এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  গপ্পো

  • আগস্টের সন্ধ্যা - ১

    Nirmalya Nag লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | গপ্পো | ২৭ আগস্ট ২০২৩ | ৯৬৪ বার পঠিত
  •  
     
           
       মূল ছবিঃ ডেভিড ম্যাকেচান, পেক্সেল
     
     [ এক ]
     
    কিছুক্ষণ এলোমেলো হ্যাজানোর পর স্বর্ণালী শেষ পর্যন্ত কথাটা বলল। "আই সাসপেক্ট মাই মাদার ইজ আপ টু সামথিং," বলেই মুখটা জানলার দিকে ঘুরিয়ে নিল।
    "মানে? আন্টি কি তোর বিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন?" আমি জিজ্ঞেস করলাম। স্বর্ণালী মুখ ফেরালো। আমার দিকে সাংঘাতিক রাগ রাগ মুখ করে তাকিয়ে থাকল। আমি ঘাবড়ে গিয়ে বললাম, "আমি বুঝলাম না।"
    স্বর্ণালী চেঁচিয়ে উঠল, "আমার বিয়ে নয় রে ছাগল। মে বি অফ হার ওন...." ফের ওর মুখ জানলার দিকে ঘুরলো।
    আমি হাঁ। অভিষেক ফোন থেকে চোখ সরিয়ে তাকাল স্বর্ণালীর দিকে। তৃষার চোখ দুটো এমনিতেই বড়, সেগুলো বিস্ফারিত হল। আর খোঁচা খুব স্বাভাবিকভাবে বলল, "কাকিমা কি প্রেমট্রেম করছেন?"
    শালা খোঁচার কথাবার্তাই এই রকম। ভাল মানুষের মত মুখ করে থাকবে আর এমন এমন কথা বলবে যে মনে হবে ধরে ক্যালাই। সাধে কী আর ওকে খোঁচা বলে ডাকা হয়! তৃষা বলল, "খোঁচা, তুই থাম।" স্বর্ণালীকে জিজ্ঞেস করল, "কী  হয়েছে ঠিক করে বল।"
    "মা অলমোস্ট রোজ একটা পার্টিকুলার টাইমে কোথাও যাচ্ছে। ফিরছে তিন চার ঘন্টা পরে। কোথায় যাচ্ছে কিছু বলছে না," স্বর্ণালী বলল।
    অভিষেক বলল, "তাতে কি হল? উনি তো কোনও আশ্রম টাশ্রমে ধ্যান করতেও যেতে পারেন।"
    "মা অ্যান্ড ধ্যান! ধুসসস।"
    "সেটা হলে তো উনি নিশ্চয় বলতেন," আমি বললাম।
    "এক্স্যাক্টলি," বলল স্বর্ণালী।
    “কাকিমা কখন বেরোচ্ছেন?" খোঁচার প্রশ্ন।
    “মোস্টলি অফিস থেকেই চলে যায়। বাই চান্স আগে ফিরলে সাড়ে ছটায়। ফিরছে নটা-সাড়ে নটা। অফিস যাওয়ার আগেও শি কিপস হারসেলফ বিজি উইথ দ্য ফোন। সামটাইমস শি জাস্ট হুইসপারস। আমি পাশের ঘর থেকেও কিছু শুনতে পাই না।"
    আন্টি ডিভোর্সি, একটা পিএসইউ-তে চাকরি করেন। এক এক্সিকিউটিভের পিএ।
    "কতদিন ধরে এমন চলছে?" আমার প্রশ্ন।
    "ছ-মাস হবে।... মা নির্ঘাত কারো সঙ্গে লটকে পড়েছে।" স্বর্ণালী "চা নিয়ে আসি" বলে উঠে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল।
     
    আগস্ট মাসের বিকেল। এখনও মাঝে মাঝেই বৃষ্টি পড়ছে। ক্লাস বাংক করে আমরা বসে আছি স্বর্ণালীদের তেঘরিয়ার বাড়িতে। আমরা পাঁচ জন পড়ি তিনটে কলেজে, সেকেন্ড ইয়ার। এক সময়ে একই স্কুলে পড়তাম। সেই সময় থেকেই আমাদের ঘনিষ্ঠতা। স্বর্ণালী আমাদের আসতে বলেছিল খুব দরকার আছে বলে। এখন বুঝছি এই নিয়ে ডিসকাস করবে বলেই ডেকেছে।
     
    "কী বুঝলি?" বিশেষ কাউকে উদ্দেশ্য না করেই জিজ্ঞেস করল অভিষেক। ফোন থেকে চোখ না তুলে সারাক্ষণ কী করে থাকে ছেলেটা!
    "বোঝাবুঝির ব্যাপার নেই," বলল তৃষা, "দেখতে হবে সোনা নিজে কী চাইছে।”
    "কী চাইছে মানে?" আমি বুঝলাম না।
    খোঁচা বলল, "ও চাইছে কাকিমা প্রেম করছেন কি না সেটা যেন আমরা জানার চেষ্টা করি।"
    "আমরা কী করে জানব? স্বর্ণালী নিজেই জানে না।" আমি বললাম।
    তৃষা কিছু একটা বলতে যাচ্ছিল, তার আগেই স্বর্ণালীর মোবাইল বেজে উঠল। আন্টি ফোন করছেন।তৃষা ফোনটা নিয়ে রান্নাঘরের দিকে চলে গেল।
    "নির্ঘাত দেরি করে ফিরবেন, ওইখানে যাবেন,” বিরক্তির সঙ্গে বললাম।
    খোঁচা বলল, "তোর তাতে কী প্রবলেম?"
    আমি রেগে গেলাম। "আমার কী প্রবলেম মানে? আমি স্বর্ণালীর প্রবলেমকে আমি নিজের প্রবলেম বলে মনে করছি, তাই আমার গায়ে লাগছে।"
    খোঁচা আর কিছু বলল না। আশা করেছিলাম অভিষেক আমার সাপোর্টে কিছু বলবে। কিন্তু সে ব্যাটা এক মনে মোবাইলে কিছু পড়ছে।
     
    কেক আর চা নিয়ে ঘরে এল স্বর্ণালী আর তৃষা। "মা আজও দেরি করে ফিরবে," চায়ের ট্রে বিছানার ওপর রাখতে রাখতে বলল স্বর্ণালী।
    কেউ কিছু বলল না। সবাই চুপ। ফ্যানের হাওয়ায় একটা ক্যালেন্ডার দুলছে আর দেওয়ালের সাথে ঘষা খেয়ে খস খস শব্দ হচ্ছে। অভিষেক চায়ের কাপ তুলে নিল। খোঁচা ওর খোঁচা-খোঁচা দাড়িওয়ালা গাল চুলকাচ্ছে। তৃষা কিছু একটা ভাবছে। আমি একটা কেক তুলে নিলাম। মাছের কেক, আন্টি এই কেকটা হেব্বি বানান। কিন্তু এই প্রেম ব্যাপারটা কী যে করলেন উনি!
    "কেকটা হেব্বি হয়েছে," কিছু একটা বলার জন্যই বললাম।
    "আমি করেছি," বলল স্বর্ণালী।
    "তুই! বাহ, আমি ভাবলাম আণ্টি বানিয়েছেন।"
    "মা তো ভাবে আই কান্ট ডু এনিথিং… তোরা কি কিছু বলবি না?" হঠাৎই ঝাঁঝিয়ে উঠল স্বর্ণালী।
    "তুই নিজে ঠিক কী চাস?" চশমার কাঁচ মুছতে মুছতে জিজ্ঞেস করল তৃষা।
    "আমি চাই তোরা ব্যাপারটা একটু দেখ। মানে মা কোথায় যাচ্ছে... "
    "কী করে দেখব? কিছু ক্লু তো চাই," বললাম আমি।
    "মাঝে মাঝে মা আর আমি একই মেট্রো করে ফিরি। শোভাবাজারে নেমে অটো বা বাস ধরে ফিরি। মা বাঙুরে নেমে যায়। কিছু বললেই বলে পরে বলব।"
    "কদিন ওয়েট করে দেখ না আন্টি কী বলেন," বলল অভিষেক।
    "আই কান্ট ওয়েট এনি লংগার। পরশু এক রাউন্ড হয়ে গেছে।"
    তৃষা বলল, "বাঙুরেই কি তাহলে কিছু ব্যাপার আছে?”
    আমি বললাম, "আন্টির কল লিস্ট, মেসেজ, হোয়াটস্যাপ এগুলো ঘাঁটলে কিছু পাওয়া যেতে পারে।"
    "নো ওয়ে। ইটস প্যাটার্ন লকড। জিজ্ঞেস করলাম তোমার ফোন লক করা কেন? ঘরে আমি ছাড়া তো আর কেউ নেই। অ্যাণ্ড ইমাজিন হোয়াট শি সেড - তোর ফোনও তো লক করা থাকে।”
    খোঁচা খ্যাক খ্যাক করে হেসে উঠল। “অ্যাই চুপ কর।” বিছানার ওপর পড়ে থাকা ক্যাল টাইমসটা খোঁচার দিকে ছুঁড়ে মারল স্বর্ণালী।
    "কিছু মনে করিস না," একটু ইতস্তত করে বলল তৃষা, "তুই কি আঙ্কলকে কিছু বলেছিস এ ব্যাপারে?"
    “নো, নট ইয়েট।"
     
    মায়ের সাথে ডিভোর্স হয়ে গেলেও স্বর্ণালীর বাবা যে ওর সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন সেটা আমরা জানি। উনি ফের বিয়ে করেছেন। স্বর্ণালীর নানা শখ-আহ্লাদও উনি মেটান, ওর আইফোনটাও ওনার দেওয়া। শুনেছি এই জিনিস দেওয়াটা আন্টি পছন্দ করেন না।
    খোঁচা বলল, "ডোন্ট মাইন্ড সোনা, কাকুকে এ ব্যাপারে কিছু বলাটা কি ঠিক হবে? হি হ্যাজ হিজ ওন ফ্যামিলি নাও।"
    স্বর্ণালী উত্তর দিল না, মুখ গোঁজ করে থাকল। কেন ওঁদের ছাড়াছাড়ি হয়েছিল আমরা জানি না।
    কিছুক্ষণ সবাই চুপ। তারপর তৃষা বলল, "ঠিক আছে। আমরা আন্টিকে বাঙুরে ফলো করব। দেখব উনি কোথায় যান। সোনা আমাদের দিনক্ষণ জানিয়ে দেবে। ওকে?"  
    তৃষা দ্রুত সিধান্ত নিতে পারে। আমরাও হাত তুলে জানিয়ে দিলাম ঠিক আছে।
      
    "জায়গাটা আজ একটু রেকি করে এলে হয় না?" স্বর্ণালীদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে বললাম আমি।
    "কী হবে তাতে?" জিজ্ঞেস করল তৃষা।
    "ওনাকে দেখার পর আমরা কী করব তার তো প্ল্যানিং দরকার। জায়গাটা জানা থাকলে সুবিধে হবে। ধর... আমরা চার জন চারটে স্পট থেকে নজর রাখলাম। সে স্পটগুলো সিলেক্ট করে নেওয়া যেতে পারে,” বললাম আমি।
    সবাই রাজী হল। অভিষেক বাইক নিয়ে বেরিয়ে গেল। এক্সট্রা হেলমেট নেই বলে ব্যাটা আমায় নিল না। বাকি তিন জন বাস ধরলাম।
     
    তেঘরিয়া-হাওড়া মিনি প্রায় ফাঁকা, ঢিমে তালে চলেছে। আমার অনেক কিছু মনে হচ্ছিল, স্বর্ণালীর জায়গায় নিজেকে বসিয়ে ভাবছিলাম আমার মা এমন করলে কী করতাম। কী করতাম জানি না, তবে স্বর্ণালীর মত বন্ধুদের ডেকে বলতাম বলে মনে হয় না। অবশ্য আমার মা ডিভোর্সি নন, তবুও... এসব কথা মাথায় ঢুকলে অনেক শাখাপ্রশাখা তৈরি করে নেয়, লাগাম দেওয়া যায় না। পুরো ব্যাপারটাই বিচ্ছিরি।
     
    কন্ডাকটরের "হাওড়া হাওড়া” চিৎকারে আমার ভাবনার সুতোটা ছিঁড়ল। শুনতে পেলাম খোঁচা বলছে, "উনি প্রেম করলেন কি করলেন না, সেটা আমাদের দেখার নয়।"
    "মানে? স্বর্ণালীরও নয়?" আমার রাগ হল।
    "ওর নয়, আমাদের কথা বলছি। কাকিমা ডিভোর্সি। বয়স ৪৫-৫০ হবে। কলেজ পড়ুয়া মেয়ে আছে বলে ওনার কাউকে ভাল লাগতে পারে না তা তো হয় না," খোঁচা বলল।
    কথাটা আমার একেবারেই ভাল লাগল না। একটা কিছু বলতে যাচ্ছি, খোঁচা ফের মুখ খুলল। "সেদিন পেপারে দেখছিলাম ওঁদের কোম্পানি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তার সাথে ওনার এই বিহেভিয়ারের কোনও লিংক আছে কি?"
    “কোম্পানি উঠে যেতে পারে?” আমি এটা জানতাম না।
    “আরও কয়েকটা সিক পিএসইউ-এর সাথে,” তৃষা বলল। “তবে একটা অদ্ভুত ব্যাপার আছে। উনি যে বাঙুরে যাচ্ছেন সেটা কিন্তু লুকোচ্ছেন না।"
    "সেটা বুঝছিস কী করে?" বললাম আমি।
    "সোনা বলল না ও থাকলেও আন্টি বাঙুরে নেমে যান," তৃষা বলল।
    "ও হ্যাঁ। কিন্তু সেটা অ্যালিবাইও হতে পারে।" ডিটেকটিভ গল্প আমি কিছু কম পড়িনি।
    "মানে?" দুজনেই জিজ্ঞেস করল।
    "মানে আর কি..." আমি বললাম, "লুকোচ্ছেন না বলে কেউ সন্দেহই করবে না যে বাঙুরে ওনার কিছু ব্যাপার আছে।"
    কিছুক্ষণ দুজনেই কোনও কথা বলল না, তারপর তৃষা মুখ খুলল, "জন্মদিনের ক'দিন আগে এই সব চলছে।"
    আমি বললাম, "কার জন্মদিন?"
    "সোনার। ২৫শে আগস্ট।"
    জন্মদিন-টিনগুলো আমার একদম মনে থাকে না। মেয়েরা এগুলো দারুণ মনে রাখতে পারে। কী করে পারে কে জানে!
     
    বাগুইআটি ছাড়ার পর থেকে বাসটা বেশ জোরে যাচ্ছে। খোঁচার ফোন বেজে উঠল। "এই তো দমদম পার্ক পেরোচ্ছি।"
    বুঝলাম অভিষেকের ফোন। কথা বলতে বলতে খোঁচার চোখ বড় বড় হয়ে গেল। "তুই নজরে রাখ। নেমে ফোন করছি।"
    "আন্টি?" আমি জিজ্ঞেস করলাম।
    মুন্ডু নেড়ে হ্যাঁ বলল খোঁচা। "আজই এস্পার ওস্পার হয়ে যাবে হয়তো।” (ক্রমশঃ)
     
    (সানন্দা, ২ আগস্ট ২০১৯ সংখ্যায় প্রকাশিত)
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ২৭ আগস্ট ২০২৩ | ৯৬৪ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    অশ্রু - Sarthak Das
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ মতামত দিন