এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • জাতিভিত্তিক সংরক্ষণ প্রসঙ্গেঃ সমর্থন, বিরোধীতা এবং যুক্তি

    Samrat Amin লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | ৩৫৭৬ বার পঠিত
  • উত্তরপ্রদেশের এক স্কুলে কার্লা হার্প এবং প্রিয়াঙ্কা পান্ডে একটি বিশেষ সমীক্ষা করেন। সমীক্ষার জন্য গৃহিত স্থিতিমাপ গুলো ছিল ভিন্ন রকমের। বিশেষ এক শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের বুদ্ধ্যঙ্ক পরিমাপ করা হয়। পরিমাপের আগে কাউকেই মনে করিয়ে দেওয়া হয় নি কে ব্রাহ্মণ, কে অব্রাহ্মণ বা কে অন্ত্যজ। দেখা যায় জাত ও গোত্রধর্ম নির্বিশেষে সবার বুদ্ধ্যঙ্ক প্রায় সমমানের। অন্ততঃ পরিসংখ্যানগত কোন তফাৎ নেই। দ্বিতীয় পর্যায়ে ঐ ছাত্রছাত্রীদের বার বার মনে করানো হয় তাদের জাতি ও গোত্রধর্ম পরিচিতি। আবার বুদ্ধ্যঙ্ক পরিমাপ করতে গিয়ে দেখা যায় অন্ত্যজদের গড় বুদ্ধ্যঙ্ক অনেকটা নীচে নেমে গেছে। এই সমীক্ষা থেকে যেটা উঠে আসছে যে আর্থসামাজিক বৈষম্যের পাশাপাশি ব্যক্তির দক্ষতার ঘাটতির ক্ষেত্রে অন্যতম বড় প্যারামিটার হল জাতি বৈষম্য এবং তদুপরি ব্যক্তির জাতিগত মনোসামাজিক অবস্থান।

    দক্ষতার ঘাটতির নিয়ামক অর্থনৈতিক বৈষম্য তো বটেই জাতিবৈষম্য সামাজিক অগ্রগতির পরিপন্থী। এখন প্রশ্ন হল এই দুই বৈষম্য দূরীকরণের ক্ষেত্রে সরকারের দায়িত্ব কি থাকতে পারে ? প্রথমটির জন্য দারিদ্র দূরীকরণ প্রকল্প হলে দ্বিতীয়টির জন্য সামাজিক, রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রে তফশিলী জাতি ও আদিবাসিন্দাদের জাতিগত প্রতিনিধিত্ব সুনিশ্চিত করা। জাতিগত প্রতিনিধিত্বের বিষয়টিই "সংরক্ষণ" বলে অবজ্ঞা করার একটি মানসিকতা ইদানিং পরিলক্ষিত হচ্ছে। হয় তফশিলীদের সংরক্ষণ তুলে দেওয়া বা আর্থিক ভিত্তিতে সংরক্ষণের কথা বলা হচ্ছে।

    কিন্তু আমাদের দেশের সংবিধানের ১৬ (৪ক) নং ধারায় বলা আছে যে জাতি প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত জাতিগত প্রতিনিধিত্ব পায় নি তারাই সংরক্ষণের আওতায় থাকবে। তফশিলী জাতি ও উপজাতির তালিকা নৃতাত্ত্বিক সমীক্ষা ও পরিসংখ্যান মেনেই নিরুপণ করা হয়েছে। সেই নিরিখে আর্থিক ভিত্তিতে সংরক্ষণের বিষয়টির কোন সাংবিধানিক বৈধতা নেই। কারন বিষয়টি দারিদ্র দূরীকরণ প্রকল্পের আওতায় পড়ে, সংরক্ষণের আওতায় নয়। স্বাধীনতার এত বছর পরেও দেশের নাগরিকদের মধ্যে চরম আর্থিক বৈষম্যের দায় সরকারের, তফশিলীদের নয়। এখন জাতিগত সংরক্ষণ তুলে দেওয়ার জন্য আওয়াজ তোলার আগে প্রশ্ন আসে জাতিগত প্রতিনিধিত্বের বিষয়টি প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রে সুনিশ্চিত হয়েছে কি না ? পরিসংখ্যান কি বলে ?

    মন্ডল কমিশনের রিপোর্ট বলছে তফশিলীদের জন্য ২২.৫ % সংরক্ষণের পরেও প্রথম শ্রেণির চাকুরিতে তফশিলী রয়েছেন মাত্র ৭.১৪ %। দ্বিতীয় শ্রেণির চাকুরিতে তফশিলী রয়েছেন মাত্র ১৩.৩৬ % । কেবলমাত্র তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির চাকুরিতে তফশিলী প্রতিনিধিত্বের হার ৩১ %, সংরক্ষিত সীমা ২২.৫ % এরও বেশি। অর্থাৎ তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির চাকুরিতে উচ্চবর্ণের চাকুরি প্রার্থীদের অনীহা রয়েছে। এখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি ঠিক শাস্ত্রীয় বর্ণাশ্রয়ী শ্রমবিভাজনের নিয়ম মেনেই সরকারি চাকুরির শ্রম বিভাজন হয়েছে। যে সরকারি চাকুরি নিয়ে আজ বিরোধ বেঁধেছে শুধুমাত্র সংগঠিত অর্থনীতির ক্ষেত্রেই তার পরিমান মোট ১০ শতাংশের কিছু কম। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকুরি ধরলে সংখ্যাটি ৫ শতাংশেরও কম। শুধুমাত্র এই কয়েকটি চাকুরির ভাগ বাঁটোয়ারা নিয়ে গেল গেল রব তোলা হচ্ছে।

    তফশিলী জাতি (১৫%), জনজাতি (৭.৫%) ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণিদের ((৬২.৫%) ধরলে ভারতেবর্ষে মূলনিবাসীরাই সংখ্যাগুরু। তফশিলীদের বৃহৎ হিন্দু পরিবারে যুক্ত করে রাজনৈতিক সম্প্রদায় বানিয়ে দেওয়ার দীর্ঘ ইতিহাস আছে এবং এই করেই একটা সংখ্যালঘু সম্প্রদায় সংখ্যাগুরু হয়েছে ব্রাহ্মণ্যবাদ কায়েম রাখার স্বার্থেই। সে অন্য ইতিহাস। যাই হোক, মোটের উপর ভারতবর্ষে ব্রাহ্মণ রয়েছে ৩.৫%, ক্ষত্রিয় ৪.৫ % ও বৈশ্য ৭ %. বিশেষত ব্রাহ্মণ ও কায়স্থ শ্রেণি মোট ৮% হয়েও সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রের ৬০% জায়গা দখল করে রয়েছেন। কিন্তু প্রকৃত জাতিগত আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ঠিকঠাক থাকলে প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রের ৮৫% জায়গা তফশিলী জাতি, জনজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির হাতে এবং জাতির প্রতিনিধিত্ব সংশ্লিষ্ট জাতির জনবিন্যাসের অনুপাতের উপর ভিত্তি করে সুনিশ্চিত হওয়ার কথা ছিল, কিন্ত তেমনটা হয় নি।

    বাবাসাহেব আম্বেদকর সামাজিক গনতন্ত্রের কথা বলতেন। এই সামাজিক গনতন্ত্র দিয়েই পিছড়েবর্গের উন্নয়ন সূচীত হয়। মেকি রাজনৈতিক গনতন্ত্র দিয়ে নয়। সামাজিক গনতন্ত্র যে প্রতিষ্ঠিত হয় নি, মন্ডল কমিশনের রিপোর্ট থেকে পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে। সামাজিক ক্ষেত্রে তফশিলীদের উপস্থিতি প্রত্যাশার তুলনায় অপ্রতুল। প্রতিযোগীতার বাজারে যার প্রাথমিক সম্পদ অন্যদের তুলনায় বেশি, কালক্রমে সেই পুরো বাজারের দখল নেবে এটা বাজার অর্থনীতিতে ধ্রুব সত্য। শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের বাজারেও কথাটি বহুলাংশে সত্য। পিছড়েবর্গের জাতি গুলোর জন্য প্রতিনিধিত্বের অবকাশ না থাকলে কেবল ঐতিহসিকভাবে প্রাগ্রসর আলোকপ্রাপ্ত উচ্চবর্ণের মানুষরাই প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রগুলি ভরাট করবে। এই সরল সত্যটি ভুলে গেলে চলবে না।

    দেখা যাবে জাতিতে নীচু ও আর্থিকভাবে দূর্বল এবং সরকারি চাকুরির নূন্যতম যোগ্যতা আছে এমন প্রার্থী পাওয়াই যাবে না। দারিদ্রের জন্য সংরক্ষিত উচ্চবর্ণের প্রার্থীরাই সব আসন দখল করবে। এতে করে সমাজের ব্রাম্ভন্যবাদী স্বার্থটিই অক্ষুন্ন থাকব্র এবং সেই গন্ডীর মধ্যে দলিতেরা প্রবেশই করতে পারবে না। দলিতেরা যাতে কোনভাবেই প্রবেশ করতে না পারে তাই হরেক কিসিমের যুক্তির পসার সাজিয়ে সংরক্ষন বিরোধী জনমত তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রগুলি পূর্ণ করার জন্য কেবল বিশেষ উচ্চবর্গীয় জাতিগোষ্ঠীর লোকেরা এলে বুঝতে হবে সামাজিক কাঠামোটাই কিছু গলযোগ আছে, যা মেরামতির প্রয়োজন। এমন নয় যে উচ্চবর্ণের মানেই মেধায় ভরপুর ও নমঃশূদ্র মানেই মধ্য বা নিম্ন মেধা।

    সংরক্ষণের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে বারবার যোগ্যতার প্রশ্নটি তোলা হয়। যোগ্যতার মাফকাঠি সবার জন্য সমান হবে তখনই যখন সব বর্ণের, সব শ্রেনির, সব ধর্মের মানুষ সমান সুযোগ ও সরকারি পরিষেবা নিয়ে বড় হবে। কিন্তু আমাদের দেশ শ্রেণিবৈষম্য, জাতিবৈষম্য ও লিঙ্গবৈষম্যের ভারে ভারাক্রান্ত। তাই সমসুযোগ ও পরিষেবার ধারনাটি নিখাদ খোয়াবনামা। উচ্চবর্ণের জমিদার জোতদারদের উত্তরাধিকারীরা শহরে থিতু হয়ে উন্নত সমান্তরাল শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। যোগ্যতর পেশাদার তৈরির জন্য শহর এলাকায় গড়ে উঠেছে উচ্চবর্ণের মধ্যবিত্তদের নিজস্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এইসব ইংলিশ মিডিয়াম গুলোর ষ্টুডেন্ট রেজিষ্টার ঘাঁটলে দেখা যাবে নমঃশুদ্র ছাত্রছাত্রীদের নাম তেমন নেই, প্রায় সবই উচ্চবর্ণের। এদের শ্রেণিগত সাদৃশ্যও বলা বাহুল্য অনেক বেশি।

    অন্যদিকে গরিষ্ঠ নমঃশূদ্রদের জন্য রয়েছে গ্রামীন বিদ্যালয়। সুযোগ সুবিধা, পড়াশুনার পরিবেশ বিচার করলে দেখা যাবে এই দুই সমান্তরাল শিক্ষাব্যবস্থার আশমান-জমিন তফাৎ। শুধু মুখে সার্বজনীন শিক্ষার কথা বললে হবে না। সবার জন্য যোগ্যতার মাপকাঠি এক হলে শিক্ষাক্ষেত্রে সবার জন্য জন্য সমান সুযোগ ও সমান পরিষেবার ব্যবস্থা রাষ্ট্রের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। রাষ্ট্র কি তেমন কিছু করতে পেরেছে? সুযোগ ও পরিষেবার ক্ষেত্রে এমন বৈষম্যের দায় কার? এমনকি পুঁজি ও মেরিটোক্রেসির পীঠস্থান আমেরিকাতেও ছেলেমেয়েদের বাধ্যতামূলকভাবে পাড়ার স্কুলে ভর্তি হতে হয়, আর্থসামাজিক অবস্থানের নিরিখে তার পছন্দমাফিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগসুবিধা নির্ধারিত হয় না। সংরক্ষণ নয়, বরং বর্ণাশ্রয়ী অভিজাততন্ত্র ভারতবর্ষের অগ্রগতির অন্যতম বড় প্রতিবন্ধক।

    সংরক্ষণের বিরুদ্ধে আর একটি যুক্তি খাড়া করা হয়। সংরক্ষণ বলবৎ থাকলে আর্থিকভাবে দূর্বল উচ্চবর্গীয়দের উপর অন্যায় হবে। কেবল আর্থিকভাবে এগিয়ে থাকা তফশিলীরাই সুযোগ পাবে, বৃহৎ অংশের দরিদ্র তফশিলীর কোন লাভ হবে না। এ যুক্তির প্রত্যুত্তরে বলা যায় যে আর্থিকভাবে দূর্বল মানুষদের ন্যায়ের জন্য সংবিধানের ৩৮, ৩৯, ৪১ ও ৪৬ ধারা আছে। সংবিধানে এবিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা আছে। দারিদ্র দূরীকরণ ও জাতিগত প্রতিনিধিত্বের বিষয় দুটিকে একত্র করে উদ্দেশ্যকে বিপথগামী করার কাজ চলছে। এবার আসা যাক তফশিলীদের সুযোগ প্রসঙ্গে। এই ধরনের যুক্তি আজকের নয়, বহু পুরোনো। এ প্রসঙ্গে সমাজবিজ্ঞানী ডঃ পার্থ চ্যাটার্জীর "ইতিহাসের উত্তরাধিকার" বই থেকে দুটি ঘটনার উল্লেখ করে আলোচনা শেষ করব।

    ব্রিটিশ ভারতে ভারতীয়দের তরফ থেকে একবার দাবি উঠেছিল আইসিএস পরীক্ষা ভারতবর্ষে করতে এবং পরীক্ষায় বসার জন্য বয়সের সময়সীমা বাড়াতে। ইংরেজ সিভিলিয়ানরা বলেছিলেন, "সর্বনাশ হয়ে যাবে, প্রশাসনের দক্ষতা বজায় রাখা যাবে না, ভারতীয়দের কখনই ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের সমান যোগ্যতা থাকতে পারে না। তাছাড়া এসব চাকরি ভারতীয়দের মধ্যে একটা ক্ষুদ্র গোষ্ঠীই কুক্ষিগত করবে। বৃহত্তর ভারতবাসীর তাতে কি মঙ্গল হবে।" এই শেতাঙ্গ সুপ্রেমেসির সঙ্গে বর্তমান ব্রাহ্মণ্যবাদী যুক্তি গুলি খাপে খাপ মিলে যায়।

    জমিদারি প্রথা উচ্ছেদের দাবি যখন ওঠে তখন জমিদারদের যুক্তি গুলিও ছিল ঠিক রকম। একশ্রেণির জমি কেড়ে নিয়ে অন্য শ্রেণিকে দিলে সম্পত্তির উপর সার্বজনীন অধিকার লঙ্ঘিত হবে। সব জমিদার "বড়লোক" নয়, কিছু আছেন যারা "ক্ষুদ্র সম্পত্তির অধিকারী"। তারা "কোনরকমভাবে জীবনধারন করেন"। জমিদারি প্রথা উচ্ছেদ হলে "লাভ হবে সম্পন্ন কৃষকদের"। সামাজিক দায়দায়িত্ব নেওয়ার অভ্যাস নেই বলে এইসব অশিক্ষিত কৃষকেরা হঠাৎ জমির মালিকানা পেলে অত্যাচারী হয়ে উঠবে। জমিদারি প্রথা উচ্ছেদের ফলে সম্পন্ন কৃষকদের কিছুটা লাভ হয়েছিল, একথা সত্যা। কিন্তু আজ আমরা কেউ বলি না যে সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত অন্যায় ছিল। বরং নানা আইনের গোঁজামিলে এই কৃষকশোষনের সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থাপনা টিকিয়ে রাখার জন্য তৎকালীন কংগ্রেস সরকারকেই দায়ী করি।

    বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার তৎকালীন আইন পরিষদে এই নিয়ে বিস্তর তর্ক বিতর্ক হয়। সংরক্ষণ বিরোধীরা সেই বিতর্কের বয়ান পড়ে দেখলে বিস্মিত হতে পারেন। কারন তাদের দেওয়া যুক্তি গুলিই জমিদার ও তাদের পৃষ্ঠপোষকরা দিতেন। এমনকি সাম্রাজ্যবাদী ইংরেজরাও একই ধারার যুক্তি দিয়ে কাজ চালাতেন। আজকের ঐতিহাসিক ও সামাজবিজ্ঞানীরা তৎকালীন ইংরেজ শাসক ও জমিদারদের যে চোখে দেখেন, ভবিষ্যতের ঐতিহাসিক ও সমাজবিজ্ঞানীরা আজকের সংরক্ষণ বিরোধীদের একই নজরে দেখবেন বলেই মনে হয়। কেননা সেই ট্রাডিশন সমানে চলছে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | ৩৫৭৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রৌহিন | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২২:৫৯91065
  • খুবই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা। সংরক্ষণ নিয়ে যাঁরা প্রশ্ন তোলেন তাঁদের একটি কথাই বলার - ভারতবর্ষ থেকে জাতপাত তুলে দিন, জাতভিত্তিক সংরক্ষণ আপনিই উঠে যাবে। আর প্রথমটিতে অক্ষম হলে দ্বিতীয়টি নিয়ে বেশী কথা না বলাই ভাল।

  • pp | 172.68.47.83 | ০৪ মার্চ ২০২০ ০৬:১০91224
  • গুরুত্বপূর্ণ লেখা । ওই সমীক্ষা গুলোর রিপোর্ট বা লিংক কিছু পাওয়া যাবে ?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন