এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • জিয়াগঞ্জের ঘটনাঃ সাম্প্রদায়িক রাজনীতি ও ধর্মনিরপেক্ষতা

    Samrat Amin লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৭ অক্টোবর ২০১৯ | ২২৩০ বার পঠিত
  • আসামে এনার্সি কেসে লাথ খেয়েছে। একমাত্র দালাল ছাড়া গরিষ্ঠ বাঙালী এনার্সি চাই না। এসব বুঝে, জিয়াগঞ্জ নিয়ে উঠেপড়ে লেগেছিল। যাই হোক করে ঘটনাটি থেকে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতেই হবে। মেরুকরনের রাজনীতিই এদের ভোট কৌশল। ঐক্যবদ্ধ বাঙালী জাতিকে হিন্দু মুসলমানে ভাগ করা ওদের একমাত্র লক্ষ্য। জিয়াগঞ্জের চারটি খুন তাই চারটি রাজনৈতিক লাশ। ঠিক এই কারনেই একবার বলল "বন্ধুপ্রকাশ প্রতিমা শিল্পী তাই হত্যা", একবার এল "অবৈধ মসজিদ নির্মানে বাধা দিয়েছিল তার জন্য হত্যা", শেষে বলল উনি নাকি "সাচ্চা আরএসএস কর্মী" তাই "জেহাদিরা" হত্যা করেছে। কিন্তু কোন প্রোপাগান্ডায় ধোপে টিকল না। হাজার চেষ্টা করেও সলিড কমিউনাল ন্যারেটিভ দাঁড় করানো গেল না। বন্ধুপ্রকাশ পালের পরিবার এসে সব সংঘী-প্ল্যান ভেস্তে দিল। বেচারি! মোল্লা গুলোকে পিষে দেওয়ার একটা বিরাট সুযোগ এসেছিল। হাত ফোসকে বেরিয়ে গেল। এত খাটাখাটনি করেও মোল্লা সংযোগ স্থাপিত করা গেল না। হায় রে সংঘী!

    কাল তদন্তে ধরা পড়ল বছর কুড়ির উৎপল বেহেরা। পেশায় রাজমিস্ত্রী। লেনদেন, ব্যক্তিগত আক্রোশ, প্রতিশোধ। কেন কি কারন, বিস্তারিত আপনারা জানেন। কাগজে পড়েছেন নিশ্চয়। কিন্তু ঘটনার কারন ও খুনীর নাম বেশ কিছু লেখক লেখিকার পছন্দ হয় নি। কারন যে কারন গুলি তাঁরা ভালবেসে বিশ্বাস করেছিলেন সেগুলি একটিও লাগল না। ঘটনাচক্রে একই ব্যক্তিগত কারনে "উৎপলের" জায়গায় নামটা কেবল "আনারুল" হয়ে গেলে পুরো মুসলিম সম্প্রদায়কে দূর্ভোগ পোহাতে হত। আনারুলের ব্যক্তিগত অপরাধের দায় নিতে হত গোটা মুসলিম সম্প্রদায়কে। কিন্তু উৎপলের অপরাধের দায় উৎপলেরই, সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়কে দায় নিতে হয় না। দৃষ্টিভঙ্গির এই তফাৎটি যথেষ্ট ভয়ের। আরএসএস বিজেপির রাজত্বে আগামী দিন গুলোতে এই বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গিটি আরও বেশি করে জায়গা করে নেবে। যেকোন কারনেই হোক না কেন সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের মানুষ খুন হলেই বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতি তাকে হাইজ্যাক করবে। বিদ্বেষ ছড়াবে। সংখ্যালঘু মুসলিমদের মনে এমন আসন্ন বিপদের ভয়টি আরও বেশি মারাত্মক। জিয়াগঞ্জ এমনই সাম্প্রদায়িক রাজনীতির কোপ বাঁচল। কোন দায় না থাকা সত্ত্বেও এক অজানা মেনাস মুসলিম জনমানসকে গ্রাস করে রেখে ছিল দিন কয়েক। ভবিষ্যত কি হবে জানা নেই। তবে আপাতত কিছুটা ভয় থেকে মুক্তি। কোন মোল্লার নাম নেই। ঘটনাটিতে ঢোক গিলতে হবে সেটা আগেই বুঝেতে পেরেছে আরএসএস। পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য ন্যারেটিভ তৈরির কাজ শুরু হয়ে গেছিল। ড্যামেজ কন্ট্রোল।

    যুগসঙ্খের মতো আরএসএস-বিজেপির পয়সায় চলা আগাছা পত্রিকাগুলো রীতিমত দায়িত্ব নিয়ে সাম্প্রদায়িক রং দেওয়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। এখনও চালাচ্ছে। প্রতিদিন নিয়ম করে বিষ ঢালছে জনমানসে। এই পত্রিকার সম্পাদককে "সেরা পোষ্য সারমেয়" পুরস্কার দেওয়া যায়। "জিয়াগঞ্জে জেহাদি, ইসলামী স্বর্গরাজ্য" এসব লিখে বেড়াচ্ছিল পত্রিকায়। পেপারকাট শহরের মোড়ে মোড়ে দেওয়ালে চেটানো হচ্ছে। সেইসঙ্গে সোশাল মিডিয়ায় সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ঘৃনা ছড়ানোর জন্য নিযুক্ত আছে বিজেপির আইটি সেলের ভাইটিরা। আর রইল এইসব পত্রিকার পাঠক এবং নাস্তিক সেজে থাকা ছুপা চাড্ডীসকল। এ গুলোর প্রোফাইল ঘুরে এসে আঁচ পেয়েছিলাম মাঠ তৈরি হয়ে গেছে। "বন্ধুপ্রকাশের পরিবারকে ভয় দেখিয়ে বলিয়ে নেওয়া হয়েছে", "জেহাদিদের আড়াল করা হচ্ছে", "সংখ্যালঘু তোষণ চলছে", " পারিবারিক বিবাদের কথা তুলে ধরে জেহাদিদের আড়াল করা হচ্ছে" ইত্যাদি প্রভৃতি আসতে চলেছে আজকালের মধ্যেই। ড্যামেজ কন্ট্রোল।

    সম্প্রীতির উপর, ধর্মনিরপেক্ষতার উপর এদের আবার খুব রাগ। ভারতের যে সংবিধান ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শের উপর প্রতিষ্ঠিত তার উপর খুব আক্রোশ। "কোথায় গেল সম্প্রীতি", "কোথায় গেল সেকুলারিজম", "কোথায় গেল প্রতিবাদ" এসব প্রশ্নবানে ফেবুর দেওয়াল ভরিয়ে দিচ্ছিল। হোয়াট্যাবুটারি দিয়ে সেকুলারদের উপর প্রতিবাদের দায় চাপাচ্ছিল। এরা নিজেরা সেফ জোনে থাকে। রাস্তায় নামার নাম নেই। অথচ কে ফেসবুকে প্রতিবাদ করছে কে করছে না এসব দেখে বেড়াচ্ছিল সংঘী চোখ দিয়ে। আরএসেসীয় প্রপাগান্ডায় এদের অগাধ আস্থা, অগাধ বিশ্বাস। কোন এক আইটি সেলের ভাইটির কাছ থেকে শুনে নিয়েছে "অবৈধ মসজিদ নির্মানে বাধা দেওয়ায় বন্ধুপ্রকাশবাবুকে খুন করা হয়েছে", ব্যাস! চোখ বুজে বিশ্বাস করে নিয়েছে। বিদ্বেষের আঁশটে গন্ধ ভরা ন্যারেটিভ নামিয়ে দিয়েছে ফেবুর দেওয়ালে।

    ঘটনা হচ্ছে, এরা এসব ন্যারেটিভে বিশ্বাস রাখতে ভালবাসে। ভুল ধরিয়ে দিলেও নিজের জায়গা থেকে নড়ে না। তাই অযাচিতভাবে "সম্প্রীতি", "ধর্মনিরপেক্ষতা" এসব টেনে আনে। ত্রিকোন প্রেমের জেরে বিকাশ ভৌমিক খুন হলেও এরা ফেসবুকে হাঁক দেবে "আজ সেকুলাররা কোথায়?"। অদ্ভুদ! ফেবুতে এরা এসব অবাঞ্ছিত অপ্রাসঙ্গিক ষ্টেটাস নামিয়ে সঙ্ঘীদের ফেক প্রোপাগান্ডাকে পুষ্ট করে। উত্তরাধীকার সুত্রে এরা দুটি অভ্যাস অর্জন করেছে। এক, সর্বদা বিচারকের আসনে বসে যায় এবং দুই, বিশেষ সম্প্রদায়ের প্রতি ঘৃনাবিদ্বেষ পুষে রাখে। এরা বিশেষ ঘটনা ঘটার জন্য ওত পেতে থাকে যাতে ফেবুর দেওয়ালে ঘৃনাবিদ্বেষ উগরে দেওয়ার সুযোগ পায়। আর যারা এই প্রবনতার প্রতিবাদ করে তাদের জেহাদি মাকু সেকু তিনু গোঁড়া এসব তকমা দিয়ে একঘরে করতে চাই।

    আচ্ছা, বলুন তো, কোন খুন যদি পারিবারিক বিবাদ বা ব্যবসায়িক লেনদেন বা ধারদেনার কারনে হয় তাহলে প্রতিবাদের দায় কি সেকুলারদের উপর পড়ে ? কিন্তু এরা টেনেহিঁচড়ে ঘটনাটির সঙ্গে "সম্প্রীতি" "ধর্মনিরপেক্ষতা" এসব জুড়ে দিচ্ছিল সচেতনভাবে। বেমানানভাবে। ঘটনাটি রাজনৈতিক বা ধর্মীয় কারনে নয় এটা এতদিনে সবাই জেনে গেছে। তেমন হলে সেকুলারদের উপর প্রতিবাদের দায় অবশ্যই থাকত। কিন্তু তা তো নয়। জিয়াগঞ্জের খুনের ঘটনাটি ব্যবসাসংক্রান্ত লেনদেনের জের। নৃশংস ঘটনা। বিবেকবান যেকোন মানুষই শিউরে উঠবেন ঘটনাটির নৃশংসতায়। আশা করি যে খুনী একই পারিবারের চারজনকে (পেটের বাচ্চাটিকে ধরে) খুন করেছে সে উপযুক্ত শাস্তি পাবে দ্রুত।

    খুনের যে কারনটি আরএসএস ও বিজেপি প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছিল সেটা ছিল ফেক রাজনৈতিক প্রোপাগাণ্ডা। মানুষ বুঝেছে। শুভ লক্ষন। ভবিষ্যতেও এমন খুনের ঘটনা ঘটতে পারে। খুনের কারণ যায় হোক আরএসএস বিজেপি চাইবে সাম্প্রদায়িক রং ঢেলে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে। এমন অশুভ শক্তি প্রতিরোধের জন্য বাংলার সমস্ত শুভবুদ্ধিকে একজোট থাকতে হবে। এমন নৃশংস ঘটনা ঘটলে মানুষ প্রতিবাদ করবে শুভবুদ্ধির জায়গা থেকে।মানবিকতার খাতিরে। সেকুলারিত্বের দায় থেকে নয়। যেকোন ঘটনাতেই সেকুলারদের উপর দায় চাপানোর অর্থই হল সাম্প্রদায়িক মেরুকরনের পথ প্রশস্থ করা। যে ধর্মনিরপেক্ষতা ছিল ভারতীয় হিসাবে গর্বের সেটাকে লজ্জায় পর্যবসিত করা হচ্ছে। জনমানসকে এমনভাবে সঞ্চালিত করা হচ্ছে যাতে যাতে ব্যক্তিবিশেষ নিজেকে ধর্মনিরপেক্ষ বলতে লজ্জা বোধ করেন। লজ্জা এড়িয়ে বললেও ব্যঙ্গের শিকার হন। এটা একটা ঘৃন্য মেরুকরন কৌশল। এই কৌশলকে ধোঁয়া দিলে সমূহ বিপদ।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৭ অক্টোবর ২০১৯ | ২২৩০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন