এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • পান, চুম্বন ও নানাবিধ

    সুকান্ত ঘোষ লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২৮ এপ্রিল ২০১৫ | ৮১০ বার পঠিত
  • ভাবছিলাম যে এই খাবারদাবার গল্পে ‘চুমু’ খাওয়াটাকে অন্তর্ভূক্ত করা উচিত হবে কিনা ! ‘চুমু’ বিষয়টাকে আলোচনায় নিয়ে এলে কোথায় থামতে হবে সেটাই একটা দার্শনিক সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। কারণ অন্য খাবারের মত ইহা পাকস্থলী পর্যন্ত পৌঁছয় না, পাবলিকের মতে বুকের বাঁদিক ঘেঁষেই নাকি আটকে যায়। কোলষ্টেরলের মত এটাও নাকি হৃদয়ের দূর্বলতার কারণ হিসাবে দেখা যেতে পারে - ফারাকটা হল টাইম স্কেলের, চুমু যৌবনবেলার উপসর্গ হলে কোলষ্টেরল প্রৌঢ়ত্বের। তো যাই হোক, চুমু খাওয়া বিষয়ে আর একটু বিশদ এই বলার যে, উহা একটা ছোঁয়াছে রোগের মত।

    আমাদের হল ১৫-র প্রত্যয় খুবই সুদর্শন টাইপের ছেলে ছিল এবং হাত খরচের জন্য বেশ কয়েকটি টিউশনি পড়াত। ওর এক ক্লাশ এইটের ছাত্র নাকি ওর প্রেমে পড়ে গিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিল, “স্যার, আপনার গালে একটা চুমু খাব”? ছাত্রের সাথে প্রত্যয়ের মেশামিশি অন্য লেভেলের হবার জন্য উত্তরে ও নাকি ছাত্রকে ওর গালের পরিবর্তে বাপের কোন একটা বিশেষ স্থানে কিস্‌ করতে পরামর্শ দিয়েছিল। সেই বিশেষ স্থানটি ঠিক কোথায় জানার জন্য প্রত্যয়কে চাপাচাপি করলে বলে যে সে নাকি তার ছাত্রকে বাপেরর হেগো পোঁদে কিস্‌ করতে বলেছিল। গে বিষয়টা তখনও এত পপুলার হয় নি, না হলে প্রত্যয়ের কপালে দুঃখ ছিল ! গে জিনিসটার সাথে পোঁদের অঙ্গাঙ্গী সম্পর্ক অনুমান করে নিলেও জানি না যে গে-পাবলিকরা হেগো পোঁদ নিয়েও সম পরিমাণ উৎসাহী কিনা!

    এই প্রত্যয় আর ওর এক মেকানিক্যালের ক্লাশমেট আমাদের কলেজ ক্যাম্পাসের ভিতর সব বিয়েবাড়ি অ্যাটেন্ড করত, কর্মচারীদের বা তাদের আত্মীয়দের বিয়ে। শেষ পর্যন্ত নাকি ওরা ফাউন্ড্রি ওয়ার্কশপের সম্পর্কিত কারো বিয়ে খেতে গিয়ে ধরা পরে - এবং ওদের থ্রেট দেওয়া হয় প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষায় দেখে নেওয়া হবে বলে। শেষ পর্যন্ত কি হয়েছিল জানি না, তবে প্রত্যয় এর পরেও বিয়ে খেতে যেত।

    এমনিতে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে চুমু খাবার স্কোপ খুব একটা নেই - কারণ কোয়ান্টিটি এবং কোয়ালিটি দুয়েরই অভাব। ১/১৫ মেয়ে এবং ছেলের রেশিও হলে যা হয় আর কি ! তাছাড়া চুমু বন্ধের জন্য ভি।সি।-র আপ্রাণ চক্রান্ত এবং নৈশবিহার। মোদ্দা কথা হল, চুমু খেয়ে কিছু ভরাবার সুযোগ খুব কম ছেলেই পেয়েছিল - তাই বৃহত্তর হতাশ ছাত্র সমাজের কথা ভেবে এই প্রসঙ্গে আর বেশী নাড়াচাড়া করছি না।

    আমাদের কলেজের ছেলেরা ব্রিটানিয়া এনিটাইমের মত কারণে - বিনা কারণ সবেতেই মদ্য পান করত, এবং তার সাথে বি গার্ডেন গেটের কাছে ভাবীর দোকানের গাঁজা। ভাবী বলে কেউ কি আদপেই ছিল নাকি নামটা সিম্বলিক সেই সম্পর্কে আমার কাছে বিশদ কোন তথ্য এই মুহূর্তে নেই। মূলত কলেজেই মাতাল তৈরী হত - জেনুইন মাতাল কলেজে ডাইরেক্ট এসেছে এমন খুব কমই হয়েছে। যদিও অনেকে দেখানোর চেষ্টা করত যে সে বহু দিনের মাতাল, তবে আমার কাছে পাকা মাতালের লক্ষণ সমূহের যে ডাটাবেস ছিল তার সাথে ওদের আচরণ মিলত না। তবে বিড়ি সিগারেটে পায়ী দ্বারা কলেজ প্রায় ভারাক্রান্ত ছিল। যে বাঙ্গালী স্মোক করে না সে নাকি মূলে বাঙ্গালীই নয়, এমনটাই ভারতের বাকি প্রদেশের ধারণা আমাদের সম্পর্কে। মনে আছে, কলেজে প্রথম দিনে ভয়ে ভয়ে হোষ্টেলে বসে বসে যখন প্রায় কাঁপছি, তখন লুঙ্গি পরে একজন প্রত্যেক ঘরে ঢুকে, “এই, বিড়ি আছে - বিড়ি আছে”, জিজ্ঞাসা করছিল। আমাদের ব্যাচেরই এ হেন যার সাহস, সে যে টেনশন ছাড়াই বাকি কলেজ লাইফ কাটাবে সে বিষয়ে কোন সন্দেহ ছিল না। কাকা-র সাথে এই ভাবেই আমর প্রথম আলাপ - সিনিয়ররাও ওকে সমীহ করে চলত, কারণ সবদিক থেকেই কাকা সিনিয়রদেরও সিনিয়র ছিল। সে গল্প অন্য কোন দিন।

    তা যা বলছিলাম, প্রথম বর্ষে ট্রেনি মাতালেরই প্রাচুর্য ছিল - হইচই একটু বেশী, পরে সময়ের সাথে এরা অনেকেই মোক্ষলাভের দিকে এগুত মাতাল ধর্মের। কেউ বা বিয়ার খেয়ে মাতাল, কেউ বা রাম/ভদকা/হুইস্কি, আবার কেউবা নাম শুনে-গন্ধ শুঁকেই, যেমন আমার রুমমেট সাধন। এর মাঝামাঝি জায়গায় ছিল চুল্লু বা ধেনো বা কান্ট্রী। যদি অ্যালকোহল পরিমাণ ধরা হয়, তা হলে বিয়ারে ৬ ভোল। %, হুইস্কি ইত্যাদিতে ৪০ ভোল।%, কিন্তু ধেনোতে প্রায় ৮০ ভোল।% ! তাই চুল্লু খাবার জন্য বড় পাকস্থলী এবং হৃদয়ে দুয়েরই দরকার হত। তাছাড়া ক্লসেরও একটা ব্যাপার ছিল! একবার সরস্বতী পূজার বিসর্জনের দিন আমাদের গ্রামের উদয় দাবী করল ওকে নাকি সাপে কামড়েছে - পায়ে পরিষ্কার দাঁতের দাগ দেখা যাচ্ছে। তো আমরা পরিমরি করে উদয়কে নিয়ে মেমারী হাসপাতালে ছুটলাম। মাঝে ওঝার বাড়ি একটা স্টপ ছিল - যে চাল পোড়া দিয়ে কনফার্ম করল যে ওটা বিষধর সাপ। হারাণ ছিল আমাদের পেট্‌ ওঝা যে দিনের বেলা ট্রেনে মুড়িমশলা বিক্রি করত এবং এখনও করে।

    তা যাই হোক, হাসপাতাল তো বলল যে উদয়কে অবজারভেশনে রাখতে হবে এবং ওকে ভর্তি করে নিল। পরের দিন আমরা উদয়কে দেখতে গেলাম। হাসপাতালের খাবার উদয় খেতে পারছিল না তাই ওর কাছে জানতে চাইলাম যে ও কি খেতে চায়। উদয় বলল, “দ্যাখ, কালকে তো ঠাকুর বিসর্জনে নাচতে পারলাম না, তাই যদি আর না বাঁচি, তোরা আমাকে একটু ধেনো এনে দে”। ব্যাটা বলে কি ! হাসপাতালে ধেনো কি করে আনব ! ডাক্তারকে বললে ঝেঁটিয়ে তাড়াবে। তাই রাজু শেষ পর্যন্ত বুদ্ধি বের করল - একটা ডাব কিনে কেটে তার জলটা ফেলে ধেনো ভর্তি করে স্ট্র দিয়ে ওয়ার্ডে ঢুকছি, নার্স জানতে চাইলে জানালাম আমাদের রুগী ডাব খেতে চেয়েছে। রাজু ডার ধরে আছে আর উদয় স্ট্র দিয়ে ডাবের ভিতর থেকে ধেনো খাচ্ছে - এই দৃশ্য এখনো আমার চোখে ভাসে। আর ছিল আমাদের গ্রামেরই রামা, আমারই বয়সি প্রায় - বছরখানেক আগে মারা যায় অতিরিক্ত ধেনো খেয়ে খেয়ে। লিটারেলি সে ধেনো দিয়ে মুখ ধুতো। আমাদের জমিতে কাজ করবার সময় ওকে ভাতের সাথে জলের পরিবর্তে ধেনো খেতে দেখেছি। তবে ও জানত যে ও মারা যাচ্ছে, কিন্তু আনন্দ সিনেমার আনন্দের মতই রামা প্রতি পলে জীবনকে উপভোগ করেছিল আরো বেশী করে মদ খেয়ে। শেষ পর্যন্ত এমন অবস্থা হয় যে, রামাকে লোকে ভালোবেসে ধেনো কিনে দিত - আহা, ছেলেটা মারা যাচ্ছে ! রামা আনন্দের সাথে মারা যায় কোনরূপ দেবদাস জাতীয় পিছুটান ছাড়াই।

    এই লেভেলের মাতাল আমাদের কলেজে ছিল না। ও যে মদ খেয়ে থম্‌ মেরে থাকা, সেই ব্যাপারটা খুব কম ছিল। অনেকে মদ খাবার পর জুনিয়ারদের শাসন করতে বেরুত। সেই আপাত সাদাকালো মদ্যপান লাইফে একটু হালকা বৈচিত্র সৃষ্টি করেছিল মোটা জয়ন্ত। বোতলটাকে শেষ করে ওর মনে হল যে শোলের ওই ‘মেহেবুবা, মেহেবুবা’ গানটা একটু গাওয়া দরকার। কিন্তু মাতাল থাকার জন্য ও গানের সিকোয়েন্স এবং সিচ্যুয়েশন দুটোই গুলিয়ে ফেলে - হেমার ভাঙ্গা কাঁচের উপর গাওয়া ‘যব্‌ তক্‌ হ্যা জাঁ, ম্যা নাচুঙ্গি’ এটাকে ও ব্যাকগ্রাউন্ড করতে চায়। ফলে হাতের খালি মদের বোতলটাকে ভেঙ্গে করিডোরে ছড়ানো কাঁচের উপর ও শুয়ে শুয়ে উলটো পালটি খেতে খেতে মেহেবুবা-মেহেবুবা চিৎকার করতে থাকে। এমনিতে জয়ন্তকে হোষ্টেলে আমি জামা পড়া অবস্থায় কোনদিনই প্রায় দেখিনি - সে দিনও তার ব্যতিক্রম নয়। পড়নে একটা ছোট পাজামা, তাও ট্যাঁকে অনেকটা গোঁজা। মনে হচ্ছিল যেন একটা মাংসের তাল যেন গড়াগড়ি দিচ্ছে কাঁচের উপর - তাড়াতাড়ি ওকে ধরে তোলা হল। বললে বিশ্বাস করবেন না, ওই ভাঙ্গা কাঁচ ওর শরীর রক্তাক্ত করতে পারে নি - এতো ফ্যাটের প্রোটেকশন ছিল।

    এই ঘটনার ৮ বছর পর প্রায় এমনিভাবে প্রায় তেমনি মোটা নোয়েল কে মাতাল অবস্থায় বিছানায় শুইয়ে দিতে যাচ্ছিলাম - আর নোয়েল শুধু একটা কথাই বার বার আউড়ে যাচ্ছিল - “ইজি ম্যান - ইজি”। কোনটা ইজি ভাবে করব আমরা কেউই বুঝতে পারি নি যেমনটা পারি নি নোয়েলের পি।এইচ।ডি। র বিষয়টা বুঝতে। পরিবেশ দূষণ সংক্রান্ত কি একটা রিসার্চ করছিল, যার জন্য সে ইংল্যান্ডের নানা শহরে বাতাস ধরে বেড়াত। যথেষ্ট পরিমাণে বোরিং কাজ, তবে তার থেকেও বোরিং ছিল সেই বাতাস অ্যানালিসিস। একদিন ওর ল্যাবে দেখা করতে গিয়ে দাঁডিয়েই আছি, আর নোয়েল সিরিঞ্জ ধুয়েই যাচ্ছে। মোট ৪৭ বার ধোয়ার পর বলল, এবার নাকি সিরিঞ্জটা ব্যবহার করা যাবে ! এর থেকে বেশী বোরিং কাজ আমার জ্ঞানত পৃথিবীতে আর একজ়নেরই ছিল - বাবুলালের। বড় জ্যাঠা বড়বাজারে মারোয়ারী মহাজনের গদিতে মাল আনতে যেত। তা জ্যাঠা বলত দোকানের মালিকের স্বাস্থ্য এতই ভালোছিল যে বাতকর্মের জন্য নাকি নিজের পিছনটাও সে তুলতে পারত না। তাই বায়ুনিস্কাষণের দরকার হলে বাইরে টুলের উপর ওয়েট করতে থাকা বাবুলালের ডাক পড়ত এবং সে এসে পাছার একটা দিক তুলে ধরত !

    নোয়েলের সব আজগুবি কিছুই আমরা ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখতাম কারণ রান্নাটা ও খুব ভালোই করত। মালটা দেশে একটা স্পেশাল খাবার পাওয়া যায় (অনেকটা বাক্‌লাভা টাইপের), মনে হয় সেটা আরবিক প্রভাব থেকেই আসা। সাদা বাংলায় খাবারটা হল ময়দার খোলের ভিতর খেজুরের পুর দিয়ে তেলেতে ভাজা। নোয়েল সেটা ভারী সুন্দর বানাত, দেদার খেয়েছি। তবে মালটায় গিয়ে ওই একই জিনিস খেয়ে বিপত্তি - কারণটা আর কিছুই নয়, নিছক তৈলগত ব্যাপার । তখন কি আর জানতাম পাইকিরী ভাবে তেলে ভাজা কোন জিনিসের ভৌগলিক সীমা হয় না ! এই খেজুরের পুর দেওয়া জিনিসটা ওখানে খেয়ে কলেজ গেটে চন্দ্রপুলি খাবার মতনই এফেক্ট হয়েছিল।

    কলেজের গেট প্রসঙ্গে মনে পড়ল, আমাদের কলেজের ফার্ষ্ট গেটের সামনেই তরুণদার দোকান ছিল - বসন্ত কেবিন। ছাত্র থাকাকালীন সেই বসন্তের আঁচ খুব বেশী বুঝি নি - এখন পাই, নষ্টালজিয়া যার নাম। তরুণদার সহ অনেক দোকানেই ভারতীয় চাউমিন বিক্রী হত। মূল চীনা খাবারে সব্জি থাকে, কিন্তু ভারতীয় সংস্করণে ডিম বা চিকেন এবং তৎসহ নানাবিধ সস্‌ ও ভিনিগারের খেল। তবে চীনা ও ভারতীয় পদ্ধতিতে মিল একটাই - দেদার তেলের ব্যবহার। তাই স্বভাবতঃই চৈনিক ও ভারতীয় দুই সভ্যতাই তৈলাক্ত। তবে এরই মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল গোপালের ডালপুরি। ডালপুরির সাথে যে তরকারীটা সার্ভ করা হত তার রঙ আমি কালার স্পেকট্রামে খুঁজে পাই নি, পরে পেয়েছিলাম বার্জার পেন্টেস্‌ এর ক্যাটালগে। ভালো ও খুঁতহীন আলু ওই তরকারিতে দিলে নাকি তার স্বাদই নষ্ট হয়ে যেত। বর্ধমানের চাষার ছেলে হবার জন্য এই খবর আমার কাছে খুবই সুখপ্রদ ছিল। যে আলুগুলি বাড়ির গরুতেও মুখ দিত না তা এই ভাবেই বাঙালীর সান্ধ্যভোজকে ধরে রেখেছিল। কলকাতার গাড়ী থেকে নেমে ফুচকা খাওয়া সুন্দরীদের উদ্দেশ্যে বলি, ভ্যাগিস খাবার শেষ এক্সষ্ট্রা তেঁতুল গোলা জলই চুমুক মারো, তাই জানতিই পারো না ফুচকার ভিতরর কোন আলু সমাহিত আছে !

    বিয়ারের সাথে আলতু ফালতু মুখরোচক চাটের এত অঙ্গাঙ্গী সম্পর্ক কেন তা আমি আজ পর্যন্ত বুঝতে পারি নি। পৃথিবীর প্রায় সমস্ত দেশেই বিয়ার পানের সাথে রদ্দি খাবার গতাবার ব্যবস্থা আছে। বি।গার্ডেন বারেও ছিল - সৌগত প্রায় তার নিয়মিত খদ্দের। ওখানে নাকি তার সাথে অ্যালকোহল বন্ধুত্ব হয় শিবপুর এলাকার বিখ্যাত এক ফুটবলারের সাথে যার জীবনে দুটি জিনিসের প্রভাব খুব বেশী - শ্যামাসঙ্গীত ও ফুটবল। সৌগত আবার ভালো গানও গাইতে পারত, সেই সূত্রই শ্যমাসঙ্গীত গাওনের ফলে আলোচনা জমে উঠত। গভীর রাতের দিকে নাকি ফ্রীতে বিয়ার খেয়ে হোষ্টেল পর্যন্ত বাইকে লিফট পেত!

    বিয়ার প্রসঙ্গে উঠল যখন আরও দুই একটা কথা বলে নিই। ইংল্যান্ডে তখন ১০ পাউন্ডে এক জগ বিয়ার পাওয়া যেত পাবে। এক পাইন্ট (ইন্ত, প্রায় ৫৫০ মিলি) এর দাম ছিল ২ পাউন্ড, তা ওই জগ নিলে ছয় পাইন্ট এর মত থাকত ফলে কিছু সাশ্রয়। একদিন ল্যাব থেকে বেরিয়ে ইউনিভার্সিটি বারে সন্ধ্যেবেলা আমি আর যোসেফ গেলাম। যোসেফ একগ্লাস বিয়ার নিয়ে চায়ে চুমুক দেবার মত খাচ্ছিল। ২০ মিনিট বাদে অর্ধেক গ্লাসও খালি না হতে দেখে জিমি আর থাকতে পারল না। জিমি হল আমাদেরই ল্যাবে, ইউনিভার্সিটি রাগবি টিমের ক্যাপ্টেন - ডিফেন্সে খেলে। এ এক অদ্ভূত খেলা - জিমির প্রধান কাজই হল লোকে ওকে ঠেলবে, কিন্তু যেন সরাতে না পারে। কি স্কিল লাগত বলতে পারব না, তবে ওই বিশাল চেহারা নিয়ে জিমি বেশ খ্যাতনামা খেলোয়াড় ছিল। জিমি যোসেফকে বলল যে ছেলেরা নাকি ওমন ভাবে বিয়ার খায় না। কেমন খায় তা দেখাবার জন্য কাউন্টারে এক জগ্‌ বিয়ার কিনল এবং সেটা এক চুমুকে পান করে ঠক্‌ শব্দে জগটা টেবিলে রাখল। ওই তিনলিটার মত তরল পানের মত ওর পাকস্থলী ছিল - তাহলে সমানুপাতে বপুর আইডিয়া লাগিয়ে নিন।

    তবে বেশী বিয়ার খাবার জন্য যে খুব মোটা হতে হবে এমন কোন সরল সম্পর্কও নেই। জিমির এক-তৃতীয়াংশ হয়েও স্টিভ সমান সমানই বিয়ার খেত। একবার সাইকোলজি বিভাগে এক পি।এইচ।ডি। ছাত্র বিজ্ঞাপন দিল যে ওর রিসার্চের কাজে একটা সিটিং দিলে ৫০ পাউন্ড দেবে। কাজটা হল - বিয়ার খাওয়া এবং ওই সময় খেতে খেতে কিছু প্রশ্নের উত্তর দেওয়া। আদপে ওই মেয়েটি চেষ্টা করছিল কতটা মদ্যপান করলে তার কি প্রভাব সময়ের সাথে ইত্যাদি ইত্যাদি। তা সেটা জেনে স্টিভ তো ছুটলো স্বেচ্ছাসেবক হতে। ৫০ পাউন্ড তো মুফতে পাওয়া যাবে, বিয়ার ফ্রী বলে কথা ! তা ছয় পাইন্ট বিয়ার পান করেও স্টিভের সাইকোলজিক্যাল প্রোফাইলে কোন হেরফের দেখা গেল না! সব প্রশ্নের জবাবই স্বাভাবিক। আমরা আশা করলাম যে এই মেয়েটি নিশ্চয়ই স্টিভের বিয়ারপানকে ওই বয়সী গড়পড়তা ছেলের অ্যাভারেজ বলে ধরবে না এবং তার থেকে এই অনুসিদ্ধান্তে পৌঁছবে না যে ছয় পাইন্ট বিয়ারের কোন প্রভাব নেই !

    বিয়ারের প্রভাব আছে - যেমন সাধন তো বিয়ারের নাম শূনলেই মাতাল হয়ে যেত, খাওয়া তো দূর অস্ত ! আর তো ছাড়া বিয়ারের এর একটা গোপন গুন আছে - হাতের কাছে বিয়ার রাখুন, কোন কিছু যদি ফ্রাই করতে গিয়ে প্যানে ধরিয়ে ফেলেন, তাহলে একটু বিয়ার ঢেলে রগঢ়ে দিন - দেখবেন প্যান আবার কেমন পরিস্কার হয়ে গেছে। ফউষ্টো এটা আবিষ্কারের পর পাইয়া (অনেকে বলে পাইয়ালা) রাঁধতে গিয়ে প্রায় দু লিটার বিয়ার কনজিউম্‌ করে ফেলে। বিয়ার সেই অদ্ভূত ব্যবহার এবং ফলতঃ বিচিত্র স্বাদযুক্ত পাইয়ার গল্প পরের বার ।।।।।।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২৮ এপ্রিল ২০১৫ | ৮১০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ranjan roy | 24.99.119.32 (*) | ২৮ এপ্রিল ২০১৫ ০৯:০৪66181
  • আরো হোক!
  • Amit | 190.148.69.210 (*) | ২৮ এপ্রিল ২০১৫ ১০:২৪66182
  • জেফ্রি আর্চার এর একটা গল্প পরেছিলাম অনেক দিন আগে, "Two sides without a- middle"। ব্রুনেই আর মালয়েশিয়া-এর বর্ডার এর ঠিক মাঝখানে নু মান্স ল্যান্ড-এ সেই একমেবাদিতিয়ম মালের দোকান-টার কথা মনে পড়ে গেল।
  • R | 131.241.218.132 (*) | ২৮ এপ্রিল ২০১৫ ১২:৪০66179
  • বাঃ বাঃ । বহুদিন পরে এক ঝাঁক তাজা হাওয়া।
  • amit | 37.33.242.185 (*) | ২৮ এপ্রিল ২০১৫ ১২:৫৩66180
  • মাতাল এর একটা ম্যানুয়াল নামিয়ে ফেল এবার ইন্টারনেট আঁতেল এর মত। আমাদের কাজে আসবে।
  • amit | 190.148.69.210 (*) | ২৯ এপ্রিল ২০১৫ ০৮:৪৪66185
  • হা, আমি-এ সেই ব্রুনেই এর পাপবিদ্ধ পাপিষ্ঠ। হোটেল এর কাহিনী শুনে মনে হচ্ছে গল্প ঠিক পথেই এগোচ্ছে। কিন্তু কথা হলো গুজব কে রটাবে ? সবাই তো এক উদ্দেশেই যাবে -? এ তো সোনাগাছি তে পাড়ার জেঠু দেখে ফেলেছে-এর মত ব্যাপার।
  • পাঠক | 24.139.222.45 (*) | ২৯ এপ্রিল ২০১৫ ১০:৩৭66183
  • ব্যাপক !
  • সুকান্ত ঘোষ | 129.160.188.89 (*) | ২৯ এপ্রিল ২০১৫ ১০:৪৯66184
  • আরে অমিত কি আমাদের অমিতাভদা নাকি?

    ব্রুনাই আর মালয়েশিয়ার মাঝখানে সেই মদের দোকানের ঠিক সামনে একটা হোটেল খুলেছে গত বছর। তা সেই হোটেলে কারা যায়, বা কাকে দেখা গেছে সেই নিয়ে বাজারে মাঝে মাঝে গুজব শোনা যায়। গ্রীষ্মের ছুটির সময় বউরা বাড়ি গেলে নাকি ঐ হোটেলে জায়গা পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়ে!

    বাকিদেরও ধন্যবাদ।
  • Biplob Rahaman | 129.30.38.122 (*) | ০৩ মে ২০১৫ ০৭:৪১66188
  • গুরুতে বেনামে এসব ইতরামী দুর্লভ নয়। আর বরাহ হিমু কোং এর সচলায়তনে। এমন কি আমার নামে (আরো অনেকের নামেও) ইতরজন টয়লেট সংলাপ লিখেছেন।

    গুরুতে লগইন ছাড়া লেখার সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া যৌক্তিক। অনেকদিন বলছি, কেঊ আমলে নিচ্ছেন না। তাই শুভ বুদ্ধির জন্য দীর্ঘতর প্রতীক্ষা ছাড়া উপায় কী?

    লেখাটা খুব মাতাল করা। চুমুর কিছুটা ঘাটতি আছে। দৌড়াক
  • একক | 24.96.119.84 (*) | ০৩ মে ২০১৫ ০৭:৫৩66189
  • লগইন এর স্বপক্ষে আমিও রইলুম ।
  • নাম নেই | 84.125.63.33 (*) | ০৩ মে ২০১৫ ০৮:৩১66186
  • তোমাকে চুমু খাব ইপ্সিতা - মুয়াঃ
  • dc | 132.164.204.216 (*) | ০৩ মে ২০১৫ ০৯:৩৪66187
  • ওপরের পোস্টটা কি হলো? এরকম বলা/লেখা হ্যারাসমেন্টের আওতায় আসে না?
  • Ishan | 183.17.193.253 (*) | ০৩ মে ২০১৫ ১১:৫৫66190
  • লগিনের আম্মো পক্ষে। কিন্তু জনতা লগ ইন করতে চায় না। একটা টই খোলা হোক।
  • sosen | 212.142.68.132 (*) | ০৪ মে ২০১৫ ০২:৪৯66196
  • ও টইয়েও বোধহয় এক বছর আগে লিখে এসছি। এখানে পোবোন্ধো দেখে এখেনেও লিখে গেলাম।
  • | 24.97.238.204 (*) | ০৪ মে ২০১৫ ০৩:২৪66197
  • বিপ্লব রহমান, আমি সাধারণতঃ লগিনেই লিখি। আর হ্যাঁ সqচলায়তনেও আমার নিজের নামেই অ্যাকাউন্ট এবং ব্লগ আছে। এখানেও তাই। লগিন নামটিতে ক্লিকালেই তো আমার সম্পর্কে ছবিসহ বিবরণ পাবার কথা। তা হঠাৎ এই ২০১৫ র মে মাসেতে এসে আম্সার লগিন দেখে ' ভাল লাগল?? কিউরিয়সার অ্যান্ড কিউরিয়সার!

    তবে অন্য টইতে আপনি দেখলাম pi এর সাথে কথা বলছেন। সেটি তো লগিন নয়। তার মানে আপনার অপছন্দের কথা কেউ বললে তখন তার লগিন নিয়ে খোঁজ পড়ে!!

    যিনি এখানে লেখেন না তাঁর নামে কুৎসা করলে আমি আবারও আপত্তি করব।
  • - | 109.133.152.163 (*) | ০৪ মে ২০১৫ ০৩:৩০66198
  • "সুক্ষানুসুক্ষ"!? এই রকম বিচিত্র বানান আর শব্দ ইতিপূর্বে দেখি নাই! এইটুকুই জানতামঃ
    সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম = সূক্ষ্ম এবং অতি সূক্ষ্ম বা সূক্ষ্ম হইতে অতি সূক্ষ্ম পর্যন্ত
  • | 24.97.209.70 (*) | ০৪ মে ২০১৫ ০৪:২৫66191
  • বিপ্লব রহমানের পোস্টের দ্বিতীয় লাইনটা অত্যন্ত আপত্তিকর। হিমু যেহেতু এখানে লেখেন না অতএব তাঁর অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে ব্যক্তিগত আক্রোশ মেটাতে 'বরাহ' সম্বোধন অত্যন্ত আপত্তিকর এবং ইতরামি।

    আর গালিগালাজ সচলায়তনেই সবচেয়ে কম দেখেছি। 'আমার ব্লগ' নামে একটি অত্যন্ত নিম্নমানের ব্লগসাইট এককালে দেখতাম মাঝেমাঝে। সেইসব অকথ্য গালিগালাজ সচলে কোনওদিন দেখি নি।
  • Biplob Rahaman | 212.164.212.19 (*) | ০৪ মে ২০১৫ ০৯:২৪66192
  • আগেও বলেছি। আবারো বলছি, আপনার আপত্তি বহাল রইলো। এমনকি হিমু, সচল ও তৎসহ ইতরপনাও।

    "আর গালিগালাজ সচলায়তনেই সবচেয়ে কম দেখেছি।"

    তাই? তাহলে হয়তো আমারই দোষ। মাফ চাইছি ভাই। তবে কি না সচলে একদম শুরু থেকে লিখেছি। বাংলা ব্লগেও অনেকদিন হলো। তাই খুব দায়িত্ব নিয়েই ওপরের কথাগুলো বলেছি। হিমু এখানে লেখে না বলে তার ব্লগ সাইটের কুৎসিত দিকগুলো আলোচনা করা যাবে না? এগুলো নিহাতই প্রসঙ্গক্রমে বলা, একদম আক্রোশ থেকে নয়। এখন তো লিংক ছাড়া গীত নাই। আপনি চাইলে কয়েক গণ্ডা লিংকও দেওয়া যাবে। তখন না হয় আক্রোশের সুক্ষানুসুক্ষ বিচার করবেন, কেমন?

    আর 'আমার ব্লগ' একটি নিম্ন মানের সাইট সন্দেহ নেই। সেটি মডারেশন বিহীন প্রথম বাংলা ব্লগ সাইট। ব্যক্তি আক্রমণ ও গালাগালির কারণে ওই সাইটেও এখন আর যাওয়া হয় না।

    যা হোক এ নিয়ে পৃথক টইয়ে বলেছি। আপনি লগিনে লিখছেন দেখে ভালো লাগছে। ভালো থাকুন। :)
  • Lama | 213.99.211.18 (*) | ০৪ মে ২০১৫ ১২:১৬66193
  • ভাবী বলে কেউ আদপেই ছিল না মানে? আলবত ছিল। ভাইয়া, ভাবী, তাদের ছেলে ও বউমা কোলে মার্কেটের প্রবেশপথে টালির চালওয়ালা একতলা বাড়িতে থাকত। গাঁজা বিক্রির টাকায় সেই বাড়ি ক্রমে দোতলা হয়েছিল। ২০১১ তে দেখাও হয়েছিল ভাবীর সঙ্গে। এখন অবশ্য ওরা ওখানে আর থাকে না, ঘরবাড়ি বেচে বিহারে ওদের গ্রামে ফিরে গেছে।

    আরেকজন ভাবী ছিলেন- যে গোপালের ডালপুরীর উল্লেখ করা হয়েছে সেই গোপালের মা, অর্থাৎ রামাশিসদার স্ত্রী। কোন অজ্ঞাত কারণে রামাশিসদাকে 'পন্ডিতজি' ডাকা হত। সেই গোপাল এখন তিন ছেলের বাপ।

    তরুনদার দোকান, অর্থাৎ বসন্ত কেবিনে এখন আর চাউমিন পাওয়া যায় না- মনজিনিস হয়ে গেছে। কলেজ হাসপাতালের ডক্টর লাহিড়ি আজকাল আর বসন্ত কেবিনের সামনে উবু হয়ে বসে জিলিপি ভাজেন না কারণ জিলিপির পাট উঠে গেছে।
  • sosen | 212.142.68.132 (*) | ০৪ মে ২০১৫ ১২:৩০66194
  • আমি তো লগিন করব না
  • সুকি | 129.160.188.96 (*) | ০৫ মে ২০১৫ ১০:৫৬66199
  • ল্যামিদা,
    মাইরি ভাবছিলাম যে ভাবীর ব্যাপারটা তোমার কাছ থেকে ক্লারিফাই করে নেব। যাই হোক ভালোই হলো তুমি পুরো জিনিসটা ক্লিয়ার করে দিলে। আসলে গাঁজার বিষয়ে খুব একটা ইন্টারেষ্ট অনুভব করি নি বি ই কলেজে থাকার সময়। তার নানা বিধ কারণ আছে, সেই নিয়ে ফাঁদা যা কোন এক বার ।
  • Biplob Rahaman | 212.164.212.19 (*) | ০৮ মে ২০১৫ ০২:৪২66200
  • #দ,

    "তবে অন্য টইতে আপনি দেখলাম pi এর সাথে কথা বলছেন। সেটি তো লগিন নয়। তার মানে আপনার অপছন্দের কথা কেউ বললে তখন তার লগিন নিয়ে খোঁজ পড়ে!!"

    চুলকানো খুব স্বাভাবজাত কী? খুব ভালো করে তারিখসহ পোস্টগুলো আগে খেয়াল করুন, তারপর গালমন্দ করুন। গুরুতে যখন থেকে লগিন চালু হয়েছে, তখন থেকে আমি লগিন করেই লিখছি। এমনকি মোবাইল থেকেও।

    আর আপনার বাদবাকী জিহাদী বোলচাল আপতত আমলে নিচ্ছি না। এমনকি আপনার লগিন/ লগোফ নিয়েও। শুভেচ্ছা।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন