সর্বজয়া ভৈরবী সুরের সেদিন যে কি সর্বগতা রূপ দেখেছিলাম -- আজ সকালে কেন জানি মনে পড়ে গেল। 'ফেড আউট' হতে চলা স্মৃতিকে অজস্র ধন্যবাদ তার জন্য। ... ...
আমি এক ঝটকায় সব ছেড়ে দিলাম। সোজা আব্বার পাশে। শুরু হল আমার সংগ্রাম। আমার মনে হয়েছে আমি লোক রেখে আমার মন মত সেবা আমার বাবাকে দিতে পারব না। আমার মনে হয়েছে এখন আমার বাবা উনার পাশে উনার কাছের একজনকে খুঁজবে। এখানে বলে রাখা ভাল যে আমার মা মারা গেছেন ২০১২ সালে। এবং তখন থেকেই আমি বুঝতেছিলাম যে আমাদের এই বিশাল ভাই বোনের পরিবারে আমি আর আমার বাবা এখন বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। দুইজনই ব্যাচেলর। সবাই যার যার সংসারের নানান সমস্যায় জর্জরিত। তাদের চিন্তার, তাদের কাজের সেন্টার অফ গ্রেভেটি পরিবর্তন হয়ে গেছে। তাদের বৃত্তের কেন্দ্র এখন আমার বাবা না। সন্তান, স্বামী তারপরে হয়ত শ্বশুরবাড়ি তারপরে আব্বা। কাজেই চাইলেও তারা পারবে না পুরোপুরি সময় দিতে। কাজেই এ কাজ যে আমার তা আমি পরিষ্কার বুঝতে পারেছিলাম। ... ...
পুরোন জিনিষ বাতিল হোক, বিক্রি করে দেওয়া যাক পুরোন কাগজ, পুরোনো বই, আর হ্যাঁ মেরুদণ্ডগুলোও। ... ...
আঠারোমুড়া পাহাড়ের গায়ে সোনালী সোনালী খোড়ো ঘর। জুমিয়াদের গ্রাম। শীত নেমেছে কুয়াশা জড়িয়ে। জম্পুইএর কমলা ঝুড়ি ভরে একটু করে সীম বেগুন লাইপাতা ঢেঁকী শাকের পাশে বসে বাজারে কমলা রঙের আভা ছড়াচ্ছে। পৌষ মাস - সংক্রান্তি আছে। মুগের পিঠা মাছের পিঠা একঘরে কেউ যদি করে সব ঘরের বাচ্চারা ভাগ পায়। দুধের বাচ্চাগুলোরও ফর্সা গালে লালি গুড়ের লাল ছোপ ছোপ, মায়ের পিঠে কাপড় দিয়ে বাঁধা। ঘুমোচ্ছে আর জিভ দিয়ে গাল চাটছে। মায়ের মাথায় কনকের কি বয়রা লাকড়ীর বোঝা। বড় রাস্তার ধারে বাস ট্রাকের মালিকেরা দাম দিয় ... ...
ঢেকুর তুললে সরকারকে ট্যাক্স দিতে হবে। গরু এবং ভেড়া ঢেকুর তুললে তাদের মালিকদের ট্যাক্স গুনতে হবে। ইয়ার্কি না - সত্যি। নিউজিল্যান্ডের সরকার এই বিল এর প্রস্তাব দিয়েছে। ... ...
দ্রৌপদীর চিত্তহরণ করাটা কি মুখের কথা? অতবড় শালপ্রাংশু মহাভুজ বৃষস্কন্ধ পরম রূপবান মানুষটা? একহাতে বৃক্ষ উপড়ে ফেলতে পারেন এরকম চণ্ড মানুষটাও দ্রৌপদীর কাছ থেকে এক কণা ভালবাসা পাবার জন্য কেমন শিশু হয়ে যেতেন। ... ...
শার্লক হোমস সংক্রান্ত। ... ...
নিয়মের অতল ফাঁক - মালদহের গণি খান চৌধুরী ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি - প্রথম কিস্তি (প্রকাশঃ 26 July 2018 08:30:34 IST)আজব খবর -১ ২০১৬ সালে একটি সরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করা এক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র ভারতীয় সেনায় ইঞ্জিনিয়ার পদে যোগ দিতে গেলে সেনা আধিকারিকরা উল্টে তাকে জেলে পুরে দেওয়ার হুমকি দেন। কারণ পদপ্রার্থীর পেশ করা ডকুমেন্টে গন্ডগোল ছিল। ভারতীয় সেনার মতে ভুয়ো ডকুমেন্ট। ব্যারাকপুরের ঘটনা।খবর - ২ ২০১৮ সাল। ওই একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দুই ছাত্র ভ ... ...
ব্রিটেনের প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির দলনেতা নির্বাচিত হলেন জেরেমি কববিন এবং তাঁর নির্বাচন লেবার নীতির এক বামপন্থী ঝোঁকের দিকে পরিবর্তনের স্পষ্ট ইঙ্গিৎ দিচ্ছে। বস্তুতপক্ষে শুধু লেবার পার্টি বা ব্রিটেনের ক্ষেত্রেই নয়, ইউরোপের এক বিস্তীর্ণ ভূখণ্ড জুড়েই আমরা নতুন চেহারায়, নতুন ভাষা ও আঙ্গিকে এক নতুন ধরণের সমাজতান্ত্রিক চিন্তাধারার বিকাশ লক্ষ্য করছি। নির্বাচনের আঙিনায় এবং গণ আন্দোলনের বিস্তীর্ণ প্রেক্ষাপটে এই নয়া জাগরণ গোটা বিশ্বের বাম গণতান্ত্রিক মানুষের কাছে অবশ্যই গভীর আশা ও প্রত্যয়ের ব্যাপার। ... ...
ভোর চারটেয় আমরা তৈরী হয়ে নিলাম, বেরিয়ে দেখি রতন-জীও তৈরী। লোহার ঝাঁপ তুলে টর্চ নিয়ে আমরা যখন বেরোলাম, তখনও নিশুতি রাত বলা চলে। কনকচৌরি থেকে কার্তিকস্বামীর মন্দির প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরত্বে। আর মন্দিরে গেস্ট হাউজ প্রায় আড়াই কিলোমিটার। প্রবেশদ্বার দিয়ে যখন ঢুকলাম, দুশো মিটার মত বাঁধানো রাস্তা পেরনোর পর শুরু হল মাটির রাস্তা, ঘন জঙ্গলের পথ। এতক্ষণ বুঝিনি, জঙ্গলে ঢোকার মুহূর্তে বুঝলাম চাঁদের আলোয় ভেসে যাচ্ছে চতুর্দিক, মনে পড়ল আজ কোজাগরী পূর্ণিমা। আকাশে থালার মত চাঁদ। একপাশে মেঘ হালকা রয়েছে যদিও, তবু আশায় বুক বেঁধে চলা। রাস্তা কখনো সমতল, কখনো চড়াই, কিন্তু এর আগের যেসব চড়াই পেরিয়ে এসেছি তার থেকে অনেক কম, আরও আশ্চর্য, পায়ের ব্যথা টের পাচ্ছি না একেবারেই, অতএব ভালো গতিতেই উঠছি। যত রাস্তা এগোচ্ছে, জঙ্গলের ছমছমে ভাব জাঁকিয়ে বসছে, চাঁদের আলোর আলপনা পথে, মাঝে মধ্যে খস খস, সর সর আওয়াজ! ... ...
মুখবন্ধ:গত এক বছর ধরে জ্যাক কেরুয়াকের "wake up" নামে বুদ্ধজীবনী ও সুরঙ্গমা সূত্রের ওপর লেখা একটি বইয়ের অনুপ্রেরণায় একটি বই লিখেছি। পুরো একত্রিত অবস্থায় আপনাদের জন্য এখানে তুলে রাখলাম। এক বছরের গবেষণা, একটু একটু করে লেখা। বাংলায় এর আগে হয়ত বুদ্ধদেবের জীবনী নিয়ে লেখা হয়েছে, বৌদ্ধ ধর্ম নিয়েও লেখা হয়েছে (রাহুল সাংকৃত্যায়ন, বাণী বসু (মৈত্রেয় জাতক), শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা), তথাপি যেটা নিয়ে সেভাবে লেখা হয়নি সেটা বৌদ্ধ সূত্র নিয়ে, থেরাবাদ বৌদ্ধধর্ম নিয়ে, থেরিগাথা নিয়ে। আশা করব আপনারা পড়বেন, ... ...
ছাপা হবার পর প্রেস থেকে প্রথম অনাঘ্রাত লটটা আমি নিজে তুলে এনেছিলাম – সঙ্গে Maria Koel আর লেখিকা ইন্দ্রানীদি নিজে – সে স্মৃতি এখনো অমলিন। কভারটাও প্রথম ছাপা হবার পর আমিই দেখেছিলাম মনে হয়। কালো কভারের ওপর সাদা দিয়ে ছবির কোলাজ – যেন মনে হয় কাগজ কেটে বসানো। পরে অবশ্য জেনেছিলাম তৃণাদি (তৃণা লাহিড়ি) আসলেই কাগজ কেটে ছবিটা বানিয়েছিলেন। তৃণাদি নেই, কভারটা রয়ে গেছে, থেকে যাবে। ... ...
সপ্তদশ শতাব্দীর শেষভাগেও দুর্গাকে মা রূপে পুজোর প্রচলন ছিল। সেই সময় থেকেই দুর্গা হয়ে ওঠেন একপ্রকার 'গার্ল নেক্সট ডোর' অর্থাৎ পাশের বাড়ির মেয়ে। ইংরেজ শাসনকালে পরিবর্তন এল দুর্গাপুজোয়। দুর্গাপুজো ব্যবহৃত হতে থাকল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মনোরঞ্জনের উদ্দেশ্যে। এমনকি ঠাকুরবাড়ির দুর্গাপুজো এর ব্যতিক্রম ছিল না। মুর্শিদাবাদ বা লখনৌ থেকে নাচিয়েরা এসে আসর জমিয়ে গেছেন, ঠাকুরবাড়িতে রয়েছে এমন উদাহরণও। তবে ইংরেজদের চাটুকারিতার উদ্দেশ্যে আয়োজিত দুর্গাপুজোর ইতিহাসে যবনিকা পড়ল ঊনবিংশ শতকের উত্তাল সময়ে। দুর্গা তার চিরাচরিত মাতৃরূপ থেকে হয়ে উঠলেন ইংরেজ বিতাড়নের অন্যতম অস্ত্র। ... ...
[জম্মু ও কাশ্মীরে সংবিধান স্বীকৃত বিশেষ অধিকার বিলোপ ও রাজ্যটিকে ভাগ করার সংবিধান বিরোধী পদক্ষেপ আসলে দেশের বহুত্ববাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতার উপর আঘাত, বিজেপি’র হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার গেম প্ল্যান আলোচনা করলেন- রতন গায়েন।]ভারতের রাষ্ট্রপতি ২০১৯-এর ৫ আগস্ট সংবিধানের ৩৭০(১) ধারা মোতাবেক এক আদেশনামায় জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের ‘সম্মতিক্রমে’ কনস্টিটিউশন (অ্যাপ্লিকেশন টু জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর) অর্ডার ২০১৯ জারি করে ১৯৫৪ সালে ও তার পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রপতি জম্মু ও কাশ্মীর সংক্রান্ত যেসব আদেশনামা জার ... ...
সম্পাদকীয় (আগস্ট সংখ্যা)নানা ধর্ম, নানা বর্ণ, নানা ভাষা, নানা সংস্কৃতির দেশ ভারতবর্ষকে এক রাষ্ট্র এক নিশান-এর মধ্যে ঐক্যবদ্ধ রাখার পূর্বশর্ত হল সকলের স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে এক বহুত্ববাদী গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ শাসন কাঠামোর নিশ্চয়তা প্রদান। এই রাষ্ট্রের অবয়ব যাঁরা গড়েছেন তারা যে এটা বুঝেছিলেন, এ দেশের সংবিধানের ছত্রে ছত্রে তার প্রমাণ আছে। তারা অবাস্তব কোনো কিছু অর্জন করার জন্য তাদের মেধা ও মনন প্রয়োগ করেছিলেন, যে উদ্ধত, অপরিণামদর্শী স্বল্প মেধার টুইট-নির্ভর ইনটেলেকচুয়াল গুন্ডারা ... ...
স্রোতস্বিনী নিশ্চিত হতে চেয়েছিল। সে চেয়েছিল তার ম্যাজিকটা সারাজীবন তারই থাক। তার জন্য চেষ্টার কসুর সে করেনি কখনও। রোজ বিকেলে সে ঘন্টাখানেকের জন্য ম্যাজিকটাকে একা ছেড়ে দিত শুরুতে। যাতে ম্যাজিকটা নিজের মতো ঘুরেফিরে একটু শ্বাস নিয়ে আসতে পারে। তার বিশ্বাস ছিল তার ম্যাজিক যখন তার কাছেই ফিরে আসবে নিশ্চয়ই। কিন্তু ম্যাজিকটা একদিন ফিরলো না। বাধ্য হয়ে স্রোতস্বিনী তখন তাকে খুঁজতে বেরোলো। পাক্কা দেড়দিন পর দেখা গেলো সেখান থেকে তিনটে পাড়া পেরিয়ে একটা হলুদ বাড়ির দোতলায় একজন বয়স্ক মহিলার কোলে শুয়ে ম্যাজিকটা তখন চাঁদের বুড়ির গল্প শুনছে ... ...
"চার জন আলাদা হয়ে খুঁজতে হবে, এক সাথে না," খোঁচা বলল। বলে একটু সরে দাঁড়াল, দোকানে আসা এক ভদ্রলোককে জায়গা করে দিতে। বছর ৫৫-র ভদ্রলোকের গায়ে ব্রাইট নীল রঙের শার্ট আর ফেডেড জিন্স, স্পোর্টস জুতোটা বেশ নামী কোম্পানির। পান কিনে ভদ্রলোক দোকান থেকে বেরিয়ে গেলেন। "সেই লোকটা," অভিষেক ফিসফিস করে বলল। "কোন লোকটা?" তিন জন প্রায় এক সঙ্গে জিজ্ঞেস করলাম। "আন্টির সঙ্গে যে লোকটা কথা বলছিল।" "তুই সিওর?" বলল তৃষা। "তাই তো মনে হচ্ছে, এই রকম ব্লু শার্টই ছিল ওনার গায়ে, প্যান্টটাও তো সে রকমই।" ভদ্রলোক হেঁটে যাচ্ছেন সামনে। একটা তিন তলা সাদা বাড়ির গায়ে একটা গ্যারাজ, সেখানেই ঢুকে গেলেন। ... ...
যাচ্ছি উত্তরাখণ্ডে, আমরা তিনজন। আমি, অমিতাভ দা আর তিতলি। প্ল্যান কিছুটা এইরকম – দিন দশেকের আশ্রমিক জীবন কাটানো। প্রথমে আলমোড়া, তারপর মায়াবতী, আর সবশেষে শ্যমলাতাল। প্রথম ও শেষ জায়গায় আমাদের ঠিকানা হবে রামকৃষ্ণ মিশনের দুটি আশ্রম; আর মায়াবতীতে নিশিযাপনটুকু বাদ দিলে বাকি সময়টা কাটবে অদ্বৈত আশ্রমে। ... ...