এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • চলো পাল্টাই ২০২১ আন্দোলন

    Saikat Bandyopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১১ জুন ২০১৯ | ২১৫২ বার পঠিত
  • বিগত কয়েকদিন ধরে "চলো পাল্টাই" নামক বঙ্গভাষীদের একটি আন্দোলনের নাম সামাজিক মাধ্যমের ইতিউতি কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে। এও শোনা যাচ্ছে, এ নিয়ে আসাম উত্তাল। যদিও পশ্চিমবঙ্গের বঙ্গভাষীরা এ নিয়ে খুব বেশি ওয়াকিবহাল, একথা বলা যায়না।

    কী নিয়ে এই আন্দোলন? খুব বড় কিছু না। দলীয় রাজনীতির সঙ্গে তেমন ভাবে সংযুক্তও না। আসামে প্রচুর বাংলাভাষী আছেন, ২০২১ সালের জনগণনায় এঁদের সকলকে নিজের মাতৃভাষা হিসেবে বাংলা কে নথিভুক্ত করতে ডাক দেওয়া হয়েছে এই আন্দোলন থেকে। অর্থাৎ, সরকারি খাতায় আসামের বাঙালির মাতৃভাষা বাংলা হিসেবে লিপিবদ্ধ থাকবে, এইটুকু, এবং কেবলমাত্র এইটুকুই এই আন্দোলনের দাবী।

    আপাতদৃষ্টিতে এটা কোনো হাতিঘোড়া ব্যাপারই না। যার যা ভাষা-জাতি-ধর্ম সবকিছু যথাযথভাবে টুকে নিয়ে খাতায় তুলে রাখা, এই তো ভারতীয় জনগণনার কাজ। ২০১১ র জনগণনার পদ্ধতিতে মাতৃভাষা সম্পর্কে স্পষ্ট বলা আছেঃ "Mother tongue is the language spoken in childhood by the person’s mother to the person. If the mother died in infancy, the language mainly spoken in the person’s home in childhood will be the mother tongue. "। এই পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতিটি মানুষের মাতৃভাষা নথিভুক্ত করাই তো জনগণনা তথা গণতন্ত্রের ন্যূনতম শর্ত। যা ইতিমধ্যেই স্বীকৃত, সেই ন্যূনতম বিষয়টি নিয়ে আবার আন্দোলন কী, হইচইই বা কেন?

    এ খুবই স্বাভাবিক চিন্তাভাবনা। কিন্তু তার পরেও, এ কথাও ঠিক, যে, এই ন্যূনতম দাবীটি নিয়ে আসামে গোলযোগের চূড়ান্ত। এই আন্দোলনের তিনজন প্রাথমিক উদ্যোক্তা, শান্তনু মুখোপাধ্যায়, চন্দন চট্টোপাধ্যায় এবং গর্গ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একাধিক পুলিশি অভিযোগ জমা পড়েছে। অহমিয়া যুব মঞ্চ রাস্তায় নেমে কুশপুত্তলিকা জ্বালিয়েছে। আমসুর সভাপতি জানিয়েছেন, এ হল "আসাম ধ্বংস করার" প্রচেষ্টা। প্রাক্তন মুখ্যপন্ত্রী তরুণ গগৈ এর মধ্যে "চক্রান্ত" আছে বলে জানিয়েছেন। এমনকি 'সারা আসাম বাঙালি যুব ছাত্র ফেডারেশন" এর নেতা জানিয়েছেন, এ হল বাঙালি-অসমীয়ার বহুযুগের সুসম্পর্ককে নষ্ট করার প্রয়াস।

    এই ন্যূনতম এবং ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোস্বীকৃত দাবীটি নিয়ে কেন এত গোলযোগ? চলো পাল্টাই এর তিন সংগঠকের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, যে, তাঁরা একটি ভিডিওতে আসামে বাঙালি সংখ্যাগরিষ্ঠতার সম্ভাবনার কথা বলেছিলেন। ঐতিহাসিকভাবে দেশভাগের আগে আসামে অসমীয়াভাষীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিলেন না। ১৯৩১ সালের জনগণনায় তাঁদের সংখ্যা ছিল ৩১.৪%। এর ঠিক কুড়ি বছর পর ১৯৫১ সালের জনগণনায় নাটকীয়ভাবে সংখ্যাটি বেড়ে দাঁড়ায় ৫৬.৭% এ। এর মধ্যে দেশভাগ হয়েছে ও উদ্বাস্তুর স্রোত বয়ে গেছে গোটা উপমহাদেশে। হয়েছে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, উল্টে গেছে অনেক কিছুই। অনেকেই এই আকস্মিক সংখ্যাবৃদ্ধির অন্যতম বা প্রধান কারণ হিসেবে বলেন, ১৯৫১ সালের পর আসামের বহু বাঙালি, বিশেষ করে মুসলমানরা আত্মপরিচয় পাল্টে নিজেদের অসমীয়া হিসেবে পরিচয় দিতে শুরু করেন। এটি নিঃসন্দেহে বাস্তব ঘটনা, কিন্তু অসমীয়া সংখ্যাবৃদ্ধির প্রধানতম কারণ কিনা, তা একেবারে নিশ্চিত করে বলা না গেলেও, এ ধরণের একটি ভাষ্য চালু। একদম সমসময়ের একটি সংবাদপত্রে লেখা হয়েছেঃ "১৯৫১ সালের পর চরুয়া খেদা ডাঙায় একটি মুসলমান গ্রামে প্রায় আটশো মানুষকে কুপিয়ে হত্যা করে উগ্র অসমীয়া জাতীয়তাবাদী শক্তিগুলো। তারপর বহু বাঙালি মুসলমান অসম ছেড়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে চলে যান। পরে অবশ্য নেহেরু–লিয়াকত চুক্তি অনুযায়ী তাঁদের ভারতে ফিরিয়ে নেওয়া হয় ঠিকই কিন্তু সীমান্ত পেরোনোর সময় সঠিক নথিপত্র তাঁদের দেওয়া হয়নি।"

    ওই একই সংবাদপত্রে আরও লেখা হয়েছেঃ "স্বাধীনতার পরে ১৯৫১ সাল থেকে অসমে অনুপ্রবেশকারী বাঙালি মুসলিমরা রয়েছেন। প্রত্যেক জনগণনা সমীক্ষায় নিজেদের মাতৃভাষা বাংলা হওয়া সত্ত্বেও উগ্র অসমিয়া জাতীয়তাবাদী শক্তিগুলোর চাপে পড়ে অসমিয়াকে নিজেদের মাতৃভাষা বলে এসেছেন। তবুও তাদের অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। নিজের দেশেই পরবাসী হয়ে থেকে যেতে হয়েছে। বহুবার তাঁদের ওপর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস নেমে এসেছে। অসমিয়াকে মাতৃভাষা মেনে নিয়েও তাঁদের ওপর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাত্রা একেবারেই কমেনি। বরং বেড়েছে। তারই প্রতিবাদের অসমের বাংলা ভাষাভাষীর মানু্ষরা একজোট হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘‌চলো পাল্টাই’‌ নামে একটি অভিযান শুরু করেছেন।"

    "চলো পাল্টাই"এর এই ভাষ্যটিই আসামের উগ্র জাতীয়তাবাদীদের চক্ষুশূল হয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়, "চলো পাল্টাই"এর দাবীতে কিঞ্চিৎ সারবত্তা আছে। আসামের উগ্র জাতীয়তাবাদী শক্তি দীর্ঘদিন ধরেই আত্মসংকটের কারণ বা অজুহাত দেখিয়ে চরমপন্থার আশ্রয় নিয়েছে। এর সামনে নতিস্বীকার করে কিছু সংখ্যক বঙ্গভাষীর আত্মপরিচয় বিসর্জন দেবার কাহিনী একেবারেই অবাস্তব নয়। এবং তার পরেও শেষরক্ষা না হওয়ায়, মাথায় এনারসির খাঁড়া ঝোলায়, তাঁদের মধ্যে একটা অংশ ঘুরে দাঁড়িয়ে সজোর আত্মপরিচয় নতুন করে ঘোষণা করতে চান, তাও হওয়া খুবই স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে হিন্দুত্ববাদী এবং উগ্র অসমীয়া জাতীয়তাবাদীদের চাপের রাজীতি ব্যাকফায়ার করছে দেখে ক্রুদ্ধ প্রতিক্রিয়াও খুবই সহজবোধ্য।

    আপাতদৃষ্টিতে যা মনে হয়, উগ্র অসমীয়া জাতীয়তাবাদের লক্ষ্য আধিপত্য এবং নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবং সেজন্য প্রয়োজন হলে বাঙালি বিতাড়ন (উগ্র শব্দটি লক্ষ্যণীয়, কারণ উগ্রতাবিবর্জিত অসমীয়া জাতীয়তাবাদের মধ্যে নিন্দনীয় কিছুই নেই, আত্মপরিচয়ে তাদেরও অধিকার আছে), আর বিজেপির লক্ষ্য তথাকথিত 'বাংলাদেশী' বিতাড়ন। এর উভয়েই কোনো একটি বিন্দুতে এসে মিলে যায় নাগরিকপঞ্জি নামক প্রহসনে। এবং এই চরমপন্থায় নিষ্পেষিত একটি জনগোষ্ঠীর একটি মরিয়া অংশের আত্মপরিচয় ঘোষণার চেষ্টাই "চলো পাল্টাই"।

    এই আন্দোলন এখনও পর্যন্ত আকারে ছোটো এবং দলসমর্থনহীন। এখনও পর্যন্ত কোনো প্রতিষ্ঠিত বৃহৎ দল এনারসির সর্বাত্মক বিরোধিতা করে উঠতে পারেনি ( সর্বাত্মক শব্দটি মোটা)। এটুকুও সজোরে কেউ বলতে পারেনি, যে, এটি আসামের বাঙালি জাতির উপর চাপিয়ে দেওয়া একটি সমস্যা। বরং উল্টো প্রচারই চলেছে টানা, যে, সমস্যাটি মূলত প্রয়োগের, বাঙালি ছাড়াও আরও বহু মানুষ সমস্যায় পড়েছেন। তা হয়তো এক আধজন পড়েওছেন, কিন্তু এ নিয়ে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই, যে, পদ্ধতিগতভাবে একটি জাতি বা জনগোষ্ঠীর উপরে সন্ত্রাস চাপিয়ে দেওয়াই এনারসির লক্ষ্য। এই পদ্ধতিগত সন্ত্রাসকে স্বীকার করার মেরুদন্ড কোনো দলই যখন দেখিয়ে উঠতে পারেনি, তখন তারা সামান্য মাতৃভাষা নিয়ে বিচলিত হবে, এ আশা করা অবধ্যই অর্থহীন। অন্তত আপাতত। জোর হাওয়া উঠলে হাওয়ামোরগরা খুব দ্রুত নৌকো বদলেও ফেলতে পারে, একথাও অবশ্য আমাদের জানা আছে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১১ জুন ২০১৯ | ২১৫২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | 2345.106.9003423.47 (*) | ১২ জুন ২০১৯ ০৫:৪১48875
  • আরে এটা মিসিয়ে গেছিলাম। কালকের এই সময় র চলো পাল্টাই নিয়ে খবর দেখছিলাম।
  • Du | 237812.58.450112.23 (*) | ১২ জুন ২০১৯ ০৬:৩৯48876
  • এই 'বৃহত্তর বঙ্গ' চিরকালই লোক খেপানোর কল উগ্র কেন যে কোন অসমীয়াই এই ভয়টাকে অস্বীকার করতে পারে না। লোক খেপানোদের পক্ষে এইটা আগতেই কৈসিলো মোমেন্ট। এই বক্তব্য নিয়ে আন্দোলনটা এনারা কাদের ঘাড়ের ওপর করতে চাইছেন?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে প্রতিক্রিয়া দিন