এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • আপনাদের দেশের চেহারা তো দেখলাম-আমার দেশ তাহলে কোথায় যাবে?

    Sakyajit Bhattacharya লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ | ৭০৪১ বার পঠিত
  • যখন কার্গিল যুদ্ধ বাঁধে আমি তখন সবে মাধ্যমিক দিয়েছি। কিন্তু মাঝেমাঝে এটা ওটার কারনে স্কুলে যাই। সেই সময় যুদ্ধের ফান্ড বিষয়ে স্কুলে কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সরকারী স্তর থেকে না হলেও সম্ভবত শিক্ষকেরা নিজেরাই এগিয়ে এসেছিলেন এবং ছাত্রদের কাছে আবেদন করেছিলেন ডোনেট করতে। আমি টাকা দিইনি। না, সেই বয়েসে দেশদ্রোহ যুদ্ধোন্মাদনা এসব ভারী ভারী চিন্তার বশবর্তী হইনি। দিইনি, কারণ বাবা যে কুড়ি বা তিরিশ টাকা দিয়েছিলেন সেটা আমি নিজেই সরিয়ে ফেলেছিলাম বিড়ি-সিগারেট খাব বলে।

    যে শিক্ষক ইনিশিয়েটিভটা নিয়েছিলেন তিনি ইতিহাসের প্রবীণ মাস্টারমশাই। সেই মাস্টারমশাই আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “তুমি টাকা দেবে না?” আমি বলেছিলাম “না স্যার। আমার টাকা খরচ হয়ে গেছে”। উনি তখন আমাকে প্রশ্ন করেছিলেন, “বড় হয়ে যদি তোমার কাছে অনেক টাকা হয়, তখন কি তুমি টাকা দিতে?” আমি একটু ভেবে মাথা নেড়ে বলেছিলাম “না”। উনি মুচকি হেসে আর কিছু না বলে পরেরজনের কাছে চলে গেছিলেন।

    সেই মাস্টারমশাই সাতজন্মেও কমিউনিজমের ধারকাছ মাড়াননি। বরং বেশ ওল্ড স্কুল ছিলেন। বাড়িতে দুবেলা পুজোআচ্চা করতেন। ক্লাসে ছাত্রদের মরাল ভ্যালুজ নিয়ে লেকচার দিতেন। সরস্বতীপুজোর মন্ত্রের ব্যুৎপত্তি বোঝাতেন। কিন্তু তবু তাঁর মুখের ওপর “না” বলতে পেরেছিলাম কারণ তিনি-ই প্রথম শিখিয়েছিলেন ডিসেন্ট কতখানি গুরূত্বপূর্ণ। নিজে ওল্ড স্কুল এবং কনজারভেটিভ হয়েও তিনি ক্লাসে ডিবেট করাতেন। আমাদের উৎসাহ দিতেন তিনি যা বলেছেন তাকে চ্যালেঞ্জ করতে।

    আমার আরেক মাস্টারমশাই ছিলেন যিনি তাঁর ছাত্রজীবনে অতিবাম রাজনীতি করার কারনে দশবছর জেল খেটেছিলেন। তিনি প্রথম আমার হাতে গোর্কী, টলস্টয়, শলোখভ তুলে দেন। তাঁর ডিপ্রেসনের বিকেলগুলিতে অনর্গল আমার কাছে গল্প বলে যেতেন নিজের উত্তাল যৌবনের দিনগুলির। তাঁর কাছে এরকম এক বর্ষার বিকেলে বসে শুনেছিলাম, যাদুগোড়াতে তাঁরা যখন মুভ করছেন, সেই অঞ্চলের এক পাগলের গল্প। সেই পাগলটি তাঁদের সাথে অনেকটা রাস্তা একসাথে হেঁটে গিয়েছিল। তারপর কি ভেবে নিজের মনেই একদিন উধাও হয়ে যায়।

    সেই পাগলটিকে গ্রামের সকলে ক্ষেপাত। তার গায়ে ছেড়ে দিত লাল পিঁপড়ে। পুকুরে স্নান করতে নামলে পেছন থেকে অতর্কিতে এসে তার মাথা জলের মধ্যে চেপে ধরত। সে ভয় পেয়ে চেঁচাত। উন্মত্ত অসহায় আক্রোশে মুঠোমুঠো ধুলোবালি ছুঁড়ত তার নির্যাতনকারীদের দিকে। সকলে তাকে দেখে খ্যা খ্যা করে হাসত। ভিক্ষে করতে বেরলে পাগলকে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দিয়ে তার পয়সা নিয়ে পালিয়ে যেত ছেলেপুলের দল। পাগল তখন অসহায়ের মত হাত পা ছুঁড়ত। তার মুখ দিয়ে স্পষ্ট আওয়াজ বেরত না। স্বরযন্ত্রে গোলমাল ছিল। শুধু লালা গড়াত, আর দুর্বোধ্য কিছু শব্দ বেরিয়ে আসতে চাইত প্রাণপণে। মাস্টারমশাই যখন সেই পাগলটির গল্প করছিলেন, আমি দেখেছিলাম যে তিনি কাঁদছেন। বাইরে তখন আকাশ কালো হয়ে ছায়া ঘনিয়ে এসেছে। আর প্রায়ান্ধকার ঘরে বসে এক প্রাক্তন বিপ্লবী কাঁদছেন আর বলছেন “সেই পাগল আমাদের সংগে যখন হাঁটছিল তখন কি ভাবছিল বলতে পারো?” আমি চুপচাপ বসেছিলাম।

    কয়েক বছর আগে গলফ-ক্লাবে এক বিয়েবাড়িতে গিয়েছিলাম। বড়লোকদের ব্যাপারস্যাপার। প্রচুর গাড়ি আসছে, সুসজ্জিত নিমন্ত্রিতরা, তাঁদের মার্জিত কথা, চলন-বলন সব-ই ভীষণ পলিশড। খুব হালকা স্বরে কোথাও বিলায়েত খাঁ বাজছিল। এরকম পরিবেশে আমার বিশেষ কিছু করার ছিল না বলে একা বসে বসে থামস-আপ খাচ্ছিলাম। হঠাৎ চোখে পড়ল পাশেই এক বাবা-মা-ছেলের পরিবার। পোষাক-আশাক, হাঁটাচলার ভংগী জানিয়ে দিচ্ছে যে তারা একটু নিম্ন-মধ্যবিত্ত। সম্ভবত দুরসম্পর্কের আত্মীয়তার কারণে নিমন্ত্রণ পেয়েছিল। ছেলেটির দশ বারো বছর বয়েস। তারা তিনজন কুন্ঠিত ভাবে বসে ছিল এককোণে। কেউ তাদের সাথে বিশেষ কথা বলছিল না। ছেলেটার মনে হয় ইচ্ছে ছিল একটু চারপাশ ঘুরে ঘুরে দেখবে কিন্তু তার মা চোখের শাসনে আটকে রাখছিলেন। একসময় চাপাগলায় ভদ্রমহিলাকে বলতে শুনলাম “কেউ কথা বলছে না। চলো বেরিয়ে এগরোল খেয়ে বাড়ি চলে যাই”। ভদ্রলোক মাথা নাড়লেন “না না এসব করতে যেও না। মন্টুদারা দুঃখ পাবে। তাড়াতাড়ি খেয়ে নিই।”।

    তারপর খাবার ডাক পড়ল। ব্যুফে সিস্টেম। বোঝাই যাচ্ছে তাঁরা এসবে অভ্যস্ত নন। বিশেষ করে বাচ্চাটি। অনভ্যস্ত হাতে তার প্লেটে খাবার তুলে দিচ্ছিলেন মা। আশেপাশে সকলে তখন নিজেদের মধ্যে কথাবার্তায় ব্যস্ত। কেউ এদের দিকে ফিরেও তাকাচ্ছে না। খাওয়া শেষের ঠিক মুখে বাচ্চাটি চামচ দিয়ে আইসক্রিম তুলতে গিয়ে সেটা স্লিপ করে গেল। অসতর্কতার বশে কাঁচের প্লেট সশব্দে পড়ল হাত থেকে কার্পেটের ওপর। সকলে নিজেদের মধ্যে কথা থামিয়ে ভুরু কুঁচকে তাকালেন এই দিকে। যেন এই প্রথম সচেতন হলেন যে তাঁদের পরিমণ্ডলে এই তিনজন-ও আছে। আর ঘরভর্তী সেই সুশিক্ষিত সুসজ্জিত নারী-পুরুষের সম্মিলিত দৃষ্টির মুখে দাঁড়িয়ে ছেলেটির মুখ অপমানে লজ্জায় কালো হয়ে গেল। ঠোঁট থরথর করে কাঁপছে। মাথা নিচু। প্রাণপণে সামলাতে চাইছে ঠিকরে আসা চোখের জল। সে ওইটুকু বয়েসেই বুঝে গিয়েছিল কেউ তাদের সম্মান করে না। তারা এই বিয়েবাড়িতে একটা জলজ্যান্ত এমব্যারাসমেন্ট। আমি নির্নিমেষে সেই ছেলেটিকে দেখেছিলাম। তার বন্ধ চোখ, তার কাঁপতে থাকা ঠোঁট, তার সারা শরীর বেয়ে চুঁইয়ে পড়া অপমানকে দেখেছিলাম।

    না স্যার, দেশ আমার মা নয়। ঠাকুমাও নয়। দেশ মানে আমার কাছে কিছু স্মৃতি, নিজের জায়গা, নিজের পাড়া আর কয়েকটা অপমানিত মানুষের মুখের থেকে বেশি কিস্যু না। এমনকি সত্যি কথা বলতে গেলে দেশ মানে আমার কাছে আফজল গুরু, শর্মিলা চানু বা স্মৃতি ইরাণিও নয় কারণ এদের আমি দেখিই নি। দেশ মানে সম্ভবত আমার পাড়া, আদিগংগার ধার, শ্মশান, যাদবপুরের আড্ডা, নন্দন, লিটল ম্যাগ, আর কিছু মানুষ- এসবের বাইরে আর কিছু বুঝিও নি এতদিন। আর সেইজন্যে পাকিস্তানকে ঘেণ্ণা করতে পারি না। কারণ জীবনে একজন-ও পাকিস্তা্নি দেখিনি। আজ যখন আপনারা হুংকার ছাড়েন “ভারতমাতাকে সম্মান না করলে পাকিস্তানে চলে যাও”, “কাটুয়ারা দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক”, “যে আমার দেশ আর জওয়ানদের অসম্মান করবে তাদের হাত পা চিরে ফেলা হবে”, তখন সেই অমার্জিত বন্য দেশপ্রেম দেখে ভয় লাগে। আপনাদের দেশের চেহারা তো দেখলাম-আমার দেশ তাহলে কোথায় যাবে?

    রমাপদ চৌধুরীর একটা গল্প ছিল। নাম “ভারতবর্ষ”। স্মৃতি থেকে যদ্দুর মনে পড়ে-দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে একটা গ্রামে মিলিটারিরা সেদ্ধ ডিম দিত আর তা নেবার জন্য দলে দলে মানুষ মিলিটারিদের ট্রেনের দিকে প্রতি সকালবেলায় ছুটে যেত। একমাত্র গ্রামপ্রধান বাদে। সে সকলকে বাধা দিত। যেতে দিত না। বলত “ওতে ইজ্জত নাই”। গল্পের শেষে প্রচণ্ড দুর্ভিক্ষের সময়ে একদিন দেখা গেল অন্য সকলের সঙ্গে সেই গ্রামপ্রধান বুড়োও ছুটে আসছে মিলিটারি ট্রেনের দিকে। সেদ্ধ ডিমের জন্য দুইহাত বাড়িয়ে।

    রমাপদ লিখেছিলেন “সেদিন সকলেই ডিমসেদ্ধ পেয়েছিল কিন্তু আমাদের গ্রাম খুব গরীব হয়ে গিয়েছিল”।

    যতদিন আমাকে কেউ দেশপ্রেমিক হতে বলেনি, নিজেকে অন্য অনেক দেশের মানুষদের তুলনায় খুব ভাগ্যবান এবং ঐশ্বর্য্যশালী লাগত। আজ আমরা সকলে জাতীয়তাবাদী ডিমসেদ্ধর লোভে ছুটে চলেছি। আর আমার গোটা দেশ এক লহমায় খুব গরীব হয়ে গেছে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ | ৭০৪১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • sch | 125.187.38.243 (*) | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১১:১৬57888
  • দূর মশাই - আপনি কিচ্ছু জানেন না - ওই সব গলফ গ্রীনের বিয়ে বাড়িতে বিরিয়ানি দেয় না -ও তো আজকাল গ্রামের বাড়িতেও দেয়। ওখানে রিসোট্টো বা আরোজ ডি লিসা বা অন্য কিছু দেয় আমরা যার নাম জানি না। বিরিয়ানি কি দেবে!!! গলফ গ্রীনের অভিজাত বিয়েবাড়িতে। না জেনে টেনে লিখে ফেলেন
  • আপনারা | 37.63.132.65 (*) | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১১:২৪57889
  • খুবই রসিক।
  • sopatt | 100.206.188.240 (*) | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১১:৪৮57890
  • একদম একমত এর থেকেও একমত , আরে দাদা, জেনে লেখা, তাও গুরু তে? ওই সোনার কি যেন আমসত্ব আর কাঁঠালের কি যেন পাথর বাটি (সেটাও জানিনা) বলেনা?
    তবে দাদা আপনার খবরের সুত্র পাল্টান, আমার কাছে একদম পাক্কা খবর আছে, ডাক রিলোত্তে এন ক্রুতে আর বলান্গেরে আর ক্রীয়লে রেমুলাদে মেনু তে ছিল, আরে রিস্অত্ত, দি লিসা এসব তো আজকাল বিশ্বকর্মা পুজোর দুপুরেও পত্যেক পাড়ায় হয়
  • S | 108.127.145.201 (*) | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১১:৫০57891
  • ধুর কোলকাতার গল্ফ ক্লাবের চার্জ অনেক বেশি। জিমের মেম্বারশিপ ২৫০০০ পুলের মেম্বারশিপ ২০০০০। এরা এখনো এগুলোকে প্রিমিয়াম সার্ভিস ভাবে?
  • dc | 132.164.187.189 (*) | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১২:০৯57892
  • বিয়েবাড়িতে বা রেস্টুরেন্টে চামচে, কাপ এসব পড়ে যাওয়া কিন্তু বেশ কমন ব্যাপার। আমার নিজেরই যে কতোবার হয়েছে! ঃ( আগে আমিও লজ্জা পেতাম, এখন স্মার্টলি আবার কুড়িয়ে নি। অন্য কারুর প্লেট পড়ে গেলে তুলেও দি, আমার হাত খালি থাকলে, বা ওয়েটারদের কাউকে ডেকে দি।
  • aranya | 83.197.98.233 (*) | ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৩:০৩57898
  • শাক্য-র লেখা আমার ভাল লাগে। এই লেখাটাও ভাল লাগল।

    'উমর, কানহাইয়া আমার ভাইয়ের মতন' - এই লাইন-টা পড়লাম, শাক্য-র একটা পোস্টে।

    রাজীব হায়দার, অভিজিৎ, আরও ব্লগার যারা বাংলাদেশে খুন হয়েছেন, তাদের সম্বন্ধে এমন কোন লেখা বা মন্তব্য শাক্য-র কলম থেকে পেলে ভাল লাগত।

    তবে, কার কাকে আপন লাগবে সেটা প্রত্যেকের নিজস্ব ব্যাপার, তাও ঠিক।
  • বাজে খবর | 23.21.125.9 (*) | ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৯:৪৫57899
  • না, অভিজিৎ বা রাজীবের মৃত্যু নিয়ে খারাপ লাগা আছে। কিন্তু তাদের সাথে একাত্মবোধটা আসে না। সলিডারিটি জানাতে পারি, আইডেন্টিফাই করতে পারি না।

    যেহেতু উমর বা কানহাইয়ার সাথী একাত্মবোধ করতে পারি তাই পৃথিবীর সব ঘটনার সাথেই করতে হবে, এরকম দাবী আমার ঠিক বলে মনে হয় না। এটা ভীষণভাবে ব্যক্তিবিশেষের ওপর নির্ভরশীল। উমর বা কানহাইয়ার ব্যাপারটা আমি খুব পার্সোনালি নিয়েছি। সেইজন্য হয়ত রিঅ্যাক্ট বেশি করছি। অভিজিৎ বা রোহিত বা শর্মিলা চানুর ক্ষেত্রে সেই পার্সোনাল ব্যাপারটা আসে না।
  • শাক্যজিৎ | 23.17.125.9 (*) | ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৯:৫৩57900
  • সরি ওপরের লেখাটা আমার। ভুল আইডি দিয়ে লগড ইন ছিলাম বলে ছড়িয়েছি :)
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল প্রতিক্রিয়া দিন