এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  অন্যান্য  বই

  • ডাংকি! 

    Muhammad Sadequzzaman Sharif লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | বই | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ১২৩৩ বার পঠিত | রেটিং ৪.৫ (২ জন)
  • রাজকুমার হিরানির ডাংকি নেটফ্লিক্সে আসছে, আমিও দেখে নিয়েছি। অনেকেই আমাকে এইটা দেখার জন্য বলছে। আমার রোমানিয়া গমন, বই লেখা এগুলার সাথে না কি সামঞ্জস্য আছে। তাই সুযোগ পাওয়া মাত্র দেখলাম। মনে হল কিছু একটা না লিখলে অপরাধ হয়ে যাবে! 

    বাংলাদেশে আমরা যেটাকে গেম মারা বলি ভারতের বা হিরানি যে পথটা দেখিয়েছেন অবৈধ পথে যাওয়ার সেটাকে ওরা ডাংকি বলে। আমি রোমানিয়ায় যে ভারতীয়দের সাথে ছিলাম তারা কিন্তু ডাংকি কখনও বলেনি, ওরাও গেম দেওয়াই বলত। এখানে যে পথটা দেখিয়েছে, পাকিস্তান হয়ে আফগানিস্তান, ইরান হয়ে তুরস্ক, সেখান থেকে সমুদ্র পথে ইংল্যান্ড, এইটাকে হয়ত ভারতীয়রা ডাংকি বলে। এই একই পথকে বাংলাদেশে গেমই বলে। এখানে অবৈধ পথে যাওয়াটাকেই গেম বলে। গেম দিয়ে বাংলাদেশিরা ল্যাতিন আমেরিকার বন জঙ্গল হয়ে মেক্সিকো দিয়ে আমেরিকা চলে যাচ্ছে! ঢাকায় বিশাল বড় বিল বোর্ড দেখছি আমি, যেখানে লেখা ছিল সহজে মেক্সিকোর ভিসা করায় দেওয়া হয়! যারা মেক্সিকোর ভিসায় যাবে বা যারা মেক্সিকোর ভিসা করায় দিচ্ছে তারা দুই পক্ষই জানে গেম মেরে আমেরিকা ঢুকাই হচ্ছে অভীষ্ট লক্ষ্য!

    যাই হোক, হিরানি সাহেব গেম মারা সিনেমা বানিয়েছেন কিন্তু পুরো সিনেমায় এই বিষয়টাই আসছে খুব অল্প! হাস্যকর কিছু বিষয় দেখিয়েছে, সিনেমা বানাচ্ছি ডকুমেন্টারি না এইটা মনে হয় মাথায় নিয়ে বসে ছিলেন তিনি। শাহরুখ খানকে তো প্রেম করতেই হবে! মানে এত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়ের সিনেমাকে ফাইজলামি পর্যায় নিয়ে গেলেন কেন জানি না। মরুভূমি পার হতে গিয়ে নায়ক রোমান্টিক হয়ে যাচ্ছে! জীবন নিয়া টানাটানি, ওর মধ্যে প্রেম আসে কোন জায়গা থেকে? অথচ শুধু মাত্র কন্টেইনারের মধ্যের গল্প দিয়েই সিনেমা বানানো সম্ভব। দুই মিনিটও দেখায় নাই কন্টেইনারে করে যাওয়ার দৃশ্য। সব মিলিয়ে ডাংকি মারার দৃশ্য হয় পনেরো বিশ মিনিট, বাকি হচ্ছে শাহরুখ খানের প্রেম, নায়কোচিত কাজ কারবার, ফালতু কিছু দৃশ্য। ফেরার জন্য উতলা লোকজন ফিরতে পারছে না কেন আমি বুঝি নাই। এই আইন আমার জানা নাই। আস্যাইলাম নেওয়া মানুষজন দেশে কোনদিনই ফিরতে পারে না? ওই দেশের পাসপোর্ট পায়া গেলেও না?

    একেবারেই কিছু নাই সিনেমায়? আছে, আমি আরও বেশি কিছু চাচ্ছিলাম এই যা। প্রবাসী শ্রমিকদের জীবনটা আরও দেখাইতে পারত। অল্প একটু ছুঁয়ে গেল শুধু। যে দৃশ্যে গাদাগাদি করে এত গুলা মানুষ একটা বাড়িতে দেখাইছে ওইটা আমাকে নিজের জীবনের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। তিনতলা বিছানা, এক রুমে দশ বারোজন! একটু যে কন্টেইনারের দৃশ্য দেখিয়েছে ওইটা কলিজায় গিয়ে লাগছে। আমার অভিজ্ঞতা নাই কিন্তু যারা গিয়েছে তাদের সাথে অনেকবার এই বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। প্রত্যেকের গলার স্বর ছিল অন্য রকম। মনে হয়েছে বিভীষিকার কোন ঘটনার কথা যেন আমি মনে করিয়ে দিয়েছি। সবার কথা ছিল ভাই বুঝি নাই এমন হবে!

    আমার মনে আছে আমার সাথের দুইজন গেম মেরে পার হয়ে গিয়ে বিপদে পড়েছিল, যাওয়ার কথা ইতালি, নিয়ে গেছে জার্মানি! ওইখান থেকে আমাকে ফোন দিয়েছে, দিয়েই বলতেছে ভাই জার্মানিতে না আপনার বন্ধু আছে, আমাদেরকে ইতালি পাঠানোর ব্যবস্থা করতে পারবে? আমি আকাশ থেকে পড়েছিলাম। বললাম এইটা ওরা পারবে কি না জানি না, কথা বলে দেখতে হবে। পরে জিজ্ঞাস করলাম যারা এই কাজ করছে ওরা ইতালি নিয়ে যাবে না? না হলে টাকা দিবেন কেন? ওরা বলল ভাই নিয়ে যাবে কিন্তু আবার ওই কন্টেইনারে ঢুকার ইচ্ছা নাই, বলার সময় গলার স্বরে যে তীব্র আতঙ্ক ছিল তা আমি লিখে বুঝাতে পারব বলে মনে হয় না! তারা পরে কন্টেইনারেই ইতালি গিয়েছিল।

    এমন বেশ কিছু জায়গা ছিল যা আমাকে স্পর্শ করে গেছে। আমি আরও বেশি কিছু চাইছিলাম। ছবির নাম যখন ডাংকি তখন আমার চাওয়া তো অপরাধ না, তাই না? এই ছবির নাম অনায়াসে 'হার্ডি সিং কী প্রেম' কথা রাখা যাইত, রাখলেই পারতেন, আমিও কোন আগ্রহ দেখাইতাম না। কিন্তু নাম রাখলেন ডাংকি আর ডাংকিই আড়ালে থেকে গেল, এইটা কেমন কথা! 
    একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে এখানে, এই জন্য ধন্যবাদ পেতে পারেন পরিচালক। বর্ডার, ভিসা এগুলা সমস্যা শুধু মাত্র গরিবের জন্য, যার টাকা আছে তার জন্য দুনিয়ার সকল বর্ডার খোলা, সব দেশের ভিসা উম্মুক্ত! এইটাই মূল কথা এবং শেষ কথা!

    আমাদের এদিকে মানে ভারতীয় উপমহাদেশের নায়কেরা সহজে নায়ক চরিত্র ছাড়তে চায় না। অনেক পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু এখনও বহুদূরের পথ পারি দিতে হবে। এই কারণেই শাহরুখ খানের এখনও নায়কই হতে হবে, বর্ডারে দ্রিম করে গুলি মেরে দিতে হবে, বিদেশে চার্চে মারামারি করতে হবে, যেখানে ওই চার্চের বিয়ের উপের নির্ভর করছিল সবার ভবিষ্যৎ! হিরানি এর আগে দারুণ সব কাজ করলেও তিনিও শাহরুখ খানকে নায়ক বানাতে গিয়ে গুবলেট করে ফেলেছেন।

    আবহ সঙ্গীত ভালই ছিল, একটা গান কানে মধুর লেগেছে। প্রত্যাশা কম থাকলে হয়ত আরও ভাল লাগত। আপাতত প্রত্যাশা পূরণ হয় নাই এইটাই বলতে পারছি শুধু। 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • অন্যান্য | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ১২৩৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • r2h | 165.1.200.98 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২৩:১৮528725
  • দীমু, থ্যাংকিউ, দেখে ফেলবো!
    সিনেমার টইটা ক'দিন আগে উঠেছিল, ওটা আবার খুঁজতে হবে, রেকোগুলি ওতে থাকলে কাজে লাগে।

    রোজা পিকে বম্বে এইসব সিনেমাগুলির আমার মতে সবার সঙ্গে বসে দেখার বিনোদনের বাইরেও কিছু মূল্য আছে সময়ের প্রেক্ষিতে। বম্বে যেমন, ১৯৯২ পরবর্তী ভারতে হিন্দু স্বামী ও মুসলিম স্ত্রীর বম্বে দাঙ্গার পটভূমিকায় নতুন সংসার কিন্তু নিতান্ত সোজা ছিল না।
    আজও, তার এত বছর পরেও যেখানে আকবর আর সীতা নামের সিংহ সিংহী নিয়ে আদালতে মামলা হয়।
    এবং সেই সিনেমা বানিয়ে তাকে বিপুলভাবে বাণিজ্য সফল বানানো।

    এই প্রয়াসগুলিকে আমি খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে করি, তার অনেকগুলি সফল হয়না, অনেকগুলি মাঠে মারা যায়, তাদের অনেক দোষের মধ্যে সেগুলি হিন্দি এবং এত কিছুর পরও আজকের বিফ লিঞ্চিং লাভ জেহাদ রিপাবলিক টিভি ইত্যাদির দেশে পৌঁছে যাওয়াকে এড়ানো যায়নি; কিন্তু তবুও পপুলার কালচারের বৃত্তে একটুখানি খোলামেলা চিন্তার তার প্রাপ্যটুকু পাওয়া উচিত বলে মনে করি।

    রোজা অবশ্য সত্যি বলতে কি আমার তেমন মনেও নেই, শুরুটা আর শেষটা ছাড়া।

    এইসব প্রসঙ্গে আরেকটা মনে রাখার মত সিনেমা মাচিস।
    ছোড় আয়ে হম গানটা যে কেকের গাওয়া তা তাঁর মৃত্যুর পর জানলাম।
  • hu | 2607:fb91:179a:1da7:ad3:e857:9b1e:ebd0 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০০:৩২528728
  • একদমই। পিকে, ওহ মাই গড - এগুলো দেখে অনেককেই বলতে শুনেছি - ঠিকই তো বলছে, এভাবেই তো ভাবা উচিত। তার মানে এই নয় যে এই সিনেমাগুলো দেখেই সবাই খুব যুক্তিনিষ্ঠ হয়ে গেল, মন্দিরে প্রণামী দেওয়া বন্ধ করে দিল। এসব কিছুই হয় না। সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে তত্র্ববাগীশ মানুষেরা যেসব তত্ত্বের চর্চা করেন সব কি আর নিজের জীবনে মানেন? দ্বিচারিতা মনুষ্য চরিত্র। কিন্তু তবু এই প্রশ্নগুলোর চর্চা যে অন্তত বিনোদনের মোড়কে হয়েছে এর একটা মূল্য আছে। পঞ্চাশের দশকে বাংলায় যমালয়ে জীবন্ত মানুষ নামে একটা সিনেমা হয়েছিল। সেটাকে আমার যুগান্তকারী কাজ মনে হয়। দেবতারা ঘুষ খাচ্ছে - এমন কথা বললে আজকের দিনে ব্লাসফেমি হবে। তখন সেই সিনেমা চুড়ান্ত জনপ্রিয় হয়েছিল। এমন না যে সমাজ থেকে গোঁড়ামি উধাও হয়ে গেল। কিন্তু একটা প্রশ্নোত্তরের জায়গা তো খোলা রইল। ওই জানলাটুকু মাস স্কেলে খুলে দেওয়ার জন্য এই সিনেমাগুলোর কাছে কৃতজ্ঞ থাকতে হবে।
  • Arindam Basu | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০০:৪৫528729
  •  "মোড়কে হয়েছে এর একটা মূল্য আছে। পঞ্চাশের দশকে বাংলায় যমালয়ে জীবন্ত মানুষ নামে একটা সিনেমা হয়েছিল"
     
    এইরকম আরেকটা ছবি সত্যজিতের  মহাপুরুষ। 
    তবে এইসব সিনেমার সূত্রে জনমানসে কতটা প্রভাব বিস্তারিত হয় তর্কযোগ্য। 
     
  • র২হ | 2607:fb90:e335:4471:ad0b:beaf:bc43:578e | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০১:০৬528730
  • সত্যজিতের মহাপুরুষে বোধহয় বিনোদনের মোড়ক সেই অর্থে ছিল না - সিনেমা ইনিডাস্ট্রির বাণিজ্যের দিক দিয়ে দেখলে। তখনকার দিনে আর্ট ফিল্ম বলে একটা বস্তু বা ধারনা চালু ছিল যেহেতু। সেদিক থেকে যমালয়ে আর মহাপুরুষ বাণিজ্যিক বা জনপ্রিয়তার প্রকৃতির দিক থেকে কোথাও এক না।
    জনমানসের প্রভাব একটা কন্টিনিউয়াস প্রসেস। না হলে বঙ্গসমাজে রবীন্দ্রনাথের এত প্রভাবের পর এই দশা হয় না। এবার বলাই যায় যে ওই প্রভাব সহি প্রভাব নহে।
    আর সেখানেই পপ কালচার তথা বিনোদনের মোড়কটার আলাদা জায়গা।
     
    প্রভাব... হু যেটা বললো, "...এমন না যে সমাজ থেকে গোঁড়ামি উধাও হয়ে গেল। কিন্তু একটা প্রশ্নোত্তরের জায়গা তো খোলা রইল। ওই জানলাটুকু মাস স্কেলে খুলে দেওয়ার জন্য..."।
    প্রভাব কি আর ওরকম সাদা কালো। কিন্তু বড় স্কেলে নিজের মত ইন্টারপ্রিট করার পরিসরটা চালু থাকে।
  • দীমু | 182.69.183.148 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০১:১৯528731
  • দক্ষিণ ভারতের সবকটা ইন্ডাস্ট্রিতেই বহুদিন ধরে পলিটিক্যাল অথচ বিপুলভাবে বাণিজ্য সফল মাস ছবি বানানোর চল আছে। মণি রত্নম তামিল বলেই রোজা বম্বে দিল সে এগুলো বানাতে পেরেছিলেন। অনেকদিন বাদে এই জিনিসটা তামিল অ্যাটলিরই জওয়ান দিয়ে আবার বলিউডে ফিরেছে। ধর্মভিত্তিক পিকে, ওহ মাই গড এগুলো আবার একটু অন্যরকম ব্যাপার। তবে এগুলো বলিউডে ব্যতিক্রম এবং আলোচনার জানলা খুলেছে বলেই মনে হয় এগুলো নিয়ে আজকেও কথা হচ্ছে। 
     
    মাচিসটা ঠিক মূলধারার ছবি নয়। তাহলে ব্ল্যাক ফ্রাইডে , কমল হাসানের 'হে রাম' এরকম অনেক কিছুরই নাম করতে হবে।
  • দীমু | 182.69.183.148 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০১:২৭528732
  • মূলধারা মানে বোঝাতে চাইছি আমজনতার কাছে খুবই পরিচিত কোনো সুপার তারকা যখন কোনো বিতর্কিত ছবিতে অভিনয় করেন তখন এইসব কথাবার্তা অনেক বেড়ে যায়। 
  • hu | 2607:fb91:179a:1da7:ad3:e857:9b1e:ebd0 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০১:২৮528733
  • মহাপুরুষ, পিকে, ওহ মাই গড এগুলোতে টার্গেট ধর্ম ব্যবসায়ীরা। যমালয়ে জীবন্ত মানুষে খোদ দেবতাদেরই কোরাপ্টেড বলা হয়েছে। একমাত্র নারায়ণ ছাড় পেয়েছেন। একটা পলিথেইস্ট কালচারে এটা করা মুখের কথা নয়। তারপর আবার সে জিনিস মানুষ হইহই করে দেখেও নিল। 
  • Muhammad Sadequzzaman Sharif | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১১:০১528743
  • অনুরাগ কাশ্যপের বাংলা সিনেমা নিয়ে মন্তব্যটা দেখছেন? এতে দেখলাম অনেকেই মানে পশ্চিমবঙ্গের অনেকেই খুব মন খারাপ করেছে। অথচ এইটা দিনের আলোর মত সত্য। 
  • hu | 72.241.81.21 | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০০:১৯528856
  • অনুরাগ বলেছেন - “The fall in the quality of Hindi films is a fall from the first floor. Bengali films used to be in a far higher position. And hence, the fall is so evident,” a report in OTT Play quoted him as saying.
    ঠিকই বলেছেন।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন