এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • অনুরাধা কুন্ডা | 2409:4061:78b:3f42:3c4c:f9e4:bf2a:f356 | ০৭ জুন ২০২০ ২৩:১৯94095
  • বিকেলে কখন সে ঘুমিয়ে পড়েছিল।যখন ঘুম ভাঙল তখন সন্ধে নেমে গেছে। একটা বিশ্রী গুমোট।পাশের ঘর থেকে টিভির শব্দ আসছিল।কোনো হিন্দি ছবি চলছে। সে কোনোমতে পা দিয়ে চটিজোড়া টেনে নিয়ে হাউসকোটের ফিতে আঁটল।এটা আমিশা প্যানেলের গলা।কহো না প্যায়র হ্যায়, গদর, এক প্রেমকথা আর ভুলভুলাইয়া ছাড়া আমিশাকে আর কোথাও দেখেনি সে।বোধহয় তেমন উঠতেও পারেনি মেয়েটা।
    অথচ গলাটা স্পষ্ট মনে আছে।বা এটাকে কি মনে থাকা বলে আদৌ।প্রথমে সে হাতড়াচ্ছিল। গলার টোনাল কোয়ালিটি, ফ্রিকোয়েন্সি, শার্পনেস মাপছিল আর মনে করার চেষ্টা করছিল বিভিন্ন নায়িকার মুখ। পাশের ঘরে ঢোকার আগে ঠিক ক্লিক করল আমিশা প্যাটেলের নামটা।মেঝেতে হরপ্রীত আর শ্যামা হাঁ করে বসে টিভি দেখছে। হরপ্রীতের মুখটা হাঁ হয়ে আছে।নাকে একটা সবুজ ফুল। অফফ হোয়াইট কুর্তাটা কেচে কেচে খ্যাসটা হয়ে গেছে।সবুজ সালওয়ার।পায়ের আঙুলে আংটি কিন্তু নেলপালিশ খাপচাখাপচা।দেখেই ওর বিরক্তি এল কিন্তু নিজের পায়ের দিকে তাকিয়ে দেখল ওর নিজের নেলপালিশ ও অর্ধেক উঠে গেছে।আধুনিক সচেতন নারীর সংজ্ঞার সঙ্গে এটা যায় না।ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা জলের বোতল নিয়ে ঢকঢক করে গলাতে ঢেলে ও সোফাতে বসে পড়ল।আমিশা প্যাটেলের গলা অনুসরণ করে নায়িকার মুখের দিকে তাকিয়ে দেখল মেয়েটা আদৌ আমিশা নয়।টাইট একটা টপ আর কেপ্রি পরে মেয়েটা লারা দত্ত। লারার মুখে আমিশার গলা কতটা বেখাপ্পা এটা ভাবতে পারার আগেই শ্যামা খকখক করে কেশে উঠল।ও ভ্রূ কুঁচকে বলল, কাশছ সেই সাতদিন হল, ডাক্তার দেখাচ্ছ না কেন? ও প্রায়ই এরকম বলে এবং শ্যামার প্রায়ই এরকম হয়, মানে কাশি।তাই কেউ এরপর আর কিছু বলল না।শ্যামা ওর নকল বাটিক ছাপ শাড়ির আঁচলে মুখ চেপে রান্নাঘরে চা করতে গেল। ডাইনিং টেবিলে গুচ্ছের খাতা। একটা মাঝারি ফুলদানিতে কাগজের ফুল। দুটো ক্যাসারোল।চিনির শিশি।চায়ের কাপ। দুতিনটে রিমোট।সবচেয়ে বিরক্তিকর হল চেয়ারের ওপর একটা তোয়ালে রাখা।নিশ্চয়ই ছেলে বা মেয়ে কেউ ফেলে রেখেছে এবং শ্যামা সেটা তোলার প্রয়োজন বোধ করেনি। হরপ্রীত একটা ফ্যাকাশে হাসি দিয়ে আবার টিভি দেখছিল ।পাশের বাড়ির হোলটাইমার।একা দশজনের কাজ সামলায়।কিন্তু টিভি দেখতে এখানে আসে।চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে চ্যানেল পাল্টালো ও। আমি একটু খবর শুনে নেই।তারপর দেখিস।হরপ্রীত একটি সিনেমাপত্রিকা এবং শ্যামা পেঁয়াজের ঝুড়ি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ল।
    টিভি সংবাদপাঠিকার চোখে নিখুঁত আইলাইনার ও মাস্কারা। তিনি ঈষৎ চোখ বড়বড় করে বললেন যে ভাইরাসটি ইতিমধ্যে চোদ্দটি দেশে প্রবলভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।বিদেশে প্রায় আশি হাজার মৃত এবং মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে যাবে অনিবার্যভাবেই ।এদেশে মুম্বাই শহরে ভাইরাসটি চলে এসেছে বিদেশ ফেরত যাত্রী মারফত এবং সবাই যেন মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করেন। সংবাদপাঠিকা এও বললেন দেশে অচিরেই লকডাউন আসতে চলেছে এবং মুম্বাই শহরে শ্যারন মেহরা নামক গায়িকা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ফিরেছেন ইউরোপ থেকে।ফিরে তিনি গৃহবন্দি থাকেননি।বিস্তর পার্টি করেছেন এবং মুম্বাই এর বস্তি এলাকাতে রোগ ছড়াতে শুরু করলে চরম বিপদ।সংবাদপাঠিকার ঠোঁটে একটা চমৎকার কমলা লিপস্টিক ।কী শেড হতে পারে ও ভাবছিল।তখনি হরপ্রীতকে পাশের বাড়ির থেকে জোরে হাঁক দিল।হরপ্রীতের ফোন আছে।তবু ওর মালকিন নিছক প্রভুত্বের খাতিরেই হাঁক পেড়ে ওকে ডাকেন এবং ঐ লম্বা চওড়া মুখফোঁড় মেয়ে দৌড়ে ছুটে যায় ।শ্যামাকে বলে দিল আলুপেঁয়াজের তরকারি বানাতে রাতের জন্য।আর পরোটা। চাল কিনে রাখা দরকার।এবং প্রয়োজনীয় গ্রসারি। চ্যানেল পাল্টানোর সঙ্গে সঙ্গে লারা দত্ত আবার চলে এলেন।এবার তিনি সাদা টি এবং ব্লু জিনস পরেছেন।ফেডেড।মরিচ রঙের চুল।
    ও চায়ে চুমুক দিল। চিনি কম।
    -তুমি কি মাস্ক পরছো লারা? স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করছো?
    লাল লিপস্টিকের ফাঁকে লারা বিপন্ন বিষন্ন হাসলেন।
    তারপর আমিশার গলা বলল, আমাকে কুক করতে হচ্ছে, জানো? মাই কুক ইজ অন লিভ।
    -তাই? তুমি ঘর ঝাড়ুপোছা করছো লারা?
    -ও ইয়েস।লারা একটা মোহময়ী ভঙ্গি করলেন।ইউ ক্যান সি মি ক্লিনিং রুম অন ইন্স্টা।
    - আমাদের এখানে মাস্ক পাওয়া যাচ্ছে না।স্যানিটাইজারও পাচ্ছি না।আজকেই কি লকডাউন ডিক্লেয়ার হবে লারা?
    - প্রবাবলি।আমার সব শুটিং ক্যানসেল ।আই ওয়জ সাপোজেড টু শুট ইন মালডিভস ।
    - আমার ছেলেটা তো পুনেতে আছে লারা।মেয়ের কলেজ ছুটি দিয়ে দিয়েছে বলে ও চলে এসেছে কাল।এলে কি হবে।সবসময় নিজের ঘরে দরজা বন্ধ করে পড়ে থাকে ।কানে হেডফোন গুঁজে।লকডাউন হয়ে গেলে তো সবার বাড়িতে চলে আসা দরকার , বলো?
    লারা দত্ত নীল নখরন্জনী লাগানো লম্বা আঙুল দিয়ে টিভি থেকে হাত বের করে দিলেন।ওর থুৎনি ধরে আমিশা বলল, দ্যাট ইউ শুভ নো।নিজের সব গুছিয়ে নাও। বাইরে যেও না।লারার চোখে গাঢ় মেকাপ।সর্দি কাশি বাঁধিও না।বা জ্বর। ব্রিথিং ট্রাবল।একদম না। তোমার ক্যান্সার হলে হোক।কিন্তু এইসব একদম না।তুমি তাহলে সোসাল আইসোলেশনে।বুঝেছ? লারা হি হি করে হাসতে লাগলেন আর ওর চা ক্রমশ অতিরিক্ত মিষ্টি বোধ হতে লাগলো।স্মোকি আইজ মেকাপে লারা পর্দাতেই মিশে গেলে অন্ধকার ভ্যাপসা হয়।
    শ্যামা চায়ের কাপ নিতে এল। ওকে দেখল সে।তারপর বলল, কাল থেকে তোর ছুটি।বাড়িতে থাকবি।মাস পড়লে এসে টাকা নিবি।
    শ্যামা ভাইরাস বোঝে না। স্যানিটাইজারও বোঝে না।ছুটি বোঝে।আর টাকা।চায়ের কাপ নিয়ে চলে গেল।রান্না শেষ।এবার বাড়ি যাবে।
    টিভি বন্ধ করে দিয়েই মনে হল, শ্যামার বর যেন কোথায় কাজ করতে গেছে? মুম্বাই বলেছিল না দিল্লি? ঠিক কোথায়? কিছুতেই মনে পড়ছে না ।আবার হাতড়ানো শুরু করতেই প্রচন্ড ঘাম দিতে শুরু করল এবং ও দেখল মেয়ের ঘরের দরজা যথারীতি বন্ধ ।
    কাজের বাড়ির বাইরে পা দিয়ে শ্যামা এক সম্পূর্ণ অন্য মানুষ হয়ে যায় ।বন্দির দশা কাটলে যেমন হয়।ও জানে বৌদিরা ঠিক কী চায়।তাই কাজের বাড়িতে প্রবেশের আগে শ্যামা গায়ে আঁচল দিয়ে নেয়।সেই সঙ্গে খুলে রাখে পায়জোড়। ছমছম শব্দ করে বাড়ির মধ্যে চলাফেরা করা কোনো বৌদিই পছন্দ করে না।এবং পায়জোড়ের সঙ্গে সঙ্গে ও খুলে রাখে ওর যাবতীয় ছমকছল্লোপন, ছয়ল ছবিলি চলন, ভ্রূভঙ্গিমা, নখরাবাজি। বাসন মাজতে মাজতে ছেলের স্কুলের কথা বলে ।ছেলের মাস্টারের কথা বলে।সবজি ধুতে ধুতে শাশুড়ির পিন্ডি চটকায়।ঘর মুছতে মুছতে পাশের বাড়ির বৌদি বা কাকিমার কিপটেমি বা বেহুদা হরকত আলোচিত হয়। ও জানে বৌদিরা ঠিক কোন কোন কথায় পুলকিত বা ক্রুদ্ধ হবে।
    কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে শ্যামা তার সমস্ত অস্ত্র বিকশিত করে পথ চলে।নকল বাটিকের শাড়িতে হলুদ খয়েরি মিশেছে ওর চাপা রঙের দোসর হয়ে ।বেরোনোর আগে পায়জোড় পরে নিয়েছে ।শব্দ হচ্ছে ছমছম। আগাম ছুটি এবং হাতে আগাম পয়সা, এই সমস্তই ওর চলনকে খুব শ্রীময়ী করে রাখে।মুদির দোকানি সুফল বা সবজি বিক্রেতা দশরথ , মাছের ব্যাপারি সাজিদ এবং অনেকেই শ্যামা এবং শ্যামাদের এই মস্তানি চাল এবং আঁখোকি মস্তির সমঝদার।দুনিয়াতে সমঝদারি কে না চায় ।কাজেই ডগডগে করে মেটে সিঁদূর পরা, মঙ্গলচন্ডী , শিবরাত্রি, ছয়ষষ্ঠী, নীলের উপোস , হালে নবরাত্রি ও করোয়া চৌথ সবিস্তারে পালন করা শ্যামা কোমর দুলিয়ে চোখ ঘুরিয়ে তার সমঝদারদের সঙ্গে দুটো রসালাপ করার মধ্যে কোনো দোষ দেখে না।শ্যামার বর সুখন।সুখনলাল মার্বেল মিস্ত্রি । বেশ ভালো রোজগার।উপরন্তু শ্যামার দুবাড়ি মিলে আটহাজার। একটা ছেলে।শ্যামার অপারেশন হয়ে গেছে। সবমিলিয়ে শ্যামা মন্দ ছিল না। সুখনলাল কোনোদিন মারধোর করেনি।নেশা করেছে মাপ রেখে। কিন্তু দু'বছর আগে সুখনলাল একটা প্রেমে পড়ে গেল।মেয়েটা শ্যামার মাসতুতো বোন।মাধ্যমিক দিয়ে দিদির বাড়ি বেড়াতে এসেছিল।হুবহু দিব্যা ভারতীর মত মুখ।ঝলমলে হাসি ।ঢলঢলে চেহারা।শ্যামা সকালে কাজে বেরোয় ভাত নামিয়ে, সন্ধ্যায় ফেরে বাজার করে।ছেলে স্কুলে যায় ।হেডমিস্তিরি সুখন দেরি করেই কাজে যেত। ঝলমলে শালীর সঙ্গে প্রেম হবারই ছিল। সেটাও শ্যামা সামলে নিতে পারতো।কিন্তু সুখন এই প্রেমে মজনু হয়ে আরো রোজগারের নেশাতে দিল্লি চলে গেল।বোনটাকেও ভাগিয়ে নিয়ে গেল।বা সে স্বেচ্ছায় ভাগল।শোনা গেছে তারা বিয়ে করেছে এবং বর্তমানে মুম্বাই নিবাসী।বড় কাজের কন্ট্রাক্ট পেয়েছে সুখন।শ্যামা কেঁদে কেটে কিছু করতে পারেনি। অতএব শ্যামা ও ছেলে।পাশের ঘরে শাশুড়ি ।শ্যামা দু চারটে টুকটাক ইশক করে বেড়ায় । তার তো শরীর মন বলে কিছু আছে! সেইরকম একজন আশিক দশরথ। কাজের বাড়ি, ছেলে, শাশুড়ি, আশিককুল নিয়ে সে দিব্য আছে প্রথমদিকের কান্নাকাটিকে অবহেলায় তিনথাপ্পড় মেরে।এখন আর মনেও পড়ে না।ফোন করা তো দূরের কথা।
    দশরথ এখন সবজি এবং কাপড়ের মাস্ক বিক্রি করে।ফিরতি পথে দুটো বেগুন, মূলো, আলু নিল শ্যামা।ফ্রি তে একটা মাস্ক।
    - খুব খতরনাক রোগ নাকি গো?
    - চোখে দেখা যায় না ভাইরাস। খবরের কাগজে লিখছে। ই লে।মুখ বেঁধে থাকবি।
    মাস্ক পরে নেয় শ্যামা।মাস্কের ওপর দিয়ে ওর কুচকুচে কালো চোখ চকচক করে।চোখে হাসি।
    -তালে তো হাসি দেখা যাবে না গো।শ্যামার কোমর নাচে।
    - তোর চোখেই কয়ামত আছে ।দাঁত দেখে কি হবে। দোকান গোছায় দশরথ।
    লকডাউন আসছে।ওরা শুনেছে।লকডাউন কি কেউ বলতে পারছে না ঠিকঠাক । কিভাবে আসে তাও জানে না। শুনলে মনে হচ্ছে ছোটকালে দেখা কুঝিকঝিক রেলগাড়ির মত ঝমঝম করে চলে আসছে। লকডাউন ।লকডাউন শব্দ করতে করতে।
    কাল বৌদিকে ভাল করে জিজ্ঞেস করতে হবে।ভেবেই জিভ কাটল।
    কাজে তো যেতে পারবে না।ছুটি। তাহলে ফোন করে জানতে হবে।
    দশরথ ফ্রিতে দুগাছা ধনেপাতাও দিল। মাছের ঝোলে কাঁচালঙ্কা কালোজিরে ধনেপাতা। সানলাইটে কাচা বিছানার চাদর। দশরথের সঙ্গে ধামাকাদার ইশক কখনোসখনো। অবশ্যই দশরথের বৌ ডিউটিতে গেলে। ঝাড়াঝাপটা জীবনে মাঝে মধ্যে শাশুড়ির সঙ্গে বেদম ঝগড়া । বেশ লাগে শ্যামার। পাশে ঘুমন্ত ছেলের কপালে হাত দিয়ে দেখে ফের জ্বর এলো কিনা।
    আজ রাতে কষে ফিতে দিয়ে চুল বাঁধতে বাঁধতে শ্যামার চোঁয়া ঢেক উঠলো।বুকটা ছ্যাঁত করে উঠল।মুম্বাইতে রোগটা নাকি বস্তিতে বস্তিতে ছড়াচ্ছে ।সে মানুষটা তো ওখানেই আছে সোহাগী বউ নিয়ে!অনেকদিন বাদে ঝিম ধরে বসে থাকল শ্যামা।ফোন খুলে নম্বরটা দেখল।অনেকক্ষণ ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন