এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • সেই তো তোমার আলো

    Shakti KarBhowmik DattaRay লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১৩ এপ্রিল ২০২০ | ৩৩৯১ বার পঠিত
  • পিত্তি জ্বালানে প্যানডেমিক এসেছে দুনিয়ায়। কাউকে এসো বলা যাবে না। কাছে এসো তো নাই-ই। কী সৃষ্টিছাড়া অ-সুখ। বৈশাখ আসছে। রবীন্দ্র জয়ন্তী বলো, বর্ষবরণ বলো, গান হবে এসো আমার ঘরে এসো, চারিদিকে এসো এসো আহ্বান শুনতে পাওয়া যাবে, তা না মানুষ কেঁদে মরছে, আত্মীয়, কুটুম্ব কেউ ঘরে এসো না। আমিও কোথাও যাবো না। বাচ্চাগুলো ঘরবন্দী, বুড়ো মানুষের মর্ণিং ওয়াক টুকুও গিলে খেলেছে লক্ষ্মীছাড়া অসুখ। কালবৈশাখীর ঝরে পড়া আম কুড়িয়ে নুনতেল, বাখরপাতা ছেঁচে একটুখানি চিনি কি গুড় মিশিয়ে মেখে নিয়ে দল বেঁধে খাওয়া, তাও নিষেধ। একা থেকে থেকে বাচ্চাগুলো খিটখিটে হচ্ছে, বুড়োরা আরো বুড়ো হয়ে যাচ্ছে। গ্রামের দিকে গাজন বড় ধূম করে হয়। শহরেও হয়তো হয় তবে কম। বাণফুঁড়ে বনবন করে ঘোরা দেখিনি জীবনে। দেখলেও কি ভালো লাগতো? কে জানে। দেখতাম ঢাকির নাচ। চৈত্রমাস জুড়ে। সবচেয়ে বেশি নাচ আসতো সংক্রান্তি বা তার আগের দিন। একজন কালী সাজতো কালিঝুলি মেখে, রোদে ঘুরে লাল চোখ, পাটের লম্বা এলো চুল। একটা কাঁঠাল পাতা কি আমপাতা কি লিচু পাতা লাল রঙ করে জিভে জুড়ে নিয়ে লোল জিহ্বা। পায়ে, হাতের চেটোয় লাল রঙ। ভয়ংকরী কালী সঙ্গে সারা শরীরে শাদা রঙ মাখা জটাধারী শিব সঙ্গে কিছু অনুচর। ড্যা ড্যাং ড্যাং ঢাকের বাদ্যি। একটু রাত করে শিব কালীর তুমুল নাচন। একটু ভয় করে, মজা ও হয়। সিধা দেওয়া হয়, চাল, ডাল, তেল, নুন, আলু আর পয়সা। ঠাম্মা কটা বাতাসা দেন। খুশিতে শিবঠাকুর কালীঠাকুর দুজনেই আটখানা। আরো নাচতে চায়। কেউ প্রশ্রয় দেয়না বেশি। ঢাকি নাচ বেশি ক্ষণ ধরে হলে নাকি বাড়িতে চুরি হয়, শিবের ভূতরা অন্ধিসন্ধি দেখে যায় পরে শিবঠাকুরের সঙ্গীরা সিঁদ কাটে। চোর কি আর সাধারণ চোর? রাত জেগে পড়ছে কোনো পরীক্ষার্থী, লাগাবে ধমক। ওদের কাজের অসুবিধা হচ্ছে যে।

    আমার বোন একবার রাত জেগে পড়ছিল। বন্ধ জানালার পাল্লায় ধাক্কা দিয়ে চোর খসখসে গলায় ধমকে দিল, সারা বছর পড়াশোনা করনা কেন? এখন রাত জেগে পড়া হচ্ছে? এমনিতেই ভীতু মানুষ, কেঁদে কেটে ভয়ে মরে বেচারা। এবারে এসব কুনাট্য বন্ধ। মহামারীর করাল থাবা ঢাকির নাচ, শিবকালীর সঙ সব চুপ করিয়ে দিয়েছে। সবাইকে ঘিরে দুর্লঙ্ঘ্য লক্ষ্মণরেখা। 

    বারোতিতার শাক নিয়ে শাকের মাসি এবার আসেনি। কাল হারবিষু দিন খালিপেটে বারোতিতার রস আর কারো পেটে পড়লো না। পরম্পরায় চলে এসেছে বিশ্বাস, হয়তো পুরোটা ঠিক নয়, তবুও স্মৃতিজর্জর মনে ভাবতে ভালোবাসি উদ্ভিজ এই তিক্ত  ওষধিতে আছে সংক্রামক রোগ প্রতিরোধী গুণ। ছোটবেলা তুতো ভাইবোন সবাই হাঁ করে ছোট ঠাম্মার হাত থেকে একঝিনুক তেতো মুখে গিলে নিয়ে একটা মিষ্টি নাড়ু হাতে পাওয়ার মজা। প্রথাটা চালিয়ে যেতে ইচ্ছে করে কিন্তু ঠাম্মার মতো উঠানসমুদ্র মণ্থন করা তো সম্ভব হয়না, ভরসা শাকের মাসি। পাঁচপোতা থেকে পাঁচ রকম শাক তুলে বেচতে আসে। এবারে আসবে না। ঘরে তৈরি নারকেল সন্দেশ নিয়ে এবার পঞ্চানন কাকা ও আসবে না। জগদীশের খাটালের ফুলওয়ালিও আসবে না। নীলের পুজো এবার বিনা ফুলে, বেলপাতা ছাড়া আকন্দ মালা কুন্দফুল ধুতুরা ফুল ছাড়াই হবে। এবারে সংক্রান্তি নববর্ষ এসোজন বসোজন বিহনে শূন্যতায় ধূ ধূ। শাক নেই, সুখ নেই, হাসি গল্প নেই। "বসন্তবায় সন্ন্যাসী হায় চৈত ফসলের শূন্য খেতে মৌমাছিদের ডাক দিয়ে যায় বিদায় নিয়ে যেতে যেতে "--হয়তো ডাক দিয়ে যায় কিন্তু মানুষের আতঙ্কিত চেতনা সাড়া দেয়না। পৃথিবীর বড় অসুখ এখন। পুরোনো বছর ভালোয় যাক, নূতন বছর ভালো আসুক। মহানগরী ত্রস্ত।

    অনেক দূরে আমাদের পাহাড়ে গড়িয়া পূজা হবে কি? গ্রামের দেবতা আতিথ্য নিতে গ্রামান্তরে যাবেন কি? সোনার গড়িয়া দেবতাকে কেউ কি গান শোনাবে, ---"গড়িয়ালো সিঙালো হামা মাইলো মা "। পাহাড়ের টংঘরে হাতে তাঁতে বোনা হচ্ছে কি রোদঝলকানো মাছির ডানার মতো রঙের রিয়া পাছড়া? আগরতলার কামানচৌমুনীতে লকডাউন। 

    চাম্পামুড়ার মুড়িওয়ালার রাণী এবার আর কোথায় খুজবে নকল সিল্কের শাড়ি। হালিমের মা পুতের বৌ এর জন্য কোথায় খুঁজবে সবুজ কাঁচের চূড়ি। এবারে লকডাউন।  এবারে রঙীন চৈত্র সেলের  পসরা নেই।

    মানুষ কি এই সঙ্গবর্জনের দিনে মানুষের কথা ভাবছে, একে অপরের কথা শুনছে? আমরা প্রত্যেকেই অন্যকে নিজের কথা শোনাতে ব্যস্ত। সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলে দেখি কি অবহেলাভরে অপরের সঙ্গে আলাপরত বুদ্ধিজীবীকে। আমরা অন্যের কথা শুনি তখন ও ধৈর্য নিয়ে শোনা হয়না কে কি বলছেন কেনই বা বলছেন। চারিদিকে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক। প্রধানমন্ত্রীর আবেদন রাত নটায় আলো নিভিয়ে দিয়া বা অন্য আলো জ্বালিয়ে ঐক্য প্রদর্শন করা। আবেদন যুক্তি সঙ্গত কিনা সে তর্ক থাকবেই কিন্তু এও ঠিক মন্ত্রীমশাই বারণ করেছিলেন পথে বেরোতে। নটা বাজতেই করোনা মাইকী জয় বলে ফানুস উড়িয়ে পটকা ফাটিয়ে বিশ্বব্যাপী আর্ত করুণ মৃত্যুকে উপহাস করে মিছিল শুরু হয়ে গেল, কোথায় লকডাউন? ব্যালকনি ভরা আলোর জলসা। সুযোগ খুঁজে নিয়ে ফুর্তি করতে হবে না? যারা এই অতি উৎসাহীদের দলে কেউই কিন্তু নিরক্ষর নন। অপরের দোষ খুঁজতে, আধুনিকতার মিথ্যা অহংকারে পুরোনো মূল্যবোধ পায়ে দলতে কতই উদ্যোগ। এই অন্ধকার কিন্তু শেষ কথা নয়। 

    বাড়ি থেকে বেরোনো হয় না, পার্কে যেতে পারেন না? সোশ্যাল মিডিয়াতেই চোখ রাখুন। বহু মানুষ মানুষের জন্য ভাবছেন। অল্প বয়সী ছেলে মেয়েরা ওদের মতো করে দুঃস্থ মানুষের কথা ভাবছে, পাশে দাঁড়াচ্ছে সাধ্যমত। কিছু অভিভাবক সন্তানকে স্বার্থপরতায় দীক্ষিত করতে বদ্ধপরিকর, আবার  অন্য রকমও আছেন।   "গরীবের প্রতি সহৃদয় ঘৃণা ভণ্ডামি করুণার" তার ভয়ংকর দৃষ্টান্তও অনেক আছে। আজকে এই মহামারীর করাল অন্ধকার শিশু কিশোরের খেলার মাঠ, স্কুলের ঘর যখন কেড়ে নিয়েছে তখন তারা ভাবুক না পাড়ার বেড়াল, কুকুর, কাক, শালিখ গুলোর খিদে তেষ্টার কথা, পাশের ফ্ল্যাটে একলা দাদু, ঠাম্মার কথা। ঘর থেকে নাই বা বেরোলো। ঘরে বসেই ভাবুক একটু পরের ভাবনা। লিখুক নিজের মনের সমাধান ভাবনা। মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়াক, মানুষ মানুষের কথা মন দিয়ে শুনুক। মানুষ মানুষের জন্য একটুখানি ভাবতে শিখুক। সাজনগোজন রাঁধনবাড়ন খুব ভালো তবে আরো ভালো কিছু বাচ্চাদের আমরা না শেখালে কে শেখাবে। 

    আমাদের দেশে বর্তমানে বহু মানুষের বহুবিধ চিন্তার ধারাকে সম্মান দেবার যে প্রথা তা দেশের নেতা মন্ত্রীরা যেমন ভুলেছেন, সাধারণ মানুষ ও ভুলেছেন। প্রাচীন ভারতে বিভিন্ন দর্শনের শাখা একই সময়ে পরষ্পর তর্ক বিতর্কে অংশ নিতেন বিপক্ষবাদীকে অপরপক্ষের প্রতিপাদ্য বিষয়ে সম্যক অবহিত হয়ে তবে বিরুদ্ধতা করতে হোত। এটুকু স্বীকার করে নিতে কোনো অসুবিধা ছিল না যে আমি যে রকম ভাবি আরেকজন অন্য রকম ভাবতে পারে। দেখা যাক তার যুক্তি কি। এখন বেড়াল ভাগ্যে শিকাটি ছিঁড়িয়া যে প্রধান বা মুখ্য হন তিনি তো বিরুদ্ধমত নিয়ে মাথাই ঘামান না অন্যরাও বেশিরভাগ সেরকম। 

    কয়েকদিন আগে মোদীজী থালা বাজিয়ে কোরনা যুদ্ধ ঘোষণার আহ্বান জানালেন। তাঁর রাজনৈতিক মতের সমর্থক না হয়েও আমার মত কারো কারো মনে হলো এই সংকটকালে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সহযোগিতা প্রকাশ করাই যুক্তি সঙ্গত হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের সমর্থক না হয়েও সংক্রমণরোধে তাঁর সক্রিয়তাকে সাধুবাদ দেয়াই উচিত কাজ হবে।  নেহরুকে আমাদের আগের প্রজন্মের বাঙালি দেশভাগের মতো সুকঠিন যন্ত্রণার কারণ মনে করে অপছন্দ করলে ও দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যথোপযুক্ত সম্মান দিতেন, সেই সম্মান ব্যক্তি নেহরুর নয় ভারতের প্রধান মন্ত্রীর প্রাপ্য ছিল। যাঁরা সেদিন মোদীর কথা অনুসর করেননি তাঁদের যুক্তি ছিল, যাঁরা অনুসরণ করেছেন তাঁদের ও নিজের মতো যুক্তি ছিল; যাঁরা বাজনা বাদ্যি করে বেরিয়ে পড়েছিলেন রাস্তায় তাঁদের শুধু উন্মাদনাই ছিল।

    ক'দিন পর যখন প্রধানমন্ত্রী আবার ব্ল্যাক আউট করে বাতায়নে দিয়া, টর্চ বা মোবাইল এর আলো জ্বালাতে বললেন তখন দেশের প্রধানমন্ত্রীর পৌনঃপুনিক ছেলেখেলাকে মেনে নেওয়া অসম্ভব মনে হলো, এ যেন ভয়াবহ মহামারির আবহে আনুগত্য যাচাইয়ের পন্থা। সেদিনের থালা বাজানো ভুল হয়েছিল স্বীকার করতে দ্বিধা হলোনা। ঠিক যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সক্রিয়তাকে সম্মান জানিয়ে ও কিছু প্রশ্ন মনে আসছে আমার মতো অনেকেরই।

    আমার হতভাগ্য দেশে মূর্খ ভারতবাসী দরিদ্র ভারতবাসীকে তো সুবিধাপ্রাপ্ত বুদ্ধিজীবীরা বোকা বা প্রকারান্তরে সরল বলেন কিন্তু তথাকথিত রাষ্ট্রপুরুষের সঙ্গে চিন্তাধারার খুব পার্থক্য কি আছে?

    রোগজর্জর স্তব্ধ চৈত্রের দুপুরে জানালার বাইরে নারকেল পাতা কাঁপে। ঘন উদ্বেগে মন ভারী হয়ে থাকে। ইতালিতে কাদের শেষকৃত্যে সন্তান উপস্থিত হতে পারলো না, হায়দ্রাবাদের কোন ফুটপাথে কোন হতভাগ্য অবোধ অসুখ বাঁধিয়ে আছে কোন অর্ধশিক্ষিত আধুনিকা রেলগাড়ির কামরায় অবিমৃশ্যকারিতায় রোগ ছড়ালো, নতুন বছরের দুয়ারে বসে এইসব ছবি ফুটে ওঠে।
    বিশ্বমানবের আরোগ্য কামনা করতে গিয়েও মনে পড়ে এই বিপর্যয়ের দিনেও শক্তিশালী দেশের অষুধ কেড়ে নেওয়ার প্রবৃত্তি।
    রাগের জ্বালা রোগের জ্বালায় বসন্ত শেষের মায়া হারিয়ে যায়।

    পাড়া জুড়ে ছমছমে নীরবতা । শনিতলার রিকশাওয়ালাদের সাড়াশব্দ নেই ।বিকেলে বস্তির বাচ্চাগুলো খেলে না, টিউশন পড়তে যাওয়া জুটিদের দেখা নেই। মুম্বই এর রাস্তায় নাকি ময়ূর ঘুরছে, হরিদ্বারের রাস্তায় একপাল হরিণ। পাশের বাড়ির বাগানে আমার স্থায়ী প্রতিবেশী চিল দম্পতি, চিলচিতকারে পারদর্শী কোকিলরা সঙ্গীত সাধনা করে করে মাথা নষ্ট করে দিচ্ছে। মানুষের সীমাহীন নিরুপায়তা। প্রকৃতি রুষ্ট তাঁর প্রিয় সন্তানের প্রতি। নূতন বৈশাখের আমন্ত্রণ, কারো মনে সুখ নেই, আনন্দ নেই। তবে কি এই নিরানন্দ শাস্তি আমাদের চেতনা ফেরাবে? আমরা বুঝবো মানুষ প্রত্যেকে এক পরিবারভুক্ত, সুস্থ থাকতে চাইলে সবাইকে মিলে মিশে সুস্থ থাকতে হবে। হাত পা ধুয়ে মুছে বাইরের টান ভুলে ঘরে বসে নিজেকে চেনার চেষ্টা করতে দোষ কী। খুব অন্ধকারের গহনেও থাকে মঙ্গলালোক হয়তো সেই আলো আমরা পাবো।

    তবু স্মরণে জেগে থাকুক কবিতা, সঞ্জীবনী নিয়ে আসুক মানুষ। মানুষের কাছেই কৃতাঞ্জলী শীর্ণ বসুন্ধরা।

    পথবাসী ঘরে ফিরুক, ক্ষুধার্ত অন্ন পাক, স্কুলফেরত কলকাকলিতে ভরে উঠুক দুপুর।

    নতুন বছর শুভ হোক।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১৩ এপ্রিল ২০২০ | ৩৩৯১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ধীমান মন্ডল | ১৩ এপ্রিল ২০২০ ২১:২৩92279
  • প্রশ্ন করেননি কিন্তু প্রশ্ন জাগিয়েছেন।

  • শিবাংশু | ১৩ এপ্রিল ২০২০ ২৩:৩৪92287
  • অনেক দিন পর পড়লুম আপনার লেখা। ভালো লাগলো। সবার শুভ হোক ...
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন