এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • গেম!  

    Muhammad Sadequzzaman Sharif লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৭ আগস্ট ২০২৩ | ১৫৪৫ বার পঠিত | রেটিং ৪.৩ (৩ জন)
  • অবৈধ পথে সীমানা পার হওয়াকে বলে গেম দেওয়া। কেন কীভাবে এই নামকরণ হয়েছে আমি জানি না। ভিডিও গেমের সাথে কোন মিল আছে? কয়েকটা বাধা অতিক্রম করে চূড়ান্ত বিজয়! ধরা পড়লেই শেষ! যারা সমুদ্রপথে গেম দেয় তাদের জন্য এই গেমে কোন লাইফ লাইন নাই, একটা লাইফ নিয়ে হয় জয় আর না হয় গেম ওভার! এই গেমে কোন অস্ত্রও নাই, শুধুই ভাগ্য ভরসা। কিংবা জীবনই একটা গেম, সেই থেকেই গেম নামকরণ! ক্যাম্পে অনেকেই গেম শব্দটা বলতে ভয় পেত। কখন কে শুনে ফেলে কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেয়, বা কর্তৃপক্ষই কখন শুনে ফেলে এই ভয়ে গেমের পরিবর্তে খেলাধুলা শব্দটা ব্যবহার করত। 

    রোমানিয়া থেকে গেম কিন্তু সমুদ্রপথের মত না। এখানে মৃত্যু ঝুঁকি কম। অন্য ঝুঁকি আছে প্রবল ভাবে। ধরা পড়লে জেল, সরাসরি দেশে ফেরত এবং ইউরোপের নাম প্রায় চিরতরে ভুলে যাওয়া। জীবনের ঝুঁকির কাছে এগুলা কিছুই না। তাই প্রায় দৈনিক শত শত মানুষ গেম দিচ্ছে। সীমান্ত গুলোয় ফেরি ঘাটের মত ভিড় লেগেই আছে! 

    একটা গেম কীভাবে পরিচালিত হয় এইটা জানা জরুরি। শুরু হয় কোথা থেকে? শুরু হয় একদম আপনার রুম থেকে। আপনাকে দালাল খুঁজতে হবে না। দালালই আসবে আপনাকে খুঁজতে। আমাদের ক্যাম্পে প্রায়ই দালাল আসত। উপকারী বন্ধু হয়ে আসত, সরাসরি বলত সম্পূর্ণ নিরাপদে গেম দেই আমারা, আমাদের গেমে কোন ভেজাল নাই, ভিআইপি গেমের ব্যবস্থা আছে ইত্যাদি! আবার এই দালালরা তাদের ‘সাব দালাল’ নিয়োগ করত কাওকে কাওকে। বিনিময়ে হয়ত একটা পারসেন্টেজ দিত কিংবা একটা থোক টাকা। এই সাব এজেন্টরা নীরবে কাজ করত। ক্যাম্পে কে গেম দিতে চাচ্ছে তার খোঁজ রাখত। আমাকে একজন প্রায়ই জিজ্ঞাস করত, ‘তারপর কবে যাচ্ছেন?’ আমি বলতাম 'না ভাই, আমি আছি, আমি গেম দেওয়ার লোক না।’ দুই একদিন পরে আবার একই প্রশ্ন! ‘তিমিশোরা কবে যাবেন?’ তিমিশোরা হচ্ছে রোমানিয়া হাঙ্গেরি সীমান্ত শহর। কেউ তিমিশোরা গেছে মানেই হচ্ছে তিনি ওই পথে হাঙ্গেরি ঢোকার মানে গেম দেওয়ার প্ল্যান করছেন। আমি যথারীতি বলতাম না ভাই তিমিশোরা যাচ্ছি না। পরে বুঝছি ও হচ্ছে মালিক পক্ষের চর! ও এগুলা জানাত সব মালিক পক্ষকে! গেমের দালাল অত কাঁচা না। সে জানত কে যাবে আর কে যাবে না। কিন্তু তিনিও প্রকট হলেন একদিন। সোজা এসে বললেন, ‘সাদেক ভাই, তিন লাখ বিশ, এর চেয়ে কমে কেউ নিতে পারবে না, সব ঠিক করে ফেলছি, আমি যাচ্ছি, গেলে চলেন!’ আমি আকাশ থেকে পড়লাম, আমি কবে বললাম যে আমি গেম দিব? কিন্তু তিনি নাছোড়বান্দা! আরে এর চেয়ে কমে কে নিয়া যাবে? অত চিন্তা কইরেন না, টাকা রেডি করেন। আমি অবাক, বললাম দেখি জানাব। তার সাঙ্গপাঙ্গরাও দুই একদিনের মধ্যে আমাকে জানাল যে তারা চলে যাচ্ছে, একটা লাইন পাওয়া গেছে, সবাই মিলে যাবে, গেলে চলেন। আমি তখনও মূল খেলাটা ধরতে পারিনি। এর মধ্যে একদিন ক্যাম্পে হুলুস্থুল, ইন্ডিয়ান কার গেমের টাকা নিয়ে গেম দেওয়ায়নি এমন অভিযোগ উঠল ওই লোকের বিরুদ্ধে। তিনি এবং যার টাকা ধরা খেয়েছে কেউই স্বীকার করল না এমন কিছু! অদ্ভুত কাণ্ড, তাহলে অভিযোগ আসল কোথা থেকে? কে জানে, কিন্তু তখনই মাথায় প্রশ্ন আসল কেন উনার নামে এমন অভিযোগ আসল? এবার খোঁজ নিলাম, দেখলাম এই লোক পাকা খেলোয়াড়। এই ক্যাম্প থেকে যারাই গেছে তাদের মধ্য থেকে সিংহভাগ গেছে এর মাধ্যমে। তিনি নিজে পাঠান না, ওই জোর উনার নাই। তিনি এক পাকিস্তানি দালালের পক্ষে কাজ করেন। সেই পাকিস্তানিই পাঠায়, তিনি জন প্রতি ভাগ নেন কিছু। আমাকে টোপ দেওয়া হয়েছিল, আমি বেরসিক মানুষ, কিছু না করে চুপ করে ছিলাম। 

    তবে পাকিস্তানিও কিন্তু মূল লোক না। বিশাল বড় একটা মাফিয়া চক্রের হয়ে তিনি কাজ করেন। মাফিয়া শব্দটা বইপত্রে, সিনেমায় পড়ছি, শুনছি। কিন্তু এর উপস্থিতি চোখের সামনে দেখব তা বুঝিনি কোনদিন। দেখছি এইটা বলাও ভুল। শুদ্ধ হবে তাদের উপস্থিতি অনুভব করতে পারছি। তারা আশেপাশেই আছে, আমাদেরকে ঘিরে রেখেছে, বায়ুমণ্ডলের মত। 
    আপনি গেম দিবেন, এইটা একবার নিশ্চিত করার পরে তাদের নড়াচড়া অনুভব করবেন প্রবল ভাবে। আপনার একটা পা-ও ওদের নজরের বাহিরে পড়বে না আর। আপনি কই যাচ্ছেন, কী খাচ্ছেন সব ওদের নখদর্পণে। এদের চক্র কত বড় তা একটু বললে বুঝবেন। আপনি থাকেন রোমানিয়া, টাকা দিবেন বাংলাদেশে! যে যেমন দালাল ধরে এমন হিসাব। কেউ আগে কিছু নেয় কেউ এক টাকাও অগ্রিম নেয় না। আপনি সীমান্ত অতিক্রম করার পরে, যে দেশে যেতে চাচ্ছেন সেই দেশে পৌঁছার পরে ভিডিও কলে আপনার বাড়িতে বা আপনার ঠিক করা লোককে কল দিবেন, বলবেন আমি পৌছাছি। আপনার বাড়ি থেকে টাকা বাংলাদেশেরই কারও একাউন্টে পাঠিয়ে দিবে, আপনাকে ওইখানে মুক্তি দেওয়া হবে। এর আগ পর্যন্ত ওদের কাছেই থাকতে হবে। 

    এরা যদি দুই নাম্বারই করে? করলে কিছু করার নাই। মানে আপনাকে আটকে রেখে বেশি টাকা দাবী করলে কিছুই করার নাই। কিন্তু তারা পেশাদার। একজনের সাথে এমন করে তাদের সুনাম নষ্ট করে না। যদি একবার সবাই জেনে যায় যে ওই দালালের সাথে গেম দিয়ে একজন এমন পরিস্থিতিতে পড়েছে তাহলে শেষ! কেউ আর তার মাধ্যমে যাবে না। নিজেদের জন্যই, ব্যবসার স্বার্থেই তারা কোন দুই নাম্বারই করে না। যারা অগ্রিম দিয়ে যায়, কোন কারণে যদি গেম সফল না হয়, তাহলে টাকা নিয়ে কোন তেড়িবেড়ি করে না, টাকা ফেরত দিয়ে দেয়। আমি এখন পর্যন্ত একজনেরও টাকা মাইর গেছে এমন শুনিনি। অগ্রিম দিয়ে ধরা খেয়ে দেশে ফেরত গেছে, কয়েকদিন পরে টাকাও ফেরত গেছে!     

    আপনি গেম নিশ্চিত করার পরে ওরা আপনাকে বলবে অপেক্ষা করুন, আমরা যেদিন বলব সেদিন বের হবেন, এর আগ পর্যন্ত কোন টুটা শব্দ করা যাবে না। কাঙ্ক্ষিত দিনে ফোন আসে। বলবে অমুক বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে দাঁড়ান। দাঁড়াবেন, বলবে দূরে দেখেন একটা গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে, গিয়ে উঠে পড়েন। কিংবা বাস নাম্বার বলবে, উঠবেন, নামবেন, সব ওদের ইশারায়। আপনি কাওকে দেখতে পারবেন না কিন্তু ওরা আপনাকে দেখছে, এক মুহূর্তের জন্যও তাদের চোখের আড়ালে যেতে পারবেন না। ট্রেনে বা বাসে বা ট্যাক্সিতে নিয়ে যাবে তিমিশোরা। ওইখানে গেম ঘর আছে। ওইখানে থাকতে হবে কিছু সময়। টাকার উপরে নির্ভর করে কতদিন থাকতে হবে তা। ভিআইপি গেমে কোন থাকা থাকি নাই। আসবেন সোজা চলে যাবেন! আমি একজনের খবর জানি সে বিমান থেকে নেমে বুখারেস্টে কয়েক ঘণ্টার ট্রানজিট ব্রেক নিয়েছিল। গারা ডি নর্ড স্টেশনে কেএফসিতে হালকা খাবার খাইছে, এরপরে চলে গেছে সোজা ইতালি! পরেরদিন খবর পাইছে পৌঁছে গেছে ইতালি! টাকা লাগছে চার লাখ বিশ হাজার! আবার আমার রুমেমটকে প্রায় দুই সপ্তাহের উপরে থাকতে হয়েছিল গেম ঘরে। 

    গেম ঘর থেকে সময় হলে ডাক আসবে। বিশ চাকার বিশাল বড় লরিতে তুলবে। ত্রিশ, চল্লিশ এমন কি সত্তুরজনের খবরও আমি জানি একটা লরিতে তুলেছে! গেম ঘর থেকে নিয়ে যাওয়া হয় একটা বনের মত জায়গায়, সীমান্তের কাছে। ঘাপটি মেরে বসে থাকে সবাই। আমাদের কেউ কেউ বৃষ্টির মাঝে পড়েছিল। কিচ্ছু করার নাই, চুপ করে বসে থাক। পাহাড়ি ঢাল বসে ছিল সবাই। উপর থেকে বৃষ্টির পানির ঢল নামছিল, ভেসে চলে যাবে এমন অবস্থা। পরে গাছ ধরে বসে থেকে রক্ষা পেয়েছিল। লরিতে উঠে গেলে গল্প শেষ। হয় ধরা আর না হয় ইতালি। কেউ কেউ অস্ট্রিয়া পর্যন্ত যায়, কেউ হাঙ্গেরি পর্যন্ত। ওইখান থেকে সোজা যার যার গন্তব্যে। তবে বেশির ভাগ ইতালি পর্যন্ত চুক্তি করে। 

    ভিআইপি গেমে কিন্তু লরি নাই। আপনাকে গাড়িতে করে নিয়ে যাবে। তবে এই গাড়ি চলবে না। গাড়ি বসে থাকবে, গাড়ির লরি যাবে গাড়ি নিয়ে আর আপনি সেই লরির গাড়িতে বসে বসে যাবেন! লম্বা খোলা লরি গুলোতে করে গাড়ি নিয়ে যায় এক দেশ থেকে আরেক দেশে। পঞ্চাশ, একশটা করে গাড়ি নেয় বা আরও বেশি নেয় প্রতিটা লরি। এক তলা দুই তলা এমন করে গাড়ি সাজানো হয়। আর গাড়িতে একজন দুইজন করে তুলে দেওয়া হয়। এরা আরামে বসে থাকে, সীমান্তের কাছে আসলে মাথা নিচু করে বসে থাকে। অত গুলা গাড়ির প্রতিটা পরীক্ষা করে দেখা সম্ভব না সীমান্তে। তাই সহজেই পার হয়ে যায় ভিআইপি গেমের লোকেরা। সর্বশেষ চার লাখ পঞ্চাশ হাজার দিয়ে একজন গেছে এই তরিকায়। তিনি অবশ্য ভালই ভিআইপি সুবিধা পেয়েছেন। সীমান্ত পার হাওয়ার পরে গাড়ি করে নিয়ে গেছে উনাকে। যার ফলে ৪/৫ ঘণ্টায় অস্ট্রিয়া চলে গেছেন। সেখান থেকে এখন ইতালি। 

    মাফিয়া চক্রের নেটওয়ার্ক কত শক্তিশালী তা বুঝা গেছে যখন আমাদের কয়েকজন ধরা খায় সীমান্তে। ধরা খাওয়ার পরে যখন থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে তখন মুহূর্তের ভিতরেই উকিল হাজির! শুধু রোমানিয়া না, যদি কেউ হাঙ্গেরি বা অস্ট্রিয়াতে ধরা খায় তখনও ছাড়ানোর জন্য উকিল পুলিশ যা লাগে সব ব্যবস্থা এরাই করে। আপনি ইতালি বলছেন, যে পর্যন্ত ইতালি না পৌঁছাবেন ততক্ষণ গেম শেষ হয়নি, টাকা নিতে পারবে না। আর যদি অগ্রিম নিয়ে থাকে তাহলে তা ফিরত দিবে। তবে আমার জানা সর্বশেষ ধরা খাওয়া লোক গুলোকে উদ্ধার করতে পারেনি মাফিয়া। পুলিশ এক বিন্দু ছাড় দেয়নি। এক সপ্তাহ পরে সবাইকে বিমান ভাড়া করে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল বাংলাদেশ, যার যেখানে দেশ তাকে সেখানে নামিয়ে দিয়েছে। আমাকে একজন বলছিল দেশে যাবেন, তার আগে গেম মারেন, হয় পার হয়ে চলে গেলেন ইতালি ফ্রান্স আর না হলে সোজা দেশে। বিমান ভাড়া বেঁচে গেল! হাস্যকর শুনালেও বুদ্ধিটা কিন্তু খারাপ ছিল না! 

    যাই হোক, গেম মারার কথা উঠলে মনে হয় সব দোষ আমাদেরই। কিন্তু ঘটনা তেমন না। আমাদের কোম্পানিতে লোক লাগবে খুব বেশি হলে টেনেটুনে পঞ্চাশ থেকে ষাট জন। পারমিট বের করেছে ২৫০ জনের! তারা ধরেই রেখেছে এরা আসবে আর গেম মেরে চলে যাবে। এখন আমাদের মত আহাম্মকেরা যখন গেম মেরে চলে গেল না তখন তারা পড়ল বিপদে। প্রায় এক  মাসের মত সময় অনেককেই কাজ না দিয়ে বসিয়ে রাখল। কন্সট্রাকশনের দক্ষ শ্রমিকদের বলা হল অন্য কাজ কর। একজন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে এসেছে, তাকে বলা হল হেল্পারের কাজ কর আর না হলে বসে থাক! দীর্ঘদিন পরে এই সব দক্ষ শ্রমিকদের, যার ভিতরে বাংলাদেশ ভারত দুই দেশেরই শ্রমিক আছে, তাদেরকে বিভিন্ন কোম্পানিতে সাপ্লাই হিসেবে পাঠানো হল। এখানেও কোম্পানির লাভ। শ্রমিকদের পাঠাচ্ছে উচ্চ বেতনে, শ্রমিকদের বেতন দিচ্ছে আগের চুক্তি অনুযায়ী। যে দক্ষ রঙের কাজে কিংবা টাইলসের কাজে সে এখন পাইপ বানানোর কোম্পানিতে সারাদিন দাঁড়িয়ে থেকে পাইপের প্যাকেজিং করে! যারা কাজের লোক তাদের কাছে এই সব কাজ অসহ্য লাগে। কিন্তু ঠেকায় পরে করে যাচ্ছে। আর কেউ কেউ গেম মেরে চলে যাচ্ছে। 
    গেম মেরে চলে না যাওয়াতে কোম্পানি বেশ ভাল বিপদেই পড়েছে। সামনে আরও সত্তুর জন আসবে শুনেছি। তাদেরকে কাজ দিবে কই আর থাকার জায়গা দিবে কই? তাই এখন অনেককেই এনওসি দিয়ে বিদায় করছে। 

    মুশকিল হচ্ছে এই সব হচ্ছে প্রশাসনের নাকের ডগায়! আর এখানেই রোমানিয়া পিছিয়ে গেছে পশ্চিম ইউরোপ থেকে। গেম মারা চলছে, এখন গরমের সময়, এখনও চলছে, শীত আসলেও চলবে। সমস্যার গোরায় হাত না দিলে গেম মারা থামান যাবে না। 
    গেম মারার দিক থেকে বাংলাদেশ শীর্ষে। আর সাথে সাথেই আছে ভারত পাকিস্তান। ( এখানে কিন্তু ভারত পাকিস্তানে কোন ভেদাভেদ নাই। পাকিস্তানি দালাল ধরে ভারতীয়রা হরহামেশা গেম মারছে। পাকিস্তানি নাপিতের জন্য সবাই বসে থাকে, কখন আসবে আর সস্তায় চুল কাটাবে! )  শ্রীলংকান, নেপালিদের বেশ সুনাম রোমানিয়ায়। তারা গেম মারে না বা খুব কম মারে। যতদূর জানি সামনে এই তিন দেশ থেকে আর লোক নিবে না রোমানিয়া। কিন্তু যদি শ্রমিক বান্ধব না হতে পারে তাহলে আসলে কোন কাজই কাজে আসবে না। কেন যায় এইটার উত্তর বের করতে পারলেই গেম মারা বন্ধ হবে। আমি একজন ইথুইপিয়ার নাগরিককে চিনি, তার সঙ্গী সাথী সব গেম মেরে চলে গেছে, তিনিও যাবেন। কাজেই গেমের দোষ শুধু আমাদের দিয়ে আমাদেরকে ব্ল্যাক লিস্ট করে আসলে কোন কাজ হবে না। সমস্যার গোরায় যেতে হবে। 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৭ আগস্ট ২০২৩ | ১৫৪৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • দীমু | 182.69.179.140 | ০৭ আগস্ট ২০২৩ ১০:৪৯522202
  • yes
  • যোষিতা | ০৮ আগস্ট ২০২৩ ১০:০৭522257
  • আমরা এগুলো মোটামুটি জানি। তবে এত ডিটেইলে নয়। এগুলো নিয়ে আপনার লেখা বইয়ের দাবী জানাচ্ছি।
  • যোষিতা | 194.56.48.105 | ০৮ আগস্ট ২০২৩ ১২:১৬522259
  • "কেন যায় এইটার উত্তর বের করতে পারলেই গেম মারা বন্ধ হবে।"
    উত্তর তো সবাই জানে। রোমানিয়া অনুন্নত দেশ ইয়োরোপিয়ান ইউনিয়নে। তুলনায় যথেষ্ট দরিদ্র্যও। জিডিপি পার ক্যাপিটা $15,844 মত। পার ক্যাপিটা আয়ও খুবই কম $6,591 (বাৎসরিক)
    আপনাদের কত কত কব বেতন দিত তা তো নিজের চোখেই দেখলেন। এতে করে সংসার চলে?
    কাজে কাজেই লোকে চাইবেই অপেক্ষাকৃত বেশি আয় ও সুযোগসুবিধেওয়ালা দেশে যেতে। সেটাই তো স্বাভাবিক। পরে সেই দেশে পরিবার সন্তান তাদের নিয়ে আসবে, রোজগারের একটা সঞ্চয় দেশে পাঠাবে, সন্তানরা ভালো শিক্ষা প্রোফেশন বেছে নিয়ে ভবিষ্যতে নিজেরা নিজেদের পায়ে দাঁড়াবে, মানুষতো এমনটাই চায়। চায় না? এতে দোষ তো নেই।
  • | ০৮ আগস্ট ২০২৩ ১৫:১২522265
  • আপনার এই অভিজ্ঞতাগুলো খুব মূল্যবান।  অনেকটা জানি, শুনেছি। কিন্তু এত ডিটেলে জানতাম না। 
    লিখুন, লিখতে থাকুন। 
  • Muhammad Sadequzzaman Sharif | ০৮ আগস্ট ২০২৩ ২৩:২৯522284
  • @যোষিতা দি, আমি দোষ দিচ্ছিও না। আমি রোমানিয়ান সরকারকেই বলছি যে যদি পরিস্থিতির উন্নতি না করে তাহলে গেম মানুষ দিবেই। ভারত বাংলাদেশ থেকে লোক নিবে না গেম দেয় বলে, আমি নিজেই উদাহরণ দিয়েছি ইথুইপিয়ার একজনের যার সঙ্গী সব চলে গেছে। আমাদের এদিকের লোকের কিন্তু খুব চাহিদা নাই। চারশ ইউরো করে দেয়, খাওয়ার খরচ সহ পাঁচশর একটু কম হয়। এটা যদি একটু বাড়ায়, ছয় সাতশ ইউরো করে তাহলে আমার জানা মতে অন্তত ৭০/৮০% বাংলাদেশি গেম দিবে না। আমাদের ক্যাম্প থেকে যারা ইতালি আছে এখন, তারা সবাই ৭/৮০০ ইউরো করেই বেতন পাচ্ছে। বৈধ থেকে যদি তেমন পাওয়া যায় তাহলে এরা গেম দিবে না। প্রশাসন এই দিকটা নিয়ে ভাবে বলে মনে হয় না। 
    সাপ্লাই করে পাঠাচ্ছে বিভিন্ন কোম্পানিতে। সেখানে ওই কোম্পানি বলতেছে আমি কোন ওজর আপত্তি শুনব না, আমি চড়া বেতনে তোমাদেরকে কাজে নিয়েছি! চড়া বেতন? আমাদের কোম্পানি আমাদেরকে তাদের কাছে ৮০০ ইউরোর বিনিময়ে পাঠাচ্ছে! আমাদেরকে দিচ্ছে পাঁচশরও কম!  রোমানিয়ার আইনেই আছে যে কোম্পানির পারমিট সেই কোম্পানিতেই কাজ করতে হবে। মাঝে শুনেছি কয়েকটা জায়গায় পুলিশ রেইড দিয়েছিল। অন্য কোম্পানির পারমিট থাকায় পারমিট বাতিল করে দেশে ফেরত পাঠিয়েছিল। এইটা আরও জোরেশোরে না করলে লাভ নাই। আমাদের ভবিষ্যৎ এমনই থাকবে, গেম দেওয়াও চলবে। আমি লিখেছিলাম আমি যখন ওষুধ কোম্পানিতে থাকি তখন আমাদেরকে পাঁচদিন ঘরে আটকে রেখেছিল, কারণ তখন ফ্যাক্টরিতে অডিট চলছিল। আমাদের যেহেতু অন্য কোম্পানির পারমিট তাই আমাদেরকে অডিট টিমের সামনে আনা হয়নি। বলা হয়েছিল যেন রুম থেকে বের নাই হই। 
    এগুলা দেখার কথা রোমানিয়ার প্রশাসনের। এগুলা ঠিক না করলে গেম চলবে। আমি এইটাই বলতে চাইছি। গেম দেওয়াকে দোষের বলার কথা চিন্তাও করি নাই। কে কোন পরিস্থিতিতে গেম মারছে তা আমি ভাল করেই জানি। 
  • যোষিতা | 194.56.48.105 | ০৯ আগস্ট ২০২৩ ১২:৪৪522305
  • সাদেক,
    যে কোনও অবৈধ কাজ বড়ো স্কেলে করতে হলে প্রশাসনের সাহায্য ব্যতীত করা অসম্ভব।
    তুমি যে মাফিয়া সংযোগের আশঙ্কা করছিলে, তা সরকারি মদত ভিন্ন চলতে পারে না। সবার অর্থকরী লাভ রয়েছে, এই প্রাথমিক ও প্রধান স্বতঃসিদ্ধটুকু জন নিতেই হবে রে ভাই।
    আদম ব্যবসা (আদিকালে য দাসব্যবসা ছিল, তারই নব্যরূপ এই মডার্ণ ডে স্লেভারি), বিভিন্ন স্বাদের নারীমাংসের ব্যবসা, ড্রাগসের চোরাচালান, অস্ত্রপাচার, পেট্রোলিয়ামের চোরাচালান, স্বর্ণ এবং হীরা ইস্তক দামী ধাতু ও পাথরের চোরাইপথের ব্যবসার প্রত্যেকটিই সরকারের চোখের সামনেই ঘটে থাকে। দুনিয়ার সমস্ত দেশে। কোনও দেশই এর ব্যতিক্রম নয়। এই কঠিন সত্যটুকু না জেনে থাকলে জেনে নাও।
    মাঝে মধ্যে পুলিশ দুয়েকটা কেস ধরবে, সংবাদের শিরোণামে আসবে সেসব, নইলে চলবে কেমন করে? কিছু আদমকে বর্ডার পুলিশে ধরবে, কেস দেবে, ডিপোর্ট করবে, খবর হবে এই নিয়ে, দেশের স্থানীয় লোকে বলবে "বাহ বাহ, গুড জব", আদমেরা বলবে "এখন গেম দেওয়া খুব টাফ হয়েছে", মাফিয়া এবং সরকারি কর্তাদের তাতে লাভের বখরায় এতটুকুও টান পড়বে না। এটা তাদের গেম। রোমানিয়া থেকে ইতালিয়া, এই পথে কোথায় কী হচ্ছে, সমস্ত তাদের নখদর্পণে, যেমনটি ছোট ছোট আদমেরা কে কোথায় কালো গাড়িতে উঠবে, না বাস ধরবে, সবটুকুই অদৃশ্য পর্দার আড়াল থেকে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। কোথায় কোথায় ক্যামেরা ফিট করা আছে তা আদমেরা জানবেও না। তুমি কার কাছে বিচার চাইবে সাদেক?
    তুমি যার কাছে নালিশ করতে যাবে, সেও হয়ত দেখবে এই ক্রিমিনালদের কাছে কোনও ভাবে obliged.
    যে সব বড়োকর্তারা টাকাপয়সা সেভাবে গ্রহণ করেন না, তাঁরাও নানান রকমের পার্কস নেন। বিদেশ ভ্রমণ, কমবয়সী সুন্দরী নারীদের সঙ্গে সময় কাটানো, এই সব ট্রিপে বৌ থাকে না সঙ্গে, এমন সব আনন্দ দেবার ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে খাদ্য পানীয় বাদ দিয়ে, এত সুখের ব্যবস্থা করা হয়, যে পরবর্তীতে সেসব লোকজনের কথা ফেলে দেবার উপায় থাকে না। obliged হতে হতে অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ ছাড়া আর কোনও পথ থাকে না। নানান স্তরের লবি।
  • Muhammad Sadequzzaman Sharif | ০৯ আগস্ট ২০২৩ ১৫:১৯522306
  • যোষিতা দি, আসলেই তাই। প্রশাসনের অগোচরে কিছুই হয় না। আর সম্ভবত এই কারণেই রোমানিয়া শেঙ্গেনে ঢুকতে পাড়ছে না। আমি চলে আসায় কোন আফসোস আপাতত নাই, কিন্তু যদি রোমানিয়া শেঙ্গেনে ঢুকে যায় তাহলে হয়ত একটু আফসোস হবে! তবে কোন দিক থেকেই মনে হয় না যে রোমানিয়া শেঙ্গেনে ঢুকতে পারবে! 
  • নীল | 117.226.221.18 | ০৯ আগস্ট ২০২৩ ১৬:৪৬522307
  • একটা বিষয় কৌতুহল রয়ে গেল। যারা অবৈধ পথে ইতালি পৌঁছে গেল তারা সেখানে জীবিকার ব্যবস্থা কি করে করবে। একটা দেশে অবৈধ প্রবেশ করে যে কোনো সময় পুলিসের নজরে পড়তে পারে। আমদের বাঙালিদের চেহারা আর ইউরোপিয়ানদের চেহারায় আকাশ পাতাল প্রভেদ খুব সহজেই তো ধরা পড়বে। সেক্ষেত্রে ইতালিতে ঢোকার পরেও তো ধরা পড়ে বহিষ্কৃত হতে হবে।
  • যোষিতা | 194.56.48.105 | ০৯ আগস্ট ২০২৩ ১৮:৫০522311
  • সাদেক,
    আমি সম্ভবতঃ ঠিক করে বোঝাতে পারি নি। এসবের সঙ্গে শেঙ্গেনে ঢোকার সম্পর্ক নাই রে ভাই। শেঙ্গেনের ভেতরের দেশগুলোতেও আদম ব্যবসা চলে। বাইরেও চলে।
    আমরা বিজ্ঞানের পাঠে পড়েছিলাম তড়িৎ চালনা হয় বিভবপ্রভেদের জন্য। কিংবা জলের সমোচ্চশীলতা ধর্ম। কোনও বাধা না থাকলে বা ছিদ্র থাকলে জল উচ্চতল থেকে নিম্নতলের দিকে গড়িয়ে পড়ে। দুনিয়ায় এটাই নিয়ম। যতদিন ধনীদেশ ও গরীবদেশ থাকবে, ততদিন এগুলো চলবে।
     
  • যোষিতা | 194.56.48.105 | ০৯ আগস্ট ২০২৩ ১৮:৫৬522312
  • নীলের প্রশ্নটা পরিষ্কার হলো না। ইতালি হোক কি ইংলণ্ড বা ফ্রঁস, চেহারা দেখে দেখে লোকজনকে ধরে ধরে বহিষ্কৃত করতে যাবে কেন? সেতো খুবই অসভ্য ব্যাপার হবে। আমি আপনি কোনও দেশে গেলেই যদি আমাদের চেহারা দেখে টুঁটি ধরে বের করে দেয়, সেটা কি ঠিক?
    "ইয়োরোপিয়ানদের চেহারা" বলে তেমন কিছু হয় কি? ককেশীয় চেহারা বলতে চাচ্ছেন? সেরকম লেভেলের রাষ্ট্রীয় স্তরে রেশিয়াল ডিস্ক্রিমিনেশন ইয়োরোপে নই।
  • Muhammad Sadequzzaman Sharif | ১০ আগস্ট ২০২৩ ১০:৪৭522328
  • যোষিতা দি, আমি বুঝছি আপনার কথা। সব জায়গায়ই সমস্যা আছে। তবে শেঙ্গেন আর নন শেঙ্গেনের ভিতরে হয়ত একটু পার্থক্য আছে। অন্তত আমাদের তাই মনে হয়। রোমানিয়ায় আইন কানুন একটু ঢিলেঢালা, আমরা ধরে নেই এমন কাণ্ড জার্মানি ফ্রান্সে জীবনেও সম্ভব না। বিশেষ করে জার্মানি থেকে আমার বন্ধুরা ঘুরে যাওয়ার সময় আমাকে যেমন করে দুই দেশের পার্থক্য দেখিয়েছে তাতে এই বিশ্বাস আর দৃঢ় হয়েছে। আবার এও ঠিক জার্মানি ফ্রান্সই শেঙ্গেন না, স্লোভাকিয়া, লাটভিয়া, এস্তোনিয়া, লিথুনিয়াও শেঙ্গেন, সেখানেও নিশ্চয়ই জার্মানির মত আইন কানুন কঠিন না? সাধারণ্য একটা ধারণা থেকেই বলছি শেঙ্গেনে আইন কানুন ঢিলে দেখেই ঢুকতে পাড়ছে না রোমানিয়া। তবে এবার অনেকেই স্বপ্ন দেখছে যে রোমানিয়া শেঙ্গেনে ঢুকে যাবে। কে জানে কি হয়। 
     
    নীল, যারা গেম মারে তারা যে দেশে যায় ওই দেশের কারও না কারও সাথে যোগাযোগ করেই যায়। তিনিই আশ্রয়দাতা, কাজদাতা! তিনি ইশারা না দিলে ইনি এক পাও আগাবে না গেমের দিকে। যার যার লোক যখন বলবে তখনই সে যাওয়ার জন্য পা বাড়াবে। আমাদের ক্যাম্প থেকে যারাই গেছে কেউই বসে নাই। কোথাও না কোথাও কাজ করছে। এবং যারা ধরা খেয়েছে তারা বাদে গেম মেরে ভুল করছি এটাও এখন পর্যন্ত কেউ বলে নাই।  
  • বিপ্লব রহমান | ১৭ আগস্ট ২০২৩ ০৭:৩৯522551
  • "চোর দিয়ে চোর ধরাধরি একি কারখানা?/ আমি তাই জিজ্ঞাসিলে তুমি বলো না।" --লালন সাঁই 
    ~
    গেম মারা চলবেই
  • হীরেন সিংহরায় | ২০ আগস্ট ২০২৩ ১৮:১৫522719
  • সাদেক ভাই 
     
    শেংগেন দেশগুলির সব আইন কানুন আর্থিক অবসথা সমান নয়। অর্থনৈতিক দিক দিয়ে জি ডি পির হিসেবে রোমানিয়া সারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ দেশের মধ্যে দ্বাদশ স্থানে। গ্রিস পর্তুগাল বালটিকের দেশগুলির অনেক উঁচুতে। সমস্যা হলো অস্ট্রিয়া - তারা রোমনিয়া বুলগারিয়াকে ঢুকতে দিতে চায় না। আতংক ! আইন কানুনের তেমন ভীষণ তফাত নেই। ইউনিয়নে প্রবেশের কানুন সবাইকে মানতে হয়। 
     
    নতুন কিছুই নয়! ১৯৮৪ সালে স্পেন পর্তুগাল ঢুকলে তাদের সবাই জারমানি ফ্রান্স চলে আসবে এমন ভীতি দেখেছি। আজ পর্তুগাল ইউনিয়নের দরিদ্র সদস্য কিন্তু তারা দলে দলে ধাওয়া করছে না জারমানি! 
  • হীরেন সিংহরায় | ২০ আগস্ট ২০২৩ ১৮:২০522722
  • নীল
     
    রোম ভেনিসের পথে ঘাটে রেঁস্তোরায় সর্বত্র বাংলাদেশী মানুষ দেখি। সবাই যে সম্পূর্ণ আইনি ভাবে আছে মেনে নেওয়া শক্ত কিন্তু পুলিস তাদের উত্পাত করে বলেও মনে হয় না । বাংলা বলে বেশ দিন কাটানো যায়! 
  • যোষিতা | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:৫২523301
  • ২০১০ সালে একজন গেম দিতে এসেছিল এখানে (সায়েব অ্যামেরিকান), সে ঘটনা এখন মনে পড়ল। 
  • Muhammad Sadequzzaman Sharif | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:২২523383
  • যোষিতা দি, গেম চলছে চলবে... হা হা হা! 
  • হীরেন সিংহরায় | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:৫৪523392
  • সাদেক 
    সিসিলি এসেছি। কিছু বাংলাদেশী মানুষের সংগে পরিচয় হল - দু জন মাদারিপুরের - তারা তিন বছর ইংল্যান্ডে ছিল এখন সিসিলিতে। ভালই আছে। চমতকার ইতালীয়ান বলে। 
  • kc | 37.39.245.156 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:২৬523397
  • সাদেকজি, 
    গেম মারার সবথেকে বড় কল হল মিডল ঈস্ট। কুয়েত থেকে মালবাহী ট্রেলারে ইরাক, সেখান থেকে সিরিয়া, তারপর তুর্কিয়ে হয়ে ইউরোপ, সব লেনদেন দেশে, ভারত পাকিস্তান বাংলাদেশ হেব্বি দোস্তি, দেশের বাইরে। সবথেকে সস্তা রুট এটাই।
  • Bratin Das | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৩:০৯523403
  • Muhammad Sadequzzaman Sharif | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:৫৪523421
  • হীরেন দা, ইতালিতে বাংলাদেশি দিয়ে উপচে পড়ছে এখন। আমার যে বন্ধু রোমানিয়া আসছিল ঘুরতে জার্মানি থেকে ও দেখছি রীতিমত বিরক্ত এত বাঙালি ইতালিতে দেখে! হা হা হা! 
     
    @kc, হুম, ওইটা হচ্ছে আদি রাস্তা। খরচ কম কিন্তু ঝুঁকি বেশি। এখন রোমানিয়া যাওয়া সহজ হওয়াতে আর এই দিকে ঝুঁকি কম হাওয়াতে প্রচুর এই দিক থেকে যাচ্ছে। তবে ওই রাস্তা এখনও জমজমাট এটাও সত্যি! 
     
    @Bratin Das, জি ভাই,  এই দুনিয়ায় ভাই সবই হয়, সব সত্যি সব সত্যি! 
  • যোষিতা | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৩:৪৯523427
  • সাদেক ২০২৪ এ রোমানিয়া শেংগেনে ঢুকছে। পাকা খবর।
  • যোষিতা | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৩:৫৭523428
  • থুড়ি, সামনের মাসে। অক্টোবরে।
  • Muhammad Sadequzzaman Sharif | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৩:০৮523430
  • যোষিতা দি, সত্যি না কি! ঢুকবে ঢুকবে তো অনেকদিন থেকেই শুনছি, তাই বিশ্বাস হতে চায় না। শেঙ্গেন হলে আবার যাওয়া যায় কি না দেখব। আমার টিআর কার্ড আছে তো, তাই যাওয়া যাবে। কিন্তু যে সমস্যা নিয়ে আসছিলাম তার কোন সুরাহা হয়নি। কী যে বিপদে আছি! 
  • যোষিতা | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৩:১৫523431
  • চলে এসো। ঘটনা সত্য।
  • যোষিতা | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৩:২০523433
  • একবার শেংগেনে যদি দেশটা ঢুকে যায়, তখন এখানে আসার কড়াকড়ি বেড়ে যাবে। শেংগেনভিসার হাজারটা হাংগাম। শেংগেনে জয়েন করার আগে ঢুকে পড়ো। গেম দেবার প্রয়োজনই হবে না।
  • যোষিতা | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৩:২২523434
  • তখন বাই রোড গটগটিয়ে জারমানি চলে যেও। জারমানি কারোকে ত্যাগ করে না।
  • kk | 2607:fb91:149f:50ef:3424:6ebc:6711:16f6 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৩:৫৫523435
  • যোষিতাদি,
    বেশির ভাগ বাংলা লেখায় Germany কে লেখে 'জার্মানি', আপনার লেখায় দেখি 'জারমানি'। এতে উচ্চারণের কী রকম তফাৎ হয়? মূল ভাষায় উচ্চারণ কি দ্বিতীয় বানানের মত?
  • যোষিতা | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৪:১৮523436
  • কেকে,
    আরে না না। জারমানি বা জার্মানি একই উচ্চারণ। আমি ঐরকম লিখি। 
    মূল ভাষায় জারমানি বলে না, বলে ডয়েচলান্ড।
    এই দেশটাকে যে যেমন পারে তেমন করে নিজের ভাষায় বলে থাকে। ইংরিজিতে জারমানি, রাশিয়ানে গেরমানিয়া।
    আবার জাতির/ভাষার ক্ষেত্রে ইংরিজিতে জারমান, জারমানে  ডয়েচ, রাশিয়ানে নিমেৎস্কি/নিয়েম্ত্স্।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে প্রতিক্রিয়া দিন