এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • বাঙালের রোমানিয়া গমন! 

    Muhammad Sadequzzaman Sharif লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৪ জুন ২০২৩ | ৭৬১ বার পঠিত | রেটিং ৩ (১ জন)
  • ৪.০৬.২০২৩ 

    বহু কিছু ঘটে গেল এই কয়দিনে। নাটকীয় সব কাণ্ড। সম্ভবত কিছু নারকীয়ও বটে! প্রথমে খারাপটা বলে ফেলি। আমাকে ওষুধ কোম্পানি থেকে আবার আগের ঠিকানায় ফেরত দিয়েছে। তারা তাদের কাজের কোন ব্যাখ্যা দেয় না, কাজেই আসলে কেন ফেরত দিল আমাকে তার সঠিক তথ্য আমি জানি না। তবে যা শুনছি তা হচ্ছে আমি কাজে ধীর!, স্লো! এইটা আমার সাথে, আমার ফ্লোরে যারা কাজ করে তারা কেউ বলে নাই বা তাদের কাছে জিজ্ঞাসও করে নাই কর্তৃপক্ষ। তারা কোন অজানা জায়গায় বসে মোবাইলে বা কম্পিউটারের পর্দায় সিসি ক্যামেরায় দেখছে আমি স্লো! তাই চলবে না এই মাল! 

    আমি স্লো ছিলাম, জ্বরে পড়ে ছিলাম যে কয়দিন সেই কয়দিন আমি বলতে গেলে যা না করলেই না তাই করছি। আর এতে আমার ফ্লোর ইনচার্জ, প্রডাকশন ম্যানেজার, প্রডাকশন সুপারভাইজার সবার সায় ছিল। তারা আমাকে সবচেয়ে সহজ যে কাজ, ওষুধ প্যাকেজিং করা ওই কাজে বসায় দিছিল। আমার ফ্লোরের সবাই জানে আমি অসুস্থ। ওরাই আমার দেখভাল করছে। কেউ ওষুধ এনে খাওয়াইছে, কেউ চা বানিয়ে এনে খাওয়াইছে। প্রত্যেকে জিজ্ঞাস করছে এখন কেমন লাগছে, এখন একটু ভাল লাগছে কি না! একজন না জেনে আমাকে ওষুধ ভরার পরে যে ভারী কার্টুন তৈরি হয় ওইটা সরাতে বলছিল, আমি কিছু বলার আগেই প্যাকেজিং যারা করতেছিল তারা সবাই এমন চিৎকার দিছে যে ওই মহিলা থতমত খেয়ে গেছে। আমার কাছে এসে দুঃখ প্রকাশ করছে! 

    যাই হোক, এই সব সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় যদি যেখানে কাজ করি সেখানে একটু খোঁজ নিত তাইলে জানতে পারত। কিন্তু তারা, যারা আল্লাই জানে কই বসে বসে সিসি ফুটেজ দেখে আর সিদ্ধান্ত নেয়, তারা এত ক্ষুদ্র বিষয় নিয়ে হয়ত বেশি মাথা ঘামাতেই চায় নাই। 

    আবার  আগের ঠিকানায় ফিরছি। এইটা আমার পরিচিত এলাকা। এখান থেকে যখন ওষুধ কোম্পানিতে যাই তখন কান্না আসছিল। এইটাকে মনে হচ্ছিল বাড়ি আমার। এত এত বাঙালী এক সাথে, এক সাথে হাসি মশকরা, আড্ডা! এখানে অনেক অনেক সমস্যা কিন্তু এখানেই মনে হয় না আমি বিদেশ আছে। যদিও এবার এসে দেখি আমার পরিচিত মুখ প্রায় সব নাই হয়ে গেছে। গেম মেরে চলে গেছে ইতালি। কেউ কেউ সীমান্তে ধরা খেয়ে বন্দী হয়ে আছে। এদের ভাগ্যে কী আছে কেউ জানে না। রোমানিয়া এখন এগুলা ব্যাপারে খুব কড়া, শুনতেছি সবাইকে দেশে পাঠিয়ে দিবে। ধরা খাওয়াদের মধ্যে একজন স্ত্রী সহ রোমানিয়া এসে ছিলেন। ওই মহিলা গেম মেরে ইতালি চলে গেছে, আর উনি ধরা খেয়ে গেলেন! এদের জীবন এখন কেমন হবে ভাবলেই আমার শরীর ঠাণ্ডা হয়ে যায়! 

    আমাকে নতুন কোন কাজে ঢুকায় নাই এখনও। জানি না কোথায় ফিট করে দিবে আমাকে। তবে আমি একটু উড়ন্ত অবস্থায় আছি। তাই আপাতত কী হবে না হবে ভেবে আতঙ্কিত হতে চাচ্ছি না। আমি এই সময়টাকে উপভোগ করতে চাচ্ছি। কী সময় বলছি। 

    আমার এলাকার দুইজন, একজন আমার ভক্ত, খুব পছন্দের ছোট ভাই, স্টুডেন্ট ভিসায় জার্মানি আসছিল, এখন চাকরি করে ওইখানে, নাম শিশির। আরেকজন হচ্ছে সোহাগ, আমার ছোটবেলার বন্ধু। খুব যে কাছের বন্ধু তা না। বরং সোহাগকে আমরা মানে আমি রনি কাওসার মিলে যন্ত্রণা দিতাম খুব। বিশেষ করে রনি আর কাওসার, সোহাগের জীবনে অভিশাপ ছিল। কিন্তু কথা হচ্ছে আমরা এক সাথে বড় হয়েছি। আমি সোহাগ এক সাথে বাবু ভাইয়ের কাছে ইংরেজি পড়তাম। কত স্মৃতি, কত দারুণ সময় কাটছে আমাদের। 

    এই সোহাগও জার্মানি থাকে প্রায় দশ বারো বছর। ও হচ্ছে ইংল্যান্ড আসছিল স্টুডেন্ট ভিসায়। পড়াশোনা শেষ করে নাই। ভিসার মেয়াদ থাকতে থাকতেই চলে গেছিল জার্মানি। জার্মানি গিয়ে পাসপোর্ট ফেলে শরণার্থী হয়ে গেছিল। এঙ্গেলা মার্কেল তখন এদের প্রতি প্রচণ্ড উদার ছিল। ও জায়গা পেয়ে গেল কোন এক ক্যাম্পে। আস্তে আস্তে সোহাগ এখন জার্মানিতে প্রতিষ্ঠিত বলা চলে। এখন ও দেশে যেতে পারে, বিয়ে করছে আমি যখন দেশে তখন। 

    এই দুইজন চলে আসছে বুখারেস্ট! আমার শহরে ঘুরতে! আমাকে আগেই বলে রাখছিল। আমি তখন চিন্তায় ছিলাম ওষুধ কোম্পানি ছুটি দেয় কি না ভাবে। ঠিক একদিন আগে, এক তারিখ বৃহস্পতিবার দিন আমাকে দিল ফেরত পাঠিয়ে। আমি দেখলাম এই সুযোগ। যা হওয়ার হবে আমি ওদের সাথে এই কয়দিন চুটিয়ে ঘুরব। শুক্রবার দিন আতঙ্কে ছিলাম। কোন কাজে কই পাঠায় দেয় ভেবে চিন্তা ছিল। কিন্তু কেউ খোঁজ নেয় নাই। সোহাগ শিশির শনিবার আসবে, আমি শনিবারের জন্য ঝুঁকি নিলাম না। আমি শুক্রবার দুপুরের পরে ক্যাম্প থেকে ব্যাগ নিয়ে বের হয়ে পড়লাম। আবার যদি সবাই ভাবে আমি গেম মারছি তাই দুই একজনকে বলে আসছি যে যদি আমার কোম্পানির কেউ খোঁজ করে বলবেন আমি অসুস্থ, এখানে এক বড় ভাই আছে আমার,  তার বাসায় গেছি, সুস্থ হলেই ফিরব। 

    আসলেই শেরপুরের এক বড় ভাই থাকে বুখারেস্টে। তিনিও খুব ভাল নাই। কিন্তু উনার রুমে থাকা যায়। বললাম আমি আসতেছি, তিনি বললেন চলে আস। তো রাতে থাকলাম, সকালে ব্যাগ নিয়ে বের হয়ে সোজা বিমানবন্দরে। দেখা হল আমার দেশের মানুষ, বন্ধু, প্রিয় ছোট ভাইয়ের সাথে। আমার হাওমাও করে কান্না আসতেছিল। সোহাগকে দেখে কোনদিন এমন অনুভূতি হবে এইটা অকল্পনীয়! আজকে রনি থাকলে এই সফর অন্য মাত্রা পেত। রাতে আমি আর সোহাগ এক বিছানায় শুয়েছি। আমি শুধু চিন্তা করছি আরে, এইটা কীভাবে সম্ভব! কই বাংলাদেশ, কই জার্মানি, কই রোমানিয়া! আমি আর সোহাগ এক সাথে শুয়ে আছি! 

    জীবন এক আজব সিনেমা! ওদের সাথে ঘুরাঘুরি নিয়ে লেখব আলাদা করে, তাই এখানে আর লিখছি না। এখানে আজকে আরও গল্প বলার আছে আমার। 

    যে বড় ভাইয়ের কথা বললাম, তার রুমে দুই সপ্তাহ আগে গিয়েছিলাম আমি। এক শনিবার। রবিবার বন্ধ। শনিবার রাতে রোমানিয়ানরা কী করে এইটা দেখার ইচ্ছা ছিল। ভাই বলল চলে আস, রাতের বুখারেস্ট দেখাব। 
    চললাম, আক্কেলগুড়ুম হয়ে ফিরে আসছিলাম। 

    রাতে উনার রুমে খাওয়া দাওয়া করে বসে আছি। উনি বলছেন আরও একটু পরে বের হতে হবে। কেন? যেখানে উনি নিয়ে যেতে চাচ্ছেন সেখানে যত রাত তত মজা! মজার উদ্দেশ্যে বের হলাম রাত এগারোটা দিকে। উনার রুমমেটরাও আছে সাথে। ওল্ড টাউন, পুরাতন বুখারেস্টে গেলাম। এই জায়গায় আমি দিনের বেলা ঘুরছি। দারুণ সুন্দর একটা জায়গা। গলি গলি রাস্তা, রাস্তার পাশে রেস্টুরেন্ট, বার চেয়ার টেবিল বসানো আছে। মানুষ খাচ্ছে, ঘুরছে। তো দিনের বেলার সৌন্দর্য আর রাতের সৌন্দর্যের যে পার্থক্য তা দেখলাম আর তা আমাকে তাজ্জব করে দিল। 

    আমরা যখন গেলাম দেখি বিকট শব্দে অচেনা ভাষার গান বাজছে। ভদ্র নম্র যে চেহারা আমি দিনের বেলা দেখেছি তার ছিটেফোঁটাও নাই কোথাও। সব দিক থেকে মানুষ আসছে। নানা রঙের মানুষ, ঢঙের মানুষ, বয়সের মানুষ! কেউ পরিবার নিয়ে আসছে, বন্ধুরা আসছে দল বেঁধে। বার গুলো, যেগুলা দিনের ঝিমাচ্ছিল বা বন্ধ ছিল তাদের রূপ যৌবন ফেটে পড়ছে এখন।  স্বল্প বসনা নারীরা সব্বাইকে ডাকছে! আমার সঙ্গীরা বেশ দক্ষ এই এলাকার ঘুরার ক্ষেত্রে, যে ভাবে জ্ঞান দিচ্ছিল তাতে তাই মনে হল আমার। তাদের জ্ঞানে জ্ঞানী হয়ে জানলাম এখানে যারা, যে নারীরা আসছে তারা সবাই বারবনিতা, সবাই দেহ ব্যবসায় নিয়োজিত! যে ছেলে গুলো সাথে আছে ওদের তারা হচ্ছে দালাল! আমি বুঝি কম, তাই বুঝলাম না ঠিক কী দেখে উনাদের মনে হল সবাই দেহ বিক্রির জন্য এসেছে? মানে এইটা কী! ব্রথেল টাইপ কোন জায়গা? আমার অল্প বুদ্ধিতে তা মনে হয় নাই! 

    উনাদের কাণ্ড দেখলাম। উনারা একটা বারের উল্টো দিকে বন্ধ দোকান আছে এমন একটা জায়গায় বসে পড়লেন। তারপরে অবাক হয়ে, হা করে অনেকটা বলা চলে সামনের চলমান সিনেমা দেখতে থাকলেন! আমি নতুন মানুষ, যা দেখি তাই আশ্চর্য লাগে, অবাক হয়ে দেখি শুধু। একটু পরে বোধ বুদ্ধি ফিরলে মনে হল আরে করতেছি কী আমি এখানে! অর্ধনগ্ন নারী নাচছে এই দৃশ্য কতক্ষণ দেখা যায়? উনারা আমাকে রেহাই দিলেন। বললেন, চল একটু ঘুরে আসি। চললাম। প্রচুর মানুষ, সব বারে একই দৃশ্য। কাস্টমার ধরার জন্য নানা ফন্দি। আমি দেখতে দেখতে হাঁটতে থাকলাম। উনারা এবার যা করলেন তা হচ্ছে গলির ভিতরে তস্য গলি খুঁজে বের করলেন। চিপা একটা গলি, ওই গলির দুই পাশে পানশালা, ভিড় প্রচুর। যেহেতু জায়গা কম ঠ্যালা ধাক্কা খাওয়ার প্রচুর সম্ভাবনা আছে। তার মধ্যে দোকানদারদেরই বুদ্ধি না মানুষ নিজেই এই কাজ করছে জানি না, ওই অল্প জায়গায় বিকট শব্দে গান বাজিয়ে নাচছে!  কোন রকমে ঠেলে ঠুলে পার হলাম গলিটা। ওই পাশে উনারা অপেক্ষা করছেন। যা বললেন তা শুনে আমি মনে মনে কইলামও হরি, রক্ষা কর আমারে! 

    উনারা এই পথে আসছেন কারণ না চাইলেই প্রচুর ঘষা খাইতে হবে এখানে।  উনারা ফ্রি মাগনা ঘষা খাওয়ার জন্য আসছে। আমাকেও নিয়ে আসছে। আর এদিকে আমি বেকুব, ছোটবেলায় মেট্রিক্স দেখার পর থেকে ভিড়ে ঢুকলেই কীভাবে শরীর বাঁচিয়ে চলতে হয় তার প্রশিক্ষণ নিতে নিতে এই পর্যন্ত আসছি! আমি কোন ঘষাই খাই নাই! উনারাও দেখলাম হতাশ!  ঘষা মন মত খাইতে পারেন নাই! কেন? আজকে ভিড় কম, মাসের শেষের দিকে তো তাই মানুষ কম আসছে, ব্যাখ্যা দিলেন উনারা। আবার ঢুকলেন গলিতে, আমিও পিছন পিছন চললাম। 

    এই গলিতে ঢুকে আমার দুইটা জিনিস দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। এই এলাকার সব গুলা বারের নামই ভিন্ন রকম। আমার কাছে মজার মনে হয়েছে। এই গলিতে ঢুকে দেখি একটা বারের নাম দা ডিক্টেটর! নামটা আরও একটু বেশি মজার মনে হয়েছে গলির শেষ মাথার দোকানটার নাম দেখে, এর নাম এল কমাদান্তে, ভিতরে বিশাল বড় চে গুয়েভারার পোস্টার! ভিতরে উদ্দাম নৃত্য চলছে। বেচারা চে চেয়ে চেয়ে দেখছে তার বিপ্লব পরিস্থিতির দিকে! 

    আরেকটা বিষয় আমার কাছে আশ্চর্যজনক লাগছে। যে মেয়ে গুলো নাচছে বারে তাদের স্টেমিনা দেখে আমি অবাক হয়েছি। কতক্ষণ সম্ভব একজনের পক্ষে একই ভঙ্গিতে শরীরকে আঁকাবাঁকা করা? নিতম্ব কতক্ষণ ঝাঁকানো সম্ভব? আমি রাত তিনটা পর্যন্ত ছিলাম, একজনকেও বিরতি নিতে দেখিনি। মানে আমি যতটুকু দেখছি তার হিসাবে বললাম। নেশা করে থাকে না কি? 

    সবাই দেহ ব্যবসার জন্য আসছে এইটা যেমন আজাইরা কথা। তেমন তারাও যে এখানে আছে এইটাও সত্য। আমরা যাওয়ার পরে একজন আসছিল আমাদের কাছে, পিছনে দুইটা মেয়ে দাঁড়ানো। এসে সরাসরি বলল একশ রোন দিলে ওদের মধ্যে একজনের সাথে শোয়া যাবে! আমার সাথের অভিজ্ঞ ভাইয়েরা বলল অনেক বেশি, চলবে না। উনি বলতে বলতে পকেট থেকে সিগারেট বের করে ধরালেন। পিছন থেকে একটা মেয়ে এসে বলল ঠিক আছে, একটা সিগারেট দাও! উনি দিলেন, মেয়েটা সিগারেট ধরিয়ে টানতে টানতে চলে গেল! অভিজ্ঞ ভাই সিগারেটের দাম নিয়ে হায়হুতাস করলেন, হুদাই টাকাটা চলে গেল ভেবে গালি দিলেন! আমি বসে বসে তামশা দেখলাম। 

    মজার বিষয় হচ্ছে যেখানে বসে বসে সামনের বারের ফ্রি নৃত্যকলা দেখছি আমরা। একটু পরে দেখি আমাদের পাশে কিছু ভারতীয়ও বসা। ওদের এই আনন্দ ফুর্তিতে এরাও আমাদের মত দর্শক। দেখেই বুঝলাম আমাদের মতোই কাজ কাম করতেই রোমানিয়া আসছে। কবে পকেটের জোর আসবে কবে সামিল হতে পারবে এদের সাথে তাই ভাবছে হয়ত প্রত্যেকে। 

    আমার কাছে পুরো বিষয়টা দারুণ লাগছে। শনিবার রাত, পরেরদিন বন্ধ। মানুষ উপভোগ করছে একটা রাত। এদের সবাই কোথাও না কোথাও কাজ করেই খায়। কেউ বেশি কামাই করে কেউ কম। কিন্তু এখানে সবাই ফুর্তি করছে সমান। আমরাই শুধু ভাবি ছুটি পাওয়া গেছে ঘুমাব ইচ্ছা মত! 

    লম্বা হয়ে গেছে, শেষ করি। শেষ করি একটা ভাল খবর দিয়ে। আমার বায়োমেট্রিক দেওয়া হয়ে গেছে। এই মাসের ২৬ তারিখ রোমানিয়া আমাকে তাদের অস্থায়ী নাগরিকত্বের পরিচয়পত্র দিবে! কে জানে তখন হয়ত আমার জন্য ভাল কিছু ঘটতে পারে। এর আগ পর্যন্ত বাউন্সার আসলে ডাক করে, দুই একটা বল হেলমেট বা শরীরে নিয়ে হলেও উইকেটে পরে থাকতে হবে। লম্বা ইনিংস খেলতে হলে এর ছাড়া আর কোন উপায় নাই। উইকেট হারিয়ে প্যাভিলিয়নে বসে থাকায় মজা নাই, থাকতে হবে উইকেটেই।  

    সবাই ভাল থাকবেন।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৪ জুন ২০২৩ | ৭৬১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • যোষিতা | ০৪ জুন ২০২৩ ১৫:১৮520219
  • ভাল লাগল সুখবরটা জেনে।
  • | ০৪ জুন ২০২৩ ১৭:২০520220
  • অনেক শুভকামনা রইল। আপনার মনের সুখে নানা দেশ দেখার ইচ্ছে পূর্ণ হোক। 
  • বিপ্লব রহমান | ০৪ জুন ২০২৩ ১৯:২৭520222
  • ঘষা খাওয়ার কায়দা বোধহয় বাংগালী বুদ্ধিতেই (এবং রুচিতে সম্ভব)। 
     
    সত্যিই জীবন এক আজব সিনেমা। 
     
    গেম মারাও চলবে। cool
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন