এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • অরিনের করোনা সম্পর্কিত ভাটসমূহ

    অরিন লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২৪ মার্চ ২০২০ | ২১৯৪ বার পঠিত
  • আপাতত দুটি টপিক দিয়ে শুরু করছি:
    ১) ওরা জানছে কি করে যে আমার করোনা হয়েছে, এ পরীক্ষা কতটা কাজের?
    ২) নিজের করোনার মডেল নিজে করুন (মডেলিং এর সহজপাঠ)

    ====================================

    ১) ওরা জানছে কি করে যে আমার করোনা হয়েছে, এ পরীক্ষা কতটা কাজের?

    রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা কতটা কাজের ? এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা ।

    যে পরীক্ষা কে কেন্দ্র করে আলোচনা তার নাম RT PCR , এক্ষেত্রে পরীক্ষাটি কোরোনাভাইরাস জনিত covid19 অসুখ হয়েছে কিনা জানার জন্য সাধারণত করা হয় ।

    RT PCR নিয়ে এই পাতাটিতে নবনীতা নাগ বিশদে লিখেছেন, বাকি লেখাটা পড়ার আগে একটু দেখে নিতে পারেন :

    https://www.guruchandali.com/comment.php?topic=17231

    আমার এই লেখাটির উদ্দেশ্য এই পরীক্ষার ফলাফল কিভাবে বিচার করবো?

    প্রথমে দেখা যাক পরীক্ষাটিতে কি করা হচ্ছে:

    - এই টেস্ট কিন্তু রক্ত পরীক্ষা করে কোনো কেমিক্যাল মাপা হচ্ছে, বা ইলেক্ট্রন বা অন্য কোনো মাইক্রোস্কোপের তলায় ফেলে শরীর থেকে নির্গত কোন ভাইরাস সরাসরি দেখা নয়, এটি ডিএনএ-র পরীক্ষা । ভাইরাস এর কিছু জিনের মাপজোক হয় এতে ।

    -- যে সমস্ত লক্ষণ দেখা দিলে আপনার পরীক্ষা হবে, সেই লক্ষণ দেখা গেলে বা সন্দেহ হলে, আপনি পরীক্ষা কেন্দ্রে গেলেন, পরীক্ষক আপনার গলা/নাক থেকে স্যাম্পল নিলেন (শ্লেষ্মার স্যাম্পল) । এখানে ধরে নেয়া হচ্ছে যে আপনি ইনফেক্টেড হলে আপনার শ্লেষ্মাতে প্রচুর ভাইরাস থাকবে, অন্তত যেখান থেকে স্যাম্পল করলে ভাইরাস এর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে । অতএব,

    -- করোনা ভাইরাসএর গোত্র RNA ভাইরাস, মানে তার শরীরে RNA থাকে । খেয়াল করুন । কোরোনাভাইরাস nCov19 যাকে নিয়ে আলোচনা, সে আরো নানা কোরোনাভাইরাস এর মধ্যে একজন ।এই গোষ্ঠীর সকলেই rna ভাইরাস, এরকম আরো আছে ।

    -- এখন nCov19 এর মতো অনেক কোরোনাভাইরাস, বা অন্য ভাইরাস আপনার শরীরেও বাসা বেঁধে থাকতে পারে, কাজেই আপনার ইনফেকশন covid19 থেকেই হয়েছে কিনা, তা জানতে এই বিশেষ ভাইরাস টি (ncov19 ) কে অন্যদের থেকে আলাদা করে চিহ্নিত করতে হবে, তাছাড়া RNA ক্ষণস্থায়ী, তাই তাকে ঠিকমতো চিহ্নিত করতে হলে অন্তত দুটি কাজ করতে হবে:

    -- (১) RNA কে ভিত্তি করে হুবহু DNA তৈরী করতে হবে, ও
    -- (২) সেই DNA তে দুটি কি তিনটি জিন চিহ্নিত করতে হবে যেগুলো কেবলমাত্র covid19 এই থাকে ।

    -- RT PCR পরীক্ষার RT অংশটিতে বোঝাচ্ছে RNA থেকে ডিএনএ তৈরী (RT = `রিভার্স ট্রান্সক্রিপটেস`) উল্টো করে ডিএনএ তৈরী, আর পিসির কথার অর্থ পলিমারেস চেন রিএকশন, যাতে করে ওই ডিএনএ'র বহু হুবহু প্রতিলিপি তৈরী করে পরীক্ষা করা যায় ।

    এত সব করার পর,
    - আরেকটি ডিএনএ মলিকিউল এর সঙ্গে মিলিয়ে জেনোমিক এনালিসিস করে দেখা হবে যে ওই দুটি কি তিনটি জিন পাওয়া গেলো কিনা ।

    -- পাওয়া গেলে আপনি টেস্ট পজিটিভ, কেস হয়ে গেলেন, না থাকলে আপনি নেগেটিভ । কেস হলেন না।

    টেস্ট পজিটিভ হলে আপনার একরকমের চিকিৎসা, নেগেটিভ হলে আরেকরকম । অতএব চিকিৎসা বা নিদান নির্ণয় করতে পরীক্ষা করা হচ্ছে । পরীক্ষা অকারণে করা হচ্ছে না ।

    কিন্তু যেহেতু প্রক্রিয়াটি বেশ জটিল, কয়েকটি ব্যাপার অনস্বীকার্য:

    - কোন ল্যাবরেটরি তে করা হচ্ছে, কি উপায়ে করা হচ্ছে, এরকম অনেক ব্যাপারের ওপর আপনার রেজাল্ট নির্ভর করবে ।
    - ডিএনএ, আর এন এ ইত্যাদি নির্ণয় করতে কি কি প্রোটোকল অনুসরণ করা হচ্ছে, ফলাফল এর ওপর তার ও একটি প্রভাব পড়বে ।
    - তার ওপরে এই assay কিন্ত স্থির নিশ্চিত কিছু নয়, সময়ে সময়ে এর পরিবর্তন হওয়া আশ্চর্যের নয় ।
    - শরীরের রোগ নির্ণয়ের কোনো পরীক্ষা ই কিন্তু নৈর্ব্যক্তিক একটা কালো বাক্স নয়, যে শরীর থেকে কিছু দিলেন, অমনি ম্যাজিক এর মতন সে আপনাকে নিশ্চিত করে বাতলে দিলো যে আপনার অসুখ আছে না নেই ।

    সাধারণ মানুষের কাছে আরো কয়েকটা প্রশ্নের উত্তর প্রাসঙ্গিক :

    (1) "আমার বা রোগীর যদি সত্যিকারের কবিডি১৯ সংক্রমণ হয় তাহলে পরীক্ষার রেজাল্ট পজিটিভ হবার সম্ভাবনা কত ?"
    (2) "আমার বা রোগীর যদি সত্যি সত্যি covid19 সংক্রমণ না হয়ে থাকে, তাহলে পরীক্ষার রেজাল্ট নেগেটিভ হবার সম্ভাবনাই বা কতটা?"

    (3) "পরীক্ষা করে পজিটিভ হয়েছে মানেই কি আমার covid19 হয়েছে? টেস্ট পজিটিভ হলে covid19 অসুখের সম্ভাবনা কতটা ?"
    (4) "পরীক্ষা করে নেগেটিভ বেরিয়েছে মানেই কি আমার covid19 হয়নি? টেস্ট নেগেটিভ হলে covid19 না হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু?"

    এই ব্যাপারটি নিয়ে আলোচনা করতে গেলে একটি অংকের সাহায্য নেয়া যাক ।

    মনে করুন একটি শহরে ১০,০০০ মানুষ থাকেন, একটি অজানা অসুখে অনেকে আক্রান্ত, একটি পরীক্ষাও আবিষ্কৃত হয়েছে কিছু মানুষের জন্য যা দিয়ে রোগটি নির্ণয় করা হবে । এই রকম ১০, ০০০ মানুষের প্রত্যেকের পরীক্ষা করার পর দেখা গেলো যে পরীক্ষাটির ফলে কিছু মানুষের রেজাল্ট পজিটিভ বেরোলো, কিছু মানুষের রেজাল্ট নেগেটিভ বেরোলো, এদের মধ্যে কিছু মানুষের আসলে অসুখ আছে, কিছু মানুষের আসলে অসুখ নেই, ইত্যাদি । অসুখটি ১ % মানুষের মধ্যে দেখা গেছে, তার মানে এই ১০,০০০ জনের মধ্যে ১০০ জনের অসুখ আছে, ৯৯০০ জন রোগমুক্ত বা তাঁদের ওই অসুখ নেই।
    (কোরোনাভাইরাস এর অসুখটি ও মোটামুটি ১% লোকের মধ্যে হয়, বেশিও হতে পারে, তবে ধরে নেয়া যাক ১% লোকের মধ্যে হয়েছে) ।

    নীচের টেবিল টি দেখুন, তাহলে ব্যাপারটা বোঝা যাবে:

    | পরীক্ষার ফল | অসুখ আছে | অসুখ নেই | সর্বমোট |
    |-----------------------|------------------|-----------------|----------------|
    | পজিটিভ | ৯৫ | ৯৯০ | ১০৮৫ |
    | নেগেটিভ | ৫ | ৮৯১০ | ৮৯১৫ |
    | সর্বমোট | ১০০ | ৯৯০০ | ১০০০০ |

    - অর্থাৎ, ১০০ জন অসুস্থ মানুষের ওপর যদি পরীক্ষা করে দেখা হয়, 95 জনকে এই পরীক্ষা সঠিক ভাবে চিহ্নিত করতে সক্ষম হবে (৯৫% সঠিক ) এতখানি সে পরীক্ষা sensitive ,
    - আবার ৯৯০০ মানুষের, যাদের অসুখ নেই, তাদের পরীক্ষা করা হলে সে ৮৯১০ মানুষকে ঠিক মতো চিহ্নিত করতে পারবে, এতটা সে specific
    এই দুটোই পরীক্ষাটি কেমন তার ওপর নির্ভর করে ।

    কিন্তু তার মানে এই নয় যে রোগীর অসুখের লক্ষণ দেখা দিলে আর পরীক্ষা পজিটিভ হলেই বলা যাবে যে অসুখ আছে । তার সম্ভানা অন্তত এই ক্ষেত্রে (৯৫ * ১০০ / ১০৮৫ ) =~ ৯ %
    অর্থাৎ, পরীক্ষার রেজাল্ট পজিটিভ হলে মাত্র ৯% কেসে বলতে পারবেন যে মানুষটির প্রকৃতই অসুখ করেছে, না হলে ৯০% ক্ষেত্রে পরীক্ষা পজিটিভ হয়েছে কিন্তু আসলে মানুষটির অসুখ নেই । এই ব্যাপারটিকে চিকিৎসার পরিভাষায় বলা হয় "positive predictive value ", এবং অসুখ যত বিরল হবে, ততই এই সংখ্যাটি কম হতে থাকবে, অসুখ যত বেশি মাত্রায় হবে, ততই সংখ্যাটি বাড়তে থাকবে ।
    আবার উল্টোটা দেখুন, পরীক্ষায় ৮৯১৫ জন নেগেটিভ মানুষের ৮৯১০ জন মানুষেরই অসুখ নেই, তার মানে ৮৯১০ / ৮৯১৫ = ৯৯% বা তার বেশি ক্ষেত্রে পরীক্ষার রেজাল্ট যদি নেগেটিভ আসে তাহলে ধরে নিতে পারেন যে অসুখ মুক্ত । এই ব্যাপারটিকে চিকিৎসার পরিভাষায় বলা হয় "negative predictive value " ।
    শুধু তাই নয়, আমরা এক্ষেত্রে দেখছি যে ৫% মানুষ, যাদের অসুখ আছে, কিন্তু পরীক্ষা করে দেখা গেলো যে তাঁরা নেগেটিভ । কোরোনাভাইরাস এর মতো অসুখের ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটি নেহাত নগন্য না হলে কেলেঙ্কারি, কারণ ১০০ জনের মধ্যে ৫ জন যদি নেগেটিভ বলে খালাস পেয়ে যান, তাঁরা কিন্তু রোগ ছড়াতে সক্ষম । পরে হয়তো ধরা পড়বেন, কিন্তু ততদিনে অনেকটাই ক্ষতি হয়ে গ্যাছে ।

    এতো কথা কেন বলা হচ্ছে? তো তাতে কি?
    এই যে sensitivity আর specificity , এগুলো পরীক্ষার অঙ্গ, পরীক্ষাটির ওপর নির্ভর করে ।

    পরীক্ষার সেনসিটিভিটি যদি কম হয় এবং অসুখ টিও যদি বিরল হয় (বিরল = ১০,০০০ প্রতি ১ জন কি তার ও কম), তাহলে বহু লোককে সে পরীক্ষা পজিটিভ বলে চিহ্নিত করবে অথচ যাদের অসুখ নেই (ভুয়ো পজিটিভ) । এখন পরীক্ষার ভিত্তিতে যদি মানুষের চিকিৎসা ঠিক করা হয় ও ওষুধ বিশুদ্ধ দেয়া হয়, তাহলে খুব বেশি ভুয়ো পজিটিভ হয় মানে বহু মানুষ অকারণে ওষুধ খেয়ে ওষুধের পারব প্রতিক্রিয়ায় ভুগবেন, এতে করে ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি ।
    আবার মনে করুন, পরীক্ষার রেজাল্ট যাই হোক, চিকিৎসা পদ্ধতির বিশেষ পরিবর্তন হবে না, এমন ক্ষেত্রে পরীক্ষা করে যদি ভুয়ো পজিটিভ বেশিও থেকে থাকে, ও অসুখটিও যদি বিরল হয়, তাহলে বিশেষ কিছু যাবে আসবে না, বরং একটা পরীক্ষা করার উপযোগিতা থাকবে কারণ যাদের পরীক্ষায় নেগেটিভ বেরোলো তাদের যে অসুখ নেই সেটা একটা কাজের ব্যাপার ।

    এই ব্যাপারটি কোরোনাভাইরাস এর ক্ষেত্রে বিশেষ করে প্রযোজ্য কারণ কোরোনাভাইরাস এখনো অবধি বিরল অসুখ বলেই ধরতে হবে, ১-২% মতো মনুষ্যসমাজে ছড়িয়েছে, এখন অবধি যা খবর পাওয়া গেছে তাতে RT - PCR পরীক্ষার sensitivity ৯৫% ও তার specificity ৯০% মতো । এ থেকে একটা ব্যাপার আশাকরি বোঝাতে পারছি যে টেস্ট পজিটিভ হওয়াতে খুব উল্লসিত হওয়ার কিছু নেই, কারণ এতে করে বহু মানুষ যাঁদের আসলে অসুখ নেই, তাঁরাও কিন্তু অসুস্থ হয়ে চিহ্নিত হতে পারেন । কিছু ক্ষেত্রে যেখানে এই অসুখটি নিয়ে সামাজিক অস্বস্তি হতে পারে, লোকে একঘরে হয়ে যেতে পারেন, সেক্ষেত্রে খুব সতর্কতা প্রয়োজন । এখন অবধি টেস্ট পজিটিভ হোক না নেগেটিভ হোক, চিকিৎসার বিশেষ হেরফের হবে না, যতক্ষণ না সাংঘাতিক রকমের বাড়াবাড়ি হচ্ছে । কিন্তু ভবিষ্যতে যদি ওষুধ বেরোয়, যার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মারাত্বক হতে পারে, তখন কিন্তু ডায়াগনস্টিক টেস্ট আর তার sensitivity specificity positive predictive value নিয়ে প্রশ্ন উঠবে ।

    অতএব নতুন টেস্ট বেরিয়েছে, খুব ভালো (কতখানি ভালো, সেটা যাচিয়ে নেবেন প্রথমে!), দারুন চিকিৎসা আবিষ্কৃত হয়েছে, এই নিয়ে হৈহৈ করার আগে একটু খেয়াল করে দেখবেন করা চিকিৎসা পাচ্ছেন, কিসের ভিত্তিতে পাচ্ছেন, ও তাতে কতটা ক্ষতি বা লাভ হতে পারে চিকিৎসা না করার থেকে । এই নিয়ে পরের কিস্তিতে বিশদে লিখবো । আপাতত এইটুকুই ।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২৪ মার্চ ২০২০ | ২১৯৪ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    আকুতি  - Rashmita Das
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • অর্জুন | 172.69.134.50 | ২৫ মার্চ ২০২০ ১১:০১91738
  • অলিন্দে এসে দৃষ্টিকে বলি , যাও যেতে চাও যদ্দূর
    দৃষ্টি বলে , অবাক কান্ড ! সোনালী ,রূপালী রোদ্দুর
    দেখেছি কি আগে? স্মৃতি হাতড়িয়ে যেতে হবে কত্তোদূ্র
    মন বলে ,সেতো আধো শৈশব সুখের সমুদ্দু্র➖
    পৃথিবী তখন রঙে রসে তাজা প্রকৃতিতে ভরপুর
    এ্যাতোদিন পরে হৃদয় অন্দরে সেই চেনা চেনা সুর
    যাণ জট নেই আয়েষে শুয়েছে প্রশস্ত রাজপথ
    কারো সর্বনাশে কারো পৌষমাস প্রকৃতিরও একই মত
    শান্ত, গভীর নিশীথের রূপ হল্লায় খানখান
    এ্যাতোদিন হোতো , করোনা এখন রেখেছে রাতের মান
    আকাশে বাতাসে ঝলমলে হাসি বায়ূর দূষণ উধাও
    করোনা ,তুমি প্রকৃতিকে রাখো
    করোনা ,তুমি আমাদেরও দ্যাখো
    নিরাপদ দূরে ঠাঁই করে প্রিয় পৃথিবীটাকে বাঁচাও।

                                                                           -  সুজাতা সরকার (আমার পিসি) 

  • দ্রি | 108.162.246.154 | ২৫ মার্চ ২০২০ ১৫:০১91748
  • "নিরাপদ দূরে ঠাঁই করে প্রিয় পৃথিবীটাকে বাঁচাও।"

    অনেকে আবার মনে করেন পৃথিবীকে বাঁচানোর একমাত্র উপায় হল মানুষ কমানো, যেটা করোনা নিরাপদ দূরত্বে না গেলেই হতে পারে।
  • দ্রি | 172.68.174.99 | ২৫ মার্চ ২০২০ ১৫:১৪91749
  • "- অর্থাৎ, ১০০ জন অসুস্থ মানুষের ওপর যদি পরীক্ষা করে দেখা হয়, 95 জনকে এই পরীক্ষা সঠিক ভাবে চিহ্নিত করতে সক্ষম হবে (৯৫% সঠিক ) এতখানি সে পরীক্ষা sensitive ,
    - আবার ৯৯০০ মানুষের, যাদের অসুখ নেই, তাদের পরীক্ষা করা হলে সে ৮৯১০ মানুষকে ঠিক মতো চিহ্নিত করতে পারবে, এতটা সে specific "

    ১০০ জন অসুস্থ, অর্থাৎ তাদের সিমটম আছে, তাই তো?

    সেন্সিটিভিটির ক্ষেত্রে যে ৫ জনকে পরীক্ষা সনাক্ত করতে পারল না, সেটা টেস্টের ভুল, ইন দা সেন্স, আসলে তাদের দেহে ভাইরাস ছিল কিন্তু টেস্ট তা ধরতে পারেনি।

    স্পেসিফিসিটির ক্ষেত্রে যে ৯৯০ জনকে টেস্ট পজিটিভ ঘোষনা করল, তাদের কিছু তো হতে পারে ভাইরাসের কেরিয়ার, কিন্তু কোন সিমটম নেই। আবার কিছু হতে পারে ভাইরাসের কেরিয়ারই নয়, টেস্ট ভুল করে তাদের কেরিয়ার ঘোষন করেছে। ৯৯০ এর মধ্যে এই দুটোর কোনটা কত পার্সেন্ট তার কোন এস্টিমেট আছে?

    এই যে বিভিন্ন দেশে এত টেস্ট কিটের কথা হচ্ছে, এগুলোর সেন্সিটিভিটি এবং স্পেসিফিসিটি কেমন? এগুলোর মধ্যে ভেরিয়েশান কেমন? ইউএসেতে? ভারতে? বিভিন্ন দেশের আর্থিক সামর্থ, চাহিদার সাথে এইসব কিটের সেন্সিটিভিটি/স্পেসিফিসিটি ইজ টু প্রাইসের একটা ব্যালেন্স রাখার ব্যাপার আছে।
  • অরিন | ২৬ মার্চ ২০২০ ০৭:১২91763
  • "1০০ জন অসুস্থ, অর্থাৎ তাদের সিমটম আছে, তাই তো?"
    শুধু সিম্পটম নয়, তাদের সিম্পটম থাক আর নাই থাক, আসলে কোরোনাভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছে, শরীরে কোরোনাভাইরাস আছে । সিম্পটম ছিল বলেই তাদের মধ্যে কারো কারো পরীক্ষা হয়েছে ।

    "সেন্সিটিভিটির ক্ষেত্রে যে ৫ জনকে পরীক্ষা সনাক্ত করতে পারল না, সেটা টেস্টের ভুল, ইন দা সেন্স, আসলে তাদের দেহে ভাইরাস ছিল কিন্তু টেস্ট তা ধরতে পারেনি।"

    এইটাই মনে করতে হবে ।

    "স্পেসিফিসিটির ক্ষেত্রে যে ৯৯০ জনকে টেস্ট পজিটিভ ঘোষনা করল, তাদের কিছু তো হতে পারে ভাইরাসের কেরিয়ার, কিন্তু কোন সিমটম নেই। আবার কিছু হতে পারে ভাইরাসের কেরিয়ারই নয়, টেস্ট ভুল করে তাদের কেরিয়ার ঘোষন করেছে। ৯৯০ এর মধ্যে এই দুটোর কোনটা কত পার্সেন্ট তার কোন এস্টিমেট আছে?"

    না তারা ভাইরাস ক্যারিয়ার নয়, তা সত্ত্বেও টেস্ট তাদের পজিটিভ বলছে । ফলস পজিটিভ যারা তাদের কেউ ক্যারিয়ার নয়, তাদের ওসব কিছু নেই, তা সত্ত্বেও টেস্ট তাদের পজিটিভ করে দিয়েছে। এর বহু কারণ থাকতে পারে, যেমন ধরুন অন্য করণাভিরাসের ইনফেকশন হয়েছে, এই টেস্ট সেটাকে ভুল ওরে কোভিড১৯ এর তালিকায় ফেলেছে এইরকম সব ব্যাপার । মানে কোরোনাভাইরাস মারার জন্যে যদি ওষুধ দেয়া হয়, এই মানুষগুলোর তাতে কোনো কাজ নাও হতে পারএ, উল্টে ক্ষতিও হতে পারে।

    "এই যে বিভিন্ন দেশে এত টেস্ট কিটের কথা হচ্ছে, এগুলোর সেন্সিটিভিটি এবং স্পেসিফিসিটি কেমন? এগুলোর মধ্যে ভেরিয়েশান কেমন? ইউএসেতে? ভারতে? বিভিন্ন দেশের আর্থিক সামর্থ, চাহিদার সাথে এইসব কিটের সেন্সিটিভিটি/স্পেসিফিসিটি ইজ টু প্রাইসের একটা ব্যালেন্স রাখার ব্যাপার আছে।"

    জানি না। আমি শুধু আমেরিকার সি ডি সি র হিসেবে টুকুই দেখেছি। চীনেরা কি টেস্ট করেছে ওরাই জানে। এইজন্যেই তো লিখলাম টেস্ট বেরিয়েছে বেরিয়েছে করে যারা লাফালাফি করে, তাদের একটু ধৈর্য্য ধরে বোঝা দরকার যে ও টেস্টে কি হবে সে টেস্ট কতটা কার্যকরী ।

    "বিভিন্ন দেশের আর্থিক সামর্থ, চাহিদার সাথে এইসব কিটের সেন্সিটিভিটি/স্পেসিফিসিটি ইজ টু প্রাইসের একটা ব্যালেন্স রাখার ব্যাপার আছে।"
    সামাজিক স্বার্থেও ।

    আশাকরি বুঝতে পারছেন ।
  • ? | 162.158.166.36 | ০২ এপ্রিল ২০২০ ০৫:১৬91957
  • মডেলিং নিয়ে যে লিখবেন বলেছিলেন, কী হল অরিনবাবু?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় প্রতিক্রিয়া দিন