এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • করোনাকালীন

    Anuradha Kunda লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১৫ জুলাই ২০২০ | ২৫২৮ বার পঠিত
  • অনেকদিন বাদে আজ ছাতে উঠেছে ও। ছাতে এত সুন্দর বাগান করেছে মা! দেখে অবাক হয়ে গেছিল। আইআইটি জয়েন করেছে পরের থেকে খুব কম বাড়িতে আসে। এলেও ছাতে ওঠা হয়না। ওর গৃহবন্দিত্ব না। ঘরবন্দিত্ব চলছে। স্বেচ্ছানির্বাসন। সারা পৃথিবী থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে নিতে হয় মাঝে মাঝে। একেবারে একটা দ্বীপের মধ্যে। খুব বেশিই ছুটছিল যেন! একটার পর একটা সেমেস্টার।টপ করে যাওয়া। না করতে পারলেই ফ্রাস্ট্রেশন। বাড়িতে এখন আর কিছু বলে না। কিন্তু ছোটবেলা থেকে ও একটা অদৃশ্য চাপ অনুভব করে। দাদা ফার্স্ট হয়েছে।তোমাকেও হতে হবে। দাদা এটা পারে। তোমাকেও পারতে হবে। দাদা এত অ্যালার্ট। তোমাকেও হতে হবে।অ্যান্ড দেন শী ডিসাইডেড টু বি ডিফারেন্ট।
    খুব লাজুক ছিল।ঘরকুনো। শান্ত। সবাই খোঁচাতো।ইনক্লুডিং মা। দ্যাট লেডি ডিড এভরিথিং টু গ্রুম হার কিডস। কী কষ্ট হত। কেন পারবে না তুমি দাদার মত? ক্যাবলা হয়ে থাকবে? লোকে কিন্তু বলবে, দাদা পারে, তুমি পারো না।
    ভাইরাস।সব ভাইরাস মস্তিষ্কের অলিতে গলিতে ঘুরে বেড়ায় । ছড়িয়ে দিতে চায় অন্যদের মধ্যে।জ্যেঠু বললো, ওকে ওরকম করে বলছো কেন মালবিকা? ও মেয়ে। ও কী করে রূপের মত পারবে?মাথার মধ্যে আগুন। ক্লাস সেভেন পর্যন্ত অঙ্কে ভীষণ কাঁচা। দাদা এইচ এসে র্যাঙ্ক করে সিমবায়োসিস চলে যাচ্ছে। গোটা পরিবারে কী আনন্দ । দাদা চলে যাবার কষ্টটা কেউ পেলোই না।এই যে বাড়িতে ও একা হয়ে গেলো।দাদার ঘর বন্ধ শুধু খুলে ঝাড়ু পোছা ।মা মাঝেমাঝে ঢুকে বালিশের ওয়াড় বিছানার চাদর পাল্টে দিতে দিতে কেঁদে ফেলত অবশ্য।কিন্তু তাতে গ্যাসলাইটিং কম পড়ে না। টুপুর কী করবে? ও অংকে কাঁচা।আর্টস পড়বে। চুলটা কী সুন্দর তোমার মেয়ের মালবিকা ।এই চুল দেখেই ছেলের বাড়ি ফিদা হয়ে যাবে। ভাইরাসের প্রোটিন স্পাইক্স কী তীক্ষ্ম! চুল কেটে ফেলল একদিন নিজেই।এবড়োখেবড়ো করে।প্রায় কোমর ছাপানো চুল কেটে কানের কাছে। মা মেরেছিল সেদিন।সেই প্রথম সেই শেষ মায়ের হাতের মার। স্রোতের অভিমুখ ঘুরে গেল।নিজে খোঁজ করে অংকের টিউশনে ভর্তি হল। মিসেস গোম্স। কাজের বাইরে একটি কথাও বলতেন না। অংকটা গুলে খাইয়ে দিলেন। আর তাকাতে হয়নি কোনোদিকে। এইচ এসে নাইন্টি ফোর পার্সেন্ট। আইআইটি। চুলে মরিচ রঙ ধরিয়ে নিল। সেকেন্ড সেমেস্টারে চলে গেল ট্যাটু পার্লার। গেট মি ঘোস্টলি অ্যান্ড ঘ্যাস্টলি ট্যাটুজ। যত রক্তক্ষরণ ভেতরে তত রক্তখেকো প্রাণী।ট্যাটু করো ।ট্যাটু।হোক যন্ত্রণা ।জ্বর আসুক।এর চেয়ে ঢের বেশি যন্ত্রণা ছিল যখন শুনতে হত, টুপুর রূপের মত পারে না।রূপ অনেক বেশি ট্যালেন্টেড। মায়ের মুখে পুত্রগর্বে কী হাসি।টুপুর তো আদরের মেয়ে । ইংলিশ অনার্স।লোরেটো।বা ব্রেবোর্ণ। পোস্ট গ্রাজুয়েট।তারপর বিয়ে ।শখ করে চাকরি করলে করবে ।মালবিকার মত। রেণু মাসির কী খিলখিল হাসি।তোর মেয়েকে আমার ছেলের জন্য,ঠিক করে রাখলাম মালবিকা! দেখে শুনে রাখিস।

    গা গুলিয়ে যেত।সারা হাতে , পিঠে ট্যাটু নিয়ে ফিরল।মায়ের থমথমে মুখ।এই ফেটে পড়বে। বাবা হতভম্ব । বিদ্রোহের শুরু। প্রথমে বাথরুমে।তারপর সামনে। সুখটান সিগারেটে।যত না পরিতৃপ্তির জন্য তারচেয়ে বেশি আঘাত করার জন্য।একটা ভাইরাস অধ্যুষিত সিস্টেম।প্রকান্ড রিপ্রোডাকটিভ ক্ষমতা । ফসফস করে ছড়িয়ে যায় ।মা নিজের বন্ধুর ছেলেকে বাড়িতে ডাকে। রক্তিম। ভালো না ।প্রচন্ড ভালো প্রসপেক্ট। এন আর আই হয়ে মেয়ে ইউ এস এ তে থাকবে।শীতকালে হোমে আসবে।নাক শিঁটকে বাচ্চাদের মিনারেল ওয়াটার খাওয়াবে আর বলবে, এখনো ট্র্যাফিক জ্যাম কমল না? সটান একটা চড় সিস্টেমের গালে। রক্তিমকে সিগারেট অফার।সে হল ওভারস্মার্ট! কিছুই রিঅ্যাক্ট করে নি।পরে বুঝেছে। লিবারেল নয়।শেয়ানা। তারপর শুধু ক্যালকুলেশন।ডালে ডালে পাতায় পাতায় কোর্টশিপ। জঘন্য।
    ছাত থেকে দেখল পাশের রাস্তায় একটা লোক ড্রেনে হিসি করছে। সিটি দিল।বেশ জোরে।লোকটা চমকে ওপরে তাকাতেই দাঁত বার করে হাসল। পালালো লোকটা।পোশাক ভদ্রলোকের মত। দুতিনজন পাড়ার লোক ঘোরাফেরা করছে। অকারণে।দেখেই বোঝা যায় । মাস্ক থুৎনিতে ঝুলছে। ছড়াক।তারপর আরো ছড়াবে। ডক্টরস সে ইন জুন জুলাই ইনফেকশন উইল রিচ অ্যান অ্যাবনরম্যাল হাইট। হোক।তাই হোক। এদের মরা দরকার। মাঝেমাঝেই বীভৎস নিষ্ঠুর হয়ে ওঠে ও। নিজের এবং অন্যের প্রতি। দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে। জোরে সিটি দিল ও।লোকগুলো অবাক হয়ে ছাতের দিকে তাকাল । দাদা। মাস্কগুলো গলাতে টাই করে পরেছেন? হাসতে হাসতে বলল।
    এরা মোটামুটি নির্লজ্জ ।ফ্যাঁচফ্যাঁচ করে হাসল।একজন টেনেটুনে মাস্ক পরে নিল মুখে। নিচে বারান্দায় জননী।মুখ তুলে বলল- ওপরে কি অসভ্যতা করতে উঠেছো?
    - অসভ্যতা ওপরে হচ্ছে না।নিচে।দেখো। মাস্ক কোথায় থাকার কথা আর কোথায় আছে।
    - আমি কিচ্ছু দেখতে চাই না।বেয়াদব মেয়ে ।নিচে নামো।
    মাথা ঝাঁকিয়ে চলে গেল ছাতের ওধারে।এখন মোটেই নিচে নামবে না। মহিলাকে অত পাত্তা দেবার কিছু নেই।চোখের সামনে যে বেয়াদবি হচ্ছে সেগুলো দেখতে পায় না।শুধু মেয়ের পেছনে টিকটিক।ছোটবেলা থেকে।অলওয়েজ ন্যাগিং।

    টুপুর , পা ছড়িয়ে বসবে না। টুপুর , চেঁচিয়ে কথা বলবে না। টুপুর, মাসিরা আসবে, বিকেলে কোথাও যাবে না। টুপুর , দাদা দ্যাখো ম্যাথসে নাইন্টি এইট পার্সেন্ট ।আর তুমি? আরন্ট ইউ অ্যাশেমেড?টুপুর, বীথিরা এলে ভদ্রভাবে কথা বলবে। চা দিতে শেখো।
    গা চিড়বিড় করে। ভেঙেছে। মায়ের ঐ ডেইন্টি ডেলিকেসি অনেকটা ভেঙেছে। এখন আর বেশি কিছু বলার সাহস পায় না। কেমন একটা মুখ ফুলিয়ে থাকে।খুব সেন্টি। থাক। রান্নাটান্না নিয়ে ভালোই থাকে। শী ইজ লিস্ট বদার্ড অ্যাবাউট হোয়াট ইজ গোইং অ্যারাউন্ড। কয়েকটা জায়গাতে ডোনেশন দিয়ে নিজের পিঠ নিজে চাপড়াচ্ছে। মায়ের বন্ধু সার্কেলটাও একইরকম। মিউমিউ টাইপ। এক্সেপ্ট নীলম। হ্যাঁ ।শুধু নীলম। মাসি না। বরাবর নীলম বলে। মা অনেক বকেছে।কিছু হয়নি।নীলম ইজ আ ডক্টর। নাউ ওয়র্কিং ইন হসপিটাল। তাছাড়া অনেক সোশ্যাল অ্যাক্টিভিটি আছে ওর।শী স্পিকস সেন্স অ্যাটলিস্ট।
    মাধবীলতার ঝাড়টা অসম্ভব সুন্দর ।টিকটিক করে কে ডেকে উঠল।
    - তুমি এখানেও?
    - রোজ আসি। গাছে পোকামাকড় থাকে।
    - আছো বেশ।
    - সিটি মারতে তো ভালোই পারো।
    - শিখতে হয়। এইসব লোকজন গিজগিজ করছে।লকডাউন কে বলবে! সকালে দেখেছো , থলি হাতে বাজারে ছুটছে যেন গান্ডেপিন্ডে না খেলে চলছে না। মাস্কটা নামিয়ে কথা বলছে।দ্যাখো।ঐ যে।
    - ওদের হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হয়ে গেছে।
    - ছাই হয়েছে। রাস্তায় থুতু ফেলছে। লটস অব পিপল।
    - কত কাজ থাকে লোকের । কাজ থাকলে না বেরিয়ে কী করবে? কেরলের মতো ঘরে ঘরে রেশন পৌঁছে দিলে নাহয় কথা ছিল!
    - বাপরে।তুমি তো অনেক খবর রাখো ! কেরলে ডোর টু ডোর কি হচ্ছে তাও জানো!
    - ইতালিতেও দিচ্ছে।কাউকে বেরোতে হচ্ছে না। তেল সাবান, খাবার, ওষুধ সব বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছে।
    - কে বলল?
    - তোমাদের টিভির পেছনে থাকি অনেকটা সময় ।সবই কানে আসে। টিকটিকি উদাস হয়ে গেল।
    ও হাসল।
    - এখানে ঘরে ঘরে রেশন পৌঁছালেও হবে না।লোকে মাছের মাথা দিয়ে কচুশাক খাবার জন্য বাজারে যাবে। অতিমারী অর নো অতিমারী।বুঝলে?

    -
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১৫ জুলাই ২০২০ | ২৫২৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন