এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • বাঙালের রোমানিয়া গমন! 

    Muhammad Sadequzzaman Sharif লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৭ মে ২০২৩ | ৭৯৯ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • ১৬/০৫/২০২৩ 

    সংস্কৃতির পার্থক্যটা বেশ মোটা দাগের। এবং এইটা স্বাভাবিকও। পাসের দেশ ভারতের কত জায়গার সাথেই আমাদের সংস্কৃতির কত পার্থক্য, আর কত কত মাইল দূরে এসে গেছি, পার্থক্য থাকবে না? মোটা দাগের গুলো সবাই জানে। আমার কাছে কিছু ছোট ছোট বিষয় চোখে পড়ছে। মজা লেগেছে সেগুলা। বলছি সেই গল্প। 

    মোটা দাগের ভিতরে পোশাক একটা বড় ব্যাপার। এখানেই দারুণ ধাক্কা একটা খেয়েছি। আমি জানি না ইউরোপের অন্য দেশে কেমন, আমার জ্ঞান সিনেমা ডকু সিরিজ পর্যন্ত। সেই জ্ঞানে বেশিদূর যেতে পারছি না। কিন্তু এখানে চোখের সামনে একটু ধাক্কা খেয়েছি। আমাদের দেশে যেমন পর্দা বলতেই আপদমস্তক ঢেকে চলা, মনে করা হয় হয় বোরকা না হয় বিকিনি পরা কিংবা একেবারেই উলঙ্গ। এখানে ধাক্কাটা ওইটাই। এখানে কাওকে তো বাধ্য করছে না কে কী পরবে, তবুও কাওকে তো বিকিনি পরে ঘুরতে দেখিনি! সবাই সাধারণ পোশাকই পরছে, এমন সাধারণ পোশাক ঢাকায়ও পরছে। পার্থক্য হচ্ছে ঢাকায় পরে হয়ত স্বস্তিতে থাকা যায় না, এখানে কেউ ভ্রুক্ষেপও করে না। তবে খোলামেলা পোশাক পরে না তা না, পরে। 

    পোশাক নিয়ে একটা মজার ঘটনা না বললে বিরাট মিস হয়ে যাবে। এইটা আমাদের বাংলাদেশ বা দক্ষিণ এশিয়ার লোকজনের মানসিকতার গল্পও হতে পারে। বলছি। 
    আমাদের কোম্পানির দুইজন ছেলে কোম্পানির এমডির বাসায় গেছে কোন একটা কাজে। কাজ করার জন্যই পাঠানো হইছে তাদের। দুইজন বীরপুরুষ গিয়েছেন। বাড়িতে এমডির স্ত্রী আছেন। তিনি কী করতে হবে তা দেখিয়ে দিয়ে দূরে গিয়ে চেয়ারে বসে আছেন। তার বাড়ি, সে হয়ত একটু নিজের আরাম অনুযায়ী, নিজের বাড়ি অনুযায়ী পোশাক পরে ছিলেন। আমাদের দুই বীরপুরুষ এইটাকে কোন ইংগিত ধরে নিলেন! তারা কাজের ফাঁকে ফাঁকে নানা মন্তব্য করতে থাকলেন। সারা জীবন সাদা চামড়াদের পর্ণ দেখা দুই বীরপুরুষ দেখলেন একেবারে ক্লাসিক্যাল সেটআপ। এরপরেই তো ডাকটা আসে! নিজেদের কাজটা করে রাখছে ওরা, যেন পরবর্তীতে আবার আফসোস না থাকে যে সুযোগ ছিল, সাহসের অভাবে সুবর্ণ সুযোগ হারিয়ে গেছে। 

    যথারীতি এমডির স্ত্রী তাদের মত করে ব্যাপারটা দেখেনি, ফলাফল পরেরদিন দুইজনকে ডাকা হয়েছে। এমডি তাদেরকে কোন শাস্তি বা ধমক ধামক দেওয়ার আগে একটা প্রশ্ন করেছেন। যেটা স্বাভাবিক প্রশ্ন। তোমরা এমন কেন করলা? উনার যুক্তিতে, বিচার বুদ্ধিতে উনি মিলাতে পারছেন না কেন একজনকে এমন সব মন্তব্য কেউ করবে? আমাদের অনেকেই এর উত্তর দিতে পারেনি। সবাই বলছে ছেলে গুলা পাগল না কী! আমি শোনার পরে তৎক্ষণাৎ বুঝে গেছি। আমি বলছি ওরা সিন্স ভাইয়ের ভক্ত লোক, ওদের কাছে সব পারফেক্ট মনে হয়েছে তাই হারানোর ঝুঁকি নেয় নাই! আমার উত্তর যে শুনছে সেই বলছে ঠিক ভাই, এইটা ছাড়া আর কোন কারণ নাই এমন আচারনের। 
    এই দুইজন চাকরি হারিয়েছে। আর আরেক বীরপুরুষ অফিস রুমে বসে আল্লা মালুম কী ভেবে মাস্টারবেট করছে। তিনি এক মাসের বেতন হারিয়েছে। এই দুইটা ঘটনা হচ্ছে আমাদের দেশের সাথে এখানকার পরিবেশের পার্থক্যের বড় ঘটনা। এরা যে কারণেই হোক, নিতে পারে নাই। 

    ছোটখাটো কিছু পার্থক্য আমার কাছে দারুণ লেগেছে। যেমন আমি দেশে দেখতাম আমার হিন্দু বন্ধুরা মন্দির যতদূরেরই থাকুক, আশপাশ দিয়ে গেলেই হাত কপালে তুলে সালাম করা শেষ। আমার বন্ধু স্বর্ণ, ও আরও একটু আগানো। ও কোন ঝুঁকি নিতে রাজি না। ও মন্দির, মসজিদ যাই সামনে পরুক, কপালে হাত নিয়ে চুমু খেয়ে ফেলবে ঝপ করে। 
    এইটা আমি দেখছি সব সময়ই। এবার দেখলাম ভিন্ন চিত্র। বাসে যাচ্ছি, দূরে একটা চার্চের মাথা দেখা গেল। বাসের মধ্যে অনেক গুলো হাত এক সাথে উঠে ক্রুশ এঁকে ফেলল! এইটা আমি শুধু সিনেমায়ই দেখছি, বাস্তবে দেখে প্রথমে অবাক পরে হাসি পরে বুঝছি। 

    একটু নিষ্ঠুর একটা পার্থক্য দেখছি। এইটা সংস্কৃতি বলতে রাজি না। কিন্তু এই ঘটনা আমাদের দেশে প্রায় ঘটেই না। তাই আমার চোখে লেগেছে। মেরি নামের একজন মহিলা আমার ওষুধ কোম্পানিতে আসার পর থেকেই আমাকে যথেষ্ট সাহায্য সহযোগিতা করেছে। বেশ মায়াময় একজন নারী। ও আমাকে ধরে নিয়ে গেছে স্টোরে একটা কাজে। কোন জায়গা থেকে জানি একটা মাকড়শা বের হয়ে আসল। মেরি বিন্দুমাত্র দ্বিধা না করে দুম করে মেরে ফেলল! সাদেক, স্পাইডার! আমি অবাক হলাম। অনেকেই হয়ত বুঝতেছেন না কেন আমি অবাক। 
    বাংলাদেশের মানুষ মাকড়শা মারে না। পারতপক্ষে না। একটা গল্প চালু আছে। সত্য মিথ্যা জানি না। রসূল যখন হিজরত করে তখন একটা গুহায় কিছুক্ষণ লুকিয়ে থাকতে বাধ্য হওন। ওই গুহার মুখে উনাকে খুঁজেতে খুঁজতে শত্রুপক্ষ এসে পরে। এসে দেখে গুহা মুখ মাকড়শার জাল দিয়ে পূর্ণ। ওরা ধরে নেয় ভিতরে কেউ ন নাই। তাই ভিতরে ঢুকে আর দেখে না। আল্লার ইচ্ছায় মাকড়শা দ্রুত জাল বানিয়ে রসূলকে বাঁচিয়ে ছিল। তাই আমাদের দেশে মাকড়শাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয় কিন্তু কদাচিতই মারা হয়। আমি এমন ঘটনা এত কম দেখছি যে আমার চোখ ছানাবড়া হয়ে গেছিল। মেরি আমাকে বারবার ডাকতে ছিল, আমি স্পাইডার দেখে ভয় পাইছি কি না জিজ্ঞাস করতেছিল। বললাম, না, মাকড়শা দেখে ভয় পাই নাই তবে তোমাকে দেখে একটু পাইছি! যাই হোক, একজনকে দিয়ে কিছুই বিচার হয় না। তবে এখানে কেউ মাকড়শাকে পবিত্র কিছু মনে করবে এমন কোন সম্ভাবনাও নাই। 

    সংস্কৃতি বড় ধাক্কা দিয়েছে আমাদেরকে বাথরুমে। একে বাংলার মানুষ প্যানে বসে বাথরুম সারতে অভ্যস্ত। এখানে বসেতে হয় কমোডে তার উপরে এখানে নাই পানি! গলা ছেড়ে কান্নাকাটি করার দশা সবার। বাঙাল নিজস্ব বুদ্ধি বের করে নিয়েছে। দুই পা তুলে কমোডে বসে, বোতলে পানি নিয়ে যায়!  মুশকিল হচ্ছে প্রকৃতির ডাক সব সময় নিজ আঙ্গিনায় আসে না! তখন পরে বিপদে। আরেক বিপদে হচ্ছে যারা অভ্যস্ত তাদের। একজন পা তুলে সিট নষ্ট করে গেছে, এখন উপায়? যখন গন রুমে ছিলাম তখন দৈনিক সকালে লাগত ক্যাচাল। পারিবারিক শিক্ষা নাই, গণ্ডমূর্খ, গ্রামের অশিক্ষিত সব এসে হাজির হয়েছে রোমানিয়ায়! গালিগালাজের ভাষা হচ্ছে এগুলা। 

    কমোডে অভ্যস্ত হলেও পানি ছাড়া আমি তো অভ্যস্ত না। আমি সব সময় রুম থেকেই কাজকাম শেষ করে বের হওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু ওই যে বললাম কখন কোথায়… বিপদ যখন আসল তখন সাথে সাথেই মনে পড়ল আমার আমেরিকান প্রবাসী বন্ধুর কথা। ও আমাকে বলছিল কীভাবে ও এই পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিল। ও আমাকে বুদ্ধি দিয়েছিল যে টয়লেটে ঢুকার আগে বেসিন থেকে টিস্যু ভিজিয়ে সঙ্গে রাখতে। এতে পানির মত না হলেও মানসিক একটা তৃপ্তি পাওয়া যায়। ঘটনা সত্য। আমি ব্যবহারে ফল পেয়েছি! 

    এখানের সংস্কৃতির সুন্দর দিক হচ্ছে অচেনা মানুষও সুন্দর করে নড করে, হাসি মুখে হ্যালো বলে। আরও সুন্দর হচ্ছে এখানকার মানুষ ফুল কিনে। কেন কিনে এইটা তারাই জানে। হয়ত স্বামী বা স্ত্রীর জন্য, বন্ধু বা বান্ধবীর। অকারণেই ফুল কেনা আমাদের সংস্কৃতিতে কোনকালে থাকলেও থাকতে পারে। আমি অন্তত কোন উপলক্ষ ছাড়া কাওকে ফুল কিনতে দেখিনি। আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি ফুল বিক্রি হয় ভালবাসা দিবসে, স্বাধীনতা, বিজয় আর শহীদ দিবসে। বাকি সময়  ফুল বিক্রেতারা ফুল বেচে বিয়ে উপলক্ষে, গায়ে হলুদ, বাসর ঘর, বরের বসার মঞ্চ, গেট ইত্যাদি! আর ব্যক্তিগত উপলক্ষ, জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকী ইত্যাদি। হেঁটে যেতে যেতে সুন্দর এক তোড়া ফুল যদি বাংলাদেশের কোন পুরুষ স্ত্রীর জন্য কিনে বাড়ি ফিরে, কী হবে? কী জানি! আমি এগুলার কী বুঝি? আমি কিছু জানি না… 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৭ মে ২০২৩ | ৭৯৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ১৭ মে ২০২৩ ২২:১৬519856
  • এবাবা ঘরের মধ্যে আরশোলা মাকড়শা দেখলে আমিও মেরে ফেলি।  বারান্দায় থাকলে থাকুক। আগে টিকটিকিও মারতাম। 
     
    এই জল ছাড়া বাইরে কোথাও যেতে হলে কী কিরা যায় নিয়ে হিমুর ( হাঁটুপানির জলদস্যু নিক)  একটা দুর্দান্ত ব্লগ ছিল সামহোয়ারইনে। মনে পড়ে গেল। 
  • | ১৭ মে ২০২৩ ২২:১৭519857
  • আর ওই দুজনের চাকরি যাওয়াটা একদম ঠিক হয়েছে। সাথে জেল বা জরিমানা হলে আরো ভাল হত। লুইচ্চা বদমাশ। 
  • kk | 2601:14a:502:e060:1bae:28f4:a50b:49e7 | ১৭ মে ২০২৩ ২৩:০৬519859
  • খুব ভালো লাগছে। একটা নতুন দেশের সাথে পরিচয় হচ্ছে। আর আপনার লেখার স্টাইল অনবদ্য!

    আমি পোকা মাকড় অসম্ভব ভয় পাই, ফোবিয়া আছে। কিন্তু মারতে পারিনা। জানলা দরজা খুলে হুশহ্যাশ করে ভাগানোর চেষ্টা করি। কিছুতেই কাজ না হলে কোনো রকমে একটা প্লাস্টিকের ব্যাগ হাতে গলিয়ে, চোখের কোণা অল্প একটু ফাঁক করে তাদের তুলে ব্যাগ সমেত বাইরে ফেলে দিয়ে আসি। তারপর আধ ঘন্টা সময় লাগে প্যালপিটেশন কমতে! আগে পুলের জল থেকে জালতি দিয়ে মৌমাছিও তুলে ঘাসের ওপরে ছেড়ে দিতাম। এখন ঐ বাড়িতে আর থাকিনা। মৌমাছিদের কেউ তুলছে কিনা কে জানে?
  • aranya | 2601:84:4600:5410:f044:1652:513f:5791 | ১৭ মে ২০২৩ ২৩:৩১519860
  • শরীফ, ময়েস্ট টিস্যু পেপার কিনতে পাওয়া যায় ? দোকানে খুঁজে দেখ, ভাল লাগবে ব্যবহার করে  ​
     
    আমার বাড়ির ​​​​​​​পাশে ​​​​​​​একটা ​​​​​​​জঙ্গল ​​​​​​​থাকায়, ​​​​​​​পোকা ​​​​​​​মাকড়, ​​​​​​​বিবিধ মাকড়সা ​​​​​​​প্রায়ই ​​​​​​​ঢুকে ​​​​​​​পড়ে। ​​​​​​​সেগুলো ​​​​​​​ধরে ​​​​​​​আবার ​​​​​​​বাইরে ​​​​​​​ছেড়ে ​​​​​​​দি, ​​​​​​​যতটা ​​​​​​​পারা ​​​​​​​যায়। ​​​​​​​আমার ​​​​​​​দেখাদেখি ​​​​​​​মেয়েও এই ​​​​​​​অভ্যাস ​​​​​​​টা ​​​​​​​পেয়েছে। 
     
    প্রাণী ​​​​​​​হত্যার ​​​​​​​চেয়ে ​​​​​​​বাঁচাতে ভাল লাগে । ​​​​​​​তবে ধর্মীয় কারণে ​​​​​​​মাকড়সা ​​​​​​​বা ​​​​​​​অন্য ​​​​​​​প্রাণী ​​​​​​​বধ ​​​​​​​থেকে ​​​​​​​বিরত ​​​​​​​থাকা - এর ​​​​​​​চেয়ে হত্যা ​​​​​​​ব্যাপার-টাই ​​​​​​​খারাপ, ​​​​​​​এই ​​​​​​​রকম ​​​​​​​কারণ থাকলে ​​​​​​​ভাল 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:f044:1652:513f:5791 | ১৭ মে ২০২৩ ২৩:৩২519861
  • কেকে-র সাথে একমত। শরীফের লেখার স্টাইল জাস্ট টু গুড 
  • Muhammad Sadequzzaman Sharif | ১৮ মে ২০২৩ ০১:৫০519862
  • অরণ্য দা, আমাদের দেশে এই মিথের কারণে মারে না, এইটাই বললাম। অন্য কিছু যদি মেরি মারত তাহলে আমার কাছে হয়ত নিষ্ঠুর লাগত। কিন্তু এইটা আমার কাছে ধাক্কা লেগেছে। আমি নিজে পোকামাকড় মারামারির মধ্যে নাই। ওইদিন আমার রুমের সামনে একটা ছোট্ট বাগান ছিল। শুনলাম পরেরদিন ওইটা পরিষ্কার হবে। আমি একটু হেঁটে দেখলাম বাগানটা। দেখি চার পাঁচটা শামুক। আমার মনে হল কালকে যখন পরিষ্কার করবে তখন এই শামুক গুলাকে পিষে মেরে ফেলবে। আমি সব গুলাকে তুলে দূরে একটা জঙ্গলের মত আছে, ওইখানে ছেড়ে দিয়ে আসছি। সাপচ্যাল্লা চিনেন দাদা? তেঁতুল বিছে বলে হয়ত ওইদিকে। এই একটা জিনিস দেখলেই আমার মায়া মমতা চলে যায়। চরম ভুগান ভুগিয়েছিল আমাকে এই জিনিস। এরপরে দেখলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ি আমি! 
    ধন্যবাদ দ, কেকে। 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:59e8:bcd0:d1f4:7dc6 | ১৮ মে ২০২৩ ০২:০৮519863
  • 'আমার মনে হল কালকে যখন পরিষ্কার করবে তখন এই শামুক গুলাকে পিষে মেরে ফেলবে। আমি সব গুলাকে তুলে দূরে একটা জঙ্গলের মত আছে, ওইখানে ছেড়ে দিয়ে আসছি'
    - ভাল লাগল 
  • হীরেন সিংহরায় | ১৮ মে ২০২৩ ০৭:৫২519864
  • সাদেক 
     
    আপনার দেখার চোখ লেখার ভাষা অনবদ্য। এত বছর ইউরোপে থেকেও হয়তো লক্ষ্য করি নি যেমনটা আপনার চোখ দিয়ে দেখছি। গিরজের সামনে ক্রস করাটা অরথোডকসের চলতি প্রথা। আরো পশ্চিমে এলে প্রায় অমিল। চারচ অফ ইংল্যান্ডে তো একেবারেই! রোমানিয়াতে রবিবার বা যে কোন উৎসবে গিরজে ভর্তি বাইরে জনতা দাঁডিয়ে! আজ কথা বলি আপনার সময় হলে?
  • guru | 115.187.51.111 | ১৮ মে ২০২৩ ১৫:২৬519876
  • অসাধারণ লিখছেন সাদেক ভাই | আপনার সহজভাবে নিজের কথাকে প্রকাশ করার আর মানুষকে দেখার চোখ সত্যি অসাধারণ |
  • কালনিমে | 103.244.242.176 | ২৭ মে ২০২৩ ১৮:৫৯520071
  • কাল বেশ একটা interesting ব্যাপার হল। আজকাল আমি পোকা মাকড়ও না মারার পক্ষে - মশা মাছি আরশোলা ছাড়া - মৌমাছি বোলতা - এদেরকেও না মেরে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করি - এমনিতেও ওদেরও গাছপালা  সব কমছে। যা হোক - হালকা বৃষ্টি আর ঠান্ডা হাওয়ায় কোথা থেকে এক ঝিঁঝি মানে cricket এসে হাজির - কিন্তু আর বেরনোর পথ খুঁজে পাচ্ছেনা। আমি দরজাটা অল্প খুলে দিলাম। একটু বাদে হঠাৎ একটা শব্দ পেয়ে দেখি একটা পেটমোটা টিকটিকি মুখে করে নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন