এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ধর্মনিরপেক্ষতাঃ তোষণের রাজনীতি?

    রৌহিন লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১০ এপ্রিল ২০১৭ | ৬৬৬ বার পঠিত
  • না, অরাজনৈতিক বলে কিছু হয় না। নিরপেক্ষ বলে কিছু হয় না। পক্ষ নিতে হবে বললে একটু কেমন কেমন শোনাচ্ছে – এ মা ছি ছি? তাহলে ওর একটা ভদ্র নাম দিন – বলুন অবস্থান। এবারে একটু ভালো লাগছে তো? তাহলে অবস্থান নিতেই হবে কেন, সেই বিষয়ে আলোচনায় আসি।
    মানুষ হিসাবে আমার দৈনন্দিন জীবনযাপন শুধু আমাকে নিয়ে নয় – এমনকি চরমতম স্বার্থপর মানুষটির জন্যও নয়। যে সামাজিক ডিজাইনের মধ্যে আমরা রয়েছি, তাতে প্রত্যেকেই অন্য কারো না কারো ওপর একাধিকভাবে নির্ভরশীল থাকতেই হয়। এবং সেখানে যে কোন ঘটনা, যে কোন সমস্যা, তা যতই “আমার” সঙ্গে সম্পর্করহিত হোক না কেন, পরোক্ষে বা প্রত্যক্ষে আমার জীবনযাপনকে প্রভাবিত করবেই। ফলে আমাকে বুঝে নিতেই হবে, যা ঘটছে, তা আমার জন্য ভালো না খারাপ – সহনীয় নাকি নয়, প্রশংসাযোগ্য নাকি প্রতিবাদ – ইত্যাদি। এবার আমি যদি “নিরপেক্ষ” থাকতে চাই, অরাজনৈতিক থাকতে চাই, তবে তার দুটো মানে দাঁড়ায়। এক, আমি এই ব্যবস্থা, যা হচ্ছে, যা চলছে, তার ছোটখাটো সুবিধা অসুবিধা সহ, এতে দিব্য আছি – ভালো আছি – সেরকম অসুবিধা হলে প্রতিবাদ করার কথা ভাবব – এখন সে সবের বালাই নেই। তাই আমি নিরপেক্ষ – অর্থাৎ স্থিতাবস্থার পক্ষে। ক্ষমতার পক্ষে – সে যে-ই ক্ষমতাসীন হোক না কেন – এই ব্যবস্থাটা বজায় থাকলেই হল। অথবা দুই, আমি এই ব্যবস্থায় আদৌ খুশী নই, চাই এর পরিবর্তন হোক, অন্য ব্যবস্থা, অন্য শাসক আসুক – কিন্তু আমি নিজে তাতে অংশ নিতে চাই না। আমি আমার পরিবার, নিকট জন নিয়ে অথবা একা একাই ভালো আছি, ভালো থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি – সমাজ পরিবর্তন ফর্তন নিয়ে আমি মাথা ঘামাতে পারব না – অন্যরা করুক।আমি নিরপেক্ষতা প্র্যাকটিস করি আপাততঃ।
    এখান থেকে পরের প্রশ্নে যাই – তাহলে “ধর্মনিরপেক্ষ” কথাটার অর্থ কী? সেটাও কি ভেগ টার্ম? এই প্রশ্নের সমান্তরালে আমরা অন্য আরেকটা বিষয়ের কথাও মাথায় রেখে এগোব – “সিউডো সেকুলার” বা “সেকু” নামক শব্দবন্ধ – যার মূল কথা হল, সেকুলারিজম এর নামে কোন একটি ধর্মকে তোল্লাই দেওয়া এবং অন্য একটি ধর্মের অন্ধ বিরোধিতা করা হয়ে থাকে, যা নাকি আপত্তিজনক। এখন একথা মেনে নিলে আমাদের আগের প্রশ্নটার উত্তর সহজেই মেলে – সেকুলারিজম একটি ভেগ টার্মই তাহলে – আমাদের প্রাথমিক থিওরি অনুযায়ীও “নিরপেক্ষ” বলে কোন কিছু হয় না – সব কিছুরই একটা রাজনীতি আছে, এবং তাই তার একটা পক্ষও আছে। ধর্মেরও আছে। তাহলে সংবিধানে “ধর্মনিরপেক্ষ” শব্দটা রাখার প্রয়োজনীয়তা কোথায়?
    আছে, কারণ সব ধর্মের রাজনীতি এক জায়গায় দাঁড়িয়ে নেই – দেশ কাল পাত্র ভেদে তার রঙ পালটায় – প্যারামিটার্স পালটায়। পাকিস্তান, বাংলাদেশ বা নেপালের মত হিন্দু বা ইসলাম রাষ্ট্র হওয়া ভারতের পোষাবে না কিছুতেই – কারণ ভারতের নিজস্বতা বলে যদি কিছু থাকে, তবে তা হল তার বহুত্ব – বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের গান। তার ভিতর আছে বহু জাতি, বহু সংস্কৃতি, বহু ভাষা, বহু আচার, বহু ধর্ম। সেই আদিকাল থেকে – যতদূর অবধি ভারতের ইতিহাস আমরা মনে করতে পারি, এই বহুত্ব তার মজ্জায় মজ্জায়। এমন কি রামায়ণের আখ্যানেও – যাকে নাকি “আদি কাব্য” বলা হয়ে থাকে, এই বহুত্বের ভুরি ভুরি নিদর্শন – বস্তুতঃ এই বহুত্বই রামায়ণের কাহিনীসূত্র। মহাভারত তো বটেই। এমন কি বেদ, পুরাণ বা উপনিষদের মত নিছক ধর্মগ্রন্থও এই বহুত্বের কথাই বলে বারবার। অতএব “ধর্মনিরপেক্ষতা” কে শুধু নিরপেক্ষতা দিয়ে বিচার করলে হবে না – তাকে বিচার করতে হবে এই বহুত্ববাদের, অর্থাৎ বকলমে ভারতীয় সংস্কৃতির আধার হিসাবে।সর্বধর্মের সহাবস্থান রাখতে হলে সাংবিধানিকভাবে আধুনিক রাষ্ট্রকে ধর্মনিরপেক্ষ হতেই হবে।
    এবার সিউডো সেকুলারিজম – মেকি ধর্মনিরপেক্ষতা প্রসঙ্গে। এই ধারণাটি আজকাল বহুল প্রচলিত এবং প্রবল জনপ্রিয়। এমন কি অনেক তথাকথিত “নিরপেক্ষ” মানুষও মনে করেন, মেকি ধর্মনিরপেক্ষতা মানে হল মুখে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলেও কাজে শুধু একটি ধর্মের বিরোধিতা এবং অন্য একটি ধর্মের তোষণ করা। কিন্তু সত্যিই কি তাই? সেটা বুঝতে হলে সবার আগে ফিরে যেতে হবে আমাদের প্রথম প্রতিপাদ্যে – “নিরপেক্ষ” কাদের বলব? কারণ যারা সরাসরি পক্ষ নিয়ে বিরোধিতা করছেন, তাদের সঙ্গে তর্ক তো চলতেই থাকবে – কিন্তু যারা “নিরপেক্ষ” থাকছেন, তাদের নিজেদের অবস্থানটা কি? নিরপেক্ষতার অবস্থান নিয়ে আমরা এখানে আলোচনা করেছি – এক্ষেত্রেও সেটা প্রযোজ্য। স্থিতাবস্থার সমর্থক হলে মনে হবেই, একটা ধর্মকে এত তোল্লাই দেবার আছে টা কি? কেন ওদের কোন দোষ নিয়ে আলোচনা হবে না? প্রশ্নগুলি আপাতদৃষ্টিতে খুব সঙ্গত – এবং ভিতরে ভিতরে ততটাই পক্ষপাতপূর্ণ – শুধু পক্ষপাত নয়, ঘৃণাপূর্ণ। তোল্লাই দেবার প্রসঙ্গে পরে আসছি, কিন্তু তার আগে আমরা “সমতা”র ধারণাটাতে একটু চোখ বুলিয়ে নিই।
    ধরা যাক একটি ছেলে গরীব ঘরের, ছোটবেলায় পাড়ার কর্পোরেশন স্কুলে পড়েছে, অধিকাংশ সময়ে ক্লাস হয়নি, আদৌ কিছু শিখেছে কি না ইভ্যালুয়েট হয়নি, প্রাইভেট টিউটর নেই – সে ক্লাস ফোরে উঠে বৃত্তি পরীক্ষায় যে ছেলেটার পাশে বসল, সে ছোট থেকে নামকরা স্কুলে এবং বাড়িতে একাধিক প্রাইভেট টিউটর রেখে পড়াশুনো করে এসেছে। এখন এদের দুজনের যদি একই প্রশ্নপত্র, বা একই ইভ্যালুয়েশনের মাপকাঠি থাকে, তবে আপাতদৃষ্টিতে তা “সমতা”র হদ্দমুদ্দ – কিন্তু আমরা জানি তা নয়। সকলেই সমান হয় না – কেউ কেউ বেশী সমান। সমতা বা সাম্য যদি সত্যিই কাম্য হয় তাহলে তার একটা প্ল্যাটফর্ম লাগে – সেখানে সকলকে, সব স্টেক হোল্ডারদের তুলে আনার জন্য সময় দিতে হয় আন্তরিকতার সঙ্গে।
    “মুসলিম তোষণ” কথাটা খুব ঘনঘন, প্রতিদিন অন্ততঃ দশবারোবার করে শুনি। এবং অবাক হয়ে ভাবি, এত “তোষণ” করার পরেও মুসলিমদের অবস্থার কোন উন্নতি দেখিনা কেন? কেন রাজাবাজার বা মোমিনপুরের গলিতে একই অরাজকতা দেখি চলতেই থাকে? কখনো কখনো সারকাস্টিকালি বলে ফেলি, “মনে হয় যথেষ্ট তোষণ করা হচ্ছে না”। এখন কথাটা হল সমস্যাটা কি শুধু মুসলিমদের? জাতপাতের নিরীখেই দেখব, অর্থনীতির নিরিখে দেখব না? মুসলিমদের মধ্যে, দলিতদের মধ্যে বড়লোক নেই? হিন্দুদের মধ্যে, ব্রাহ্মণদের মধ্যে গরীব নেই? তারা সাম্য পাবার অধিকারী নয়? এভাবে চললে জাতিবিদ্বেষ তো আমরাই জিইয়ে রাখার ব্যবস্থা করব – নয় কি? আজ্ঞে না – নয়। অর্থনীতিতেও ওই সাম্যের ধারণাটা বোঝা দরকার। অর্থনীতি কারো ভালো কারো খারাপ এমনি হয় না – কারণ অর্থনীতির প্রেক্ষাপটে থাকে সামাজিক অবস্থানের বিরাট ভূমিকা – যাকে আমরা একসাথে আর্থ-সামাজিক অবস্থান বলে থাকি। ভারতবর্ষে ইসলাম শুধু সংখ্যালঘু নয়, অন্যান্য সংখ্যালঘুদের তুলনায় সংখ্যায় বেশী এবং সামাজিক অবস্থানে অনেকটা পিছিয়ে। তার ঐতিহাসিক, রাজনৈতিক এবং সামাজিক কারণগুলি আমাদের মোটামুটি জানা – তাই এখানে আর কলেবর বাড়াচ্ছি না। ফলে তাদের সমান প্ল্যাটফর্ম দিতে হলে, সত্যিকারের সাম্য চাইলে সেই পিছিয়ে পড়াটাকে অ্যাড্রেস করা অত্যন্ত জরুরী। সেটার মানে ইমাম ভাতা দেওয়া বা হজযাত্রীদের ক্ষতিপুরণ দেওয়া নয়, বড় বড় পোস্টার দিয়ে ছবি দিয়ে ইফতার পার্টি নয়। সেটার মানে সাধারণ ইসলাম সমাজে শিক্ষার প্রসার। মাদ্রাসাগুলির স্বীকৃতি (অনেকের ধারণা মাদ্রাসা মানেই সেখানে জঙ্গী তৈরীর কারখানা। দয়া করে জানুন মাদ্রাসার কোর্সে দুটি বাধ্যতামূলক ধর্মীয় বিষয় থাকলেও বাকি পাঠক্রম যে কোন অন্য বোর্ডের মতই মোটামুটি)। তিন তালাক নিয়ে মুসলিম মহিলাদের যে কনসার্ণ তার প্রতি যত্নশীল হওয়া, আলোচনার পথ খুঁজে বার করা। ইসলাম মানেই সমাজবিরোধী বা সন্ত্রাসবাদী, কেউ সুপ্ত কেউ জাগ্রত, এই ভয়ঙ্কর ফ্যাসিবাদী ধারণা থেকে নিজেকে মুক্ত করা। এবং ইসলামিক জেহাদের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারণগুলি খুঁজে বার করা ও তাদের এড্রেস করা। তাদের সংরক্ষণের আওতায় আনার ব্যবস্থা। এই কাজগুলি ভারতবর্ষে স্বাধীনতার পরে প্রায় কোন সরকার করেনি, করার চেষ্টাটুকুও করেনি। এখন আমরা “সাম্য সাম্য” বলে চেঁচালে সাম্য লাফাতে লাফাতে এসে আমার আপনার পায়ের কাছে লেজ নাড়বে? সাম্য দিতে গেলে আগে সত্যিকারের কিছু দিতে হবে ইসলাম সমাজকে – সেটাকে তোষণ বলুন বা ক্ষতিপুরণ, বয়ে গেল। নাঃ, সারকাস্টিক না হয়েই বলি – যথেষ্ট তোষণ হয় নি।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১০ এপ্রিল ২০১৭ | ৬৬৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সিকি | 192.69.236.130 (*) | ১১ এপ্রিল ২০১৭ ০২:৩৪59549
  • তুলে দিলাম।
  • হাসিমুখ | 69.160.210.3 (*) | ১১ এপ্রিল ২০১৭ ০৫:০৬59550
  • শুধু শেষ প্যারাটাই লেখার ছিল। সেটা লিখলেই হত। ভনিতা হিসেবে আগের প্যারাগুলোতে যা যা লেখা হয়েছে তার কোনো রেলিভেন্স শেষ প্যারাতে থাকেনি। ফলে লেখাটা কোহেরেন্ট হয়নি। কেটে আবার লেখো।

    "সার্কাস্টিক অর্থে মুসলিম তোষণ" মানে বলা হল, মুসলিমদের প্রকৃত উন্নতি সাধন ও মেইনস্ট্রীমে আনার উদ্দেশ্যে তাদের জন্য যা যা করণীয় -
    ১। সাধারণ ইসলাম সমাজে শিক্ষার প্রসার।
    ২। মাদ্রাসাগুলির স্বীকৃতি।
    ৩। তিন তালাক নিয়ে মুসলিম মহিলাদের যে কনসার্ণ তার প্রতি যত্নশীল হওয়া, আলোচনার পথ খুঁজে বার করা।
    ৪। ইসলাম মানেই সমাজবিরোধী বা সন্ত্রাসবাদী, কেউ সুপ্ত কেউ জাগ্রত, এই ... ধারণা থেকে নিজেকে মুক্ত করা।
    ৫। ইসলামিক জেহাদের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারণগুলি খুঁজে বার করা ও তাদের এড্রেস করা। ৬। তাদের সংরক্ষণের আওতায় আনার ব্যবস্থা।
    যেগুলো হয়নি বলে 'যথেষ্ট তোষণ হয় নি'

    এর মধ্যে ৪ নং টা মুসলিমদের জন্যে করার কিছু নয়, নিজেদের জন্য করার - ওটা বাদ যাবে। বাকিগুলো না করে ক) ইমাম ভাতা দেওয়া
    খ) হজযাত্রীদের ক্ষতিপুরণ দেওয়া
    গ) বড় বড় পোস্টার দিয়ে ছবি দিয়ে ইফতার পার্টি
    ইত্যাদি তাহলে সার্কাস্টিক না হয়েও মুসলিম তোষণ-ই - এ নিয়ে নিশ্চয়ই মতদ্বৈধ নেই। তার আগেও ৪৭ সাল থেকে বিগত বছরগুলিতে যা যা হয়েছে সেগুলোও তা হলে মুসলিম তোষণ-ই। সার্কাস্টিক না হয়েই? এখানে লেখাটা আবার সেলফ কন্ট্রাডিক্টরি হয়ে গেল।

    কেটে আবার লেখো।

    আর ১ থেকে ৪ ও ৬ সব কটিই য়ালাদা আলোচনার পরিসর দাবি করে। মাদ্রাসাগুলির স্বীকৃতি দেওয়া যাচ্ছে না কেন? মাদ্রাসাগুলি সর্বভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থার মাপকাঠিগুলি মেনে চলতে রাজি নয় কেন ইত্যাদি নিয়ে দীর্ঘ কথাবার্তা চলুক।

    প্রথমে যেমন বলা হয়েছে, নিরপেক্ষ অবস্থান সম্ভব নয়, লেখাটাতেও তেমনি প্রিকনসিভড নোশন বা আগেই নেওয়া অবস্থানেরই প্রকাশ দেখা যাচ্ছে, সাবজেক্টের কোনো অ্যানালিটিকাল ডেভেলপমেন্ট হয়নি। এই জন্যেই বললাম, কেটে আবার লেখো।
  • সিকি | 57.30.151.29 (*) | ১১ এপ্রিল ২০১৭ ০৫:১১59551
  • নিজের নামটা কেটে আরেকবার লেখা যায়?
  • PT | 213.110.242.22 (*) | ১১ এপ্রিল ২০১৭ ০৫:২১59552
  • ধর্ম, জাত ইত্যাদি না দেখে শুধু "দরিদ্র তোষণ" চালু করা যায় না?
  • PT | 213.110.242.22 (*) | ১১ এপ্রিল ২০১৭ ০৫:২২59553
  • ধর্ম, জাত ইত্যাদি না দেখে শুধু "দরিদ্র-তোষণ" চালু করা যায় না?
  • cm | 127.247.98.127 (*) | ১১ এপ্রিল ২০১৭ ০৫:৩৩59554
  • না, তাহলে ধাপ্পাবাজি ধরা পড়ে যাবে।
  • SS | 160.148.14.3 (*) | ১১ এপ্রিল ২০১৭ ০৫:৪৭59562
  • অ্যালবার্ট আইনস্টাইন ইনস্যানিটির ডেফিনিশন দিয়েছিলেন -
    Insanity: doing the same thing over and over again and expecting different results.
    এই লেখাটা পড়ে মনে হল। গত পঞ্চাশ ষাট বছর ধরে মুসলিম/দরিদ্র/জাতপাতের নামে তোষণ চলছে। তাদের অবস্থার বিশেষ রকমফের হচ্ছে না। কিন্তু আশা করা হচ্ছে যে আরো একটু বেশি তোষণ করলেই উন্নতির বন্যা বয়ে যাবে!
  • SC | 209.201.64.2 (*) | ১১ এপ্রিল ২০১৭ ০৭:২৯59555
  • এটা তো সেই reservation বিরোধী যুক্তি হয়ে গেলো। ধর্ম জাত দেখোনা, অনেক গরিব ব্রাহ্মণ আছে, এই যুক্তি ওই yfe লোকেরা দিতো বটে। মোদির আদি সন্তানেরা।
  • PT | 213.110.242.7 (*) | ১১ এপ্রিল ২০১৭ ০৮:০৭59556
  • যাদের সামান্যতম রাজনৈতিক ধ্যান ধারণা আছে তারা বুঝতেই পারছে যে কিছু ফাঁকা বুলি ছাড়া বিজেপির দারিদ্র-মোচনের বিশেষ কোন উদ্দেশ্য বা লক্ষ্যমাত্রা কিস্যু নেই। অন্যদিকে ৭০ বছরে এই ভাবে জাত-ধর্ম "টার্গেট" করে দারিদ্র-মোচন যে সম্ভব হয়নি সেটা বুঝতে রকেট সায়েন্টিস্ট হওয়ার দরকার নেই। কিন্তু ক্রমাগত "তোষণ' শব্দে নিন্দামূলক ছাপ্পা লাগিয়ে আসল সমস্যাটা ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে। তাই রাস্তা বদলালে গরীব "হিন্দু" (শুধু ব্রাহ্মণ কেন?)-ও যদি দারিদ্র থেকে মুক্তি পায় তাহলে অসুবিধে কিসের? আসল সমস্যা তো এইটাঃ
    In 2016, India is the second most unequal economy after Russia. Inequality is fracturing our economy and the reality is that today 57 billionaires control 70% of India’s wealth. Even International Monetary Fund recently warned that India faces the social risk of growing inequality. As per IMF, India’s Gini coefficient rose to 51 by 2013, from 45 in 1990, mainly on account of rising inequality between urban and rural areas as well as within urban areas.
  • PM | 127.194.6.203 (*) | ১১ এপ্রিল ২০১৭ ০৮:৩৯59557
  • আলাদা করে অর্থনৈতিক মানদন্ড ছাড়া কোনো টারগেট গ্রুপ এর জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক সুবিধার ব্যবস্থা করা আসলে "ডিভাইড অ্যাড রুল পলিসি "র ইম্প্লিমেন্টেসন ভ্যারিয়েসন। যে দেশে ৭০% ওয়েল্থ ৫৭ জন / পরিবারের হাতে, সেখানে শাসন করতে গেলে জাত , ধর্ম , রাজ্য, ভাষা র সাপেক্ষে বিভাজন রাখতেই হবে কন্ট্রোল করতে গেলে - এতো সহজ কথা। সংরক্ষন ইত্যাদির নামে প্রত্যেক টার্গেট গ্রুপের থেকে কিছু সুবিধাভোগী ক্রিমি লেয়ার তৈরী হবে , যারা ঐ টারগেট গ্রুপ গুলোকে সামলে সুমলে রাখবে আর সিস্টেমের শক অ্যাব্সর্ভার হিসেবে কাজ করবে।

    অর্থনৈতিক মানদন্ডের ভিত্তিতে ওয়েল্থ ডিস্ট্রিবিউসন এস্ট্যব্লিশ্মেন্টকে স্যুট করে না। তাতে পাই এর অনেকটা গচ্চা যাবে, ক্রিমি লেয়ার তৈরী করার প্রসেস অনেক সস্তা তুলনায়।
  • অনামী | 170.62.7.250 (*) | ১১ এপ্রিল ২০১৭ ১১:০২59558
  • দেখুন তথাকথিত সংখ্যালঘু তোষণ আসলে একটা মিথ। এখনো অবধি যা পরিসংখ্যান আছে এবং এই বিষয়ে যত গবেষণা হয়েছে, তাতে স্পষ্ট যে ভারতের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিশাল অংশ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান ইত্যাদি বিষয়ে উদ্বেগজনকভাবে পিছিয়ে। যদি কোনো সরকার এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে সচেতনভাবে নিজেদের পলিসি নির্ধারণ করেন সংখ্যালঘু সাম্প্রদায়দের affirmative action এর মাধ্যমে এগিয়ে আনতে, তাহলে তাই হবে প্রকৃতপক্ষে 'তোষণ' এবং এইটা সম্পূর্ণরূপে বাঞ্ছনীয়! এর বদলে যা হয় তা হলো ইমাম ভাতার মাধ্যমে তেলা মাথায় তেল দেওয়া, পোস্টারে পোস্টারে মুখ্যমন্ত্রীর নামাজ পড়া ছবি, বরকতী প্রভিতি মহাছাগুদেরকে সযত্নে কাঁঠাল পাতা দেওয়া আর একদল লুম্পেনের অসভ্যতা কে দেখেও না দেখা কারণ তাদের মাথা টুপি আর মুখে দাড়ি। পার্ক সার্কাস মোড়ে মুসলিম যুবকের দল যখন ট্রাফিক সিগন্যাল না মেনে বাইক নিয়ে বেরিয়ে যায় আর পুলিশ দেখেও না দেখে উদাসীন মুখ করে বসে থাকে, সেটাকে মুসলিম তোষণ নয়, লুম্পেন তোষণ বলে! এতে কোথাও কোনো মুসলমানের চার আনা লাভ হয়না । বরং এই জঘন্য উদাহরণগুলো ব্যবহৃত হয় মুসলিম তোষণ বলে আর একশ্রেণীর মানুষ মনে করে চলেন মুসলিম মানেই অপরাধ প্রবণতা আছে!
  • রৌহিন | 113.214.139.253 (*) | ১১ এপ্রিল ২০১৭ ১১:২৪59559
  • হাসিমুখ স্যারের নামটা জানতে পারলে ভালো লাগত - মানে একলব্যও দ্রোণাচার্যের নামটা জানত এটলিস্ট - ইনশাল্লাহ।
    "ধর্ম, জাত" না দেখে শুধু "দরিদ্র তোষণ" এর ব্যপারটা মনে হয় লেখায় উল্লেখিত হয়েছে - তর্কের পরের ধাপটায় গেলে আগে এগোনো যায়। "শুধু ব্রাহ্মণ" নয়, ব্রাহ্মণ শব্দটা ব্যবহার করা হয়েছে বিপরীত দিকের এক্সট্রীম হিসাবে।
    এই বৈষম্য ভারতে চিরদিনই ছিল - এখন টিকলিং অর্থনীতির রমরমা হলে সেটা অনুকুল আলো-বাতাসে আরো বাড়বে এতে সন্দেহ কি?
  • Ekak | 53.224.129.54 (*) | ১১ এপ্রিল ২০১৭ ১১:২৬59560
  • ডেভেলপমেন্ট হয়নি । তোষণ ? অবস্যই হয়েছে । যাঁরা অবাক হন যে মুসলিমদের অবস্থা এতো খারাপ তাও হিন্দুরা তোষণের কথা বলেন কেন তাদের জন্যে :

    #idiotsguidetoappeasement
    #whatappeasementmeans

    You don't feel jealous of your neighbour because they have a toilet made of gold. The envy lies in the fact that they are entitled to defecate openly on the common porch but you are not.

    সারা ভারত এখন এই রোগে ভুগছে । ও হাগছে , আমাকেও রাস্তায় হাগতে দিতে হবে । রাইট টু নুইস্যান্স । আর এটা এই মুহূর্তে সবচে বড় সমস্যা পশ্চিমবঙ্গে।
  • রোবু | 213.132.214.87 (*) | ১১ এপ্রিল ২০১৭ ১২:৪৬59561
  • অনামীর পোস্ট তা ভালো লাগলো।
  • রোবু | 213.132.214.84 (*) | ১২ এপ্রিল ২০১৭ ০৪:৩৯59563
  • ট্রাম্প-ও এই কথাই বলে।
  • SS | 160.148.14.3 (*) | ১২ এপ্রিল ২০১৭ ১২:০৫59564
  • হ্যাঁ, ট্রাম্পও ইনসেন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে প্রতিক্রিয়া দিন