এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ভ্রমণ  দেখেছি পথে যেতে

  • দার্জিলিং ব্লুজ - পর্ব ৭। ১১ই মার্চ, ২০২১

    রৌহিন লেখকের গ্রাহক হোন
    ভ্রমণ | দেখেছি পথে যেতে | ১২ এপ্রিল ২০২১ | ১৬৪১ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • যদি বাড়াও হাত
    ------------------
    আজ আমাদের বড়া মাঙ্গোয়া ছেড়ে যাবার পালা। তিনচুলে থেকে গুরুংজী ফোনে জানতে চেয়েছিলেন, গাড়ি পাঠাবেন কি না - কিন্তু সন্দীপন জানালেন, উনিই আমাদের ছেড়ে দিয়ে আসবেন। তার আগে ব্রেকফাস্ট সেরে আমরা গেলাম ওদের পশুখামার দেখতে। এখন অবশ্য পোষ্য বেশী নেই - তিনটি গরু, কয়েকটি মুরগি, গোটা দুয়েক ছাগল। ঘাস কাটার ঘরে একটা যন্ত্র রাখা। সন্দীপন বললেন প্রথম তিন বছর এই ঘরটাতেই উনি থাকতেন। একটা চৌকি ছিল, এখন নেই। কিছু মৌমাছিও দেখলাম, তবে মৌমাছি ওরা চাষ করেন না।
    ফেরার পথে ওদের সীমানা দেখাচ্ছিলেন সন্দীপন। বেড়া টেড়া নেই, বাঁশঝাড় আছে। এদিকে এক চিলতে ছোট চা বাগানও করা আছে - দেড় দুশো গাছ সাকুল্যে। বললেন, চা চাষের চেষ্টা সফল হয়নি নো হাউ এর অভাবে। একটা কমলা গাছ। আর ইতস্তত অজস্র গাছের গেরস্থালি। জায়গাটায় কেমন মায়া জড়ানো। মানুষগুলোও। ছেড়ে যেতে ইচ্ছেই করছিল না কারুর। আসার দিনও ভাবিনি এই অচেনা জায়গাটা এভাবে টান দেবে। ঢোলু, ক্যামব্রে আর টাইসনও বোধ হয় বুঝল, চলে যাচ্ছি। আমাদের পায়ে পায়ে চলে এল গাড়ির স্ট্যান্ড অবধি। দোকান থেকে চা খেলাম আরো একবার - তারপর রওনা।
    এই পথটা পুরোটাই পরশুদিন এসেছি। ইস্কুলবাড়িটায় আরেকবার নামলাম, ঘুরে দেখে নিলাম। ছোটা মাঙ্গোয়ার মোড় এবার ডাইনে। মিনিট চল্লিশের মধ্যেই পৌঁছে গেলাম তিনচুলে। গুরুং গেস্ট হাউস। বেশ বড়সড়, ছড়ানো ছিটানো। গুরুংজী ছিলেন না - বেরিয়েছিলেন। আমরা চেক ইন করলাম। সন্দীপন আমাদের সঙ্গে এক কাপ চা খেয়ে বিদায় নিলেন - ওর গন্তব্য এখান থেকে দার্জিলিং - সেখান থেকে শিলিগুড়ি হয়ে দুদিন বাদে ফিরবেন। এই সফরে এরকম একজন বন্ধু পাব, ভাবিনি। আবার দেখা হবে নিশ্চই।
    তিনচুলের উচ্চতা সাড়ে পাঁচ হাজার ফিট। ছোট্ট একটা পাহাড়ি গ্রাম - কিছু হোম স্টে আর গেস্ট হাউসের কল্যানে এখন ট্যুরিস্ট স্পট। তিন কিলোমিটার দূরে তাকদা শহর - এখানকার মহকুমা শহর। আমাদের গেস্ট হাউসের ব্যালকনি থেকেও কালিম্পং দেখা যায়, তবে বড়া মাঙ্গোয়ার সাথে এর ফারাক হল, ওখানে নীচ থেকে ওপরে তাকাতে হত, এখানে উলটো - কালিম্পং নীচে। দৃষ্টি সরিয়ে কাছে আনলে এই পাহাড়েরই কিছুটা নীচে দেখা যায় ছোটা মাঙ্গোয়া গ্রাম। জঙ্গলে ঘেরা পাহাড়ের মধ্যে এই গেস্ট হাউস, নয়নাভিরাম।
    দুটো জিনিষ আবিষ্কার করলাম - ঠান্ডা বেশ ভালই আছে, আর নেট নেই। গেস্ট হাউসের একটা ওয়াই ফাই আছে বটে, কিন্তু সেটাও না থাকারই মত - মাঝে মধ্যে কোন কোন স্পটে দাঁড়িয়ে হয়তো একটু কানেক্ট হল - এরকম ব্যাপার। অগত্যা শুধু পাহাড় আর আমরা। স্নান টান সেরে ডাইনিং হলে লাঞ্চ সেরে একটু বিশ্রাম। তারপর বেরোলাম হাঁটতে। ক্যাশ টাকা সব শেষ, তাকদায় এটিএম পাব, তাই ঠিক হল, এখান থেকে হাঁটতে হাঁটতে তাকদা যাব, তারপর যদি দেখি পারছি, তাহলে হাঁটতে হাঁটতেই ফিরব, আর না পারলে কোন গাড়ি ধরে।
    কথায় বলে, ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে। আর মেঘ কুকুর আনে। যেখানেই যাক, ঠিক ওর আশেপাশে কয়েকজন মক্কেল জুটে যায়। এখানেও যথারীতি রাস্তায় বেরোনোর পাঁচ মিনিটের মধ্যে তিন চারজন জুটে গেল। তাদের নামধাম জানার উপায় নেই, কিন্তু তারা সদলবলে চললেন আমাদের সাথে মার্চ করে। কিছুদূর যেতে যেতে আরো জনা দুয়েক ভদ্রলোক ভদ্রমহিলা মিছিলে যোগ দিলেন। এদের মধ্যে সবার শেষতমজন কারো বাড়ির পোষ্য সম্ভবতঃ - কান ঝোলানো, গলায় বকলস, পরিষ্কার লোম। হাইব্রিড - ল্যাব্রাডরের সাথে পাহাড়ি কোন জাতের মিশ্রণ বলেই মনে হল। ইনি পলাতকা কী না জানিনা, কিন্তু পায়ে পায়ে সঙ্গ নিলেন ইনিও।
    বেশ কিছুদূর যাবার পরে এই সারমেয় বাহিনী একজন, দুজন করে মিছিল থেকে সরে পড়তে লাগলেন। যখন তারা দুজনে ঠেকেছে, এক জায়গায় অন্য দুটি কুকুর তাদের চ্যালেঞ্জ করায় একটি সরে পড়ল, কিন্তু ওই পোষ্যটি, মেঘ তার নাম দিয়েছে পোগো, বোকার মত আরও এদিকে সরে এল - ফিরে যাবার পথে বিপক্ষ সৈন্য অপেক্ষমান। সে আমাদের সঙ্গে এগিয়েই চলেছে। এবার আমরা একটু ভয় পেতে শুরু করেছি। একা একা মেয়েটা ফিরতে পারবে না। এদিকে আমাদের সঙ্গে গেলে রাস্তায় আরো কেউ আক্রমণ করতে পারে। মারামারিতে এ খুব একটা দড় বলেও মনে হচ্ছে না। আর উনি তখন নিশ্চিন্তমনে আমার পায়ে পায়ে চলছেন - ভাবটা, কিছু হলে আমিই বাঁচাব।
    এইসব দোনামনা নিয়েই হাঁটছি। যাকেই জিজ্ঞেশ করি তাকদা বাজার আর কতটা, বলে এক কিলোমিটার। আমি পরে ভেবে দেখলাম, দু কিলোমিটার দূরের লোকটাও এক কিলোমিটার বলেছে, আড়াইশো মিটার দূরের দিদিও তাই। যাই হোক, তাকদা পৌঁছে দূর থেকে দেখলাম স্টেট ব্যাঙ্কের এটিএম, খোলাই আছে। ওদিকে দুখানা কুকুর থাকায় মেঘ পোগোকে কোলে তুলে নিয়েছে তখন। আমি তড়িঘড়ি এটিএম এ ঢুকে দেখি, ও হরি! তিনি অসুস্থ - টাকা দিতে পারবেন না। কারো একটা কার্ড মেশিনে ঢুকে ফেসে আছে, বেরোচ্ছে না। অগত্যা বাইরে বেরিয়ে দেখি অদূরে একটা ট্যাক্সি স্ট্যান্ড। সেখান থেকে বলল, তাকদায় আর কোন এটিএম নেই - এই একটিই সবেধন নীলমণি। ল্যাও এবার কী করবা করো!
    এদিক ওদিক তাকিয়ে কী করা যায় ভাবছি - সমস্যা অনেকগুলো। হাতে ক্যাশ একদমই নেই, অথচ এদিকে প্রায় কোথাওই কার্ডের কারবার নেই, তিনচুলেতে তো নেটওয়ার্কই নেই। কান্নার ইমোজি দিয়ে ফেবু জনতাকে ম্যানেজ করা যায়, আসল জনতা ক্যাশ না পেলে কান্না আর ইমোজিতে আটকে থাকবে না। এদিকে পোগোবাবু আমাদের সাথে সাথে আগচ্ছন্তি - এখন তাকে ভালয় ভালয় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারলে হয়। এতখানি হেঁটে এসে আমরাও টায়ার্ড - আবার হেঁটে ফিরতে হবে ভাবলে কান্না পাচ্ছে। এদিকে টাকা যা আছে, তাতে একটা প্রাইভেট গাড়ি, যত কমই নিক, কুলোবে না, পাবলিক গাড়িতে পোগোকে নিয়ে ওঠা যাবে না সম্ভবতঃ।
    এই সময়ে ট্যাক্সি ড্রাইভারদের জটলা থেকে একটু বয়স্ক একজন বেরিয়ে এলেন - এঁকে দেখতে এদের মধ্যে সবথেকে বেশী মঙ্গোলিয়ান। বললেন, "আপনার কি ক্যাশ লাগবে?" আমি হ্যাঁ বলাতে উনি জানালেন উনি হাজার দশেক ক্যাশ দিতে পারেন, ওনাকে টাকাটা জি পে করে দিতে হবে, প্রতি দু হাজারে পঁচিশ টাকা ওনার চার্জ। এটা কম না বেশী ভাবার অবস্থা আমার ছিল না, বলাই বাহুল্য। আমি রাজি হয়ে টাকাটা ওনার নম্বরে জি পে করলাম - ভাগ্যক্রমে নেটওয়ার্ক ছিল। ভদ্রলোকের নাম ঢেন্ডুপ ভুটিয়া - জাতে তিব্বতি। ওঁদের ভাষায় ঢেন্ডুপ মানে সৌভাগ্য। ভুটিয়া ওদের গোত্রনাম। ওঁর কাছেই জানলাম, ভুটিয়া পদবী ভুটানীদের নয়, তিব্বতিদেরই হয়।
    ঢেন্ডুপ আমাকে পাশে একটা রেস্টুরেন্টে নিয়ে গেলেন - ডিকি'জ কাফে বলে। ডিকি ওনার স্ত্রীর নাম। তাঁর সঙ্গেও আলাপ হল। তিনি আমাকে ক্যাশ টাকা এনে দিলেন। ঢেন্ডুপ আমাদের কফি খেয়ে যেতে অনুরোধ করলেন - তখন ওঁকে আমাদের কুকুর জনিত সমস্যার কথা জানালাম। উনি পাত্তাই দিলেন না - বললেন এখানে নিয়ে আসুন আগে ওটাকেও - তারপর দেখছি। অতঃপর স-সারমেয় আমরা এসে বসলাম ডিকিদিদির ক্যাফেতে।
    একতলায় কিছু নেই, দোতলায় ক্যাফে, তিনতলায় ওদের রেসিডেন্স আর চারতলায় একটা হোম স্টে। ভাড়া বেশ কম, রুমগুলি বেশ ভাল। ডিকি আমাদের দারুন সুস্বাদু কফি এবং মোমো খাওয়ালেন, এবং হাজার অনুরোধেও তার দাম নিলেন না। ওদেরও একটি ছোট স্প্যানিয়েল আছে, তার নাম দাশি। সেও এসে পোগোকে দেখে গেল, একটু নাকও কুঁচকালো, কিন্তু দুজনেই যথাক্রমে ডিকি ও মেঘের কোলে থাকায় অশান্তি আটকানো গেল।
    ঢেন্ডুপ জানতে চাইছিলেন, আমরা কী কী ট্যুর করেছি, আগামীকাল কী প্ল্যান? প্ল্যান সত্যি বলতে কি, তেমন কিছু ছিল না। ওঁর সাথে বসে পরের দিনের একটা ট্যুর প্ল্যান ছকা হল, ওঁর গাড়িতেই যাব অবশ্যই। তারপর ঢেন্ডুপ বেরিয়ে গেলেন জরুরী কাজে। আমরা মোমো কফি শেষ করে ফেরার তোড়জোড়ে লাগলাম। ডিকি প্রথমে বলেছিলেন, একটু ওয়েট করুন - একটা বাস আসবে, সেটা এখানেই প্রায় খালি হয়ে যাবে, তার ড্রাইভারকে বলে দেব, আপনাদের কুকুর সমেত নামিয়ে দেবে। কিন্তু কার্যত দেখা গেল সেই ড্রাইভার আজ আসেন নি - অন্য যিনি এসেছেন তাঁর সাথে ডিকির পরিচয় নেই। উনি তখন মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই আরেকটা ছোট অল্টো গাড়ির সাথে কথা বললেন। সেই ভদ্রলোক, অরুণ (অর্জুন?) লেপচা, আমাদের কুকুর সহ তুলে নিলেন।
    যেতে যেতে কুকুরটির আমাদের সাথে চলে আসার গল্প শুনলেন উনি। বললেন, ওকে তো ছেড়ে দেবেন, ও কিন্তু আপনাদের মনে রাখবে। আমাদের ট্যুরের গল্পও শুনলেন কিছুটা। তারপর কুকুরটা যে জায়গা থেকে আমাদের সঙ্গ নিয়েছিল, সেটা মোটামুটি আন্দাজ করে ওকে নামিয়ে দিলাম। সে আমাদের একটু চেটেপুটে দিল। গাড়ি ছাড়ার পরেও বেশ কিছুটা রাস্তা ছুটতে ছুটতে এল গাড়ির পিছনে। তারপর এক জায়গায় বোধ হয় হাঁপিয়ে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ল। গাড়িটা বাঁক ঘুরে যেতেই পোগোকে আর দেখতে পেলাম না। ফিরে গেল কি ওর ঘরে? নাকি অন্য কোন ঘর খুঁজে নেবে, সে প্রশ্নের উত্তর অজানাই রয়ে গেল।
    আমাদের গেস্ট হাউসের সামনে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিলেন অরুণবাবু। সসঙ্কোচে জিজ্ঞেশ করেছিলাম, কত দেব। উনি বললেন, দেবেন না প্লীজ। আপনারা একটা জীবের জন্য এতটা করলেন, আমাকে একটু করতে দিন। এ কথার কোন উত্তর হয় না। একদিনে কতগুলো অচেনা মানুষ এবং না-মানুষ বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিলেন, ভাবতে ভাবতেই ফিরে এলাম রুমে। শুধু প্রাণই এক আশ্চর্য সম্পদ, এক মৃত্যুহীন আশা, এক ক্ষয়হীন মর্যাদা।

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ভ্রমণ | ১২ এপ্রিল ২০২১ | ১৬৪১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • শঙ্খ | 2402:3a80:a88:f85c:9:bbf7:fac6:d4d0 | ১৫ এপ্রিল ২০২১ ২১:০৬104784
  • এই পর্বটা ভারি ভালো লাগলো। পড়েই চলেছি পরপর।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি প্রতিক্রিয়া দিন