এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  খ্যাঁটন  হেঁশেলে হুঁশিয়ার  খাই দাই ঘুরি ফিরি

  • ডিডি-র কিচাইন - সীজন টু - ৩

    ডিডি
    খ্যাঁটন | হেঁশেলে হুঁশিয়ার | ১১ মে ২০২৩ | ৫৫০ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)
  • পর্ব ১ | পর্ব ২ | পর্ব ৩
    ডিডি-র কিচাইন আবার শুরু হল... আগের সিজন পড়তে এইখানে ক্লিক করতে হবে


    তো, নস্টালজিয়ার একটা সেট প্যাটার্ন আছে। প্রথমটায় ঠাট্টা, ফাজলামি প্রচুর করুন। এমন কি বুঝিনা বুঝিনা করে একটু অসভ্য টাইপের জোকও করতে পারেন - কিন্তু সেটা ইশারাতেই। তারপরে একেবারে শেষটায় একটা হুল্লাট ইমোশনাল মোচড় - একটা দগদগে চোখ ছলছলে ভাব - বুক চাপা একটা কান্না গোছের। তাইলে জমবে।

    আমি প্রথমেই জানিয়ে দি'- আমার এই নস্টালজিক খানা পিনার ব্যাখ্যান একেবারে পুরো ফ্যামিলি নিয়েই পড়তে পারবেন। রেটিং একেবারে ইউনিভার্সাল। আর শেষটাতেও কোনো হায় হায় রে ক্লাইম্যাক্স নেই। খুবই সহজপাচ্য।

    আসলে এই আমাকে দেখুন। জন্ম ৫৩ সালে (AD), সেই কলেজ বেলার থেকে কতো যে নতুন নতুন খাবার খেয়ে অবাক হলাম। এবং এখনো সেই অবাক হওয়া শেষ হয় নি।

    এখনকার তরুণরা, বুঝলেন তো, অবাক হওয়াটাই ভুলে গেছে। এভারেস্ট থেকে ইয়ং ম্যানটি ফিরে এলে তাকে সাগ্রহে জিজ্ঞেস করি, হ্যাঁ, হ্যাঁ, বল তো কী কী দেখলি? গুছিয়ে বলতো। সে নিরুত্তাপ গলায় বলে, বলার কী আছে? ঐ ত্তো, উঁচু উঁচু সাদা সাদা। অক্সিজেনও বেশ কম। আর ইয়ে, শীত আছে। ব্যাস। মাসাইমারা গিয়ে পালে পালে সিংহ দেখেও চমৎকৃত হয় না। বলে টুরিস্টরা নাকি সিংহের গায়ে নাম আর ফোন নাম্বার লিখে আসে। বেশির ভাগই টেলিমার্কেটিং কোম্পানি।

    অথচ আমাদের সময়টাই ছিল অগাধ বিস্ময়ের। অনন্ত ও নিরলস বিস্ময়ের। সত্তরের মাঝামাঝি, সবে চাকরীতে ঢুকেছি। সহকর্মী অভীকের সাথে পার্ক স্ট্রীটে হাঁটতে গেলে সে বলে চল পিজ্জা খাই। নাম শুনেছি। চোখে দেখি নি তখনো, চেখে দেখার প্রশ্নই নেই। সদ্য খুলেছে একটা এক্সক্লুসিভ পিজ্জার দোকান। দামও প্রচুর - টাকা দশেক তো হবেই। খুব সাহস করে কাঁচুমাচু মুখে বসলে ওয়েটারই বুঝিয়ে দেয় কোন পিৎজাটা কিনতে হবে। না, ব্রান্ডেড কোনো ফুড চেইনের দোকান নয়। একেবারেই সরল গোলগাল দুই দিশি মানুষেরা কাউন্টারে দাঁড়িয়ে লোক দেখানো পিজ্জা বানাচ্ছে। প্রচুর টমেটো ও সামান্য চীজের ছোঁয়া লাগানো বেশ শক্ত রুটি। আর কিছু মনে নেই- শুধু মনে আছে যে বিকট লেগেছিল। সেই দোকানও টেঁকে নি। কয়েক মাস পরেই সেখানে অন্য দোকান খুলে গেলো।

    তারপরে এই বছর তিরিশেক আগে ব্যাঙ্গালোরে এসে পিজ্জা খাই। অতো কায়দার কিছু নয়। প্রচুর টমেটো দিয়ে টিয়ে তৈরি হতো। পাড়ার বেকারিতেও "ভেজ পিজ্জা" পাওয়া যেতো। আরো বছর খানেক পরে (৯০'র মাঝামাঝি) আসবে ১০০% অথেনটিক আমেরিকান পিজ্জা চেইন। তার আগেই এসে গেছে KFC। ওহো, সে কী ভক্তি, সে কী মা হর্ষ!!

    লম্বা লাইন পড়তো। গেটের সামনে দাঁড়িয়ে পাহারাদার। লোক বের হলে তবেই তারা গুনতি করে লোক ঢোকায়। ঘণ্টা খানেক লাইনেই দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। তার উপর একজন মানুষ একটি বিশাল মুরগী সেজে গটগটিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। বিজ্ঞাপন!! লাইনে দাঁড়ানো বাচ্চারা ভয়ের চোটে হাউমাউ করে কেঁদেই আকুল। এরই মধ্যে PETA'র লোকজন সেজেগুজে বিক্ষোভ জানাচ্ছে। একদিন স্বদেশী জাগরণ মঞ্চের লোকজন এসে ইট পাটকেলও ছুঁড়ে গেলো। বাটার চিকেন না খেয়ে এসব কী বিদেশী ভাজা মাজা খাওয়া হচ্ছে শুনি? কিন্তু এই জনজোয়ার রুখবে কে? তখন ইতিউতি বিদেশ যাচ্ছে অনেকেই। NRIরাও সহজলভ্য। তাদের নাক কুঁচকানি শেষও হয় না। এ যেনো ঝালমুড়ি বা আলুর চপ নিয়ে মাতামাতি। তারা আমাদের বোঝাতে চায় - এ মোট্টে ভালো জিনিস নয়। আমরা তো খাইনে। কিন্তু জনতাকে কে আর কবে বোঝাতে পেরেছে বলুন? পলিটিকাল পার্টিরা হেরে গেলেই যেমন বলেন, 'মানুষকে ভুল বোঝানো হয়েছে'। সেই ব্যাপার।

    KFC র হট্টগোল শেষ হতে না হতেই এসে গেলো ম্যাকডোনাল্ড। দু পিস বানের মধ্যে হাবিজাবি আর এক পিস চিকেন প্যাটি - ক্রমশঃই সেই প্যাটি হৃষ্টপুষ্টতা ছেড়ে পাঁপরভাজার মতন স্লিম হয়ে যাবে আর হরেকরকম্বা নানান কিসিমের বার্গারে ভরে যাবে তামাম হিন্দুস্তান। থিংক গ্লোবালি, অ্যাক্ট লোকালি মতাদর্শে ভেজ তো বটেই এমন কি জৈন বার্গারও চালু হবে। ভয়ের চোটে কখনো জানতেও চাই নি বান দুটির মাঝে কোন সাত্ত্বিক খাবারের প্যাটি থাকে।

    হাত ধরাধরি করে আরো আসবে পিৎজা হাট আর ডমিনোস। আরো কতো কী। দেশী দোকানের "চেইন" ও এসে যাবে। হরে মুরারে মধুকৈটভারে। এই ফাস্ট ফুড তরঙ্গ রোধিবে কে?

    ঐ অবাক হওয়ার কথা কইছিলাম না? এই এখন যেমন লোকে দেখা হলে কুশল সংবাদের হেড লাইনগুলো জেনেই জিজ্ঞেস করে "এখন কী দেখছেন?" তখন বিস্তারিত ভাবে নেটফ্লিক্স ইঃ ইঃ সমস্ত OTT প্ল্যাটফর্মের সালতামামি বিস্তারিত জানাতে হয়। আর সেই সময়ের - একটি অবশ্য জিজ্ঞাস্য ছিল পিৎজা হাট টেস্ট কল্লেন? ক্যামন লাগ্লো? বার্গার কিং এখনো যান নি? সে কি? এবং তুলনামূলক আলোচনা।

    এই নতুন ধারার খাওয়া দাওয়া, তাদের আদব কায়দা দেখে টেখে আমরা যেমনি অবাক হতাম তেমনই বিস্মিত হতাম। মুগ্ধতার সীমা ছিল না। কোন কোন দোকানে আবার হঠাৎ করে করে ওয়েটারেরা নাচতে শুরু করতো। কাঁচে ঘেরা দোকানে এরকম সংস্কৃতি দেখতে, রাস্তায় বেশ ভিড় জমে যেত। কালচারের হদ্দ মুদ্দ।

    সেই কবে জানি টাকো বেল আবির্ভূত হলেন নগরীতে। কী ভিড়, কী ভিড়। লাইন দিয়ে কাউন্টারে পৌঁছালে সহৃদয়া মেয়েরা বুঝিয়ে দেয় নাচোই বা কী, বুরিটো ই বা কাকে বলে? দু হাত এ ধরেই খেতে হয় তো? না কাঁটা চামচ লাগে? সবেরই উত্তর দিয়ে দেন দয়াবতীরা। লোকশিক্ষা হয়।

    আপনারা যারা পঞ্চাশের এইদিকে, এমন কী আরো কুট্টি মতন। তারা এই হাঁ হয়ে যাওয়ার আনন্দই পেলেন না। জন্ম থেকেই এই বিদেশী খাবার খেয়ে টেয়ে আপনাদের কোনো রোমাঞ্চই নেই। প্রথম চুম্বনের মতন তড়িৎ তাড়িত আশুতোষ লাভ হতো জীবনের প্রথম পিৎজায়। প্রথম বার্গারের স্পর্শে ও আস্বাদে মনে হয়েছিলো এই কি অমরাবতীর ভোজ্য? আমার তো চোখে জল এসে গেছিলো।

    এখন তো বঙ্গাব্দ টঙ্গাব্দ নিয়ে গাব্দা গাব্দা লেখা হচ্ছে। কিন্তু এটা জানেন কি আমাদের বয়সী লোকেদের কাছে জীবনটা ছিল ম্যাগী পূর্ব ও ম্যাগী অব্দের? চোখের সামনে দেখলাম হেঁসেলে হট্টগোল। ব্যাচেলর, অলস, কর্ম-ক্লান্তের একমাত্র সান্ত্বনা ম্যাগী। এক বন্ধুর বাড়িতে গেলে সে হোমমেড নুডলস এনে সগর্বে জানায় আমার দিদি বানাইছে। আমাদের ফুর্তি হয়, কিন্তু বাকস্ফূর্তি হয় না। বাড়িতে নুডলস? কী করে সম্ভব? ম্যাজিক না কি? চীনা দোকানের বাইরে, ঘরে বসেও এরকম চ্যাং ব্যাং রান্না করা যায়?

    সেই কবেকার স্মৃতি হাটকে - যদ্দুর মনে পড়ছে, তেমন জমে নি ঐ চাউমিন। কিন্তু ভোজন সাম্রাজ্যবাদ যে মধ্যবিত্তের হেঁসেলে ঢুকে যাচ্ছে, আর সেই আগ্রাসী আক্রমণ আমরা গোগ্রাসে গিলছি, সেটা টের পাচ্ছিলাম।

    TVতে দেখছিলাম, এক মহতী বিতর্ক সভায় বাঙালীর বিপন্নতা বিষয়ে বিতর্কে এক প্রাজ্ঞ জানালেন কী ভাবে আমাদের রসনা দখল করে নিচ্ছে ব্যাবাক বিদেশীরা। চীন, কোরিয়া আর অবশ্যই আম্রিগা। খুব ইচ্ছে করছিলো তাকে জানাতে, রে প্রাজ্ঞ, এই যে আলু সেদ্দো খাস কাঁচা লংকা দিয়ে - সেও তো শ দেড়েক বছরের বিদেশী আগন্তুক। লেড়ে বিসকুট দিয়ে চা? সেটাও। যাগ্গে, এই কুটিল বিষয় বলার যা, তা চন্দ্রিলই বলবেন। আমি বলার কে?

    এদিকে আপনারা ঘন ঘন বিলেত আমেরিকায় যান। অথবা, আরো ভালো, বিদেশেই গ্যাঁট হয়ে বসবাস করেন। নানান দেশের ভালোমন্দ খেয়ে, ছবি তুলে একশা। তবে যদি বড় শহরে থাকেন, (আমি থাকি ব্যাঙ্গালুরুতে), তবে সারা দেশের তো বটেই, কতো যে বিদেশী খাবারের দোকান হয়েছে, তার ইয়ত্তা নেই। নতুন খুলেছে দেখলাম একটা বার্মিজ খাবারের দোকান। সব বাঙালীই জানেন 'বার্মার ঙাপ্পিতে বাপ্রে কী গন্ধ'। এমন কি লাতিন আমেরিকা খাবারও পাবেন এক স্পেসালিটি রেস্তোরাঁয়। লাতিন আমেরিকানরা, সবাই জানেন, খুবই ফুটবল খেলেন। না পারলে কোকেইনের ব্যবসা করেন। আর সেটাও না জমলে খুব কঠিন সাহিত্য লিখে পুরস্কার পান। তাহলে ভাবুন, রোনালডিনো বা মেসি, নেরুদা কি মার্কেজ, এস্কোবার বা এলো চাপো - বাড়ীতে কী খান বা খেতেন, সেটা এ দেশেই বসে খেতে পারবেন। জাস্ট আইডিয়া করুন!

    কে কতো অদ্ভুতুড়ে খাবার খেলেন সেই নিয়ে যেনো কম্পিটিশন চলে। চীনে দোকানে ঢুকে ফ্রায়েড রাইস আর চিলি চিকেন চাইলে ওয়েটারও অপমানিত বোধ করবেন। বরং বলুন "ও হে, গাধার রক্ত আছে? ফ্রেশ চাই কিন্তু" তাহলে সব মোগাম্বোই খুশী হবেন। না দিতে পারলে ক্ষুব্ধ হয়েই গোবি মান্চুরিয়ানই না হয় এক প্লেট অর্ডার করবেন। লোকে খুঁত ধরবে না।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
    পর্ব ১ | পর্ব ২ | পর্ব ৩
  • খ্যাঁটন | ১১ মে ২০২৩ | ৫৫০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ১১ মে ২০২৩ ২০:০৭519673
  • ৯৭ সালে ব্যাঙ্গালোরে ট্রেনিঙে গিয়ে আমরাও লাইন দিয়ে কেএফসি খেয়েছিলাম। কলকাতায় পাওয়া যেত না ত্খন। 
    আহা ম্যাগী আর রসনা তো আমাদের সময়কার আধুনিকতার চৌকাঠ। 
     
  • পেপসি  | 165.225.8.97 | ১১ মে ২০২৩ ২০:২৪519674
  • বলুন দেকি পেপসি কবে কলকাতায় এল? তারপর আপনারা চৈনিক ​​​​​​​সাম্রাজ্যবাদ ​​​​​​​পেপসি ​​​​​​​দিয়ে ​​​​​​​খেতে ​​​​​​​শুরু করলেন? 
     
    ডিডিদা ​​​​​​​তো ​​​​​​​পানীয়র ​​​​​​​ব্যাপারটা বাদ্দিয়েই ​​​​​​​গেলেন! ​​​​​​​পানীয় ​​​​​​​বলে ​​​​​​​কি ​​​​​​​খাদ্য ​​​​​​​নয়? ​​​​​​​
     
  • একক | ১১ মে ২০২৩ ২১:৩৩519686
  •  হ্যাঁ হ্যাঁ পানীয় হোক :) 
  • :|: | 174.251.160.108 | ১১ মে ২০২৩ ২১:৪৮519687
  • এতটাই যখন বললেন "... আমাকে দেখুন। জন্ম ৫৩ সালে (AD)", তখন ৫৩-র আগে বারোশো না সতেরোশো সেটা জানালে গাছ পাথরের খোঁজ করতে সুবিধা হতো। লেখাটা সত্যিই "দগদগে চোখ" ছাড়াই সুন্দর নস্টোলজিমূলক হয়েছে। ধন্যবাদ। 
  • Prativa Sarker | ২০ মে ২০২৩ ১৯:৩৮519935
  • প্রত্যেক লাতিন আমেরিকানের লেখাটা পড়া উচিত।
     
    একটা  কথা, যতো উড়ো টাকার খবর পাই, দেখি শহরে ততোই ভোজন আর পানশালা বেড়ে যাচ্ছে৷ সল্ট লেকে সারি সারি এবং নতুন নতুন! এর পরের কিস্তিতে ভোজনের অর্থনৈতিক  ও রাজনৈতিক তাৎপর্য নিয়ে টীকাটিপ্পনী থাকলে আরও সুখপাঠ্য হবে।
  • Kuntala | ২১ মে ২০২৩ ০৭:১৮519946
  • লেখাটা খুব সহজপাঠ্য, কিন্ত তথ্যে গোলযোগ
    । 
    কোলকাতার নিউ মার্কেটের পেছনের দিকের কসমোপলিটান অন্চ্লটায়  উঁকি মারলেই অন্যরকমের নানা খাবারের সন্ধান পেতেন। এগুলো যুগ যুগ ধরে চলে আসতো।
    'মালাম'স' বারমিজ খানার খুপরি রমরমিয়ে চলতো সত্তরের দশক পর্যন্ত। আশির দশকে সেই মালাম ভদ্রলোক দোকান বন্ধ করে কোথাও চলে গেলেন। আমি নিয়ম করে আটাত্তর পর্যন্ত ওই ছোট্ট  খুপরিতে বসে খেয়েছি তাঁর হাতের বানানো 'পান্থে খাও সুয়ে'।
    আর চিনে খাবার আমাদের রসনায় হানা দিয়েছিল পাড়ার রোলের গাড়িগুলো যখন 'চাওমিন' বিক্রি করতে শুরু করলো, তখন থেকে, ম্যাগি আসার আগেই।  ওরা মনে হয় চায়না টাউন থেকে আইডিয়া পায়।
    তার আগে আমাদের ট্র্যাঙ্গুলার পার্কের উল্টোদিকে হাটারি রেস্টুরেন্টে যেতে হোত। তবে রাস্তা স্টাইলের চাওমিন এক্কেবারে অনন্য, তার স্বাদ ও ইতিহাসে।
  • dd | 49.207.212.10 | ২১ মে ২০২৩ ০৮:০৮519947
  • @ :I:, কী সব জ্যামিতিক নাম রাখেন্না আপ্নেরা। সত্তি! উচ্চারণযোগ্য যেকোনো একটা নাম রাখলেই হয়, যেমতি "করণজাক্ষ গড়াই"।
    দেখুন বয়সকাল নির্ণয়ে শেষ দুটো সংখ্যাই কাফি। প্রথম দুটো তো নিতান্ত একাদেমিক কারণে থাকে। 
    @একক। ধুর। ড্রিং টিং নিয়ে কী করে লিখবো? দেশ বিদেশ ঘুড়ে নানান পানীয়ের অভিজ্ঞতাই নেই। সেই ড্রইংরুমে বসে খাড়াবড়িথোর রামহুইস্কিবীয়ার  - এই ত্তো বেত্তান্তো। এর ওর কাছ থেকে শুনে, উইকি ঘেঁটে কতো আর বিশ্বাসযোগ্য গুল মারা যায় ? 
    @কুন্তলা। হ্যাঁ। কলকেতা শহরের আনাচে কানাচে নিশ্চয়ই নানান দেশের খাবার মিলতো। আমি জান্তুম নে।
    আর পাড়ায় ঠেলাগাড়ীতে নুডল বিককিরি করতো, সেগুলো মোট্টে চীনা নুড্ল নয়। 
    সে মনে আছে, মাদুরাইতে গিয়ে একটা দোকানে চিকেন ফ্রায়েড রাইস (চীনা) অর্ডার দিলে বাসমতি চাল আর গরম মশল্লা দিয়ে যা দিলো তা চীনের থেকে বহু বহু দূরে। খেতে খারাপ ছিলো না, মানছি। তবে চীনাত্ব কিস্যুই ছিলো না। 

    আসলে খানা পিনার কথা লিখতে গিয়ে বুঝছি স্মৃতি ভদ্র, শারদা মন্ডলের মতন মেদুর, মরমী আত্মজৈবনিক লেখার ধক আমার কুল্লে নেই। সুকির মতন তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে কঠিন উচ্চারণের অজানা খাবারও কিছু খাই নি। হায় ! আমার কী হবে ?
  • সুকি | 49.206.129.86 | ২১ মে ২০২৩ ০৮:৫১519949
  • ডিডি-দা, আপনার সব লেখায় প্রায় পড়ি। মন্তব্য করা হয় না সব সময়। এই লেখাটিও আগে পড়েছিলাম। কিন্তু বড়ই অল্প লিখছেন। আপনি কিন্তু জানেন যে এখানে আপনার ভক্তকুল প্রচুর, সবাই বসে থাকে আপনার লেখা পড়বে বলে।  
  • Amit | 120.22.18.11 | ২১ মে ২০২৩ ১১:৪৫519952
  • আপনি আপনার মত লেখেন। সেগুলো পড়ার জন্যেই হা পিত্যেশ করে বসে থাকি। 
  • Bratin Das | ২১ মে ২০২৩ ১১:৫৯519953
  • আরে ডিডি তুমি হলে গিয়ে সেই ছোট্ট বেলার ডিডি গেঞ্জি ইত্যাদি র মতো 
     
    "চোখ বন্ধ করে ভরসা করা যায় "heartheart
     
    "ডিডি ডিডি ডিডি ,,,,,:
  • aranya | 2601:84:4600:5410:f59e:3c6b:b893:797c | ২২ মে ২০২৩ ২১:২২519980
  • খুবই উপভোগ করলাম। ডিডি-দা রকস
    আরও অনেক লেখা চাই 
  • Bratin Das | ২৪ মে ২০২৩ ১৯:৩২520032
  • মিসটেক মিসটেক অরণ্য  দা।
     
    ডিডি = দীপ্তেন দা। 
     
    তাই ডিডি দা র দরকার নেই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু প্রতিক্রিয়া দিন