এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • প্রিয় সম্পাদক, গুরুচণ্ডালি

    সুকান্ত ঘোষ লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ৩১ মে ২০১৫ | ১১১২ বার পঠিত | রেটিং ৩ (১ জন)
  • মহাশয়,
    আমি বিগত কয়েক বছর যাবৎ আপনাদের এই গুরুচন্ডালি নামক ওয়েব সাইট যাতাযাত শুরু করেছি। বলাই বাহুল্য, ইন্টারনেটের প্রসারের সাথে সাথে আমার মত লেখকদের যে কি পরিমাণ উপকার হয়েছে সেই বিষয়ে আশা করি আপনাদের মত সম্পাদকরা সম্যক অবহিত আছেন। এমনকি আমার এমনতর সন্দেহও এককালে হয়েছিল যে, ইন্টারনেট শুধুমাত্র আমার মত লেখকদেরই সুবিধা করে দেয় নি, আপনাদের মত সম্পাদকদের দিকেও মুখ তুলে তাকিয়ে ছিল। যাই হোক আমি যখন নানাবিধ লেখার সৃষ্টি যন্ত্রনা নিয়ে ছটফট করছি এবং বিনা পয়সায় প্রসব করার স্থান উপযুক্ত স্থান খুঁজছি, তখন ওয়েবজিন জাতীয় জিনিস গুলি আমার জীবনে মরুদ্যান হয়ে দেখা দেয়। তদুপরি, যদি সেই ওয়েবজিন আনমডারেটেড হয় এবং লেখা ছাপার জন্য কারো অঙ্গুলি হেলনের অপেক্ষায় থাকে না, তাহলে তো সোনায় সোহাগা। সত্যি কথা বলতে কি বাঙলা সাহিত্যে সম্পাদকের ভূমিকা নিয়ে আমি চিরকালই সন্দেহে ছিলাম। তো যাই হোক, এমন ভাবেই চলছিল – লিখেই খালাস, কেউ পড়লে পড়, না পড়লে বুঝে নেব যে তোরা বুঝতে পারিস নি। মানে বোঝার মত ক্যাপা তোদের নেই।

    কিন্তু ইদানিং কালের কিছু ঘটনার জন্য আমার মনে হালকা প্রশ্ন সমূহের দেখা দিচ্ছে, আর সেই প্রসঙ্গেই এর খোলা চিঠির অবতারণা। আপনি হয়ত চিরাচরিত নিয়ম মেনে ভাবছেন, খোলা চিঠি দিয়ে কোন কাজের কথা জানতে চাওয়া বা প্রত্যাশা করা হয় না, কেবল নিজের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ এবং হনু-ভাব প্রকাশ ছাড়া। খোলা চিঠি প্রসঙ্গে আপনি হয়ত পাচু রায়ের উদাহরণ দেবেন। আমি মনে মনে হাসব তখন – পাচু রায়কে ব্যক্তিগত ভাবে চিনলেও আমাদের মেমারি-র দেবু সরকারকে চিনতাম। সংখ্যাতত্ত্বের সাহায্য নিলে প্রমাণ করা যেত যে, পাচুর খোলা চিঠির অমিতাভ হলে দেবু ছিল পুয়োর ম্যানস্‌ অমিতাভ। আপ প্লাটফর্মে প্রসাবখানা নেই, টিকিট কাউণ্টারের সামনে মূত্রাগার থেকে প্রবল গন্ধ বেরুচ্ছে, ফুটপাথের হকাররা কেন ফুটপাথে বসবে, সকালে সবাই একসাথে বাজার করতে বেরুলে মেমারী স্টেশন বাজারে কি প্রবল জানজট সৃষ্টি হয় – সেই সবই ছিল চিঠির দেবুদার চিঠির বিষয় বস্তু। অর্থাৎ খোলা চিঠি কাকে বলা হয় এবং কখন লেখা হয়, সে সবই আমার জানা। কিন্তু বিশ্বাস করুণ, আমার এই চিঠি সত্যিই জেনুইন গভীরতর প্রশ্নে এবং সাজেশনে ভর্তি।

    এই সব প্রশ্ন আসা কোথা থেকে শুরু হল সেই ব্যাকগ্রাউন্ডটা আপনাকে একটু খুলে বলি, তা হলে আপনার বোঝার সুবিধা হবে। বহুজাতীক কোম্পানিতে চাকুরি করার সময় আমি নিজেকে ‘ওয়ার্কার’ রূপে দেখি এবং নিজের আচার আচরণ সেই ভাবেই নির্ধারণ করি। কিন্তু গেল বার বছর শেষে এ্যাপ্রেজাল-এর সময় চমক লাগল – আমি বললাম, একজন ওয়ার্কারের যা করা উচিত, আমি তো তাই করেছি – নিজে ঘাম ঝরিয়ে মাল ডেলিভারী দিয়েছি। বস বলল, কেন তোমার মনে হল যে তুমি ওয়ার্কার? তুমি তো ইঞ্জিনিয়ার! আমি বাংলায় বললায়, লে হালুয়া। বস বলল, সেটা কি? আমি বললাম বেঙ্গলি লোকায়ত ধর্মে উহা ‘oh Christ’ এর সমতূল্য। আমি বসকে চেপে ধরলাম, বসও আমাকে। কি করলে রেটিং বাড়বে সেই নিয়ে অনেক ধস্তাধস্তির পর বস বলল, তুমি নিজে কত ঘাম ঝড়াচ্ছ তার উপর তোমার রেটিং নির্ভর করে না, তুমি অন্য লোকের ঘাম কত ঝড়াতে পারছ সেটাই মূল কথা। আমি আবার বললাম ‘লে হালুয়া’। বস বলল ক্রাইষ্টও এই ব্যাপারে তোমাকে হেলপ করতে পারবে না, কারণ এই কনসেপ্ট অনেক পরে মার্কেটে এসেছে। নিজে কত কাজ করছ সেটা আমার কাছে তত গুরুত্বপূর্ণ নয়, যত গুরুত্বপূর্ণ হল তুমি অন্য লোককে দিয়ে কিভাবে কাজ করিয়ে নিতে পারছ! অর্থাৎ, ডেলিভারী থ্রু আদার্স। আমি বললাম ‘খাইছে’! বস বলল %৳#ঁ – আমি বললাম হিন্দুধর্মে অনেক গড তো! বস জোর দিল যে আমাকে প্রফেশন্যাল লাইফের নরম দক্ষতা গুলির দিকে নজর দিতে হবে। আমি বললাম, আমার বউও আমাকে নরম জিনিস নিয়ে হ্যান্ডেল করার দক্ষতা ইমপ্রুভ করতে বলে, এমনকি আমাকে ইনসেনসিটিভও বলে। তা ভালোই হবে ট্রেনিং পেলে। বস বলল নরমত্ব আর ইনসেনসিটিভিটি এক নয়। এখানে তোমাকে আমরা কি করে আরো ইনসেনসিটিভ হতে হয় শেখাবো। আমি বললাম ‘মেরেছে’। বস কিছু বলল না - আমি হালকা সাফাই দিলাম ইহা ‘ইউ টু ব্রুটাস’ সমগোত্রীয়।

    মূল কথা থেকে সরে আসছি – ঘটনা হল সেই নরম দক্ষতা তৈরী করার কোর্সে প্রথম ঘন্টাতেই যা শিখলাম তাতে করেই আমার মনে সন্দেহের কাঁটা ঢুকে গেল। এবং কাঁটা এমনই খচখচ করতে লাগল যে, আমি অনেকক্ষন ক্লাসে মন দিতেই পারলাম না! প্রথমেই সে শেখা হল, ফ্রী লাঞ্চ বলে নাকি কিছু হয় না - "There is no such thing as a free lunch" ! আমাদের লাইফের ঘটনা বলতে বলা হল যেখানে আমরা ফ্রী লাঞ্চ পেয়েছি বলে মনে করতাম – ইন্সট্রাকটর নাকি ব্যখ্যা করে দেবেন কেন সেটা ফ্রী ছিল না। আমি অনেক ভেবে বললাম ছোটবেলায় পাড়ার সরস্বতী পূজাতে তো খিচুরী খেতাম সবাই, কই পয়সা তো লাগত না! ইন্সট্রাকটর খুব তাড়াতাড়ি বলল তোমার বাবা নিশ্চয়ই চাঁদা দিত। ভেবে দেখলাম তাই তো – তাহলে তো ফ্রী নয়! এত তাড়াতাড়ি আমার সমস্যা এক্সপ্লেন হয়ে যাওয়াটা আমার মানে লাগল। ফ্রেডের সমস্যা তুলনামূলক অনেক সময় নিল – ফ্রেডকে পাড়ার এক দাদা ছোটবেলায় লজেন্স দিত প্রায়শই। ইন্সট্রাকটর খুব তাড়াতাড়ি বলল তাহলে তুমি নিশ্চয়ই মলেষ্টেড হয়েছিলে। ফ্রেড অস্বীকার করাতে এ্যানালিসিস অনেক গভীরে গেল – শেষে জানা গেল ফ্রেডের এক সুন্দরী দিদি ছিল। আমরা সবাই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হয়ে গেলেও ফ্রেড তখনো তাতে কি, তাতে কি বলেছিল। সেই আলোচনার ফাঁকে কিন্তু খুব ভেবে গুরুচন্ডালির উদাহরণ বের করেছিলাম, আমার দূর্ভাগ্যবশতঃ লাঞ্চের সময় হয়ে যাওয়াতে টপিক পালটে যায়। আমার সেই প্রশ্নই আমি আপনাকে করতে চাইছি সম্পাদক।

    আমার প্রশ্ন হল আপনাদের এই গুরুচন্ডালি ওয়েবসাইটে ‘ফ্রী লাঞ্চ’ ক্যাচটা কি? এই যে আমি আসছি, লিখছি, লোকে বাহবা বলছে মাঝে মাঝে – তাতে আপনারা কি পাচ্ছেন? চাঁদাও তো দেখি চান নি কোনদিন। আর সাইটের সাইটের কোন উত্তেজক অ্যাডও তো দেখি না! তাহলে কেস কি? আমি যাদিও “ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো” প্রবাদ বাক্যে বিশ্বাস করতাম, কিন্তু ওই যে নরম দক্ষতার ক্লাসে যাবার পর থেকে আর বিশ্বাস করি না। আমাকে বেশী ঘাঁটাবেন না ‘প্রবাদ বাক্য আজও অনেকে মেনে চলে’ এই বলে – কারণ আমি ইতিমধ্যে ফ্রী লাঞ্চ বিষয়ক অনেক বই পড়ে ফেলেছি এই বিষয়ে। একটা আবার আমার বউয়ের উপহার দেওয়া। আপনাদের ফাণ্ড আসে কোথা থেকে? কোন এন জি ও, নাকি চিটফান্ড, কোন নির্দিষ্ট পার্টি, নাকি বহুজাতীক সংস্থা, সাম্রাজ্যবাদী কালো হাত, সৌদি – কারা, কারা! আমি নিজে এর উত্তর খোঁজার জন্য ট্রেন্ড অ্যানালিসিস করেছি, আপনাদের কথা বার্তায় মাঝে মাঝে বামপন্থার ছাপ পাওয়া যেত। তাই ভেবেছিলাম ফ্রী লাঞ্চ হয়ত আলিমুদ্দিন থেকে আসছে। কিন্তু না, আপনারা দেখি বামেদেরও তুলোধনা করেন সময় বুঝে। আমাদের সময়ে কাক কাকের মাংস খেত না, অর্থাৎ প্রকৃত কমরেড আরেক কমরেডের সমালোচনা করত না। আমি কনফিউজড হয়ে গিয়েও রুলিং পার্টির দ্বারা ফাণ্ডেড এই তত্ত্বে সিফট করতে পারলাম না – তার কারণ ‘হীরকের রাণী ভগবান” নামক একটি টই। এই ভাবে পার্টি তত্ত্বে আমি জলাঞ্জলি দিলাম এবং আরো নানা ভাবে বাকি তত্ত্বেরও। তবে গুরুচণ্ডালিতে বিষয়ের ভ্যারাইটি দেখে আমার মনে হচ্ছে আপনাদের ফাণ্ডিং যেখান থেকেই আসুক, প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে ক্যাওস ও কনফিউশন তৈরী করা। হোক-কলরবকে ভালোও বলা হচ্ছে, আবার ‘দুর-বাল’ও, সন্ত্রাসবাদী-মৌলবাদ খারাপ – আবার তাদের দিকটাও নাকি দেখতে হবে, নকশাল ওই পর্যন্ত ভালো, কিন্তু তার পরেই খারাপ! তাই আপনাদের অনুরোধ করব, আপনারা প্লীজ স্ট্যান্ড নিন। আর আমি কেন ফ্রী লাঞ্চ পাচ্ছি সেটা ক্লীয়ার করুণ। তত্ত্ব মিথ্যা হলেও তা বিশ্বাস করে জাতি বড় হতে পারে, কিন্তু কনফিউজড জাত খেয়োখেয়ি ছাড়া আর কিছু পারে বলে ঐতিহাসিক ভাবে প্রমাণিত হয় নি।

    আপনাদের ওয়েব সাইটে লিঙ্গ রাজনীতি নিয়ে বড় বেশী আলোচনা দেখি – সমকামী, উভকামী, স্পর্শকামী, মধ্যকামী সব নিয়েই ক্ষুরধার আলোচনা। যে রাজ্যে ঘটি-বাঙালে বিয়ে হলে ফিসফাস, হিন্দু-মুসলমান বিয়ে হলে খবর – সেই রাজ্যে দুই মদ্দ পুরুষ বা মাদী মহিলা ঘেঁসাঘেসি করলে পাবলিক একটু নারাজ হবে সেই নিয়ে ওয়েব স্পেস ভরাবার আগে একটু ভাববেন প্লীজ। আমার অনুরোধ এই জাতীয় আলোচনায় আপনারা ছবির ব্যবহার শুরু করুণ। জিন-টিন, বায়োকেমেস্ট্রী – সাইকোলজি এই সব নিয়ে নাড়াঘাঁটার আগে একটু ভাববেন যে একটা ছবি ওনেক কিছু প্রাঞ্জল করে দেয়। আসলে আমাদের আমাদের প্রচলিত ধরণা এই যে, কেউ লঞ্চ করলে তা রিসিভ করার মত ব্যবস্থা থাকতে হবে। অর্থাৎ, এক দিকে লঞ্চার থাকলে অন্যদিকে রিসিভার। দুই দিকেই লঞ্চার বা দু দিকেই রিসিভার থাকলে কাজ কি করে হবে এই চিরন্তন কনফিউশন থেকেই সেই নারাজগী। নিজেদের ছেলে মেয়ে আনন্দে থাকতে পারবে না এই আশঙ্কা হেতুই পিতামাতার উৎকন্ঠা এবং প্রতিরোধ। আপনারা যদি বাংলা ভাষায় ছবি সমেত বুঝিয়ে দিতে পারেন যে দু দিকেই রিসিভার থাকলেও কানেক্টর জাতীয় জিনিস বাজারে পাওয়া যায় তা হলে আপনাদের এই ওয়েবসাইট প্রভূত সমাজসেবা করবে। আপনাদের তো অনেকেই খুব সুন্দর ইলাশট্রেশন করেন গুরুতে।

    আবারো বলি, আমি যেহেতু গুরুচণ্ডালির ভালোমন্দ নিয়ে একটু বেশী ভাবা শুরু করেছি, তাই আমার এই সব সাজেশন আর কি। লাভের মধ্যে আমার নিজের কিছু কনফিউশন দূর করা। আমার মনে হয় গুরুতে অংশ গ্রহন কারী পাবলিকদের কথা ভেবে আপনারা ওয়েবসাইটে মিনিমাম চারটি মেজর সেকশন রাখতে পারেনঃ

    ১। একাডেমিক-এ যাঁরা আছেন
    ২। ইন্ডাষ্ট্রী-তে যাঁরা আছেন
    ৩। সফট ওয়্যার
    ৪। যাঁরা ইন্টারনেটের বিল অন্যের টাকায় মেটান

    উপরিউক্ত কোন বিষয়ে আপনারা কতটা জোর দেবেন সেটা আপনাদের ব্যাপার। লক্ষ্য করবেন যে আমি হিন্দু-মুসলিম, বাম-ডান, নাস্তিক-আস্তিক এই জাতীয়ন কোন ভাগ করার পরামর্শ দিই নি। কারণ এটাই আমার পরামর্শের ট্রিকস্‌! এঁরা সবাই ছড়ইয়ে থাকবেন সমস্ত বিভাগে, এবং নিজেদের মধ্যে জল ঘোলা করে হিট সংখ্যা বাড়াবেন। বাই দি ওয়ে আর একটা ক্লারিফিকেশন নেবার কথা মনে পড়ে গেল – আপনারা কি হিট প্রতি পয়সা উপার্জন করেন? তাহলে আমার এক্সসাইটিং কিছু পরামর্শ ছিল।

    উপরিউক্ত ভাগ গুলি অবলম্বন করেই পাবলিক আলোচনায় অংশ গ্রহন করতে পারবেন। একজন একটা বিভাগে মাত্র – তাহলে থাকলে নিজেদের মধ্যে ইনফিরিটি কমপ্লেক্স কম থাকবে। আই ট্রিপল ই নিয়ে আর অনসাইট ক্ষোভ প্রকাশ করবে না। বা মার্কেট অ্যানালেসিস এর কাছ থেকে আর সানন্দা বাহিনী ছ্যাঁকা পাবে না। সবাই নিজেদের কমফর্ট জোনে। এ পদ্ধতিকে কমপারেটিভ পীয়ার রিভিও বলে – বাগ ফিক্সিং এর চাপ কত সেই নিয়ে ধোঁকা দেওয়া যাবে না ইম্প্যাক্ট ফ্যাক্টর আঁকরানো একাডেমিককে। তবে ব্যাতিক্রম থাকবে, যাঁরা সাইন্স বা নেচারে নূন্যতম একটা পেপার ছেপেছেন তাঁদের বা যাঁরা নিজে ব্যবসা করে মিনিমাম ২০ জন ছেলের অন্ন সংস্থান করেছেন তাঁদের। সফট ওয়্যার আর অন্যের পয়সায় ইন্টারনেট বিল মেটানো দের স্বাভাবিক কারণেই কোন ছাড় থাকবে না।

    অনেকে দেখেছি বিশাল বইয়ের লিষ্টি দেন বা জটিল বইয়ের নাম মার্কেটে ভাসিয়ে দেন। এর ফলে পারস্পরিক সন্দেহ বা অসুস্থ কম্পিটিশনের সৃষ্টি হয় একটা। আপনাদের অনুরোধ করবে এমন নিয়ম চালু করতে যাতে করে কেউ বইয়ের রেফারেন্স দিতে হলে তাকে সেই বই হাতে নিয়ে ছবি তুলে পাঠাতে হবে। কিন্ডলে বা আই-প্যাড ইউজ করলে ই-বুকের প্রথম পাতা খুলে ছবি আই-প্যাড হাতে নিয়ে। আই-প্যাডে বই খুলে ছবি কে একসেপশন ক্যাটাগরীতে ফেলা থাকবে যাতে করে কেউ ওই ব্যক্তিকে বিত্ত প্রকাশের কাঠগরায় না দাঁড় করাতে পারে।

    রম্য রচনা, হাসির লেখা, খোরাক লেখা বনাম সিরিয়াস লেখা নিয়ে গুরুতে ঝড় উঠেছে থেকে থেকে। সিরিয়াস লেখা কি জিনিস সেই নিয়ে আমি পরে আসছি। তবে সেই দিন একটা সিনেমা দেখে আমার চক্ষু খুলে যায় – সিনেমার নাম হল The DUFF. DUFF অর্থে Designated Ugly Fat Friend। সে এক জটিল মনস্তত্ত্বিক সিনেমা। মূল কথা যদিও হালকা শোনা ছিল, তবুও এবার প্রত্যক্ষ প্রমাণ পেলাম। প্রত্যেক সুন্দরী মেয়েদের নাকি একটা করে অসুন্দর বন্ধু থাকে। অসুন্দর মেয়ের উপস্থিতি সুন্দর মেয়ের জেল্লা আরো বারিয়ে দেয়। সেই সিনেমা দেখে আমি পড়ে গেলাম চিন্তায়। যেহেতূ আমার চিন্তাশক্তি বেশী – তাই আমি রিলেট করতে পারলাম এই ডাফ্‌ জিনিসটিকে নিজের লেখার সাথে। তাহলে কি গুরুতে প্রকাশিত আমার লেখা ‘ডাফ্‌’ জাতীয়? মানে অন্য সাধারণ লেখাকে অসাধারণ প্রমাণ হেতু আমার লেখার সিলেকশন? সম্পাদক মন্ডলী এই বিষয়ে আলোকপাত করলে বাধিত হব। আর যারা আমার লেখার বাহবা দিয়েছিলেন তারা কি সিরিয়াস লেখাতেও বাহবা দেন নাকি তাঁদের নিজেদেরও ‘ডাফ্‌’ জিনিসটা সেপারেট করার ক্ষমতা নেই অন্যের থেকে তাই আমার লেখাতে ঢুঁ মেরেছিলেন? মোটকথা আমি জাতে উঠতে চাই সিরিয়াস লেখক হিসাবে, প্লিজ পথ দেখান। এই প্রসঙ্গে আমার হুমায়ুন আহমেদের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে – তিনি কবেই বলেছিলেন নিজে হ্যা হ্যা করে সব সময় হেসে ভাঁড় হিসাবে দেখানো চেষ্টা করবে না। তাতে পার্সোন্যালিটি কোল্যাপ্স করে যায়। সব সময় মনে হবে লোককে হাসানোর দায়িত্ব যেন তোমার মাথার উপরে। আমি তাই লোককে আর খোড়াক দিতে চাই না।

    আমার প্রস্তাব হচ্ছে সম্পাদকমন্ডলীকে লেখার প্রপোজ্যাল পাঠানো হোক। সামারি বা অ্যাবস্ট্রাক্ট আপলোড করা হবে সেই ওয়েব সাইটে। পাঠক পড়ে তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানাবেন – এবং সেই বুঝে পুরো লেখার পারমিশন দেওয়া হবে। তাতে করে লেখক হতাশার থেকে বাঁচবেন। যদি কমেন্ট না পড়ে তা হলে লেখক সামারি পড়ার পর সেই সব পাঠকদের খোঁচাতে পারবেন যে কি মশাই তখন তো দারুণ বলেছিলেন, এখন কি বলেন। আমার মনে হয় বেশীর ভাগ পাঠকই এবার ভালো বলবেন, কারণ খাজা লেখা চিহ্নিত করতে পারেন নি এই বদনাম আর কে যেতে নিতে যাবে! উইন উইন সিচ্যুয়েশন।

    আমরা আরো একটা কাজ করতে পারি পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য। স্মরণীয় রবিন কুপার মশাই এই টেকনিকের আবিষ্কর্তা – নাম ‘Ketwalt Method’। এই পদ্ধতিতে কোন গল্প, উপন্যাস বা সিরিয়াস লেখার প্রতি প্যারাগ্রাফের শেষে বোল্ড হরফে লেখা থাকবে “হে পাঠক, দয়া করে পড়তে থাকুন”। দুই তিন প্যারাগ্রাফ এমন লেখার পর লেখা থাকবে “আবার - হে পাঠক, পরের ভাগে চালিয়ে যান”। কিছু প্যারাগ্রাফ পরে শেষে আবার “ধন্যবাদ পাঠক আমার লেখার সাথে থাকার জন্য। ভগবান আপনার ভালো করুন”। আমার দৃঢ বিশ্বাস গুরুচণ্ডালিতে এই পদ্ধতি খুবই কাজে লাগবে।
    সফটওয়ার পাবলিকদের জন্য আমি রেকমেণ্ড করব BWC মেথড, অর্থাৎ Binary Word Converter. “সে তাকে ভালোবাসে” এই ভাবে লেখা হোক , ১১ ০০০১ ১ ১০০০ ১০১০ ১০০১ ১১ ইত্যাদি।

    আমার এখনো পর্যন্ত দেওয়া সাজেশন গুলি যদি আপনার অবাস্তব মনে হয়, অবান্তর মনে হয়, স্বাভাবিক বেঁচে থাকার সংজ্ঞার সাথে মিলছে না বলে মনে হয়, তা হলে জানবেন আপনি ভুল – আমি ঠিক, কারণ আমি অনেক বই পড়েছি। যা লিখেছি সবই নানা জায়গা থেকে জোগাড় করা – একটা বই আবার আমাকে উপহার দিয়েছিল ...

    আমি এই সব বই পড়ার আগে বিশ্বাস করতাম যে কিছু জিনিস বিনা কারণেই হয় – যেমন প্রেম; যেমন দুধের কার্টেন চৌকা, কিন্তু সফট ড্রিংকসের ক্যান গোল; যেমন ২৪ ঘন্টা কনভিনিয়েন্স স্টোরের দরজায় তালা, কেন তিমি মাছ বিলুপ্তির পথে কিন্তু মুরগী নয়; বর্ষার দিনে টাক্সি ড্রাইভার কেন তাড়াতাড়ি সিফট শেষ করে ইত্যাদি। কিন্তু আমার ভুল ভেঙেছে, এর ভিতর মার্কেটের হাত আছে, জিন ঘটিত ব্যাপার আছে, পরমাণু বিদ্যুতের বিতর্কের প্রভাব আছে, নকশাল আন্দোলনের ব্যর্থতা লুকিয়ে আছে, নাস্তিক-আস্তিক এর দোদুল্যমানতা, সমকামিতা, প্লেটো সব। আমি অনেক সময় বুঝতে পারি নি।

    অনেক কিছু জানার ছিল আপনাদের কাছ থেকে – সামনে লিখব। আপাতত আমার দুইটি সিরিয়াস প্রবন্ধ লেখার প্রস্তাব আছে। আমি নিজেকে সিরিয়াস হিসাবে প্রমাণ করতে চাই, ভাঁড়ামি অন্য কারো জন্য থাকুক।

    প্রবন্ধ ১। যৌন খেলনা নির্মাণে তৈরীতে ধাতু ও অধাতুর ব্যবহারঃ এই প্রবন্ধে আমি স্টিল, অ্যালুমিনিয়াম বা প্লাস্টিক যেগুলি বহুল ব্যবহৃত হয় তার তুলনা মূলক আলোচনা করব। থাকবে mechanical properties, corrosion resistance নিয়ে আলোচনা। কত pH এ কি রিয়েকশ্যান হতে পারে ধাতুর, সামনের খেলনার কেন বেশী রেসিশটান্স থাকতে হবে পিছনের খেলানার থেকে। ইয়ং মডুল্যাস বা স্টিফনেসের সাথে আনন্দের কি সম্পর্ক। ফ্রিকশন ফ্যাকটর কেমন হলে পাবলিক পছন্দ করবে। খেলনার সাইজ কি দেশ বা মহাদেশ অনুযায়ী পাল্টাবে এবং র-মেটেরিয়াল এর সুলভতার উপর কিভাবে মেটেরিয়্যাল সিলেকশন হবে সেই সব। সাথে থাকবে কোন কোন অধাতু একদমই ব্যবহার করা যাবে না, হিট পেয়ে গলে যাবার সম্ভবনা হেতু সেই নিয়ে বিস্তৃত ব্যাখ্যা।

    প্রবন্ধ ২। তেল – তেলেঃ এই প্রবন্ধে থাকবে সভ্য সমাজে ও মনুষ্য জীবনে তেলের ব্যবহার। সামাজিক থেকে অর্থনৈতিক সব দিকই টাচ করব। Oil Depletion Protocol কাকে বলে, Peak Oil Rate কোন সালে পারে হয়ে গেছে বা হবে, তেলের রাজনীতি, কেন বুশ অ্যাডমিনিষ্ট্রেশনে অনেক ব্যক্তি ছিলেন যাঁরা এক এমন ওয়েল কম্প্যানীর একজিকিউটিভ, তেলের কোম্পানীর লোকেরা কি সত্যিই বাকি বিজনেসের থেকে বেশী মাইনে পায় ইত্যাদি। সঙ্গে থাকবে ‘তেলা মাথায় তেলা দেওয়া’, ‘পোড়া মোবিল দিয়ে পিছন মেরে দেওয়া’, ‘নাকে তেল দিয়ে ঘুমানো’, এই সবের উৎপত্তি ব্যখ্যা। কোন তেলে কোলেষ্টেরল থাকে না, তেল-রঙে কোন তেল ভালো চলে, তিল তেলে ম্যাসাজ ভালো হয় সেট কি মিথ নাকি সত্যি – এই সব দিক ছুঁয়ে দেখারও ইচ্ছা আছে।

    আপনারা উদারপন্থী মনে করে নিজের মনের জিজ্ঞাসা খুলে বললাম। কাউকে কোন রকম ইঙ্গিত দেওয়া আমার এই চিঠির উদ্দেশ্য নয়, তেমনটা হয়ে থাকলে সেটা আমার ভাব প্রকাশের অক্ষমতা জানবেন। পরিশেষে আমার প্রবন্ধ দুইটি আপনাদের গুরুচণ্ডালির উপযুক্ত কিনা জানালে বাধিত হব, এবং প্রকল্পে হাত দিব।

    শুভাচ্ছা ও ভালোবাসা নিবেন

    সুকান্ত ঘোষ
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ৩১ মে ২০১৫ | ১১১২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • amit | 190.148.69.210 (*) | ৩১ মে ২০১৫ ০৮:৫৭66244
  • প্রবন্ধ: এক নম্বর সাবজেক্ট নিয়ে বলতে পারব না, বাড়িতে অন্যরাও মাঝে মাঝে গুরুতে চোখ রাখে, তবে দু নম্বর সাবজেক্ট তা নিয়ে লিখেই ফেল। আমরা যারা তৈলাক্ত জমিতে আছাড় খেতে খেতে, বসের তেলা মাথায় তেল দিয়ে, তেল অল্প দামে তোলা আর বেশি দামে বেচার প্রানান্ত চেষ্টা করে যাচ্ছি, তাদের জন্য একেবারে যুত্সই হবে। অন্তত আজকাল কিছু আল-বাল পাবলিক যে গুরুর পাতায় তালিবান,জামাতি দের ভয়েস শোনানোর নামে হারামজাদা গুলোর তেলা মাথায় তেল মাখানোর জন্য ছড়িয়ে- মাখিয়ে লাট করছে, সেসব ভাট এর থেকে একটা ভালো ডাইভারশন তো হবে।
  • pi | 122.79.36.44 (*) | ০১ জুন ২০১৫ ০১:০৩66246
  • ঃ))
  • s | 108.214.103.233 (*) | ০১ জুন ২০১৫ ০৬:২৭66247
  • গুরুতে মোটে লেখা আসে না, তার আবার অ্যাবস্ট্রাক্ট আর সামারি।
    আপনি ঝটাঝট দুটো বিষয় নিয়েই লেখা নামিয়ে দিন। একটু নরম করে লিখবেন যাতে আমার মত পাপার বুঝতে সুবিধা হয়। আর একটু বিতর্কিত দু চারটে স্টেটমেন্ট রেখে দেবেন লেখাটায়। তারপর দেখুন পাঠকেরা মন্তব্য করে কেমন ফাটায়ে দেয়।
  • শ্রী সদা | 113.19.212.22 (*) | ০১ জুন ২০১৫ ০৭:৫১66248
  • দ্রুত লিখে ফেলুন। দুটো টপিকেরই মিনিময় কোয়েফিশিয়েন্ট বেশ হাই মনে হচ্ছে।
  • নির | 212.78.26.26 (*) | ০১ জুন ২০১৫ ০৮:৫২66249
  • ধাতুকল্পও চলতে পারে । তবে দুর্বল ধাতু হলে আবার ডি কে লোধের কাছে যেতে হবে।
  • ranjan roy | 192.68.38.218 (*) | ০১ জুন ২০১৫ ১০:৪৭66250
  • লেখাটা একেবারে ‘পোড়া মোবিল দিয়ে পিছন মেরে দেওয়া’, ঃ))))
  • সুকি | 129.160.188.215 (*) | ০১ জুন ২০১৫ ১২:৩৯66245
  • অমিতাভদা, 'বাড়ির অন্যরাও মাঝে মাঝে গুরুতে চোখ রাখে' - এ কি খবর দিলে তুমি! টেনশনের ব্যাপার তো। বাড়ির লোক বেশী আলোকপ্রাপ্ত/প্রাপ্তা (এনলাইটেন্টড্‌) হয়ে যাবার রিস্ক থেকে যাচ্ছে গুরু ফলো করে। তোমাকে কড়া ডিসিসন নিতে হতে পারে সামনে।
  • সে | 204.230.155.137 (*) | ০২ জুন ২০১৫ ০৭:১৯66251
  • টপ লেখা!
  • PM | 233.223.155.199 (*) | ০৪ জুন ২০১৫ ০৬:০৩66252
  • "আমার প্রস্তাব হচ্ছে সম্পাদকমন্ডলীকে লেখার প্রপোজ্যাল পাঠানো হোক। সামারি বা অ্যাবস্ট্রাক্ট আপলোড করা হবে সেই ওয়েব সাইটে। পাঠক পড়ে তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানাবেন – এবং সেই বুঝে পুরো লেখার পারমিশন দেওয়া হবে। "-------

    একে মা রাঁধে না তায় তপ্ত আর পান্তা ঃ)
  • তুহিন ফরাজী | 151.0.11.163 (*) | ২৪ জুন ২০১৫ ০৭:০২66253
  • সুকান্ত দা, আপনি দুটো বিষয় নিয়েই লিখুন। আমি এই সাইটে আপনার সব লেখাই পড়েছি। খুব ভাল লেখা, ফ্যান হয়েছি বলাযায়। আমাদের বাংলাদেশেও এমন কয়েকটা সাইট আছে। যেমন
    লেখার নিমন্ত্রণ রইল।
  • সিকি | 192.69.195.225 (*) | ২৫ জুন ২০১৫ ০২:৩৭66254
  • হুল্লাট।
  • | 77.98.72.126 (*) | ২৫ জুন ২০১৫ ০৪:৩৯66255
  • হমমম,

    চাপ তো!!
  • dd | 116.51.136.165 (*) | ২৫ জুন ২০১৫ ০৬:১৫66256
  • বেশ বেশ বেশ
  • সুকি | 168.161.176.18 (*) | ২৬ জুন ২০১৫ ০৫:৫৯66257
  • সকলকে ধন্যবাদ।

    তুহিন,
    আপনার মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা আর লেখার নিমন্ত্রণের জন্য ধন্যবাদ। আসলে বেশী জায়গাতে তো লেখা হয় না - বুঝতে পারি না যে আমার লেখা কেমন মানাবে। সামনে কোন দিন হয়ত লিখব।
  • byaang | 132.167.142.9 (*) | ২৬ জুন ২০১৫ ০৬:১৪66258
  • খুব মজা পেলাম লেখাটা পড়ে। খাসা লেখা।
  • b | 14.139.196.11 | ৩১ জুলাই ২০২০ ১৮:২৯95761
  • সুকির এই ল্যাখাটা আমার চোখ এড়িয়ে গেছিলো।
    এই ফরম্যাট, লেখার বন্যা এসবের সূত্রে মনে পড়ল।
  • avi | 2409:4061:2c98:66b4:dfc0:3fa3:40dc:156f | ৩১ জুলাই ২০২০ ২০:১৭95764
  • আগে পড়িনি, যাব্বাবা! বঙ্কিমের কমলাকান্তের দপ্তরের 'কী লিখিব' ভার্শন ২.০ হয়ে গেছে।

  • শঙ্খ | 103.217.235.35 | ০১ আগস্ট ২০২০ ০০:২৬95774
  • আমিও আগে পড়িনি, ভালো ই হইলো পড়ে ফেল্লুম। প্রবন্ধগুলো বেশ সরস হবে মালুম হচ্ছে, এই উইকেন্ডেই এক কিস্তি হয়ে যাক।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন