এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  ছেঁড়াকাঁথা

  • ছেঁয়াবাজীর ছলনা  - ১০

    লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | ছেঁড়াকাঁথা | ০২ অক্টোবর ২০২২ | ১২২৫ বার পঠিত
  • রাবড়ি নামে যে একটা দারুণ ভাল খাবার আছে সেটার নাম আমি জানতে পারি ভাইয়ের প্রথম জন্মদিনে। আমি ক্লাস ওয়ান শেষ করলাম আর ভাইও জন্মের এক বছর পূর্ণ করল। জিজি ভাইয়ের জন্মদিনে কি সুন্দর একটা গোল মস্ত বড় অ্যাসর্টেড বিস্কুটের কৌটো এনে দিল। তার ভেতরে  তিনটে স্তরে  সাদা ফিনফিনে কাগজের বিছানায় ছোট ছোট গর্তে নানারকম স্বাদ ও আকৃতির বিস্কুট শোয়ানো। এক এক স্তরে মনে হয় বারোটা করে বিস্কুট ছিল। কয়েকটার ভেতরে ক্রিম দেওয়া, কয়েকটার ভেতরে চকোলেট, সে আবার দুই রকম – তিতো কালো চকোলেট আর মিষ্টি  ঘিয়ে রঙের চকোলেট। কয়েকটায় জেলি দেওয়া নানারঙের। কতগুলো  আবার এমনিই নানারকম আকৃতির,  কোনটা হাতী তো কোনটা ফুল। শুধু একদম উপরের স্তরের ঠিক মাঝখানে একটা ছোট্ট কুঁড়েঘর বিস্কুট আর তার দুই পাশে দুটো ছোট্ট ছোট্ট পুতুল বিস্কুট। বাক্সটা খুললেই কি যে সুন্দর একটা গন্ধ বেরোয়! কৌটোর  উপরের ঢাকনিতে আবার একগোছা কালচে লাল গোলাপ আঁকা। ভাই কি এত বিস্কুট খেতে পারবে? ও  তো এখনো  দুধ, ফ্যারেক্স এইসবই বেশী খায়।  ওকে ভাত খাওয়াতে  একঘন্টা লাগে মায়ের।

    বিস্কুটের বাক্সটার জন্য আমার খালি খালি লোভ হতে থাকে। আমি জানি লোভ খুব খারাপ, রান্নাঘরে কেউ নেই দেখে  চুপিচুপি বিস্কুটের কৌটোটা  খোলার চেষ্টা করছিলাম; কি শক্ত ঢাকনি বাপরে! মঞ্জুদিদি দেখে ফেলে মা’কে বলে দিল, মা তখন বলেছিল ‘তোর বড্ড লোভ, এত লোভ ভাল নয়।‘  দুদিন পরে একদিন  বিকেলের দিকে আমরা সবাই মিলে বেরোলাম শর্মার রাবড়ি কিনতে।  ট্যাক্সি করে অনেকদূর গিয়ে  নামা হল। সে রাস্তার সমস্ত দোকান বন্ধ, বাবা ভাইকে কোলে নিয়ে হাঁটতে শুরু করল, পিছনে আমরা। বড় হয়ে বুঝেছি সেটা রামমন্দির গিরিশ পার্ক অঞ্চল ছিল। শর্মার দোকান সেদিন বন্ধ ছিল কোন কারণে, রবিবার বলে অন্য সমস্ত দোকানও বন্ধ রাস্তাটা কেমন অদ্ভুত লাগছিল দুইদিকে সারি সারি শাটার ফেলা দরজা আর মাঝখানে মস্ত চওড়া একটা রাস্তা। বাবা কয়েকবার ফুটপাথ ধরে একমোড় থেকে আরেক মোড় অবধি গেল যদি আর কোন দোকানে ভাল রাবড়ি পাওয়া যায়, কিন্তু নাহ। রাস্তায় বাস ট্রামও বেশ কম,  অনেক পরে পরে যাচ্ছে। ফেরার জন্য ট্যাক্সী ধরতে গিয়ে মা’র খেয়াল হল ভাইয়ের মাথা থেকে সুন্দর টুপিটা পড়ে গেছে, সেও আর খুঁজে পাওয়া গেল না। হয়ত ও-ই টেনে ফেলে দিয়েছিল মাথা থেকে, টুপি তো পরতে চাইত না একদম।

    তো সেই শর্মার রাবড়ি আমাদের বাড়িতে একটা কিংবদন্তীর মত ছিল বহুকাল। আমি   মোটামুটি একটা চাকরি পেয়ে গিরিশ পার্কে গিয়ে কিনে এনে তবে আমরা খেলাম। বাবা  আর কোনরকম রাবড়িই খাবার সুযোগ পায় নি,  পরের বছর ডিসেম্বরেই তো সেই খ্রীস্টমাস ঈভটা এলো। বহরমপুরে ট্যুরে গেলে ছানাবড়া আনত আর কোথা থেকে যেন মনোহরা। সেসব আসত কাগজের ফিতে দিয়ে বাঁধা বড় বড় মাটির হাঁড়িতে। মিষ্টি শেষ হলে হাঁড়িগুলো ছাদে একটার উপরে আরেকটা উবুড় করে রাখা থাকত। মন্টুদাদা থাকতে দুটো হাঁড়ির তলায় ফুটো করে কোত্থেকে যেন মাটি এনে ভরে গাছ লাগিয়েছিল। মঞ্জুদিদি ওসব পারে না। ওকে মা আমাদের দুজনকে একটু দেখে রাখতে বলে কাছাকাছি বেরোলে আমি  ফাঁকি দিয়ে টুক করে ছাদে উঠে গিয়ে পাঁচিলে ঝুঁকে   কাঠের টুকরো দিয়ে আওয়াজ করতাম আর রাস্তার লোকে মুখ তুলে তাকালেই মুখ ভ্যাংচাতাম। এই খেলাটা পুরানো হয়ে গেলে নীচের অফিসঘরে আঠার শিশি খুলে কাত করে দোতলার জানলা দিয়ে ফেলতাম। দোতলার জানলা থেকে একটা লম্বাআআ আঠার লাইন নীচের দিকে নেমে যেত, দেখতে যে কি মজা লাগত।

    এত্ত মজা লাগত বলে  রোজ রোজ করছিলাম,  আঠার শিশি ফুরিয়ে যেতে লাগল। একদিন মঞ্জুদিদি দেখেও ফেলল। আর অমনি গিয়ে মা’কে বলে দিল। ব্যাসস আঠার শিশি উঠে গেল বইয়ের আলমারীর মাথায় আর আমার পিঠে কানে কটা গুম গুম কশকশ। মনের দুঃখে বোবোকে বললাম আমিও মঞ্জুদিদির কান কশকশ করে মুলে দেবো। বোবো হেসেই কুটিপাটি, বলে তুমি তাহলে আরো মার খাবে দেখো। ঘাঁতুন বলে তুমি মনে রেখে দাও, বড় হয়ে শোধ নিয়ে নিও। আমরা তাই করি, সব মনে রেখে দিই। মঞ্জুদিদিকে ভাই বলত নন্নু, কী করে যেন শিখেছিল পচা সবসময় বলত পচানন্নু। মা আর জিজি ভাবল আমি শিখিয়ে দিয়েছি। আমি যে শিখাই নি তা কিছুতেই বিশ্বাস করল না। ভাইটা খুব বিচ্ছু ছিল, এখনও তাই। মা একদিন আলমারি খুলে জামাকাপড় বের করছে, কয়েকটা ন্যাপথালিন বল গড়িয়ে এসেছে মাটিতে। ভাই একটা তুলে কপাৎ করে মুখে দিয়ে ফেলল। মা হাঁইমাই করে বের করতে যেতেই বলটা গিলেও ফেলল। তারপর তো হইহই কান্ড, বাবা তখন কলকাতায়ই নেই। জিজি আর মা নিয়ে গেল কোথায় যেন।

    জিজি আবার গিয়ে বলেছে ‘ডাক্তারবাবু এই বাচ্চাটা ফিনাইল খেয়ে ফেলেছে’। ডাক্তার নাকি যেমন অবাক তেমনি শঙ্কিত। মা তাড়াতাড়ি বলে না না ন্যাপথ্যালিন বল। তারপর বলের আনুমানিক সাইজ জেনে ডাক্তারবাবু নিশ্চিন্ত হয়ে বললেন চিন্তার কিছু নেই। অষুধ দিচ্ছি পায়খানার সাথে বেরিয়ে যাবে। জিজির এই ‘ফিনাইল খেয়ে ফেলেছে’টা মা আর জিজির হাসাহাসির বিষয় ছিল অনেকদিনের। ভাইয়ের যখন বছর দেড়েক একদিন ইস্কুল থেকে এসে দেখি সেজমামা এসেছে। সেজমামা খুব কম আসে ভবানীপুরে। শুনলাম আমাদের নাকি একটা কুট্টি বোন হয়েছে মা দেখতে যাচ্ছে। তাড়াতাড়ি হোমওয়ার্ক করে নিলে আমাকেও নেওয়া হবে। চটপট দুধভাত খেয়েই আমি অঙ্ক নিয়ে বসে যাই। মাত্রই পনেরোটা ভাগ অঙ্ক ছিল, ঝপাস করে দশ মিনিটের আগেই হয়ে যায়। সেটা বোধহয় আমার সারা জীবনের রেকর্ড ছিল অত তাড়াতাড়ি অঙ্ক করার। বাবাও বাড়ি এসে গেল তাড়াতাড়ি, তারপর নার্সিঙহোমে গিয়ে দেখি ঠিক ভাই যেমন ছিল অমনি এক পুতুল। সেজমাইমা বসে আছে বোনের দিকে তাকিয়ে।

    আমরা যখন কটকে থাকতাম তখন সেজমামার একটা মেয়ে হয়েছিল, কি একটা যেন অসুখ নিয়ে জন্মেছিল কয়েকমাসের মধ্যেই মারা যায়। সে নাকি দারুণ সুন্দর ছিল। ফুটফুটে ফরসা রঙ একমাথা কালো কোঁকড়া চুল আর লাল পাতলা ঠোঁট, সবাই বলেছিল দিদার মত দেখতে। শুধু দিদা বলেছিল অত চুল নিয়ে জন্মানো নাকি ভাল নয়। কি আশ্চর্য্য ভাল নয় যদি তো পুতুলের আলমারির পুতুলদের চুল কাটিয়ে দিলেই পারে ডাক্তারবাবুরা!এই নার্সিঙহোমে পুতুলের আলমারিটা আমি খুঁজে পাই নি, কে জানে কোথায় লুকানো আছে। সেজমামাকে জিগ্যেস করি বোনের অন্নপ্রাশন হবে কিনা? তাহলে আমি ওই কলাপাতা মাটির গেলাসে নেমন্তন্ন খাওয়ার একটা সুযোগ পাব। আমার খুব শখ ওরকম সরু সরু টেবিলে লকপকে চেয়ারে বসে সবার সাথে নেমন্তন্ন খাবার। আমাদের বাড়িতে নাকি মুখেভাতের অনুষ্ঠান হতে নেই তাই ভাইয়ের হয় নি। যাক সেজমামা বলেছে বোনের হবে, কি মজা।  অনেকটা বড় হয়ে বুঝেছিলাম নানা বিপর্যয় তাড়িত পরিবারটির অনুষ্ঠান করার আর্থিক সামর্থ্যের অভাবই সম্ভবত এই নিষেধাজ্ঞার জন্ম দিয়েছিল।       

    মঞ্জুদিদির স্যুটকেস থাকত  ছাদে যাবার সিঁড়ি দিয়ে উঠে সরু বারান্দার একপাশে। ওর মধ্যেই ওর সব জামাকাপড় পাউডার ক্রিম চুলের ফিতে চিরুণী একটা ছোট্ট আয়না। সেই যে আমার দোতলার জানলা থেকে  আঠা ফেলার কথা বলে দিয়েছিল, তার কদিন পরে দেখি মঞ্জুদিদির স্যুটকেসের মধ্যে টাকাও থাকে। লাল রঙের দুটাকা, নীল আর ছাই একটাকা, পাঁচ আর দশটাকা ছাড়াও পঞ্চাশ আর একশোটাকাও আছে একটা দুটো। মা বেরোলে আর আমার কোনও গল্পের বই না থাকলে আমি মঞ্জুদিদির সাথে সাথেই ঘুরতাম আর  বকবক করতাম। সেদিন মঞ্জুদিদি একতলার বাথরুমে গা ধুতে ঢুকলে আমি আবার পা টিপে টিপে তিনতলায় উঠে এলাম, সুটকেসে তালা টালা থাকে না, ঢাকনার দুইপাশের বন্ধ করার খটখটাশ দুটোও খোলা। আস্তে করে ঢাকনা তুলে হাত ঢুকিয়ে দিই। খসখসে টাকা হাতে আসতেই হাত মুঠো করে বের করে আনি। একদৌড়ে দোতলার বসার ঘরের জানলায়। রাস্তায় একটা খালিগা বাচ্চা বোধহয় রমেশ মিত্র আর ইন্দ্র রায় রোডের ক্রসিঙে ঝুপড়িগুলোতে থাকে ওরা এদিকটায় খেলতে আসে।    

    জানলার শিকে ঠনঠনআওয়াজ করতেই বাচ্চাটা মুখ তুলে তাকায়। আমার মতই লম্বা হবে, কি নোংরা একটা হাফপ্যান্ট পরে আছে। আমি হাত খুলে টাকাগুলো  ফেলে দিই। দুটো দুই আর একটা একটাকা পড়ল। বাচ্চাটা বেজায় অবাক হয়ে টপাটপ কুড়িয়ে নিয়েই দৌড় দেয়। তখনও আমার বুক ঢিপঢিপ করছে। এরপরে এটাই খেলা হয়ে গেল, আমি চুপি চুপি টাকা নিয়ে এসে নীচে ফেলে দিতাম, তিন চারটে বাচ্চা, কেউ কেউ আমার চেয়ে বড়, এসে টপাটপ কুড়িয়ে নিয়ে যেত। কয়েকদিন বাদেই ওরা বিকেলে এসে একরকম আওয়াজ করত মুখে। আমি জানলা দিয়ে উঁকি দিলেই হাত তুলে চাইত। করতে করতে সাহস বাড়ল একদিন জিজির ড্রেসিংটেবলের সাথের ছোট্ট আলমারি থেকে পঞ্চাশটাকার নোট বের করে নিলাম। সেদিন ওরা সবাই মিলে হইহই করে উঠল। তারপরে আরো একদিন, আরো আরো। জিজির ড্রয়ার আর মঞ্জুদিদির বাক্স দুই জায়গা থেকে টাকা বের করে নীচে ফেলে দিই। এখন বেশ বড়সড় ছেলেরা আসে। টাকা নিয়ে আবার নমো করে আমাকে। খুব ভাল লাগে আমার,নিজেকে বেশ একজন বড় মানুষ মনে হয়।        

    যতদিন দুটাকা একটাকা ফেলছিলাম বেশ চলছিল, কিন্তু পঞ্চাশ একশ ফেলতে শুরু করার পরেই ধরা পড়ে গেলাম। নীচের তলার শোভাদিদিদের ঘর থেকে কেউ একজন লক্ষ করে একদিন জিজিকে ডেকে ব্যপারটা জানায়। ইতোমধ্যে জিজিও নিজের ড্রয়ারে টাকার কমতি নজর করেছে, ভেবেছিল নিজেই কোথাও হারিয়েছে। জিজি ওপরে এসে প্রথমে মা’কে বলল। বিচারসভা বসল, আমাকে জিগ্যেস করে ‘টাকা কোথায় পেলি?’ আমি প্রথমে চুপ করে ছিলাম, মা’র ভুরু ত্রিশূল হয়ে জট পাকিয়ে যেতেই ভয়ে ভয়ে বললাম মঞ্জুদিদি দিয়েছে। সেই আমার প্রথম মিথ্যে বলা, ক্লাস ট্যুয়ে পড়ি তখন। মঞ্জুদিদির বাবা এসে মাসের প্রথমেই ওর বেতন নিয়ে যায় মায়ের কাছ থেকে। ওর কাছে চার পাঁচশো টাকা থাকা সম্ভবই না। জিজি বসল মঞ্জুদিদিকে নিয়ে। মঞ্জুদিদি যতই বলে ও দেয় নি আমাকে, ওরও বেশ কিছু টাকা ও পাচ্ছে না ভয়ে কাউকে বলে নি এতদিন, মা বা জিজি কেউই বিশ্বাস করে না। দোতলার শোবার ঘরের চৌকাঠে জিজি একটা মোটা লাঠি নিয়ে বসে একই কথা জিগ্যেস করেই যাচ্ছে আর মঞ্জুদিদি কেঁদেই যাচ্ছে।

    ক্রমশ জিজি ধৈর্য্য হারাতে লাগল। আমি ভয়ে কাঠ হয়ে ঘরের ভেতরে বিছানায় বসে দেখছি। একসময় মোটা লাঠিটা তুলে মঞ্জুদির কপালের ওপরে ঠুকে দিল আর অমনি প্রথমে সরু আর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই আর একটু মোটা ধারায় রক্ত গড়িয়ে পড়তে লাগল। মা আর মঞ্জুদিদি প্রায় একইসাথে হেঁচকি তোলার মত শব্দ করে উঠল। মা এইবারে শক্ত গম্ভীর গলায় জিজিকে বলল ‘ছেড়ে দাও ছোড়দি শেষে কি খুনোখুনি করে জেলে যাবে? যা গেছে যেতে দাও, এবার থেকে সাবধান হব আমরা।’  অ্যাক্রামাইসিন অয়েন্টমেন্ট লাগিয়ে রক্ত বন্ধ হল, মঞ্জুদিদি তারপরেও অনেকদিন, যতদিন না ওর বিয়ে ঠিক হয়, আমাদের বাড়িতেই ছিল। বেশ কিছুদিন আমার সাথে সরাসরি কথা বলত না, আমিও না। পরে আর মঞ্জুদিদির সাথে কখনো যোগাযোগ হয় নি। এখন বুঝি সেই সময়  জিজির যা অবস্থা তাতে চার পাঁচশো টাকা হারানো কতটা তার জন্যও ভয়ানক ছিল। আমার অন্যায়টা- It was wrong on so many levels...। এই অন্যায়টার কথা কেউ জানে  না, ভাইও না। আজ  এখানে লিখে রাখলাম। শুধু মঞ্জুদিদির কাছে ক্ষমা চাইবার একটা সুযোগ যদি পেতাম।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ০২ অক্টোবর ২০২২ | ১২২৫ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    শপথ  - Prolay Adhikary
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kk | 2601:448:c400:9fe0:8470:62a0:8b29:c05a | ০২ অক্টোবর ২০২২ ২২:১১512489
  • অনেকদিন পরে লেখা এলো এই সিরিজে। পড়ে মনটা খারাপ লাগছে।
  • যোষিতা | ০২ অক্টোবর ২০২২ ২২:৫৮512493
  • পড়লাম। এগুলো লিখতে সাহস লাগে, সততা লাগে।
  • | ০৪ অক্টোবর ২০২২ ২০:৩৮512543
  • ধন্যবাদ কেকে দীপাঞ্জন যোষিতা।
  • ইন্দ্রাণী | ১৪ অক্টোবর ২০২২ ০৫:৫৪512825
  • অত্যন্ত সৎ লেখা। যোষিতা যেমন বললেন।
    এত বছর ধরে দ র লেখা পড়ে বারে বারে মনে হয়েছে-এইটি ওঁর লেখার বৈশিষ্ট্য/ স্বাতন্ত্র্য। আর ভাষা। সোনালী একবার লিখেছিলেন খরখরে ভাষা। সঠিক বিশেষণ জানি না, অলংকারহীন আটপৌরে ভাষা, উপমা। নির্লিপ্ত ডকুমেন্টেশন। সৎ ও স্বচ্ছ। যা লিখছেন যাঁদের কথা লিখছেন, তার জন্য এ ভাষাই প্রয়োজন। সততার কারণেই প্রয়োজন। এইটা আমার মনে হয়েছে বারেবারেই।
    এই লেখাটি বলে নয়, অন্যান্য লেখা, আখ্যান (এবারের শরৎ সংখ্যার লেখাটিও) এর ক্ষেত্রেও একই কথা বলার। আমার মনে হয়েছে, এ জীবন যেন ব্যাসদেব, কূট শ্লোক আওড়াচ্ছেন, দ হুবহু লিখে নিচ্ছেন অক্লেশে।
    বস্তুত এবার অ্যানি আর্নো ( সঠিক উচ্চারণ ?) নোবেল পাওয়ার খবর পেয়েই দ র লেখার কথা মনে হয়েছে আমার।

    এ সবের কিছু না কিছু আগেও বলেছি। বলেছি বলে মনে হচ্ছে, হয়তো লেখা হয় নি, মনে মনেই ভেবেছি।
    আজ মনে হল, লিখে রাখা দরকার।
  • aranya | 2601:84:4600:5410:25bc:a67e:141b:b9cd | ১৪ অক্টোবর ২০২২ ২২:৩২512847
  • অসাধারণ 
  • | ১৯ নভেম্বর ২০২২ ২৩:০৪513900
  • ইন্দ্রাণীর মন্তব্যটা দেখি নি আগে। তখন গুহায় গুহায় ঘুরছিলাম বলেই বোধহয় নজর এড়িয়ে গেছে। কি আর বলি! আমি আপ্লুত, তবে অ্যানি এর্নো ! অ্যাল! ওসব বলিস না। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল প্রতিক্রিয়া দিন