এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • লড়িয়ে দেবেন না, প্লিজ

    Simool Sen লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৩ নভেম্বর ২০১৭ | ২১০২ বার পঠিত
  • পদ্মাবতী ডিবেটের সূত্রে একটা কথা চার পাশে শোনা যাচ্ছে, যে এ সব পদ্মাবতী ইত্যাদি দেশের আসল ইস্যু নয়। এই মুহূর্তে দিল্লির কৃষক বিক্ষোভটাই দেশের সমস্যা, সেখান থেকে নজর ঘোরাতেই রাষ্ট্র ও মিডিয়া পদ্মাবতীর মত উল্টোপাল্টা ফিল্মি ইস্যু বানানোর কারসাজি করছে। আমি এই ধরনের গোদা বাইনারি সেট করে কৃষক ও পদ্মাবতী দু' তরফকে লড়িয়ে দেওয়ার বিরোধী। বরং দু' ধরনের সমস্যারই একটা নিজস্ব চরিত্র রয়েছে, যা কাজে লাগালে সামগ্রিক লড়াই অনেক জোরদার হয়ে ওঠে।

    প্রথমে কৃষকদের বিক্ষোভের প্রশ্নে আসা যাক। সম্প্রতি যোগেন্দ্র যাদব, যিনি এই কর্মসূচির অন্যতম শহুরে অ্যাক্টিভিস্ট মুখ, একটি সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন যে এক প্রবল সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে ভারতীয় কৃষিসমাজ। চাষবাস আগে যে ধরনের মর্যাদার পেশা ছিল, সেই সামাজিক প্রতিপত্তি ক্রমশ ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। কৃষক পরিবারগুলির নতুন প্রজন্ম গ্রাম ছেড়ে ক্রমশ শহরের অভিমুখে চলে আসছে, সামগ্রিক ভাবে 'উত্তর'-ঔপনিবেশিক সময়ে যা এই দেশে কখনও হয় নি। অর্থনৈতিক ভাবে অলাভজনক হয়ে উঠছে কৃষিকাজ, সিস্টেম তাকে পঙ্গু করে দিচ্ছে, তার সঙ্গে পরিবেশগত কিছু সমস্যা এই সংকটকে তীব্র করে তুলেছে। এই সার্বিক কৃষি-সংকটে দাঁড়িয়েও মোদী সরকার নিস্পৃহ এবং অসহযোগী, যোগেন্দ্র যাদবদের অভিযোগ এমনই। আত্মহত্যা নৈমিত্তিক হয়ে উঠছে কৃষকদের মধ্যে, অথচ সরকার সেই তথ্য চেপে দিচ্ছে বলে দাবি। এই সব বক্তব্য সত্যি হলে বলতেই হয়, ভারতীয় কৃষিক্ষেত্রে এই ধরনের ওলটপালট গত দেড়শো বছরে প্রায় হয় নি, নতুন সিস্টেমের গঙ্গাসাগরে পড়ে পুরোনোর লাল বেলুন আর নীল বেলুন সবই ফেটে যাচ্ছে। মূল ধারার বামপন্থী দল ও সংগঠনগুলির পাশাপাশি অনেক স্বতন্ত্র কৃষকগোষ্ঠী দিল্লিতে এই আন্দোলনে সামিল হয়ে তাদের নিজস্ব 'প্রান্ত' থেকে এগিয়ে চলেছে রাষ্ট্রযন্ত্রের কেন্দ্রের দিকে, জমে উঠছে স্বতঃস্ফূর্ত বিজেপি-বিরোধী ক্ষোভ। সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের ঠিক এক দশকের মাথায় আজকের এই হতমান কৃষক আইডেনটিটিকে পড়ার গুরুত্ব অনেকখানি। সার্বিক সিস্টেমের বদল, কৃষকের উৎখাত আর নতুন অর্থব্যবস্থা এই সমস্যার কেন্দ্রে। ইতোমধ্যেই দিল্লির রাস্তায় কৃষকদের একটা অংশ জানিয়ে দিয়েছে, তাঁরা সরাসরি ধর্মঘটের রাস্তায় হাঁটছেন, যার অর্থ, কৃষিপণ্য আর গ্রাম থেকে শহরে ঢুকতে পারবে না। গুজরাতে এই ধনী কৃষক সম্প্রদায় আর শহুরে ব্যবসায়ীদের বড় অংশ জিএসটি, বিমুদ্রাকরণ সব মিলিয়ে বিজেপির প্রতি বিরক্ত, ক্ষুব্ধ, ভোটে তার প্রতিফলন হয় কি-না দেখার। সব মিলিয়ে দিল্লির এই কৃষক বিদ্রোহ (কিংবা অভ্যুত্থান) এক অর্থনৈতিক সন্ধিক্ষণের প্রতীকমাত্র, বিজেপি যে হাওয়া টের পাচ্ছে।

    বাইনারির অন্য প্রান্তে রয়েছে পদ্মাবতী। এই বিষয়টাকে গোদা ভাবে দুটি চোখে দেখা যেতে পারে। প্রথমত, প্রথাগত লিবারেল লজিক, শিল্পের এবং শিল্পীর স্বাধীনতার পক্ষে সওয়াল, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে কমিউনিটির ভাবাবেগ বনাম ইন্ডিভিজুয়ালের শিল্পবোধের সংঘাত ইত্যাদি। মজার বিষয় হল, এই যুক্তি বাজারে বিশেষ শোনা যাচ্ছে না, জনচিত্ত বেশি আপ্লুত পদ্মাবতী বা জহরব্রতর ঐতিহাসিকতার মত অ্যাকাডেমিক বিষয় নিয়ে। পক্ষে-বিপক্ষে যাঁরাই মতামত দিচ্ছেন, কবেকার কোন অন্ধকার বিদিশার নিশা আদ্যিকালের রমেশ মজুমদারের লেখার সাড়ে চার লাইন, বা সেই কোন সত্যযুগে জেমস টড জহরব্রতর পক্ষে কোন প্রামাণ্য প্রাইমারি ডকুমেন্ট সাজিয়ে রেখেছেন, মূলত এই সব তুলে ধরছেন। এই সব বিষয়ের থেকে অনেক বেশি জরুরি হল একটি পিতৃতান্ত্রিক ট্র্যাডিশন কী ভাবে এক স্তর থেকে পরের সাংস্কৃতিক স্তর আত্মসাৎ করে নেয়, কী ভাবে উপনিবেশের আমলে এসে পদ্মিনী নতুন পৌরুষ ও নারীত্বের সংজ্ঞা আমদানি করে, তার সামাজিক গ্রহণ কী রকম হয়, কিংবা রাষ্ট্রীয় ইতিহাসে সেই মিথের নির্মাণ কী ভাবে হয়, যা নিয়ে রম্যা শ্রীনিবাসন তাঁর 'মেনি লাইভস অফ আ রাজপুত কুইন' বইতে আলোচনা করছেন, অথবা নিদেন অবনীন্দ্রনাথ কোন প্রেক্ষিতে দাঁড়িয়ে সুদূর পদ্মিনীর কাহিনি বাঙালির ঘরে পৌঁছে দেন প্রভৃতি কিসসা। জহরব্রত আদৌ ছিল কি, তার চেয়েও জরুরি সেই মধ্যযুগের রাজপুতদের উইমেন এজেন্সির কোনও বক্তব্য আজ লভ্য কি না, অন্তত করণী সেনা তাদের এক জনও মহিলা মুখপাত্রকে আনতে পারে নি। সব মিলিয়ে উভয়তই এই পাবলিক ডিসকোর্স ফেসবুক এবং তার বাইরেও আদ্যোপান্ত পুরুষপ্রধান একটি সন্দর্ভ হয়ে উঠছে। এই শোরগোলে মাছ মেরে নিয়েছে দার্জিলিং আর রসগোল্লা-জাতীয়তাবাদে মথিত বাঙালি জাতি, তারা রাজপুত আর বাঙালিদের ব্রিটিশদালালির পারস্পরিক তুলনামূলক আলোচনায় ব্যস্ত। প্রতিটি বক্তব্যই ঐতিহাসিক ভাবে সত্যি, কিন্তু তা দিয়ে পিতৃতন্ত্রের প্রবণতাকে আড়াল করা যায় না। এই বাঙালি ব্রিটিশকে বোম মারত ঠিক, কিন্তু তার আগে মা কালী জপে নিত পাশাপাশি। এই বাঙালির বর্বর জহরব্রত ছিল না বটে, কিন্তু সতীদাহ ছিল, রমরমিয়েই।

    পদ্মাবতী নিঃসন্দেহে কর্পোরেট মিডিয়ার বানানো প্রোজেক্ট। কিন্তু সম্পূর্ণত এই প্রাথমিক রাজপুত ক্ষোভকে হিন্দুত্ববাদী প্রোজেক্ট বলে তকমা দিয়ে ফেলাটা গোলমালের, তা হলে হিন্দু ধর্মের শাখায় শাখায় যে গোলমাল, তাকে চেপে দিয়ে সংহত হিন্দুত্বকেই উল্টে স্বীকার করে নেওয়া হয়, তার চেয়ে হিন্দুধর্মের অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো জিইয়ে রাখাই ভাল। কিন্তু, যখন ক্ষমতায় বসে থাকা দুই রাজ্যের বিজেপি-মুখ্যমন্ত্রী, আদিত্যনাথ আর শিবরাজ চৌহান বলে দেন যে তাঁদের রাজ্যে পদ্মাবতী চলবে না, ঘুরিয়ে বললে, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে যখন স্টেট অ্যাপারেটাসকে নিষ্ক্রিয় করে দিয়ে সিনেমার মুক্তি বন্ধ করে দেয় হিন্দু জাতীয়তাবাদীরা, তখন নিশানের প্রচ্ছন্ন গেরুয়া রং চিনে নিতে অসুবিধে হয় না।

    পদ্মাবতী, আবারও বলছি, কর্পোরেট মিডিয়ার বানানো প্রোজেক্ট। এত সব রাজপুত ভাবাবেগ কোনও দিনই অম্বানী, যাঁর অধীনস্থ ভায়াকম এই সিনেমায় টাকা ঢেলেছে, তাকে দায়ী করে উঠতে পারে না, তখন বোঝা যায় এক অদৃশ্য সুতো নাচাচ্ছে জাতি অস্মিতাকে। কিন্তু আমাদের একটা সমস্যা হল, সাংস্কৃতিক বিষয়গুলোকে আমরা খাটো মনে করি, ধরে নিই ওগুলো তত জরুরি নয়। এ দেশে এখন কৃষকের সমস্যাটাই সমস্যা, সম্পূর্ণ সহমত। কিন্তু এটাও বুঝতে হবে যে এই উপমহাদেশের সাংস্কৃতিক সত্তার গঠনে, বুননে কিছু গোলমাল হয়তো রয়ে গেছে, যার জন্য আজও কৃষক থেকে মোড় ঘোরাতে শাসকের মোক্ষম অস্ত্র রাজপুতানার ইতিহাস। বারে বারেই কেন সিস্টেমকে গরুর মাংস, জাতীয়তাবাদ, ইতিহাস, দেশপ্রেম এ সবেরই কেবল ধুয়ো তুলতে হয়, তার উৎস সন্ধান করাটাও দরকার। মিডিয়া দেখায় বলে দুচ্ছাই করলে চলে না, সাংস্কৃতিক সমস্যাটাও সমস্যাই।

    আপাতত কৃষক আর পদ্মাবতী যে যার মত রাস্তা খুঁজে নিক, অবশ্যই কর্পোরেটের বেঁধে দেওয়া বুলিতে নয়, জনতার নিজস্ব ভাষায়।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৩ নভেম্বর ২০১৭ | ২১০২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • pi | 24.139.221.129 (*) | ২৩ নভেম্বর ২০১৭ ০৮:৪৫59868
  • * পেটে টান পড়ার সমস্যা নিয়ে কেন বলা যাবে না
  • pi | 24.139.221.129 (*) | ২৩ নভেম্বর ২০১৭ ০৮:৪৫59867
  • হুম, পড়েটড়ে একমতই হলাম।
    ভেবে দেখলাম, এলজিবিটি ইস্যু নিয়ে বললে পেটে টান পড়ার সমস্যা নিয়ে বলা যাবে না যখন বলি,সেটাও এই যুক্তিতেই।
  • de | 69.185.236.51 (*) | ২৩ নভেম্বর ২০১৭ ০৯:০১59869
  • আমিও একমতই -
    মানসিক গঠনে আমাদের ঘাপলা আছে বড়সড় -

    তবে এই কৃষক সংগঠনগুলোর কিন্তু পয়সা কম নেই - কালকেই পড়লাম রাজস্থান থেকে ৩৯ লাখ টাকা খরচ করে পুরো ট্রেন বুক করে দিল্লী এসেছিলো কৃষকেরা। অন্য জায়গা থেকে নিশ্চয়ই আরো বেশী খরচ হবে।
  • পিনাকী | 72.119.166.1 (*) | ২৩ নভেম্বর ২০১৭ ০৯:২৬59870
  • শিমুলের লেখা ভালো লাগলো। আজকাল ফেসবুকের ধর তক্তা মার পেরেকের বাজারে একটু তলিয়ে অনেক দিক থেকে একটা সমস্যাকে বুঝতে চাওয়ার চেষ্টা করার মত লেখা কম দেখি। এটায় সেরকম চেষ্টা দেখলাম। তাই ভালো লাগলো।

    মূল বিষয়টা নিয়েও মোটামুটি একমত। দুটো বিষয়কেই অ্যাড্রেস করতে হবে। কৃষকদের সমস্যাকে আলোচনায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতে হবে সচেতনভাবে। আবার পদ্মাবতী নিয়ে আলোচনা করাকে ট্র্যাপে পা দেওয়া ভেবে এড়িয়ে গিয়েও লাভ নেই। শিমুল কি সেবিষয়ে যে অ্যাঙ্গেলগুলোকে ছুঁয়ে গেছে, যেমন পিতৃতন্ত্রের সাংস্কৃতিক স্তরে আত্মসাৎ হওয়া, নারীত্বের নতুন সংজ্ঞা, ইতিহাসে মিথের নির্মাণ, নারীর এজেন্সির বিবর্তন - এগুলোকে ধরে এই টপিকটায় একটা ডিটেল লেখা নামাবে? তাহলে খুবই ভালো হয়। শুধু একটা ব্যাপার খেয়াল রেখো। সেরকম লেখা খুব অ্যাকাডেমিক এবং জার্গনে ভরা হয়ে গেলে পড়ার লোক পেতে সমস্যা হবে। যারা অলরেডী এগুলো নিয়ে একধরণের চর্চার মধ্যে থাকে কেবল তারাই পড়ল - এরকম হয়ে তো লাভ নেই। তাই ভারি বিষয়কেও কীভাবে সাধারণ লোকের চর্চার বিষয় করে তোলা যায় সেই চ্যালেঞ্জটাও একই সাথে নিতে হবে।
  • pi | 24.139.221.129 (*) | ২৩ নভেম্বর ২০১৭ ০৯:২৭59871
  • কতজন কৃষক ? মানে সবাই মিলে টিকেট কাটলে এই টাকার মতই কিছু হবেনা ?
  • dc | 120.227.233.77 (*) | ২৩ নভেম্বর ২০১৭ ১০:৩২59872
  • আমার মনে হয় আরেকটা ফ্যাক্টর বাদ গেছে, যেটা হয়তো কৃষক বিদ্রোহের থেকেও বেশী প্রক্সিমেট। আমাদের দেশের মিডিয়া এমনিতেও কৃষক বিদ্রোহ ধামাচাপা দিতে অভ্যস্ত, লাস্ট পাঁচ বা দশ বছর ধরে নানান রাজ্যে কৃষির সংকট নিয়ে এমনিতেও কোন রিপোর্ট বেরোয়না। এমনকি ইউপি আর মাহারাষ্ট্রে ঋন মকুবের নামে যে মহাঢপ দেওয়া হলো সে নিয়েও খুব বেশী রিপোর্ট বেরোয়নি, দুয়েকটা ছাড়া, আর কৃষকদের এক টাকা দুটাকার লোন মকুব করার জন্য সরকারকেও কোন জবাবদিহি করতে দেখলাম না। তাই এই কনট্রোভার্সিটা যদ্দুর মনে হচ্ছে তৈরি করা হয়েছে, বা টানা হচ্ছে, গুজরাট ভোটের জন্য। গুজরাটে বোধায় বিজেপির অনুকুলে হাওয়া নেই, ডিমনি আর জিএসটির পর বিজেপি ভালো বেকায়দায় পড়েছে। তার ওপর দলিত আর পতিদার আন্দোলন সামলাতে হচ্ছে, এমনকি রাহুলবাবা অবধি কিছুটা ট্র্যাকশান পেয়েছে। সেজন্যই বিজেপির ছোট-বড়ো-মেজ সব নেতা মিলে পদ্মাবতী নিয়ে এতো ঝাঁপিয়েছে, যাতে গ্রাসরুট লেভেলে সেই গুজরাটি আর রাজস্থানি অস্মিতা প্রচার করা যায়। আমার মনে হয় তলে তলে "আমরা বিজেপি ছাড়া তোমাদের সম্মন আর কেউ বাঁচাচ্ছে না", এরকম প্রচার ভালোমতো চলছে, কারন এটা বিজেপির পুরনো টেমপ্লেট। ইউপির মুখ্যমন্ত্রীও পদ্মাবতী নিয়ে লাফাচ্ছে কারন ইউপিতে সিভিক পোল, এমপির মুখ্যমন্ত্রীও লাফাচ্ছে কারন এমপিতে সামনে ভোট, রাজস্থানেও তাই। বিজেপি জানে এই রাজ্যগুলোতে ভোটে হারতে শুরু করলেই মোমেন্টাম থেমে যাবে, তাহলে ২০১৯ এও বিপাকে পড়ে যাবে।
  • S | 184.45.155.75 (*) | ২৩ নভেম্বর ২০১৭ ১০:৪২59873
  • এর মধ্যে একটাতেও যদি হারে, তাইলেই মোদি আর শাহ বেহাল হয়ে যাবে। ইউপির সিভিক পোলে হারার চান্স আছে?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন