ওপরের তাক থেকে তিন চারটে বই টেনে নামাতেই একটা খাম মেঝের ওপর পড়ে গেল। টুলের ওপর থেকে রঞ্জন সাহা তাকিয়ে দেখলেন একটা বড়সড় ব্রাউন রঙের খাম। কিসের খাম বুঝতে পারলেন না। এই তাকটা খুব একটা ব্যবহার হয় না। মাসখানেক ধরে গৃহিনী তাগাদা দিচ্ছেন বই-এর আলমারির ওপরের তাকটা পরিষ্কার করার জন্য। আজ টুলে উঠে সবে কাজটা শুরু করেছেন, তার পরেই এই ঘটনা। ওই তাকে বই ছাড়াও আছে কিছু অ্যালবাম, অ্যানালগ ক্যামেরার যুগে তোলা কিছু বাছাই ছবি ওই সব অ্যালবামে রাখা। বাবার তোলা কিছু ছবিও ওগুলোতে আছে। এখন ডিজিটাল ক্যামেরার ছবি ক্লাউডে তুলে রাখেন তিনি। মূলত প্রাকৃতিক দৃশ্যেরই ছবি তোলেন ব্যাংকের কর্মচারী রঞ্জন সাহা, বিশেষ করে পাহাড়ের। সখের ব্যাপার হলেও ফটোগ্রাফিটা সিরিয়াসলি করেন তিনি। পড়ে যাওয়া খামের সাইজ দেখে সেটায় ছবি আছে বলেই মনে হচ্ছে। খামের মধ্যে ছবি সাধারণত রাখেন না রঞ্জন। কিসের ছবি? আরও কয়েকটা বই নামিয়ে টুল থেকে নামবেন বলে ঠিক করলেন রঞ্জন তিনি আর তখনই খামটা খুলবেন।
কথা ছিল কলেজে ঢোকা মেয়ে অলিই উপর থেকে বইপত্র নামাবে আর তুলবে, বাবা থাকবে সাহায্যকারীর ভূমিকায়। কিন্তু প্রাইভেট টিউটর হঠাৎই ডেকে পাঠানোয় তাকে চলে যেতে হয়েছে। গৃহিনী স্কুলের পরীক্ষার খাতা দেখছেন। রঞ্জনকে তাই একাই কাজে লাগতে হয়েছে।
আরও কয়েকটা বই টুলের ওপর নামিয়ে রেখে নেমে এলেন তিনি, বইগুলো ওখান থেকে সরিয়ে ফের উঠতে হবে অন্য বই আর অ্যালবামগুলো নামানোর জন্য। অন্তত তিন-চার বার ওঠানামা করতে হবে। টুলের ওপর থেকে বইগুলো নামিয়ে মেঝেতে রেখে দ্বিতীয়বার ওঠার আগে খামটার দিকে ফের চোখ গেল ওনার। দেখাই যাক না কী আছে ভেতরে। হাতে নিয়ে রঞ্জন বুঝলেন যা ভেবেছিলেন তাই, পাতলা অথচ শক্ত লম্বাচওড়া জিনিস - অর্থাৎ ছবি। খামের ফ্ল্যাপটা খুলে বুঝলেন একটা নয়, দুটো ছবি রয়েছে।
একই জিনিসের দুটো ছবি, আলাদা অ্যাঙ্গেল থেকে তোলা। রঞ্জনই তুলেছিলেন, দার্জিলিং জেলার মিরিক থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে পাহাড়ের কোলে একটা গ্রামে। একজনকে দেওয়ার জন্য ছবিদুটো তোলা হয়েছিল, দেওয়া হয়নি। একজন ক্রিকেটার যেমন কোনও ঘটনার দশ-বারো বছর বাদেও বলে দিতে পারে কোন টেস্টের কোন দিনে সেটা ঘটেছিল, একজন ফটোগ্রাফারও নিজের তোলা পুরনো ছবি দেখে মনে করতে পারে সেই ছবি তোলার ব্যাকগ্রাউন্ড। মনটা বছর দশেক পিছিয়ে গেল রঞ্জনের।
অলির তখন দশ বছর বয়স। একটা সংস্থা বাচ্চাদের নেচার ক্যাম্পের আয়োজন করেছিল ওই গ্রামে। আরও অনেক গার্জেনদের সাথে রঞ্জনও গেছিলেন মেয়েকে নিয়ে। সকাল থেকে তাদের নানা অ্যাকটিভিটি শুরু হয়ে যেত, গার্জেনদের সাথে ছেলেমেয়েদের সারা দিনে বলতে গেলে দেখাই হত না। গার্জেনদেরও থাকত নানা অ্যাকটিভিটি, তার মধ্যে একটা ছিল আশেপাশের জায়গাগুলো পায়ে হেঁটে ঘুরে আসা।
চার দিনের ক্যাম্পের তৃতীয় দিন দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পর এমনই বেরোন হয়েছিল। গ্রামের পাথুরে পথ বেয়ে, ছোট ছোট বাড়িগুলোকে ডাইনে বাঁয়ে রেখে এগোচ্ছিলেন ওঁরা। প্রায় প্রতিটা বাড়ির সামনেই রঙিন ফুল ফুটে আছে। চেনাজানা গ্ল্যাডিওলাস এখানকার আবহাওয়ার গুণে বহুগুণ উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে, মানুষদের মতই। রোদে পিঠ দিয়ে বসে পাশাপাশি দুই বাড়ির দুই বৃদ্ধা কুলোয় করে শস্য ঝাড়ছেন, কী শস্য বোঝা গেল না। ছবি তুলব? রঞ্জনের অনুরোধে দুই বৃদ্ধা কিশোরীসুলভ হাসিতে উচ্ছল হয়ে উঠলেন। বক্তব্য হল বুড়িদের ছবি তুলে কী হবে! ছবি তুলে দেখালেন রঞ্জন সাহা, খুশি হলেন ওঁরা। ডিএসএলআর-এর এই এক সুবিধে।
ওঁদের থেকে বিদায় নিয়ে এগোচ্ছে দলটা, তবে থামতে হচ্ছে মাঝে মাঝেই। দলে প্রায় জনা পনেরো বিভিন্ন বয়সী মহিলা-পুরুষ, অনভ্যস্ত পথে সবার হাঁটার গতি এক রকম নয়। তার ওপর ছোট ছোট নুড়িতে ভর্তি রাস্তাটা ক্রমশ ওপরে উঠছে। বাড়িঘর কমে আসছে আস্তে আস্তে। এক পাহাড়ি খুদে কন্যা তার বাবার সাথে বেরিয়ে এল একটা বাড়ি থেকে। পাথুরে পথে ঝর্নার মত লাফাতে লাফাতে চলেছে সে। মাথায় দুটো খুদে বিনুনি, গায়ে বেগুনি-সাদা ডোরা কাটা ফুল হাতা গেঞ্জি, আর বুকে একটা বেমানান হলুদ রঙের মিকি মাউস আঁকা। রঞ্জনরা যেদিক থেকে আসছেন সেদিকে নেমে গেল সেই মেয়ে, বাবা চলল তার পিছনে। চুপি চুপি বাচ্চাটার একটা ছবিও তুলেছেন রঞ্জন, জুম করে দেখলেন খুদের চোখমুখ দুষ্টুমিতে ভরা। এক সময়ে ওনার একটা গোপন দুঃখ ছিল যে অলি বয়স আন্দাজে একটু বেশি গম্ভীর, দুষ্টুমিটা কম।
রঞ্জনদের দলটা এগিয়ে চলেছে। এবড়োখেবড়ো চড়াই রাস্তা ধরে বেশ কিছুটা যাওয়ার পর সামনে পড়ল একটা ব্রিজ, দুই পাহাড়কে জুড়েছে। ব্রিজ পেরিয়েই রাস্তাটা ডান দিকে ঘুরে খানিক এগিয়ে নিচের দিকে নেমে গেছে। দূর থেকে মনে হল ওদিকে চা বাগান আছে। বাঁদিকে রাস্তার থেকে ওপরের দিকে বিভিন্ন উচ্চতায় কয়েকটা বাড়ি চোখে পড়ছে, আর দেখা যাচ্ছে চাষের জমি। আর ডান দিকে খাদ, সেখানে একটা সাদা রঙের ইট-সিমেন্টের স্ট্রাকচার, বড় শহরে যেমন বাস স্ট্যান্ড থাকে, তারই যেন একটা ছোট সংস্করণ। মাথার ওপর ছাদ, বসার জায়গাও রয়েছে। এতটা উঠে এসে অনেকেরই মনে হচ্ছিল একটু বিশ্রাম দরকার।
বসার পর বোঝা গেল এই স্ট্রাকচারটা সম্ভবতঃ মেমোরিয়াল জাতীয় কিছু। ভিতরের দেওয়ালে একটা ল্যামিনেট করা ছবি টাঙানো। ছবিটা আবছা হয়ে গেছে, তবু বোঝা যায় সেটা একটা ২০-২২ বছরের ছেলের, একটা টেবিলে হাত রেখে সে দাঁড়িয়ে আছে। কার ছবি, সেটা এখানে কেন - এ সব আলোচনা হচ্ছিল। বসার জায়গাটার উল্টো দিকে একটা ছোট ঘর, মনে হল দোকান, তবে সেটা বন্ধ। আর সেই ঘরটার পাশ দিয়ে নেমে এল একটা বড় বড় সাদা লোমওয়ালা কুকুর। সে সটান ঢুকে এল ভেতরে। কখনও ভুকভুক করে ডেকে, কখনও আবার লেজ নেড়ে সে সম্ভবত একটু খাবার চাইছিল। কারও কাছেই জল ছাড়া কিছু নেই, আর কুকুরটার লাফালাফিতে অনেকেই বিব্রত হচ্ছিলেন, বিশেষত মহিলারা। এমন সময়ে বাইরে থেকে একটা গলা শুনতে পেলেন রঞ্জনরা, আর কুকুরটাও ছুটে বেরিয়ে গেল।
কুকুরটাকে ডেকেছে স্থানীয় এক জন লোক, গায়ে একটা চেন খোলা সস্তা রঙচঙে জ্যাকেট, সাদা প্যান্ট আর পায়ে বেশ পুরনো জুতো। কুকুরটা লোকটার চার দিকে ঘুরে ঘুরে লাফালাফি করছে, রঞ্জন তাকে হিন্দিতে জিজ্ঞেস করলেন ছবির ছেলেটির কথা। আঙুল তুলে দূরে প্রায় ত্রিশ চল্লিশ ফুট উঁচুতে গাছপালা ঢাকা একটা বাড়ি দেখাল লোকটা। ওই বাড়িরই ছেলে, ড্রাগের নেশা ধরেছিল, মারা যায় বছর পাঁচ-ছয় আগে। ছেলের স্মৃতিতে বাবা-মা এই বিশ্রাম ঘর বানিয়ে দিয়েছেন।
লোকটা অন্যদের সাথে কথা বলছে, রঞ্জন সাহা সরে এসে খাদের ধারে দাঁড়িয়ে দু একটা ছবি তুললেন। তেমন জমল না ছবিগুলো। সুর্যটা পাহাড়ের আড়ালে চলে গেল এই মাত্র। আলো দ্রুত কমে যাবে এবার, ফিরতে হবে, ক্যাম্প সাইট থেকে অনেকটা দূরে চলে এসেছেন ওনারা। আর একটা ছবি তুলবেন বলে চোখে ক্যামেরা লাগিয়েছেন, পিছন থেকে কেউ ডাকল-- "স্যার…" ফিরে তাকিয়ে রঞ্জন দেখলেন লোকটা দাঁড়িয়ে।
"আমার আনারসের ক্ষেতটা দেখতে যাবেন?" হিন্দিতে অনুরোধ করল লোকটা।
অবাক হলেন রঞ্জন, হঠাৎ ক্ষেত দেখার আমন্ত্রণ কেন? আর ওনাকেই বা কেন?
"কোথায়?”
লোকটা দেখাল একটা জায়গা, প্রায় ১৫-২০ ফুট ওপরে। রঞ্জন বললেন, "দেরি হয়ে যাবে, অনেকটা দূরে ফিরতে হবে আমাদের।" লোকটা নাছোড়বান্দা, বার বার বলতে লাগল দেরি হবে না, সামান্যই উঁচু, দু মিনিটের ব্যাপার। রঞ্জন সাহা আবার ওর ক্ষেতটার দিকে তাকিয়ে দেখলেন, ভাল বোঝা যাচ্ছে না। তবে মনে হচ্ছে ছবির জন্য একটা ভাল অ্যাঙ্গল পাওয়া যেতে পারে ওখান থেকে।
"চলুন না স্যার," আবার বলল লোকটা।
একটু বিরক্তই হলেন রঞ্জন। এত করে যেতে বলে কেন? শুধুই কী ক্ষেত দেখানোর জন্য নিয়ে যেতে চাইছে? আর ক্ষেত দেখে হবেই বা কী? এত জনের মধ্যে ওনাকেই বলছে কেন? হঠাৎই খেয়াল হল যে গার্জেনদের দলে কেবল ওনারই ক্যামেরাটা দেখা যাচ্ছে, গলায় ঝুলছে বলে। বাকি যাদের ক্যামেরা আছে, সেগুলো ছোট, পকেটে বা ব্যাগে আছে। লোকটার বদ মতলব নেই তো? ক্যামেরা আছে, পকেটে রয়েছে সঙ্গে আনা যাবতীয় টাকাও। কিন্তু ওনারা রয়েছেন বেশ কয়েকজন, লোকটা খারাপ কিছু করতে পারবে বলে মনে হয় না। তাছাড়া ভাল ছবি মিলতেও পারে ওখান থেকে...
"চলুন," বললেন রঞ্জন সাহা। লোকটার খোঁচা খোঁচা দাড়িওয়ালা মুখ ঝলমলিয়ে উঠল। "আসুন", বলে পথ দেখিয়ে নিয়ে চলল সে।
দলের অন্যদের জানিয়ে ক্যামেরাটা শক্ত করে ধরে লোকটার পিছনে পিছনে চললেন রঞ্জন। বন্ধ দোকানটার পাশ দিয়ে গিয়ে দু-তিনটে ছোট বাঁক ঘুরে একটু ওপরে উঠেই ক্ষেতটা চোখে পড়ল। জমিটা তেমন বড় নয়, আনারসের গাছে ভর্তি। মাঝে মাঝে কয়েকটা পেয়ারা গাছও রয়েছে। আর এটাও দেখা গেল যে এখান থেকে মোটেই ভাল ছবি হবে না। এই দেখানোর জন্য টেনে আনল! বিড়বিড় করে কয়েকটা মামুলি উৎসাহব্যঞ্জক শব্দ উচ্চারণ করে নেমে আসার কথা ভাবছেন রঞ্জন, লোকটা ক্ষেতের এক পাশে মাটির দিকে আঙুল দেখাল, "এবার এইটা দেখুন স্যার…একটা ফটো তুলবেন?” রঞ্জন দেখলেন আর ওনার পা যেন মাটিতে গেঁথে গেল।
একটা সমাধি, সাদা গ্লেজড টাইলস দিয়ে মোড়া, টাইলসের ধার বরাবর সাজানো রয়েছে ফুলের গাছ আর হেড স্টোনের কাছে কয়েকটা পুরনো খেলনা। একটা পুতুল, একটা ট্রেন ইঞ্জিন, একটা পা-ভাঙা প্লাস্টিকের খরগোশ, একটা জং ধরা ক্যাপ ফাটানো পিস্তল। এছাড়াও রয়েছে একটা কাঁচের শিশি, ছোট চাকি-বেলুন, স্টিলের ছোট প্লেট, গ্লাস, বাটি-চামচ, আর কয়েকটা মাটির প্রদীপ।
"একটা ফটো স্যার…,” ফের বলল লোকটা।
ঘটনার আকস্মিকতায় রঞ্জনের গলা দিয়ে স্বর বেরোচ্ছিল না। কোনও রকমে জিজ্ঞেস করলেন কে ঘুমিয়ে আছে এখানে।
"আমার মেয়ে, নীতু।"
"কী হয়েছিল?"
একটু চুপ করে থাকলেন মেয়ে হারানো বাবা। তারপর বললেন, "ব্যস… চলে গেল একদিন।"
হেডস্টোনের লেখা দেখে রঞ্জন বুঝলেন ১১ বছর বয়সে চলে গেছে নীতু। অসুখ করেছিল? অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছিল? দশ বছর বয়সী মেয়ের বাবা রঞ্জন আর কিছু জিজ্ঞেস করতে পারলেন না।
ক্যামেরা রেডি করছেন রঞ্জন, উনি একটু দাঁড়াতে বললেন। পা-ভাঙা খরগোশটাকে দাঁড় করাবার চেষ্টা করলেন বার কয়েক, লাভ হল না, খরগোশটা বার বারই শুয়ে পড়ছে। হাল ছেড়ে দিয়ে ইসারায় ছবি তুলতে বললেন। দুটো ছবি তুললেন রঞ্জন। ওনাকে দেখালেন, মুখটা উজ্জ্বল হয়ে উঠল ভদ্রলোকের।
নিচে নামার সময়ে নিজে থেকেই রঞ্জন ওনাকে বললেন ছবিটা পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। উনি ঘাড় কাত করলেন। নিচ থেকে সঙ্গীদের গলা পাওয়া গেল, রঞ্জনকে ডাকছেন ওঁরা। ফিরতে হবে, অনেকটা পথ। রাস্তার কাছাকাছি এসে দেখি সবাই অধৈর্য হয়ে অপেক্ষা করছেন। তাড়াতাড়ি পা চালালেন রঞ্জন, সত্যিই দেরি হয়ে গেছে, আলো ক্রমশ কমে আসছে। সবার সাথে চলতে লাগলেন রঞ্জন, কথা বলতে ইচ্ছে করছিল না। ক্যাম্পের কাছাকাছি ওনার এসে খেয়াল হল ভদ্রলোকের নাম, ঠিকানা কিছুই নেওয়া হয়নি।
বাড়ি ফিরে ছবি দুটো বড় সাইজে প্রিন্ট করে রেখেছিলেন রঞ্জন, ওদিকে ফের গেলে সঙ্গে নিয়ে যাবেন বলে, যদি কিছু ব্যাবস্থা করা যায়। যত্ন করে রেখে দিয়েছিলেন বই-এর আলমারির ওপরের তাকে। সে ছবি সেখানেই থেকে গেছে।
স্টিলের থালা-বাটি, শুয়ে থাকা খরগোশ আর অন্য খেলনা সহ নীতুর ছবি নতুন একটা খামে ভরে রাখলেন রঞ্জন। ফের উপরের তাকে খামটা তুলে রাখতে গিয়ে মনে হল সেটা যেন বড্ড ভারি হয়ে গেছে।