এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  স্মৃতিকথা

  • রাজধানী লোকাল - ২৪ 

    Nirmalya Nag লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | স্মৃতিকথা | ২৫ এপ্রিল ২০২৩ | ৯৮৪ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  •  

    মূল ছবিঃ নিখিল মানান
     
     
    ।। চব্বিশ ।।

    অফিসে আমাদের কলকাতার চার জনকে নিয়ে গুজবের আর শেষ নেই। কারা যে রটাছে আর কেনই বা রটাছে কে জানে! গুজবগুলো সবই প্রি-কনফারমেশন টেস্টের পরে আমাদের কলকতায় যেতে পারা বা না পারা নিয়ে। একদিন তো এমনও শোনা গেল যে দিল্লিতে রেখে দেওয়ার জন্যই হয়তো আমাদের পাশ করানো হবে না। শেষে ললিতাজীর কথা মনে পড়ল, সার্ফের বিজ্ঞাপনে তিনি সমঝদারির কথা শোনাতেন। আমরাও সমঝদার হলাম, অর্থাৎ ঠিক করলাম গুজবে কান না দেওয়াই ভাল। যা ঘটার তা ঘটবে, তার মুখোমুখি হতেই হবে।

    মুখোমুখি হতেই হল। সুকুদাকে বাঁচানো গেল না। আমায় যেদিন সিঁড়ির জানলা থেকে হাত নেড়েছিল, তারপর থেকে অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছিল। জানি না, সেদিন আই-সি-ইউ-এর বাইরে না বেরোলে কী হত, হয়তো সিজন চেঞ্জের সময়ে বাইরের হাওয়া লেগে গেছিল, হয়তো সিঁড়িতে যাতায়াত করা লোকেদের মধ্যে থেকে কোনও ইনফেকশন হয়ে গেছিল। সুকুদা তো সেরে উঠছিল, হয়তো… আমি সেদিন হাসপাতালে না গেলে সুকুদা বেঁচে থাকত…

    ‘’…এটা কিছু অপূর্ব নয়,
         ঘটনা সামান্য খুবই--
    শঙ্কা যেথায় করে না কেউ
          সেইখানে হয় জাহাজ-ডুবি।
                        মনেরে তাই কহ যে,
                        ভালো মন্দ যাহাই আসুক
                         সত্যেরে লও সহজে।…‘’ (বোঝাপড়া, রবীন্দ্রনাথ)

    সুকুদার মা আর স্ত্রী এসেছিলেন দিন দুই আগে। খুবই সাধারণ পরিবার। সুকুমারন মারা যাওয়ার পর ওনার বিধবা মা পাথরের মত নীরব হয়ে গেলেন, আর স্ত্রী-র হাহাকার এইমসের ইট কাঠ আর দেওয়ালগুলোয় ধাক্কা খেতে খেতে দিল্লির আকাশে বাতাসে মিলিয়ে যাচ্ছিল। সুকুদা পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য, ওনার চার মেয়ে। বড় জন হায়ার সেকেণ্ডারি পরীক্ষা দেবে, আর সব চেয়ে যে ছোট সে ফোর না ফাইভে পড়ে। আরও জানতে পারলাম সুকুদা কোনও কারণে প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে ভাল রকম লোন নিয়েছিল; অর্থাৎ যে পরিমাণ টাকা ওনার পরিবার পাবে, তা আহামরি কিছু নয়।
     
    জর্জ, শ্রীকান্ত আর অফিসের তামিলভাষী অন্যান্য দু-এক জন ওনাদের যথাসাধ্য সান্ত্বনা দিচ্ছিল। ঠিক হল সুকুদার দেহ নিয়ে ওনারা চেন্নাই ফিরে যাবেন, প্লেনে নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত অফিস থেকে করা হল, তবে তার জন্য ‘এমবাম’ করানো দরকার। দেহ যাতে নষ্ট না যায় তার জন্য ব্যাবস্থা করা – ভেতরের কিছু অঙ্গ ফেলে দিয়ে, বাকি অংশে নানা ওষুধ ইঞ্জেকশন দিয়ে তাকে দীর্ঘযাত্রার উপযোগী করে তোলা, একেই বলে ‘এমবামিং’। আর তখনই আকাশ ভেঙে পড়ল, আর পড়ল প্রায় আক্ষরিক অর্থেই।

    সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স ফ্লাইট ৭৬৩ ; বোইং ৭৪৭-১৬৮বি। কাজাখস্তান এয়ারলাইন্স ফ্লাইট ১৯০৭ ; ইলুশিন-আই এল-৭৬। দুটি উড়ন্ত প্লেনের মুখোমুখি ধাক্কা লাগল হরিয়ানার চারখি-দাদরি অঞ্চলে, দিল্লি থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে। মারা গেলেন দুই বিমানের যাত্রী ও কর্মচারী মিলিয়ে মোট ৩৪৯ জন মানুষ, প্লেনে থাকা একজনও  বাঁচেননি। পৃথিবীর ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে ভয়াবহ মাঝ আকাশের বিপর্যয়। একটি বিমান কাজাখস্তানের চিমকেন্ট এয়ারপোর্ট থেকে দিল্লি আসছিল, আর অন্যটি দিল্লি ছেড়ে পাড়ি দিয়েছিল সৌদি আরবের ধাহরান-এর দিকে। কারোরই কোথাও যাওয়া হল না, সন্ধ্যা ছ’টা চল্লিশে বিমান দুটি ভেঙে পড়ল চাষের জমির ওপর, গ্রামের ওপর পড়লে যে আরও কত মানুষের মৃত্যু হত কে জানে। নভেম্বর ১২, ১৯৯৬।
     
    এর ঠিক পরের দিন সকালে দিল্লি ছেড়ে, পরিবার পরিজন সবাইকে ছেড়ে অন্য কোনও জগতের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিল সুকুদা। একটা সাদা কাপড়ে আপাদমস্তক মুড়ে তাকে রেখে দেওয়া হল, এমবাম করার জন্য। ওদিকে ময়না তদন্তের জন্য চারখি-দাদরি থেকে একের পর এক পুড়ে যাওয়া দেহ আসতে শুরু করেছে এইমস-এর উদ্দেশ্যে। সে সবের মধ্যে প্রায় ৪০টার এমবামিং হবে, যাবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। বিভিন্ন দলের সাংসদেরা হাসপাতালের ওপর চাপ সৃষ্টি করছেন, তাঁদের লোকসভা অঞ্চলের দেহকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য। সেটা বুঝতে পেরে আমাদের অফিসও নানা ভাবে চেষ্টা করতে লাগল যাতে সুকুদাকে দ্রুত মুক্তি দেওয়া যায়।

    সন্ধ্যা প্রায় সাড়ে সাতটার সময়ে হাসপাতালের একজন এসে ডাকল, কিছু নিয়ম মানার ব্যাপার আছে। আমিই গেলাম, এদিক ওদিক দিয়ে গিয়ে লোকটা একটা লম্বা প্যাসেজ দেখিয়ে সোজা সামনের ঘরটায় চলে যেতে বলল। আমি এগিয়ে যাচ্ছি, আমার বাঁদিকে পর পর ট্রলি রাখা, আর তার ওপর একটা করে মৃতদেহ। বুঝতে পারলাম ওই দেহগুলো ওই দুই প্লেনের হতভাগ্য যাত্রীদের। কপাল ভাল বলতে হবে যে ওই আট-দশটা দেহ সুকুদার মতই সাদা কাপড়ে পুরোপুরি মুড়ে দেওয়া। এত মৃতদেহ এক সাথে কখনও দেখিনি, পরবর্তী কালে অনেকবারই ছোট বড় শ্মশানে যেতে হয়েছে, তখনও না। ফিনাইল বা অন্য কোনও কিছুর ঝাঁঝাঁলো গন্ধে ভরা ঘরে ঢুকে দেখি দু’জন লোক একটা বড় টেবিলের ওপর সুকুদার শরীরটা রেখে কাপড়ের মোড়কটা খুলছে। আমি সুকুদার নাম বললাম, ওরা দেহটা দেখিয়ে জিজ্ঞেস করল ইনিই তো ? আমি মুখের দিকে তাকালাম, সুকুদার কপালে একটা সাদা প্যাচ আটকানো, তাতে নাম আর কিছু একটা নম্বর লেখা। বললাম, হ্যাঁ, ইনিই। একজন বলল, ঠিক আছে, আসুন, খবর দেব। শেষ বারের মত সুকুদাকে একবার দেখে নিয়ে দরজার দিকে ঘুরব, খেয়াল করলাম লোকটা একটা বোতল থেকে কিছু একটা স্প্রে করছে সুকুদার খোলা বুকের ওপর।
     
    নিজের জায়গা থেকে বহু বহু দূরে যদি কারও মৃত্যু হয় তাহলে যে কত রকম ঝকমারি হয় তা দেখলাম। এইমসের আই-সি-ইউ-তে সুকুদার ১১ দিন থাকতে খরচ হয়েছে সব মিলিয়ে হাজার চারেক টাকা। আর মৃত্যুর পর বডি পাঠানোর খরচ দু জন আত্মীয় সহ প্রায় ৪০,০০০ টাকা। সরকারি বেসরকারি ন্যায্য অন্যায্য সবরকম খরচ ধরে। তাও মা আর স্ত্রীর প্লেন ভাড়ায় নাকি কিছু ছাড়ের ব্যবস্থা করতে পেরেছিল অফিস।
     
    চাকরিতে বদল ঘটিয়ে জীবনে উন্নতির স্বপ্ন দেখেছিল সুকুদা। জানত না ‘’দিল্লি দূর অস্ত’’।

    কয়েক দিনের মধ্যেই আমাদের কনফার্মেসন টেস্ট এসে গেল ১৭ নভেম্বর তারিখে। পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল সাত জনের, দিলাম ছয় জন। অফিসেরই একটা বড় ঘরে বসে দেওয়া হল সেটা। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা, মাধ্যমিক, দিয়েছিলাম ১০ বছর আগে, সেটার কথা মনে পড়ছিল। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য বোর্ডের ক্লাস টেনের পরীক্ষা ছিল সেটা।

    সত্যি কথা বলতে পরীক্ষা খুব একটা ভাল হল না। তবে ফেল করব বলেও মনে হল না। ছ’টা খাতা দেখতে আর কতক্ষণই বা লাগবে, নিশ্চয় এক দু-দিনের মধ্যে রেজাল্ট বেরিয়ে যাবে, আর আমরাও কলকাতা আর তামিলনাড়ু ফিরে যাব। ও বাবা, কোথায় কী ? এক সপ্তাহ পেরিয়ে দু সপ্তাহ চলে গেল, রেজাল্টের দেখা নাই রে, রেজাল্টের দেখা নাই। বার কয়েক বসকে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’কী হল স্যার ?‘’ স্যার মিষ্টি হেসে বললেন, ‘’হবে, হবে। চিন্তার কারণ নেই।‘’

    পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার পর মনে হচ্ছে যেন নৌকায় পাল তুলে দিয়ে বসে আছি, হাওয়া দিচ্ছে না বলে নাও ছাড়া যাচ্ছে না। পাশ না করলে ট্রেনিং পিরিয়ড বেড়ে যাবে। সেটাও ভাল ব্যাপার না। আমাদের নিয়ে গুজবগুলো ফের মনে এসে যাচ্ছে। বনশ্রী সেনগুপ্তের একটা গান আছে – ‘’একবার দুইবার তিনবার কইলাম / চারবারের বার গাড়ি ডাকাইলাম / আড়ি আড়ি আড়ি আমি বাপের বাড়ি যাইলাম’’। ছাতার মাথা সেটাও আমাদের বলার উপায় নেই।

    এইখানে ‘বাপের বাড়ি’ নিয়ে দুই খান কথা কই। বিবাহিত বাঙালি মহিলারা প্রচুর ব্যবহার করেন এই দুটি শব্দ। আমি এককালে ভাবতাম ‘বাপ’ একটা গ্রাম্য শব্দ যেটা কোনও কারণে অত্যাধুনিক লেডিরাও স্বচ্ছন্দে বলে থাকেন। তারপরে আবিষ্কার করলাম ‘বাপ’ এসেছে সংস্কৃত ‘বপ্র’ থেকে যার অর্থও হল ‘জনক’।

    চাকরি থেকে চলে এলাম বাবার কথায়। এদের মধ্যে কখনও কখনও যোগসূত্রও থাকে। যেমন বাবার মৃত্যু হলে ছেলে বা মেয়ে ওই প্রতিষ্ঠানেই কাজ পায় অনেক সময়ে। তবে তাতে চাকরি পাওয়ার আনন্দটুকু হয়তো একটু ম্লান হয়ে যায়।

    যাই হোক, আমরা সবাই – মানে ছ’জনই - তো পরীক্ষা আর রেজাল্টের মাঝখানে ঝুলে আছি। আমাদেরই এক জন যে আরও একটা ব্যাপারে দিল্লি আর কলকাতার মাঝে ঝুলে আছে তা আর কে জানত। আর সেই ঝুলে থাকা মানে টেনিদার ভাষায় ‘পুঁদিচ্চেরি’ – মানে ব্যাপার অত্যন্ত সাংঘাতিক । অফিসের একজন বলেই ফেললেন যে এটা একেবারেই ‘অবিশ্বাস্য’। একেবারে জীবন আর মৃত্যুর ব্যাপার, ‘লাভ’ আর লোকসানের ব্যাপার।

    অফিস বড় দয়ালু, ঝুলন্ত অবস্থা থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হল, তবে শর্তাধীনে। যে বড় কর্তা ওই মহৎ কর্মটি করলেন, জানি না সে সময়ে তাঁর দাগ দেহলভির ওই কবিতাটা মনে এসেছিল কি না। নবাব মির্জা খানের জন্ম হয় ১৮৩১-এ দিল্লিতে। তিনি দাগ দেহলভি ছদ্মনামে ঊর্দূতে লিখতেন। ‘দেহলভি’ মানে হল যিনি দিল্লির মানুষ। ঠিক এই ভাবেই নাম নিয়েছিলেন ফিরাক গোরখপুরি (রঘুপতি সহায়) বা শাহির লুধিয়ানভির (আবদুল হাই) মত কবি। দাগ-এর সেই কবিতাটা হল ‘’জিসনে দিল খোয়া উসি কো কুছ মিলা / ফয়দা দেখো উসি নুকসান মে’’ (যে হৃদয় হারিয়েছে সেই কিছু পেয়েছে / এ লোকসানে তো লাভই বেশি)। (ক্রমশঃ)
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ২৫ এপ্রিল ২০২৩ | ৯৮৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kk | 2601:14a:500:e780:2d9e:2e96:aade:e92d | ২৫ এপ্রিল ২০২৩ ২০:০২518988
  • মনখারাপ করা পর্ব। শেষ লাইনে কবিতাটা অসাধারণ। খুব সত্যি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু প্রতিক্রিয়া দিন