কখনও পুষ্পবৃষ্টি, আবার কখনও তাদের আবাসনে ঢুকতে না দেওয়া। অতিমারিতে চিকিৎসকদের এমন অবস্থা নিশ্চয় অনেককেই ব্যথিত করে তুলছে। তবে এই লেখাটি লিখছি একেবারে অন্য দৃষ্টিকোণ থেকে। বাঙ্গালোরের এক চিকিৎসক বন্ধু জানালেন বহু পরিবারে বা আবাসনে বা বাড়িওয়ালার কাছে মহিলা চিকিৎসকরা আরও অচ্ছুৎ এই অতিমারির দিনে। তিনি হাসতে হাসতে বলেছিলেন, অতিমারি কেন; আজও চিকিৎসা করাতে এসে অনেকেই পুরুষ ডাক্তারের খোঁজ করেন, বিশেষত শল্যচিকিৎসার ক্ষেত্রে। আমাদের চিকিৎসা ক্ষেত্রে লিঙ্গবৈষম্য কোনোদিন যাবে না বোধহয়। ... ...
হিন্দি সিনেমার নায়ক নায়িকা চেনা ছিল বিশেষ গুন। সবাই পারত না, ফট ফট করে নাম বলে দেওয়া এ কি সোজা কথা? ডিডি ওয়ান আমাদের কাছে বিটিভির মতই ছিল। তাই আমরাও দুই একটা নাম জানতাম। কিন্তু আমাদের চেয়েও পাকনা কেউ আসলে অবাক হওয়া ছাড়া ভিন্ন কোন রাস্তা থাকত না। একটু ঘাইঘুই করে মেনে নিতাম। ঢাকা থেকে কোন আত্মীয় আসছে, তাদের সাথে আমরা পারি? হয়ত বাসায় তাদের ভিসিআর আছে, ততদিনে ক্যাবল লাইনও চলে গেছে ওদের ঘরে। নিত্য নতুন সিনেমার গল্প, নায়ক নায়িকার কিচ্ছা আমরা কই পাব? রবিবার করে রঙ্গোলী আর চিত্রাহার দিয়া খুব বেশি ফাইট দেওয়া যেত না। তাই মেনে নিতাম। ... ...
জ্ঞানউপুড় পোস্ট ঢালি আমরা।রাষ্ট্রব্যবস্থা সমাজব্যবস্থা সব নিয়েই কী অগাধ পাণ্ডিত্য! আদালতের ভারডিক্ট, তার ঠিক ইন্টারপ্রিটেশন ভুল ইন্টারপ্রিটেশন...সমীহ জাগে আর তখনই জেগে ওঠে শাঁখা সিঁদুরজনিত অন্য অন্ধকার। হ্যাঁ। আমাদের আলো-পাওয়া চোখ, ইন্টেলেকচুয়াল বিভা,বন্ধনমুক্তির জন্য কোমরের জোর, শাঁখা সিঁদুর ইত্যাদি বিবাহচিহ্ন মুছে ফেলার জোর যোগায় বই কী! ... ...
অনেকে মনে করেন, এই যে বিচিত্র জটিল জীবদেহ এবং তার মধ্যে প্রাণ ও মনের খেলা, এ নাকি কোনও সর্বজ্ঞ ইঞ্জিনীয়ার বেশ পরিকল্পনা করে গুছিয়ে না বানালে নিজে থেকে কিছুতেই হতে পারত না । অতএব, বিবর্তন তত্ত্ব-টত্ত্ব সব ফেল, আসলে ভেতরে ভেতরে সবই ‘তাঁর’ লীলা ! চলুন তবে, একটু ঘেঁটেঘুঁটে দেখি কেসটা । ... ...
আমাদের বাড়িতে ছোটবেলায় ঠাকুমার এক বন্ধু, পাড়ারই এক বয়স্ক মহিলা, আসতেন। ঠাকুমা তাকে 'মেজদি' বলে ডাকতেন। আর আমরা সকলে, মানে ছোটরা, তাকে 'বিবিধ ভারতী' অথবা 'বিবিসি' বলতাম। সামনে না অবশ্য, পিছনেই। তিনি প্রায় প্রতিদিনই বিকেলবেলা, পাড়ার সকলের বাড়িতে যেতেন। প্রত্যেক বাড়ির জন্যেই তার বিকেল আর সন্ধ্যার খানিকটা সময় বরাদ্দ করে রাখতেন। আসতেন, চা খেতেন, গল্প করতেন, এক সময়ে চলে যেতেন। খালি হাতে ফিরতেন না। যাবার সময় তাঁর ঝুলিতে জমা পরতো একরাশ 'খবর'। ... ...
করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে একটি কল্প কথা -- ধরা যাক, ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলো। সেই ভ্যাকসিন এর ফলে করোনা ভাইরাস নির্মূল হওয়া সম্ভব। কিন্তু সেই ভ্যাকসিন এর অনেক দাম। একটা ভ্যাকসিন নিতে কয়েকশো কোটি টাকা লাগে। সেই মহার্ঘ ভ্যাকসিন সাধারণের অধরা রয়ে গেল। ... ...
২৭৩ একর বা ৮১৯ বিঘা জমির এই বাগান বা উদ্যানটি গঙ্গার ঠিক উপরেই অবস্থিত। হাওড়া স্টেশন থেকে বাস অটো-তে সহজেই যাওয়া যায়। স্থানীয় লোকেরা বাগানটিকে এখনও বলে কোম্পানির বাগান। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মিলিটারি সেক্রেটারি কর্ণেল রবার্ট কিড (১৭৪৬-৯৩) এখানে বাস করতেন। সেটা ১৭৮০ সাল। ... ...
বিষয় এটা নয় যে, যুদ্ধ হবে কি হবে না। বিষয় হোলো 'যুদ্ধ' 'যুদ্ধ' জিগির তুলে রাখাটা কতটা প্রয়োজনীয়। যুদ্ধাস্ত্র প্রস্তুতকারক কোনো দেশের সামনেই এখন আতঙ্কবাদ আর তেমন বড় সমস্যা কিম্বা সুযোগ নয়। ... ...
শুন শুন ভক্তজন, শুন দিয়া মন। দেবী প্রশমনী কথা করিনু বর্ণন।। শুনিতে বসিবে কথা ক্ষারজল হাতে । রাখিবে দূরত্ব একে অপরের সাথে।। ... ...
রাজনীতির ক্ষেত্রে লাদাখ আজ বহু আলোচিত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের জন্য এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র আর ভৌগোলিক কারণে রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আর্থ-সামাজিক বিচারে কেমন সেখানকার সাধারণ মানুষের জীবনযাপন? বিশ্বসেরা ও বহুমূল্য পশমিনা সৃষ্টিকারী যাযাবর পশুপালক উপজাতি ‘চাংপা’-রা লাদাখের আদি বাসিন্দা। তাদের জীবিকা ও জীবন আজ বহুবিধ সমস্যার সম্মুখীন। অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা, পরিবেশগত ভারসাম্য আর ঐতিহ্যের বহমানতা, সবদিক থেকেই আজ তাদের টিঁকে থাকার লড়াই। আর তাদের অস্তিত্বের ওপরেই নির্ভর করছে বিশ্ববিখ্যাত পশমিনা শিল্পের ভবিষ্যৎ। ... ...
সেদিন কী সাংঘাতিক কাণ্ডটাই না ঘটেছে জানো কি তোমরা? রানি ঝিলিমিলির রাজমুকুটখানি হারিয়ে গেছে। রানি ঝিলিমিলি তো লাল রেশমি উড়ুনিটা পেয়ারা গাছের ডালে ঝুলিয়ে আর মুকুটটি খুলে গোলাপগাছের তলায় রেখে সইদের সঙ্গে একটু কুমিরডাঙ্গা খেলতে গেছেন। খেলছেন তো খেলছেন, বেলা গড়িয়ে গেল, বিকেল ফুরিয়ে গেল, জলে সূয্যিমামার লাল লম্বা ছায়া পড়ল, তবু খেলা শেষ আর হয় না। শেষমেষ বহুদিনের পুরনো বুড়ো রাজপেয়াদা রামদয়াল ডাকতে এল.. ... ...
স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার জন্মদিনে এই ঐতিহাসিক ব্যাঙ্কটির ইতিহাস নিয়ে একটু নাড়াচাড়া | ব্যাঙ্ক অফ ক্যালকাটা কি করে আজকের স্টেট্ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া অবতারে পৌঁছলো - তারই একটু ঝলক | ... ...
আরেকবার, মনে করিয়ে দেওয়া যাক, সরকারি ব্যবস্থার পাশাপাশি চলে আসা ছোট চেম্বার বা ডাক্তারবাবুর নিজস্ব নিয়ন্ত্রণাধীন নার্সিংহোম, তার চাইতে কর্পোরেট হাসপাতাল চরিত্রগতভাবেই ভিন্ন গোত্রের। এবং, সমকালীন সমাজের রীতিনীতি বা মূল্যবোধের সাথে তাল মিলিয়ে ব্যক্তিচিকিৎসকের ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতা বা সততার পরিবর্তনের প্রশ্নের চাইতে ঢের বেশী গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসাভাবনার এই ধারাবদল। একে যদি উন্নতি ও প্রগতি বলে বিশ্বাস করেন, তাহলে প্রত্যাশা বদলে ফেলুন। আর পুরোনো বিশ্বাসের সম্পর্কে যদি আস্থাশীল হতে চান, তাহলে এই নতুন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে কথা বলুন। দুটো একইসাথে চলে না। চলতে পারে না। দুই নৌকায় পা রেখে ঠিকঠাক দাঁড়িয়ে থাকাই মুশকিল - এগোতে পারার সম্ভাবনা তো দূরের কথা। ... ...
এই সিরিজটি মুক্ত গদ্য অথবা কবিতা, নিজে নির্ণয়ে অক্ষম। -- একদিন সমুদ্র থেকে জেগেছে পাহাড়। সেইহেতু শৃঙ্গ দেখে ঢেউ ভ্রমে আছি। হে সতত, অনর্গল, গুহার গোমুখ থেকে তুমি কবে পরিত্যক্ত জলমহাল...ক্রমশ স্থবির হয়ে একদিন মিশে গেছ দিগন্তবিস্তৃত মোহনার নুনে। ... ...
স্টোনওয়ালের একান্ন বছর পূর্তি নিয়ে এই লেখা। তথাকথিতভাবে সংস্কৃতি রক্ষা করার জন্য যখন মানুষকে হেনস্থা করার আইন তৈরী হয়, সেগুলো কীভাবে পুলিশি যথেচ্ছাচারের সুযোগ দেয়, এবং তা মানুষের পক্ষে কতখানি ক্ষতিকর হয় তার উদাহরণ আমরা দেখব। এবং মানুষ কীভাবে তার বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে সেটাও দেখব। ... ...
তারপর এখানে আর ভালবাসা হবার নয, নয বলেই যেন ইনফিনিটিতে প্রাণ বল্লম গুটিয়ে ফিরছেন জাদুকর তার দীর্ঘ ছায়া পড়ছে মাঠে। ক্রমে গাছে গাছে কমে আসছে সালোক সংশ্লেষ, বাতাসে শ্বাস বাযু কমছে কি? সে বড় করে শ্বাস নেয় ,ঠিক বুঝতে পারে না। ... ...
চার বন্ধু জীবনের সামনে টুইস্টের লোভে বিপজ্জনক কাজে নিজেরা জড়িয়ে যাচ্ছে।সেটা নিয়েই এই উপন্যাস। ... ...
এর চেয়েও প্রলয়ঙ্কর হল গানের ব্যবহার। সহনায়িকা এখানে গুণগুণ করে গায় রবিবাবুর গান। মোটামুটি ১৮৯৫ সাল নাগাদ। কী গান? সেদিন দুজনে দুলেছিনু বনে। যে গান লেখা হবে এর বছর তিরিশেক পরে। বাঙালি হলেই একটু রবীন্দ্রনাথের পাঞ্চ দিতেই হবে, বাঙালি রবীন্দ্রনাথের জন্মের আগে থেকেই রবীন্দ্রসঙ্গীত গায়, এ তো জানা কথা। যেকোনো দিন পলাশীর যুদ্ধের দৃশ্যায়নেও সিরাজদৌল্লাকে 'ব্যর্থ প্রাণের আবর্জনা পুড়িয়ে ফেলে' গুণগুণ করতে দেখা যেতে পারে। বলিউডি ওয়েবসিরিজ/সিনেমার কারবার বলে কথা। এর আগে একটি সিরিজে দেখা গিয়েছিল বাঙালি নায়িকা সঙ্গমকালে 'শেষের কবিতা' থেকে আবৃত্তি করে। বলিউডি প্রযোজক-পরিচালকদের নির্ঘাত ধারণা ওতেই বাঙালির অর্গ্যাজম। ... ...
দেখি, পাখিরা আরও বেশি আশ্চর্য হল। আজ বুঝি পাপ কম হবে পৃথিবীতে অসময়-গাথা সময়েই লিখে রাখা ভাল। ... ...
বলেছিলাম আর পোস্ট করব না। কিন্তু পাঠকের দাবিতে শার্লককে অবধি ফিরতে হয়েছিল। আমি তো চুনোপুঁটি। তাই প্রকাশকের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে পোস্ট করলাম। বই হলে জানাব সকলকে। সেখানে আরও কিছু সংযোজনের ইচ্ছা আছে। ... ...