মৃত্যুর তিন দিন আগে, কংগ্রেসের অবস্থান নিয়ে এক রচনা, যাঁকে তাঁর শেষ উইল বলা হয়, যেখানে তিনি কংগ্রেসের বিলুপ্তি এবং পঞ্চায়েত ভিত্তিক শাসনকাঠামোর পক্ষে সওয়াল করেন, সেখানে তিনি দেশের সাত লক্ষ গ্রামের স্বায়ত্তশাসন এবং স্বরাট আর্থিক বিকাশের কথা বলছেন। নির্মল বসু এই রচনার ফুটনোটে লেখেন- সাত লক্ষ গ্রাম ভারতে নেই, আছে ভারত পাকিস্তান মিলিয়ে। অর্থাৎ, গান্ধিজি দেশের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় পাকিস্তানকেও বাদ দিচ্ছেন না। ... ...
"বনের আজা" সিংহ হঠাৎ 'মাঙ্কিভাতে' ঘোষণা করল, কাল থেকে প্রাণী হত্যা বন্ধ । আমরা সবাই নিরামিষাশী হলাম এখন থেকে। এই ঘোষণায় সব মাংসাশী প্রাণীদের মাথায় বজ্রাঘাত হল । : আজা, আজা , আমরা খাবো কি ? : কেন ? তোমরা চিঁড়ের পোলাও খাও ! উথাপ্পম খাও ! লে লুল্লু ! কি হবে এখন !! ... ...
আউটডোর জিনিসপত্র – সে খেলাধূলাই হোক বা ট্রেকিং বা হাইকিং সবকিছুতেই বিশাল ইন্টারেষ্ট ছিল এককালে। তবে আজকাল সেই ইন্টারেষ্ট কিছুটা হলেও কমে এসেছে, বিশেষ করে যদি একসাথে ডরমিটারি-তে থাকতে হয় যেখানে খানিক দূরেই জুতো-জামাকাপড়-ব্যাগ রাখা থাকবে। এর কারণটা বিশেষ কিছু নয় – জুতো এবং মোজার গন্ধ। তা সে নিজের জুতো-মোজাই হোক বা অন্যের। নিজেরটা যদিও নাক চেপে সহ্য করে নেওয়া যায়, কিন্তু অপরের জুতো-মোজার গন্ধে একেবারে অন্নপ্রাশনের ভাত উঠে আসে। ... ...
এত বছর পর গতমাসে ফোনে শিবুদার গলা শুনে অবাকই হয়েছিলাম! যোগাযোগ নেই প্রায় সিকি শতক! সে বছর মাঝ শ্রাবণে ভাসতে ভাসতে ভাসতে এসে পৌঁছেছি মহানগরের স্নায়ু কেন্দ্রে। ঠাঁই নাড়া হবার পর সেই আমার নতুন ঠিকানা! সেখানে হাত বাড়ালেই প্রসিদ্ধ স্মৃতি-সৌধ, গির্জাঘর, ঝাঁ-চকচকে রাস্তা, কৃষ্টি-কেন্দ্র আর অজস্র-ধারা-বৃষ্টির মতন মানুষ! শিকড় সমেত উপড়ে এনে আমাকে বলা হয়েছে, ডালপালা ছড়াও হে, এই তোমার নতুন আকাশ! ... ...
সম্ভবতঃ এটি সরকারী সাবতাজ প্ল্যানের অঙ্গ হিসাবেই সাধিত হয়েছে - কিন্তু তা হয়ে থাকলে সেটা এ বিরাট ব্যাকফায়ার করেছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। প্রজাতন্ত্র দিবসে সাধারণ প্রজারা গিয়ে আইন অমান্য করে লালকেল্লায় নিজেদের ঝান্ডা উড়িয়েছে জাতীয় পতাকার নীচে - বিবিধের মাঝে মিলন মহানের এর চেয়ে বড় প্রতীকি বিজ্ঞাপন আর কী হতে পারত সেদিন? ... ...
তেমন ‘বড় মাপের’ মানবিকতা না দেখালে তো আর খবরের কাগজে জায়গা পাওয়া যায় না। তবু মনে হয় ছোট সাহায্যও কি কম? প্রতিদিনের এমন কত ছোট ছোট সাহায্য যে কত মানুষকে অন্য ভাবে খবরের কাগজে নাম ওঠান থেকে বাঁচিয়ে দিচ্ছে কে তার হিসেব রাখে। ... ...
অনির্বাণ মুখার্জীর লেখা তিন বাহু দশ মুখ নামক বইটির আলোচনা। ... ...
যদি গুগুল সার্চ করেন পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী দেশ – তো মনে হয় না প্রথম দশে আপনি মলটা দেশের নাম পাবেন – সেখানে দেখবেন ফিনল্যান্ড এবং অন্যান্য স্ক্যান্ডেনেভিয়ান দেশগুলিরই আধিক্য। কিন্তু এই সুখীর সংজ্ঞার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ বা আমরা যাকে বলি ‘আনন্দে’ বেঁচে থাকা তা ঘুলিয়ে ফেললে চলবে না। তেমন লিষ্টী বানাতে হলে প্রথম বিশ্বের দেশগুলির মধ্যে মলটার নাম একেবারে প্রথম দিকে থাকবে। বিশাল আনন্দে এবং টেনশন ফ্রী জীবন কি ভাবে কাটাতে হয় এদের কাছ থেকে শেখা যেতে পারে। ... ...
একাল সেকালের জগা খিচুড়ি ... ...
অভীক সরকার লিখিত খোঁড়া ভৈরবীর মাঠ বইটির আলোচনা। ... ...
অভীক সরকার লিখিত এবং ইনকুইজিশন নামক বইটির আলোচনা। ... ...
অভিজ্ঞান রায়চৌধুরী লিখিত রাতের ট্রেনের সঙ্গী নামক বইটির আলোচনা। ... ...
দিনাজপুরের ফুলবাড়ি উপজেলার কাজী পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে আয়শা সিদ্দিকা নামের এক নারী কাজী পদের জন্য আবেদন করেন। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে কোথাও শুধু মাত্র পুরুষের জন্য এই পদ এমন কিছু লেখা ছিল না। আর যেহেতু তিনি আর বাকি সব দিক দিয়ে যোগ্য ছিলেন তাই তিনি আবেদন করে দেন। যথা সময়ে পরীক্ষা হয়, তিনি প্রথম হন। তার সাথে আরও দুইজন নারী আবেদন করেন। এবং পরবর্তীতে পুরো প্যানেলকেই বাদ দেওয়া হয় শুধু মাত্র নারী এই যুক্তিতে। শারীরিক সীমাবদ্ধতা, রাত বিরাতে বিয়ের জন্য যেতে হবে ইত্যাদি নানান কারণ দেখিয়ে তাদের না করে দেওয়া হয়। এবার শুরু হয় আয়শার লড়াই। ২০১৪ সালে তিনি আদালতে যান। আইনের কোথাও নারী হিসেবে নিকাহ রেজিস্টার হতে পারবে না এমন কথা না থাকার পরেও এতদিন পরে আদালত এই রায় দেয় যে নারী বিবাহ পড়াতে পারবে না। আয়শা সিদ্দিকা আবার আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন। কি হতে পারে এখনই অনুমান করা যাচ্ছে। বিশেষ করে মানুষের যে পরিমাণ সমর্থন এই কয়দিনে আদালত পেয়ে গেছে তাতে আরও সহজ হয়ে গেছে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার। আমার দুইটা কথা না বললে ভাল লাগছে না তাই লিখতে বসছি। ... ...
আগে যাঁরা ভাগাড়পাড়া স্কুলের গল্প পড়েছেন তাঁদের অনেক জায়গাই রিপীটেশান মনে হবে। বস্তুত ঐটা আর এদিক ওদিক লেখা আরো কিছু কুড়িয়ে বাড়িয়েই এটা চলবে। আরেকবার ফিরেদেখা। কেউ যদি পড়ে মন্তব্য করেন সম্ভবতঃ উত্তর দেব না, কারণ এটা আমার নিজের জন্যই নিজের সাথে কথা বলা। আগাম মাপ চেয়ে রাখলাম। ... ...
রোজ কত কী লিখি যাহা তাহা, অবসরের সম্পাদকমন্ডলীর মত কেউ কোনোদিন বলেনি, "সঙ্গীতশিক্ষা নিয়ে লেখো দিকি?" শুনেই মাথায় বিদ্যুৎচমক। সত্যিই তো, চল্লিশ বছরেরও বেশি হল, এখনো তাঁর পদতলে বসে আছি। আমার গুরু প্রবাদপুরুষ সঙ্গীতাচার্য অমিয়রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়। অবসরের পাতায় আমার সঙ্গীতকথা, গুরুকথা তাঁকেই নিবেদিত। লেখাটি অবসর পত্রিকায় প্রকাশিত। ... ...
তথাগতবাবু এবং তিওয়ারিজির এইসব কাজকর্ম, বলাবাহুল্য, পাহাড়প্রতিম মূর্খামি ছাড়া আর কিচ্ছু না। তাঁরা জানেনই না, বিজেপি এবং আরএসএস তো হিন্দুত্বকে আদৌ কোনো ধর্ম মনে করেনা। সে কথা বহুবার সজোরে বলাও হয়েছে। আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত স্বয়ং বলেছেন, হিন্দুত্ব কোনো ধর্ম নয়, একটি জীবনচর্যা। অর্থাৎ জীবন যাপনের পদ্ধতি। যা আদৌ ধর্মই নয়, তাতে আঘাত করলে ধর্মীয় ভাবাবেগে কীকরে আঘাত করা হয়, মাননীয় তথাগত বা তরুণজ্যোতি কি তা বলতে পারেন? আরএসএস কী মনে করে, তাঁরা কি সেসবের ধার ধারেননা? নাকি আদৌ জানেনই না? ... ...
সে ছিল এক অন্যরকম সময়। মুষ্টিবদ্ধ প্রতিবাদের, নিজেদের খুঁজে পাওয়ার, সৃষ্টির রক্তকরবী অঙ্কুরোদগ্মের ....। মহাশ্বেতা দেবীর জন্মদিনে মানুষ আর অরণ্য যেন তাঁদের অধিকার ফিরে পায় । ... ...
রুথ বেডার গিন্সবার্গ - আদর করে যাঁকে ডাকা হয় 'The Notorious RBG'। সকলের সমান অধিকার নিয়ে সবচেয়ে জোর গলাটি তাঁর, সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ থেকে একের পর এক ঐতিহাসিক রায় দিয়ে আমেরিকানদের নয়নের মণি তিনি। তাঁর হেঁসেল সামলাতেন পতিদেবতা মার্টি গিন্সবার্গ, যিনি নিজেকে গর্বের সঙ্গে বলতেন ফেমিনিস্ট। প্রতিবাদী রুথকে লড়াই করেই প্রতিটি ইঞ্চি এগোতে হয়েছে। কিন্তু ঘরে ফেরার পর তাঁর সবকিছু ভাগ করে নেওয়ার জন্যে একজন মার্টি গিন্সবার্গ অপেক্ষা করতেন। সার্থক হয়ে উঠতো সব সাফল্য, জুড়িয়ে যেত সব ব্যর্থতা। ক'টা মেয়ের এমন সৌভাগ্য হয়? রুথ আর মার্টির রূপকথা-সম প্রেম আর স্বপ্নের সংসারটি কলমে ঠিকঠাক ধরা খুব শক্ত। কতটা পারলাম সে বিচার পাঠকের। ... ...