এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  গপ্পো

  • আগস্টের সন্ধ্যা - ৩

    Nirmalya Nag লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | গপ্পো | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৭৬৫ বার পঠিত
  • মূল ছবিঃ ডেভিড ম্যাকেচান, পেক্সেলস
     
     
    [তিন]
     
    আগস্টের ২৫ তারিখ, স্বর্ণালীর আজ জন্মদিন। আমাদের তেঘরিয়া থেকে সল্টলেক সিটি সেন্টার যাওয়ার কথা। সোনা আমাদের চাইনিজ খাওয়াবে। অভিষেক ওদের বাড়ির গাড়িটা এনেছে। অভিষেক ড্রাইভারের সিটে, ওর পাশে খোঁচা, পেছনের সিটে আমি। আমার পাশে স্বর্ণালীকে উঠিয়ে জানলার ধারে বসে পড়ল তৃষা।
     
    আমাদের সেদিনের অভিযানের কথা স্বর্ণালীকে কিছু বলা হয়নি। আজকের যা আসল প্ল্যান সেটাও ও জানে না। আমাদের ইচ্ছা ছিল আরও একটু পরে বেরোব, সোনার তাড়ায় আগেই বেরোতে হচ্ছে। এ জন্য আবার প্ল্যানে একটু বদল আনতে হয়েছে। অন্ধকার হয়ে আসছে। সন্ধ্যা হয়েছে, আকাশেও মেঘ। গুমোট লাগছে।
     
    "এসিটা চালানো যাবে অভিষেক?” বলল তৃষা।
    "ইয়েস।” সবকটা জানলার কাঁচ উঠে যাওয়ায় বাইরেটা একটু আবছা হয়ে গেল। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে এসির ঠান্ডা হাওয়া ছড়িয়ে পড়ল গাড়িতে।
    "এইটুকু গরম সহ্য করতে পারিস না? রাস্তায় নেমে পলিটিক্স করবি কী করে?" বলল স্বর্ণালী।
    তৃষা ছাত্র রাজনীতি করে, আর বেশ সিরিয়াসলিই করে। বলল, "যখন যেমন দরকার, আমি তখন তেমন।"
    ভিআইপি রোডে পড়ে আমাদের গাড়ি বাঁদিকে ঘুরে ফ্লাইওভারে উঠল। সবাই চুপ। কিছু একটা বলা দরকার, যে কোনও কথা। একটা বিল্ডিং-এর মাথায় টাইগার স্রফের একটা সিনেমার হোর্ডিং দেখে কিছু একটা বলতে গেলাম। তার আগেই মুখ খুলেছে তৃষা।
    "সোনা, আমাদের বিশ্বাস করিস, তাই তো?"
    "মানে?”
    "আমরা সিটি সেন্টার যাচ্ছি না, অন্য জায়গায় যাব। ডোন্ট ওয়ারি। মনে রাখিস তুই যে আমাদের সাথে বেরোবি সেটা আন্টি জানেন, আর আমার নম্বর আন্টির কাছে আছে।"
    "হোয়াট ডু ইউ মিন?”
     "বললাম তো কোথায় যাচ্ছি দেখতেই পাবি।”
     "হোয়াট কাইন্ড অফ ড্রামা ইস দিস?"
     "আরে বাবা বেশিক্ষণ না,” খোঁচা বলল, “এ ড্রামা চলবে খুব বেশি হলে এক থেকে দেড় ঘন্টা।"
     "কী করতে চাইছিস?”
     “মেয়ে পাচারের বিজনেস শুরু করেছি। তোকেই ফার্স্ট পাচার করব।” হাত বাড়িয়ে খোঁচার মাথায় চটাস করে মারল স্বর্ণালী। “মারছিস কেন? ভাল লোকের কাছেই বেচব তোকে। ভেরি রিচ, তোকে সোনায় মুড়ে রাখবে।”
    এবার স্বর্ণালী খোঁচার চুল ধরে জোর টান দিল একটা। “এমন করলে কিন্তু কোনও গরীব লোকের কাছে বেচে দেব, তাতে যা লস হয় হবে,” বলল খোঁচা। অভিষেক হেসে উঠল।
     "খোঁচা থাম... ভয় পাস না সোনা," বলল তৃষা।
    একটু চুপ থেকে স্বর্ণালী বলল, "এই জন্যই অভিষেক গাড়ি এনেছে?"
    "রাইট। নিজেদের গাড়ি নিয়ে যে কেউ ক্রাইম করে না, সেটা তুই নিশ্চয় জানিস," অভিষেক জানাল।
    চুপ করে ছিলাম বলেই বোধ হয় স্বর্ণালী আমার দিকে তাকাল। ফিসফিস করে বললাম, "ভয় নেই রে।"
    ফের কিছুক্ষণ চুপ করে থাকল স্বর্ণালী, একবার কাশল। তারপর বলল, "ঠিক আছে।"
    "গুড। অভিষেক, একটা গান টান চালা না," বলল খোঁচা। এফএম রেডিওয় মারজাওয়া ফিল্মের ‘তুম হি আনা’ গানটা বেজে উঠল।
     
    আমাদের গাড়ি সিগনালে দাঁড়াল। এখান থেকে ডাইনে ঘুরে লেকটাউনে যেতে হয়।
    "আমরা কি লেকটাউন যাচ্ছি?" স্বর্ণালী উদগ্রীব হল।
    "দেখ না কোথায় যাই," বলল তৃষা।
    ইউ-টার্ন নিয়ে আমাদের গাড়ি লেকটাউন না ঢুকে সোজা এগিয়ে চলল। পরের মোড়ে বাঁদিকে ঘুরতেই স্বর্ণালী সোজা হয়ে বসল। "সো ইট ইজ বাঙুর… এখানে কোথায়?"
    কেউ উত্তর দিলাম না। কিছুটা এগিয়ে একটা গলিতে ঢুকে গাড়ি থামাল অভিষেক।
    "সোনা," আস্তে করে ডাকল তৃষা।
    "শুনতে পাচ্ছি।"
    "এসে গেছি।"
    "সেটা দেখতে পাচ্ছি। বাট হোয়াই?" জিজ্ঞেস করল বার্থডে গার্ল। এবারেও আমরা চুপ থাকলাম।
    গাড়ি থেকে নেমে এগোলাম সবাই। ফুটপাথে একটা ছোট খাবারের দোকান, তবে ‘পিওর ভেজ’। ইসারায় দোকানটা দেখাল অভিষেক।
    "এইখানে!" নাক সিঁটকালো স্বর্ণালী। "নো ওয়ে। তার ওপর ভেজ। তোরা এত ড্রামাবাজি করে এই ভাটের জায়গায় আমায় নিয়ে এলি!"
    "এদের খাবার খুব ভাল,” বলল অভিষেক, "আপাতত কিছু খাই, পরে আবার দেখা যাবে”
    ফুটপাথের ওপর রঙিন ছাতার তলায় দুটো টেবিল, আটটা চেয়ার। একটা টেবিলে দুটো ছেলে পাপড়ি চাট খাচ্ছে। ভেতরে আরও দুটো টেবিল, সেগুলো খালি।
    “চল,” ভেতরে ঢুকে গেল খোঁচা, পেছন পেছন আমরাও।
     
    অভিষেক পকোড়া আর কফির অর্ডার দিল। ওয়েটারটা আমাদের বয়সী হবে, একবার আড়চোখে তাকাল স্বর্ণালী আর তৃষার দিকে, তারপর ভেতরে চলে গেল।
    "তোদের প্ল্যানটা কী বল তো?"
    তৃষা স্বর্ণালীকে কিছু বলতে যাচ্ছিল, তবে তার আগেই ওর ফোন বেজে উঠল। আমরা উৎসুক হয়ে তাকালাম। “হ্যালো, হ্যাঁ প্রদীপ, বল।” আমাদের উৎসাহ নিভে গেল। শুনলাম তৃষা বলছে, “আমি পরশু বিক্রমদার সাথে দেখা করব। তার আগে কাগজপত্রগুলো আমার লাগবে। তুই কাল কলেজে ওগুলো নিয়ে আয়। … বিশুদার চায়ের দোকানে। একটা ক্যারিব্যাগে করে আনিস।... ঠিক আছে।”
     ফোন রেখে তৃষা বলল, “এই প্রদীপ ছেলেটা রাজারহাটে থাকে। একটা মুদীর দোকানের কর্মচারী। ওর দিদি একজনের সাথে পালিয়েছিল, মেয়েটা প্রেগন্যান্ট হতেই লোকটা কেটে পড়েছে। বেচারা বাড়ি ফিরে এসেছে, অ্যাবর্ট করেছে... ওদের অবস্থাটা ভাব। খুব সাধারণ ঘর, চার চারটে ভাইবোন।”
    খোঁচা বলল, “তুই কি করছিস ওদের জন্য?”
    “আপাততঃ একটা একটা কাজ খুঁজে দেওয়ার চেষ্টা করছি মেয়েটার জন্য। পার্টির এক জনের সাথে দেখা করবো পরশু। খুব দরকার ওদের বুঝলি।"
    স্বর্ণালী বলল, “এভরিওয়ান গেটস হোয়াট হি ডিজার্ভস।”
    “স্বপ্ন সবারই থাকে রে,” খোঁচা জানালো।
    “ডোন্ট গিভ মি জ্ঞান খোঁচা। আমি ভুলভাল কাজ করলে আই হ্যাভ টু ফেস দ্য কনসিকোয়েন্স। এই লোকগুলো গাদা গাদা কাচ্চাবাচ্চার জন্ম দেবে। তারপর… বাবা ঠিকই বলে, ওভার পপুলেশন ইজ দ্য মাদার অফ অল দ্য প্রব্লেমস ইন দিস কানট্রি। দে শুড গো টু হেল।”
    ওর মুখে এমন কথা নতুন নয়, আগেও শুনেছি।
    “এ সব ফ্যামিলিতে বাচ্চা বেশি হয় কারণ দে ডোন্ট হ্যাভ এনি আদার মোড অফ এন্টারটেনমেন্ট। আর এদের কাছে একটা এক্সট্রা বাচ্চা মানে এক্সট্রা হ্যান্ডস ফর আর্নিং,” বলল খোঁচা।
    “ফ্যানটাসটিক। এদের এন্টারটেনমেন্ট চলতে থাকুক, তুইও কাজফাজের ব্যাবস্থা করে দে, অ্যান্ড দে উইল নেভার লার্ন দ্যাট লাইফ ইজ নট আ বেড অফ রোজেস,” স্বর্ণালী বলল।
    "সেটা ওরা এমনিতেই জানে। তুই ওদের কাছ থেকে দেখিসনি সোনা, আমি দেখেছি। যে টাকায় ওদের সারা মাস চলে সে টাকায় আমরা… যাকগে, আজকের দিনে এসব কথা থাক," বলল তৃষা।
    "দু দিন পরে আমাদেরও চাকরি খুঁজতে হবে। তখন রিসোর্সফুল লোকের দরকার হতেই পারে," বলল অভিষেক।
    আমায় অবশ্য চাকরি খুঁজতে হবে না। পারিবারিক শাড়ির দোকান আছে মানিকতলায়, সেটা মন্দ চলে না।
    "ওই মেয়েটা পালানোর আগে দেখে নেয়নি কেন হাও দ্যাট ম্যান ইজ। এখন কেঁদে লাভ কি? বাবা অলওয়েজ সেজ - লুক বিফোর ইউ লিপ," বলল স্বর্ণালী।  
    আমার মনে পড়ল স্বর্ণালীকে প্রপোজ করেছিল ওদের কলেজের একটা ছেলে। ও কাটিয়ে দিয়েছিল।
    “ভুল সবাই করে স্বর্ণালী, আমরাও করি… আয়, এবার খাওয়া যাক,” বলল খোঁচা। 
    পকোড়া আর গরম কফি দিয়ে গেছে। আমি তাড়াতাড়ি পকোড়া তুলে মুখে দিলাম, দিয়েই কুকুরের মত হাঁ করে হা-হা করতে লাগলাম, বড্ড গরম। খোঁচা আর অভিষেক হাসতে লাগল।
    তৃষা স্বর্ণালীকে বলল, "কি রে, কফি খা।"
    স্বর্ণালী কফি তুলল না। চুপ করে বসে থাকল, আমরাও। কিছুক্ষন একটা অস্বস্তিকর নীরবতা, শুধু পকোড়া আর কফি খাওয়ার শব্দ।
     
    "একটা সত্যি কথা বলবি?" স্বর্ণালী বলল, "এক্স্যাক্টলি হোয়াট আর উই ডুইং হিয়ার?" 
    "বলছি, তুই খা," বলল তৃষা।
    "না, আগে বল," স্বর্ণালী গম্ভীর।
    "একটা ফোনের অপেক্ষা করছি," বলল খোঁচা।
    "ফোন? কার ফোন?" স্বর্ণালী ভ্রূ কুঁচকে তাকাতেই একটা মোবাইল বেজে উঠল। স্বর্ণালীর নিজের ফোনই বেজেছে।
    "হেলো... থ্যাংকস রে... নাহ, জাস্ট ইটিং আউট... উইল টেল ইউ লেটার, বাই।" ফোন বন্ধ করল স্বর্ণালী। "নাও টেল মি, হোয়াটস দ্য ম্যাটার? কে ফোন----”
    এবার তৃষার ফোন বেজে উঠল। শুধু "আসছি" বলে ফোন রেখে দিল সে। খোঁচা, অভিষেক আর ওর মধ্যে চোখে চোখে কিছু কথা হল। স্বর্ণালী অদ্ভুত চোখে ওদের দিকে তাকিয়ে আছে। খাবারের দাম মিটিয়ে দিল অভিষেক।
     
    তৃষা দাঁড়ালো স্বর্ণালীর পাশে। "চল সোনা।"
    "কোথায়?"
    "চল না। ভাল করে খাব না বুঝি আমরা?"
    উঠে পড়ল স্বর্ণালী। "দ্যাট ওয়জ মাই প্ল্যান। নো আইডিয়া অ্যাবাউট ইয়োর প্ল্যান।"
    গাড়িতে কয়েক মিনিট গিয়ে সেদিনের পার্কটার কাছে থামলাম আমরা। বাইরে এসে সবাই এগোলাম রাস্তা ধরে।
    "নো রেস্টুরেন্ট হিয়ার। কী চাস তোরা?" বলল স্বর্ণালী।
     "চল না, সামনেই," খোঁচা বলল।
     সাদা বাড়িটার সামনে এলাম আমরা, গ্যারাজের লাল রঙের গেটটা সেদিনের মতই সামান্য ফাঁক করা। খোঁচা এগিয়ে গেল গেটের দিকে, আমার মনে পড়ল সেদিন খুব লেগেছিল খোঁচার, মাথায় দু-দুটো আলু গজিয়ে গেছিল। 
    স্বর্ণালী বলল, "হোয়াট আর ইউ গাইস আপ টু? হুইচ প্লেস ইস দিস?"
     তৃষা বলল, "আয় না।" (ক্রমশঃ)
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৭৬৫ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    অশ্রু - Sarthak Das
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:63c3:79e3:1b21:9865 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৫:১৯523468
  • খুব খারাপ ধরণের বেইট অ্যান্ড সুইচ।
  • a | 110.175.36.96 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৪:২৯523471
  • এটা কিরকম হল? তেফ্হরিয়া থেকে গেলে লেঅটাউনের আগেই তো বাঙ্গুর পড়ার কথা, তাঅই না? 
  • Nirmalya Nag | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯:৪৭523758
  • @ পলিটিশিয়ান - ধন্যবাদ 
     
    @a - তেঘড়িয়া থেকে লেকটাউন যেতে আগেই বাঙুর পড়ে। তবে গাড়ি নিয়ে যাওয়া যায় না। রাস্তা আটকানো থাকে, কোনও মতে একটা ইউ টার্ন নিয়ে ফের কেষ্টপুর/বাগুইআটির দিকে ঘুরে যাওয়া সম্ভব। হেঁটে গেলে সাবওয়ে দিয়ে যাওয়া যায় বাঙুরের দিকে। গাড়ি বা বাইক থাকলে লেকটাউন থেকেই ঘুরে যেতে হবে।
    @ বিপ্লব রহমান - ধন্যবাদ 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত প্রতিক্রিয়া দিন