এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  গপ্পো

  • আগস্টের সন্ধ্যা - ৬ 

    Nirmalya Nag লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | গপ্পো | ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ৮২৪ বার পঠিত | রেটিং ৩ (১ জন)
  •  

    মূল ছবিঃ ডেভিড ম্যাকাচেন, পেক্সেলস
     
    ।। ছয় ।।
     
    স্বর্ণালীর কথা চলছে
     
    “অশোকজী এখানে একটা হোম ডেলিভারি চালাচ্ছেন। সেটা আমি দেখাশোনা করছি।”
    “মানে ডেলিভারিং কুকড ফুড টু পিপল?... তোমার বসের বন্ধু, আ মিড লেভেল বিজনেসম্যান… তিনি এই রকম একটা বিজনেস করছেন?”
    “এটা বিজনেস নয়, ফিলানথ্রফি।”
    আমার ভ্রূ কুঁচকে গেল। “মানে?”
    “এখানে ১৭ জন কাজ করে। ১২ জন মেয়ে, পাঁচ জন ছেলে। ব্রেকফাস্ট থেকে ডিনার খাবার ডেলিভারি করা হয়। বাড়িতে আর অফিসে। মেয়েরা রান্না করে, ছেলেরা খাবার পৌঁছে দেয়। আর অন্য কিছু কাজও করে।”
    “এর মধ্যে ফিলানথ্রফি কোথায়? এ তো অনেকেই করে।”
    “এই ছেলেমেয়েরা সবাই… কী বলব… ভিকটিমস অফ অ্যাবিউজ… বাই ইনডিভিজুয়ালস অ্যাণ্ড সোসাইটি।”
    “মানে?”
    “এদের কাউকে কাজ দেওয়ার লোভ দেখিয়ে নিয়ে গিয়ে বেচে দেওয়া হয়েছিল রেড লাইট এরিয়াতে। একই কাজ করেছে কারোর প্রেমিক। এক জনকে তো স্মার্টফোন কিনে দেবে বলে নিয়ে গেছিল। পুলিশ উদ্ধার করেছে, তবে বাড়িতে আর সমাদর পায়নি। আবার কেউ --”

    সেই একই কেস। “দেখ মা, এরা নিজেরা ভুল করেছে, তার পানিশমেন্ট পেয়েছে। দে ডোন্ট ডিজার্ভ সিমপ্যাথি।”
    ‘“ভুল করেনি, এদের ঠকানো হয়েছে। দুটো এক নয়।”
    “দে চোজ দ্য রঙ মেন। দেয়ার ফল্ট।”
    “কাগজ পড়িস? প্রোপোজাল রিজেক্ট হয়েছে বলেও অনেক ঘটনা ঘটে। তারও দরকার হয় না, জাস্ট প্রেজেন্সই অনেক কিছু করে।”
    “কিছুই বুঝলাম না।”
    “খামবুনির ঘটনা মনে আছে? মেয়েটি গ্যাংরেপড হয়ে খুন হয়। কলেজ থেকে বাড়ি ফিরছিল, কয়েকজন তাকে তুলে নিয়ে যায়। মেয়েটির কি দোষ ছিল?”
    আমি কাগজ টাগজ পড়ি না। তবে এটা আমার মনে পড়ল। আই ওয়াজ পসিবলি ইন ক্লাস টেন অ্যাট দ্যাট টাইম। আ শকিং ইনসিডেন্ট। কিন্তু মাকে একটা রিপ্লাই তো দিতেই হবে। “মেয়েটার দোষ ছিল কি ছিল না কেউ জানে না। তা ছাড়া পেপারে অনেক এক্সাজারেট করে।”
     
    মা একটা বড় নিঃশ্বাস ছাড়ল। প্রব্যাবলি কথা খুঁজে পাচ্ছে না। টাইম ফর মোর অ্যাটাক। “আর ছেলেগুলো অ্যাবিউজড হল কি করে? ওরা তো আর রেপড হয়নি?”
    “হয়েছে, হয়ে থাকে। এখন মেয়েদের অ্যাবিউজ তবু সামনে আসছে, কিন্তু সোসাইটি ছেলেদের অ্যাবিউজ লুকিয়ে রাখে। ছোটবেলা থেকেই ছেলেদের শেখানো হয় তারা ম্যাচো হবে, দে উইল প্রোটেক্ট উইমেন, সিনেমায় দেখিস না? তারা যে নিজেরাই উইক, এমনকি অ্যাবিউজডও হতে পারে, এটা সোসাইটির হজম করা কঠিন। আর যে ছেলেরা ছোটবেলায় অ্যাবিউজড হয়, তাদের অনেকেরই বড় হয়ে ভায়োলেন্স আর সেক্সুয়াল ক্রাইমের দিকে চলে যায়।”
     
    এসব জানতাম না, ভাবিও নি কখনও। জিজ্ঞেস করলাম, “এখানকার সবাই এমন?”
    “না, দুই ভাই আছে। ওদের মা-বাবাকে ডাইনি সন্দেহে পিটিয়ে মেরেছিল গ্রামের লোকেরা। আর এক জন আছে। তার বাবা বাইরে কোথাও কাজ করত, ফিরে আসেনি। কী হয়েছে কেউ জানে না। ওকে ফেলে মা অন্য একটা লোকের সাথে চলে যায়। ঠাকুমার কাছে থাকত, এক দিন ঠাকুমা মারা গেলেন। তারপর ও একা।”
    এবার আমি কথা খুঁজে পাচ্ছিলাম না। মাই ওয়ার্ল্ড ইজ ফার অ্যাপার্ট ফ্রম দেয়ারস। ঐ যে ছেলেটা আমাদের জল দিল, যে মেয়েটা সফট ড্রিঙ্কস দিল, ওদের ব্যাকগ্রাউন্ড এই রকম!
    “আর একটি মেয়ে আছে। ওর সাথে দেখা হলে বুঝবি। তখন বললি না দেয়ার ফল্ট…”
    “হোম ডেলিভারি থেকে যা ইনকাম হয়, তা দিয়ে তোমরা কী কর?” 
    “আপাতত তার পুরোটাই সমান ভাগে ভাগ হয় ওদের মধ্যে। খরচ খরচা পুরোটাই অশোকজী দেন। মেয়েদের কয়েকজন রান্নার ট্রেনিং নিয়েছে, এখনও কয়েক জন নিচ্ছে। সে ব্যাবস্থাও উনি করেছেন। ওরা এখান থেকেই খাওয়া পায়, কয়েক জন থাকেও। ছেলেদের কয়েকজনকে আলাদা ট্রেনিং দেবেন বলে ভেবে রেখেছেন। পরে এদের দিয়ে একটা রেস্টুরেন্ট খোলার ইচ্ছে আছে ওনার। তবে এই হোম ডেলিভারি বন্ধ না করে।
     
    “এসব কথা আমায় বলতেই পারতে। তুমি তো কিছুই বলতে না আমায়।”
    মা কিছুক্ষণ চুপ করে থাকল। "আমি একটু ভয় পেয়েছিলাম।"
    "মানে! কিসের ভয়?”
    "তুই হয়তো ভাববি আমি খুব স্বার্থপর।"
    "হোয়াট ইজ ইট?"
    "তোর খরচের একটা মেজর পোরশন তোর বাবা দেয়। আমি ওদিক থেকে অনেকটা নিশ্চিন্ত থাকি। ভবিষ্যতের কথা ভাবতে সুবিধে হয়। ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্টে আমি খুব কাঁচা। আমার চাকরি চলে গেল। আবার এখানকার কাজটাও আমি করতে চাইছিলাম। নট ফর মানি, এই ছেলেমেয়েদের জন্য কিছু করতে চাইছিলাম। এক্সপেরিয়েন্স খারাপ তো, ভয় পাচ্ছিলাম তোর বাবা জানতে পারলে যদি তোর খরচ বন্ধ করে দেয়, বা কমিয়ে দেয়। তাতে আমার অসুবিধে নেই। তবে তোর আছে। তাই…"
     
    আমি ভাবছিলাম। মা যা বলল বাবা যদি সত্যিই আগে তেমন করে থাকে তবে এখনও কি করতে পারে? অফিসিয়ালি দে ডোন্ট হ্যাভ এনি রিলেশন নাও। বাবা তো আমার জন্য সবই করে। উড হি রিয়্যালি টেক সাচ আ স্টেপ? আমার লাইফস্টাইল উড হ্যাভ বিন ডিফারেন্ট ইফ বাবা ওয়াজ নট দেয়ার ফর মি।
    "আমি খুব কনফিউজড ছিলাম। কোনও অন্যায় তো করছি না, তবে তোর থেকে লুকোচ্ছি কেন? তাই কোথাও যে যাচ্ছি সেটা তোকে বুঝিয়ে দিতাম। খাবার নেবে এমন লোকের ফোন এলে আবার ফিসফিস করে কথা বলতাম। তৃষাদের থেকে সেদিন সব শুনে ভাবলাম তোর জন্মদিন না হয় এখানেই সেলিব্রেট করা হোক। তুইও সব জানতে পারবি। তারপর যা হয় দেখা যাবে। অশোকজীও রাজী হলেন। তৃষাদের ওপর রাগ করিস না। ওদের দোষ নেই। ওদের যেরম বলেছিলাম ওরা তাই করেছে।"
     
    আমি কী বলব বুঝতে পারছিলাম না। মা যে কনফিউশনে ভোগে সেটা জানি, বাবাও বলেছে। মা আবার উঠল কেন? দরজা খুলে কাকে ডাকছে?... হু ইজ দিস গার্ল? মুখ, মাথা সব ওড়না দিয়ে ঢেকে রেখেছে? রোদ থেকে বাঁচতে অনেকেই এমন করে। বাট দিস ইজ ইভনিং অ্যান্ড ইনসাইড আ রুম।
     "সোনা, এ হল ময়না। বলছিলি না - দেয়ার ফল্ট? তাই ওকে ডাকলাম। ময়না, তোকে একটু কষ্ট দেব। একটু ওড়নাটা খোল।"
     মেয়েটা মাথা নাড়ছে। খুলতে চাইছে না, মা-ই বা এমন ফোর্স করছে কেন?... মেয়েটা রিলাকটান্টলি খুলল ওড়নাটা। আ নরম্যাল ফেস। আমারই বয়সী হবে।  হোয়াট ডাজ মা ওয়ান্ট টু প্রুভ? কী করছে মা, মেয়েটার মুখটা স্লোলি আমার দিকে ঘোরাচ্ছে….
     "ঈঈঈঈঈঈঈঈক……," আমি চেঁচাতে চাইনি, আই সোয়্যার আমি চাইনি। বাট আই কুডন্ট প্রিভেন্ট ইট। মেয়েটা তাড়াতাড়ি করে ওড়নাটা আবার মুখে জড়িয়ে নিয়ে চলে গেল। আই রিয়ালাইজড মেয়েটা যতক্ষণ ঘরে ছিল একবারও আমার দিকে তাকায়নি।  
     "ময়নার বাড়ি জয়নগরের কাছে। টুয়েলভে পড়ার সময়ে একটা অচেনা একটা ছেলে ওকে প্রোপোজ করেছিল। ও রাজী হয়নি। অ্যান্ড দিস ইজ ইজ হোয়াট শি গট ইন রিটার্ন… অ্যাসিড।"
     মা-র কথা আমি পুরো শুনতে পাচ্ছিলাম না। মাই হেড ওয়াজ রিলিং। মেয়েটার মুখের এক পাশ নরম্যাল। আর অন্য দিকটা পুরো বার্ন্ট… চোখটা নেই বললেই হয়, সেখানে জাস্ট একটা গ্রে কালারের বল পার্টলি দেখা যাচ্ছে… ঠোঁটের পাশটা ফুল অফ লাম্পস অ্যান্ড রিংকলস… ইন ফ্যাক্ট রিংকলসগুলো কপাল থেকে শুরু হয়ে কান গলা বেয়ে কামিজের ভেতরে চলে গেছে। সামবডি প্রোপোজড টু হার অ্যান্ড…… জয়দীপ হ্যাড প্রোপোজড টু মি টু অ্যান্ড আই রিফিউজড… ক্যান হি….
     
    "আজ ময়নারও জন্মদিন।"
    আমি মা-র দিকে ফিরলাম অ্যান্ড স্টেয়ারড ব্ল্যাংকলি। আমি নিউজপেপারে শুধু ফিল্মের পেজ পড়ি, টিভিতে নিউজ দেখি না। বাবা ওয়াজ প্রোব্যাবলি ওভার-প্রোটেকটিভ আর মা-র সাথে তো আমার তেমন কোনও রিলেশনই নেই। আই ওয়াজ ডিটাচড্ ফ্রম দ্য রিয়েলিটি… আই ডিড নট নো এনিথিং। মা অ্যান্ড মিস্টার অরোরা আর ট্রাইং টু ডু সামথিং ফর দেম। আর আমি সাসপেক্ট করছিলাম…
    আমি আস্তে আস্তে এগিয়ে গেলাম মায়ের দিকে, গায়ে হাত রাখলাম। "মা, আই অ্যাম সরি… ফর এভরিথিং।"
    মা আমায় জড়িয়ে ধরল, গড নোজ আফটার হাও মেনি ইয়ারস। আমি কেঁদে ফেললাম, মা-ও। 
     
      ।। সাত ।।
     
    দরজা খোলার শব্দ পেয়ে আমরা ফিরে তাকালাম। একটু আগেই মুখ ঢাকা মেয়েটা হুড়মুড়িয়ে বেরিয়ে এসেছিল ঘর থেকে। এবার আন্টি আর স্বর্ণালী এল। মনে হল দুজনেরই চোখে জল, তবে মুখে হাসি।
    অরোরা আংকল চেয়ার থেকে উঠলেন। কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলেন ওদের দিকে, তারপর ওনার মুখেও হাসি ফুটল। বললেন, "হ্যাপি বার্থডে স্বর্ণালী।"
    "থ্যাংক ইউ আংকল," হাসি মুখে বলল স্বর্ণালী। মনে হচ্ছে রিকনসাইল হয়ে গেছে, আন্টির গা ঘেঁষে আছে সোনা।
    তৃষা বলল, “তাহলে কেকটা…?”
    “সিওর সিওর। সমীর, এক লার্জ প্লেট লা না,” আংকল বললেন ।
    রান্নাঘর থেকে একটা বড় প্লেট নিয়ে এল ওই ছেলেটা। তৃষা আর খোঁচা মিলে স্ট্রবেরি ফ্লেভারের কেকটা প্যাকেট থেকে বার করে প্লেটের ওপর রাখল। শাড়ি পরা মেয়েটা দিল একটা ছুরি। এর মধ্যে অরোরা আন্টিকে ডেকে এনেছেন আংকল। অভিষেক মোমবাতি জ্বালল, তারপরই মোবাইলে ভিডিও রেকর্ডিং শুরু করল। ফুঁ দিয়ে মোমবাতিটা নেভালো স্বর্ণালী। টেবিলের এক দিকে আমরা, অন্য দিকে সোনা, আংকল আর দুই আন্টি, রান্নাঘরের দরজায় ওই ছেলেমেয়েগুলো দাঁড়িয়ে। আংকল একটু আগে বলছিলেন আজকের জন্য ওরা ওদের স্পেশাল ড্রেসে এসেছে। কেক কাটার মুহূর্তে থেমে গেল স্বর্ণালী, আন্টিকে কী একটা বলল।
    আন্টি ওদের দিকে তাকালেন, বললেন, “ময়না, সোনা চাইছে তুইও আয়।  তোরও তো আজ জন্মদিন।”
    ওড়না ঢাকা মেয়েটা প্রবল বেগে মাথা নাড়ছে, বাকি মেয়েরা ওকে ঠেলতে শুরু করল। ময়না উলটে তাদের ঠেলেঠুলে রান্নাঘরের ভেতর চলে গেল।
    “হামি দেখছি,” ভাঙা বাংলায় বললেন আংকল। রান্নাঘরের দিকে গিয়ে ওদের বললেন ময়নাকে ডেকে আনতে। শাড়ি পরা মেয়েটি গিয়ে ময়নাকে নিয়ে এল।
    “কেক কাটনা নেহি হ্যায়, ময়না?” আংকলের উত্তরে মুখ নিচু করে মাথা নাড়লো ময়না। “খানা তো হ্যায়?” সবার হাসির মধ্যে এবার মাথা ঝাঁকালো মেয়েটি।
    আংকল ঘুরলেন স্বর্ণালীর দিকে, “কেক তুম কাটো স্বর্ণালী, লেকিন ফার্স্ট পিস খায়গি ময়না। ঠিক হ্যায়?” সবার উল্লসিত “হ্যাঁ হ্যাঁ” থামলে আংকল আমাদের দিকে তাকালেন। বললেন, “ইউ শুড নো দ্যাট ময়না ইজ আ ট্রেনড শেফ ইন চাইনিজ কুইজিন। আজ কা বার্থডে স্পেশাল খানা উসনে হি বানায়া।” ময়নার পিঠ চাপড়ে দিলেন আংকল।
     
    কেক কাটা শুরু করল স্বর্ণালী, ওর এক পাশে দাঁড়িয়ে ময়না, অন্য পাশে আন্টি।
    বাইরে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি পড়ছে। (শেষ)
     
    (সানন্দা, ২ আগস্ট ২০১৯ সংখ্যায় প্রকাশিত)
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ৮২৪ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    অশ্রু - Sarthak Das
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kk | 2607:fb91:140e:8383:b092:708f:e195:564b | ০১ অক্টোবর ২০২৩ ২০:৫০524138
  • শেষটা খুব সুন্দর হলো।
  • Joydeep Roy Chowdhury | 2402:3a80:198b:325e:678:5634:1232:5476 | ০১ অক্টোবর ২০২৩ ২২:১৮524148
  • অসাধারণ লেখা, প্রত্যেকটি চরিত্র ভীষণ জিবন্ত, যেন সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছে। 
    নির্মাল্যর কাছ থেকে আরো এইরকম অনন্যসাধারণ কাহিনীর  অপেখ্যায় রইলাম। 
  • Nirmalya Nag | ০২ অক্টোবর ২০২৩ ১১:০৬524169
  • @  kk - অনেক ধন্যবাদ 
     
    @ Joydeep Roy Chowdhury - অনেক ধন্যবাদ 
  • রঞ্জন রায় | 85.76.164.118 | ০৩ অক্টোবর ২০২৩ ১৯:২১524210
  • লেখকের  অসাধারণ পরিমিতি বোধে লেখাটা আরও সুন্দর লাগছে। 
  • Nirmalya Nag | ০৮ অক্টোবর ২০২৩ ০০:১০524401
  • @ রঞ্জন রায় - ধন্যবাদ রঞ্জনদা 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন