এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  স্মৃতিকথা

  • রাজধানী লোকাল - ১

    Nirmalya Nag লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | স্মৃতিকথা | ১৮ আগস্ট ২০২২ | ২৫০৩ বার পঠিত | রেটিং ৫ (৩ জন)
  •  
     

    মূল ছবিঃ Nikhil Manan from Pexels
     
     
    ।। এক ।।

    [এক বন্ধু এসে করুণ গলায় বলল তার ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট হয়েছে। আমি হাঁ করে তাকিয়ে থাকায় সে নিজেই ব্যাখ্যা করে জানালো যে কলকাতা থেকে তাকে নয়া দিল্লির অফিসে বদলি করা হয়েছে। বাড়ি ছেড়ে, বন্ধুবান্ধব ছেড়ে যেতে হবে, তাই তার মন বেশ খারাপ, শাস্তি পেয়েছে মনে হচ্ছে। আমার তখনও তেমন বলার মত চাকরি জোটেনি, তাই ঈর্ষায় কিঞ্চিৎ সবুজ রং ধারণ করিনি বললে মিথ্যে বলা হবে। কিছু দিন গেল, তারপর হঠাৎ একদিন বেড়ালের ভাগ্যে শিকে ছিঁড়ল। দেখলাম টপাৎ করে এক পিস নোকরি এসে পড়েছে সামনে, আর কিমাশ্চর্যম! তার জন্য আমাকেও যেতে হবে দিল্লি, ট্রেনিং-এর জন্য। বন্ধুর মত আমিও সাধের ‘কল্লোলিনী তিলোত্তমাকে’ টা টা বাই বাই করে ১৯৯৫-এর নভেম্বরের শেষে ট্রেনে চড়ে বসলাম, এসে পৌঁছলাম দেশের রাজধানীতে। তারপরের বছর দেড়েকে কী ঘটল তাই নিয়েই এই গপ্পো। তবে ধান ভানতে যাওয়ার আগে একটু শিবের গীত গেয়ে নেওয়া যাক]

    গাঁটের পয়সা খরচ করে একখানা সুটকেস কিনেছিলাম বছর দুই আগে। গাঁটে তখন যা ছিল তার প্রায় পুরোটাই চলে গেছিল সে বাক্সখানা কিনতে। কেন কিনেছিলাম? প্রাণে আসলে তখন হেব্বি পুলক, আসামে যাব চাকরি করতে, প্রথম চাকরি বলে কথা, এবং সেটা একটা বড় গ্রুপের, তারা নতুন কোম্পানি খুলছে। যে কটা টিউশনি করতাম ছেড়ে দিলাম। আমায় শুধু সুটকেস গুছিয়ে রেডি থাকতে হবে, শীতের পোশাক নিতে হবে, কারণ মাস তিনেকের আগে ছুটি মিলবে না। মাইনে-কড়ি ভালই, গুয়াহাটিতে থাকা-খাওয়ার ব্যাবস্থা অফিসই করবে, যাওয়ার টিকিটও কোম্পানি কাটবে। তার প্রতিনিধি হিসেবে জনা দুই কলকাতায় আছেন। তাঁদের কাছে লিখিত পরীক্ষা আর ইন্টারভিউ দিয়ে চাকরি পাওয়ার পর ক’দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে। আরও লোক নেওয়া হচ্ছে। কোং-কে ধন্য করার জন্য আর তর সইছে না, প্রতিনিধিবাবুদের মাঝে মধ্যে ফোন লাগাই, “টিকিট কবে আসবে স্যার?” তাঁদের একজন গলায় মাখন আর অন্য জন মধু মিশিয়ে বলেন, “এই তো এল বলে। আর তিন জন লাগবে। নতুন কোম্পানি তো। লোক পেতে একটু সময় লাগছে।” 

    বাবা একদিন বললেন পনের-কুড়ি দিন তো হয়ে গেল, আর ফোন নয়; একবার ওই অফিসে গিয়ে খোঁজ নাও। আর এক বন্ধুও সেখানে চাকরি পেয়েছিল আর আমারই মত হাপিত্যেস করে বসে ছিল। দুজনে মিলে গেলাম ডালহৌসি পাড়ার সেই অফিসে যেখানে গিয়ে পরীক্ষা দিয়েছিলাম। আর গিয়ে বুঝলাম মহামতি নিৎসে কেন ওই কথাটা বলেছিলেন। কথাটা হল, “যাবতীয় খারাপ জিনিসের মধ্যে সবচেয়ে বাজে হল আশা, কারণ মানুষের যন্ত্রণাকে সে ব্যাটা দীর্ঘায়িত করে।”

    বুঝলেন না তো? ব্যাপারটা হল এই যে প্রতিনিধিবাবুরা আর আসছেন না দিন দুই হল, কেন আসছেন না তা অফিসের লোকেরা বলতে পারলেন না। এনাদের হেড অফিস গুয়াহাটিতে, সেখানকার নির্দেশে ওই দু জনকে এনারা একটা ঘর আর ফোন দিয়েছিলেন, আর বিশেষ কিছু জানেন না। তবে খবরের কাগজের ভাষায় যাকে বিশ্বস্ত সূত্রের খবর বলে সেই রকম কারও থেকে তাঁরা জানতে পেরেছেন বাবুরা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান শহরটিতে ফিরে গেছেন। কাউকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কি না, বা কলকাতায় তাঁরা আর আসবেন কি না বা নতুন কোনও কোম্পানি হোথায় খোলা হবে কি না তা নিয়ে তাঁরা কিছুই বলতে পারলেন না। অনেক বছর পরে জেনেছিলাম কোম্পানি খোলার সিদ্ধান্ত নাকচ হয়ে গেছিল কোনও কারণে। 
     
    তা নয় হল, কিন্তু এদিকে আমার পুনর্মূষিক ভব অবস্থা। খবরের কাগজ মোড়া হয়ে সাধের নতুন সুটকেস উঠে গেল আলমারির মাথায়। শীত বস্ত্র ভাগ্যিস নতুন কিছু কিনিনি, তাই তাদের জন্য আর জায়গা খুঁজতে হয়নি। এক সুন্দর দুপুরবেলায় নিজের গাঁট নিজেই কেটে দেখলাম বিশেষ কিছু সেখানে আর অবশিষ্ট নেই। তাই ব্যাবস্থা একটা করতেই হবে। শাস্ত্রে যাই বলুক, লজ্জা ঘৃণা আর ভয় – তিন পিস বস্তুই তখন মনের ভেতর ছিল (এখনও খানিকটা করে আছে মনে হয়)। তাই পুরনো টিউশনির কাছে আর ফিরে যেতে পারলাম না। নতুন ছাত্রছাত্রী পাওয়া গেল আস্তে আস্তে। সেই সঙ্গে চেনা-পরিচিতদের সূত্রে ছোট খাটো চাকরিও জুটতে লাগল। হতে পারে তেমন বলার মত কাজ কিছু নয়, তবু দুঃসময়ে তারা সাথে ছিল আর ফাউ হিসেবে দিয়েছিল ফাটাফাটি কিছু অভিজ্ঞতা। 
     
    চাকরি নং ১। মেয়াদ –দু মাস, মাইনে প্রাপ্তি – এক মাসের। অভিজ্ঞতা – বস কহিলেন অমুক অ্যান্ড কোম্পানিতে যাইয়া তমুক অফিসারের (নাম নয়, শুধুই পদ) নিকট হইতে তাহাদের কাজকর্ম সম্বন্ধে কিছু সংবাদ সংগ্রহ করিয়া আনহ। বললাম অমুক অ্যান্ড কোম্পানির নাম আগে শুনিনি, এরা কিসের ব্যবসা করে? বস ভাবিলেন এবং আমায় চমৎকৃত করিয়া বলিলেন ওই অফিসারই বাৎলাইয়া দিবেন। ওই অফিসারের সহিত অ্যাপয়েন্টমেন্ট কী রূপে হইবে তাহা লইয়াও নীরব থাকিলেন। তারপরের কথা আর জিজ্ঞেস করবেন না প্লিজ। যাই হোক, অন্য একটি চাকরিতে বেশি মাইনের সুযোগ পেয়ে দ্বিতীয় মাসের শেষে ইস্তফা দিলাম। নতুন জায়গায় যোগ দেওয়ার পর এক মাসের পাওনা বেতনের জন্য মাঝে মাঝে ধর্না দিতে যেতাম, জুতোর শুকতলা ক্ষয়ে যাওয়ার পর সে চেষ্টায় ক্ষান্ত দিলাম।
     
    চাকরি নং ২। মেয়াদ – এক মাস, মাইনে প্রাপ্তি – শূণ্য মাসের। এখানেই অধিক মাইনের লোভে যোগ দান। আর তার পরই জ্ঞান লাভ - ‘লোভে পাপ, আর পাপে… চাকরি যাওয়া। অভিজ্ঞতা - ভাসুর আর ভাদ্দর বৌ-এর ঝগড়া। কোম্পানি ভাসুরের, তিনি থাকেন বাড়ির দোতলায়। ভাদ্দর বৌ থাকেন এক তলায় আর অফিসে প্রবেশের পথ সে বাড়িতে তাঁর অংশের ভেতর দিয়ে। মাসের শেষের দিকে দুই পক্ষে কোনও এক অজানা বিষয় নিয়ে ঝামেলা বাধল, এবং ভাদ্দর বৌ আমাদের নাকের ডগায় প্রবেশ নিষেধের বোর্ড ঝুলিয়ে দিলেন। কিছু দিন ফোনে খবর নেওয়া হল, তারপর চলে গেলাম “নিষ্ফলের হতাশের দলে”।
     
    চাকরি নং ৩। মেয়াদ - এক বছরের কিছু বেশি। মাইনে প্রাপ্তি – ঠিকঠাক। অভিজ্ঞতা - পুরো টক-ঝাল-মিষ্টি এবং নোনতা। বস মানুষটি চাঁদা দিতেন আরএসপি-কে (আমিই দিয়ে এসেছি বার দুই), প্রশংসা করতেন সিপিএমের, কংগ্রেসের কয়েক জন নেতার নাম করে বলতেন এদের মত মানুষ আর হয় না, এবং কলকাতা কর্পোরেশন নির্বাচনে বিজেপি কেন আরও বেশি ভোট পেল না তা নিয়ে দুঃখ করতেন। প্রায় প্রতি বাক্যে একটি বিশেষ শব্দ ব্যবহার করতেন যার বাংলা আর হিন্দিতে দু রকম অর্থ হয়। যদিও সে অর্থ দুটো প্রায় একই জিনিস বোঝায়, তবু বাংলায় তার ব্যবহারটা… ইয়ে, মানে খুব একটা শালীন নয়। আর হ্যাঁ, মাঝে মাঝেই অফিসে দেরি করে আসতেন আর বিড়ি বা সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে আক্ষেপ করতেন আগের দিন সন্ধ্যায় ওনাকে নাকি “ওরা জোর করে” মদ খাইয়ে দিয়েছে। তারা যে কারা তা কোনও দিন জানতে পারিনি। দিল্লি যাওয়ার আগে আমায় সুন্দর ফেয়ারওয়েল দেওয়া হয়েছিল ওনারই উদ্যোগে।
     
    চাকরি নং ৪। মেয়াদ - এক বছরের কিছু কম। মাইনে প্রাপ্তি – ঠিকঠাক। অভিজ্ঞতা – তিন নম্বরের সাথে এই পার্ট-টাইম চাকরি করতাম সন্ধ্যা বেলায়। মোটামুটি একটা ভাল কাজের পরিবেশ পাওয়া গেছিল। আবার একই সাথে প্রফেশনাল রাইভ্যালরি কাকে বলে সেটারও একটা আন্দাজ জুটেছিল। যে কাজ করতে দিল্লি যাওয়া এই অফিসেও একই ধরণের কাজ করত হত বলে এখানকার কাজ ছাড়ি প্রায় শেষ দিকে। 
     
    এই তিন আর চার নম্বর চাকরি যখন এক সাথে চলছিল, তখন জানতে পারি দিল্লির কোম্পানি লোক নেবে। তবে লিখিত পরীক্ষা হবে বম্বেতে (মোটামুটি এই সময়েই সে শহর মুম্বাই হয়ে যায়)। মৃতা ঠাকুমাকে অসুস্থ ঘোষণা করে সে পরীক্ষা দিতে গেলাম। কিছু দিন পর ইন্টারভিউ-এর ডাক আসায় ওনাকে দ্বিতীয়বার মেরে ফেলা ছাড়া আর উপায় ছিল না। এই ইন্টারভিউ দিতে দ্বিতীয় বার বম্বে গিয়ে আলাপ হল এমন একজনের সাথে যে বন্ধুর কথা পরে বারবার আসবে। পরের কথা পরে, আপাততঃ এই টুকুই জানাই এক প্রবল মন খারাপে ভরা শনিবারের সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পর পোস্টে আসা যে সাদা খামটি মা আমার হাতে ধরিয়ে দিলেন, তাতেই ছিল আমার দিল্লি যাওয়ার ছাড়পত্র।
     
    ইন্টারভিউ-এর বন্ধুর সাথে কথা হয়েছিল যে চাকরি পাবে সে অন্যজনকে জানাবে। কিন্তু তাকে ফোন করতে আমার আর হাত ওঠে না। আমি তো পেয়েছি, ও যদি না পেয়ে থাকে, তাহলে ফোন করাটা খুব বিশ্রী ব্যাপার হবে। আশ্চর্যের ব্যাপার হল কার থেকে যেন খবর পেয়ে ও নিজেই যোগাযোগ করল। জানা গেল ঠিক যে কারণে আমি ওকে ফোন করিনি, ও ঠিক সেই জন্য ও-ও করেনি। যাই হোক, ঠিক হল আমরা এক সঙ্গে যাব, এক সাথেই থাকব। ঠিকঠাক থাকার ব্যাবস্থা না হওয়া পর্যন্ত একটা চলনসই হোটেলে মাথা গুঁজতে হবে। তেমন একটা হোটেলে বন্দোবস্ত করাও হয়ে গেল। আর তারও আগে হল ট্রেনের টিকিট কাটা – পূর্বা এক্সপ্রেস।
     
    অতঃপর সুটকেস নেমে এল আলমারির মাথা থেকে, শীতের পোশাক নতুন কিছু কেনা হল না, কারণ দিল্লিতে ওই জিনিস সস্তা আর বেশি পুষ্টিকর হবে। আগে কখনও এত দিনের জন্য বাড়ি ছেড়ে যাইনি, বাবা-মা আর কলেজ পড়ুয়া বোনের মন একটু খারাপ বুঝতে পারছি, তা ওনারা যতই সেটা লুকোতে চেষ্টা করুন না কেন। নভেম্বরের এক দুপুরে পূর্বা এক্সপ্রেস ধরার জন্য হাওড়া স্টেশন যাওয়া হল। কয়েক ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ল গাড়ি। ধীরে ধীরে হাওড়া স্টেশন পেরিয়ে গতি নিল সে, চলল দিল্লির দিকে। আর আমাদের জীবনও বাঁক নিল নতুন পথে, নতুনতর অভিজ্ঞতার দিকে। (ক্রমশঃ)
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ১৮ আগস্ট ২০২২ | ২৫০৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • just DEB | ১৮ আগস্ট ২০২২ ১৫:৩৬511145
  • খুব ভালো লাগছে। চলতে থাকুক.. অপেক্ষায় রইলাম।
  • dc | 2401:4900:1cd1:b5:cc9a:42ca:89a1:5a6b | ১৮ আগস্ট ২০২২ ১৫:৪৬511147
  • দারুন ভাল্লাগলো। আমার নিজেরও কলেজ আর প্রথম চাকরির নানা কথা মনে পড়ে গেল। 
  • শংকর | 223.182.92.24 | ১৮ আগস্ট ২০২২ ১৬:৩২511148
  • কত অভিজ্ঞতা তোর! কত চাকরী করেছিস!  বেশ লাগল পড়তে। সেই বন্ধু টা তি অমিতাভ? 
  • Ranjan Roy | ১৮ আগস্ট ২০২২ ১৭:০৪511149
  • খুব ভাল লাগছে।
     
    আমার চাকরির চিঠি এসেছিল ভিলাইয়ে ইউপি বনাম মধ্যপ্রদেশের রণজী ম্যাচ দেখার মাঝে, বন্ধুর হাত ধরে।
  • সোমনাথ চক্রবর্তী | 103.117.213.230 | ১৮ আগস্ট ২০২২ ২০:৫৪511161
  • খুব ভালো লাগছে
  • kk | 2601:448:c400:9fe0:f026:9c99:5207:3600 | ১৮ আগস্ট ২০২২ ২০:৫৭511162
  • বাঃ, চলুক। পড়ছি।
  • Nirmalya Nag | ১৯ আগস্ট ২০২২ ০১:০৫511166
  • @ just DEB - ধন্যবাদ 
     
    @dc - ধন্যবাদ। সেই সময়টা ফিরে দেখতে সত্যিই দারুণ লাগে। 
     
    @শংকর - ধন্যবাদ। তবে আমার চেয়েও অনেক বেশি চাকরি করা লোকের সংখ্যা প্রচুর। না, ওই বন্ধু অন্য একজন। 
     
    @ রঞ্জন রায় - রণজি ট্রফি খেলার গ্যালারিতে চাকরির চিঠি! এ তো অভাবনীয় ব্যাপার দাদা। 
     
    @ সোমনাথ চক্রবর্তী - ধন্যবাদ 
     
    @ kk - ধন্যবাদ 
     
     
  • Nirmalya Nag | ২২ আগস্ট ২০২২ ০০:৪৭511254
  • @অমিতাভ চক্রবর্তী - ধন্যবাদ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন