেতারা বদ্ধপরিকর!
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২০ জানুয়ারি ২০২০ | ২০৮৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সপ্তর্ষি মুখার্জী | 162.158.158.8 | ২১ জানুয়ারি ২০২০ ১৫:৪২90812
  • বলাই বাহুল্য - একদম হক-কথার এক কথা |
    আমাদের দেশে প্রধানতম রোগ-বালাই হলো প্রধান'রাই |
    অধিকাংশ প্রধান - ই 'অপ্রধান হওয়ার ও' যোগ্য নয় - ফলত: হিসাবের খাতা 'ভুলে ভরা বসুন্ধরা' - এতে আশ্চর্যের কিছু নেই !
    আদ্দিকাল থেকেই (স্বাধীনতার পর থেকে) অপ্রধান বিষয় গুলো প্রধান হয়েছে - কখনো বা অদক্ষতার বিলাসিতায়, কখনো বা ভোটপূজোর নৈবেদ্যে -
    একপ্রকার পাথুরে উদাসীনতা আমাদের দেশ-কাল - কে গ্রাস করছে তীব্র - গতিতে |
    মাশুল দিতে হচ্ছে অর্ধশিক্ষিত সমাজকে - !!
    যে দেশে'র প্রায় সব কয়টা রাজ্যের (পূর্ব ও উত্তরপূর্ব রাজ্য ব্যতিরেকে) জনবিশ্সাস হলো ঘরে রামায়ণ রাখা আর ঘরে'র বাইরে মহাভারত রাখা - এই নির্বোধ বিশ্বাস থেকে যে মহাভারত সংসার'এ অশান্তি আনবে কারণ এ'এমন মহাকাব্য যা সাংসারিক কলহের উপাখ্যান - সেদেশে এমন উৎকৃষ্ট অপদার্থতা প্রাধান্য পাবে - এটাই স্বাভাবিক নয় কি ?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন