এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  ছেঁড়াকাঁথা

  • ছেঁয়াবাজীর ছলনা - ৮ 

    লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | ছেঁড়াকাঁথা | ১৩ নভেম্বর ২০২১ | ১৮২৫ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • সকালে অনেকটা বেলার দিকে কখন যেন শ্রীহরি মিষ্টান্ন ভান্ডারের  বাইরে কাঙালি ভোজন করাত। বেশ অনেক লোক লাইন করে বকুলবাগানের রাস্তায় বসে খেত। রবিবার সকালে হোমওয়ার্ক হয়ে যাবার পরে মাঝে মাঝে জিজি আমাকে নিয়ে চামেলিপিসির বাড়ি যেত, ভবানীপুর থানা আর বিজলী সিনেমার মাঝখানের রাস্তাটা দিয়ে খানিক এগোলে বিজলী সিনেমার দেওয়াল শেষ হয়ে যাবার পরে রাস্তাটা এগিয়ে গিয়ে কেমন এঁকেবেঁকে সরু হয়ে যেত সেইখানে একটা খুব নীচু ছাদওয়ালা একতলা বাড়ি। চামেলিপিসিদের বাড়িতে কত্ত লোক, কোন্নগরের দাদুর বাড়িতেও অত লোক নেই। ওদের দুটো না তিনটে ঘরের সবকটায় প্রায় ঘরজোড়া চৌকি পাতা,  চৌকির পায়ার নীচে ইঁট দিয়ে উঁচু করা। কোন্নগরে দিদার ঘরের চৌকির নীচেও ওইরকম ইঁট দিয়ে উঁচু করা, তার নীচে কত্ত বাসন বড় বড় চাদরে জড়িয়ে বেঁধে রাখা।  পিতল কাঁসা তামা আর পাথরের ওইসব বাসন পুজোর দিনে বের করে বুড়িরমা-মাসীকে দিয়ে মাজিয়ে পুজোয় ব্যবহার করে। 
     
    চামেলিপিসিদের খাটের নীচে কী আছে সেটা দেখতে খুব ইচ্ছে করে, কিন্তু জিজি মানা করেছে। অন্যদের বাড়ি গিয়ে তাদের জিনিষপত্রের দিকে তাকানো নাকি ভারী অসভ্যতা। ওদের চৌকির তলায় এত এত জিনিষ যে কখনো  পাশ দিয়ে অসাবধানে যেতে গেলেও পায়ে গুঁতো লাগে শক্ত বস্তামত কীসবের সাথে। চামেলিপিসির বাড়ি থেকে  ফেরার সময় প্রথমদিন অত লোককে রাস্তায় লাইন করে বসে খেতে দেখে অবাক হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছিলাম। অনেকেই কেমন  নোংরা কালো জামা পরা, একদম সামনে যে তার শার্টের কাঁধে এত্তটা ছেঁড়া! ওদের মায়েরা বকে না জামা নোংরা করলে? জিজি তাড়াতাড়ি হাত ধরে টেনে নিয়ে আসে, ওদের নাকি বলে কাঙালি। শ্রীহরি ওদের ভোজন করায়।  রোজ রোজ লুচি ছোলারডাল খেতে পায় কী মজা! মা বোঝায়  না মোটেই  মজা নয়, সারাদিনে ওরা অনেকেই হয়ত আর কিচ্ছুই খেতে পাবে না। ওরা রাস্তায়ই থাকে, অনেকের মায়েরাও হয়ত ওই লাইনেই বসেছে। আমার খটকা যায় না, রাস্তায় থাকাটা কি খুব খারাপ ব্যপার? কেমন ইচ্ছেমত ঘুরে বেড়াতে পারে। 
     
    পুজোর ছুটিতে একদিন বাড়িতে  অনেক লোক আসে। মীনামা আসে দিদিভাইকে নিয়ে, দিদা আসে বড়মাইমা সেজমাইমাকে নিয়ে। অনেক ভাল ভাল রান্না হয়। মা দইমাছ রান্না করে। বড় পাকারুই দিয়ে এই রান্নাটা বাবার বন্ধুদের নেমন্তন্ন করলেই মা করে। দাদুর সাথে বাজারে গিয়ে দেখেছি আমি পাকারুই মানে এই অ্যা-অ্যা-ত্ত বড় রুই, আমার দুই হাত পুরোটা ছড়ালেও হাতের বেড়ে আসবে না অত্ত বড়। ভবানীপুরের বাড়িতে সব মাছ  বেশ কড়া ভেজে রান্না করা হয়। মা বলে দইমাছ ভাজতে নেই, দই আর আদা পেঁয়াজবাটা গরম মশল্লার সাথে আস্তে আস্তে রান্না হবে, মশল্লা মজে আসবে আর মাছ নরম হয়ে ধরে নেবে মশল্লার স্বাদ গন্ধ তবে রান্না ঠিক হবে। মন্টুদাদা ঠিকমত বানাতে পারে না, বুঝতেই পারে না মা’র কথা। আমাকে মানে জিগ্যেস করেছিল, আমিও তো বুঝি নি কী আর বোঝাবো। তাই মা’ই করে। কোন পুজো হয় না, ভাইফোঁটার মত কিছুও না তবু মা’কে সবাই মিলে বিরাট কাঁসার থালায় একসাথে সব বেড়ে সুন্দর করে সাজিয়ে খেতে দেয়। দিদা উলু দেয় কলকলিয়ে। 
     
    কী যে ব্যপার বুঝতেই পারি না। বোবো ঘাঁতুন ওরাও কিছু জানে না। মীনামা তো একদম বকে না, খালি হাসে আর আদর করে, তাই মীনামাকে চুপি চুপি জিগ্যেস করি। মীনামা আরো একটু আদর করে বলে মা নাকি আমার সাথে খেলার জন্য একজনকে আনতে যাবে, তাই এইসব খেয়ে দেয়ে গায়ে শক্তি করে নিচ্ছে। আরে এইটা তো বড়মাইমাও বলেছিল সেই ওরা সিমলা থেকে ফেরার পরে। মীনামা ঠোঁটে আঙুল দিয়ে বলে চুপ চুপ এখন কারো সাথে কিচ্ছু বলিস না, দেখবি না কেমন মজা হবে।  মা’কেও বলিস না, মা তো তোকে অবাক করে দেবে কিছু বলে নি, আমি বলে দিয়েছি জানলে খুব রাগ করবে। মায়ের রাগকে সবাই ভয় পায়, তাই আমি আর কাউকে কিচ্ছু বলি না। নভেম্বরের শেষদিকে মা দেখি একদিন বাবার ট্যুরে যাবার ছোট্ট  স্যুটকেসে শাড়ি জামা গুছিয়ে নিচ্ছে। খুশী খুশী লাগে, তাহলে আমরা কোন্নগরে যাবো।  মা কিন্তু আমার ফ্রক গোছায় না, শুধু নিজের শাড়ি ব্লাউস শায়া নেয়, পেস্ট সাবান চিরুণী আরো কিসব কাপড়ের পোঁটলা করা। আমায় সঙ্গে  নেবে না? 
     
    মীনামা আবার আসে।  দাদু দিদা আর বড়মাইমাও আসে আবার চলে যায়। মা রথীনকাকার নার্সিঙহোমে গিয়ে  থাকছে, রথীনকাকা মা’কে আমার জন্য একটা ভাই বা বোন এনে দেবে। কে যেন বলে জগুবাজার থেকে কিনে আনবে। কিন্তু তাহলে রথীনকাকার নার্সিঙহোমে গেছে কেন মা? জগুবাজার তো আমাদের বাড়ির একদম কাছে, এই ঈভল্যান্ড নার্সিঙহোমটা বরং বেশ অনেকটা দূরে।  অনেকটা হাঁটতে হয়। আর একদিন পরেই সকালে শুনি আমার একটা ভাই হয়েছে। জিজিরা সবাই যায় দেখতে, মন্টুদাদা আমাকে ইস্কুলের বাসে তুলে দিয়ে আসে। সুমিতা সুলগ্নাদের বলতেই ওরা বলে ওমা টফি আনিস নি? তুই কী রে? ভাই বোন হলে টফি আনতে হয়। কাল টফি নিয়ে আসবি। জিজিকে চুপিচুপি বলতে হবে ৩৫টা টফি কিনে দিতে। মিসদের না দিলে মিসরা রাগ করে যদি! জিজিকেই জিগ্যেস করব বরং।  আমরা বিকেলে দেখতে যাই। দিদা কাল রাত্রে ঈভল্যান্ডে ছিল, আজ কোন্নগরে চলে যাবে। তাড়াতাড়ি চলে যায় ছোটমামার সাথে। সব্বাই কি খুশী। মা’ও খুব হাসছে। 
     
    ভাইটা কি ছোট্ট, এইটুকুনি পুঁচকে। কেমন লালমত মুখ আর মাথায় চুল প্রায় নেই। কুট্টি কুট্টি হাত পা, তালুগুলো টুকটুকে লাল। এ আমার সাথে খেলবে কী করে? এ তো তাকাতেই পারছে না ঠিক করে। আবার কেমন হাঁ করে কাঁদে দেখো। কিন্তু মা ওকে একটুও বকছে না তো কাঁদার জন্য। কোলে শুইয়ে দুলিয়ে দুলিয়ে আস্তে আস্তে কীসব বলছে। আমার একটু রাগ হয়, মন খারাপ হয়। এত জোরে কাঁদছে তাও ওকে কান্না গিলতে বলছে না। একটু পরে সাদাশাড়ি পরা মাথায় কেমন তিনকোণা টুপির মত লাগানো দুইজন মহিলা এসে আমাদের তাড়া দেয়, বাইরে যেতে বলে। সময় শেষ হয়ে গেছে, আবার কাল। নীচে এসে সবাই বসে একটা ঘরে, রথীনকাকা আসলে কথা বলে তবে বেরোবে। ওই ঘরটার একটা দেয়ালে বেশ বড় দেয়াল আলমারি। আর তার ওপরের তাক ভর্তি পুতুল। কত্ত পুতুল কতরকমের পুতুল দেখতে দেখতেই আমার মাথায় বিদ্যুৎ চমকে যায়। এই আলমারি থেকেই রথীনকাকা ভাইবোন বের করে  নিয়ে মায়েদের দিয়ে দেয়। 
     
    আরো এক সপ্তাহ মা ওইখানেই রইল ভাইকে নিয়ে। আমাকে নিয়ে রোজ বিকেলে মীনামা যেত, কোন কোনদিন জিজি আর কুটুবাবুও ইস্কুল থেকে এসে যেত। সেদিন আমরা সবাই মিলে ট্রামে কি বাসে করে ফিরতাম। কিন্তু মীনামা একলা হলেই ফেরার সময় আর ট্রামে উঠতে চাইত না। রাস্তা প্রায় ফাঁকাই থাকত, শুধু হাজরা মোড়ের ওইখানটায় একটু ভীড়। বড় হয়ে মা’র কাছে শুনেছি মীনামা নাকি একা একা ট্রামে বাসে চড়তে রাস্তা পেরোতে খুব ভয় পেত, মা’ও পেত। তাই ওরা দুজনে একসাথে কোথাও  বেরোলে হেঁটেই মেরে দিত যতটা পারে। জিজি আর বাবা নাকি আবার ওদের দুজনকে নিয়ে হাসত। তারপরে তো মা বাড়ি আসার এক সপ্তাহের মধ্যেই  আমাকে আর ভাইকে নিয়ে দেড়মাসের জন্য মা গেল কোন্নগর,  বাবা আর জিজি থেকে গেল ভবানীপুরে। শীতকালে মামাবাড়ির বাইরের লাল বারান্দায় প্রায় সারাদিন রোদ্দুর থাকে, দিদা বেশ করে ঠেসেঠুসে ভাইকে সরষের তেল মাখিয়ে শুইয়ে রাখে, রোদ্দুরে গামলা রেখে জল গরম হলে স্নান করায়। 
     
    দাদু সকাল থেকে পুবের ঘরের পাশের কপিক্ষেতে  আগাছা তোলে, গোড়ার মাটি খুঁচিয়ে উস্কে দেয়। ছোট্ট ছোট্ট ফুলকপি আস্তে আস্তে বড় হয়ে উঠছে। ওলকপিরা মাটির নীচে বড় হয়।  সামনের পাঁচিলের পাশের লাল আর হলদে রঙ্গনের গাছ একেবারে ফুলে ফুলে আলো হয়ে গেছে। পাতার ফাঁকে ফাঁকে সরু জাল বুনে রাখে মাকড়সা, দাদু সকালে একটা শুকনো গাছের ডাল কি ঝাঁটার কাঠি দিয়ে ভাঙে, আমি সঙ্গে সঙ্গে ঘুরি। এমনিতেই কোন্নগরে এত মজা, তারপরে এবারে আবার কোনও হোমটাস্কও নেই। সেই জানুয়ারীতে ইস্কুল খুলবে, তখন নতুন বই। বাবা বুকলিস্ট তুলে বই খাতা  কিনে রাখবে, জিজি দাঁ পেপার হাউস থেকে ব্রাউন পেপার আর লেবেল কিনে এনে বইখাতায় মলাট দিয়ে লেবেল লাগিয়ে রাখবে। কোন্নগর থেকে ফিরে তারপর  আমি ইস্কুলে যাব আবার। এবারে ক্লাস ওয়ান। মা বলে ইস্কুলডা ভালা আছে, বাড়িত বই দেয় না, পড়াইয়া দিতে কয় না। দাদু খুঁত খুঁত করে পোলাপানের পড়া নিজে না দেখলে হয় না, তরা সবডিরে আমি দেখসি। ছোটমামা হাসে, হ্যাঁহ তোমাদের দিন আর নেই। 
     
    ভাই হবার কয়েকদিন পরেই লালীর একটা বাছুর হয়েছিল। লালীর কথা আগে বলেছি না? সেই যে কটক মেলের ইঞ্জিনের সাথে বেঁধে যার বাছুরকে কটকে নিয়ে যাব ভেবেছিলাম সেই লালী, দাদুর খুব যত্নের আদরের গরু। এই মোটা মোটা শিঙ, কিন্তু কক্ষণো কাউকে গুঁতায় নি। এবারের বাছুরটা নাকি বকনা বাছুর, আগেরগুলো সব এঁড়ে ছিল। বড়মাইমা বুঝিয়ে দেয় বকনা বাছুররা বড় হয়ে গরু হয়ে গেলে দুধ দেয় লালীর মত। এঁড়েরা বড় হলে  দুধ দেয় না, মাঠে যায় হালচাষ করতে। এঁড়ে আর বকনা চেনা যায় কী করে এইটা আর বড়মাইমা বোঝায় না, বলে বড় হলে নিজে নিজেই বুঝে যাব। এই হল বড়দের সমস্যা, কোনোকথা পুরো বলবে না। আসলে জানেই না। লালী দুইবেলা দেড় বালতি করে দুধ দেয়। দিদা বলে ভাইয়ের পয়েই নাকি  সব ভাল ভাল হচ্ছে, বাবার নতুন চাকরি হল কত জিনিষ হল। দাদু শুনতে পেয়ে একদিন চাপা গলায় দিদাকে বকছিল ‘পোলাপানের সামনে এইতা কিতা কও, মুহ লাগাম নাই?’   আমি শুনেছি। দিদাও উলটে কত কী বলল বুঝতে পারি নি। 
     
    জানুয়ারী মাসের শেষের দিকে আমরা আবার ভবানীপুরে ফিরে এলাম। বাবা এখন রোজ মুড়ির টিনে করে অফিস যায়, সুখলালকাকা সকালে এসে বেল বাজালে আমি গাড়ির চাবি নিয়ে দৌড়ে নীচে গিয়ে দরজা খুলে দিয়ে আসি। ভারতীর পাশে গ্যারাজে থাকে মুড়ির টিন, সুখলালকাকা গিয়ে তাকে জল দিয়ে ধুয়ে  পরিস্কার করে এনে ইন্দ্র রায় রোডে বাঁদিকের ফুটপাথ ঘেঁষে দাঁড় করায়। বাবার তাড়াতাড়ি বেরোবার থাকলে আর স্টার্ট বন্ধ করে না, মুড়ির টিন একবার থামলে আর চলতে চায় না তো। মা আমার চুল আঁচড়ে দিতে দিতে চাপা গলায় বলে এই তোর জন্য, তোর জন্য আমাকে দেড় মাসের মাথায় চলে আসতে হল, শরীরটা সারলই না। তোর সময় আমি প্রায় ছয়মাস কোন্নগরে ছিলাম, মা’র যত্নে শরীর একদম ফিট করে এসেছি। তোর জন্য বুড়োও যত্ন পেল না একটু। ইস্কুল যাইবাইন! ইস্কুলে গিয়া এক্কেরে আমার স্বর্গে বাতি দিব তো। ভাইকে সব্বাই বুড়ো বলেই ডাকে। কিন্তু আমার ইস্কুলের সাথে ওর যত্নের কী সম্বন্ধ বুঝি না। মা’র  শরীর কত খারাপ তাও বুঝি না, দিব্বি তো ভাইকে আদর করছে খাওয়াচ্ছে।   পেটটা কেমন খালি খালি লাগে, বুঝি না বুঝি না এদের কথা কিচ্ছু বুঝি না আমি।
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ১৩ নভেম্বর ২০২১ | ১৮২৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kk | 68.184.245.97 | ১৩ নভেম্বর ২০২১ ২২:২৬501127
  • ছোট্ট মেয়েটা, তোমার জন্য আমার খুব মনকেমন করে। এই কিচ্ছু বোঝা যায়না এমন কথাগুলো কী যে কষ্টের!
  • কৌশিক ঘোষ | ১৩ নভেম্বর ২০২১ ২৩:০৫501133
  • খুব খেপেছিলাম ৮ নম্বরটা 'আসবে পরে' লিখে আবার ডিলিট করে দিয়েছিলেন বলে।
    কিন্তু এইটা পড়ার পরে...  ঐ ফুলকপির গাছ, মাকড়সার জাল, পুতুলের দোকান থেকে ভাইবোন দেওয়া, মায়ের ভাই আনতে যাওয়া, জিজির বইয়ে মলাট দেওয়া... কি যে ভালো লাগছে পড়তে, এ তো আমাদের জেনারেশনের সবার ছোটবেলার কথা।
    দারুণ, দারুণ।
  • | ১৪ নভেম্বর ২০২১ ১৯:১৭501167
  • হা হা হা হা আরে ওটা ৭ ই দুবার ছাপা হয়ে গেসল। নিজে ডিলিট করতে না পেরে আইটিওলাসুলভ ওয়ার্ক অ্যারাউন্ড দিয়েছিলাম ৮ বানিয়ে। পরে ব্যাক এন্ড থেকে ডিলিট করিয়েছি।
  • কৌশিক ঘোষ | ১৪ নভেম্বর ২০২১ ২২:৪৪501188
  • জগুবাজার, হাজরা মোড়, কালিঘাট ট্রাম ডিপো, হরিশ মুখার্জি রোড, বসুশ্রী, ইন্দিরা, পূর্ণ, এগুলো আমার ছোটবেলার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে। ফলে আটটা পর্ব পড়তে পড়তে বারবার ছোটবেলায় ফিরে ফিরে গেছি।
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ১৪ নভেম্বর ২০২১ ২৩:০০501189
  • গতকাল থেকে শুরু করে এখন পড়া শেষ হল।  নিজের জীবনে জড়িত প্রিয় নাম সব - কোন্নগর, কল‍্যাণী। কত সব চেনা ছবি। বড় ভালো লিখছ গো দমুদি।
    হাঁটুর বয়সী খুকি নাকি এখন বদ্দিবুড়ি! কচু, আমি মানি না।
    ভয়ানক মন-খারাপ-করা অংশটা পড়ে থমকে গিয়েছিলাম। 
    পরের সংখ্যার অপেক্ষায় থাকলাম। অনেক ভালোবাসা।
  • Ranjan Roy | ১৭ নভেম্বর ২০২১ ০৬:০৫501260
  • বড় মায়াবী লেখা। বুড়ো হয়েছি, ফেলে আসা সময়ের জন্য মন কেমন করে। 
    ইন্দ্র রায় রোড , জগু বাবুর বাজার।  আবার যদি হাওয়াই চটি পায় ফটর ফটর করে ওই  ফুটপাথগুলো চষে বেড়াতে পারতাম!
     
  • Emanul Haque | ১৯ ডিসেম্বর ২০২১ ১৯:৫৫502228
  • আর কি। একসঙ্গে সবকটা পড়লাম। লিখুন
  • Emanul Haque | ২৭ জানুয়ারি ২০২২ ১৬:৫৫503160
  • থামলেন কেনো?
  • | ২৭ জানুয়ারি ২০২২ ১৮:২৩503162
  • না না থামি নি। নামদাফা লিখছি তো। আরো অন্তত তিনটে পর্ব হবে। তারপর ফিরব এটায়। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ মতামত দিন