এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • জ‍্যাকপট!

    Samaresh Mukherjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৩৮৮ বার পঠিত
  • টুঙ্কু, বাপন, সোনাই, তিন্নি - এসব ডাক নাম। পাড়ায় দুর্গাপুজোর সুভেনিরে ভেতরের দিকে কোনো এক পাতায় তলায় দিকে - "যাদের বাদ দিয়ে চলে না" - শিরোনামে এসব নাম পদবী ছাড়াই ছাপা হয়। দু এক লাইনেই শেষ। ব‍্যতিক্রম ব‍্যতীত বেশিরভাগ পুজোর সুভেনিরের বাঁধা গৎ। প্রথমে থাকে 'আমাদের কথা' জাতীয় একটা ভাবগম্ভীর লেখা। তার‌পর থাকে সভাপতি‌র বক্তব্য। আবেদন করে পা‌ওয়া মুখ‍্যমন্ত্রী বা জেলাশাসকের পাইকারি হারে বিলোনো যান্ত্রিক শুভেচ্ছা‌বার্তা। সংঘের কে কোন দায়িত্বে ছিল তার ফিরিস্তি। গত সালের হিসেব নিকেশ। কিছু স্থানীয় প্রতিভা‌র কাঁচা হাতের লেখা। কিছু ছবি। ইত্যাদি।

    সুভেনিরের বাকি পাতা জুড়ে‌ থাকে নানা কোম্পানির বিজ্ঞাপন বা গুপ্ত‌দান করার মতো বিজ্ঞপ্তি "With Best Compliments From - A Well Wisher" যা ছাপা‌ বস্তুত অর্থহীন। এসব বিজ্ঞাপন খুঁটিয়ে তো ছাড় কেউ চোখ বুলিয়ে‌‌ও দ‍্যাখে না। যারা বিজ্ঞাপন দেয়, তারাও তা জানে। তবু দেয়। পরিচিতি‌র সুবাদে উপরোধে ঢেঁকি গেলা অনুদান। কিন্তু টুঙ্কু, বাপনের মতো ছোটদের কাছে ঐ তিন লাইনের গুরুত্ব অনেক।

    লক্ষ্মী পুজোর দিন সুভেনির বেরিয়েছে। প‍্যান্ডেলের এক কোনে পাতা ত্রিপলে গোটা দশেক কচিকাঁচা একটা সুভেনিরের ওপর হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। নিজের নিজের নাম দেখে শিশু কণ্ঠের উৎসাহিত কলরোল উঠছে, 'এই তো আমার নাম'। ছাপার অক্ষরে নিজের নাম দেখে উল্লসিত হ‌ওয়ার অনুভবে‌র মধ‍্যে লুকিয়ে আছে নামমাহাত্ম্য উপলব্ধির সুপ্ত বীজ। ভবিষ্যতে যার অমোঘ প্রভাব হয়তো কাউকে তাড়িয়ে‌ও বেড়াতে পারে।

    কয়েকবার খুঁটিয়ে দেখেও সুভেনিরে নিজের নাম না দেখতে পেয়ে ছ বছরের তিন্নির বেশ মন খারাপ হয়ে গেছে। দল থেকে একটু দুরে একাকী চেয়ারে বসেছিল ও। দিলীপকাকু এসে তিন্নির পাশের চেয়ারে বসে বলেন, 'এমা, পুজোর দিন তিন্নির মুখ এমন ভার কেন?' পূর্ণ দৃষ্টিতে তাকায় তিন্নি। প্রতিমা‌র মতো সুন্দর মুখ চাপা অভিমানে টসটস করছে। ধীর স্বরে বলে, 'ব‌ইতে আমার নাম নেই'। দিলীপকাকু‌ই ছিলেন সুভেনিরের দায়িত্বে। তাই এই বিচ‍্যূতি‌তে উনি বাস্তবিক লজ্জিত হয়ে এ্যাত্তো বড় জিভ কেটে বলেন, 'এমা তাই নাকি? এহেঃ, তাহলে তো খুব ভুল হয়ে গেছে রে। তবে এখনো তো সুভেনির দেওয়া শুরু হয়নি। আমি তোর নাম পেন দিয়ে সব কটা সুভেনিরে লিখে দিচ্ছি। ঠিক আছে? মন খারাপ ক‍রে না সোনা।'

    দিলীপকাকু‌র আন্তরিক‌তা তিন্নির শিশু মনকে‌ স্পর্শ করে। সত্যি‌ই তো, ভুল তো হতেই পারে। পরক্ষণেই মনে হয়, এখন আর হাতে লিখে‌ই বা কি হবে? বন্ধুরা তো সবাই‌ জেনে‌ই গেছে আমার নাম ব‌ই‌তে নেই। এখন লিখলেও ওতে সবার নাম থাকবে ছাপার অক্ষরে আর ওরটা‌ই থাকবে শুধু পেনে। তাই একটু ফ‍্যাকাশে হাসে তিন্নি। দিলীপকাকু এই অস্বস্তি‌কর প্রসঙ্গ বদলাতে বলেন, 'ঐ দ‍্যাখ তিন্নি, আ‌ইসক্রিম‌ওলা এসেছে, চল আমরা আইসক্রিম খাই। তুই কী খাবি?' একটা অরেঞ্জ ক‍্যান্ডি চুষতে চুষতে বাড়ির দিকে হাঁটা দেয় তিন্নি। কাছেই বাড়ি। রাস্তার পাশে রায়বাড়ির রকের কাছে এসে একটু থমকে দাঁড়ায় তিন্নি। মনে পড়ে চতুর্থীর সকালের ঘটনা।

    পুজো কমিটি থেকে বিশ পয়সার কুপনের কুড়ি পাতার এক এক‌টা ব‌ই ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে পাড়ার কচি কাঁচাদের। ওরা মৌমাছি বাহিনী। এমন কিছু পয়সা ওতে ওঠে না কিন্তু এভাবে ওদের পাড়ার পুজোয় জড়িয়ে রাখা হয়। অচেনা কেউ গেলে ওরা ব‌ই হাতে পিছু নেয়। কেউ নেয়, অনেকেই নেয় না। পাড়ায় পাড়ায় পুজো। সব জায়গাতেই ক্ষুদেবাহিনীর উৎসাহের সীমা নেই। তাই ওরা 'নিন না কাকু, নিন না কাকু', বলতে বলতে সাথে সাথে হাঁটে। কিন্তু লোকেরাই বা কত কুপন নেবে? তবে সবাই ছোট, তায় সেই পাড়ার পুজো এলাকা দিয়ে‌ই যাচ্ছে লোকে। তাই কিছু বলাও যায় না। ফলে কেনার ইচ্ছা না হলে মুখে কিছু না বলে অনেকেই নির্বিকার ভাবে চলে যায়। তারা জানে খানিকটা এসে ওরা রণে ভঙ্গ দেবে। পাকড়াও করবে অন‍্য কাউকে। কেউ আবার কুপন কিনে দশমী অবধি রেখে দেয়। কেউ বেচতে এলে পকেট থেকে বের করে দেখা‌য়। ওদের‌ই কেউ আগে গছিয়েছে। তখন ওরা জিভ কেটে পালায়।

    তিন্নির ছোট থেকেই মান অপমান বোধ প্রখর। বন্ধুদের কুপন বিক্রির প্রক্রিয়া ও খুঁটিয়ে দেখেছে। নিঃশব্দে ভাবলেশহীন মুখে চলে গেলে‌ও তবু ঠিক আছে কিন্তু কেউ কেউ আবার হাত দিয়ে এমন মাছি তাড়ানোর মতো ভঙ্গি করে, যেন ভিখারি পয়সা চাইছে। তিন্নির খুব মনে লাগে। চারদিন হয়ে গেছে স্বপন‌কাকু একটা কুপনের ব‌ই দিয়ে‌ছে। কিন্তু এইসব দেখেশুনে, প্রত‍্যাখানের আশাঙ্কায়, এখন‌ও অবধি ও মুখ ফুটে কাউকে বলতেই পারলো না, তো বেচবে কি। একবার ভাবে স্বপনকাকুকে গিয়ে বলে, আপনি এটা ফেরৎ নিয়ে নিন, আমার দ্বারা হবে না। আবার ভাবে তাহলে তো কাকলি বা তাতানের কাছে মান ইজ্জত বলে আর কিছু থাকবে না। এর মধ‍্যেই ওরা একটা ব‌ই শেষ করে দ্বিতীয় ব‌ইয়ের অর্ধেক বেচে ফেলেছে। সবাই ভাববে তিন্নি একটা ঢেঁড়শ।

    একটা ব‌ই বেচতে পারলে‌ ক্লাব থেকে বেচুদার দোকানের ঘুঘনি খাওয়াবে। সেটা অবশ‍্য এমন কিছু বড় ব‍্যাপার নয়। কারণ মা তার থেকে ঢের ভালো ঘুঘনি বানায়। তবে স্বোপার্জিত ঘুঘনির স্বাদ‌‌ই আলাদা। বাড়ি গিয়ে তিন্নি মায়ের আঁচলে মুখ লুকিয়ে আব্দার করে, 'তুমি‌ই পুরো ব‌ইটা নিয়ে নাও না মা।' মায়ের খুব হাসি পায়। তিনি জানেন তা‍ঁর লাজুক মেয়ের স্বভাব। ষষ্ঠির দিন সন্ধ্যায় তো হিসাব দিতে হবে, তখন না হয় যা বেঁচে থাকবে তিনি নিয়ে নেবেন। কিন্তু তিনি চান তিন্নি‌ও একটু চেষ্টা করুক। এত মুখচোরা হলে কী চলে। তাই তিনি কৃত্তিম ছলনা করে বলেন, 'ইইইঃ, ইল্লি আর কী! বেচতে‌ই যদি না পারবে তো নিয়েছো কেন? আর নিয়েছো যখন একটু চেষ্টা করে তো দ‍্যাখো। পাড়ার পুজোয় তোমার‌ও কিছু অবদান থাকলে তো ভালো‌ই।'

    চতুর্থীর দিন সকালে তিন্নি এই লাল রকটায় একটা সাদা ফ্রিল দেওয়া ফ্রক পড়ে পা ঝুলিয়ে বসে ছিল। ছোট্ট একটা পরীর মতো লাগছিল ওকে। মধ‍্য তিরিশের এক সুদর্শন ভদ্রলোক আসছিলেন। চোখে কালো রোদ চশমা। এই রকের কাছে এসে উনি একটু দাঁড়ালেন। একটা জুতোর ফিতে একটু আলগা হয়ে গেছে। হাতের এ্যাটাচিটা রকে রেখে পা টা রকের কোনায় তুলে তিনি জুতোর ফিতে‌ বাঁধছিলেন। তিন্নির মনে হলো এ‌নাকে হয়তো বলা যায়। টুপ করে রক থেকে নেমে তাঁর পাশে গিয়ে কচি মুখটা তুলে তিন্নি রিনরিনে গলায় বলে, 'কাকু, একটা কুপন নিন না।'

    কিছুক্ষণ মুগ্ধ দৃষ্টিতে তিন্নির উজ্জ্বল মুখের দিকে তাকিয়ে থাকলেন তিনি। মুখে খেলে যায় কিছু অনুক্ত আল্পনা‌র আঁকিবুকি। তিন্নি ততক্ষণে সাহস ক‍রে একটা কুপন ব‌ই থেকে ছিঁড়ে ওর ফর্সা হাতে বাড়িয়ে ধরেছে। বড় বড় দু চোখে কাঁপছে তিরতিরে দ্বিধা। ভদ্রলোক দু হাঁটুতে হাতের ভর দিয়ে তিন্নির মাথার সমানে ঝুঁকে এসে খুব নরম ভাবে বললেন,

    - 'তোমার নাম কী?'

    - 'তিন্নি'।

    - 'বাঃ, খুব মিষ্টি নাম তো! এটা কী?'

    - 'পুজোর কুপন। কুড়ি পয়সা দাম। আপনি একটা নিন না।' বলার ভঙ্গিতে প্রচ্ছন্ন আকুলতা।

    - 'আমি নিলে কি তোমার ভালো লাগবে?'

    তিন্নির গভীর মায়াময় চোখে এবার খেলে যায় প্রত‍্যাশার ঝিলিক। বড় করে মাথাটা একপাশে হেলিয়ে সায় দেয় ও। ডান হাতের দুটো আঙ্গুলে কুপনটা প্রজাপতির মতো ধরা।

    - 'আচ্ছা তিন্নি আমি কী করলে তুমি খুব খুশি হবে?'

    তিন্নি একথার অর্থ বুঝতে না পেরে বিহ্বল দৃষ্টি‌তে তাকায়।

    - 'তোমার ঐ ব‌ইতে আর কটা কুপন আছে?'

    - 'উনিশটা। চারদিন আগে স্বপনকাকু দিয়েছে। আমি এখনো অবধি একটাও বেচতে পারি নি'। নিজের ব‍্যর্থতা স্বীকার করতে গিয়ে লজ্জায় মুখটা একটু করুণ দেখায়।

    - 'যদি আমি তোমার গোটা ব‌ইটা নিয়ে নি? তুমি কি তাহলে খুউউব খুশি হবে?' এবার খুব‌টা একটু টেনে বলেন উনি।

    একটা সূর্যমুখীতে নিমেষে খেলা করে যায় শতেক সূর্যের ঝলক। তবু যেন ঠিক বিশ্বাস হয় না। 'আপনি পুরো ব‌ইটা‌ই নেবেন? সত‍্যি?'

    - 'নিশ্চ‌ই, এই নাও', ভদ্রলোক দুটি নতুন দু টাকার নোট বাড়িয়ে ধরেছেন তিন্নির দিকে। একটা কচি হাত কুপনের ব‌ইটা তুলে দেয় সাগ্ৰহে বাড়িয়ে থাকা পরিণত হাতে। তিন্নির মনে হয় কাকুটা কী ভালো! কুপনের ব‌ইটা পকেটে ফেলে, উনি তিন্নির একমাথা কোঁকড়া চুলে হাত বুলিয়ে বলেন, 'ভালো থেকে তিন্নি। পুজোয় খুব আনন্দ কোরো, কেমন।'

    তিন্নির মুখ ঝলমল করে ওঠে একরাশ খুশিতে। ভদ্রলোকের মুখে‌ও লেগে আছে গভীর তৃপ্তির আবেশ। মাত্র চার টাকার বিনিময়ে উনি‌ যা পেলেন তার হদিশ তিন্নি কখনো পাবে না। হাত নেড়ে টা-টা করে চলে যান উনি। আনন্দে আত্মহারা হয়ে তিন্নি ছুট লাগায় বাড়ির দিকে। এক্ষুনি গিয়ে বলতে হবে মাকে, আজ কী হয়েছে জানো মা ….

    (এই শিশুপাঠ‍্য গোত্রের কাহিনীটি হয়তো এই ফোরামে‌র গুনমানের সাথে যায় না। তবে এটা আমার একটা প্রিয় লেখা। তাই এখানে শেয়ার করতে ইচ্ছে হোলো। এটা ত্রিপুরা থেকে প্রকাশিত একটি ওয়েব ম‍্যাগ রিয়াবুতু-তে ১৯শে আগস্ট ২০১৯ প্রকাশিত হয়েছিল।)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:1c1d:b5ae:2a58:813a | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৩:৩৩523829
  • খুব ভালো লাগলো। 
  • r2h | 165.1.172.197 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯:২৬523836
  • ভালো লাগলো।
  • kk | 2607:fb91:140e:8383:6591:5130:ffae:ca78 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:৩৭523837
  • আমার খুব ভালো লাগলো লেখাটা। তিন্নিরা আমার খুব চেনা।
  • aranya | 2601:84:4600:5410:140d:c873:e561:a471 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৩:২২523840
  • সুন্দর 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন