এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • বড়দিনের কেক

    শক্তি দত্তরায় করভৌমিক লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭ | ৬৫৯ বার পঠিত
  • আঠারোমুড়া পাহাড়ের গায়ে সোনালী সোনালী খোড়ো ঘর। জুমিয়াদের গ্রাম। শীত নেমেছে কুয়াশা জড়িয়ে। জম্পুইএর কমলা ঝুড়ি ভরে একটু করে সীম বেগুন লাইপাতা ঢেঁকী শাকের পাশে বসে বাজারে কমলা রঙের আভা ছড়াচ্ছে। পৌষ মাস - সংক্রান্তি আছে। মুগের পিঠা মাছের পিঠা একঘরে কেউ যদি করে সব ঘরের বাচ্চারা ভাগ পায়। দুধের বাচ্চাগুলোরও ফর্সা গালে লালি গুড়ের লাল ছোপ ছোপ, মায়ের পিঠে কাপড় দিয়ে বাঁধা। ঘুমোচ্ছে আর জিভ দিয়ে গাল চাটছে। মায়ের মাথায় কনকের কি বয়রা লাকড়ীর বোঝা। বড় রাস্তার ধারে বাস ট্রাকের মালিকেরা দাম দিয়েই কেনে। জুমের সুগন্ধী খাসার চাল ঘরে এসে গেছে। চাম্পাখুশ এগুলো শহরের রাস্তায় ঘুরে ফিরি করবে। খুব চাহিদা। মরিচা গুড় দিয়ে চমৎকার মিষ্টান্ন হয়। চম্পাখুশের বৌ পদ্মবাহার। দুটো কচি আছে ওদের। রূপিরায় আর সিকিরায়। পদ্মবাহারের খুব শখ এবার বড়দিনে বাচ্চা দুটো কেক খাবে। চম্পা রাজী - চালবেচা টাকায় বটতলা ডেডসাহেবের বাজার থেকে কটা গরমজামা কিনে আনবে আর পালবেকারীর কেক।
    গ্রামের ঢালুতে বাঁশের পরিপাটি কুঁড়ে ঘরে চার্চ। মাটির মেরীমা কোলে যীশু ঠাকুর। বিষ্ণু পাল গড়ে দিয়েছে। জন্মাষ্টমীতেও দিব্যি বানায় মা যশোদা নাড়ু গোপাল -নাদুসনুদুস। মেরীমার পোলা একটু রোগা তবে খুব ফর্সা। রূপি আর সিকি অবাক চোখে তাকিয়ে থাকে, দেখে লাল সবুজ কাগজের শিকলি, দেবদারু পাতার সাজ। মানি বলেছে যীশুর জন্ম বড়দিনে। সেদিন ওরা কেক খাবে। গতবার মামা এনেছিল শহরের থেকে। কি ভালো নারে বইন? সিকির এতো মনে নেই, তবুও সায় দেয়। বাঁশের চোঙায় দুটি সব্জি আর খরগোশের মাংস কাঠের আগুনে পোড়ায় পদ্মবাহার।সুখের ঘর তার পরিশ্রমী স্বামী, প্রাণবন্ত দুটি শিশু। জুমক্ষেত। কুর্চি গাছের ছায়ায় ঘর। একটা গাঁদা ফুল ছিঁড়ে খোপায় গুঁজে নেয় পদ্ম আপন সুখে।

    চম্পাখুশের ও আজ খুশি মন। আহা! কার মুখ দেখেছিল ঘুম ভেঙে। কার আবার, হাসে সে আপনমনে, ওই ছোট্ট নাক,ফর্সা গোলমুখ বৌটার।
    গ্রামের পথেই মিলে গেল ট্রাক গাড়ীটা। পাঁচ টাকা ভাড়া - ড্রাইভার তাকে বসতে দিল পাশের সিটে। সুগন্ধী খাসার চাল গন্ধ ছড়াচ্ছিল। ড্রাইভার নিজেই কিনে নিল সবটাই । অবশ্য বাজার দরের চেয়ে একটু কম দামে। হোক না, তবে বস্তা ঘাড়ে শহরের পথে পথে হাঁটতে তো হলো না। বটতলা বাজারে দেদার বিকোয় নূতন পুরোনো দেশী বিদেশী জামাকাপড়। লোকমুখে নাম - ডেডসাহেবের মার্কেট। কিনে নিয়েছে কটা, কে'জানে কতো ঠকালো, যাক্ বিশ্বাস না করলে কি চলে। বিশ্বাস করেই কিনেছে।

    পালবেকারীর দিকে যায়নি আর। আস্তাবল চৌমুনীতে একটু চা জলখাবার খেয়ে গাড়ী ধরবে। আস্তাবলের মাঠে খেলা চলছে। ক্রিকেট। লোক জমেছে বেশ। বেশীই অল্পবয়সী, সুন্দর জামা জুতো। বেশ লাগে। চাম্পাখুশ খানিকটা খেলা দেখে, বেশী করে দেখে মানুষ। শহরের মানুষ। চম্পাখুশের খুব শখ ছিলো আগরতলা থেকে কলেজে পড়ার। তিনবার আটকে গেল ক্লাস এইটে। দাদু পড়া বন্ধ করে লাগিয়ে দিল জুমের কাজে।বাবার আর কি বলার ছিল। বছর তিনেক পরে দুবছর শ্বশুর বাড়ি থেকে জামাইখাটা তার পর বিয়ে। দুটো কচি বাচ্চা নিয়ে ঘোর সংসারী এখন।কিরিং কিরিং বেল বাজিয়ে সাইকেল ঠেলে এগোচ্ছিল অরুণ। স্কুল বেলার বন্ধু। অরুণ কিন্তু কলেজে পড়েছে। বি এ পাশ করে এখন মৌমাছি অফিসে চাকুরে। তার বৌ ববিতাও পাশ দেওয়া মেয়ে। গ্রামসেবিকা। - আরে চম্পা তুই! এইখানে কই আইছিলি? দেখা পাইছি যখন ছাড়াছাড়ি নাই। চল্ আমার লগে, একলগে বইয়া চাইট্টা ডাইল ভাত খামু গপ্প সপ্প করুম। আন্তরিক আহ্বান। আপত্তি নেই চম্পাখুশের। এক ঠোঙা ঘিচূড়ের লাড্ডু কিনে নিয়ে সাইকেলের পেছনে চেপে বসে।

    ভগবানঠাকুর পাড়ায় ভাড়া ঘরে প্রায় দু’বছর সংসার অরুণ -ববিতার। হাসিখুশি স্মার্ট। হেসেই ডাক শুনে বেরিয়ে আসে ববিতা। হেসেই ঘরে ডেকে নেয়। কিন্তু কপালে কি একটু কুঞ্চন? প্রায়ই কাউকে না কাউকে ডেকে এনে ডালভাতের নেমতন্নে আপ্যায়ন করে অরুণ। ডালভাতের সঙ্গে একটা ডিমভাজা হলেও করতে হবে। দুজনের সংসারে তিনজনের ভাত কি থাকে রোজ। ছুটির দুপুরে ঘুমটি ও মাটি। থালার কোনে নুন কাঁচা লঙ্কা সাজায় ববিতা, ভাতের পাশে গরম ডিমভাজা। পরিপাটি পরিবেশন। খুব হিসেব করে সংসার চালাতে হয় তাকে। সারাজীবন কি ভাড়া বাড়িতে কাটাবে ওরা? শহরের কাছে ছোট্ট একটি বাড়ী হবে তারপর আসবে একটিমাত্র সুস্থ ফুটফুটে সন্তান। ভালো স্কুলে পড়াবে তাকে। স্বপ্ন দেখে ববিতা। স্বপ্ন সফল করতে তাকে হিসেবী হতে হয়।

    গত রবিবার বোনের বাড়ী যাবে ঠিক করেছিল, খালি হাতে তো যাওয়া যায় না, মিষ্টি এখন অনেক বেশি দাম। একটা কেক কিনেছিলো। ডিসেম্বর মাসে মাসে বেশ মানিয়ে যায়। সেদিন যাওয়া হয়নি। আজকে চম্পাখুশের বাচ্চা দুটোর জন্যে ওটাই রাংতার কাগজে প্যাক করে ববিতা। শাদা শাদা একটু ছত্রাক মতো পড়েছে, নিপুণ হাতে ছুরি দিয়ে চেছে নেয়। খুব গোছানো মেয়ে সে। সব কাজ তার নিখুঁত। ---কই বৌদি, অখন তবে আই গিয়া ।----যাওন নাই আইও গিয়া। হাসি মুখে কেকের প্যাকেট হাতে দিয়ে বন্ধুপত্নী বিদায় দেয়। পালবেকারীর দিকে যায়নি আর চম্পাখুশ।আজ ভোরে ঘুম ভেঙে কার মুখ দেখেছিল সে। কেকের পয়সা দিয়ে ত্রিপুরী মদিরা লাঙির ব্যাবস্থা হয়ে যাবে। পদ্মবাহারও বাদ যাবে না। আদিবাসী সমাজের নিয়মে পানেভোজনে নারীপুরুষ সমান।

    বাবার সাড়া পেয়েই আগুন পোহানো ভুলে লাফিয়ে উঠে ছুটে এসে জড়িয়ে ধরে রূপি আর সিকি। পদ্মবাহারের হাতে কেক তুলে দিয়ে ফুট (নদীর পাড়ের মাটি খুঁড়ে তোলা পরিষ্কার জল) থেকে আনা জল ঢেলে নিয়ে হাত পা ধোয় চম্পা। পদ্মবাহার খুঁটিয়ে দেখে গরমজামা গুলো। শহরের দোকানীরা বড্ড ঠকায় যে। বাচ্চাদের তর সয়না। বায়না করে।

    পুরোনো পাছড়া পায়ে পায়ে জড়িয়ে আখার ধারে পরিপাটি বসেছে রূপি। বাবার গায়ে তুলোভরা খেশ, ওম পেয়ে স্বস্তিতে সিকি। তীব্র পাহাড়ের শীত। অদূরে টিলার গীর্জা শীতের হাওয়ায় উড়িয়ে দিচ্ছে ঘণ্টাধ্বনি। সিকি কেকের টুকরো মুখে দিয়েই ছুঁড়ে ফেলে - দূর তিতা। রূপিও। পিঠোপিঠি দুটো। একজনের দেখাদেখি অন্যজন বলছে? - বেক্কুব পোলাপান, কেক বুঝি তিতা হয়? পরের টুকরো তৃপ্তি করেই খায় ওরা। মা বাবা ও খায়। একটু কি তিতকুটে লাগে? মনের ভুল হবে।

    রাত বেড়েছে। বাচ্চাদুটো এরই মধ্যে ক'বার বমি করে ফেলেছে। চম্পাখুশের মাথাটা ঘুরে যায়। ওমা, বিছানাও নোংরা করে ফেলেছে। দুর্গন্ধ। পদ্মবাহারের ও পেটটা ব্যথায় মুচড়ে ওঠে। ওয়াক ----
    চম্পা আজকে ভোরে উঠে কার মুখ দেখেছিল। রাত গভীর। পাহাড়ের গ্রামের শিমুল গাছের ডালে যমকুলি পাখি ডাকে কু কু। দূরে গীর্জার ঘন্টা বাজে --ঢং ঢং।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭ | ৬৫৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • শঙ্খ | 126.206.220.177 (*) | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭ ০১:০১61460
  • ওফ! সলিড!
  • | 52.107.87.137 (*) | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭ ০১:৩২61461
  • আহ
  • Debarati Chatterjee | 127.227.52.40 (*) | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭ ১২:১৮61459
  • হ্যাঁ! এরকমই হয়। এটা যেন সাজানো গল্পই হয়।
  • সিকি | 132.177.247.60 (*) | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৪:২৭61462
  • কিন্তু সিকি 'রায়'?
  • aranya | 172.118.16.5 (*) | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৬:৫৬61463
  • বড় ভাল লেখা
  • খাতাঞ্চী | 7845.15.014523.107 (*) | ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ১০:১৪61464
  • ~
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট প্রতিক্রিয়া দিন