এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • মিছিলের পতাকা, পতাকার মিছিল

    স্বাতী রায় লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১১ জানুয়ারি ২০২০ | ১১৪৭ বার পঠিত
  • জাতীয় পতাকার সঙ্গে প্রথম পরিচয় হয়েছিল স্কুলের গন্ডীতে। খুব ছোটবেলায়। তখনো ইতিহাস বা সিভিকসের বইএর পাতায় জাতীয় পতাকার ইতিহাস পড়া হয়ে ওঠে নি। অথচ পনেরই আগস্ট এসে গেছে মহা সমারোহে। চার্ট তৈরির পরব। স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস। আবার করে ঝালিয়ে নেওয়া, " মুক্তির মন্দির সোপানতলে যত প্রাণ হল বলিদান লেখা আছে অশ্রুজলে"। তারপর পনেরই আগস্ট ভোর ভোর স্কুলে যাওয়া, আলপিন পড়লে শোনা যায় এমন শান্ত পরিবেশে তেরঙ্গার মাথা ঝাঁকানি দিয়ে ওঠা, ফুল ছড়াতে ছড়াতে আকাশে পৌঁছে যাওয়া , তারপর গঙ্গার হাওয়া গায়ে মেখে পতপতিয়ে ওড়া। নীল সাদা আগস্টের আকাশের বুকে সবুজ আর গেরুয়ার ঘেরে সাদার ঝকঝকে উপস্থিতি। সাতরঙ্গের সমাহারের সাদা। তার উপর অশোকচক্র।
    গান বাজত বন্দে মাতরম। সাড়ে জঁহা সে আচ্ছা হিন্দোসতাঁ হমারা। পুরব পশ্চিম আসে, তব সিংহাসন পাশে, গাহে তব জয়গাথা। প্রতিটি শব্দ আলগোছে জুড়ে জুড়ে একটা আবছা ছবি তৈরি করত, সে ছবির ব্যাকড্রপে থাকত ওই প্রত্যয়ী সবুজ-সাদা-কমলা। অন্য এক ভালোবাসা চারিয়ে যেত মনে। নিজেকে ভালোবাসার, বন্ধু বান্ধব বাবা মা আত্মীয় পরিজনকে ভালোবাসার থেকে অনেকখানি আলাদা সে অনুভব। বছর বছর ধরে সে অনুভব জমে থেকেছে বুকের মাঝে।
    তারপর স্কুল ছেড়েছি বহু বছর। কলেজ ছাড়িয়ে চাকরীতে ঢুকেছি। বেসরকারী অফিসের চাকরী। 15ই আগস্ট বা 26শে জানুয়ারী সে জীবনে আরেকটা ছুটির দিন মাত্র। দেশ বা দেশাত্মবোধ নিয়ে ছোটবেলার সে অবোধ ভালোবাসারও কিছু বদল এসেছে। প্রাণে অনেক প্রশ্ন জেগেছে, যার উত্তর মেলে না। জীবনে সিনিসিজম এসেছে। আর এসেছে বাধ্যতামূলক জাতীয়তাবোধের প্রদর্শনী। ছুটতে ছুটতে সিনেমাহলে এসেই দাঁড়িয়ে পড়ে সবার সঙ্গে গলা মিলিয়েছি "জনগণমঙ্গলদায়ক জয় হে ভারতভাগ্যবিধাতা"। ভালোলাগা ফিরে আসে নি। বাধ্যতা এসেছে শুধু। কর্মপরিসরে দেখেছি individual আর global এর মধ্যে কনফ্লিকটে পড়ে national এর পিছিয়ে যাওয়া। আর ব্যক্তিজীবনে "দেশ" কোথায়? সে তো শুধু "আমি", "আমার" আর “আমাদের”।
    এরপর হঠাৎ দেশের ভাগ্যাকাশে ঘনাল মেঘ, এল CAB। এতই কঠিন তার অভিঘাত, আমার মত ঘোর ভিড়কে-ভয়-পাওয়া, চিরকাল প্রত্যক্ষ রাজনীতির থেকে শত হস্ত দূরে থাকা, ফেন্সে বসে কাটিয়ে দেওয়া মানুষও নিজের যাবতীয় ভয়ভীতিকে সাময়িক দমন করে যে কাজ প্রায় কখনো করি নি জীবনে, সেই কাজ করতে গেলাম। ক্যাব বিরোধী মিছিলে পা মেলাতে গেলাম 19 শে ডিসেম্বরের রামলীলা ময়দানে। । দেখলাম অনেক অনেক লোকের হাতে তেরঙ্গার ঝলকানি ( মাঝখানটা দেখতে পাই নি), খুব অবাক হয়ে সঙ্গীদের বলেছিলাম , বাবা! কলকাতায় এত কংগ্রেসের মেম্বার আছে তাই জানতাম না তো! স্বাধীনতার পরে জন্মেছি, সাধারণ ভাবে মিটিং মিছিলের ধারে কাছে ঘেঁষি নি আগে, সত্যি বলছি ভাবতেই পারি নি যে, দেশের পতাকা নিয়ে পথ হাঁটা যায়! বহু পরে যখন পতাকার মাঝখানটা ঠাহর হল, সে পতাকাকে চিনলাম, তখন অবাক যেমন হয়েছিলাম, তেমন গর্বও হয়েছিল। সত্যি ওই পতাকাই তো আমার সঙ্গে আমার পাশে যে অচেনা মানুষটি মিছিলে হাঁটছেন, তাঁদের দুজনের মধ্যে প্রথম যোগসূত্র।
    প্রায় একমাস পরেও দেশের সমস্যার কোন সমাধানসূত্র মিলল না। মিটিং মিছিল জমায়েত সবই চলছে। প্রত্যেকদিনই কোন না কোন জায়গায় কিছু না কিছু চলছে। পক্ষে বিপক্ষে হাওয়া গরম। বিরোধিতায় 10ই জানুয়ারী ছিল আরেকটি মিছিল। হর্ষ মন্দার এসেছিলেন কলকাতায়। সেই হর্ষ মন্দার, যাঁর লেখা রিপোর্ট পড়ে প্রথম জেনেছিলাম আসামের NRC র ভয়াবহতা। তাঁর নেতৃত্বে মিলিয়ন মার্চের ডাক দেওয়া হয়েছিল। ভিকটোরিয়া হাউস থেকে গান্ধী স্ট্যাচু। আমার পৌঁছাতে একটু দেরী হয়ে গেল। এস্প্ল্যানেডএ পৌঁছে দেখি মিছিল শুরু হয়ে গেছে। পথ জুড়ে নেমেছে মানুষ।ট্যাক্সি-চালক আমাকে নামিয়ে দিতে দিতে স্বগতোক্তি করলেন এই হল কলকাতার সমস্যা। রাজনীতি করেই গেল। একটু হেসে বললাম, অনেক শহরেই চলছে। শুধু কলকাতার দোষ না।
    তরবড়িয়ে হেঁটে চলে গেলাম মিছিলের শেষে। মেয়েদের দল চলে গেছেন মিছিলের সামনে। এই মিছিলের শেষভাগে শুধু "পোশাকে পরিচিত" মুসলমান ছেলেদের ভিড়, সবার হাতে হাতে জাতীয় পতাকা আর আজাদীর স্লোগানের পাশে পাশে স্লোগান উঠছে, মুসলমানের ঘরে ঘরে যেমন কোরান মেলে, তেমন অন্তরে অন্তরে মেলে দেশপ্রেম। এমন কেঠো ভাবে না অবশ্য, হিন্দীতে সুন্দর ছন্দে। সব স্লোগানের আমি মানে বুঝিনি। খুব বেশি কান ও দিই নি। অবাক হয়ে দেখছিলাম হাতে ধরা ছোট ছোট প্ল্যাকার্ডের মাঝে মাঝে শুধু হাতে হাতে তেরঙ্গার উড়াল। আম্বেদকার, গান্ধী, এ পি জে আব্দুল কালামের ছবিও আছে হাতে। আবার ফিরে আসছিল সেই ছোটবেলার অনুভূতি। ভারত আমার ভারতবর্ষ, স্বদেশ আমার, স্বপ্ন গো। এই দেশের কথাই তো জানি ছোটবেলা থেকে।
    মিছিল গিয়ে শেষ হল মঞ্চের সামনে। মঞ্চে আসীন আরো অনেকের সঙ্গে হর্ষ মন্দার, কান্নন গোপীনাথ, আয়েশা রেনা। স্লোগান উঠল, কাগজ নেহি দিখায়েঙ্গে। আমাদের পাকিস্তানী বলা "মঞ্জুর নেহি"। মঞ্চের সামনে মেয়েদের জন্য আলাদা অংশ। প্রবল তীব্রতায়, আবেগে মেয়েরা আওয়াজ ফিরিয়ে দিলেন "মঞ্জুর নেহি"। হর্ষ মন্দার আওয়াজ তুললেন, সংবিধান জিন্দাবাদ। জনতা যোগ করল, জিন্দাবাদ। এ অভিজ্ঞতা আমার কাছে বড্ড নতুন। স্বাধীন ভারতেও দেশ, তার পতাকা, তার সংবিধান যে এতখানি কাঁচা আবেগের জন্ম দেয়! শুধু অভ্যাসের বশে বা বাধ্যতায় আমরা যে ব্যবহার করি, তার থেকে কত আলাদা, কত বেশি প্যাশনেট! একদম একা গিয়েছিলাম, কোন সঙ্গী সাথী ছিল না। কিন্তু ফিরে আসার সময় মনে হল যারা আমারই দেশের পতাকা নিয়ে মিছিল করেন, বিদেশী অভিধা পেলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন, তারাই তো সঙ্গী, আর কি চাই! সব কিছুর শেষে বেরিয়ে যখন আসছি, মনে ফিরে আসছে সেই ছোটবেলার সুর, ঝাণ্ডা উঁচা রহে হমারা। ভাবছিলাম, তোমার পতাকা যারে দাও, তারে বহিবারে দাও শকতি।
    আজ গিয়েছিলাম কৈখালির মোড়ে। জমায়েত-এ। তিনটের আগেই। মনে হয়েছিল দেশের প্রধাননায়ক যখন এমন কিছু করেন যাতে দেশের অনেক লোকের প্রবল আপত্তি, এবং তিনি সেই ক্ষোভে কর্ণপাতও না করে, নিজের তালে সেই আইনকে কার্যকর করে দেন, তখন তাঁকে জানানো দরকার যে আমি ব্যক্তিগতভাবে এটা পছন্দ করছি না। যদিও জানতাম এটা আদতে টোকেন প্রতিবাদ কারণ প্রধানমন্ত্রীর কোন দায় পরে নি আমাদের বিক্ষোভ দেখার জন্য এই রাস্তা ধরে তিনি গাড়ীতে করে যাবেন। তবু গিয়েছিলাম। প্রতিবাদের আর কোন রাস্তা জানা নেই বলে। জানতাম এটা কোন দলীয় পতাকাহীন কর্মসূচী। ভুল ভাঙল যাওয়ার অল্প পরেই। NRC প্রতিরোধ মঞ্চের থেকে একদল প্রতিবাদী এসে হাজির হলেন, হাতে তাদের কাস্তে হাতুড়ি আঁকা লাল পতাকা। পতাকা থাকার কথা ছিল না একথা বলাতে শুনলাম ফ্যাসিজমের প্রতিবাদ করতে কমিউনিজমই একমাত্র পন্থা। আমি আর কথা না বাড়িয়ে চুপ করে গেলাম। কিন্তু দেখলাম তাপসবাবু প্রতিবাদ করায় তীব্র বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়লেন। প্রায় মারমূখী হয়ে উঠল পতাকা হাতে ছেলে-বুড়োর দল।
    অবশ্য এঁরা সংখ্যায় খুব কম। এঁদের থেকে সরে গিয়ে দূরে দাঁড়ালাম। একটু স্বস্তি পেলাম। কারণ সেখানে অন্য একদল মানুষ হাতে ব্যানার নিয়ে এসে দাঁড়ালেন, নরেন্দ্র মোদী গো ব্যাক। ধ্বনি তুললেন, গো ব্যাক , গো ব্যাক। যে একটিমাত্র কথা বলার জন্য আজকের জমায়েত। কয়েকজন রাস্তায় বসেই চার্ট পেপারে স্লোগান লিখছেন, "rss র চামড়া, গুটিয়ে নেব আমরা । " তবে ইন্টারেস্টিং হল আজকের জমায়েতে একজনের হাতেও জাতীয় পতাকা ছিল না।
    এই সব চলতে চলতে আকাশে দেখা গেল একটি আকাশযান। জানি না হয়তো তাতেই নরেন্দ্র মোদী ছিলেন। তখন আকাশের দিকে তাকিয়ে খানিক স্লোগান দেওয়া চলল। তারপর গোটা রাস্তার দখল নিয়ে খানিকক্ষণ হট্টগোল চলল। এমনি পথচলতি গাড়ীর লোকজনকে আটকে গো ব্যাক শোনান হল। সাধারণ মানুষের হয়রানি করিয়ে কার কি লাভ হল তা অবশ্যই আমার জানা নেই। তবে কি npr nrc প্রক্রিয়ায় সাধারণ মানুষের যে কষ্ট সেই কষ্ট যাতে না হয় সেই কারণেই এই আন্দোলন নয়? ভবিষ্যতের কষ্ট দূর করার জন্য আজ তাকে অসুবিধার মুখে ফেলাই যায়?
    ফিরে এলাম। অনেকখানি মন খারাপ নিয়ে। নিরপেক্ষ উপস্থিতি যে অনভিপ্রেত, অন্তত এই জমায়েতের কিছু মানুষের কাছে, এই ধারনাটুকু জোরদার হল। আর ভাবছিলাম এই সামান্য কথাতেই মারমুখী যে জনতা, যাঁরা অন্যের চামড়া গুটিয়ে নিতে চান, দলীয় পতাকা কেন সে প্রশ্নের উত্তরে যাঁরা বলেন একথা বলা মানে কাঠিবাজী করা, যাঁরা নিজেদের বিরোধিতার কারণে সাধারণ মানুষকে দাম মেটাতে বাধ্য করেন, তারাও ফ্যাসিজমের বিরোধিতা করছেন! বেশ কথা।
    ফেরার পথে বাসে বসে ভাবছিলাম কালকের আর আজকের অভিজ্ঞতা। কাল কতখানি ভরা মন নিয়ে ফিরেছিলাম, আর আজ? আসলে সবই হয়তো পতাকার মায়া! তার রংই বলে দেয় তার ছাতার তলায় সে কত লোককে ধরতে পারবে! বিশ্বাসীর জন্য যে আশ্রয় হলেও সবাই তো তার কাছে সাহারা নাই চাইতে পারে, আবার সবাইকে সে কাছে টেনে নাও নিতে পারে। 130 কোটি লোক, তাদের বিভিন্ন মতবাদ, বিবিধ বিশ্বাস, বিভিন্ন রাজনৈতিক চিন্তা - যে কোন রং কি এই বিপুল বিস্তারকে আশ্রয় দিতে পারে? হয়ত সেই আশ্রয় দেওয়ার কিছুটা ক্ষমতা রাখে আমাদের তেরঙ্গার সাদা হৃদয়। সে শ্বেতবর্ণ সব রঙ্গের মিশেলে তৈরি। তাই, আমার অঙ্গ জুড়ায় তোমার ছায়ায় এসে। সেই পতাকার তলাতেই থাকতে চাই বাকী জীবনটুকু। সবুজ আর গেরুয়া দিয়ে ঘেরা সাদায় মায়ায়, অশোকচক্রের ছন্দে। তাকে মনের মধ্যে ধারণ করে রাখার শক্তি যেন থাকে!
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১১ জানুয়ারি ২০২০ | ১১৪৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন