এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • বাঙালের রোমানিয়া গমন! 

    Muhammad Sadequzzaman Sharif লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৭ এপ্রিল ২০২৩ | ৯০২ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • ০৫/০৪/২০২৩

    হুট করেই ছন্দপতন ঘটছে জীবনে। ঘটনা শুরু আমি আসার পর থেকেই। আসার পরেরদিনই কোম্পানি থেকে একজন আমাদের পাসপোর্ট নিয়ে নিয়েছিল। যুক্তি দিয়েছিল আমাদের এখানকার কাগজ করে দেওয়ার জন্য পাসপোর্ট লাগবে। আমরা সরল মনে দিয়ে দিয়েছি। যেহেতু আমি কোনদিন বিদেশ করি নাই তাই মেনে নিয়েছি। পরে শুনলাম সবার পাসপোর্ট নিয়ে নিয়েছে কিন্তু কেউই খুশি না। সবাই বলছে এমন কোন আইন নাই যে আমাদের পাসপোর্ট নিয়ে নিবে কেউ। আমি সব শুনে বুঝলাম এরা আসলেই একটা ঘাপলা করেছে। আমি আমাদের যে রোমানিয়ান বস আছে তাকে জিজ্ঞাস করলাম, সে বলছে কোন চিন্তা কর না, এখানকার টেম্পোরারি রেসিডেন্সি কার্ড যখন হয়ে যাবে তখন তার সাথে পাসপোর্ট দিয়ে দেওয়া হবে। আমি চুপ করে কাজ করি, রোমানিয়া দেখি, ইফতারি খাই! 

    রোমানিয়া আসার দুই দিন পরে আমাদের, মানে আমরা ৩৩ জন বাঙালিকে একটা নতুন আবসস্থলে নিয়ে আসা হয়। এইটা একটা জঘন্য জায়গা থাকার। এক রুমে দশজন, বারোজন, কোন কোন রুমে ১৬ জনও থাকার ব্যবস্থা করেছে। মেজাজ খুব খারাপ। কিন্তু কিচ্ছু করার নাই। আমরা থাকছি গাদাগাদি করে। আস্তে আস্তে এই পরিস্থিতিতেই মানিয়ে নিতে শিখে যাচ্ছিলাম। গোল বাঁধল গতকাল বিকালে! সারাদিন বৃষ্টি হয়েছে, আমাদের থাকার ব্যবস্থাটা একতালা। নর্দমার পানি, আরও আল্লাই জানে কিসের কিসের পানি আমাদের বাড়ি ঘরে সয়লাব! কাজ করে এসে মাথা ক্র্যাক করল সবার এক সাথে। কোম্পানি সিসি ক্যামেরায় সব  দেখে আগে থেকেই, কালকেও দেখেছে নিশ্চয়ই। কিন্তু তাদের কোন হেলদোল নাই। থাকলেও আমাদের চোখে তা ধরা পরে নাই। ফোন করা হল,  বলল লোক আসবে! কিন্তু আমাদের কথা হচ্ছে লোক এসে পানি পরিষ্কার করবে এইটা সমাধান না। কারণ এই জায়গাটাই তো স্বাস্থ্যকর না। এত গুলা লোক কেন এমন একটা ছোট্ট জায়গায় রাখবে। আমিই বললাম, এদের পুলিশের হেল্প লাইনে ফোন দিয়ে পুলিসকে জানিয়ে দেই। যেই বলা সেই কাজ। ফোন দেওয়া হল। বিস্তারিত বলা হল। এক ইউনিট পুলিস এসে গেল। আসতে আসতে সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হল যে আমাদের থাকার জায়গা না, আমাদের সব সমস্যা নেয়েই কথা বলব। প্রথম কথা হচ্ছে আমাদের পাসপোর্ট কোন যুক্তিতে তারা রাখবে? প্রথম দাবী ঠিক করা হল পাসপোর্ট যার যার হাতে আগামীকালের মধ্যেই দিতে হবে। দ্বিতীয় দাবী হচ্ছে থাকার জায়গা পরিবর্তন করতে হবে আর তৃতীয় হচ্ছে অনেকের বেতন কাটছে, কম দিচ্ছে, এইটা যেন বন্ধ হয়। যথা সময়ে পুলিস আসল। তারা নোংরা পানিতে হেঁটে হেঁটে দেখল। কোম্পানির পরিচালকের সাথে ফোনে কথা বলল। বলল আগামীকাল আমাদের পাসপোর্ট হাতে দিয়ে দিবে। আর থাকার জায়গা নিয়ে তারা দুঃখিত কিন্তু কিছু করার নাই। তারা চলে গেলে আমরাও ঘুমে যাই। কিন্তু সকলে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হল যাই হোক, কালকে কেউ কাজে যাবে না, পাসপোর্ট হাতে দিলেই আমরা কাজে যাব। 

    সকালে হতেই লোক হাজির। আমাদের আজকে মেডিকেল হওয়ার কথা, অস্থায়ী নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে হবে। আমরা বেঁকে বসলাম। পরিষ্কার জানিয়ে দিলাম যাব না পাসপোর্ট না দিলে। শুরু হল সিনেমা! মালিক পক্ষ থেকে একজন এসে বলল, হাত বুলায় বলল, নরম করে বলল, এরপরে হুমকি দিল দেশ থেকে তাড়াবে, আমাদের মাঝ থেকে পাঁচজনকে বাছাই করে বলল তোমরা, ফিনিশ! হট্টগোল করে তারা চলে গেল। আমরা স্থির। ওরা চলে যেতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল আমাদের শেষ আশ্রয় হচ্ছে আমাদের দূতাবাস, সবাই মিলে বাংলাদেশের দূতাবাসে যাব। চললাম সবাই মিলে, ৩৩ জন বাংলাদেশী শ্রমিক, দল বেঁধে চল দূতাবাস! 

    দূতাবাস আমাদেরকে খুব দারুণ করে সমাদর করল। মেহেদি হাসান নামে একজন সচিব বেশ মনোযোগ দিয়ে আমাদের সমস্ত অভিযোগ শুনলেন। এরপরে অভিযোগ গুলো নিয়ে আমাদের ভিতর থেকে কয়েকজনকে নিয়ে গেলেন রাষ্ট্রদূতের সাথে কথা বলার জন্য। আমরা বাকিরা নিচে বসে রইলাম, ছবি তুললাম। রাষ্ট্রদূত দ্রুত অ্যাকশন নিলেন। ফোন দিয়ে গরম করে ফেললেন মুহূর্তে। যারা কথা বলে আসলেন তাদের পরে আমি কথা বলার জন্য গেলাম। আমি যখন উনার রুমে ঢুকি তখন তিনি মোবাইলে আমাদের কোম্পানির কর্তা কোন ব্যক্তির সাথে লাউড স্পিকারে কথা বলছেন। বাকিটা আমার গর্বের হয়ে রইল। ওই পাশ থেকে একজন খুব কর্কশ স্বরে কথা বলছিলেন। আমাদের রাষ্ট্রদূত ( নামটা দেখেছি কিন্তু ভুলে গেছি, কি জানি হুদা!) উনাকে ফোনে থামিয়ে দিয়ে বললেন, “আপনি জানেন কার সাথে কথা বলছেন? আমি বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত বলছি, আপনে এমন শব্দ ব্যবহার করতে পারেন না আমার সাথে কথা বলার সময়। এরা আসছে নির্দিষ্ট অভিযোগ নিয়ে। আপনারা কোন আইনে, কোন অধিকারে আমার দেশের লোকজনের পাসপোর্ট নিয়েছেন?” ওই পাশে নীরব হয়ে গেল কিছুক্ষণের জন্য। বলল ওরা আসলেই সবাইকে পাসপোর্ট দিয়ে দেওয়া হবে, আজকে এখনই দিয়ে দেওয়া হবে। দ্রুত ওদের পাঠান, কারণ তাদের অনেকের আজকে মেডিকেল তারিখ ছিল, ডাক্তার সকাল থেকে বসে আছে ওদের জন্য। রাষ্ট্রদূত আবার হুঙ্কার দিলেন, বললেন, “ওদের সমস্যা সমাধান করেই ওরা যাবে, ওদের পাসপোর্ট ছাড়া আরও নানা অভিযোগ আছে। সময় হলেই আমি ওদের পাঠাব!”  

    ফোন রেখে আমাকে বললেন, কী সমস্যা আপনার? বললাম, বললেন, আজকে আপনার মেডিকেল ছিল? আমি বললাম, জী। বললেন, তাহলে যাদের মেডিকেল আছে তাদের নিয়ে চলে জান দ্রুত। আমি আপনাদের বাকি সমস্যা নিয়ে কাজ করব, চিন্তা করবেন না। আমরা সালাম দিয়ে চলে আসলাম। 

    দূতাবাসে থাকা অবস্থায় আমি একটা কাজ করছি। সেটা হচ্ছে আমার হঠাৎ করেই মনে হল দূতাবাসকে আমাদের এজেন্টের কথা জানানো উচিত। কারণ মূল আসামি আসলে এজেন্ট। সে কোম্পানির সাথে কীভাবে চুক্তি করেছে যে আমাদেরকে এমন বিপদে ফেলে? আমি সোজা সচিব মহোদয়কে বললাম এজেন্টের নাম, ঢাকায় তার লোকের নাম। তিনি বললেন এইটাকে তো আগে ধরতে হবে, এর নাম্বার আগে দিবেন না। ফলাফল কিছুক্ষণ পরে দেখি মহামান্য দালাল হাজির দূতাবাসে, সাথে রোমানিয়ান সহচর। উনি আমাদেরকে এতজনকে দূতাবাসে দেখে ঘাবড়ে গেছেন বুঝা যাচ্ছিল। আমাকে শুধু বললেন, দূতাবাস সমাধান দিবে? সব সমস্যা তো মিটেই গেছে! আমি শুধু তাকে বললাম ভাই, আসছেন, দেখেন কী হয় এখানে। তিনি চুপ করে বসে রইলেন। এরপরে আমি রাষ্ট্রদূতের সাথে কথা বলে বের হয়ে আসছি। 

    আমাদের অফিসে হল সিনেমার শেষ দৃশ্য। আমাদেরকে পাসপোর্ট দেওয়া হল। আর ধমক দিয়ে বলা হল কেন আমরা দূতাবাসে গেছি! বললে আবার কেওয়াস তৈরি হবে, সবাই চুপ করে রইলাম। আমাদেরকে নতুন করে চুক্তিপত্রে সাক্ষর করতে হল। আগামী এক বছরের মধ্যে আমরা কেউ এই কোম্পানি থেকে অন্য কোন কোম্পানিতে যেতে পারব না। এক বছর পরে কেউ চাইলে ওরা না করবে না, অনুমতি দিয়ে দিবে। আমাদের থাকর জায়গা নিয়ে কাজ করবে বললেন। বেতন ভাতা নিয়েও আশ্বাস দিলেন, আমরা বিশ্বাস করে চলে আসছি! আর এমন বিদ্রোহের শাস্তি হিসেবে দুই দিনের বেতন কাটা হল! মানুষজন পাসপোর্ট পেয়ে দুইদিনের বেতন পারলে ওদের মুখে মারে! 

    এই পুরো ঘটনায় আমি কিছু কিছু জায়গায় ধোঁয়াশায় আছি। এক নাম্বার হচ্ছে সবাই পাসপোর্ট নিয়ে খুব চিন্তিত। অবশ্যই আমার পাসপোর্ট আমার কাছে থাকবে। কিন্তু এরা যেন বেশিই চিন্তিত। চিন্তার কারণ গুলাও অদ্ভুত, যা আমার মাথায় ঢুকে নাই। ওরা বলছে ইউরোপে ই পাসপোর্ট খুব দামী! তিন লাখ টাকা চার লাখ টাকা লাগে। যারা সীমান্ত পারি দিবে তারা আরও বেশি চিন্তিত। ইতালি ফ্রান্সে ই পাসপোর্ট দিয়ে কী জানি বিশেষ সুবিধা পাওয়া যাবে! আবার কেউ বলছে ই পাসপোর্ট হাওয়াতে না কি বিপদ বেড়ে গেছে! কেউ বলে ফ্রান্স ইতালি স্পেনে ই পাসপোর্ট চালু হয়নি, এইটা না কি বিপদ, আবার বলে এইটা সুবিধা! বলা বাহুল্য, এই সব কথাবার্তার আগামাথা কিছুই আমি বুঝি নাই। যে পালিয়ে যাবে তার ই পাসপোর্ট দিয়েই কী হবে আর এমআরপি পাসপোর্ট দিয়েই কী হবে? 

    কোম্পানির বিষয়টাও আমার মাথায় ঢুকে নাই। পাসপোর্ট আটকিয়ে তারা কী করতে চাচ্ছিল? যিনি উড়াল দিবে সে পাসপোর্টের মায়া করবে না। তাকে এমন নানা চুক্তিপত্র দিয়েও আটকে রাখতে পারবে না। সে সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার সময় নিজের সমস্ত পরিচয় ফেলে দিয়ে তারপরে যাবে। তাকে আপনে চুক্তিপত্র, পাসপোর্ট দিয়ে আটকাতে পারবেন? 

    আমার এখন আগামী কর্মপন্থা নিয়ে ভাবতে হবে। আমি যদি দেখি এখানকার পরিস্থিতি উন্নত হচ্ছে না। তাহলে আমি চেষ্টা করব এমন কিছু জায়গায় মেইল করতে যারা শ্রমিকদের ভাল মন্দ নিয়ে ভাববে, প্রয়োজনে অ্যাকশনে যাবে। পত্রিকা, মানবাধিকার সংস্থা এমন কিছু জায়গা আমি খুঁজে বের করব। এরপরে কাজ করব।
     
    দ্বিতীয় যেটা করব তা হচ্ছে রোমানিয়া ঘুরার পরিকল্পনা ঠিক করে ফেলব। কৃষ্ণ সাগর, দানিয়ুব নদী, ড্রাকুলার ক্যাসল, আপাতত এগুলা তালিকায় আছে। কত টাকা লাগবে, কতক্ষণ বা কয়দিনের জন্য যাওয়া লাগবে ইত্যাদি ঠিক করাই এখন কাজ। অন্যদের কথা জানি না, তবে আমি সম্ভবত আগামী এক বছর অন্তত এই দেশেই আছি। আর থাকলে রোমানিয়া না ঘুরে বসে থাকার লোক আমি না। 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৭ এপ্রিল ২০২৩ | ৯০২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • যোষিতা | ০৭ এপ্রিল ২০২৩ ০২:১৬518368
  • "আমাদের মাঝ থেকে পাঁচজনকে বাছাই করে বলল তোমরা, ফিনিশ! "
    এটা বুঝলাম না। ফিনিশ কেন বুখারেস্টে চাকরি করতে যাবে? ফিনল্যান্ডের ইকোনমি কি খারাপ?
     
    পাসপোর্ট অনেক দেশেই আটকে রাখে। যেমন আরব আমীরশাহি। এটা করলে জোর করে ভয় দেখিয়ে কাজ করানো সহজ।
    যে দালালচক্রের হাত ধরে আপনি এসেছেন, তারা মুনাফা পায় এসব থেকে।
    একবার ইয়োরোপিয়ান ইউনিয়নে এসে পড়লে খুব সহজে এখানকার অন্য দেশে পালানো যতটা সহজ ভাবছেন, তত সহজ নয়। আপনাদের বায়োমেট্রিক ইনফরমেশন এদের সিস্টেমে আছে। যারা অ্যাসাইলাম সীকার হয়, তারা পাসপোর্ট ছিঁড়ে ফেলে দিয়ে স্টেটলেস হিসেবে নিজেদের ক্লেইম করে। বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে যেসব অ্যাসাইলাম সীকার ইয়োরোপে আসে দালালদের মাধ্যমে। 
    "গলাকাটা" পাসপোর্টেও প্রচুর মানুষ আসে, দেশে জমিজমা বিক্রি করে দালালকে টাকা দিয়ে।
    আপনাদের মেডিকেল টেস্ট হয়ে গেছে অর্ৎ আপনাদের বায়োমেট্রিক ইনফরমেশন মানে ডিএনএ ওদের কাছে স্টোর করা হয়ে গেছে। 
    এদের মধ্যে কেও এখন শেনগেন ফ্রি ইকোনমিক জোনে পালিয়ে গেলে রোমানিয়ার সরকারের কাছ থেকে এই তথ্য সেসব দেশ পেয়ে যাবে। ফলত তারা স্টেটলেস স্টেটাস পাবে না। নিজের দেশ কোনটা তা অস্বীকার করলেও প্রমাণ হয়ে যাবে। ফলে শেনগেন জোনেও লুকিয়ে থাকতে হবে, চাকরি বাকরিও গোপনে করতে হবে, অর্থাৎ মালিকপক্ষ যত বেশি পারবে তত ঠকাবে।
    এসব নিয়ম একদিনে হয় নি। বছরের পর বছরের অভিজ্ঞতায় দেশগুলো এসব নিয়ম বহাল করেছে।
    এগুলোর কোনটা ভালো, কোনটা খারাপ, সেটা বিতর্কিত বিষয়।
    মডার্ন ডে স্লেভারি থেকে এরা কেও বিচ্ছিন্ন নয়।
    পাচার ব্যবসা যারা করে এবং যারা পাচার হয়ে যায়, উভয়পক্ষই এটা জেনেশুনে করে।
     
  • যোষিতা | ০৭ এপ্রিল ২০২৩ ০২:৪০518369
  • e-passort এর জন্য খরচ অত বেশী নয়।
     
  • Kuntala | ০৭ এপ্রিল ২০২৩ ০৪:৫০518379
  • একেবারে নৃতাত্ত্বিকদের মত পারটিসিপ্যান্ট অবজারভেশন করে আহরিত অভিজ্ঞতা! 
     
  • হীরেন সিংহরায় | ০৭ এপ্রিল ২০২৩ ০৮:৩০518385
  • যোষিতার সংগে সম্পূর্ণ সহমত।

    "যারা অ্যাসাইলাম সীকার হয়, তারা পাসপোর্ট ছিঁড়ে ফেলে দিয়ে স্টেটলেস হিসেবে নিজেদের ক্লেইম করে"

    একেবারে ঠিক। এটা আমি ১৯৭৮ সালে জারমানিতে দেখেছি।আমার এক বন্ধু দোভাষীর কাজ করতো তার সূত্রে। সে আমলে ভারতীয়দের আবার বিশেষ সুবিধে- জারমানি যেতে ভিসা লাগতো না ৯০ দিনের জন্য।অতএব এখানে পা রেখেই পাসপোর্ট ছুঁড়ে বা ছিঁড়ে ফেলে দেয়া। আমার সদ্য প্রকাশিত বই " আমার জারমানি" তে বিস্তারিত লিখেছি। 
  • Muhammad Sadequzzaman Sharif | ০৭ এপ্রিল ২০২৩ ০৯:১৭518386
  •  যোষিতা, ফিনিশ বলতে চাক্রচাকরি থেকে  করে দেওয়া বুঝাইছি। যদিও পরে কাওকেই আর ফায়ার করেনি, সবাই চাকরিতে বহাল আছে। 
  • যোষিতা | ০৭ এপ্রিল ২০২৩ ২২:১৩518433
  • বুঝেছি
  • পারমিতা | 14.139.219.113 | ০৮ এপ্রিল ২০২৩ ১২:৫৭518448
  • গল্পে পড়েছি এবার পরিচিত বন্ধুর থেকে জানছি।
  • | ০৮ এপ্রিল ২০২৩ ১৭:২০518453
  • বাংলাদেশ দুতাবাস অসম্ভব ভাল কাজ করেছে। আপনারা ঠিক করেছেন।
    পড়তে পড়তে মঞ্জিরার সিরিজগুলো মনে পড়ছিল।
  • Ranjan Roy | ০৮ এপ্রিল ২০২৩ ২২:৪৫518457
  • ভাই 
    আপনার সাহস, সম্মানবোধ এবং উপস্থিত বুদ্ধিতে আমি মুগ্ধ । 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন