১৩চলো, আখ্যান লিখি, তুমি কিছু বলো-কিছু আমি বলি - যদি যেতে চাও, চলো...১যাই ছুঁয়ে আসি, নদীঘাট, একটি শালতিপলকা দুলতেছিল, কাঁচা পথে কাদের পালকিহেঁকে যায়, ঝোপ ঝাড়, পিছুপিছু কত বাচ্চারাজুটেছিল, দেখ মুখ টিপে ঘোমটা আড়ালেহঠাৎ বিদ্যুৎ চমক, ওইখানে তুমিই দাঁড়ালে।২তাই হবে, অনেক অনেক দিন আমাদের কথা নাই, চিঠি ও পত্তর তোমাকে লেখার খাতা, বারো ভূত দানছত্তর উড়িয়ে পুড়িয়ে খেয়ে নোনা ইঁট জমিদার বাড়িজঙ্গলে দেওয়ালের গলায় বাঁধা আছে অশ্বত্থ ... ...
হেরে যাওয়া মানুষযশোধরা রায়চৌধুরী যখন সবাই সুখের কথা বলছেতখন কাউকে না কাউকে তো মনখারাপের কথাও বলতে হবে।মানুষ বিশেষ ভাল নেই, এই কথাটাও ত কারুকে চেঁচিয়ে বলতে হবে।কারুকে তো বলতে হবে সত্যি সত্যি কী ঘটছে, আমরা কেউ বলব না যখন। যে বলছে, সে ্বিশাল কিছু নয়।কোন আন্দোলন করছে না, স্লোগান দিচ্ছে না, শুধু একনাগাড়েসত্যিটা বলে যাচ্ছে।আমাদের চোখে এই লোকটাই পাগল। এই লোকটাই সেই লোক, যাকে ভয় পেতে শিখেছি । যখন কেউ মিথ্যে লিখছে, এই লোকটা তার সামনে গিয়ে ... ...
বৃষ্টি সে যেন এক গোধূলিরং শাড়ি পরা মেয়ে। চিনি না জানি না হঠাৎ হঠাৎ বাড়ি চলে আসে। আপাতত: আমি হচ্ছি যাকে বলে ঘরণী -গৃহিনী, তিনটি পোষ্য সমেত। অতিথি এলে পাদ্য - অর্ঘ্য না দিই, অন্তত: মুখের একটু মিষ্টি কথা, চোখে একটু আলতো হাসি, এসব তো করতেই হয় ! কিন্তু যাবার সময় সে অচেনা মেয়ে প্রশ্ন করে বসলো, আজকাল চাঁদের সঙ্গে তোমাকে দেখি না তো ?দেখেছ! এত বড় খবরটা ও পায় নি!সতর্কতা জারি হলো মাঝরাতে চাঁদের মৃত্যুতে দু-একটা গুমখুন রোজ-ই হয়, হয়ে যেতে পারে সাধারণভাবে তাই রাতমাখা নিষিদ্ধ হয়েছ ... ...
সেই যে যখন শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী রোড দিয়ে টঙ টঙ ঘন্টা বাজিয়ে ট্রাম চলত ২৯ নম্বর, ৩১ নম্বর। উজ্জ্বল সবুজ গড়ের মাঠ ছুঁয়ে , গ্র্যান্ড হোটেলের সামনে বসা দোকানের ছোট ছোট দম দেওয়া গাড়ি, হাত পা ছোঁড়া পুতুল পাশ কাটিয়ে ব্রেবোর্ন রোড দিয়ে যাবার সময় বাগড়ি মার্কেটের উপচে আসা বাজির বাজারকে এক ঝলক টা টা করে হাওড়া ব্রীজ পেরিয়ে সোজা হাওড়া স্টেশান। সাবওয়ে তখনও তৈরী হচ্ছে, এক নম্বর প্ল্যাটফর্মের পাশ দিয়ে সোজা ঢুকে পড়া যেত। কালীপুজো আর ভাইফোঁটার মাঝের দিনটায় ৩/ডি ইন্দ্র রায় রোডের বাড়ির খুকীর হাত ধরে, খুকীর ... ...
সেকালে কাঁসাই নদীতে 'সুতি' নামের একটা খেলা প্রচলিত ছিল। মাছ ধরার অভিনব এক পদ্ধতি, বহু কাল ধরে যা চলে আসছে। আমাদের পাড়ার একাধিক লোক সুতি খেলাতে অংশ নিত। এই মৎস্যশিকার সার্বজনীন, হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ে জনপ্রিয়। মনে আছে ক্লাস সেভেনে পড়ার সময় একদিন নদীর কাছে গিয়ে দেখি আমাদের পাড়ার প্রতিবেশী জনাব রাজা সুতিতে একটি মাঝারি রুই তুললেন। মাছটিকে খেলিয়ে টেনে তুলে এনে মাছের খাবি খাওয়া ঠোঁট মুখের কাছে নিয়ে কীসব অদ্ভুত মন্ত্র বিড়বিড় করে জপতে লাগলেন। এইসব লোকাচার খেলারই অঙ্গ।যাই হোক, এবার নবমী ... ...
ইংল্যান্ডের কর্ণওয়েল এর কাছে একটা গ্রাম – সেই ১৭৯০ সালের কথা। উইলিয়াম গ্রেগর অভ্যাসমত ভোরবেলা হাঁটতে বেড়িয়ে সেদিন গ্রামের থেকে একটু দূরেই চলে এসেছেন – আগে এদিকটাই তেমন আসা হয় নি। একটা কর্ণ মিলের পাশে হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ এক অদ্ভূত ধরণের কালো রঙের বালি চোখে পড়ল। এমন নয় যে আগে কোনদিন কালো বালি দেখেননি গ্রেগর, কিন্তু সেই সব ক্ষেত্রে কালো বালি মিশে থাকে এমনি বালির সাথে – আর এই বালির টেক্সচারটাও কেমন যে আলাদা মনে হল একটু। বেড়াতে বেরিয়ে এটা ওটা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করার অভ্যাস গ্রেগরের অনেক দিনের। তাই সাথে করে একটা ব্যাগ নিয়েই বেরোন। সেদিন কাঁধের ব্যাগে ভরে নিলেন কিছু বালি বাড়িতে ফিরে নিজের গবেষণাগারে আরো ভালো করে পরীক্ষা করবেন। বাড়ির গবেষণাগারে দেখতে পেলেন সেই বালিতে আবার চৌম্বক শক্তি রয়েছে। ইন্টারেষ্ট বেড়ে গেল গ্রেগরের। রোজ বেড়াতে বেরিয়ে সেই কালো বালি নিয়ে এসে আরো ভালো করে বিশ্লেষণ করা শুরু করলেন। এইভাবেই তিনি বের করে ফেললেন যে সেই কালো বালিতে সিলিকা, আয়রন ছাড়াও আদপে মিশে আছে এক অজানা পদার্থ – যার নাম তিনি দিয়েছিলেন ‘মানাকানাইট’। কিন্তু তখনো গ্রেগর জানতেন না তিনি তখন যা আবিষ্কার করছেন ১৫০ বছর পর সেই জিনিস পৃথিবীর ইতিহাস অনেকটা বদলে দেবে! ... ...
১৮৯৫ সালে মৃত্যুশয্যায় লিখিত উইলে আলফ্রেড নোবেল এই বাসনা প্রকাশ করেছিলেন যে তাঁর মৃত্যুর পরে নিজ জীবৎকালে সঞ্চিত অর্থ ও তা থেকে ভবিষ্যতে অর্জিত সুদ ব্যবহার করে সেই সব মানুষকে যেন পদক ও অর্থ দ্বারা সম্মানিত করা হয় যারা বিগত বছরে পদার্থ বিদ্যা, রসায়ন, চিকিৎসা শাস্ত্র , সাহিত্য এবং শান্তির ক্ষেত্রে মহতী কর্ম করেছেন। ১৮৯৬ সালে তিনি দেহ রক্ষা করেন। নোবেল পুরস্কার দেওয়া শুরু হয় ১৯০১ সাল থেকে। নোবেল একসঙ্গে তিন জনের বেশি মানুষকে দেওয়া যায় না – ব্যতিক্রম শান্তি পুরস্কার।প্রায় সত্তর বছর বাদে , ১৬৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত সুইডেনের রিকসবাঙ্ক ( পৃথিবীর প্রাচীনতম কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ) তাদের তিনশ বছরের পূর্তি উৎসবে ঘোষণা করেন তাঁরা আলফ্রেড নোবেল পুরস্কার সংস্থাকে কিছু অর্থ দান করবেন । সেই অর্থ ও তার সুদ দিয়ে নোবেল সংস্থা যেন প্রতি বছর এমন মানুষদের নির্বাচিত ও সম্মানিত করেন যারা অর্থনীতিতে কোন বিশেষ অবদান রেখেছেন। আলফ্রেড নোবেলের অর্থ বা অভিলাষে এটির সূচনা হয় নি তাই এই পুরস্কারের সঠিক নাম : আলফ্রেড নোবেলের স্মৃতিতে প্রদত্ত সভেরিগেস রিকসবাঙ্ক পুরস্কার। ... ...
ইউরোপ এদেরকে খুব বেশি বেতন দিবে এমনও না। ভাল বেতন পাওয়ার যে উপায় এরা প্রত্যেকেই তার থেকে শত শত মাইল দূর দিয়ে হাঁটছে। কেন কিসের টানে, কিসের নেশায় পঙ্গপালের মত সবাই রোমানিয়া আসছে তা আসলেই রহস্য আমার কাছে। বুঝার চেষ্টা করছি, যা বুঝছি তা এক ভয়ংকর সত্য। সবাই জায়গা চায় এখানে। ইউরোপ কাওকে ফেরায় না, কষ্ট করলে, কেউ যদি রাষ্ট্র ভেদে চার পাঁচ ছয় আট বছর কাটায় তাহলে এখানকার নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে, সত্য মিথ্যা জানি না, তবে সবাই তাই বিশ্বাস করে। ইউরোপ সবাইকে আশ্রয় দেয়! এখানে থাকলে এক সময় নাগরিকত্ব পাওয়া যায়, এখানকার একটা পাসপোর্ট কোটি টাকার চেয়েও দামি বলে মনে করে অনেকে। তো? সব যুক্তিতর্ক শেষ! এরা সবাই ইউরোপ নিবাসি হয়ে যাবে। ১৭ বছর যে সৌদি থেকে এসেছে সে জানে আরও ১৭ বছর থাকলেও কোনদিন সৌদি সরকার তাকে নাগরিকত্ব দিবে না। মালয়েশিয়া দিবে না, সিংগাপুর দিবে না, কাতার দিবে না, কুয়েত দিবে না, কেউ দিবে না। দিবে ইউরোপ। আর এই কারণেই হুমড়ি খেয়ে হাজির সবাই। যেহেতু মূল ইউরোপে ঢোকা কষ্টকর, প্রায় অসম্ভব তাই সহজে ইউরোপের রাস্তা হিসেবে রোমানিয়া ব্যবহৃত হচ্ছে। ... ...
রাতের জঙ্গলে বন-ফায়ারের আয়োজন হয়েছে; কাবাব ঝলসে উঠছে সেই আগুনে, ফটাফট কাঠ ফাটছে। আগুন ঘিরে চেয়ারে গোল হয়ে বসে আছে মাঝবয়সী বন্ধুরা, হাতে হুইস্কির গ্লাস। এক বন্ধু বলছে, "একবার একজন লোক আরেকজনকে জিজ্ঞেস করলো, 'জঙ্গলে যাচ্ছ, যদি পথে বাঘ এসে যায়, কী করবে?'" ... ...
" দুর্গো দৈত্যে মহাবিঘ্নে ভববন্ধে কুকর্মণি।শোকে দুঃখে চ নরকে যমদন্ডে চ জন্মনি ।।মহাভয়েহতিরোগে চাপ্যাশব্দো হন্তুবাচকঃ ।এতান হন্ত্যেব যা দেবী সা দুর্গা পরিকীর্তিতা ।।" (শব্দকল্পদ্রুম)ঋগবেদে দশম মন্ডলের ১২৫শ দেবীসূক্ত দেবীপূজার প্রাচীনতম মন্ত্র। এই সূক্তটি অম্ভৃণ ঋষির ব্রহ্মবাদিনী কন্যা বাকে'র একটি উক্তি। তিনি তপস্যাবলে ব্রহ্ম-তাদাত্ম্য লাভ করেছিলেন। সিদ্ধির সেই উপলব্ধি লাভের পর তিনি অনুভব করেছিলেন সবই ব্রহ্মের অংশ এবং তিনি নিজের মধ্যে সমস্ত দেবতা, চরাচর বা সার্বভৌম বিশ্বক ... ...
এবার আমার উমা এলে আর উমায় তেলাব না। একদিন বড় জোর লাভ-বার্ড সাইকেলে ইস্টিশনের তলা দিয়ে চলে যাব সুগন্ধা গটু ছাড়িয়ে বাট কাশফুল নিয়ে আদিক্কেতা একেবারেই করব না। বড়জোর কোনও পোকাকাটা পদ্মদিঘীর ধারে বসে ইস্কুলজীবনের কথা বলতে লেখকের হত্যা নিয়ে অনুশোচনার মশা তাড়াব কিন্তু একবারও তোমার নতুন পাটভাঙ্গা শাড়ির কোলে শুতে চাইব না। সন্ধ্যেবেলা বেরনোর কোনও সিন নেই। একদিন রেডিমিক্স হতে পারে বড়জোর গঙ্গার ঘাটে প্রেমনগর বা রূপ নগরে, ব্যাস ওই পর্যন্তই আর কোন আদিখ্যেতা নয়। তুমি তোমার বয়ফ্রেন্ড, পার্টির লোক দেশবাসী যার স ... ...
আমি একজন সাধারণ মধ্যবিত্ত স্বনির্ভর মহিলা। অন্য পরিচয় আমি একজন স্কুল পড়ুয়া শিশুর মা। রাজনীতিতে আগ্রহ থাকলেও সক্রিয়ভাবে কখনো কিছু করে ওঠা হয়নি। তবে বামপন্থী বাড়িতে বড় হবার সুবাদে শ্রেণী সংগ্রাম শব্দবন্ধটির সঙ্গে বেশ পরিচিত। যত বয়স বাড়ছে তত বেশি করে রাজনীতির গুরুত্ব বুঝতে পারছি। মাঝে মাঝে মনে হয় আমার শ্রেণীর মানুষজনের মধ্যে কাজকর্ম, সুযোগ সুবিধা, সমস্যা ও সমাধান নিয়ে সচেতনতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। তাই দুচার কথা লিখতে বসা।আমাদের দেশে মেয়েদের বড় করা হয় শ্বশুরবাড়ি পাঠানোর জন্য। না, শহুরে শিক্ষ ... ...
হরিদাস পাল নামক পাতাটি কি?এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। ... ...
পল ডিরাক - তাত্ত্বিক পদার্থবিদ্যার জগতে এক প্রকান্ড জ্যোতির্ময় বটবৃক্ষ! কিন্তু,কোয়ান্টাম বলবিদ্যায় মৌলিক যুগান্তকারী গবেষণা করা সত্ত্বেও প্রায় হাতছাড়া হচ্ছিলো তাঁর নোবেলভাগ্য! নোবেলবাবু নিজের নামে প্রাইজ দেওয়ার জন্য যেসব শর্তাদি চাপিয়ে গেছিলেন তা ফিজিক্সের ক্ষেত্রে বেশ গোলমেলে আকার নিয়েছিলো। মানবসভ্যতার উপকার বলতে ফিজিক্সের ফিল্ডে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারই বুঝে নিয়েছিলো নোবেল কমিটি। ... ...
আপনি চান আপনার হাজার ডলার। রাশিয়া বলছে দেবো না বলিনি, রুবেলে দেবো বলেছি। আপনি নেবেন না। অতএব আপনি বাজারে খোঁজ খবর করলেন। যে বন্ডের কাগজটি আপনি যক্ষের ধনের মতো আগলে রেখেছিলেন সেটা রাশিয়ানরা না হোক অন্য কেউ কি কিনবে? যাঁদের মারফত আপনি এই মহামূল্য বন্ডটি কিনেছিলেন সেই জে পি মরগান বা গোল্ডম্যান জাখসকে ফোন করলেন। অবশ্যই আপনার টাকা বাঁচল কি ডুবল তাতে এঁদের কিছু এসে যায় না। আপনি প্রাপ্ত বয়স্ক নিবেশক – চোখ খুলে, জান বুঝকে টাকা লাগিয়েছিলেন। এখন তাদের কাছে ঘ্যান ঘ্যান করলে তারা শুনবে কেন? তার মানে কি এঁরা হাত উলটে বসে থাকবেন? তা কখনো হয়? আপনি তাঁদের খদ্দের, খরিদ্দার প্রভুর সমান লেখা দেখেন নি কলকাতার দোকানে দোকানে? শ্যামবাজারে মায়ের সঙ্গে শাড়ি কিনতে গিয়ে কতবার দেখেছি। ... ...
দেখুন প্রবন্ধ ছাপানো খুব সহজ ব্যাপার। একটি সমীক্ষায় দেখা যাচ্চে যে ২০০৬ সালের এপ্রিল মাস থেকে ২০০৭ সালের মার্চ মাস অব্দি বাংলাভাষায় যত কবিতা লেখা হয়েছে, ছাপা হয়েছে তা ০০০০৩৭%। মানে প্রতি প্রায় পৌনে তিন লক্ষ লেখা কবিতার মধ্যে ছাপা হয়েছে একটি। গল্পের ক্ষেত্রে ঐ হিসেব প্রতি চল্লিশহাজারে একটি। নাটক প্রতি চারশোতে একটি। উপন্যাসের রেকর্ড প্রতি দুশোতে একটা। আর প্রবন্ধ? প্রতি আর্ধেকে একটা। মানেটা বুঝলেন? মানে, প্রতিটা প্রবন্ধ গড়ে দুবার করে ছাপা হয়েছে। ভাবা যায়? পাবলিশড অথর হবার এমন সুযোগ হাতের সামনে থাকত ... ...
আজ সকালে বন্ধু ঋত্বিজা একটি আর্টিকল দেখালো, অস্কার বিজয়ী ফিল্ম "পিরিয়ড: এন্ড অফ্ সেন্টেন্স" ছবিটিতে ভুয়ো তথ্যের ব্যবহার সম্পর্কে। এর সাথে সাথে আর্টিকেলটিতে তুলে ধরা হয়েছে এই ছবির নির্মাণের পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে কী ভাবে নারীর এবং শিশুদের অধিকার খণ্ডিত হয়েছে, ও কনসেন্ট এবং পার্সোনাল স্পেসের সঙ্গে কম্প্রোমাইজ করা হয়েছে (ছবির নির্মাতাদের ইন্টারভিউ থেকেই তা স্পষ্ট)। আর্টিকলটা দেখে আমি একটুও হতবাক নই, বরং খানিক আস্বস্তই বোধ করেছি। ভারতীয় উপমহাদেশ, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশ কতটা পিছিয়ে পরা সেই স্ন্য ... ...
এইভাবেই আলাপ হয়ে যায় রোমানিয়ান মেয়ে দুটির সাথে। বন্ধুর অ্যাপার্টমেন্টের একদম লাগোয়া একটা গলি আর সেই গলিতে ছিল দুটি লাল-জানালা। অনেকেই হয়ত এটা জানেন যে আমষ্টারডামে বিশেষ ভাবে চিহ্নত রেড-লাইট ডিষ্ট্রিক্ট ছাড়াও, গোটা শহর জুড়ে বেশ কিছু জায়গায় আরো ছড়িয়ে আছে এমন লাল-জানালা। আসল রেড-লাইট ডিষ্ট্রিক্টের মোট জানালার তুলনায় এরা গুণতিতে তত না হলেও – মাঝে মাঝেই চোখে পড়ে যেত এদের উপস্থিতি। ঠিক তেমন ভাবেই বন্ধুর অ্যাপার্টমেন্টের পাশের গলির সেই লাল-জানালা দুটো চোখ পরে যায় একদিন। ... ...