এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ভ্রমণ  দেখেছি পথে যেতে

  • রাজকুমারী মাসুরি – এক অভিশপ্ত কাহিনী

    সুকান্ত ঘোষ লেখকের গ্রাহক হোন
    ভ্রমণ | দেখেছি পথে যেতে | ২০ নভেম্বর ২০২২ | ৯৯৯ বার পঠিত | রেটিং ৪.৩ (৩ জন)
  •  
     
    আজকের দিনের মালয়েশিয়া দেশটির পশ্চিমের একটি ছোট্ট দ্বীপ – মূল স্থল ভাগ থেকে খুব বেশী দূরে নয়। মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশীয়ার মধ্যে যে সরু জলভাগ, যাকে ‘মালাক্কা’ বলা হয়ে থাকে, তার মাঝেই এই দ্বীপ। এই দ্বীপের উত্তরে আছে আন্দামান সাগর, এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে সাগর বরাবর গেলেই পোঁছে যাবেন ‘ফুকেট’ যা এখনকার দিনের থাইল্যান্ডের অন্তর্গত। ফুকেটের মতন অত জনপ্রিয় এবং বহুল প্রচারিত না হলেও, আজকাল কিন্তু মালয়েশিয়ার এই দ্বীপটি পর্যটকদের খুব আকর্ষণের হয়ে উঠেছে। দ্বীপটির নাম ‘লাঙ্কাভি’।

    টুরিষ্ট আকর্ষণের জন্য সরাসরি প্রতিযোগিতা এই দুই জায়গার মধ্যেই না চললেও, ফুকেটের সাথে কিন্তু লাঙ্কাভির অনেক ইতিহাস জড়িয়ে আছে, জড়িয়ে আছে অনেক উপকথাও। আজ থেকে প্রায় দুশো বছর আগের কথা – কথিত আছে সেই সময়ে লাঙ্কাভি দ্বীপের সব থেকে সুন্দরী মেয়েটির নাম ছিল ‘মাসুরি’। মাসুরি কিন্তু জন্মসূত্রে মালয় ছিল না – বরং ছিল থাই। মাসুরির বাবা মা থাইল্যান্ডের ফুকেট থেকে লাঙ্কাভি চলে আসে ভাগ্যানেষণে, মাসুরির জন্মের মাত্র কিছু বছর আগে। কেউ কেউ বলে যে আদপে মাসুরি ছিল চাষীর ঘরের মেয়ে। আবার কিছু কিছু উপকথা বলে যে, মাসুরির মধ্যে রাজ বংশের রক্ত প্রবাহমান ছিল – সেই অর্থে বলতে গেলে রাজকুমারী।

    জন্মের পর থেকে মাসুরি যত বড় হতে লাগল, যেন তার রূপের এবং সৌন্দর্য্যের ছটা আরো বেশী করে খুলতে থাকল। যৌবন বয়সে পৌঁছলে মাসুরির রূপের খ্যাতি সমগ্র লাঙ্কাভি দ্বীপে ছড়িয়ে পড়ে এবং আজকের ভাষায় বলতে গেলে দ্বীপের হার্টথ্রব হিসাবে পরিচিত হয়ে যায়। মাসুরি যে এলাকায় থাকত সেই এলাকার প্রধানও নাকি তার রূপে মুগ্ধ হয়ে বিবাহের পরিকল্পনা করে মাসুরিকে। কিন্তু গ্রামের প্রধান ছিল বিবাহিত – পত্নীর হাতে দুম-দাম খেয়ে বিয়ের আশা ত্যাগ করতে হয় তেনাকে।
     
     

    ক্রমে মাসুরি প্রেমে পড়ে যায় লাঙ্কাভির এক যোদ্ধার – এবং ভালোবেসে তাদের বিবাহও সম্পন্ন হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় ভালোবাসার সেই সংসার বেশী দিন করার আগেই যুদ্ধ লেগে যায় লাঙ্কাভির লোকেদের সাথে সিয়ামীজ-দের (থাইল্যান্ডের দক্ষিণ প্রদেশের লোক)। মাসুরির স্বামীকে যুদ্ধে যেতে হয় মাসুরিকে গ্রামে একা রেখে – অনেক দিন ধরে যুদ্ধ চলতে থাকে – আর সেই সমস্ত সময়টাতেই মাসুরিকে একা একাই কাটাতে হয়। এমন সময় একদিন গ্রামে এক কথক আসে – আমাদের দেশের মতই এই কথকরাও যাযাবরের মত এই গ্রাম সেই গ্রাম ঘুরে বেড়াতো। খুব ভালো কথা বলতে পারত বলে কথকের গল্প শুনে গ্রামের সবাই মন্ত্রমুদ্ধ হয়ে গেল। তাকে রিকোয়েষ্ট করা হল আর কিছু দিন এই গ্রামে থেকে যাও। কিন্তু সে থাকবে কোথায়? মাসুরি নিজেও তার গল্প শুনে মুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল আর তার বেশী জটিল কিছু না ভেবে বলল, তাহলে তুমি আমার বাড়িতে থেকে যাও।

    ব্যাস – সেই গ্রামের প্রধানের বউ দেখল এই সুযোগ। ছেলেদের ঠিক ঠাক বিশ্বাস করা যায় না এই সব ব্যাপারে, আর নিজের স্বামীকে তো নয়ই! আগে বিয়ের চেষ্টা করেছিল – মাসুরির স্বামী অনেক দিন যুদ্ধে গিয়ে ফেরে নি। মরে গেছে কি কে জানে! যদি মরে যায় খবর আসে, আর তখন আবার মাসুরিকে বিয়ে করতে উঠে পড়ে লাগে! তার থেকে কাঁটা একেবারে সরিয়ে ফেলাই ভালো! আর তা ছাড়া মাসুরির সৌন্দর্য্যের উপর এক প্রবল হিংসা তো ছিলই!
     


    প্রধানের বউ গুজব ছড়াতে শুরু করল যে মাসুরির চরিত্র গত দোষ আছে। ওই যে কথককে থাকতে দিয়েছে বাড়িতে – তার সাথে ইন্টু-মিন্টু করাই মূল লক্ষ্য। গুজব দাবানলের মতন ছড়িয়ে পড়ল। প্রধানের বউ ষড়যন্ত্র করে গ্রামের বয়জেষ্ঠ এবং কর্তাদের বিশ্বাস করিয়ে ফেলল যে মাসুরি নষ্ট মহিলায় পরিণত হয়েছে স্বামীর অবর্তমানে। বিচার সভার আয়োজন করা হল – মাসুরির কাতর প্রার্থনা কেউ শুনলনা। যতই বলে আমি নির্দোষ, কিন্তু কে শোনে কার কথা! কর্তাদের মধ্যে যেন এক হিংস্র প্রতিরোধ স্মৃহা পেয়ে বসেছে। 

    বিচারে রায় দেওয়া হল যে মাসুরিকে ছোরা দিয়ে কুপিয়ে মৃত্যু দন্ড দেওয়া হবে। সেই মত একটা কাঠের ঘুঁটিতে মাসুরিকে বেঁধে হানা হল একের পর এক ছুরিকা ঘাত। গল্পে আছে যে সেই সব ছুরিকাঘাতে কিছুতেই মাসুরির মৃত্যু হচ্ছিল না। কিন্তু ততক্ষণে লজ্জায়, ক্ষোভে মাসুরি আর নিজের বেঁচে থাকার ইচ্ছেটাই হারিয়ে ফেলেছে। সেই বলল যে তার মৃত্যু একমাত্র হতে পারে তার বাবার রেখে যাওয়া এক বিশেষ ছুরিতে, যেটা তাদের পরিবারে অনেক দিন ধরে আছে। সেই ছুরির আঘাতেই মাসুরির মৃত্যু হয় – আর শরীর থেকে বেরোনো রক্তের রং নাকি ছিল সাদা। মাসুরি নিঃষ্পাপ সেটা বুঝতে পারলো সবাই। ১৮১৯ সালে মারা যায় মাসুরি – আজ থেকে ঠিক দুশো বছর আগে। 
     


    মারা যাবার আগে তার প্রতি হওয়া অনাচারে ক্ষুব্ধ হয়ে মাসুরি অভিশাপ দিয়ে গিয়েছিল যে লাঙ্কাভি দ্বীপে নেমে আসবে ঘোর দুর্যোগ এবং আগামী সাত প্রজন্ম সেই দুর্যোগের প্রকোপে পড়বে। এবার সমাপতনই বলুন, বা সতীর অভিশাপ ফলে যাওয়াই বলুন, মাসুরি মারা যাবার ঠিক পরেই লাঙ্কাভি জয় করে নেয় সিয়ামীজ-রা। সিয়ামিজরা যাতে কিছু লুট করতে না পারে এবং সেই জায়গায় বেশী দিন থাকতে না পারে, তাই লাঙ্কাভির লোকেরা নিজেরাই নিজেদের ক্ষেত জ্বালিয়ে দিল আগুন দিয়ে, কুয়োর জলে ঢেলে দিল বিষ। কিন্তু কিছুতেই কিছু হল না – লাঙ্কাভি ছাড়খাড় হয়ে গেল। এর পরে বহুদিন পর্যন্ত লাঙ্কাভি প্রায় জনমানব শূন্য হয়ে উঠল। কিন্তু সুখের কথা বিংশ শতাব্দীতে পা দিয়ে লাঙ্কাভি আবার তার পুরানো চার্ম ফিরে পেতে শুরু করে। এখন তো খুব বড় টুরিষ্ট স্পট প্রথমে যেমন লিখেছি।

    এবার ঘটনা হল আপনি লাঙ্কাভি গিয়ে এই সব উপকথার পিছনে ছুটবেন নাকি সেই অদ্ভূত সুন্দর বীচে বসে নীল জলরাশির দিকে তাকিয়ে কিছু একটা চুমুক দেবেন আয়েশ করে। আমার আর অমৃতার স্থানীয় ইতিহাস নিয়ে সব সময়েই ইন্টারেষ্ট ছিল বলে একদিন দেখতে গেলাম মাসুরির সমাধি। আজকাল লঙ্কাভির সরকার সেখানে একটা কালচারাল সেন্টার বানিয়েছে। বিশাল কিছু হাই ফাই না হলেও গেলে আপনি স্থানীয় ইতিহাসের একটা ছোঁয়া পেয়ে যাবেন। খুব একটা বিদেশী টুরিষ্ট দেখবেন না এখানে – বেশীর ভাগ দেখবেন মালয় লোকেরা, ইন্দোনেশীয়ার অন্য প্রদেশ থেকে ঘুরতে এসেছে – এরা তো ছোট বেলা থেকেই এই উপকথা শুনে এবং পড়ে আসছে।
     
     

    ইতিহাস এবং সংস্কৃতির মেলবন্ধনের এই জায়গা ঘুরে খুব ভালো লাগলো আমাদের। একটা মিউজিয়াম এবং ছোট গ্রামের মত করেছে জায়গাটা। গিয়ে ঢোকার সময় দেখা যাবে স্থানীয় মালয় পোষাক পরে ছেলে-মেয়েরা ওদের ট্রাডিশন্যাল বাদ্যযন্ত্র বাজাচ্ছে – এদের এক বাদ্যযন্ত্রের নাম কাক্‌লেমপঙ, খুব মধুর ধ্বনি। এছাড়া একটা ছোট ঘর আছে যেখানে ভিডিও ইত্যাদি দিয়ে মাসুরির গল্পটা বলা হবে। মাসুরির সমাধি একটা গেরা জায়গার মধ্যে – সাদা পাথরের স্ল্যাব আছে, আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন কিছু মেরামতি চলছে। এর পাশেই আছে কিছু মাঠের মডেল টাইপের বাড়ি – আগেকার দিনে স্থানীয় লোকেরা কেমন বাড়িতে থাকত সেগুলো পর্যটকদের বোঝানোর জন্য।
     
     

    আর একপাশে আছে পুতুল টাইপের মূর্তি তৈরী করে মাসুরির কেমন ভাবে জীবন কাটত সেটা বোঝাবার চেষ্টা। মাসুরিকে মারতে কি ধরণের অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল সেগুলো প্রদর্শিত আছে – আর আছে কিছু পোর্ট্রেট – কিছু জামা কাপড় নাকি মাসুরির ব্যবহৃত।

    আর আছে মাসুরির কুয়ো – সে কুয়োর জল নাকি কোনদিন শুকায় নি, এমনকি খরার সময়েও। এই কুয়োর জলেতেই নাকি মাসুরি স্নান করত – স্থানীয় বিশ্বাস এই কুয়োর জলে ম্যাজিক ক্ষমতা আছে। এর জলে মুখ ধোবার জন্যই মাসুরিকে নাকি দেখতে অত সুন্দর ছিল। আজও অনেকে এই কুয়োর জলে মুখ ধোবার চেষ্টা করে। অমৃতা বলল, চলো একটু মুখটা ধুয়ে নিই এই কুয়ার জলে। আমি বললাম, মনে হয় না তোমার লাগবে! 
     


    ঘুরতে যাওয়া মানে তো শুধুই প্রধান টুরিষ্ট স্পট বুড়ি ছুঁয়ে ঘুরে আসা নয়! হাতে সময় নিয়ে এমন সব স্থানীয় উপকথা, লোকগাথা – স্থানীয় সংস্কৃতি একটু ঘুরে দেখতে পারেন। মনে হয় না খুব একটা খারাপ লাগবে!
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ভ্রমণ | ২০ নভেম্বর ২০২২ | ৯৯৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Santanu | 2401:4900:1c00:5fac:81a0:7f73:259c:3b0e | ২১ নভেম্বর ২০২২ ০৭:৫৩513968
  • বাঃ 
  • Mayukh Datta | ২৩ নভেম্বর ২০২২ ০৯:০৯514059
  • বাহ!! ভাল লাগল!!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল প্রতিক্রিয়া দিন