এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • ভাঙা চশমার কাঁচ (গল্প)

    দীপালোক ভট্টাচার্য লেখকের গ্রাহক হোন
    ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৫৯৫ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • অ্যাম্বুলেন্সের তীব্র শব্দটা বদলে গেল মাইকের চটুল ভোজপুরি গানে। সাথে কেমন একটা ঘোর লাগা অনুভূতি। আসন্নপ্রসবা স্ত্রী-র আর্ত চিৎকার, সদর হাসপাতাল থেকে রেফার হয়ে মেডিকেল কলেজের দিকে ধাবমান অ্যাম্বুলেন্স – সব কিছুই কী তাহলে স্বপ্ন ছিল? গতকাল রাতের হাসপাতালের ঘণ্টা কয়েক হুজ্জুতি, ভাঙচুর, ডাক্তারের কলার ধরে কষিয়ে থাপ্পড়, এমার্জেন্সির টেবিল চেয়ার ভাঙচুর এসবের ঠিক পর দিন কী করে আবার স্বপ্নে আসে সেই হাসপাতাল, ডাক্তার এসব? বিছানার ওপর থম মেরে বসে প্যাকনা।

    আদুল গায়ের সাথে লেগে থাকা তেল চিটচিটে বিছানার চাদর ঘামে ভিজে সপসপ করছে। নিজের ঘেমো গন্ধে ঘরের বাতাস ভারী হয়ে আসে। গা গুলিয়ে ওঠে প্যাকনার। একটা চোঁয়া ঢেঁকুর ওঠে। ছাট মুরগীর চাট আর দেশী মদের যুগলবন্দী আঁশটে গন্ধে নাভি থেকে একটা ওয়াক ওঠে। চৌকির পাশের ছোট্ট জানালাটা খুলে যেই থুথু ফেলতে যাবে, জানালার সামনে দেখে ছেলে ছোকরাদের ভীড়।

    ‘কাল যা দিলে গুরু, পুরো হিরো মাইরি’, পটাশ গুটকা চিবাতে চিবাতে বলে, ‘এমনি কী লোকে তোমাকে নিয়ে যায় কিচাইন করতে? কিন্তু বস, হাওয়া নাকি খারাপের দিকে বুইলে? পেপারে পোসুতির মিত্তুর চেয়ে হাসপাতাল ভাঙচুরের খবরের পাল্লা ভারীর দিকে। অবশ্যি সেসব সামলানোর লোক আছে তোমার। কিন্তু কি বলে ওই সি সি টিভি না কী, ওতে কিন্তু তোমার ছবিও উঠেছে বস, একটু মেপে ঝেপে পা ফেলো বুইলে?’

    দড়াম করে জানালাটা বন্ধ করে দেয় প্যাকনা। দুটো পাল্লার ফাঁকে কি করে লেগে যায় কেনি আঙুলটা। ‘উহু’ করে ওঠে। নিজেকে নিজের কাছেই অবাক লাগে। যে এই সামান্য আঙ্গুলের ব্যাথায় কোকিয়ে উঠছে, সে যখন ক্যালাতে যায় কাউকে বা কোথাও, তখন অন্য রূপ। শরীরে হাজার হাতির বল। কোনো হুশ থাকে না। যত রাগ, ক্ষোভ, অভিমানের মত সূক্ষ্ম, স্থূল সব অনুভূতি যত কেলাসিত হয়, ততই বাড়ে ক্যালানোর মাত্রা।

    এইতো কাল বিকেল নাগাদ ফোনটা এলো। সদর হাসপাতালে নাকি পাশের পাড়ার মঙলার বউয়ের মর মর অবস্থা। ঘণ্টা কয়েক আগে সিজারে মেয়ে হয়েছে। মঙলা ফোন করে জনা কয়েক ছেলেপুলে নিয়ে যেতে বলেছে ফোনে। প্যাকনার হাতে সবসময় ছেলে রেডি। হাত নিশপিশ করা ছেলের দল। এক হাঁক দিলেই পাড়ার মোর, সাট্টা-চুল্লুর ঠেক, মায় পায়খানা থেকে এসে হাজির হবে তারা। প্যাকনা ভেবেছিল জনা দশেক নিয়ে গেলেই হবে। কিন্তু সবাই যেতে চাইছে যখন যাক, ভাবে মঙলা। সবাই জানে, বাওয়ালবাজির পর কোন ভেল্কিতে চুল্লু-চাখনার টাকা এসে হাজির হয় চোখের পলকে। শুকনো মুখে চিড়ে ভেজে না, এ কথা জানা আছে। এমনি আর সবাই প্যাকনাদা প্যাকনাদা করে না। সবাই জানে, প্যাকনার কলজের দম আছে। কিন্তু সেভাবে গুছিয়ে নিতে শেখেনি নিজেরটা। আর পাঁচজনের মত।

    হাসপাতালে পৌছাতে দেখে, গেটের সামনে মঙলা বসে আছে থম মেরে। ওদেরই অপেক্ষায়।

    ‘কী রে মঙলা, কেস কী? আগে মেয়ে হওয়ার খাওয়া চাই। তারপর কথা। আরে আছি তো আমরা, না হলে চ, মেডিকেলে নিয়ে যাই’, মঙলার ঘাড়ে হাত রেখে বলে প্যাকনা।

    ‘না রে। মনে হয় খাওয়াটা বৌয়ের শ্রাদ্ধতেই খাওয়াতে হবে’।

    নিজেকে ধরে রাখতে পারে না মঙলা। মাটিতে থেবড়ে বসে পড়ে। প্যাকনা ওকে তোলার চেষ্টা করে না। বরং ছেলেপুলেদের সাথে চোখে চোখেই কথা সেরে নেয়। সে চোখের ইশারায় ছকে ফেলা হয় হামলার নীল নকশা। দু দলে ভাগ হয়ে একদল এমারজেন্সির দিকে, আরেকদল ওয়ার্ডে, যেখানে মঙলার বউয়ের দায়িত্বে থাকা ডাক্তার আছেন। কীভাবে এমার্জেন্সির বেড উল্টে ফেলা হবে, ট্রলিগুলোকে ধাক্কা মেরে ঠুকে দেওয়া হবে দেওয়ালে, ডান্ডা দিয়ে কীভাবে টিউব লাইট ভাঙতে হবে, ডাক্তারবাবুকে কী বলে চমকানো হবে, কলার ধরে ঠিক কীভাবে হেনস্থা করা হবে। তারপর সুপারের ঘরে ঢুকে শাসানোর চিত্রনাট্য সব সময় মুখস্ত থাকে প্যাকনাদের। সংলাপে এতটুকুও ভুল হয় না। তারপর পুলিশ আসার আগে আগে কীভাবে চুপিসাড়ে কেটে পড়তে হয় ছোট গেট দিয়ে, আলাদা আলাদা ভাবে, এবং কোথায় তাদের মেগা জমায়েত হবে, সেটা সবার জানা। একচুল এদিক ওদিক হয় না কোনো সময়।

    ‘শালা যা দিয়েছি না হারামজাদাকে! এখন কালশিটে মুখ নিয়ে কী করে চেম্বার করিস দেখব,’ মুরগীর রসালো হাড় থেকে সুরুৎ করে মজ্জা চুষতে চুষতে ফোড়ন কাটে বল্টু, ‘এই প্যাকনাদা, বৌদির ক’মাস চলছে গো?’

    হঠাৎ বিষম খায় প্যাকনা। তীব্র জ্বালাময় চুল্লু শ্বাসনালী বেয়ে উপরে ওঠে। মাথা অবধি পৌছে যায় ঝাঁঝ।

    ‘ঠিক বৌদি তোমার নাম করছে। হয়ত খাবার বেড়ে তার মরদের জন্য আছে। এদিকে মরদ যে ...’, প্যাকনার পিঠ ডলতে ডলতে বলে বল্টু, ‘ছাড়ো, কিছু মনে কোরোনা কিন্তু বস। তবে বলছিলাম, এ ক’মাস একটু দেখো বৌদিকে। আর এদিকটার কাজকম্মের জন্য আমরা তো রইলাম’।

    থাপ্পড়টার জন্য তৈরী ছিল না বল্টু। হঠাৎ কী হয় মাঝে মাঝে, মাথায় আগুন জ্বলে ওঠে প্যাকনার। হিতাহিত জ্ঞান থাকে না।

    ‘শালা নিজেরটা মার গিয়ে, যা। জ্ঞান দিচ্ছে’, রাগে হাঁসফাঁস করতে থাকে প্যাকনা। উঠে দাঁড়িয়ে বল্টুর দিকে এগিয়ে যায় একটা লাথি কষাতে। একজন আটকায়। প্যাকনা এক ঝটকায় সরিয়ে বাইরে বেড়িয়ে আসে। হন হন করে হাটা লাগায় বড় ব্রীজের দিকে।

    ব্রিজের দিকটা অন্ধকার। আলোগুলো নিজেদের প্রয়োজন বুঝে পাথর মেরে ভেঙে দিয়েছিল কোন কালে প্যাকনাদের মতই কেউ একজন। আবার ভাঙবে ভেবে কেউ গা করেনি লাগানোর।

    সটান শিড়দাঁড়ার মত বড় রাস্তা চেরা আলোকশোভিত ডিভাইডার, শপিং মল, মাল্টিপ্লেক্স, ফুডকোর্টের পাশে বেমানান এই অন্ধকারে ঢাকা বড়ব্রিজ চুপ করে থাকে একলা। বেপাড়ার প্রেমিক প্রেমিকা, ডেনড্রাইটের নেশা করা এঁদো ছেলেপুলের দল, ইভিং ওয়াক করা এক দু’জন বুড়ো কিংবা প্যাকনার মত ভিড়ের মাঝেও ভীষন একলা হয়ে যাওয়া ভাঙাচোরা লোকেরা বড় ব্রিজের ওপর দিয়ে মজা নদীটার পাশ দিয়ে হেঁটে চলে আনমনে। এক সময় পা জোড়া স্থানু হয়ে যায়। বাড়ীর নড়বড়ে চৌকিটা আর কমলার চোখদুটো বড্ড টানে। বাচ্চা দুটোর মুখ মনে পড়ে।

    ‘কম্‌লা, আই কম্‌লা, কলসিটার তলায় দেখ তো ঠান্ডা জল আছে কিনা’, কেনি আঙুলটা চুষতে চুষতে বলে প্যাকনা, ‘শালা যা ব্যাথা খেলাম না আঙুলটায়’।

    ‘কোথায়? একটু তো সাবধানে চলতে পারো। আজকাল যা ঠোকা খাচ্ছো’, বারান্দার একপাশে পলিথিন দিয়ে ঘের দেওয়া রান্নাঘরের মেঝে থেকে কোনোমতে উঠতে উঠতে জবাব দেয় কমলা, ‘মনে হয় জল ফুরিয়ে গেছে। কাল সকালে এক কলসি জল আনিয়েছিলাম কদমিকে দিয়ে। হাসপাতালের ডাক্তারবাবু মানা করেছেন এ ক’মাস এসব করতে, বুঝলে? দাঁড়াও, দেখি। চাপাকল থেকে জল আনি একটু’।

    ‘আই শোন, কবে গেলি রে তুই হাসপাতাল। আমাকে বলিসনিতো কিছু’।

    ‘তোমার আর সময় কোথায়? পাশের ঘরে ভাড়া এসেছে যে বুচিরা, ওই বুচির মা নিয়ে গেছিল গেল হপ্তায়। কী ভালো ডাক্তার কী বলব। ‘মা’ বলে ডাকে। কত কিছু বুঝিয়ে দিল। দু দুটো হল এর আগে, কিচ্ছু জানতাম না, জানো? লাইনে দাঁড়িয়ে ওসুধ পেয়েছি। দাঁড়াও, তোমার জল টা নিয়ে আসি’, টুলে রাখা আয়রনের দাগ লাগা ঘড়াটা তুলে বলে কমলা।

    ‘আই কী নাম রে ডাক্তারের?’

    ‘নাম ধাম অত জানি না বাবা। একটু বয়স্ক মতন। কাঁচাপাকা গোঁফ আছে। চোখে ভারী কাঁচের চশমা’, সাবধানে চাঁপাকলের হাতলে চাপ দিতে দিতে জবাব দেয় কমলা।

    হঠাৎ আনমনা হয় প্যাকনা। এ কী বলল কমলা? কাঁচাপাকা গোঁফ। ভারী কাঁচের চশমা।

    সেই ভাঙা চশমার কাঁচের টুকরো হয়ত এখনো ছড়িয়ে আছে হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের মেঝেতে।

    -----------
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সুমন চক্রবর্তী | 2409:40e1:1069:45a3:7810:35ff:fe71:f690 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২২:৪৮528398
  • অসামান্য সুন্দর এক গল্প! গল্প বলার রীতিটিও খুব যুগোপযোগী! চরিত্রচিত্রন খুব জটিল বিষয়, দীপালোক এই বিষয়টায় ph.d করে ফেলেছেন! 
  • Anusua Barman | 2401:4900:3bf8:64bd:b2c5:94ff:f806:401d | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৫:২৭528402
  • Bastobdhormi lekha,somajer e proticchobi...Khub valo laglo..
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে প্রতিক্রিয়া দিন