এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  খ্যাঁটন  হেঁশেলে হুঁশিয়ার  খাই দাই ঘুরি ফিরি

  • ডিডি-র কিচাইন - সীজন টু - ১

    ডিডি
    খ্যাঁটন | হেঁশেলে হুঁশিয়ার | ০২ মার্চ ২০২৩ | ১৩৫৮ বার পঠিত | রেটিং ৪.৬ (৫ জন)
  • ডিডি-র কিচাইন আবার শুরু হল... এবারের পদ - বিরিয়ানি। আগের সিজন পড়তে এইখানে ক্লিক করতে হবে


    আচ্ছা বলুন তো, হ্যাঁ হ্যাঁ, এটা বলুন তো, কোন সবজেক্টে ব্যাবাক মানুষে, মানে ভারত তথা বাংলা তথা গুরুচন্ডালীর সব্বাই, যাকে বলে একেবারে হুলিয়ে পন্ডিত? মানে যাকে বলে প্রাজ্ঞ?

    না, না, ফুটবল নয়, পোলিটিক্স নয়, সাহিত্য বা ক্যালকুলাসও নয়। আসলে সবাই যে ব্যাপারে মতামতে ভর্পুর এবং অভিজ্ঞতায় উপছে পড়েন সেটা হচ্ছে বিরিয়ানি।

    একবার হাটে হাঁড়ি ভেঙেই দেখুন না, ঘটি বাঙাল, বাসী, প্রবাসী বা অ্যান্টিবাসী, তরুন বা বুড়োটে, সব সব রকমের জেন্ডার - মানে সকলেই তাদের অফুরন্ত অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান ভান্ডার নিয়ে হাজির হবেন। তক্কো জুরে দিবেন, কোনটি খাঁটি আর কোনটি বর্ণ সংকর দুষ্ট, কে অথেন্টিক, কে নকল নবীস। শেষ কথা কে কবে?

    এতো খুঁটি নাটি থেকে বিপুল তফাৎ। একটি পুর্ণাংগ বিরিয়ানিকোষ লিখলে (সোনার অক্ষরে ছাপা নাম, ডবোল ডিমাই, অক্টাভো) তো সেটা সাইজে এনসাইক্লোপেডিয়া ব্রিটানিকাকেও ছাড়িয়ে যাবে।।

    প্রায় তিন দশক হল দক্ষিণ ভারতে প্রবাসী - সেই আদি যুগে যখন কলকাতায় ছিলাম তখন বিরিয়ানি পাওয়া যেতো শুধু মুসলমান পাড়ায়। "দাদা বৌদি" বা "পিসী ভাইপো" বিরিয়ানি গোছের নাম শুনলে লোকে তওবা তওবা করতো। মুর্গী বা মাটন ছাড়া অন্য কোনো বিরিয়ানির খোঁজ' ও জানতাম না। দক্ষিণ ভারতের বিরিয়ানি? শুনলে অবাক হয়ে যেতাম। ম্যাড্রাসীরা তো পিওর ভেজ খায়। ইডলি, ধোসা.... এইসব। মাটন চিকেনের মর্মকথা ওরা আর কী জানবে? আরে, খাস কলকাতায় হিন্দু পাড়াতেও পাওয়া যেতো না সহজে। সাহেব পাড়াতে গিয়ে তো শুধু চপ কাটলেট পুটিং বা নিতান্ত চ্যাং ব্যাং পাওয়া যেতো। মাল্টি কুজিন তখনো জেঁকে বসে নি। বিরিয়ানি খেতে হলে ঐ একটা দুটোই রেস্তোরা ছিল। অ্যাম্বার যেরকম।

    তখন কুল্লে বিশ্বায়নের শুরু - লোকে প্রথমে একজন দু’জন - পরে ঝাঁকে ঝাঁকে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়বে কয়েক বছরের মধ্যেই। বাইরের দুনিয়াটা আস্তে আস্তে প্রকাশ্য হচ্ছে।

    ব্যাঙ্গালোরে এসে বিরিয়ানির রমরমা দেখে তো পুরো অবাক হলাম। এবং যেরকম আশঙ্কা করেছিলাম, কারিপাতা লাঞ্ছিত, তেঁতুলে উজ্জীবিত - না মোটেই সেরকম নয়। আদৌ নয়। তবে টমেটো একটু বেশিই থাকে আর যেটা অদ্ভুতুড়ে- সেটা হচ্ছে বিরিয়ানির সাথে সাইড ডিশ হিসেবে একটা বিদিকিশ্রি বেগুনের ঝোল দেয়। একটি নিটোল সেদ্দো ডিমও বিরিয়ানির কোলে। কলকাতায় এটা দেখি নি। আরো একটা ব্যাপারও বিস্ময়কর ছিল - বেশ কয়েকটি বিরিয়ানির দোকান রাত দেড়টা দুটো এমন কি সারা রাতও খোলা থাকতো। অথচ সে সময়কার ব্যাঙ্গালোর বেশ অলস শহর ছিল। পাড়ার দোকানগুলো খুলতেই খুলতেই দশটা সাড়ে দশটা বাজাতো। হপ্তায় একদিন বন্ধ থাকতো। রাত্রেও নটা সাড়ে নটায় সব শুনশান। আর সেখানেই মাঝে মধ্যেই "সারা রাত্রি ব্যাপি বিরিয়ানি উৎসব" ও চলতো।। কোল্কাতায় এমনটা দেখিনি। রাত বিরেতে বিরিয়ানি খাবার সখ চাগবেই বা কেনো? কারা খায়?

    সে রহস্য জানি না। তবে আরো একটা অদ্ভুত ব্যাপার আছে - কিছু বিরিয়ানির দোকান একবারই খোলে। সেটা ভোর রাতে - এই ধরুন চারটে কি পাঁচটা নাগাদ; ছটা নাগাদ স্টক ফুরিয়ে যায় - আর তারাও ঝাঁপ বন্ধ করে সারাদিনের জন্য। সব থেকে নামকরা এই ধরনের "ভোরের বিরিয়ানি" দোকানটি হসকোটেতে - মানে শহর থেকে প্রায় কুরি কিলোমিটার দূরে। রাত তিনটে/চারটে থেকেই লাইন লেগে যায়। রাতজাগা লোকে ধোঁয়াওঠা বিরিয়ানি খেয়ে বাড়ি ফিরে আসে।

    আর বোলবো কি? ফেসবুক ঘেঁটে দেখুন না, Bangalore Biriyani Club গ্রুপের ছেষট্টি হাজার সদস্য। মাঝে মধ্যেই Biriyani walkও হয়। নিত্য আলোচোনায় রমরম। আর কোথাও আছে না কি এরকম বিরিয়ানি গ্রুপ? সেখানেই এক প্রাজ্ঞ মানুষ জানালেন যে প্রেয়াক্টিকালি প্রতি ৫০ কিলোমিটার হাঁটলেই বিরিয়ানির স্বাদ বদলে যায়। আরে, সে তো হবেই। চিৎপুরে রয়াল থেকে এসপ্লানাডের নিজাম থেকে পার্ক সার্কাসের গোল্ডেন সিরাজ- হাঁটতে হাঁটতেই টেস্ট বদলে যায়।

    এক মিনিট - আমার কলকাতার অভিজ্ঞতা কিন্তু তিন দশক আগের তাই এখন যে কলকাতায় শয়ে শয়ে নতুন দোকান হয়েছে সেসবের ততো খবর রাখি না। পুরোনো দোকানগুলোও হয়তো নাম বদলে অন্য কিছু হয়ে গেছে।

    দাঁড়ান, যাঁরা আমাকে অলরেডী হাড়ে হাড়ে চেনেন, তাদের কথা আলাদা। বাকীরা জানবেন আমি এক নির্ভীক, সত্যবাদী নিপাট ভালোমানুষ মাত্র। দোষের মধ্যে বড্ডো বেশি বিনয়ী ও নিরহংকারী। এটা কেনো লিখলাম? কেনো কী (মানে as because) আমার খেতে ভালো লাগলেই সেটা ভালো লাগে। ব্যাস,ব্যাস। সেটা বিশুদ্ধ বিরিয়ানী কি না, জজে মানবে কি না, পাণিনি কী বলবেন - এইসব কূট তর্কে আমি যেতে চাই না। পড়ে টড়ে নাক কুঁচকে বলবেন কিন্তু ওটি কি শাস্ত্রসম্মত বিরিয়ানী? সে আমি জানিও না, মানি ও না। ভালো লাগলেই মোক্ষলাভ, না হলে নয়। সে যতোই ঐতিহ্যশালী হোক না কেনো।

    খাঁটি বিরিয়ানিতে তো, এমনকি চিকেনও থাকার কথা নয়। আর এখন দেখুন হুলিয়ে বিক্কিরি হচ্ছে ফিস, প্রণ, মাশরুম এমনকি কাঁঠালের বিরিয়ানিও। দাপুটে নির্লজ্জতায় ঢাক পিটিয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েই বিক্রি হচ্ছে। তো আপনাদের না পোষালে এগুলোকে বিরিয়ানি বলবেন না। বেশ। বাজে লাগলে কুমড়োপটাশ বলুন, ভালো লাগলে প্রাণেশ্বর। বয়ে গেছে।

    তবে কর্ণাটকের বিরিয়ানির তেমন নাম ডাক নেই। দু-একটা লোকাল ভ্যারাইটি তো আছেই, যেমন ডন্নে বিরিয়ানি (শালপাতার ডোঙায় পরিবেষণ করে - সেই জন্যেই ঐ নাম। ডন্নে মানে শালপাতা)। আরেকটা হচ্ছে বিয়ারি (Beary) বিরিয়ানি - গুচ্ছের কাঁচালংকা আর নারকেল দিয়ে রাঁধা হয়। ঝালের ভয়ে কখনো খাই নি যদিও। তবে সেই ভাবে কোনো স্থানীয় ডাকসাইটে ভ্যারাইটি নেই।

    কর্ম সূত্রে চেন্নাইতেই বছর তিনেক ছিলেম। ট্যুরে বা বেড়াতে তো বহু বহুবার, কিন্তু গ্যাঁট হয়ে না থাকলে, মানে না বসবাস করলে ঘাঁতঘোত ঠিক মালুম হয় না। ওখানেও বিরিয়ানি দারুন জমজমাট। বহু স্বনামধন্য লোকাল বিরিয়ানি আছে,আম্বুর, ডিন্ডিগুল, চেট্টিনাদ .... ও আরো বেশ কয়েকটা। পুরো দক্ষিণেই বিরিয়ানিতে সচরাচর লম্বা দানার বাসমতী চাল দেয় না। ছোট্টো খুদে চাল (সীরগা সাম্বা রাইস) , কখনো জিরা রাইস (আমাদের গোবিন্দভোগ চালের মতন, তবে অতো সুগন্ধী নয়)। আর মাংসের পিস- কলকাতার সাবেক বিরিয়ানির মতন ঢামসা এবং একটাই পিস নয়। ছোটো করে কাটা অনেকগুলো থাকে।

    শেষ করি (সেসময়ের) অন্ধ্র দিয়ে। হাইদ্রাবাদ শহরের প্যারাডাইস তো ভুবন বিখ্যাত। তবে কসমোপলিটান স্বাদ মেনে মোটামুটি কম ঝালের। চাকুরীসূত্রে ছিলাম বছর খানেক। তাই ছোটো শহরের বিরিয়ানিও খেয়েছি প্রচুর- মানে খেতে বাধ্য হয়েছি। বাপরে বাপ। সে যা ঝাল। খাওয়া তো দূরস্থান- প্রাণ নিয়ে ফিরলেই যথেষ্ট।

    প্যারাডাইস কিন্তু বিরিয়ানি রসিকেরা ছোঁবেন ও না - তা জনপ্রিয় কোনো কিছুই তাঁদের ভালো লাগে না। এমন কি শারুখ খানকেও না। আশ্চর্য্য ! ভাবুন - চার না পাঁচতলা বাড়ি - একই সাথে হাজার দুয়েক লোক খেতে পারে এবং নিয়মিত খায়ও পাত পেড়ে। একটা ডেলিভারি পয়েন্ট খুলেছে এয়ারপোর্ট যাওয়ার পথে। খুবই স্ট্রয়াটেজিক - লোকে গাড়ী থেকে নেমে কয়েক মিনিটের মধ্যেই অর্ডারী খাবার পেয়ে যাবেন- এবং দারুন প্যাকিং'এ।

    আমার লাইফের বেস্ট বিরিয়ানি?

    ব্যাঙ্গালুরুর এক বিয়ে বাড়িতে- অবশ্যই খানদানী মুসলিম। ঐ রাঁধুনে শুধুমাত্র বিরিয়ানিই রাঁধেন অ্যান্ড নাথিং এল্স এবং তার জাঁকজমকও চমৎকার। রহস্য শুধুই তার গোপন মসল্লায় নয় (না কি ষাঠ সত্তর রকমের উপাদানে তৈরি), যেটা গেম চেঞ্জার সেটি হছে দুম্বা খাসী। এদের নিতম্বটি চর্বিতে ভরপুর আর দামও সাধারণ খাসীর প্রায় তিনগুন, কখনো আরো বেশি।

    যাগ্গে, নানান কিসিমের বিরিয়ানি কম তো খেলাম না- কিন্তু এখনো মনটা হু হু করে। সেই কলকাতার বিরিয়ানি খেয়ে বড়ো হলাম। মনে মনে বলি "আমি বাংলায় কথা কই, গাই বাংলার গান, খাই খাই করি বাংলায় বসে বিহারীর বিরিয়ানি"। ঢাকা খুললেই সেই গোলাব জলের সুঘ্রাণ, এক রসভরা মাংসের স্বাস্থ্যবান পিস, সুদীর্ঘ বাসমতির ব্যাক্তিত্বময় নিজস্বতা ও স্বর্ণাভ দ্যুতি, মশলার মৃদু সুবাস আর আলু ? এক নিটোল উপস্থিতি- যেনো পথভোলা এক মাখনের দলা।

    তাও শেষ করি এক ট্র্যাজিক অভিজ্ঞতা দিয়ে।

    ব্যাঙ্গালোরে দিব্বি কোলকাতার বিরিয়ানি পাওয়া যায়। নিজাম, লাজীজ, আর্সেনালের ব্রান্চ আছে। এ ভিন্ন নানান বিরিয়ানির দোকান বা ক্লাউড কিচেনে "কোলকাতার বিরিয়ানি" পাওয়া যায়। তো, সেরকমই একদিন "ক্যালকাটা বিরিয়ানি" এনে খাওয়ালাম আমার মেয়ের বন্ধুকে। সে মালয়ালী তরুণ এবং খুবই লেফট লিবেরাল। অবশ্যই দাড়ি আছে , টাট্টূ আছে আর কানে দুলও পরে।

    দু এক চামচ বিরিয়ানি মুখে দিয়েই সে তো আর্ত্তনাদ করে ওঠে। "ঈক্কি,ঈক্কি? বিরিয়ানি কই? এ তো একটা হলদেটে ভাতে এক পীস সেদ্দো মাংসো দিয়েছে"। তার অনুযোগ শেষই হয় না, "মশল্লা নেই, ঝাল নেই। আবার ঐ দ্যাখো, একটা আখাম্বা হোঁত্কা আলুও দেছে। ইইঃ, কীরম আবার ভুরভুরিয়ে গন্ধো বেরোচ্ছে দ্যাখো যেন গোলাপ বাগানে হাঁটতে বেরিয়েছি। হিপোক্রিট"। রাগে, ক্ষোভে তার চোখ দিয়ে জল বেরিয়ে আসে।

    আমরাও খুব অনুতপ্ত বোধ করি। পরিতাপে দগ্ধ হই। মুখ ফুটে বলতেও পারি না, বছর দশেক আগে কোভালামের নাম করা হোটেলে অথেন্টিক মালাবারী বিরিয়নি মুখে দিয়েই আঁৎকে উঠেছিলাম।। নারকেল তেলের গন্ধে ভরপুর- খাচ্ছি না স্নান করছি? এটা ডাইনিং হল না বাথরুম? সেই থেকে আর কখনোই কেরলের বিরিয়ানি খাওয়ার চেষ্টাও করি নি।

    তাই, ঐ যে কইলাম- পসন্দ আপনার নিজের নিজের। ব্যাকরণ মেনে কি আর খাওয়া এনজয় করা যায়?


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • খ্যাঁটন | ০২ মার্চ ২০২৩ | ১৩৫৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ০২ মার্চ ২০২৩ ২২:২৮516902
  • জিয়োঃ ডিডি laughlaughlaugh
  • dc | 2a02:26f7:d6d0:680d:0:c25b:83b3:86b1 | ০২ মার্চ ২০২৩ ২৩:১৫516904
  • আরে ডিডিদা কতো দিন পরে! অসাধারন! 
  • lcm | ০২ মার্চ ২০২৩ ২৩:২৬516906
  • ওহ! ডিডিদা! 
    একবার এক ঘরোয়া জমায়েতে রাইস কুকারে তৈরি হল ঝুরঝুরে সরু বাসমতী চালের ভাত, আর তাতে দেড় দিনের বাসি আলু মাংসের শুকনো ঝোল গরম করে মাখিয়ে দেওয়া হল, ট্রেতে সাজিয়ে ওপরে শুকনো লালচে পেঁয়াজ ভাজা, শোভাবর্ধনের জন্য দুটো শুভ্র সেদ্ধ ডিম গুঁজে দেওয়া হল  ... সে জিনিস খেয়ে লোকজনের কি হুলিয়ে প্রশংসা, কে বানিয়েছে, এত ভালো বিরিয়ানি, কাঁপাকাঁপি হয়েছে ....
  • kk | 2601:14a:500:e780:8941:bf16:5c64:d423 | ০২ মার্চ ২০২৩ ২৩:৪৬516907
  • বাঃ, এই তো সীজন টু শুরু হয়েছে! খুব ভালো হলো।
  • ইন্দ্রাণী | ০৩ মার্চ ২০২৩ ০০:৩২516911
  • কতদিন পরে ডিডি। দেখেই আনব্দ হল এত-
  • Amit | 121.200.237.26 | ০৩ মার্চ ২০২৩ ০২:৫২516914
  • ডিডি দা যথারীতি অসাধারণ। 
     
    আর বিরিয়ানি তো মোক্ষের কাছাকাছি বা আরো বেশি কিছু। মুজতবা সাহেব ই যদ্দুর মনে হয় লিখেছিলেন স্বর্গে বিরিয়ানি পাওয়া না গেলে গিয়ে কোনো লাভ নেই - বা এরকমই কিছু  একটা ? 
  • &/ | 151.141.84.152 | ০৩ মার্চ ২০২৩ ০৪:২১516915
  • ইলিশ। মুজতবা আলি ইলিশের কথা বলেছিলেন। (বিরিয়ানি জিনিসটা রবীন্দ্রনাথের আমলে সর্বসাধারণ বাঙালির মধ্যে ততটা ছড়িয়ে পড়েছিল কি? রবীন্দ্রনাথে দূরের কথা, আমি তো এমনকি ১৯৮৫ কি ১৯৮৬ সালেও তেমন শুনিনি। এক বন্ধুনির মা বন্ধুনির জন্মদিনে চিকেন বিরিয়ানি নিজে রেঁধে খাওয়ালেন বলে তবু জিনিসটা চেনা হয়েছিল। ২০০০ এর পরে দ্যাখ দ্যাখ করতে করতে জনপ্রিয় হয়ে গেল মনে হয়।)
  • Amit | 121.200.237.26 | ০৩ মার্চ ২০২৩ ০৫:১২516917
  • ও হ্যা- ইলিশ। সে বলে গিয়ে পেটুক দের কাছে ইলিশ হোক কি বিরিয়ানি - দেখলেই এক্কেরে নালে ঝোলে হয়ে যায়। ব্রম্ম সত্যি -জগৎ মিথ্যা ফিলিং আসে। 
     
    এতো অচেনা ছিল কি ? আমি যদিও মধ্য কলকাতায় থাকার সুবাদে গোঁফ গজানোর কাল থেকেই পার্ক সার্কাসে র হোটেল গুলো বা নিউ মার্কেটে নিজাম / আমিনিয়ায় ঢুঁ মেরে আসতুম। একটা বড়ো কারণ ছিল যে ওতো সস্তায় তখন অন্য কোথাও ওরম স্বাদের খাবার মেলা অসম্ভব।  ৯০-স এ নিজাম এর কাটি রোল খেতাম ৫-৬ টাকায়। বিরিয়ানি হয়তো ৩০-৪০ টাকা প্লেট ছিল। একটাতে দুজনে শেয়ার করা যেত তেমন খাইয়ে না হলে। 
  • শিবাংশু | ০৫ মার্চ ২০২৩ ২১:২৯517017
  • পরেরবার গেলে ডিডি'কে সঙ্গে নিয়ে যাবো ( বিরিয়ানি শিকারে ),
    অবশ্যই একাকী যাবো না অসময়ে  ....
  • ইলিশ বিরিয়ানি | 136.226.50.105 | ০৬ মার্চ ২০২৩ ২১:০৪517048
  • মাছের বিরিয়ানি হয়? যেমতি, ইলিশ বিরিয়ানি? 
  • dd | 49.207.234.44 | ০৭ মার্চ ২০২৩ ০৭:৪৬517077
  • হুলিয়ে হয়।
    সীজন কালে ইলিশের বিরিয়নি বেশ কমন। 
    ইউ টিউবে তো ইলিশ বিরিয়নির রেসিপির ছড়াছড়ি। 

    হায়!  এই দুনিয়ায় বিশুদ্ধ আর কীছুই রইলো না
  • dc | 2401:4900:2609:3885:f092:6343:13fb:3c94 | ০৭ মার্চ ২০২৩ ০৭:৫৭517078
  • মাছের বিরিয়ানি আমিও খেয়েছি, বেকালের একটা হোটেলে। ভারি ভালো খেতে ছিল :-)
  • PM | 118.179.158.5 | ০৭ মার্চ ২০২৩ ১২:০৫517082
  • সৌদি আর দুবাই এর বিরিয়ানির কিন্তু টেস্ট অন্য্।  খাবার প্রসেস ও  আলাদা।  সৌদিতে একটা বড় কাগজে বা কাপড়ে ঢালা হয় সকালের জন্য। সেখান থেকে প্লেটে নিয়ে সকালে একসাথে খায় 
     
    এখন ঢাকার বিরিয়ানি খাবার চেষ্টা করি ।  ঢাকার  বিরিয়ানী দুই প্রকার পুরানো ঢাকার অল্প মসলার হাজি বিরিয়ানি আর  নতুন ব্র্যান্ড এর মারাত্মক মসলাদার বিরিয়ানি। 
     
    তবে লাখনৌ বিরিয়ানি আর সেই ঘরানার ডেরিভেটিভ কলকাতার বিরিয়ানি ই সেরা 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:7061:89c9:4ca4:edec | ০৮ মার্চ ২০২৩ ০৮:২২517106
  • দারুণ লেখা। খুব ভাল লাগল আবার ডিডি দা র দেখা পেয়ে 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে প্রতিক্রিয়া দিন